Love Treatment পর্ব -৩৫+৩৬

#Love_Treatment
Part- 36
Writer- Tanzin Islam Ishika

নিশম এতক্ষন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে ছিল,, হঠাৎ সে অট্টহাসিতে মেতে উঠে,, হো হো করে হাসতে থাকে সে,, তা দেখে তান্নাজ ভ্রু কুচকিয়ে নিশমের দিকে তাকায়,, তা দেখে নিশম অনেক কষ্টে নিজের হাসি থামিয়ে বলে,,,,


নিশমঃ সত্যি যখন জেনেই গেছ তাহলে আর লুকিয়ে লাভ নেই,,,

তান্নাজঃ মানে,,,অবাক হয়ে,,

নিশমঃ মানে এইজে,, এইসবই ছিল আমার প্রতিশোধের অংশ,,আমি কখনোই তোমায়
ভালবাসি নি,, আমি সামিরাকে ভালবাসতাম ও বাসি,,, তুমি ভাবলেও কি করে যে আমি তোমার মত ডাউন মার্কেট মেয়েকে ভালবাসবো,, যার না আছে কোন ক্লাস,, না আছে কোন কিছু,, দেখতেও তহ তুমি এত আহামরি সুন্দরী না,, যে আমি তোমার প্রেমে পরব,,, আমি শুরু থেকেই সামিরাকে ভালবাসি,, তোমায় আমি কোনদিনও ভালবাসিনি,,, আমি শুরু থেকেই তোমার থেকে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছি,,, যা আমি নিয়েছিও,, কিন্তু পুরাপুরি নিতে পারি নি,, এর আগেই তুমি চলে যাও,, ততদিনে আমি তোমায় ভুলেও যাই,, কিন্তু যখন তোমায় আবার আমার অফিসে দেখি,, কেন যেন সেই প্রতিশোধের ভাবনা আবার আমায় যেকে ধরে,,, আর এমনে তখন আমি একা ছিলাম,, সামিরাও বাইরে ছিল,, আমারও কাউরো দরকার ছিল যার সাথে আমি একটু টাইম পাস করতে পারি,, ফান করতে পারি,, তাই তোমার সাথে আবার প্রেমের নাটক করি,,, আর বিয়ে,, তোমার সেল্ফ রেস্পেক্ট,, ইগো,, এটিটউড আমি ভাংগতে চেয়েছিলাম,, তাই তোমায় বিয়ে করে,, এর অবশ্য আরেক কারন আছে,, তোমাকে নিজের বেড পার্টনার বানানোর,, তাই বিয়েটা করে ফেলি,,, এতে তুমিও ইনজয় করলে প্লাস আমিও,,, বাট তোমার সাথে এত তারাতারি সব শেষ করতে চাচ্ছিলাম,, আরও কয়েকদিন তোমার সাথে কান্টিনিউ করতে চেয়েছিলাম,, কিন্তু এর মধ্যে সামিরা এসে যায়,, আর তুমিও সেই একই ঘেনোর পেনোর করছিলে,, তাই এই একটা উসিলা ধরে তোমার থেকে আলাদা হতে চেয়েছিলাম,,, কিন্তু আজকে রিয়াজ যা করেছে তাতে আমার একটু খারাপ লাগে,, তাই তোমায় একটু শান্তনা দিতে আসলাম,, বাট একদিন দিয়ে ভালোই হইসে তুমি সব জেনে গেছ,, এখন আমায় আর এত কষ্ট করতে হবে না,,

এই কথাগুলো শুনার পর তান্নাজের গা রাগে থরথর করে কাপতে থাকে,,, সে তার শরীরের সর্বচ্চো শক্তি দিয়ে নিশমের গালে চড় বসিয়ে দেয়,,,, আর চিল্লিয়ে বলতে থাকে,,

তান্নাজঃ মানুষ নিজের প্রতিশোধের জন্য এত নিচে নামতে পারে তা আমার জানা ছিল না,,, আরেহ তুই তহ একটা অমানুষ,,, তুই বার বার আমার মন নিয়ে খেললি,, আর আমি বার বার তোকে খেলতে দিলাম,,, তুই ভালবাসা মানে বুঝিস,,, তোর মধ্যে কোন ফিলিংস আসে,,, কি ভাবিস কি নিজেকে তুই,,, কি দোষ ছিল আমার যে আমাকে নিয়ে তুই এইভাবে খেললি,,, একটা না হয় থাপ্পড়ই মেরেছিলাম,,,তার জন্য তুই আমার লাইফ নষ্ট করে দিলি,, কেন এমন করলি কেন,, এই বলে তান্নাজ নিচে বসে পরে,,

তখনই নিশম তান্নাজের বাহুধর চেপে ধরে তাকে উঠায়,, আর রাগি গলায় বলে,,,

নিশমঃ তোর সাহস কিভাবে হলো আমাকে মাড়ার,,, আমাকে,,, নিশমকে মাড়ার সাহস পাস কই তুই,,,, তোর মত দুই টাকার মেয়ের কোন যোগ্যতা আছে আমার সামনে দাড়ানোর,,, সেখানে আমি তোকে আমার বউ বানিয়েছি,, ইউ সুড থেংক্স মি,, তা না,, তুই আমাকে যা তা বলছিস,,, আবার আমাকে থাপ্পড় মারা,,, এর মাশুল তহ তোকে দিতেই হবে,,,
এই বলে নিশম তান্নাজকে টানতে টানতে রুম থেকে বেরিয়ে আসে,, তারপর মেইন দরজা খুলে তাকে ঠাক্কা মেড়ে বের করে দেয়,,, আর বলে,

নিশমঃ বেড়িয়ে যা আমার বাসা থেকে,, আমার বাসার ত্রী সীমানায় ও যাতে তোকে না দেখি বুঝলি,,, আর খবরদার এই মুখ নিয়ে কোনদিন আমার সামনে আসবি না,, তা না হলে আমি যে তোর কি হাল করবো তা আমি নিজেও জানি,, চলে যা এইখান থেকে,,,
এই বলে নিশম তান্নাজের মুখের উপর ধাম করে গেটটা অফ করে দেয়,,, তারপর কাকে যেন ফোন করে,, আর কি জেন কথা বলে রেখে দেয়,, আর ফ্রেশ হতে চলে যায়,, এইখানে তান্নাজ মূর্তির মত দাড়িয়ে আছে,, সব কিছু যেন থমকে গেছে,, তার মাথা ভো ভো করছে,,, হুট করে তান্নাজের মাথা ঘুরে উঠে,, আর সে সেখানেই বসে পরে,,,আর কান্না করতে থাকে,, তারপর নিজেকে সামলিয়ে নিজেকেই বলে,,,

তান্নাজঃ তোমাকে ভালবাসার মাশুল তহ তুমি দিলে আমায়,, আজ তুমি প্রমান করে দিলে,, এই দুনিয়াতে ভালবাসা বলতে কিছুই নি,, যা আসে তা সবই মোহ,,ছলনা,, ধোকা,,, নিজের চাহিদা মিটানোর আকাংখা,, আমার জীবন তহ তুমি নষ্ট করেই দিলে,, সাথে সাথে আমার জীবন থেকে ভালবাসা ও বিশ্বাস শব্দ দুটি চিরকালের জন্য মুছে দিয়ে গেলে,, চিন্তা করো না এই তান্নাজ আর কখনো তোমার সামনে আসবে না,, আর না আমার চেহেরা তোমায় দেখতে হবে,, কিন্তু তুমি যা করেছ তার শাস্তি তুমি পাবেই,, আমার প্রত্যেক কষ্টের হিসাব দিতে হবে তোমায়,,,

এই বলে তান্নাজ কোনমতে দেয়াল ধরে দাড়ায়,, আর আস্তে আস্তে হাটতে শুরু করে,,, কিছুক্ষণের মধ্যেই সে বেড়িয়ে আসে,, আর রাস্তা দিয়ে হাটতে থাকে,,, আজ যেন তান্নাজের চোখের জল বাধ মানছে না,,, গড়িয়ে পরেই যাচ্ছে,,, যত হক ভালবাসার মানুষ থেকে পাওয়া আঘাত কেউই সহ্য করতে পারে না,, তান্নাজও পারছে,,, কিভাবেই বা পারবে,, এত বড় ঠাক্কা পেয়েছে যে তা সইতেও কষ্ট হচ্ছে তার,,
তান্নাজ রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছে,, আর নিজের চোখের জল বিসর্জন দিচ্ছে,,, হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তান্নাজের সামনে থামে,, তান্নাজ পাশ কাটিয়ে চলে যায়,, ঠিক তখন কেউ তার নাম ধরে ডাক দেয়,, সে পিছে ঘুরে দেখে মিতু,, সে আর কিছু না ভেবে মিতুকে গিয়ে জরিয়ে ধরে কান্না করে দেয়,,, তার পিছনেই হৃদয় ছিল,, হৃদয় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে তান্নাজের দিকে,,,ওকে এইভাবে কাদতে সে কখনোই দেখেনি,, মিতু তান্নাজকে জরিয়ে ধরে বার জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে,,, কিন্তু তান্নাজ কিছুই বলছে না,, শুধু কেদেই চলেছে,, তখন হৃদয় সামনে এসে তান্নাজের মাথায় হাত রাখে,, তান্নাজ তা দেখে হৃদয়কে জরিয়ে ধরে বলে,,,হৃদয় ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকে,

হৃদয়ঃ কি হয়েছে তান্নাজ,, তুই এইভাবে কাদছিস কেন,, আর এইভাবে কাদতে কাদতে কই যাচ্ছিলি,,

তান্নাজঃ ও আমায় ভালবাসা হৃদয়,, ও আমায় ভালবাসে না,,, ও আমায় ঠকিয়েছে,,, আমার ভালবাসা নিয়ে খেলেছে ওই,,, কান্না করতে করতে,,,

হৃদয়ঃ আচ্ছা আমি পরে শুনবো কি হয়েছে,, এখন আগে তুই বাসায় চল,, তারপর কথা বলবো নে,,,

তান্নাজঃ না আমি ওই বাসায় যাব না,, ও বলেছে আমার মুখও নাকি ও দেখতে চায় না,, আমি যাব না ওই বাসায়,, তুই যদি জোর করিস তোর সাথেও কথা বলবো না আমি,,,

মিতুঃ আচ্ছা তুই আমার বাসায় চল,,, ওইখানে আমরা তোর সব কথা শুনবো ঠিক আছে,, তার পর হৃদয় আর মিতু তাকে নিয়ে গাড়িতে বসায়,, মিতু আর তান্নাজ পিছনের সিটে বসে,, আর হৃদয় ড্রাইভিং সিটে,,, মিতু তান্নাজকে ধরে শান্ত না দিচ্ছে,,, কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা মিতুর বাসায় এসে পরে,,, তারপর বাসায় গিয়ে তাকে সোফায় বসায়,, মিতু তারাতারি রান্নাঘরে গিয়ে পানি আনে,,, তান্নাজের সামনে ধরতেই সে এক ঢোকে পানি খেয়ে ফেলে,,,

হৃদয়ঃ এখন বল কি হয়েছে,,,

তারপর তান্নাজ শুরু থেকে ওদের সব কিছুই ওদের বলে,, এইসব শুনে রাগে হৃদয়ের গা জ্বলতে থাকে,,, সে বসা থেকে দাড়িয়ে গিয়ে বলে,,

হৃদয়ঃ ওই শয়তানকে তহ ছাড়বো না,, সাহস কিভাবে হয় এইসব করার,,, আজ ওর একদিন কি আমার একদিন,,
এই বলে হৃদয় বেড়িয়ে যায়,, সাথে মিতুও বের হয়,, কিছুক্ষণ পর মিতু ফিরে এসে তান্নাজকে শান্তনা দিতে থাকে,,, কিন্তু কিভাবে শান্তনা দিবে তা তার জানা নেই,, নিশম যে এমন কিছু করবে তা মিতু স্বপ্নেও ভাবে নি,,, এত বাজে মানুষ কিভাবে হতে পারে তা মিতুর জানা নেই,,, একটা থাপ্পরের জন্য কেউ এইভাবে প্রতিশোধ নেয়,,
মিতু অনেক কষ্টে তান্নাজের কান্না থামায়,, তারপর ওকে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ করিয়ে একটা রুমে নিয়ে যায়,, তারপর তাকে বিছানায় বসিয়ে কিছু খাবার খাইয়ে দিয়ে ঔষধ দেয়,, ঘুমের ঔষধ,, যদি ওকে ঘুমের ঔষধ না দেওয়া হয় তাহলে তান্নাজ আজ সারারাত কান্না করবে,, ও মানসিক ভাবে পুরাই ভেংগে পরেছে,, তাই ওর এখন ঘুমানোর প্রয়োজন,, তা না হলে ওই শারিরীক ভাবেও দূর্বল হয়ে পরবে,,
মিতু তান্নাজকে শুয়ে দিতে ওর মাথায় হাত বুলাতে থাকে,, কান্না করতে করতে চোখ দুটো একদম ফুলে গেছে,, বার বার হিচকি তুলছে,, মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে,, মিতুর তান্নাজের জন্য মায়া হচ্ছে,, কিন্তু তার যে কিছু করার নেই,,, তান্নাজ ঘুমিয়ে গেলে,, মিতু রুম থেকে চলে যায়,,
এইভাবেই ৩ দিন পার হয়ে যায়,, এই কয়েকদিনে নিশন একবারের জন্যও তান্নাজকে ফোন দেই নি,, আর না খবর নিয়েছে,, নিশম এমন ভাব করছে যেন তান্নাজ নামের কাউকে চিনেই না,,
এইদিকে তান্নাজ নিজেকে ঘর বন্ধি করে রেখেছে,, আগের মত না কাউরো সাথে কথা বলে,, না হাসে,,ঠিক মত খাবার খায় না,, খাবার খেলেই বমি করে দেয়,, দূর্বলতা আর মানসিক চাপে আজ তার এমন অবস্থা,, সারাক্ষন রুমে গুটি মেরে বসে থাকে,, আর কান্না করে,,, হৃদয় আর মিতু ওর এই অবস্থা দেখে ডিসাইড করে ওকে বাইরে কোথাও একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আশা যাক,,, কিন্তু তান্নাজ যেতে নারাজ,, অনেক জোরাজোরির পর তান্নাজ রাজি হয়,, সেও চাই এইসব থেকে বের হতে,,, তাই রাজি হয়ে যায়,, কিছুক্ষণ পরেই তারা একটা পার্কে যাওয়ায় উদ্দেশ্যে রওনা দেয়,, সবাই হৃদয়ের গাড়িতে উঠে বসে,, হৃদয় গাড়ি চালাচ্ছিল এমন সময় একটা ব্লেক কালার গাড়ি হৃদয়ের গাড়ির সামনে আসে,, যার ফলে হৃদয় কশে ব্রেক মারে,, তান্নাজ আর মিতু কিছু বুঝার আগেই সেই গাড়ি থেকে কিছু লোক বেড়িয়ে আসে,, আর হৃদয়কে গাড়ি থেকে টেনে বের করে,,, আর অন্য লোকরা এসে তান্নাজ আর মিতুকে বের করে,,হৃদয় লোক গুলোর সাথে তর্কাতর্কি করছে,, তান্নাজ কিছু বলার আগেই এক লোক তার মুখে কি যেন স্প্রে করে,, তান্নাজ চারদিকে অন্ধকার দেখতে থাকে,,
মাথা ঘুরানাও শুরু করে,, কিছুক্ষণের মধ্যেই তান্নাজ অজ্ঞান হয়ে যায়,, অজ্ঞান হওয়ার আগে কে যেন তাকে তার বাহুধরে আবদ্ধ করে ফেলে,, তান্নাজের মনে হলো যে সে যেন এই স্পর্শ থেকে অনেক পরিচিত,, তার শিরায় উপশিরায় এই স্পর্শ মিশে আছে,, কিন্তু কিছু বুঝার বা দেখার আগেই তান্নাজ জ্ঞান হারায়,, জ্ঞান হারানোর আগে তার মুখ দিয়ে আপনা আপনি বের হয়ে যায়,,

তান্নাজঃ নিশম,,,

।#Love_Treatment
Part- 35
Writer- Tanzin Islam Ishika

তান্নাজ নিজের রুমে এসে মাটিতে হাটু গেড়ে বসে নিজের মুখ লুকিয়ে অঝোরে কান্না করছে,, আর বলছে,,

তান্নাজঃ আজ তোমার উপর থেকে আমার সকল আস্থা উঠে গেছে নিশম,, তুমি আমার বিশ্বাস পুরো পুরি ভেংগে দিয়েছ,, যেই বিশ্বাস আমি স্বযত্নে আবার জোরা লাগিয়েছিলাম সেই বিশ্বাস তুমি আবার ভেংগে দিলে,, আর এইবার এমন ভাংগা ভাংগলে যে পুরো চুরমার করে দিলে,, আমার লাইফ থেকে পুরো বিশ্বাস নামটাই মুছে দিলে,, কেন করলে এমন নিশম কেন,,কিভাবে পারলে আমায় ঠকাতে,, কিভাবে পারলে তুমি সামিরাকে কিস করতে,, আমার ডিসিশন তাহলে ঠিক ছিল,, তুমি যদি আমায় সত্যি ভালোবাসতে তাহলে এমন করতে পারতে না,,, আজ তোমার ভালবাসা আমায় রাস্তার মেয়ে বানিয়ে দিল,, নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে আমি তোমার মত মানুষকে ভালবেসেছি,,, সেই ছবি আর ভিডিও সব সত্যি ছিল,, সেই ব্যক্তিটির বলা প্রত্যকটা কথা সত্যি ছিল,, তুমি আমায় কোনদিন ভালোবাসো নি,,, তুমি শুধু আমায় ইউস করেছ,, আর কিছু না,, তুমি শুরু থেকেই সামিরাকে ভালবাসতে,, আমায় না,, সেই ছবি গুলোও সত্যি ছিল,, তোমায় আমি কোনদিন ক্ষমা করব না,,, কোনদিনও না,,
এই বলে আবার কান্না করতে থাকে,,,

কিছুক্ষণ পর নিশম বাসার সামনে আসে,, এসে দেখে,, মাইন দরজা খুলা,, নিশম ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকে,, তারপর বেডরুমের দিকে যায়,, যা দেখে তাতে সে আতকে উঠে,, পুরো রুমে ঘুটঘুটে অন্ধকার,, এক চাপা কান্নার কন্ঠ ভেসে আসছে তার কানে,, সে তারাতারি লাইট অন করে,, আর দেখে পুরো রুম উলোটপালোট করা,, মনে হচ্ছে কোন ঝড় এসে গেছে মাত্র,,, নিশম পুরো রুম চোখ বুলিয়ে দেখছে,, তার চোখ যে তার জানকে খুজছে,, রুমের এক কোনায় গুটি মেরে বসে আছে তান্নাজ,, হাটু গেরে মুখ লুকিয়ে কানছে,,চুল গুলো এলোমেলো,, তা দেখে নিশমের বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠে,, সে যে পারছে না তার জানের কান্না সহ্য করতে,, সে ধীর পায়ে তান্নাজের দিকে এগিয়ে যায়,,, সে তান্নাজের সামনে এসে তার সামনে হাটু গেড়ে বসে,, তারপর আলতো হাতে তাকে স্পর্শ করে,, তান্নাজ কাউরো স্পর্শ পেয়ে মুখ তুলে তাকায়,,, কান্না করতে করতে চোখ দুটো পুরো ফুলে গেছে,, আর চোখের সাদা অংশ পুরা লাল বর্ণ ধারন করেছে,,, মুখ পুরা লাল হয়ে গিয়েছে,, নিশম তান্নাজের গাল হাত রাখতে নিলে তান্নাজ তাকে এক ঝাটকায় তার হাত সরিয়ে নেয়,, আর নিশমকে ধাক্কা দেয়,, আর চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে,,,

তান্নাজঃ ছুবা না তুমি আমায় তোমার এই অপবিত্র হাত দিয়ে,,, না জানি কত জন পরনারীকে ছুয়েছে এই হাত,,, তোমাকে দেখেও আমার গা ঘৃন ঘৃন করছে,,,

নিশমঃ তান্নাজ,, এইসব কি বলছো তুমি,,, মাথা ঠিক আছে,,

তান্নাজঃ হা ঠিক আছে,, একদম ঠিক আছে,, আর আমি যা বলছি একদম সত্যি বলছি,, কেন এসেছো আমার কাছে,,, ঠকিয়ে কি মজা পাও নাই যে এখন আবার আমার কষ্ট বাড়িতে দিতে এসেছ,,

নিশমঃ দেখ জান তুমি ভুল বুঝতাসো আমায়,, তুমি যা বুঝেছ তা ভুল,,

তান্নাজঃ তুমি কোনটা ভুল বুঝাতে চাচ্ছো,, যে তোমায় ভালবাসাটা ভুল,, তোমায় নিজের জীবন ভাবা সেটা ভুল,, তোমায় বিশ্বাস করাটা ভুল,,তোমাকে নিজের ভাবাটা ভুল,, তোমার সাথে আমার বিয়েটা ভুল,, তোমার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা ভুল,, তোমার আমার সম্পর্কটা ভুল,,,

নিশমঃ তান্নাজ তুমি আমায় ভুল বুঝতাসো,, এইসব কোন কিছুই ভুল না,, তুমি আজ যা দেখছো তা ভুল,, আমি বলছি তখন কি হয়েছিল,,।

তান্নাজঃ কি বলতে চাচ্ছো আমার চোখে দেখা ভুল,, আমি যা দেখিছি তা ভুল,,,

নিশমঃ হা হা ভুল,,,

তান্নাজঃ তাহলে তোমার আর সামিরার সম্পর্কটা কি আমায় বলবে,, যার জন্য তুমি আমায় ভুলে গেলে,, যার জন্য আমাকে তুমি অবহেলার পাত্রী বানালে,,, আমায় দূরে সরিয়ে দিলে,,, বলো,,

নিশমঃ সামিরা আর আমি ফ্রেন্ডস আর কিছু না বিশ্বাস কর,, আর তোমায় আমি দূরে সরাই নি,, তুমি আমায় বাধ্য করেছ তোমার থেকে দূরে যেতে,,

তান্নাজঃ আমিইইইইই,,,

নিশমঃ হা তুমি,, কত কি না করেছি তোমাকে নিজের করার জন্য,, কতবারই না মাফ চেয়েছি সেই ভুলের জন্য,, তোমায় নিজের স্বর্বস্র দিয়ে দিয়েছিলাম,, তোমায় নিজের সব ভালবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছিলাম,, কিন্তু তার বদলে তুমি আমায় কি দিলে,,, এক রাশ অবহেলা,, সব সময় আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে,, আমার স্পর্শ নাকি তুমি সহ্য করতে পারো না,,, সব সময় একই কথা আমি তোমায় ঠকিয়েছি,, আচ্ছা আমি না হয় একবার ভুল করেই ফেলেছি,, কিন্তু তার জন্য কি আমি শাস্তি পাই নি,, কম কি শাস্তি পেয়েছি আমি,, বলো,, তুমি শুধু সেই একটা জিনিসই দেখলে,, আর বাকি সব তোমার চোখে পরলো না তোমার,, তোমার জন্য আমার ভালবাসা,, আমার অস্থিরতা,, আমার না বলা অনুভূতি,, তোমায় নিয়ে আমার ভাবনা কেয়ারিং,, তোমায় নিজের কাছে রাখার তীব্রতা,, আমিও তহ মানুষ বল,, আমারও তহ কষ্ট হয়,, হয়তো তা আমি কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি না তোমার মত,, কিন্তু হয়তো,, তোমার অবহেলা আমায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল,, তাই যখন সামিরা আমার সাথে দেখা করতে আসে তখন তাকে দেখে আমার মাথায় এই বুদ্ধিটা আসে যে তোমায় বুঝানোর যে ভালবাসার মানুষ অবহেলা করলে কেমন লাগে,৷ নিজে ভালবাসার মানুষের সামন্য ভালবাসা না পেলে কেমন লাগে,, তাই ওইদিন এমন করেছিলাম,, কিন্তু আমি শুধু তা সেইদিনের জন্যই করতে চেয়েছিলাম,, আমি ভেবেছিলাম তুমি হয়তো তোমার ভুল বুঝতে পারবে,, কিন্তু না তুমি উল্টা আমায় আরও দূরে সরিয়ে দিলে,, তাই রাগের বসে সিদ্ধান্ত নেই তোমায় আজ থেকে অবহেলা করবো,, পরে যখন মাথা ঠান্ডা হয় তখন আমি মিতুকে এই বিষয় শেয়ার করলে সে আমায় বলে এমন করতে,, এতে নাকি তুমি তোমার ভুল বুঝতে পারবে,, যে ভালবাসার মানুষ অবহেলা করলে কেমন লাগে,, আর একসময় সহ্য করতে না পেরে আমার কাছে এসে ধরা দিবে,, কেন না বাঙ্গালী নারী আর যাই করুক কিন্তু নিজের স্বামীর ভাগ কখনও কাউকে দিতে রাজি না,, তাই আমিও এমনই করি,, কিন্তু বুঝি নি তোমায় অবহেলা করতে গিয়ে এত বেশি অবহেলা করে ফেলব,, বিশ্বাস কর যত না তোমায় কষ্ট দিয়েছি তার চেয়ে বেশি নিজে কষ্ট পেয়েছি,, আমি সামিরার সাথে এই জন্য মিশতাম যাতে তুমি জেলাস ফিল করো,, কিন্তু এর জন্য যে এত কিছু হয়ে যাবে বুঝি নি,, জান আমি এইসব তোমার ভালবাসা পাওয়ার জন্য করছি,,, বিশ্বাস কর,,

তান্নাজঃ বিশ্বাস তাও তোমাকে কোনদিনও না,,, আচ্ছা আমাকে দেখানোর জন্য কি সামিরার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়া অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল,,, তাকে কিস করা অনেক দরকার ছিল,, নাকি আমার কাছে নিজের চাহিদা মিটাতে না পেরে অন্য মেয়ের কাছে যেতে হয়েছিল তোমায়,, ওই সামিরার কাছে,, নাকি তোমার দুইটা মেয়ে লাগে,,

নিশমঃ তান্নাজজজজ,,,

তান্নাজঃ উহুম,, আওয়াজ নিচে,,, তুমি কি মনে করো আমি কিছু জানি না,, তুমি যে আমায় না সামিরাকে ভালবাস তা আমি জানি,, আগেও সামিরা কেই ভালবাসতে আর এখনও,, আমি তোমার কাছে শুধু একটা খেলার পুতুল ছিলাম,, যাকে কিনা তুমি নিজের মত চালাতে পারতে,, নিজের চাহিদা মিটানোর জন্য ব্যবহার করতে পারতে,,, আর এখন কাজ শেষ বলে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছো,,, কেন করলে নিশম এমন কেন,, কেন এইভাবে ঠকালে আমায়,, কি দোষ ছিল আমার,, কেন এমন করলে,,, কেন ভালবাসার নাটক করলে আমার সাথে,, কেন,,

নিশমঃ আমি কোন নাটক করে নি,, আমি সত্যি ভালবাসি তোমায়,,, আর কি বলছো এইসব,, আমি আগে সামিরাকে ভালবাসতাম,, আমি আগেও তোমায় ভালবাসতাম,,, এখনও তোমায় ভালবাসি,, আর তোমাকেই ভালবাসবো,,,

তান্নাজঃ মিথ্যা সব মিথ্যা,, তুমি আমায় কোন দিন ভালবাস নি,, সব ছিল তোমার ছলনা,, তুমি শুধু আমায় ইউস করেছো আর কিছুই না,,, আচ্ছা তোমার মাথা কি একবারও আসলো না যে তোমায় অন্য মেয়ের সাথে দেখেও আমি এত চুপ কেন,, কেন এত কিছু মুখ বুঝে সহ্য করছি,, কেন এত কিছুর পরেও এত শান্ত শিষ্ট আছি,,, হা তুমি ঠিকই বলেছ বাঙ্গালী মেয়ে আর যাই করুক নিজের স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দিতে পারে না,,,আমিও পারি নি,, কিন্তু তাও আমি এইসব সহ্য করেছি,, আমি নিজেই তোমায় নিজের থেকে দূরে সরিয়েছি,, সেইরাতে যখন তুমি আমায় ওইসব কথা বললে তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমার রাগ বাড়াই যাতে তুমি আমায় অবহেলা করে সে সামিরার সাথে বেশি মিশ৷ আমি দেখতে চেয়েছিলাম তোমার মনে কি আদো ওর জন্য কোন ফিলিংস আছে কিনা,, আগের সেই ভালবাসা এখনও আছে কি না,, নাকি সত্যি তুমি আমায় ভালবাস,, জানো কাল পর্যন্ত আমার মনে হয়েছিল তোমার মনে ওই সামিরার জন্য বিন্দু মাত্র ফিলিংস নেই,, কিন্তু আজ আমি যা দেখলাম তাতে আমি ভুল প্রমানিত হলাম,,, তুমি আমায় কোনদিন ভালোবাসই নি,, তুমি শুধু আমার সাথে ছলনা করে গিয়েছ,, তোমার ভালবাসাও মিথ্যে ছিল,,

নিশমঃ না আমার ভালবাসা মিথ্যা ছিল না,, আর না আমি কোন ছলনা করেছি,,, আর তুমি আজ দেখছো তা ভুল,,, তা সত্য নয়,,, আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয় নি,,

তান্নাজঃ তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো আমি যা দেখেছি তা ভুল,,,

নিশমঃ হা ভুল,, সব সময় চোখের দেখা সত্যি হয় না,,,

তান্নাজঃ আচ্ছা মানলাম আমি আজকে যা দেখেছি তা ভুল,, কিন্তু আগে তোমাদের মধ্যে যা ছিল তাও কি ভুল,,,

নিশমঃ মানে,, কি বলতে চাইছো তুমি,,

তান্নাজঃ এখন তহ বুঝবা না,,ওয়েট,,

এই বলে তান্নাজ নিজের মোবাইল খুজতে লাগলো,, তারপর কিছু একটা বের করতে লাগলো,,, বের করে তা নিশমের সামনে ধরলো,, সে দেখলো কিছু ছবি,,,
নিশম তান্নাজের হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে সেই ছবিগুলো দেখতে থাকলো,, ছবি আর কাউরো না নিশম আর সামিরার,,, তাও বেশ পুরানো,,, একেক ছবি তে নিশম সামিরার একেক টাইপের ছবি,, যেমন নিশম আর সামিরা অনেক ক্লোসলি ডান্স করছে,, সামিরা তার কাধে মাথা রেখে বসে আছে,, সামিরা তাকে খায়িয়ে দিচ্ছে,,, আর কয়েকটা ছবি একটু বেশি ঘনিষ্ঠতা দেখা যাচ্ছে,, এইসব দেখে নিশম স্তব্ধ হয়ে যায়,, তারপর কিছু বলতে যাবে তার আগেই তান্নাজ বলে,,

তান্নাজঃ আমি জানি তুমি এখন বলবে এই ছবিগুলো মিথ্যা,, তুমি আর সামিরা জাস্ট ফ্রেন্ড,, এইগুলা তখনই তুলা,, তাহলে এই ভিডিওটাও কি মিথ্যা,,

তান্নাজ মোবাইল হাতে নিয়ে ভিডিওটা অন করে,, তারপর নিশমের সামনে ধরে,,, এই ভিডিওটা সেই ৫ বছর আগের নিশমের বার্থডের,,
সেখানে দেখা যাচ্ছে নিশম উল্টো হয়ে দারিয়ে আছে,, সেখানে তার চেহেরা দেখা না গেলেও তার পিছন দিকটা দেখা যাচ্ছে,, যে কেউ দেখলে বলতে পারবে সে নিশম,, পাশেই তার ফ্রেন্ডগুলো বসা,, তখন রায়ান বলে,,

রায়ানঃ কিরে নিশম,, তুই কি সত্যি তান্নাজকে ভালোবাসতে শুরু করলি নাকি,,,

নিয়ানঃ তাই তহ মনে হয়,,, দেখলি না আজকে কিভাবে তান্নাজের কাছে নিজের ভালবাসাই নিয়ে গেল,, নিজের ভালবাসা কিভাবে দাবি করলো,, আচ্ছা তোর চয়েস এত খারাপ কবে থেকে হলো রে,,

নিশমঃ চুপ একদম চুপ,, তোদের কি মনে হয় আমি ওই মিডিল ক্লাস টাইপ মেয়েকে ভালবাসবো,,, লাইক সিরিয়াসলি,,, ওই মেয়ের কোন যোগ্যতাই নেই আমার সামনে দাড়ানোর,, ওর মত হাজারটা মেয়ে আমার পিছে পিছে ঘুরে বুঝলি,,,

নিয়ানঃ তাহলে আজ যে এমন করলি,, তুই তহ শুধু তোর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলি,, আর চেয়েছিলি যাতে ওর মন ভেংগে যায়,, তা তহ হলোই,,, তাও আজকে এমন সিন ক্রিয়েট করলি কেন,, আর কেন বার বার বললি ওকে তুই ভালবাসিস,,,

নিশমঃ হুম আমি মানছি,, আজকে ওর মন ভেংগেছে,, কিন্তু আমার প্রতিশোধ যে শেষ হয়নি,,, আগে আমি ওর মন ভাংতে চাইলেও এখন আমি দেমাক ভাংতে চাই,, ওর এটিটিউড মাটিতে মিলাতে চাই,, আমাকে,, নিশমকে এত দিন ঘুরানোর সাহস হয় কিভাবে ওর,, তাও দাম দেয় নাই,, পাগলের মত ঘুরিয়েছে,, যেখানে সব মেয়ে আমার জন্য পাগল,, আমার পিছে পিছে ঘুরে সেখানে সামন্য একটা মেয়ে আমায় ইগনোর করছে,, ভাবা যায়,, তখন আমার ইগো হার্ট হয়,, তাই তহ ওকে নিজের প্রতি উইক করতে থাকি,, এন্ড করেও ফেলি৷ এখন আমার শুধু ওর মন,, দেমাক,, এটিটিউড,, সেল্ফ রিস্পেক্ট,, সব কিছু মাটিতে মিশাতে চাই,, ওকে তিলে তিলে যন্ত্রণা দিতে চাই,, এখন তহ জাস্ট শুরু,, কিন্তু আজকে এইভাবে এইটা চাই নি,, যাই হোক যা হয় ভালোর জন্যই হয়,, ওকে তহ আবার আমার কাছে আসতেই হবে,, ওকে যে আরও কষ্ট দেওয়া বাকি আছে,,, বাট এ ছাড়াও আরেকটা কারন আছে,।

রায়ানঃ কি৷

নিশমঃ আমার ওকে দিয়ে এখনও মন ভরেনি,, আমি আরও কিছুদিন ওর সাথে টাইম পাশ করতে চাই,, আফটার ওল সামিরা আসা আগ পর্যন্ত কাউকে তহ আমার দরকার তাই না,, সামিরা যতদিন না আসতাসে ততদিন না হয় ওর সাথেই ঘুরলাম,,,

নিয়ানঃ আচ্ছা তুই কি সামিরাকে নিয়ে আদো সিরিয়াস,, নাকি তুই তান্নাজকে ভালোবাসতে শুরু করেছিস,,,

নিশমঃ তোর কি মাথা খারাপ হইসে,, কই সামিরা আর কই ওই মেয়ে,, সামিরার পায়ের নখের সমানও না সে,,, সামিরার মত এত মর্ডান,, বিউটিফুল মেয়েকে রেখে আমি ওই মেয়েকে ভালবাসবো,, আমি সামিরাকে নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস,, আই লাভ হার আ লোট,, আর এমনেও সামিরা আসা আগ পর্যন্ত তান্নাজের সাথে একটু ফান করাই যাই,,এতে আমার প্রতিশোধের প্রতিশোধ নেওয়া হলো,, প্লাস টাইম পাস ও হলো,,আর এমনেও এইটা ও আমার জন্য একটা টিস্যু পেপারের মত,, যাকে আমি ইউস করছি,, আর একটা সময় সামিরা আসলে ওকে জাস্ট ফেলে দিব,, সিম্পাল,,,

রায়ানঃ ইউ আর জাস্ট টু গুড ম্যান,,,

ভিডিও শেষ হওয়ার পর নিশম সেইভাবে দাড়িয়েই থাকে,, তা দেখে তান্নাজ বলে,,

তান্নাজঃ কি এখনও কিছু বলা আছে তোমার,,, নাকি এখনও বলবে এইসব মিথ্যা,, এই ছবি গুলো মিথ্যে,, এই ভিডিওটা মিথ্যা,, আমি যখন এইসব দেখি তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে একটা প্রতিশোধ নিতে মানুষ এত নিচে নামতে পারে,, ঘৃণা হচ্ছিল তোমার প্রতি,, আর নিজের প্রতি যে তোমার মত মানুষকে আমি ভালো বেসেছিলাম,, তাই তহ সেইদিনই চলে আসি তোমার থেকে দূরে,, আমায় খুজে পাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম,, কারন আমি যে আর কোন কষ্ট হইতে পারতাম না,,কিন্তু ভাগ্যের কি খেল,, যখন নিজেকে তোমার সকল মায়া জ্বাল থেকে বের করে ফেলেছিলাম তখনই তুমি এসে আমার সামনে হাজির হলে,,, আপন করে নিলে আমায়,, এইবার সত্যি মনে হয়েছিল তুমি আমায় সত্যি ভালবাস,, আবার বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম তোমায়,, কিন্তু তার আগেই তুমি তোমার আসল রং দেখিয়ে দিলে,, ঠিকই আমি তোমার জন্য টিস্যু পেপারের মত,, প্রয়োজন ফুরিয়ে আশার পর ফেলে দিলে,, আর দিবেই বা না কেন,, তোমার সামিরা এসে গেছে তাই না,, যখন তুমি সামিরাকেই ভালবাসতে তাহলে কেন করলে আমায় বিয়ে,, কেন আবার নিজের ভালবাসা নিয়ে আসলে আমার কাছে,, ভুলেই তহ গিয়েছিলাম তাহলে কেন আবার আমার লাইফে আসলে,, কান্না মিশ্রিত কন্ঠে,,

নিশম এতক্ষন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে ছিল,, হঠাৎ সে অট্টহাসিতে মেতে উঠে,, হো হো করে হাসতে থাকে সে,, তা দেখে তান্নাজ ভ্রু কুচকিয়ে নিশমের দিকে তাকায়,, তা দেখে নিশম অনেক কষ্টে নিজের হাসি থামিয়ে বলে,,,,



চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here