#i_m_mafia_lover
#part_23
#sabiha_kh
আমার কিউট কিউট পাঠক পাঠিকারা আজ গল্প চেয়েছিলো। কষ্ট হলো তাদের চাওয়াটা রাখতে গল্প দিলাম।।😊😊😊
ইসান- যাও এটা নিয়ে গিয়ে রেখে দাও।। (বলে ইসান চলে গেলো)
ইমার চোখে পানি চলে আসে।।
”
”
”
”
ইসমা ঘুম থেকে উঠলে বাইরে ড্রইং রুমে আসতে চায়। কিম্তু ইমা মানা করে।।।
ইমা- মামুনি আগে তৈরি হয়ে নাও তারপর যাবে।।
ইসমা- আচ্ছা।।
ইমা সেই পারসেল করা বক্স খুলে ড্রেস টা বের করে। ড্রেসটা পিংক রংএর গ্রাউন ফ্রগ অনেক সুন্দর৷।।ইমা ইসমাকে ড্রেস পরিয়ে দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিলো।।
ইসমা- আমাকে কেমন লাগছে??( আনন্দিত সুরে)
ইমা ইসমার গালে হাত দিয়ে বলে – একদম পরির মতো লাগছে মামুনি।।। আচ্ছা চলো আমরা যাই।
ইমা ইসমা কে নিয়ে বাইরে আসে দেখে সব লাইট বন্ধ ঘর অন্ধকার ঘুটঘুটে।৷
ইসমা- আম্মু লাইট বন্ধ কেন??( ভীত সুরে)
বলতেই রুমের সব লাইট জ্বলে উঠে এবং একসাথে সবাই happy birthday বলে উঠে।। ইসমা খুব খুশি হয়।
ইসান ইসমার কাছে আসে এবং ইসমাকে কোলে তুলে নেই।
ইসান- মামুনি তোমার ড্রেস পছন্দ হয়েছে??
ইসমা- হম হম খুব সুন্দর thank you বন্ধু।। (হেসে)
ইসান ইসমার গালে চুমু দিয়ে বললো- লক্ষি মেয়ে।। চলো মামুনি কেক কাটবে !!! ইমা ও আসো৷।। (ইমার দিকে তাকিয়ে।)
ইসান ইসমাকে কেক এর সামনে নিয়ে আসে।। ইসমা কেক দেখে খুব খুশি হয়।।।
ইসান- কেক ভালো লেগেছে???
ইসমা- হমম খুব সুন্দর ।
ইসান- কেক টা তোমার আম্মু নিজের হাতে বানিয়েছে।। ( ইমা ইসমার দিকে তাকায়)
ইসান ইসমাকে দাড়া করিয়ে দিলে। ইসমা গিয়ে তার আম্মুর হাত ধরে বলে- thank you আম্মু কেকটা অনেক সুন্দর ।।
ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবে-
অতীত,,,
ইসান- ইমা কেক এর অডার দিবো ইসনার বয়স টা,,,,
বলতেই ইমা বললো- তার দরকার নেই আমি বাড়িতেই কেক বানাবো।। গতকাল গিয়ে সব কিনে নিয়ে এসেছি। মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারলাম না।। সব তো তুমিই করলে।। তাই ঠিক করেছি কেকটা আমি বানাবো।।
ইসান- ওকে তোমার যেমন ইচ্ছা!!! (মুচকি হেসে)।
বর্তমান,,,,
ইসমা- আম্মু,,,,!!! (ইমা ইসামার দিকে তাকায়) চলো আমরা কেক কাটি।। (বলে ইনার হাত ধরে নিয়ে আসো।।)
জনি- ওকে আমি তাহলে সবার ছবি তুলি।।
ইসমা- আম্মু আমার হাত ধরো।। ইমা ইসমার হাত ধরলো ইসমা ইসানের দিকে তাকিয়ে বললো- বন্ধু তুমিও ধরো।।। (ইসান ইমার দিকে তাকালো।।) বন্ধু হাত ধরো।। ইসান আলতো ভাবে ইমার হাতের উপর হাত রাখে ইমা ইসানের দিকে তাকায়৷ ইসানও ইমার দিকে তাকায়।।
জনি- রেডি 1,2,3 ।। বলেই ছবি ক্লিক করে।।
তারপর ইসমা ইমাকে ইসানকে কেক খাইয়ে দেয়।। ইসান, ইমা ইসমাকে খাইয়ে দেয়।। এগুলো সব ছবি জনি খুব সুন্দর করে তুলে।।
তারপর সবাই খুব মজা করে আনন্দ করতে লাগে।।।
Time skip
আকাশ- স্যার আমি আর জনি যাচ্ছি আপনি আসুন।।
ইসান- ওকে যাও।।( আকাশ জনি বিদায় নিয়ে চলে গেলো)
ইসান ইসমাকে কোলে নিয়ে বললো-
ইসান- এখন যেতে হবে আমাকে।।
ইসমা- তুমি খুব ভালো বন্ধু।। তুমি একদম আমার বাবার মতো।।। আমাকে বাবার মতো করে আদর করো ভালোবাসো।। (মুচকি হেসে)
ইসান- তুমি এতো কিউট এতো ভালো একটা মেয়ে যে তোমাকে ভালো নাবেসে থাকা যাই!!! (এই কথা শুনে ইসমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো) কি হলো তুমি খারাপ করলে কেন মামুনি??
ইসমা মাথা,নিচু করে ধীর সুরে বললো- আমি যদি সত্যি ভালো মেয়ে হয় তাহলে আমাকে দাদু কেন ভালোবাসে না।।
ইমা- ইসমা!! (একটু জোরে) ( ইসমা ইমার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে কান্না,করতে লাগে।। এবং ইসানের কোল থেকে নেমে দৌড়ে নিজের রুমে চলে যাই।।)
ইসান ইমার দিকে বিস্মিত চোখে তাকিয়ে বলে- কি হয়েছে ওকে বকা দিলে কেন??( ইমা কনো কথা বললো না) কি সমস্যা ইমা।। ইসমা এই কথা কেন বললো???
ইমা – ইসান প্লিজ সব কথা না শুনাই ভালো।। (একটু বিরক্তি নিয়ে)
ইসান- ইমা সেদিন গাড়িতেও তোমার শশুরের,কথা বলতে চেয়ে বললে না৷৷ কেন কি সমস্যা ??
ইমা কিছুখন চুপ করে থেকে বললো- এতো কথা বলতে পারবো না শুধু এটুকু বলবো।। আমার শশুর মনে করে আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য আমি দায়ি। আমার কারণেই অভির মৃত্যু হয়েছে।। আর এই মিথ্যা অপবাদ মাথা থেকে মুছতেই আমার এই শহরে আসা।।। বুঝেছো।।।
ইসান- তোমার শশুর বাড়ি কোথায়??
ইমা মাথা নিচু করে ধীর সুরে বললো- মেহের পুর।। যেই শহর ৬ বছর আগে ছেড়ে দিয়েছিলাম আর কয়দিন পর ৭ বছর পুরা হবে।। (ইসান আর একটা কথাও বললো না।।।) ইসমার জন্য আজ অনেক কিছু করলে। thank you so much ইসান।।.
ইসান একটু গম্ভীর সুরে বললো- আমি আসি ইমা।। (বলে ইসান আর এক মিনিট ও দাড়ালো না চলে গেলো।)
ইসান নিচে আসলে আকাশ দেখে ইসান আসছে৷ আকাশ গাড়ির দরজা খুলে দেয় ইসান গাড়িতে উঠে বসে।।।
ইসান- চলো জনি।৷
জনি যেতে লাগে।৷ এবং বলে- আজ দিনটা ভালোই ছিলো তাইনা আকাশ।।
আকাশ- হমম৷ অনেক মজা হয়েছে৷৷( মুচকি হেসে)
আকাশ ঘার ঘুরিয়ে ইসানের দিকে তাকায় দেখে ইসান গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে।। আকাশ জনিকে ঠেলা দিয়ে দেখালো।। জনি দেখে মুখ চিপে চিপে হাসে এবং ফিস ফিস করে আকাশকে বলে- স্যার ম্যাডামের কথা ভাবছে।।
আকাশ- হমম ঠিক।। (মুচকি হেসে)
তারা চলে আসে বাসায়।।। আকাশ গাড়ি থেকে বের হয়ে দরজা খুলার আগেই ইসান গাড়ির দরজা খুলে বের হয়। এবং ভিতরে চলে যাই।।
ইসান ভিতরে আসলে করিম ইসানকে সালাম দিয়ে বলে- স্যার!! বড় স্যার এসেছেন।। হল রুমে আপনার অপেক্ষা করছেন।।।
ইসান- ঠিকাছে আপনি যান।।। (করিম চলে গেলো ইসান হল রুমে যেতেই দেখে তার বাবা বসে পেপার পরছে।।।) বাবা!!!! (জহির মাথা তুলে ইসানের দিকে তাকায়।) তুমি এখানে!!! (বিস্মিত চোখে)
জহির- কেন আসতে পারিনা!!!
ইসান- না সেটা বলিনি।। বলছি যে কনো কাজে এসেছো??
জহির- না এমনিই তোমার সাথে দেখা,করতে। সেদিন তোমাকে বলেছিলাম ডিনার করতে বাসায় আসতে কিন্তু তুমি আসোনি।।
ইসান- আমি ব্যাস্ত ছিলাম।।
জহির- হসপিটাল টা তো হয়ে গেছে এখন উদ্বোধন করতে হবে।। তো কবে করা যাই বলো তো!!!
ইসান- তুমি তোমার সময় আগে বের করো বাবা।।
জহির- মানে!!! (বিস্মিত চোখে)
ইসান- ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি তোমার ব্যাস্ততা।। আমাকে কতোটুকু সময় দিয়েছো বাবা?? আমি কেমন তৈরি হয়েছি তুমি দেখেছো কখনো?? মাকে পাইনি তুমি থেকেও নেই।। কোটি কোটি টাকা দিয়ে আমাকে আলিসানে রেখেছো।। তোমার ছেলে মানুষ হচ্ছে কিনা কখনো খোজ রেখেছো?? বাবা তুমি শুধু নামেই আমার বাবা।। আসলে তুমি কখনো আমার বাবা হয়ে উঠতে পারো নি।। তুমি জহির চৌধুরী DW কম্পানির চেয়ারম্যান।। আর এটাই তোমার আসল পরিচয়।।।।। চলে যাও বাবা।। আমার ভালো লাগছে না।। চলে এখান থেকে।।। (রেগে বলে চলে গেলো ইসান নিজের রুমে)
জহির চৌধুরী একটা কথাও বললো না। তার শরীর যেন রাগে ফেটে যাচ্ছিলো।। খবরের পেপারটা ঠাস করে রেখে দিয়ে উঠে চলে গেলো।।।।
এভাবে আরো দুই মাস কেটে গেলো।।। দুই মাসে ইসান ইমার সম্পর্ক টা আগের চেয়ে আরো ভালো হলো।।। ইসান ইমাকে আরো বেশি ভালোবাসতে লাগে কিন্তু ইসান সেটা প্রকাশ করার সাহস করতে পারেনা।।।
দুই মাস পর,,,,,
ইমা আজ খুব খুশি আজ তার পরিক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে।।। সার্জন হওয়ার সপ্ন তার পুরণ হয়েছে আজ৷ ইমা যেই হসপিটালে চাকরি করে সেই হসপিটালের কলিক রা ইমার সার্জন হওয়ার খুশিতে ছোট একটা পার্টি রেখেছে।৷
ইমা ইসানকে সাথে নিয়ে যেতে চায় সেই পার্টিতে তাই ইসানকে কল করে৷
ইসান- হমম ইমা বলো।।
ইমা- তুমি ব্যাস্ত আছো??
ইসান- না বলো।
ইমা- আজ সন্ধ্যায় একটা পার্টি আছে।
ইসান- কিসের পার্টি???
ইমা- আমার সার্জন হওয়ার উপলক্ষে আমার কলিক রা সন্ধ্যায় পার্টি রেখেছে।৷ তুমি যাবে আমার সাথে??
ইসান- ওকে যাবো।। তুমি তৈরি থেকো সন্ধ্যায় আমি তোমার বাসায় আসবো তোমাকে নিতে।।
ইমা – ওকে।।। (বলে ফোন কেটে দিলো)
Time skip
সন্ধ্যায় ইসান চলে আসে গাড়ি নিয়ে।। এবং গাড়িতে বসেই ইমাকে কল করে।। ইমা কল কেটে দেয়।। ইসান বুঝে ইমা হয়তো আসছে।।
ইমা- ইসমা মামুনি আমি এখন আসি তুমি রোকসানা আন্টির সাথে খেলা করো।।
ইসমা- আচ্ছা আম্মু তুমি দেখে শুনে যেও।। আর তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।।( খিল খিল করে হেসে বলে)
ইমা ইসমার গালে হাত দিয়ে৷ আদর করে মুচকি হেসে বলে- Thank you কলিজাটা।। ওকে আসি রোকসানা আসি।।
বলে ইমা চলে আসে নিচে।। ইসান গাড়ির সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে ফোন টিপছে। এমন ইসান পায়ের হিলের ঠক ঠক শব্দ পেয়ে ঘুরে তাকায় দেখে ইমা আসছে।।ইসান অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে ইমার দিকে।
ইমা- কি হয়েছে??
ইসান- ডিফারেন্ট দেখাচ্ছো good ডিফারেন্ট৷।। সিম্পল তবে সুন্দর।। ( মুচকি হেসে)
ইমা- thank you.. এখন চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে।। (মুচকি হেসে)
ইসান, ইমা দুইজনাই গাড়িতে উঠে বসে এবং চলে যাই পার্টিতে।। পার্টিতে সবাই ইমাকে অভিনন্দন জানায়।। সবাই খুব মজা করে।। ইমা সবার সাথে ইসানকে পরিচয়,করিয়ে দেয়।।। ইমার একজন কলিক বলে উঠে-
– হ্যালো আমি সাগর।। সবাই আমাকে কিন্তু ভালো করে চিনেন জানেন তো আমি কেমন মজার মানুষ।। কিন্তু এই পার্টিটা আমার কাছে বোরিং লাগছে।। তাই ভেবেছি সবাই মিলে খেললে কেমন হয়??
সবাই- সেই মজা হবে।।
সাগর- আমি অলরেডি খেলা ঠিক করেছি।। খেলাটার মেন জিনিস হলো স্টিক চকলেট নিয়ে। ওকে আমি খেলার নিয়ম বলছি খেলাটা দুইজন মিলে খেলতে হয় মানে জোরাই জোরাই।। স্টিক চকলেটের দুই মাথা থেকে দুইজন খেতে খেতে কাছে আসতে হবে সব থেকে ছোট টুকরা যার হবে৷। যেই জুটি জিতবে তাকে এই কিং, কুইন এর মুকুট পরানো হবে।।
ইমা- আরে এতো বাচ্চাদের মুকুট।। (হেসে)
সাগর- তাতেকি। দেখো কতো সুন্দর মুকুট দুইটা৷। আচ্ছা আমি জুটি ঠিক করে দিবো।। (সাগর পাঁচ টা জুটি ঠিক করলো।।। এবং ইমা ইসান একসাথে খেলবে সেটাও বললো)
ইমা ইসানের দিকে তাকায়।। ইসান ইমার দিকে।।
ইমা- আমি খেলবো না। (একটু জোরে)
সাগর- না তা চলবে না তোমার জন্য এই পার্টি আর তুমি খেলবে না এটা হবে না এটা হবে না ইমা।। খেলতে হবে আমরা কিছু জানিনা।।।
সবাই বলতে লাগে- খেলো ইমা।৷ খেলো ইমা প্লিজ খেলো মজা হবে।।।
ইমা- ঠিকাছে ঠিকাছে।।
সাগর- এইতো ভালো মেয়ে।। ওকে খেলার নিয়ম তো বলেছি এখন আসলো কথা বলি। চকলেটের স্টিক টা মাজখান থেকে ভেঙে গেলে সে জুটিকে বাতিল করে দেওয়া হবে। তারপর নিজের পাটনারকে টাচ করা যাবেনা।। টাচ করলে খেলা বাতিল।। ওকে সবাই তৈরি হয়ে নিন। চলে আসুন সামনে।।
সবাই জোরাই জোরাই দাড়া হয়।। ইসান ইমাও দাড়া হয়৷ সাগর সবাইকে একটা করে স্টিক চকলেট দেয়।। সবাই স্টিক চকলেটের দুইপাশ দুইজন মুখে নিয়ে সামনা সামনি দাড়ায়।।
সাগর স্টার্ট বললে সবাই চকলেট খেতে খেতে কাছে আসতে লাগে। ইসান ইমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ইমাও ইসানের চোখের দিকে তাকিয়ে আসতে আসতে চকলেট খেতে খেতে কাছে আসে। এর মধ্যে দুইজন বাতিল হয়ে যাই।। আরো একজন বাতিল হয়ে যাই৷ খেলছে ইসান ইমা এবং আরো একটা জুটি।৷ ইসানের কনো খেয়ালি নেই।।। সে ইমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে চকলেট খেতে খেতে কাছে আসে। যখন ইসানের নিশ্বাস ইমার ঠোঁটের উপর পরতে লাগে ইমা খাওয়া বন্ধ করে দেয় ইমার হার্ডবিট দ্রুত হয়ে যাই।।।৷ ইসান ইমার ঠোঁটের আরেকটু কাছে আসতেই ইমা সরে যাই।।।
ইসান চকলেটের স্টিক মুখ থেকে হাতে নেই।।
সাগর ইসানের সামনে এসে দারায় এবং বলে- দেখি মিস্টার ইসান।।( ইসান সাগরের দিকে হাত বারিয়ে দেকায় স্টিক চকলেট কতো টুকু বেচেছে।।) সরি
মিস্টার ইসান আরেকটু খেলেই হয়তো ফাস্ট হয়ে যেতেন।
ইসান- ti’s ok… ব্যাপার না। (বলে ঘুরে তাকাতেই দেখে ইমা নেই।।)
ইসান এদিকে ওদিক তাকায় কথাও ইমাকে দেখেনা।। ইসান একজন মহিলাকে জিজ্ঞেস করে মহিলাটি বলে ইমাকে বাইরে যেতে দেখেছে।।৷ ইসান বাইরে যাই দেখে ইমা বসে আছে হাতে ওয়াইনের বোতল।।।ইসান আসতে আসতে গিয়ে ইমার পাশে বসে ইমা চমকে ইসানের দিকে তাকায়।।
ইসান মাথা নিচু করে আসতে বলে- I am sorry.
ইমা কনো কথা বলে না ঢকঢক করে ওয়াইন পান করে।।
ইসান- কি করছো ইমা নেশা ধরে যাবে!!! তুমি তো কখনো ওয়াইন খাও নি তাহলে কেন এখন খাচ্ছো??
ইমা এবারো কনো কথা বললো না।। ইসান ইমার হাত থেকে ওয়াইনের বোতল নিতে গেলে ইমা ইসানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।।
ইমা- কাছে আসবে না।। (রেগে)
বলে আবার ওয়াইন খেতে লাগে।।।
ইসান- এমন কেন করছো ইমা।। ওটা শুধু মাত্র একটা খেলা ছিলো।।।
ইমা ইসানের কলার টেনে ধরে রাগান্বিত সুরে বললো- তুমি জানো জীবনের সব চেয়ে কঠিন সময় কখন পার করেছি??আমার বাবা, মা যখন মারা যাই।।। এগুলোর সব কিছুর পিছনে তুমি দায়ি ইসান।। (ইসান ইমার কথা শুনে অবাক হয়ে যাই।।)
ইসান- তুমি এগুলো কি বলছো ইমা?? আমি কি করেছি?? ( ইমা ইসানের কলার ছেড়ে দিয়ে আবার ওয়াইন খেতে লাগে।। ইসান এবার রেগে ইমার মুখ থেকে ওয়াইনের বতোল টান দিয়ে নিয়ে ফেলে দেয়।।)
ইমা- ইসান!!! (রেগে)
ইসান ইমার হাতের বাজু ধরে একটু জোরে বললো- কি হয়েছে তোমার ইমা!!!
ইমা- এতো বছর পর কেন এসেছো তুৃমি!! আমাকে কষ্ট দিতে?? এতো কষ্ট দিয়েছো শান্তি পাওনি তুমি?? (ইমার চোখে থেকে পানি টপ টপ করে পরতে লাগে)
ইসান- ইমা তুমি এখন হুশে নেই।। বাড়ি চলো।।
বলে ইসান উঠতে লাগলে ইমা ইসানে শার্ট ধরে টান দিয়ে বসিয়ে দেয় ।।। ইমা উঠে ইসানের চিবুক ধরে
ইসানের ঠোঁটের কাছে আসে।।।ইমা ইসানের চোখের দিকে একবার ঠোঁটের দিকে একবার তাকায এবং ফিসফিস করে বলে-
ইমা- আজো তোমার এই ঘন নিশ্বাস আমার বুকের ভিতরটা কেপে তুলে ইসান।। তুমি বুঝো সেটা!! (ইমার এভাবে কাছে আসা ইসানের বুকের ভিতর টাকে উতালপাতাল করে দিচ্ছে।। ইসান অপলক দৃষ্টিতে ইমার দিকে তাকিয়ে থাকে৷
ইমা- তুমি বুঝবে না ইসান।। I hate you ইসান।। I hate,,,,,, (মাতাল সুরে)
ইসান দেখে ইমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে আসছে
ইসান ইমার চোখে পানি মুছতে গেলে ইমা ঢোলে ইসানের বুকের উপর পরে যাই৷৷ ইসান একদম স্তব্ধ হয়ে যাই।। বুকের ভিতর যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে ইসানের।। ইসানের চোখে পানি টলটল করতে লাগে।। ইসান কাপা দুইহাত দিয়ে ইমাকে বুকের সাথে জোরিয়ে ধরে চোখ বন্ধ করলো চোখ থেকে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পরতে লাগে।। ইসান গভীর একটা শ্বাস ছেড়ে বলে-
ইসান- I love you ইমা।।। I love you so much.. আজো আমি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি ইমা।। আর বাসবো সারা জীবন।। তোমার প্রতি আমার এই ভালোবাসা কখনোই শেষ হবে না।। কনো দিনো না। তুমি আমাকে যতোই ঘৃণা করো আমি তোমাকে কখনো আমার জীবন থেকে মুছে ফেলতে পারবো না।।। তোমাকে ভালোবাসি আর ভালো বাসবো।। ( আবেগি সুরে কান্না করে বললো)
ইসান ইমাকে পাতাল করে কোলে তুলে নিয়ে গাড়িতে বসালো। এবং পার্টিতে এসে সবার কাছ থেকে বিদায় নিলো এবং বললো-
ইসান- সরি এভরি ওয়ান ইমা আমার সাথে দুষ্টামি করতে গিয়ে বেশি ড্রিংক করে ফেলেছে।৷ এখন ও হুশে নেই।। তাই আসতে পারলো না।। আপনারা এনজয় করুন।৷
বলে ইসান পার্টি থেকে বের হয়ে গাড়িতে এসে বসে এবং ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমার মুখের উপর চুল পরে আছে৷ ইসান ইমার মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে ইমার কানের পিছনে গুজে দেয় এবং আলতো করে ইমার গালে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বলে-
ইসান- তোমাকে ৬ টা বছর খুব মিস করেছি ইমা।।। তোমার ছাড়া ছাড়ির হওয়ার ৭ বছর পূর্ণ হয়েছে দুইমাস আগে।।। তুমি জানো না ৬ বছর আমি কি ভাবে পার করেছি ইমা।।। (ইসানের চোখের কোনায় পানি আসে)
ইসান চোখ মুছে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে যেতে লাগে অর্ধেক রাস্তা না যেতেই হঠাৎ জোরে বৃষ্টি নামে।৷ ইসান গাড়ি এক পাশে পার্ক করে।।
ইসান বিরক্তি নিয়ে বললো- এটা বৃষ্টি হওয়ার সময় হলো।। উফফ,,,,
বলতেই বিদ্যুৎ চমকে জোরে মেঘ গর্জন দিয়ে উঠে৷ ইসান সাথে সাথে দুই হাত দিয়ে ইমার কান চেপে ধরে৷ যেন ইমার ঘুম ভেঙে না যাই এবং ইমা ভয় না পায়৷
ইসান ইমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে-
ইসান- আমার আজো মনে আছে তুমি কেমন ভয় পেয়েছিলে আকাশ গর্জে উঠাতে।।
ইমা নরে উঠলে ইসান ইমার কান ছেড়ে দেয়৷ এবং সোজা হয়ে বসে।।
বৃষ্টি একটু কমলে ইসান গাড়ি টান দিয়ে চলে যাই ইমার বাড়িতে।।
ইসান ইমাকে ডাকলে ইমা কনো সারা দেয় না।। ইসান আর বুদ্ধি না পেয়ে ইমাকে পাতাল করো কোলে তুলে লিফ্টে উঠে এবং ৭ তলায় আসে।।। দরজার কলিংবেল বাজাতেই রোকসানা দরজা খুলে দেয়।। রোকসানা দেখে ইসান ইমাকে পাতাল করে কোলে নিয়ে আছে।।।
রোকসানা- কি হয়েছে স্যার ম্যাডামের??( একটু উত্তেজিত সুরে)
ইসান- কিছু না।। একটু ড্রিংক করে পেলেছে।।।( বলে ইমাকে নিয়ে গিয়ে ইমার রুমে শুইয়ে দেয়।।)
রোকসানা ইমার পায়ের হিল খুলে দেয় এবং ইসান ইমার গায়ে কম্বল টেনে দেয়।।।
ইসান রুম থেকে বাইরে আসে এবং রোকসানাকে ইসমার কথা জিজ্ঞেস করে।।
রোকসানা- ইসমা ঘুমিয়ে পরেছে স্যার।।
ইসান- ওকে আমি একটু ইসমাকে দেখে আসি।।
বলে ইসমার রুমে গেলো দেখে পুতুলের মতো করে শুয়ে ঘুমাচ্ছে ইসমা।। ইসান মুচকি হেসে ইসমার মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে বের হয়ে আসে রুম থেকে৷৷
ইসান- আমি আসি।।
রোকসানা- ওকে স্যার।।। ( ইসান চলে গেলো৷।)
#i_m_mafia_lover
#part_24
#sabiha_kh
পরের দিন সকালে,,,,
ইমার ফোন বেজে উঠে।। ফোনের শব্দে ইমার ঘুম ভাঙে।।ফোন হাতে নিয়ে ঘুম ঘুম চোখেই কোন রকম রিসিভ করে কানে ধরে।
ইমা- হ্যালো!!
– ম্যাডাম কখন আসবেন আপনার রুগী রা অপেক্ষা করছে।।
ইমা এই কথা শুনে একটু অবাক হয়।।। সে চোখ খুলে মোবাইলের স্ক্রিনে দেখে ১১ টা বাজে।। ইমা বিষফরিত চোখে তাকিয়ে বললো- কি?? ১১ টা।। ও গড কতো লেট হয়ে গেছে।। ইমা ফোন কেটে দিয়ে তারাতারি উঠে ওয়াস রুমে যাই।। এবং ফ্রেস হতেই হঠাৎ গতকাল রাতের কথা মনে হয়।।
ইমা চিন্তিত সুরে বলে- কাল আমি নেশা করেছিলাম।। তারপর কি করেছি??? ওকে পরে ভাবি আগে হসপিটালে যেতে হবে।।।
ইমা তারাতারি তৈরি হয়ে চলে গেলো হসপিটালে।।
Time skip
ইসান- আকাশ এই ফাইলটা বাবার কাছে পৌঁছে দিয়ো।।
আকাশ- ওকে স্যার।।। ( আকাশ চলে গেলো)
ইসান পকেট থেকে ফোন বের করে ইমার নাম্বারে কল করবে কিনা ভাবে।।।
ইসান- না থাক।। এখন কল না করি।।।( মনে মনে বললো)
এমন সময় জনি আসে।।
জনি- স্যার মিটিং আছে কিছুখন পর।।
ইসান- ঠিকাছে।।। জনি সব ব্যাবস্থা করেছো??
জনি- জি স্যার সব কমপ্লিট।।। (হেসে)
ইসান- ওকে।। (হেসে)
এদিকে ইমা তার চেম্বারে বসে মনে করার চেষ্টা করে।।।
ইমা- আমি তো ওয়াইনের বোতল নিয়ে বাইরে আসি। এবং খেতে শুরু করি তারপর ইসান আসে আমি ইসানের কথার জবাব দিয়না।। তারপর,,,,,,
ভাবতে ভাবতে ইমার সব মনে পরে যাই। ইমা নিজের মাথায় নিজে চাটি মেরে বললো- ইমা এটা তুই কি করলি!!! উফফ,,,,,, এখন আমি ইসানের সামনে কি ভাবে দাড়াবো?? ওরে কি একটা ফোন দিবো!!! ও,,,,, গড,,,,, ওকে ইসান কে একটা কল দিয়।।
ইমা ইসানকে কল করে কিন্তু ইসান ধরে না।। ইমা আরো কয়েকবার ট্রাই করে কিন্তু ইসান ফোন রিসিভ করেনা।।
ইমা- ইসান রাগ করলো নাকি আমার উপরে?? আমি কেন এমন করতে গেলাম ধেত!!!! ( একটু রেগে)
Time skip
ইমা বসে কফি পান করছে এবং কলিকদের সাথে গল্প করছে।। ইমার চোখ বারবার ফোনের দিকে যাচ্ছিলো।। একজন কলিক ইমাকে ফোনের দিকে বারবার তাকাতে দেখে বললো- কি হয়েছে কেও কল করবে??
ইমা- না আসলে আমি বের হবো একটু পর তাই সময় দেখছিলাম। ( দাঁত কেলিয়ে বললো)
এদিকে ইসান মিটিং শেষ করে বের হয়ে ফোন অন করতেই দেখে ইমার ৫ টা মিসকল।।
ইসান – আমার কথা তাহলে মনে পরলো ইমার।।। (মুচকি হেসে) ইসান ইমাকে কল করলো।।
ইমার ফোন বেজে উঠতেই ইমা তারাতারি ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করে কানে ধরে এবং সেখান উঠে একটু সাইডে আসে।।।
ইমা- কতো বার কল করেছি!!
ইসান- মিটিং এ ছিলাম।। বলো।।
ইমা একটু সংকোচ নিয়ে বলে- আ,,, আসলে,,,, গত কালকের,,,
বলতেই ইসান বললো- দেখা করে কথা বলি!!
ইমা- ওকে। কথায় আসবো বলো।। আমি অবশ্য এখন হসপিটাল থেকে বের হবো।।
ইসান- বের হতে হবে না। একটু অপেক্ষা করো আমি আসছি।।।
ইমা- ওকে৷
Time skip
ইসান গাড়ি নিয়ে চলে আসে এবং ইমাকে কল করে ইমা ইসানের কল পেয়ে হসপিটাল থেকে বের হয়ে দেখে ইসান গাড়ির সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে আছে।। ইমা হেটে ইসানের কাছে আসে।।
ইমা- হাই।।।
ইসান- হাই।।। আসে চলো যাওয়া যাক।।
বলে গাড়ির দরজা খুলে দিলে ইমা গাড়িতে উঠে বসে।। ইসান ও গিয়ে গাড়িতে বসে এবং দুইজন চলে যাই।।
ইমা- ইসান গত কাল আমি তোমার সাথে,,,,
বলতেই ইসান বললো- মানুষ সত্যি বলে কখন জানো?? যখন সে নেশায় থাকে।।
ইমা- এমন কিছুই না।। (একটু জোর গলায়)
ইসান কনো কথা না বলে মুচকি একটা হাসি দিয়ে ড্রাইভ করতে থাকে।
কিছুখন পর,,,
ইসান গাড়ি থামালো।।
ইমা- এটা কোন জায়গা??
ইসান- এসো আমার সাথে।। (বলে ইসান গাড়ি থেকে বের হয় ইমাও বের হয়।।)
ইসান ইমা কিছু দুর যেতেই ইমা দেখে সামনে অনেকটা দুরে শহরের সবচেয়ে বড় ব্রিজ।।। ব্রিজের মাথার উপরে বিকালে সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে আছে।। ব্রিজ টা দুর থেকে ছোট দেখালেও বেশ সুন্দর লাগছে।।। প্রকৃতির ঠান্ডা বাতাস যেন শরীর কে সতেজ করে দিচ্ছে।। ইমা,মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতির সুন্দর্য টা উপভোগ করে এবং তার ঠোঁটের ফাকে এক মন মাতানো হাসি ঝলক দিয়ে উঠে।। ইসান অবাক হয়ে ইমার মুখের মিষ্টি হাসিটা দেখতে থাকে।।। ইমা ইসানের দিকে তাকালে ইসান চোখ সরিয়ে নেই।৷
ইমা- জায়গাটা খুব সুন্দর ইসান।।। (হেসে)
ইসান- সন্ধ্যা হলে দেখতে আরো সুন্দর লাগে।। যখন ব্রিজের লাইট গুলো জ্বলে উঠে এবং ব্রিজের উপর দিয়ে চলা গাড়ির লাইট গুলো জ্বলে এক অন্যরকম সুন্দর দেখায় তখন।। চলো ওখানে গিয়ে বসি।।
ইমা ইসান গিয়ে বসলো।।। কেও কনো কথা বলছে না। দুজনাই চুপ চাপ প্রকৃতির সুন্দোর্য দেখছে।। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো।।। ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভীত হয়ে বললো
ইমা- গতকাল যা হয়েছে আল্লাহ জানে ইসান আমাকে কি বলবে!!! এখনো একটা কথাও বললো না।। সন্ধ্যা নেমে আসলো।।। আমিই কি আগে বলবো!!!
ভাবতেই ইসান বলে উঠলো-
ইসান – দেখেছো ইমা??( ইসারা করে ব্রিজের দিকে দেখালো।।)
ইমা মুচকি হেসে- সত্যি খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।।। ইসান তুমি,,,,
বলতেই ইসান বললো,-
ইসান- ইমা তুমি কি জানো আজ কি??
ইমা- আজ,,,,,,, আজ,,,,, আজ কি?? (বিস্মিত চোখে)
ইসান মুচকি হেসে বললো- উপরে আকাশের দিকে তাকাও।।
ইমা ইসানের কথা মতো উপরে আকাশের দিকে তাকায় দেখে আতসবাজি ফুটছে।।
ইমা- ওয়াও কি সুন্দর লাছে।।। (অবাক হয়ে আনন্দিত সুরে বললো)
হঠাৎ ইমা দেখে আতসবাজি গুলো ফুটতে ফুটতে HAPPY BIRTHDAY EMA লিখা ভেসে উঠেছে।।।। ইমা দেখে হতবাক হয়ে যাই এবং ইসানের দিকে তাকায়।।
ইসান- happy birthday ইমা।।। (হেসে)
ইমার চোখে পানি চলে আসে।। ইমা হাসতে হাসতে চোখ মুছে আর বলে- আজ আমার জন্মদিন আর আমারি মনে নেই!!
ইসান- এখন চলো তোমার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।।।
ইমা একটু অবাক হয়ে বলে- আমার জন্য!!
ইসান- হমম।। (ইসান ইমার হাত ধরলে ইমা ইসানের হাতের দিকে তাকায়।।) চলো আমার সাথে।। (হেসে)
বলে ইমাকে নিয়ে দৌড়ে যেতে লাগে।
ইমা- আসতে ইসান পরে যাবো তো!! (হাসতে হাসতে বলে)
ইসান- কিচ্ছু হবে না চলো।।। ( হেসে)
ইসান ইমাকে নিয়ে কিছুদুর এসে থেমে যাই।। ইমা হাফাতে হাফাতে সামনে তাকাতেই দেখে ইসমা রোকসানা জনি আকাশ সবাই দাড়িয়ে আছে।। তাদের পিছনে পিকনিক স্পষ্ট এর মতো সাজানো।।
ইমা- এগুলো কি হচ্ছে???( হতবাক হয়ে)
ইসমা আম্মু বলে দৌড়ে এসে ইমাকে জোরিয়ে ধরে এবং বলে
ইসমা- happy birthday আম্মু।।।
ইমা- thank you কলিজাটা।।। (হেসে)
তারপর রোকসানা জনি আকাশ ইমাকে উইস করে।।
ইমা আনন্দিত সুরে বললো – এতো সব কখন করলে তোমরা?? আমাকে বুঝতেই দিলে না।। রোকসানা তুমি,,,,
রোকসানা- সরি ম্যাডাম মানা ছিলো।। ( মুচকি হেসে)
ইসান- আচ্ছা আচ্ছা এখন এগুলো কথা থাক।। ইমা এরা সবাই মিলে তোমাকে কিছু গিফ্ট করতে চায়।।
ইমা- গিফ্ট?? কি গিফ্ট তারাতারি দাও।। আর অপেক্ষা করতে পারছি না।। তোমরা যা করলে আজকে!!! ( এক্সাইডেট সুরে হেসে বললো)
জনি আকাশ গিয়ে কাপড়ে মোরানো কিছু একটা ধরে নিয়ে আসলো।।
ইমা- এটা কি এতো বড়!! ( অবাক হয়ে)
জনি আকাশ কাপড়ের বাধন টা খুলে দিয়ে কাপড় সরাতেই ইমা দেখে তারই ডাক্তার পোশাক পড়া খুব সুন্দর একটা পেইন্টিং।।
ইমা- ও মাই গড।। ( মুখে হাত দিয়ে অবাক হয়ে)
জনি- ম্যাডাম আজ আপনার জন্মদিন এবং আপনি এখন একজন সার্জন হয়েছেন৷।। আমরা দুইটাই একসাথে সেলিব্রেট করতে চেয়েছি।। তাই গিফ্ট হিসেবে আমরা এটাই বেস্ট গিফ্ট মনে করেছি।।। (খুশি হয়ে)
ইমা- তোমাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।। এটা জীবনের বেষ্ট গিফ্ট সত্যি।।। thank you so much …
ইসান ইমাকে এতো খুশি হতে দেখে মনে মনে নিজেকে বাহবা দিয়ে বললো- you are great ইসান৷।
ইসান – ওকে ওকে চলো খবার বানাতে হবে না!!
ইমা- তুমি রান্না করবে?? (একটা ভ্রু উচু করে বললো)
ইসান ও একটা ভ্রু উচু করে বললো – কেন পারিনা বুঝি!! দেখো আমি কি করি।। আকাশ,, জনি চলো শুরু করা যাক।।
ইসমা- বন্ধু আমিও আসছি।।( বলে ইসানের সাথে চলে গেলো।।।)
ইমা বসে থেকে সবার কাজ দেখছে।।। ইমা দেখে ইসান ইসমা দুষ্টামি করছে।।
ইমা অপলক দৃষ্টিতে ইসানকে দেখতে থাকে এবং মনে মনে বলে- বাচ্চার সাথে একদম বাচ্চা হয়ে গেছে। ( মুচকি হেসে)
Time skip
ইসান নিজের ইমার আর ইসমার খাবার নিয়ে আসলো।।
ইসান ইমার সামনে খাবারের প্লেট ধরে বললো – এই নাও,,, খেয়ে দেখো!!! (ইমা ইসানের হাত থেকে প্লেট নিলো।।) সবাই তুলে তুলে নিয়ে খাও।। (জনির আকাশ, রেকসানার দিকে তাকিয়ে বললো) ইসমা তুমি আমার কাছে বসো তো মামুনি এবং খেয়ে বলো বন্ধু কেমন রান্না করলো।।
ইসমা ইসানে সাথে বসে এবং খেতে লাগে।।
ইসমা- হমম খুব মজা হয়েছে বন্ধু ।।( হেসে) ইসান ইমার দিকে তাকায়
ইমা- গুড মেনে নিলাম অনেক ভালো রান্না করো।। (মুচকি হেসে)
ইসান লজ্জা পেয়ে গেলো মুখ চিপে চিপে হেসে বললো- thank you…
তারপর সবাই খাওয়া শেষ করে।। আকাশ জনি রোকসানা সব কিছু গোছিয়ে রাখে বসে তিনজন গল্প করে।।। ইসমা ঘুমিয়ে পড়েছে ইসানের কোলে মাথা রেখে।। ইসান ইসমার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে এবং আকাশের তারা দেখছে।।
ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে বলে- thank you এতো সুন্দর একটা সারপ্রাইজ এর জন্য।।
ইসান মুচকি হেসে – হমম বলল।
ইমা- রাত হয়ে যাচ্ছে ইসমাও ঘুমিয়ে পরেছে।।
ইসান- হমম ঠিক বলেছো।।।
ইমা- আমি ইসমাকে নিচ্ছি।।
বলে ইসমাকে নিতে গেলে ইসান বলে –
ইসান- থাক আমি নিচ্ছি।।
ইমা- আরে না তোমার উঠতে সমস্যা হবে।।
বলে ইসমাকে নিতে যাই ইসান বলে- আরে না সমস্যা হবে না।।
ইমা- আরে হবে।। আমাকে ইসমাকে নিতে দাও। বলে ইমা ইসমাকে নিতে গেলে ইমার পা স্লিপ করে।। ইমার ইসানের বুকের সাথে গিয়ে মাথাটা লাগে৷
ইমা- সরি ইসান।।
বলে সরে যেতে লাগলে ইসানের গলাই থাকা আংটি লকেটের সাথে কনো ভাবে ইমার চুল বেধে যাই।। ইমা চুলে ব্যাথা পাই।। ইমা চুল কার সাথে বেধেছে দেখতে গেলে সেই আংটি চোখে পরে।। ইমা অবাক হয়ে যাই আংটি দেখে।।। ইসান দেখে ইমা আংটির দিকে তাকিয়ে আছে।।।
ইসান- আ,,, আমি ছাড়িয়ে দিচ্ছি।।।।( বলে ইসান ইমার চুল তারাতারি আংটির চেনের থেকে ছাড়িয়ে দিলো।। এবং তারাতারি গলার চেনরা শার্টের ভিতরে ঢুকিয়ে দিলে ) তুমি যাও আমি ইসমাকে নিয়ে আসছি।। (ইমা কনো কথা বললো না আসতে করে উঠে চলে গেলো) জনি আকাশ চলো সবাই।।
সবাই উঠে চলে গেলো।। ইসান ইসমাকে গাড়ির পিছনের সিটে শুইয়ে দিলো।। ইমা সামনে ইসানের পাশের সিটে উঠে বসে।। ইসান গাড়িতে উঠে বসে।।। রোকসানা জনি আকাশ অন্য গাড়িতে উঠে।। সবাই যেতে লাগে।। ইমার চোখের সামনে ইসানের গালায় সেই চেনের সাথে থাকা আংটি বারবার ভেসে উঠছে।।। ইসান ইমার দিকে তাকায় দেখে ইমা কেমন আনমনে হয়ে আছে। ।।।
ইসান- ইমা ঠিকাছো???(ইমা চমকে ইসানের দিকে তাকালো) ঠিকাছো তুমি??
ইমা ইসানের দিকে তাকিয়ে থাকে কনো কথা বলে না।।
ইসান- কি হলো??
ইমা- কেন ইসান কেন এমন মিথ্যা সম্পর্ক বয়ে বেড়াচ্ছো তুমি??!
ইসান ইমার কথা শুনে গাড়ি ব্রেক করে থামিয়ে দেয়।।
ইমা একটু অভিমান সুরে বলে- ইসান যেটা ৭ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। সেটা কেন এভাবে আকরে আছো??
ইসান- কোনটা শেষ হয়ে গেছে ইমা??!!! আমার কাছে তো কনোটাই শেষ হয়নি।। আমার জীবনে কনোটাই শেষ হয়নি!!।। হ্যা সময়ের সাথে কিছু জিনিস বদলেছে ঠিকি কিন্তু আমার ভালোবাসা বদলায়নি।। জানি এই আংটি দেখে তোমার এগুলো কথা মনে হয়েছে।। কিন্তু আমি প্রতিটা মুহুর্তে এই কথাগুলো মনে করি ।
তুমি জানো আমি আজো এমন একা কেন?? আমি একা কারণ আমি তোমাকে ছাড়া আমার জীবনে অন্য কনো মেয়েকে কখনো ভাবতে পারিনি।। আমি এই ৬/৭ টা বছর তোমার আমার জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সৃতি গুলো আকরে ধরে পথ চলছি।। আমি কখনো নিজেকে একা মনে করিনি।।। এই যে এখন যেমন তুৃৃমি আমার পাশে বসে আছো!! ঠিক তেমনি ৬ / ৭ বছর তুমি আমার পাশে বসে আছো এমনটা অনুভব করেছি।।। হ্যা এখন তুমি বলতে পারো ইসান তুমি এমন পাগল কেন?? হমম আমি পাগল,, আমি ইমার জন্য পাগল তার ভালোবাসার জন্য পাগল।। আর আমার এই পাগলামি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এমনি থাকবে।।।
ইমা ইসানের কথায় এতো টা অবাক হয় যে ইমার কাছে কনো ভাষায় নেই ইসানকে বলার মতো।।। ইমা গাড়ির জানালার দিক মুখ করে চোখের পানি ফেলে আর মনে মনে বলে- কেন আজো আমাকে এতো ভালোবাসো ইসান?? কেন ভালোবাসো??
তারা বাড়িতে চলে আসে।। ইমা গাড়ি থেকে বের হয়ে ইসমাকে নিতে গেলে ইসান বলে-
ইসান- তুমি যাও। আমি ইসমাকে নিয়ে যাচ্ছি।।
ইমা চলে গেলো ইসান ইসমাকে কোলে নিয়ে উপরে গেলো। এবং ইসমাকে ইসমার রুমে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিলো।।
ইমা- thank you..
ইসান- welcome.. ওকে রাত হয়েছে।। আমি আসি।।
ইমা- ওকে বাই।।।
ইসান- বাই।। (ইসান চলে গেলো)
,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।।
,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।।।