#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_07+08
ভোরে মেহেরিন’কে টেনে বিছানা থেকে তুলে আনে নীল। তবুও সে ঘুমে ঢলছে। নীল কোনোমতে ওকে অভ্র’র সামনে আনে। মেহেরিন মিটি মিটি চোখে অভ্র কে দেখে বলে..
– দা এতো সকাল সকাল কেন ডেকেছো আমায়!
– এক্সারসাইজ করতে!
অভ্র’র কথায় মেহেরিন এর চোখের ঘুম নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। সে চোখ মেলে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই এখানে। অতঃপর সে বলে ওঠে..
– এক্সারসাইজ এতো ভোরে! কেন দা!
– এটা তো আগেও করতে তবে মাঝখানে ৫ বছরে আমার মনে হয় না একদিন ও করেছো তুমি, যাই হোক এখন থেকে এটা তোমাকে করতে হবে কজ তুমি একজন ডান্সার। এক্সারসাইজ না করলে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক থাকবে না শেষে ডান্স করতে পারবে না আর এভাবেও এখন তোমার প্র্যাকটিস করা দরকার।
– কিসের?
– তোমার উপর এখন যেকোনো সময় আক্রমণ হতে পারে সেটার প্রস্তুতি! আর শুধু তুমি না আমরা সবাই করবো প্রতিদিন সকালে উঠে!
– খান দের রক্তে এইসব নেই দা।
– না থাকলে করতে হবে, নাও শুরু করো!
মেহেরিন বিরক্তি চোখে তাকিয়ে দেখে নিশি আর নিহা’র হাল তার মতোই তবে ইহান, রোদ্দুর আর কাব্য বেশ খুশি। তার মানে এটা তাদের’ই কাজ। কাল রাতে ঘুমাতে দেয় নি বলে এরকম টা করেছে। তবে নীল ভাইয়া কিছুর মধ্যে নেই। সে নিরপেক্ষ শুধু অভ্র দা’র হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাবে। যাই হোক অনিচ্ছাকৃত ভাবে তাকে সব কিছু করতে হলো। অতঃপর শাওয়ার নিয়ে এসে টেবিলে বসল নাস্তা খেতে। সচরাচর মেহেরিন নাস্তায় পরোটা খায় তবে আজ অন্যকিছু ছিল যা সে কখনো দেখেনি। সে একবার সেটা মুখে দিতেই বুঝতে পারল এটা খেতে মোটেও ভালো না। অতঃপর তাকিয়ে দেখে সবার খাবার একই। দা দিকে তাকাতেই দা বলল…
– এখন থেকে তেলে জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ। এসব হেলদি খাবার খেতে হবে।
– কিন্তু এটা খেতে মোটেও মজা না।
– তবুও খেতে হবে। খাও!
মেহেরিন কিছু না বলে খেতে থাকে। জানে বলে লাভ নেই। মেহেরিন’র সব ইচ্ছা সে পূরন করবে তবে এসব খাবার – দাবার , ব্যায়াম, পড়ালেখা এসবে গাফিলতি কখনো করবে না। যাই হোক, মেহেরিন কোনোমতে খাবার শেষ করে সোফায় এসে বসে। কিছুক্ষণ পর, একটা চিপস খেতে যাবে তখন রোদ্দুর সেটা ওর হাত থেকে কেড়ে নেয়। মেহেরিন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকলে রোদ্দুর ওর হাতে একটা কাগজ দিয়ে বলে..
– এই নে এসব খাবার তোকে খেতে দেওয়া যাবে না!
মেহেরিন কাগজ টা নিয়ে পড়তে শুরু করে..
– বার্গার, পিজা, চাইনিজ, ফুচকা, সব স্ট্রিট ফুড খাওয়া বাদ। আইসক্রিম তিন দিন পর একবার। চকলেট প্রতিদিন এক প্যাকেট এর বেশি না! এইসব কি!
– যা দেখছিস তাই!
ইহান উঠে বলে..
– রিভেঞ্জ ইজ রিভেঞ্জ জান!
কাব্য বলে উঠে..
– এখন বুঝো ঠেলা।
মেহেরিন কিছু বলতে যাবে দেখে অভ্র আসছে। মেহেরিন অভ্র’র কাছে গিয়ে বলে..
– দা এইসব!
– পেয়ে গেছো! এটা তোমার খাবার রুটিন বুঝলে। তোমার দি আর নিশি কে দিয়ে দেবে।
– কিন্তু দা!
– আমি লেট হচ্ছি আদুরী এসে কথা হবে।
অতঃপর আদুরীর কপালে একটা চুমু খেয়ে চলে যায় অভ্র। মেহেরিনকে দেখে ইহান ওরা হাসতে থাকে। মেহেরিন ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে..
– রিভেঞ্জ এর রির্টান কিন্তু খুব খারাপ হবে।
কাব্য মেহেরিন এর গাল টেনে বলে..
– ওকে ডান জান!
.
দুপুরে মেহেরিন মোটেও এইসব খাবার খাবে না। তাই লুকিয়ে বাড়ির দেওয়াল টপকে বের হয়ে যায়। পড়নে একটা হুডি আর জিন্স। মুখে ব্লাক মাস্ক, সামনের ছোট ছোট চুল গুলো সামনে এসে পড়ছে। পুরো রাস্তা খালি, দোকান পাট প্রায় সব’ই বন্ধ। মেহেরিন এক হাতে আইসক্রিম নিয়ে সেটা খেতে খেতে বাজারের দিকে যায়, দেখে কিছু স্ট্রিট দোকান আছে। সে নাচতে নাচতে দোকানের সামনে যায়। অতঃপর ফুচকা খাওয়া শুরু করে। খেতে খেতে ১৯ নাম্বার ফুচকা মুখে দিয়ে দিয়েছে। তার ফর্সা মুখ ঝালে লাল হয়ে গেছে। ২০ নাম্বার ফুচকা’টা নিতে যাবে হঠাৎ কেউ তার সামনে এসে দাঁড়ায়। মেহেরিন তাকিয়ে দেখে ইহান দাঁত বের করে হেঁসে দাঁড়িয়ে আছে। মেহেরিন একটা ঢোক গিলে দাঁত বের করে হেসে বলে..
– তুই এখানে!
– কেমন দিলাম! বাসা থেকে পালিয়ে এখানে এসে এসব খাচ্ছিস। আর আমরা সবাই খুঁজতে খুঁজতে হয়রান তোকে। আইডিয়া আছে কোনো কি রকম অবস্থা হয়েছে আমাদের।
– ওহ আচ্ছা!
বলেই ফুচকা টা নিতে যাবে এর আগেই ইহান ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে। মেহেরিন লাফিয়ে লাফিয়ে বলে যাচ্ছে…
– আমার শেষ ফুচকা, আমার শেষ ভালোবাসা! কি করছিস তুই!
– অনেক খেয়েছেন আর খাওয়া লাগবে না চল এখন।
– এ্যা এ্যা আমি খাবো ওটা!
– না আর না এমনেতে অনেক খেয়েছিস আর না।
– দেখ ছাড় না আমাকে,
– জ্বি না চলুন!
– আমি কিন্তু চেঁচামেচি করবো।
– Whatever!
মেহেরিন চেঁচিয়ে বলতে থাকে…
– বাঁচাও বাঁচাও আমাকে ছেলে ধরা ধুরি মেয়ে ধরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কে আছো বাঁচাও আমাকে।
– আরে আরে কি করছিস!
– কে আছো বাঁচাও আমাকে!
– চুপ কর বোন, শেষে তো পাবলিক প্লেসে মার খাওয়াবি আমাকে।
বলতে বলতে লোকজন এসে জড়ো হয়ে গেল। একটা গন্ডগোল হতে যাবে তার আগেই ডেভিল চলে আসে। অতঃপর সে সব কিছু কন্ট্রোল করে মেহেরিন কে বাসায় নিয়ে আসে। কিন্তু এখানে ইহান একবারের জন্যও মেহেরিনের হাত ছাড়ে না। মেহেরিন আনমনে তার শেষ ফুচকার স্বাদ ভেবে যাচ্ছে। ইশ কতোই না মজা লাগতো খেতে।
বাসায় এসে দেখে সবাই ডয়িংরুমে বসে আছে। মেহেরিন ঢোকার সাথে সাথে অভ্র তাকে জরিয়ে ধরে। অতঃপর মাথায় চুমু খেয়ে বলে..
– ঠিক আছো তুমি? কিছু হয়নি তো? কোথায় গিয়েছিলে?
মেহেরিন হতাশ মুখ করে সামনে হেঁটে মেঝেতে গালে হাত দিয়ে বসে পড়ল। নিহা অবাক হয়ে ওর সামনে এসে বসল। অতঃপর জিজ্ঞেস করল..
– কি হয়েছে?
– আমার শেষ ভালোবাসা!
ইহান বাদে সবাই একসাথে…
– কিহহহ?
অভ্র মেহেরিন’র কাছে এসে বলে..
– কি বললে তুমি?
ইহান বলে উঠে..
– তার শেষ ভালোবাসা, শেষ ফুচকা উনি খেতে পারি নি
ইহানের কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। মেহেরিন আবারও আনমনে বলে..
– ইশ্ শেষ ফুচকার স্বাদ টা কি ভালোই না হতো।
ইহান বলে উঠে..
– ১৯ টা ফুচকা খেয়েও তোর ওই ১ টা ফুচকা খেতে না পাওয়ার আফসোস এতো। দা জানো এইসব খাওয়ার জন্য’ই তোমার বোন বাড়ি থেকে লুকিয়ে বের হয়েছিল।
মেহেরিন রেগে ইহানের দিকে তাকিয়ে বলে..
– জানিস না, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমি তো সেই শেষ টাই খেতে পারলাম না।
অভ্র মেহেরিন এর মাথায় হাত রেখে বলে..
– ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার, আমি এক্ষুনি তোকে বানিয়ে খাওয়াচ্ছি! কিন্তু এইসব এর জন্য বাড়ি থেকে পালানোর কোনো দরকার ছিলো না।
– তো কি করবো আমি, তুমি আমাকে এসব খেতে মানা কেন? এসব না খেয়ে কি থাকতে পারি আমি।
– আমি তো তোমার ভালোর জন্যই বলেছি!
– হুহ এসব না খেয়ে থাকলে আমি থাকতে পারি না। এখন চলো আমাকে বানিয়ে খাওয়াবে তুমি!
– আচ্ছা!
মেহেরিন উঠে দু’কদম হাঁটার পর’ই হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে গেল। সবাই একসাথে ছুটে এসে ওকে ধরে। মেহেরিন অভ্র’র কোলেই শুয়ে পড়ে। নিহা নিশি’র দিকে তাকিয়ে বলে..
– নিশি!
নিশি বলে উঠে..
– আজকে মেডিসিন নেবার ডেট ছিল। তাই এমন হয়েছে!
কাব্য বলে উঠে..
– আমি এক্ষুনি ইনজেকশন নিয়ে আসছি।
অতঃপর কাব্য ইনজেকশন নিয়ে আসলে নিশি মেহেরিন’র হাত ধরে ইনজেকশন পুশ করে। কিছুক্ষণ পর মেহেরিন এর জ্ঞান ফিরে। অভ্র যেন প্রান ফিরে পায়। অতঃপর তাকে সোফায় বসিয়ে খাবার খাইয়ে দেই। না খাওয়ার কারনেই মূলত দুর্বল ছিল সে। আর এই দুর্বলতা তার অসুস্থ কে বাড়িয়ে দিয়েছে।
মেহেরিন শুয়ে আছে অভ্র’র কোলে। ডক্তর আংকেল কিছুক্ষণ আগে এসে দেখে গেছে মেহেরিন কে। অভ্র তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। পাশে’ই সবাই বসে আছে। হঠাৎ’ই ডেভিলের আগমন হয় সেখানে। অভ্র জিজ্ঞেস করে..
– কি হয়েছে ডেভিল?
– স্যার’রের কল! কথা বলতে চায় আদুরীর সাথে!
মেহেরিন এক লাফে উঠে পড়ে। অতঃপর তাড়াহুড়ো করে ডেভিলের হাত থেকে ল্যাপটব নিয়ে বসে পড়ে। তার বাবা শুভ্র খান কল করেছেন ভিডিও কলে!
মেহেরিন একগাল হাসি দিয়ে বলে উঠে..
– হেই বাপি!
– আরে আমার প্রিন্সেস যে! কেমন আছো মামনি!
– আলহামদুলিল্লাহ এতো গুলো। তুমি?
– আলহামদুলিল্লাহ! অভ্র, নিহা , ইহান ওরা সবাই ভালো আছে।
– হ্যাঁ তা তো থাকবেই।
– মামনি! কোথায় গিয়েছিলে আজকে, কাউকে কিছু না বলে হুট করে।
– ফুচকা খেতে গিয়েছিলাম, জানো আমার শেষ ফুচকা আমাকে খেতে দেয় নি।
– কে দেয় নি।
– এই হাতির ডিম ইহান’টা!
ইহান বলে উঠে..
– না মামা, এর কারন আছে। ভাইয়া ওকে এসব খেতে মানা করেছে। তাই ও বাসা থেকে পালিয়ে এসব খেতে গেছে।
শুভ্র খানিকক্ষণ হেসে অভ্র কে বলে..
– মামনি যা খেতে চায় ওকে তাই দাও!
– কি বাবা তুমি তো জানো এইসব…
– হুম জানি, তবে তুমি হয়তো ভুলে গেছো। ছোট বেলা থেকেই ওর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো। এটার জন্য শুধু ওকে পর্যাপ্ত ব্যায়াম করালেই হবে। খাওয়া দাওয়ার উপর এতো নজর না দিলেও চলবে তবে টাইমলি খাওয়াতে হবে। আর মামনি এইসব বাজে খাবার এখন একটু কম খাও তোমার শরীর ভালো না। ডক্তর এসব খেতে বারণ করেছে তোমাকে!
– হুহ!
শুভ্র কাব্য কে বলে..
– পড়ালেখার খবর কি তোমাদের!
– হুম ভালো।
– কোনো কিছু নিয়ে কি সমস্যা আছে।
নিহা বলে উঠে..
– না বাবা। এখানে সব ঠিক আছে, তোমার ওখানে!
– আপাতত ঠিকই আছে। তবে খারাপ লাগে তোদের ছাড়া থাকতে।
কাব্য বলে উঠে..
– তবে মামা বেঁচে থাকতে হলে তো থাকতে হবে।
রোদ্দুর বলে উঠে..
– তুমি জানো তো আমাদের সাথে থাকাটা তোমার জন্য কতো রিস্কের!
শুভ্র বলে উঠে..
– এভাবে বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই রোদ্দুর! একদিন বুঝবি তোরা!
মেহেরিন বলে উঠে…
– তবে ততোদিন তুমি বোঝো আমাদের!
শুভ্র মেহেরিনের কথায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সে জানে চাইলেও সে তাদের সাথে থাকতে পারবে না। কারন একটাই ওদের দুর্বলতা সে। তাইতো অধরা’র মৃত্যুর পর তাকেও অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় যাতে তার কিছু না হয়ে যায়। তবে সে কোথায় আছে এটা শুধু মেহেরিন আর অভ্র’ই জানে। এই একই কারনে রোদ্দুর, ইহান আর কাব্য তাদের ফ্যামিলির সাথে থাকে না। কারন ওরা তাদের দুর্বলতা। মাফিয়া হয়ে নিজের দুর্বলতা সবার সামনে রেখে দিলে সেটা বোকামি ছাড়া কিছু’ই না। যেহেতু অধরা খান রোদ্দুর, ইহান আর কাব্য কে ছেলে বলেই মানতো তাই তারা তাকে মামনি বলেই ডাকতো। ওই সূত্রে তারা শুভ্র কে মামা বলে ডাকে।
এদিকে আনহা এই নিয়ে ৩২ বার কল করলো অভ্র কে কিন্তু অভ্র তুলে নি। তুলবে কিভাবে? সে ফোন সাইলেন্ট করে ঘরে রেখে দিয়ে বাইরে চলে গেছে। আর এখানে বেচারি আনহা’র অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কারন মেহেরিন এর কথা শুনে অভ্র মিটিং ছেড়ে চলে গেছে। যার কারনে মিটিং অসমাপ্ত আছে। তবে এভাবে হুট করে যাওয়াতে আনহা বেশ ভয় পাই। সত্যি কিছু হয় নি তো আবার। তার মধ্যে এই লোকটা ফোন কেন তুলছে না। রেগে আনহা ঠিক করলো কাল সকালের খান বাড়িতে যাবে সে। দেখে আসবে কিছু হয়েছে কি না ওখানে!
যথারীতি আনহা এসে পড়ল খান বাড়িতে। তাকে দু’বার চেক করে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। বেশ হবাক হলো সে। যাই হোক, বাড়িতে ঢুকে কারো দেখা পেলো না। একজন সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে দিল। তবে পাশের ঘর থেকে অনেক শব্দ আসছে। আনহা সার্ভেন্ট’র কাছে অভ্র’র কথা জিজ্ঞেস করল। সে বলল ” অভ্র স্যার রুমে আছেন, কিছুক্ষণ পর অফিসের জন্য বের হবে। ওই যে তার রুম”।
বলেই সার্ভেন্ট চলে গেল। আনহা হাঁটতে হাঁটতে ঘরের বাইরে দরজার আছে আসল। দরজায় টোকা দিতে গিয়ে দেখল দরজা খোলা। সেও স্যার স্যার বলে ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকে গেল। নাহ কেউ নেই ঘরে। ওয়াসরুম থেকে আওয়াজ আসছে, মনে হয় স্যার শাওয়ার নিচ্ছে। আমি বরং বের হয়ে যাই। অতঃপর বের হতে গেলেই একটা ছবির দিকে নজর গেলো। ছোট বাচ্চার ছবি, স্যার এর সাথে অনেকটা মিল। আমি সেই ছবি টা দেখতে লাগলাম। হঠাৎ তখন কেউ যেন দা দা বলে চেঁচিয়ে আসছিল। এরমধ্যে স্যারও মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে এলো!
#চলবে….
[ ৯ টা বাজে আরেকটা পর্ব দেবো ]
#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_৮
হঠাৎ তখন কেউ যেন দা দা বলে চেঁচিয়ে আসছিল। এরমধ্যে স্যারও মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে এলো! আমি আর স্যার মুখোমুখি! উনি আমার দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন। তখন বাইরে থেকে দা দা বলে কেউ ডাকছে। হঠাৎ করেই স্যার আমার বাহু টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে গেট আটকে দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরলেন। আমি পুরোই অবাক তার সাথে ভয় ও পেলাম। উনি ফিসফিসিয়ে বলছে…
– চুপ চুপ একটা কথাও বলবে না বুঝলে!
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। মনে মনে বলছি,
– মুখ তো চেপে ধরেই আছেন তাহলে কথা বলবো কিভাবে?
যাই হোক যে ডাকছিলো সে হয়তো এতোক্ষণে ঘরে এসে পড়েছে। তখন স্যার নিজেকে শান্ত করে বলে উঠেন…
– আদুরী আমি শাওয়ার নিতে এসেছি!
আদুরী বলে উঠে..
– ওহ্ আচ্ছা! ঠিক আছে আমি যাচ্ছি।
– হুম!
অতঃপর আদুরী চলে যাবার শব্দ পেলাম। আমি স্যারের দিকে তাকিয়ে আছি আর স্যার আমার দিকে। লাল রঙের একটা টি শার্ট তার ফর্সা গায়ে বেশ মানিয়েছে। উনার চুলের পানি গুলো টিপ টিপ করে আমার কপালে পড়ার সাথে সাথে আমার হুশ ফিরল। আমি চোখ নামিয়ে নিলাম। খেয়াল করলাম স্যার ও ছেড়ে দিলেন আমাকে। আমার থেকে দূরে সরে গিয়ে বললেন..
– সরি, আসলে তোমাকে আদুরী দেখলে খুব জ্বালাতো তার সাথে আমাকেও! তাই.. তুমি জানো না ও কেমন? কিছু একটা পেলেই হলো সেটা নিয়ে সারাক্ষণ পিছনে লেগে থাকবে। সরি এরকম ব্যবহারের জন্য!
অভ্র’র কথায় আনহা মাথা নাড়ল। অতঃপর অভ্র দরজা খুলে বেরিয়ে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করল। আনহা ঘরে এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। অভ্র এবার আনহার সামনে দাঁড়িয়ে বলল..
– কিন্তু তুমি এখানে আমার ঘরে কি করছো?
– আসলে স্যার কাল আপনি এমন ভাবে বেরিয়ে আসলেন,আমি ফোন ও করেছিলাম তবে আপনি তুলেন নি। খুব চিন্তা হচ্ছিল তাই দেখতে এলাম আর তখনই..
স্যার আমার দিকে কিঞ্চিত হেসে বললেন..
– এতো কিছু ভাবার জন্য ধন্যবাদ তবে তেমন কিছু হয় নি। আদুরী কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাই!
– মেহেরিন বর্ষা খান!
– হুম আমার ছোট বোন!
– ওহ্ আচ্ছা! কিন্তু ও আমাকে দেখলে কি হতো? আমাকে কেন জ্বালাতো!
স্যার আমার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস হেঁসে বললেন..
– ঘরে ছোট ভাই বোন যা হয় আর কি বুঝতেই পারছো তারপর তোমার ওই প্রথম দিনের কান্ড! সবাই এখনো পিন্চ মারে আমায় এটা নিয়ে।
– আমি তো সেটার জন্য সরি বলেছি এরপরও আপনি আমাকে এটা নিয়ে কথা শুনাচ্ছেন।
– আচ্ছা সরি! তুমি এখান থেকে গিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসো আমি আসছি আর হ্যাঁ কেউ যাতে না দেখে তোমায় বুঝলে!
– আচ্ছা যাচ্ছি!
অতঃপর আনহা বেরিয়ে চলে গেল আর খুব সাবধানে যাতে কেউ না দেখে। তবুও একজনের নজরে পড়ে যায়। এদিকে অভ্র তৈরি হয়ে বের হয়ে দেখে আনহা সোফায় বসে আছে আর তার সাথে মেহেরিন। অভ্র বিড় বিড় করে বলতে লাগল..
– যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়!
মেহেরিন বলে উঠে..
– দা! দেখো তোমার পিএ এসেছে তোমাকে নিতে।
অভ্র মনে মনে..
– যাক বাবা আমার ঘর থেকে বেরুতে দেখে নি!
হুম তা আনহা কখন এলে?
– এইমাত্র স্যার!
– আচ্ছা চলো লেট হচ্ছি আমরা!
মেহেরিন বলে উঠে..
– তুমি যাও মিষ্টি আপু আজ থাকুক আমার সাথে আমরা গল্প করবো কিছুক্ষণ!
নিশি বলে উঠে..
– এই মিষ্টি আপু কে?
– এই যে আনহা আপু, দেখো না দেখতে কি মিষ্টি। লাইক রসগোল্লা রসগোল্লা!
নিশি বলে উঠে..
– হুম তা ঠিক বলেছিস!
অভ্র বলে,
– তা হয় না মেহেরিন ওকে যেতে হবে, আমার পিএ ও।
আনহা উঠে বলে,
– হুম আদুরী আজ থাক অন্যদিন গল্প করবো তোমার সাথে!
মেহেরিন বলে উঠে…
– চলে যাবে!
– অফিসে আজ অনেক কাজ আছে আমি অফ ডে তে একদিন অবশ্যই আসবো।
– কথা দিচ্ছো তো।
– হুম!
– আচ্ছা ঠিক আছে। দা যাও তাহলে…
অভ্র মুচকি হেসে মেহেরিন এর কপালে চুমু খেয়ে যাবার জন্য রওনা হয়। এদিকে নিশি আর মেহেরিন দুজনে হাসতে থাকে। তখন নীল সেখানে আসে। ওদের এভাবে হাসতে দেখে বলে..
– কি হয়েছে?
– আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বল তো?
– কিহহ?
– আমাদের এখন একজন ভাবী’র প্রয়োজন তো নাহ!
নীল খানিকক্ষণ মেহেরিন এর কথা বোঝার চেষ্টা করে। অতঃপর বলে উঠে..
– তুই দেখেছিস তাকে?
নিশি বলে উঠে..
– শুধু দেখেছে নাম ও দিয়েছে মিষ্টি ভাবী!
– বাহ নামটা তো দারুন। তবে আপনার দা কি বিয়ে করবে নাকি?
– দা করবে না মানে তার ঘাড় ও করবে তবে আমাদের প্ল্যানিং করতে হবে!
নীল হেসে বলে..
– আমি আছি তোর সাথে!
নিশি বলে..
– আমিও!
হঠাৎ করেই পেছন থেকে কাব্য বলে উঠে..
– আমিও আছি!
– তুইই!
– সব শুনেছি!
মেহেরিন বলে উঠে..
– তাহলে আমাদের ৪ জনের মিশন আজ থেকেই শুরু!
ঠিক আছে!
সবাই একসাথে..
– ঠিক আছে!
.
এদিকে অভ্র আর আনহা অফিসে এসে পৌঁছায়! অভ্র গাড়ি থেকে নেমে যায় কিন্তু আনহা নামতে পারে না। তাকে দিয়ে গাড়ির দরজা খুলাই যাচ্ছে না অতঃপর অভ্র এসে দরজা খুলে তাকে বাইরে আসতে বলে।আনহা নামতে গিয়ে ওড়না’য় পাড়া দিয়ে পড়ে যেতে নিলে অভ্র আবারও তাকে ধরে! আনহা তাকিয়ে থাকে অভ্র’র দিকে। তার কাছে অভ্র কে এখন ভালো লাগতে শুরু করেছে। অভ্র তাকে দাঁড় করিয়ে বলে..
– কিভাবে হাটোঁ তুমি! শুধু বার বার পড়ে যাও।
– সরি স্যার!
– হয়েছে চলো এখন লেট হচ্ছি আমরা।
– জ্বি স্যার!
অতঃপর দুজনে গিয়ে মিটিয়ে অ্যাটেন্ড করে। আজ যেই কোম্পানির সাথে অভ্র’র মিটিং তাদের ওনার একজন মেয়ে ছিল! যখন অভ্র আর আনহা তাদের সাথে পরিচয় হচ্ছিল তখন মেয়েটা অভ্র কে জরিয়ে ধরার জন্য আসে। আনহা হা করে তাকিয়ে আছে, কিন্তু অভ্র তাকে জরিয়ে ধরে না বরং হ্যান্ড শেক করে ব্যাপার টা সেখানেই শেষ করে দেয়। আনহা যেন খুশিতে আটখানা তবে সেই খুশির কারন তার জানা না। মিটিং শেষে মেয়েটা তাকে ডিনারের জন্য ইনভাইট করে। আনহা মনে মনে মেয়েটার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে বলে …
– একদিনে তো আমিও এতো কিছু করে নি আর মেয়েটা সোজা স্যার কে ডিনার করার জন্য ইনভাইট করছে। নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে। মেয়েটার নিশ্চিত কোনো প্ল্যান। কি হবে এখন? যদি স্যার রাজি হয়ে আছে, তখন! ভাবতে ভাবতে আমার জ্বর চলে আসছে। ইশ স্যার না হ্যাঁ বলে দেয়। তাহলে নিশ্চিত হ্যার্ট অ্যাটাক করবো!
আনহা আগ্রহ ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে অভ্র’র দিকে। অভ্র মৃদু হেসে তাকে ধন্যবাদ বলে। আনহা মুখটা সাথে সাথে মলিন হয়ে যায়। কিন্তু পরক্ষনেই অভ্র বলে…
– কিন্তু আমি আসতে পারবো না।
কথাটা শোনা মাত্র’ই আনহা’র মুখে এক গাল হাসি দেখা যায়। অভ্র আনহা’র দিকে তাকিয়ে বলে..
– চলো এখন!
আনহা খুশিতে মাথা ঝাঁকিয়ে অভ্র’র পিছনে যেতে থাকে আর যাবার আগে ওই মেয়ের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিয়ে দেয়।
.
কয়েকদিন পর…
আনহা এখন রীতিমতো অভ্র’র প্রেমে পাগল হয়ে গেছে। তার সবকিছুই ভালো তার, কোনো মেয়েকে তার সাথে সহ্য করতে পারে না সে। যাই হোক অভ্র এখন শুধু তার। কিন্তু… আনহা কি শুধু অভ্র’র মানে আনহা কি পাবে অভ্র কে রং যদি না ভালোবাসে তখন.. এটা ভাবতেই আনহা’র মুখ টা মলিন হয়ে যায়। অনেক দুঃখ ও পায়। আজ অফ ডে অফিস বন্ধ! দেখতে পারবে না অভ্র কে তাই আনহার মন টা খারাপ হয়ে যায়। পরক্ষনে মনে পড়ে মেহেরিন এর কথা। সে তাকে অনেকবার বলেছে অফ ডে তে এসে দেখা করতে! আজ তাহলে সেখানেই যাওয়া যাক! সারা ঘরে ড্রেস বের করে দেখছে কোনটা পড়া যাবে।অনেক কষ্ট করে অবশেষে ভেবে একটা লাল রঙের ড্রেস চয়েজ করলো সে। অতঃপর সেটা পড়ে হালকা ভাবে সেজে বেরিয়ে পড়লো!
এদিকে..
ইহান, রোদ্দুর আর কাব্য একদলে আর নিহা, নিশি , মেহেরিন। সবাই মিলে বসেছে ভিডিও গেম খেলতে। গেমে যে জিতবে সে যা বলবে বিপরীত দলকে তাই করতে হবে। একপর্যায়ে ইহান রা জিতে যায় গেমে! নিহা মুখ ভেংচি কেটে বলে..
– কি করতে হবে?
রোদ্দুর বলে উঠে..
– তোরা কেউ কিছু করবি না যা করার জান করবে!
মেহেরিন বলে উঠে..
– হোয়াট!
কাব্য বলে উঠে..
– অনেক কষ্টকর একটা কাজ। মনে হচ্ছে তুই পারবি না!
– ওহ্ আচ্ছা তাহলে তো করতেই হবে।
ইহান বলে উঠে..
– জান শাড়ি পড়ে আয়! এটাই তোর ডেয়ার!
সবাই চুপ। কারন সবাই জানে মেহেরিন কখনো শাড়ি পড়ে থাকতে পারবে না।কিন্তু সবাইকে অবাক করে মেহেরিন বাঁকা হেসে বলে…
– ডান!
নিহা আর নিশি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।কারন মেহেরিন পড়বে শাড়ি, কোনোমতে না আজ পর্যন্ত থ্রি পিস পরেও হাঁটতে পারে নি। বরাবর উস্টা খেয়ে পড়ে যেতে নিয়েছে আর এখন শাড়ি! তার মধ্যে ও যেমন মেয়ে শাড়ি পড়বে কিভাবে আর পড়েও থাকবে কি করবে! নিহা শাড়ি পড়াতে পারে না আর পড়েও নি নিশি ও সেম তাহলে!
খানিকক্ষণ বাদে রোদ্দুর’র কাছে একটা শাড়ি ছুড়ে দিয়ে মেহেরিন বলে..
– নে পড়িয়ে দে!
ইহান, রোদ্দুর আর কাব্যকাব্য মেহেরিনের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা লাল রঙের ব্লাউজ আর লং স্কার্ট পরা। তবে পেট দেখা যাচ্ছে না। নিহা আর নিশি বোঝার চেষ্টা করে মেহেরিন এর মাথায় কি ঘুরছে। রোদ্দুর বলে উঠে..
– শাড়ি পড়িয়ে দেবো মানে!
– শাড়ি পড়িয়ে দিবি মানে পড়িয়ে দিবি। আমি কি শাড়ি পড়তে পারি নাকি আর না তোরা বলেছিস নিজে নিজে শাড়ি পড়তে। বলেছিস পড়ে আসতে আর আমি এসে পড়েছি!
নিহা আর নিশি জোরে জোরে হাসতে থাকে। নিহা বলে উঠে..
– একদম ঠিক আছে। আরো দে ডেয়ার!
নিশি বলে উঠে…
– যেমন কর্ম তেমন ফল!
ইহান বলে উঠে..
– কিভাবে কি?
মেহেরিন বলে উঠে..
– তাহলে আমার ডেয়ার বাদ দে। হার মেনে নে!
কাব্য বলে উঠে..
– কাবিহ নেহি! রোদ্দুর, ইউটিউবে শাড়ি কিভাবে পড়ায় সার্চ দে জলদি!
কাব্য এর কথা মতো রোদ্দুর ভিডিও নামায়। অতঃপর তিন জন মিলে শাড়ি পড়াতে শুরু করে। তবে কোনো ভাবেই কিছু হয় না। ইহান শাড়ি ঘুরাতে থাকলে মেহেরিন ও তার সাথে সাথে ঘুরে। এদিকে পেচ দিলে ওদিক দিয়ে খুলে যায়। নাজেহাল অবস্থা একটা। প্রায় এক ঘন্টা খাটাখাটুনি’র পরও কিছু’ই হয় না। ওদিকে নিহা আর নিশি হাসতে হাসতে ক্লান্ত!
অবশেষে হার মেনে ৩ জনেই নিচে বসে পড়ে। মেহেরিন হেসে বলে..
– অবশেষে হার মানলি!
– কে হার মানল আদুরী!
মেহেরিন তাকিয়ে দেখে অভ্র আর নীল। অতঃপর নিহা সব খুলে বলে। সব শুনে নীল হাসতে হাসতে শেষ। অভ্র মুচকি হেসে মেহেরিন এর শাড়ির আঁচলটা ধরে। অতঃপর বলে উঠে..
– মায়ের শাড়ি! পড়বে এটা!
মেহেরিন মাথা নাড়ায়। অতঃপর অভ্র এর নীল মিলে মেহেরিন কে শাড়ি পড়ায়। মেহেরিন এবারও অভ্র’র সাথে সাথে ঘুরে। অতঃপর অভ্র নীল কে বলে মেহেরিন কে ধরে রাখতে। দেখতে দেখতে কিছুক্ষণ এর মধ্যেই শাড়ি পড়ানো শেষ হয়ে যায়। নিহা, নীল, নিশি ইহান ওরা সবাই তাকিয়ে আছে মেহেরিন এর দিকে। দেখতে পুরোই অধরার মতো লাগছে। অভ্র মেহেরিন এর মাথায় হাত রেখে বলে…
– পুরোই অধরার খান!
এর মাঝেই এসে উপস্থিত হয় আনহা। আনহা তাকিয়ে থাকে মেহেরিন’র দিকে। অতঃপর মেহেরিন’র কাছে এসে বলে..
– মাসাআল্লাহ! খুব সুন্দর লাগছে তোমায় আদুরী!
– ধন্যবাদ তবে শাড়ি টা দা পড়িয়ে দিয়েছে।
– স্যার শাড়ি পড়াতেও পারেন!
– হ্যাঁ পারেন তবে সেটা পড়ে রাখার ধৈর্য্য আমার নেই! উফফ হয়রান লাগছে আমার।
অভ্র বলে উঠে..
– আচ্ছা যাও চেঞ্জ করে এসো আর আনহা আজ তুমি এখানে…
মেহেরিন বলে উঠে..
– আরে দা ভুলে গেলে আমিই তো আসতে বলেছিলাম! মিষ্টি ভা.. মানে আপু তুমি এখানো বসো আমি এক্ষুনি চেঞ্জ করে আসছি!
বলেই মেহেরিন দ্রুত চলে যায়। এদিকে আনহা’র কোনোদিকে খেয়াল নেই। তার খেয়াল শুধু অভ্র’র দিকে। মনে মনে বলতে থাকে..
– ইশ এই ছেলেটা নাকি শাড়ি পড়াতে পারে,ভালোই হলো বিয়ের পর আমাকে পরিয়ে দেবো!
বলেই মুচকি মুচকি হাসতে লাগে!
#চলবে….