#Love_Treatment
Part- 41
Writer- Tanzin Islam Ishika [ Jannat ]
।
দেখতে দেখতে প্রায় এক সপ্তাহ কেটে যায়,, তান্নাজের পাগলামি যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে,,, সে সারাদিন নিশমকে জ্বালিয়ে খায়,, নিশম বেচারা কিছু বলতেও পারে না,, এক দিকে রাগ তহ আরেকদিকে তান্নাজকে নিজে করার ইচ্ছা,, এক দোটানায় পরে গেছে সে,, নিশম চাচ্ছে সে তান্নাজের কাছে ছুটে যাক,, কিন্তু পারছে না,,, এক চাপা অভিমান কাজ করছে,,, সে চায় যে তান্নাজ যাতে আরেকটু পাগলামি করুক ওর জন্য,, এতদিন নিশম তার #Love_Treatment দেখিয়েছে,, এখন তান্নাজের পালা,,এই কয়দিন তান্নাজ অফিসে যায়নি,, বাসায় থেকেছে,,নিশমও কিছু বলেনি,, কিন্তু এর মধ্যে নিশম কিছুদিন ধরে তান্নাজের মধ্যে চেঞ্জ লক্ষ্য করছে,, এই কথায় কথায় রেগে যায়,, তহ আবার হেসে দেয়,, ছোট কোন কারনে কান্না করে দেয়,, বা নিশমকে দেখলে শরম পায়,, আরেকটা জিনিস অনেক অদ্ভুত লাগছে তার কাছে,, সে বার বার মোবাইলের দিকে তাকিয়ে কিছু দেখে আর মুচকি মুচকি হাসে,,, মাঝে মধ্যে তহ একা একা নিজের সাথেও কথা বলে,,, আবার একটু পর পর খেতে থাকে,, এই মাইয়ারে আগে বাইধা ধইরাও তেমন খাওয়ানো যেত না,, সে একটু পর পর খাচ্ছে,, বিশ্বাস করাটা একটু কষ্ট কর,, কিন্তু যাই খায় বমি করে দেয়,,, ১মাস ধরেই প্রায়ই এমন করছে,,
নিশম এইসব নিয়ে বেশ চিন্তিত,, তান্নাজকে অবহেলা করলেও নিশম তান্নাজের সব দিক দিয়েই খেয়াল রাখে,, নিশম ভাবছে যে তান্নাজকে একবার ডাক্তার দেখাবে,, কেননা মাঝে নিশম তান্নাজের তেমন একটা খেয়াল রাখে নি,, তখন তান্নাজও মানসিক চাপে ছিল,, তাই যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তা একবার দেখা উচিৎ,, ( আরেহ বলদের হাড্ডি এতটুকু বুঝোস না যে এইসব কখন হয়,,,😒😒আসলেই তুই একটা লুংগি চোর)
।
।
সন্ধ্যাবেলা নিশম অফিস থেকে বের হয়,,, বাসায় এসে কলিংবেল দিতে থাকে,, কিন্তু তান্নাজের খোলার খবর নেই,, নিশম এইবার একটু ঘাবড়ে যায়,, তার কাছে বাসার এক্সট্রা চাবি ছিল,, সে তা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে যায়,, ভিতরে ঢুকে দেখে পুরো ঘর অন্ধকার,, সব একদম নিরব,,নিশম আলো জ্বালাতে গেলে দেখে আলো জ্বলছে না,, নিশম এইবার জোরে জোরে তান্নাজের নাম ডাকতে থাকে,,, কিন্তু না কোন সারা শব্দ নেই,, এইবার নিশম কিছুটা ভয় পেয়ে যায়,, তান্নাজ গেল কোথায়,, নিশম আস্তে আস্তে নিজের বেড রুমের দিকে চলে যায়,,,রুমের সামনে এসে দরজা খুলে,, কিন্তু ভিতরে খুটখুটে অন্ধকার,, নিশম বার বার তান্নাজের নাম ডাকতে থাকে,, কিন্তু কোন সারা নেই,, নিশম যেই না রুম থেকে চলে যেতে নিবে তখন একটা কিছুর আওয়াজ শুনে থেকে যায়,, একটা পুতুল নাচতে নাচতে ওর পায়ের সামনে এসে বাড়ি খায়,, নিশম তা দেখে ভ্রু কুচকিয়ে সেই খেলনার দিকে তাকায়,, তারপর তা হাতে নিয়ে দেখে পুতুলটা কিছু বলছে,, নিশম পরে স্পষ্ট ভাবে শুনতে পারছে,,
।
পুতুলটি বলছে ” পাপা,, পাপা,, আই লাভ ইউ,,, পাপা পাপা,,,আই লাভ ইউ”
এই শুনে নিশম থমকে দাড়ায়,, কি হচ্ছে এইসব,, তখন হঠাৎ করে পুরো রুমের লাইট জ্বলে উঠে,, নিশম এইবার পুরো রুমের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে,,, পুরো রুম ইমোজি গ্যাস বেলুন দিয়ে ভরা,, তাতে স্মাইলির মত আকা,, আর কিছু একটা লিখা আছে,, আর পুরো রুমে একটা মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে,, নিশম সামনে গিয়ে একটা বেলুন হাতে নিয়ে দেখে তাতে লিখা,,
” ❤❤ We are pregnant ❤❤ ”
আরেকটাতে লিখা,,
“🙈 ইউ আর মাই চুন্নু মুন্নুর পাপা🙈”
নিশম বুঝতাসে না এইসব কি,, এইটা আদো সত্যি কিনা,, তখন তা নজর যায় জানালার পাশে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে,, নিশম তার সামনে যেতেই দেখে তান্নাজ,,
আজ সে মেরুন কালার একটা শাড়ি পরেছে,, সাথে গাড়ো করে কাজল,, ঠোঁটে হাল্কা লিপস্টিক,, সাথে হাল্কা মেকাপ,, একদম পরীর মত লাগছে তাকে,, নিশম তান্নাজের কাছে যেতেই তান্নাজ নিশমকে জরিয়ে ধরে আর তার বুকে মুখ লুকায়,,নিশম এইবার তান্নাজকে আলতো করে ধরে বলে,,
।
নিশমঃ এইসব কি তান্নাজ,,, এইগুলো কি সত্যি,, মানে,,
।
তান্নাজ আরও শক্ত করে নিশমকে ধরে বলে,,
তান্নাজঃ হুম সত্যি,, we are pregnant,, তুমি পাপা হতে চলেছ,, আমার চুন্নু মুন্নুর পাপা,,,
।
এই নিশম থমকে যায়,, সে বুঝতে পারছে না এইটা আদো স্বপ্ন না সত্যি,, সে বাবা হতে চলেছে,,, তাকে কেউ পাপা বলে ডাকবে,, নিশম আর কিছু না বলে তান্নাজকে কোলে তুলে নেয়,, তারপর তাকে নিয়ে ঘুরাতে থাকে,,,আজ যেন নিশমের খুশির কোন ঠিক ঠিকানা নেই,,
।
নিশমঃ তুমি সত্যি বলছো জান,, আমি পাপা হবো,, আমার একটা বেবি হবে,,,
।
তান্নাজঃ আরেহ বাবা কি করছো পরে যাব তহ,,, আগে নামাও,,
।
নিশমঃ না তুমি বল এইসব সত্যি কিনা,,
।
তান্নাজঃ হ্যা হ্যা এইসব সত্যি,৷ তুমি পাপা হতে চলেছ,,
।
নিশম এইবার তান্নাজকে নামিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আর বলে,,,
নিশমঃ তুমি বিশ্বাস করবে না তুমি আমায় কি নিউসটা দিয়েছ,, এর চেয়ে খুশির সংবাদ আমার থেকে কিছু হতে পারে না,,, আজ তুমি আমায় সবচেয়ে বেস্ট জিনিসটা দিয়েছ,,,
এই বলে তান্নাজের পুরো মুখে চুমু দিয়ে ভরে ফেলে,,,তখনই কেউ পিছন থেকে কেশে উঠে,, নিশম পিছন ফিরে দেখে হৃদয় আর মিতু,, ওরা রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলে,,
।
হৃদয়ঃ বাকি রোমেন্স পরে কইরেন,,,
।
মিতুঃ আমরা জানি আপনি আমার বান্ধুবিকে কতটা ভালবাসেন আর দেখাতে হবে না,,,
।
নিশমঃ তোমরা এইখানে,,
।
মিতুঃ বারে আমরা থাকব না তহ কে থাকব এইখানে,,,
।
নিশমঃ মানে,,
।
হৃদয়ঃ মানে এইসব আমরাই প্লেন করেছিলাম,,
।
নিশমঃ এর মানে তোমরা সব জানতে,,,
।
মিতুঃ আজ্ঞে হ্যা,, আর আমরাই এইসব কিছু সাজিয়েছি,,
।
তখন নিশমের ফোনে ফোন আসে,, নিশমের মা ফোন করেছেন,,তারপর তিনি নিশমকে মোবারক বার জানালেন,, নিশুও কোংগ্রেস জানালো,, তান্নাজের বাবা মাও জানালো,, নাতি হওয়ার খবর শুনে তারা বিয়াইদের বাসায় চলে আসে,,নিশম সবার সাথে কথা বলে,, পরে ফোন রেখে মুখ গোমড়া করে বললো,,
।
নিশমঃ এর মানে সবাই জানে আমি বাবা হতে চলেছি,, অথচ আমি এই জানি না,, সবার শেষে আমাকে বললা তুমি,,, গাল ফুলিয়ে,,
।
তান্নাজঃ আমি কি করতাম তুমিই তহ রাগ করে বসেছিলে,,
।
নিশমঃ তাই বলে এত বড় নিউস আমি সবার শেষে জানবো,, আমি ওর পাপা,, সবার আগের জানার কথা সেখানে আমি সবার শেষে শুনছি যে আমার বেবি হবে,,,
।
তান্নাজঃ আরও করো রাগ,, ফুইলা থাক আরও,, কত বার ভাংগাইতে চাইসি,, কি না করসি,, তোমারে কিছু বলতে গেলেই তুমি মুখ ঘুরাইয়া নিতা,,, তাতে কি আমার দোষ নাকি,,
।
নিশমঃ আজিব তহ এখন কি রাগও করতে পারুম না নাকি,, আর মুখ ঘুরাইয়া নিতাম বলে কি বলা যেত না,,, রাগ করছি বলে কি বলা যেত না,, এইটা তুমি ঠিক করো নাই,, এত বড় কথা আমার থেকে লুকিয়ে,,
।
তান্নাজঃ কই লুকাইসি,, এখন তহ কইলামই,,
।
নিশমঃ কিন্তু সবার শেষে যেখানে সবার আগে আমার জানার কথা,,, এইটা তহ সেই কথা হয়ে গেল,, যার বিয়ে তার হুশ নেই পারাপরশির চোখে ঘুম নেই,,,
।
তান্নাজ কিছু বলতে যাবে তার আগেই হৃদয় বলে উঠে,,
হৃদয়ঃ ব্যসসসসসস,,, এত একটা সুন্দর মোমেন্টেও তোরা ঝগড়া করিস না,, এখন তহ সেলেব্রিট করার পালা,,,
।
মিতুঃ হ্যা,,, আর এমনে আমাদের মাঝে নতুন মেহমান আসতে চলেছে তার জন্য কিছু স্পেশাল তহ করতেই হয়,,,
এই বলে হৃদয় আর মিতু বাইরে গিয়ে একটা কেক নিয়ে আসে,, তারপর তান্নাজ আর নিশম মিলে কেকটা কাটে,, দুইজন দুইজনকে খাইয়ে দিল,,, পরে মিতু আর হৃদয়কেও খাওয়ালো,, তারপর সবাই মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে যায়,, ওরা চলে যেতেই নিশম তান্নাজ ফ্রেশ হয়ে এসে শুয়ে পরে,,, নিশম তান্নাজের পেটে পাগলের মতো চুমু খাচ্ছে,,
।
নিশমঃ আমাদের বেবি এখানে আছে না,,
তান্নাজঃ হুম
নিশম কান পেতে একবার রাতের পেটে রাখছে।একবার চুমু খাচ্ছে,, আর তান্নাজ ওর পাগলামো দেখে হাসছে,,,
।
নিশমঃ বেবি তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো।তোমার পাপা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।তুমি তাড়াতাড়ি আসবে।জানো তোমার মামমাম আমায় একটুও ভালবাসে না,, তুমি আসলে তুমি আমায় অনেক ভালবাসবা ওকে,,
।
নিশম বাচ্চা দের মতো কথা বলছে আর চুমু খাচ্ছে ।আর তান্নাজ অবাক হয়ে নিশমের বাচ্চা মি দেখছে
।
তান্নাজঃ এই মানুষটা নিজের অজানতে কতটাই না কষ্ট দিয়েছি,, তাকে নিজের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত করেছি,, অথচ সে সব সময় আমায় আগলে রেখেছে,, কি করে পারলাম আমি এমন করতে,,-মনে মনে
নিশমঃ এবার হঠাত্ করে উঠে বসে তান্নাজের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো
তান্নাজঃ কি হলো
।
নিশমঃ তুমি আমাকে আগে বলো নি কেন এ কথা,,
।
তান্নাজঃ তুমি তহ রাগ করেছিলে,, তাই ভাবলাম তোমার রাগ ভেংগে তারপর বলবো,, কিন্তু তোমার তহ রাগই ভাংগতাছিল না,, আমার আর সবুর হচ্ছিল না,, তাই ঠিক করি আজকেই জানাবো,, আচ্ছা তুমি কি এখনও আমার উপর রেগে আছো,,
।
নিশমঃ আরেহ না,, আমি তহ তোমায় সেইদিনই মাফ করে দিয়েছিলাম যখন তুমি আমায় জরিয়ে ধরে আমার কাছে মাফ চেয়েছ,, আর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছ,,
।
তান্নাজঃ শালা লুংগি চোর ,, তাইলে এতদিন কস নাই কে,, আর এমনে ভাব মাইরা ছিলি কেন,,
।
নিশমঃ আজিব একটু ভাব নিমু না,, এতদিন আমি তোমার পিছে পিছে ঘুরসি তহ তুমি একটু ঘুরবা না তা কেমনে হয়,, এত দিন আমি আমার #Love_Treatment দেখিয়েছিলাম,, তাই তখন তোমার #Love_Treatment দেখতে চেয়েছিলাম,,, তোমার সেই আগের রুপ দেখতে চেয়েছিলাম,,আমি দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমার জন্য কি কি করতে পারো,, চোখ টিপ দিয়ে,,
।
তান্নাজ ইচ্ছা মত নিশমের পিঠে কিল ঘুষি দিতে থাকে,, আর বকতে থাকে,, নিশম তান্নাজের হাত দুটো বেডের সাথে চেপে তান্নাজের ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁটের ভাজে নিয়ে নেয়,, প্রথমে তান্নাজ ছুটাছুটি করলেও পরে শান্ত হয়ে যায়,, কিছুক্ষণ পর নিশম স্বরে আসে,, আর বলে,,
।
নিশমঃ তোমায় কিভাবে শান্ত করতে হয় আমি জানি,,
।
তান্নাজ কিছু না বলে নিশমকে জরিয়ে ধরে,, পরে মাথা তুলে বলে,,
তান্নাজঃ তোমাকে একটা জিনিস দেখাই,,
।
নিশমঃ কি,,
তান্নাজ ওর মোবাইল হাতে নিয়ে একটা ছবি বের করে,, নিশম তা হাতে নিয়ে দেখে আল্ট্রাসোনো গ্রাফির ছবি,, তান্নাজ ছবিতে একটা ছোট জিনিসের মত গুটিয়ে থাকা কিছুকে দেখিয়ে বলে,,
।
তান্নাজঃ এইযে এইটা আমাদের বেবি,,,
।
নিশম তা দেখে বলে
নিশমঃ সত্যি এইটা আমাদের বেবি,,
।
তান্নাজঃ হা,,
।
নিশমঃ তার মানে তুমি প্রতিদিন এই ছবিটি দেখতে আর হাসতে,,,
।
তান্নাজঃ হা,,
।
নিশমঃ তুমি কবে জানেছ যে আমাদের বেবি হবে,,
।
তান্নাজঃ মনে আছে যেদিন তোমার জন্য আমি টিফিন নিয়ে গিয়েছিলাম,, সেইদিন আসার সময়,,
।
।
সেইদিন,,
তুমি আমার রান্না ভালো না বলায় তোমার উপর অনেক রাগ হয়,, কিন্তু আমি কিছু না বলে বেড়িয়ে যাই,, বের হয়ে ফুটপাত দিয়ে হাটার সময় মিতু আর হৃদয়ের সাথে দেখা হয়,, তখন ওদের সাথে কথা বলতে যাব তখন আমি মাথা ঘুরিয়ে পরে যাই,, তখন মিতু আর হৃদয় আমায় হসপিটালে নিয়ে যায়,, তখন পরিক্ষা করে জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট,, প্রেগন্যান্সির ১ মানথ চলতাসে,, তোমার আর আমার মাঝে যখন সামিরা আসে তখন আমি কন্সিভ করি,, কিন্তু তখন এত ঝামেলার মাঝে ছিলাম আর এত ডিপ্রেশনে ছিলাম যে নিজের প্রতি কোনো কেয়ারই করি নি,, তাই যখন বমি হত বা মাথা ঘুরাত তখন নিজের মানসিক চাপ বা দূর্বলতা ভেবে এত একটা গুরুত্ব দেয়নি,, তাই বুঝতে পার নি,,, পরে যখন ডাক্তার আমার আল্টাসোনোগ্রাফি করলো তখন আমি প্রথম আবার বেবি দেখি,, আমার খুশির যেন সীমা ছিল না,, পরে ওইটার একটা ছবি তুলে ফেলি,, আর বাসায় এসে ওই ছবিটাই দেখতে থাকি,,,
।
নিশমঃ তার মানে তুমি এই জন্য খালি আমার সামনে চুন্নু মুন্নু চুন্নু মুন্নু বইলা বইলা আমার কান পচাইতা,,
।
তান্নাজঃ হুম,,, কিন্তু মাথামোটা তুমি কিছু বুঝতাই না,,
।
নিশমঃ তাই না,, আমি মাথামোটা,, এখন দেখ এই মাথামোটা কি করতে পারে,,
।
এইবলে তান্নাজের ঠোঁট দুটো নিজের আয়েত্তে করে নেয়,,,,
।
।
।#Love_Treatment
#Part_42_Last_Part
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika [ Jannat ]
।
🌸৮ মাস পর,,,🌸
।
নিশমঃ জান তুমি বোঝার চেষ্টা করো।আমি ইচ্ছে করে এটা করিনি
নিশমঃ ইচ্ছে করে করোনি মানে,, তুমি ইচ্ছে করেই করেছ,, তোমাকে বলেছিলাম না আমার পাশে থাকবা।আর তুমি।ও বুঝেছি এখন আর আমাকে ভালো লাগে না তাই তো,, সত্যি করে বল তুমি কোন শাকচুন্নির সাথে কথা বলছিলে,,
।
নিশমঃ জান আমি সত্যি,,,,,,,,
।
তান্নাজঃ বের হও এখান থেকে।বেরোও
।
তান্নাজ নিশমকে ঘর থেকে বের করে দিল।নিশম ও অসহায় এর মতো দাঁড়িয়ে আছে।নিশম কিছু বলতেও পারছে না,,কারণ প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকে তান্নাজের মেজাজ সব সময় গরম থাকে।তার কথা নিশম কে সব সময় তার পাশে চাই।কিন্তু নিশম এর যে অফিস আছে সেটার কথা ভাবার সময় তান্নাজের নেই,, সে চায় সবসময় নিশম তার পাশেই থাকুক,,
।
তান্নাজঃ শালা বেটা লুংগি চোর,, আসুমের ডিম,, খবিশের খবিশ,, ।দেখো এখনো বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।কি বলতে ইচ্ছে করে একে,,
।
নিশম তাড়াতাড়ি দরজা খুলে ভেতরে আসলো
।
নিশমঃ জান আমি আসলে,,,,,,,,,
তান্নাজ গরম চোখে নিশমের দিকে তাকালো।নিশম চুপ হয়ে যায়,,কিছুক্ষণ পর তান্নাজ নিজে থেকে গিয়ে নিশমকে জরিয়ে ধরে,, আর বলে,,
।
তান্নাজঃ বলসি না সব সময় আমার পাশে থাকবা,, কোথাও যাবা না,, আমার ভয় করে একা থাকতে,, এই বুঝি তুমি আমার থেকে দূরে সরে গেলে,,
।
নিশমও তান্নাজকে জরিয়ে ধরে বলে,,
নিশমঃ আরেহ ধুরো পাগলি,, তোমার থেকে দুরে গিয়ে কি আমি থাকতে পারব,, তোমায় ছাড়া আমি তহ অসম্পূর্ণ,, তুমি হচ্ছো আমার রুহ,, রুহ ছাড়া কি মানুষ বাচে,,একটা ইম্পোরটেন্ট কল এসেছিল,, আর তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই বাইরে কথা বলতে গিয়েছিলাম,, যাতে তোমার ঘুমে ডিস্টার্ব না হয়,, সরি জান আর এমন হবে না,,
।
তান্নাজ আরেকটু শক্ত করে নিশমকে জরিয়ে ধরে বলে,,
তান্নাজঃ হুম সব সময় এইভাবে আমার পাশেই থাকবা বুঝলা,,,
।
।
দুপুরে,,
নিশমঃ তোমাকে বলেছিলাম না তুমি এভাবে না খেয়ে থাকবে না।আমার প্রিন্সেস এর কষ্ট হয় না বুঝি
।
তান্নাজঃ আসলে আমি তো তোমার জন্য অপেক্ষা,,,,,,,,
নিশমঃকোন কথা বলবে না।চুপচাপ খাবে এখন,,
।
খাওয়ার বেলায় নিশম একদম স্ট্রিক হয়ে যায়,, তখন তান্নাজের কোন কথাই সে শুনে না,, তান্নাজের কোন মানমানি এই চলে না,, নিশম তান্নাজকে খাইয়ে দিল।তান্নাজের পেট ফুলে বড় হয়ে ছে।কিছুদিন পর ডেলিভারি,, খাওয়া শেষে
।
নিশমঃ এই তো গুড গার্ল
,
নিশম তান্নাজকেকে পানি খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিল।এবার তান্নাজের কপালে চুমু দিয়ে তান্নাজের পেটে চুমু দিচ্ছে হাত বুলাচ্ছে কথা বলছে,,
।
নিশমঃ প্রিন্সেস তুমি তাড়াতাড়ি এসো।তোমার বাবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।শোন মাম্মাম কে বেশি কিক দিবে না।তোমার মাম্মাম তো কষ্ট পাবে।আর প্রিন্সেস তুমি তো জানোই আমি তোমার থেকেও মাম্মাম কে বেশি ভালোবাসি।সো গুড গার্ল হয়ে থাকবে।না হলে কিন্তু বাবাই তোমাকে সুন্দর জামাই এর সাথে বিয়ে দেবে না,,
।
তান্নাজ হাসা শুরু করলো নিশমের এর কথা শুনে।এটা নিশমের এর ডেইলি রুটিন,,
।
নিশমঃ এই তুমি হাসছো কেন
।
তান্নাজঃ আমি বুঝি না তুমি কি করে বোঝ যে ও মেয়ে হবে,, তুমি তো বেবী র জেন্ডার চেক করার ঐ আলট্রাসাউন্ড ও আমাকে করতে দিলেন না।ও যদি ছেলে হয়
।
নিশমঃ না ও প্রিন্সেস হবে,,
।
তান্নাজঃ কিন্তু আল্লাহ্ যদি অন্য কিছু চায় তখন তুমি কি করবা,,
।
নিশমঃ হুমম তাও একটা কথা।সমস্যা নেই ও যদি প্রিন্স হয় তো তার পর পরই আমি প্রিন্সেস এর মিশন শুরু করবো
।
তান্নাজঃ কিহহহ
।
নিশমঃ 😁😁😁😁😁😁
।
নিশম এবার তান্নাজের ঠোট দুটো দখল করলো
।
কিছুক্ষণ পর
।
তান্নাজঃ তুমি কি বল তো।এই অবস্থায় ও তুমি এমন করছেন
।
নিশমঃ এটা তহ আমার #Love_Treatment এর অংশ,,
।
তান্নাজ রাগী চোখে নিশম এর দিকে তাকালো
।
নিশমঃ 😁😁😁😁😁😁
।
।
।
সন্ধ্যার দিকে হৃদয় আর মিতু আসে তান্নাজের সাথে দেখা করতে,, অহহ বলতে ভুলে গেছি হৃদয় আর মিতুর বিয়ে হয়ে গেছে,, তাদের বিয়ের ৩ মাস হতে আসলো,, মিতু এসে তান্নাজের কাছে বসলো,, তান্নাজ আর মিতু কথা বলছে,, আর এইদিকে নিশম আর হৃদয় তাদের দুঃখের কথা বলছে,, যে বিয়ে করে তাদের লাইফ একদম তেজপাতা হয়ে গেল,,,
।
হৃদয়ঃ আর কইও না ভাই,, মিতুরে তহ আমি সিদাসাদা মনে করছিলাম,, এখন দেখি পুরাই আগুন,, কিছু হইলেই রুম থেকে বের করে দেয়,, কই না বউরে শাসন করুম,, উল্টা আমায় সাসিয়ে রাখে,,,তার কথার উপর কিছু কইতে গেলে মনে হয় আমি কোন মহা বড় পাপ করে ফেলসি,, অসহায় ভাব নিয়ে,,
।
নিশমঃ আরেহ তুমি তহ তাও ভালোই আছো,,, আমার অবস্থা দেখসো,, কই আমি ছিলাম ভারসিটির ক্রাস বয়,, আর এখন কাজের বেটা রহিম,, তান্নাজ তহ আমায় এক মিনিটের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেয় না,, সারাদিন খালি প্যান প্যান করে,, আর কিছু উচনিচ হলেই একটা বকাও মাটিতে পরে না,, আর পাইসে একটা ডাইলোগ,, লুংগি চোর,, আরেহ আমারে কোন দিক দিয়া লুংগি চোর মনে হয়,, যার কোন কিছুর অভাব নাই ওই লুংগি চোর হইতে যাইব কোন দুঃখে ,, উল্টা আমি তহ লুংগি আজ পর্যন্ত দেখিই নাই,,,
।
হৃদয়ঃ হাইরে পুরুষ মানুষের কষ্ট সবচেয়ে বড় কষ্ট ,, কেউ আমগো কষ্ট একটু বুঝেও না,,
।
মিতুঃ তাই না,,, তোমাদের কষ্ট আপরা বুঝি না তাই না,,
নিশম আর হৃহৃদয় পিছন তাকিয়ে দেখে মিতু আর তান্নাজ কোমরে হাত দিতে দাড়িয়ে আছে৷ আর অগ্নি দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে,
।
তান্নাজঃ কি জানি বলতাসিলা,, আমি সারাদিন প্যান প্যান করি,, খালি বকা দেই,, তুমি কাজ করতে করতে কাজের বেটা রহিম হইয়া গেস তাই না,,,
।
মিতুঃ আর তুমি,, আমি কিছু হইলে রুম থেকে বের করে দেই,, সারাক্ষণ সাসিয়ে রাখি,,,
।
নিশমঃ লা হাওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউর আজিম। এইসব তুমি কি বলো জান,, আমি কেন কাজের বেটা রহিম হতে যাব,, আমি তহ তোমার চুন্নু মুন্নুর বাপ তাই না,,,
।
হৃদয়ঃ ছি ছি,, এইসব কি বলো,,, আমি কখন এইসব বললাম,, তুমি তহ আমার লক্ষি বউ,,, আমায় কত ভালবাস,, তুমি কেন আমায় সাসিয়ে রাখবে,,,
।
তান্নাজঃ দ্বারাও ওরা যেয়ে নেক,, তারপর বুঝাব তুমি কে,, কাজের বেটা রহিম নাকি আমার চুন্নু মুন্নুর বাপ,,,
।
মিতুঃ তুমিও বাসায় চল,, দেখাছি মজা,,
।
দুইজনেই দুইজনের দিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে,, আজ ওদের মাথায় শনি আছে তা তাদের বুঝতে দেরি নেই,,
।
।
রাতেবেলা,,
নিশম কাচুমাচু হয়ে বসে আছে,, আর তান্নাজ অগ্নি দৃষ্টিতে নিশমের দিকে তাকিয়ে আছে,, নিশম একটু হাসার চেষ্টা করে বলে,,
।
নিশমঃ আসলে জান,,,
।
তান্নাজঃ চুপপপ,,, একদম চুপপপ,,,
।
নিশম একদম চুপ হয়ে যায়,,
তান্নাজঃ কি আমি তোমায় অনেক জ্বালাই না,, সারাদিন তোমাকে দিয়ে খাটাই তাই না,, সারাদিন প্যান প্যান করি,,, বকা দেই,,
।
নিশমঃ কই একদম না,,, আমি কি এইসব বলসি নি,,, তুমি তহ আমার লক্ষী বউ,, তুমি কি আমায় জ্বালাতে পারো,,, উল্টা আমি শানি তোমায় কত জ্বালাই,,
।
তান্নাজঃ চুপপ,, একটা মিথ্যা কথাও বলবা না,,, আমি অনেক খারাপ তাই না,, অনেক জ্বালাই তাই তহ,, আচ্ছা ঠিক আছে আর জ্বালাব না,, কোন কাজ করাব না,, তুমি কাল থেকে অফিস যেতে পার,, আমার সাথে তোমার থাকতে হবে না,, তুমি বাইরে গিয়ে নিজের কাজ করো,, আমি নিজের খেয়াল নিজে রাখতে পারব,, এই বলে মুখ ঘুরিয়ে নেয়,,
।
নিশমঃ জান আমি এইসব মজা করে বলেছিলাম,, বিশ্বাস কর,, আমি তোমায় ছাড়া কিভাবে থাকব,, তোমায় আমি কোন মুহুর্তেই একা ছাড়তে পারি না,,
।
তান্নাজ কিছু বলে না,, চুপচাপ বসে আছে,, তাই নিশম তান্নাজের কাছে গিয়ে পিছন থেকে গিয়ে তাকে জরিয়ে ধরে,, নিশম বুঝতে পারে তান্নাজ কান্না করছে,, এই সময় মেয়েরা একটু সেন্সিয়িভ হয়,, কোন কথা কখন তাদের খারাপ লেগে যায়৷ আর কষ্ট পেয়ে যায়,, বলা মুশকিল,, নিশম তান্নাজকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,, নিজের ঠোঁট দিয়ে তার চোখের পানি শুষে নিয়ে বলে,,
।
নিশমঃ বউ ও বউ,, এমনে কান্না করে না,, তোমার কান্না যে আমি সহ্য করতে পারি না,, আমি সত্যি তখন ওইসব মজা করে বলেছিলাম,, তুমি আমার কাছে কখনোই বিরক্তির কারন হতে পারো না,, তুমি তহ সব সময় আমার ভালো লাগার কারণ,, তোমায় ছাড়া কি আমি থাকতে পারি বল,, তুমি দিয়ে আমার দিন শুরু তুমি দিয়েই আমার দিন শেষ বুঝলা,,
।
তান্নাজ আর কিছু না বলে নিশমকে জরিয়ে ধরে,,, নিশমও আয়েশ করে তান্নাজকে আলতো করে জরিয়ে ধরে,,,
।
।
।
রাত ৩ টা বাজে,,
হঠাৎ তান্নাজের লেভার পেইন শুরু হয়,, তান্নাজের মুখ দিয়ে কোন আওয়াজ বের হচ্ছে না,, সে এইদিক ওদিক করছে,, নিশম তাকে জরিয়েই শুয়ে ছিল,, তাই তান্নাজের নড়াচড়া ওর ঘুম ভেংগে যায়,, উঠে সে দেখে তান্নাজ ব্যথায় ছটফট করছে,, নিশম তা দেখে ভয় পেয়ে যায়,, সে তারাতারি তান্নাজকে কোলে তুলে নেয়,, আর হসপিটালের দিকে রওনা হয়,,
নিশম এখন ওটির সাথে দাড়িয়ে আছে,, সাথে মিতু আর হৃদয়ও আছে,, নিশম তাদের খবর দিয়ে আনিয়েছে,, নিশম তার মাকেও খবর দিয়েছে তারা আসছে,,তান্নাজের অবস্থা তেমন একটা ভালো না,, ইন্টারনাল বিলিং অনেক বেশি হয়েছে,, যার ফলে তান্নাজের কান্ডিশন এত ভালো না,, যে কোন মুহূর্তে যে কোন কিছু হয়ে যেতে পারে,, নিশমের অনেক টেনশন হচ্ছে,, কি হয় না হয়,, এর আগে এত ভয় নিশমের কোন সময়ই হয়নি,, সে কি করবে বুঝতে পারছে,, ভিতর থেকে তান্নাজের চিৎকারের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে,, নিশমের মনে যেন ঝড় বইছে,, তার মনে হচ্ছে কেউ যেন তার বুকে ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করছে,, তান্নাজের কষ্ট যেন সে সহ্য করতে পারছে না,, প্রায় ১ ঘন্টাপর ওটির ভিতর থেকে একটা বাচ্চার কন্ঠ ভেসে উঠে,, তার সাথে যেন নিশমের মনের ঝড়ও আস্তে আস্তে শান্ত হতে থাকে,,,কিন্তু তাও মনের মধ্যে এক অজানা ভয় বাসা বাধতে থাকে,, তার তান্নাজের কিছু হলো না তহ,,,
।
।
।
।
🌺৩ বছর পর🌺
।
।
নিশম মাত্র অফিস থেকে বাসায় ফিরলো,, বাসায় ঢুকতেই একটা ৩ বছরের মেয়ে পাপা পাপা বলে চিৎকার করতে করতে তার ছোট ছোট পা দিয়ে নিশমের দিকে এগিয়ে আসে,, নিশম তার ল্যাপটপের ব্যাগটা পাশে রেখেই সেই মেয়েটাকে কোলে তুলে নেয়,,,
।
মেয়েটাঃ পাপা জানো তোমায় আমি কত মিস করসি,,
।
নিশমঃ কতটা মিস করসে আমার প্রিন্সেসটা আমাকে,,
মেয়েটি দুইহাত ছড়িয়ে বলে,,,
।
মেয়েটিঃ এততততত গুলা,,,
।
নিশম টুপ করে সেই মেয়েটির গালে চুমু খেয়ে বলে,,
নিশমঃ আমিও আমার প্রিন্সেসটাকে অনেক বেশি মিস করসি,,,
।
তখন পিছন থেকে কেউ তানাম বলে ডেকে উঠে,,
।
তানামঃ উহু মাম্মা,, দেখতাসো না আমি পাপার সাথে ইম্পোটেন্ট কথা বলছি,, তুমি ডিস্টার্ব করছো কেন,,
।
তান্নাজঃ ওরে রে,, কি একদম ইম্পোরটেন্ট কথা হচ্ছে শুনি,,
।
তানামঃ উহুম,, তোমায় বলব কেন,, এইতা আমাল আল পাপার সিকলেট (সিক্রেট) কথা,, তাই না পাপা,,
।
নিশমঃ ইয়েস মাই প্রিন্সেস,,,
।
তান্নাজঃ হইসে,, তানাম তুমি নামো,, পাপা অফিস থেকে আসছে না তাকে ফ্রেশ হতে দাও,, তুমি গিয়ে টিভি দেখ ওকে,,
।
তানামঃ ওকে মাম্মা,,,
এই বলে তানাম নিশমেত কোল থেকে নেমে টিভি দেখতে চলে যায়,, আর নিশম ফ্রেশ হতে চলে যায়,,,
হ্যা তানাম নিশম আর তান্নাজের মেয়ে,,নিশমের কথাই ঠিক হলো তাদের একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে,, তাদের দুইজনের নামের সাথে মিল রেখেই ওর নাম রাখা হয় তানাম,, সেই দিন আল্লাহ এর রহমতে তান্নাজ আর তানাম দুইজনেরই সুস্থ ভাবে ওটি থেকে ফিরে আসে,, একটু কোমপ্লিকেশন হয়েছিল কিন্তু পরে সব ঠিক হয়ে যায়,,, তানামের বয়স এইবার তিন বছর হলো,, ভারি দুষ্টু মেয়ে,, তার দুষ্টুমি দিয়ে মাতিয়ে রাখে পুরো ঘর,, তান্নাজ আর নিশমের চোখের মনি সে,,
তান্নাজ এখন অফিসে যায় না,,, সে বাসায় থেকেই তানামের খেয়াল রাখে,,,কিন্তু তান্নাজের করা নির্দেশ যে নিশম কোন মেয়ে পিএ রাখতে পারবে না,, ছেলে পিএ রাখতে হবে তা না হলে ওর কপালে শনি আছে,, তান্নাজ তহ তান্নাজই,,, ওই যে কি তা আমরা ভালো করেই জানি,, এইভাবেই কাটছে তাদের দিন,,,
।
।
।
নিশম ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তান্নাজ আয়নায় দাড়িয়ে নিজের চুল আচড়াচ্ছে,, নিশম গিয়ে পিছন থেকে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে তার চুলে মুখ ডুবায়,, তা দেখে তান্নাজ বলে,,,
।
তান্নাজঃ আহা ছাড় তানাম এসে পরবে তহ,,
।
নিশমঃ আসলে আসবে,,
।
তান্নাজঃ আসলে ওকে কি বলবে তুমি কি করছো,,
।
নিশমঃ বলবো আমি তার মাম্মাকে আদর করছি,,,
এই বলে আরও শক্ত করে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,, আর তান্নাজের গালে ঠোঁট ছুয়ায়,, তখন তানাম এসে বলে,,
।
তানামঃ পাপা এইতা ঠিক না,,,
।
নিশম তারাতারি তান্নাজকে ছেড়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে,,
।
নিশমঃ কোনটা প্রিন্সেস,,
।
তানামঃ এইযে তুমি শুধু মাম্মা কেই আদল কলছো,, আমায় না,,
।
নিশমঃ আরেহ বাবা তাই নাকি,,, এই বলে নিশম তানামকে কোলে করে নিয়ে তার গালে একটা চুমু দিয়ে বলে,,
এই নাও তোমাকেও আদর করে দিলাম,,
।
তানামঃ ইয়েএএএএএ,,,
।
তারপর তারা সবাই মিলে ডিনার করে শুয়ে পরে,, তান্নাজ নিশমের বুকের উপর শুয়ে আছে,, আর নিশম তান্নাজের মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে,,
।
নিশমঃ জানো যখন ডাক্তার বলেছিল তোমার অবস্থা ভালো না,, তখন যেন আমার পুরো দুনিয়া থমকে গিয়েছিল,, এক মুহূর্তের জন্য ভেবেছিলাম তুমি আমার থেকে দূরে চলে গেছ,, তোমাকে হারানোর ভয় আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল,, বুঝতাছিলাম না কি করবো,, কিন্তু তুমি আমার কাছে ফিরে আসলে আর আমাদের #Love_Treatment কে সম্পুর্ণ করলে,,
।
তান্নাজঃ তোমার #Love_Treatment এই আমায় তোমার থেকে দুর করতে পারি নি,, আজ আমি তোমার #Love_Treatment এ পরিপূর্ণ,,,আর এর ফল স্বরুপ পেয়েছি আমাদের সন্তান তানামকে,, আচ্ছা সব সময় এইভাবেই আগলে রাখবে তহ আমায়,,,
।
নিশমঃ হ্যাঁ রাখবো,, আমার #Love_Treatment এর চাদরে তোমায় সবসময় আবদ্ধ করে রাখবো,, কখনো নিজের থেকে আড়াল হতে দিবো না,,,,
এই বলে নিশম আয়েশে তান্নাজকে জরিয়ে ধরে,,,
।
।
পূর্ণ হয়েছে তাদের #Love_Treatment,,, দূর হয়েছে সব ভুল বুঝাবুঝি,, নেই আর কোন বাধা তাদের জীবনে,,, এখন আছে তাদের মধ্যে শুধু অবিরাম ভালবাসা,,এখন তারা সুখি পরিবার,, যেখানে একজন আরেকজনের জান,,,
।
।
।
🌹🌹🌹 🌹সমাপ্ত🌹🌹🌹🌹🌹