Marriage_With_Benefits part 11

#Marriage_With_Benefits
#Part_11
Writer::Shaanj Nahar Sanjida
.
.
তুমি যদি আমাকে কিছু বলতে না চাও কোনো সমস্যা নেই।(কলি)

আসলে আমি এই অনাথ আশ্রমে থাকতাম।যখন আমার আঠারো বছর হয় তখন আমি হোস্টেলে চলে যাই। খালা আমাকে অনেক আদর করে।তাই এই আশ্রমের সকল অনুষ্ঠানে আমাকে ডাক দেয়।আর এই আশ্রমের বাচ্চারাও আমাকে খুব ভালোবাসে।(আমি)

ও আচ্ছা।(কলি)

হুম।(আমি)

এইনাও তোমার সাজানো হয়ে গেছে এখন তুমি পুরোপুরি তৈরি
কলি এইটা বলতেই আস্থা পেট থেকে গুড়গুড় আওয়াজ আসলো।

সেকি আসু তুমি এখনও খাও নি?(কলি অবাক হয়ে)

আসলে সময় হয়ে উঠেনি।(আমি)
কি করে বলবো?খাবার খেতে গেলে মি:কোবরা আমাকে গিলে খাবে।(আমি মনে মনে)

দাড়াও আমি ফোন করে কাউকে খাবার আনতে বলছি।(কলি ফোন হাতে নিয়ে)

না।আন্টি থাক।আমি গিয়েই খাবার খেয়ে নিতে পারবো।আপনার কোনো কষ্ট হবে না।(আমি)

আরে এতে কষ্টের কি আছে?
বলেই কলি একজনকে ফোন করে খাবার আনতে বললো।

আন্টি আমার কোনো কথাই শুনলেন না।আমার জন্য খাবার এনে এখন নিজের হাতে আমাকে খাওয়াচ্ছে।উনি আমাকে দিয়ে উনার মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করছে আর আমি উনাকে দিয়ে আমার মায়ের ইচ্ছা। খালার পর উনিই একমাত্র মানুষ যে আমাকে এতো আদর করে খাইয়ে দিচ্ছে।সত্যিই আজ আমার খুশির কোনো সীমানা নেই মনে হচ্ছে।আজ যেনো খুশি এসে আমার কোলে ঢলে পড়ছে।(আমি মনে মনে)

মেয়েটা কে কেনো জানি অনেক আপন লাগছে।ওকে খাইয়ে দিচ্ছি কিন্তু মনে হচ্ছে নিজের মেয়েকে খাইয়ে দিচ্ছি।কেনো এমন মনে হচ্ছে আমার?ওর সাথে তো আমার রক্তের কোনো টান নেই।তবুও খুব কাছের মনে হচ্ছে।কে তুই মা?(কলি)


খাওয়া শেষ করে
তাহলে আমি এখন উঠি।তোমার সাথে দেখা হয়ে অনেক ভালো লাগলো আসু।আশা করি আবার দেখা হবে।(কলি)

আমারও অনেক ভালো লাগলো আন্টি।(আমি)

তুমি তোমার পারফর্মেন্সের প্রস্তুতি নাও।আমি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো।
বলেই কলি আস্থার গালে হাত দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।

কলি চলে যাওয়ার পর
আমি বলেছিলাম আজ মি:কোবরার জন্য পারফর্ম করবো না।কিন্তু না।আন্টি আমি আপনার জন্য আজ পারফর্ম করবো।
আমি মুচকি হেসে কথা গুলো বললাম।

ডালিয়া রুমে এসে
ফকিন্নি!তোকে আমি কতো খুজতেছি।আর তুই এই রুমে এসে ডিম পারছিস?কতো খারাপ তুই!আমাকে ফাঁসিয়ে চলে গেলি।তুই জানিস আমি কি করে সব সামলিয়ে এসেছি! খালা তো রীতিমতো রেগে বোম হয়ে আছে।আমাকে কতো বকা খেতে হয়েছে তোর জন্য আর তুই নিশ্চিন্তে কোথায় গিয়ে বসে ছিলি বল তো!

আমি ডালিয়ার কোনো কথাই শুনতে ছিলাম না।আমি শুধু কলি আন্টির কথা ভাবতেছিলাম।

কিরে কোথায় হারিয়ে গেলি।(ডালিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে)

মিস:বকবক।এখন বকবক কম করে পারফর্মেন্সে মনোযোগ দাও।(আমি ডালিয়ার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে ওকে চুপ করিয়ে)

ডালিয়া আমার কপালে হাত দিয়ে বললো
এই তোর জ্বর টোর কিছু হই নি তো?এতক্ষন তো পারফর্মেন্সের নামশুনে আলসেমী দেখাচ্ছিলি।আর পরে তো গায়েব হয়ে গেছিলি এখন পারফর্ম করার জন্য আর তোর সইছে না।

যা ভাবার ভাব।কিন্তু এখন না পরে এখন আমাদের পারফর্ম করতে হবে। লেটস গো।
বলেই ডালিয়াকে নিয়ে স্টেজের হাঁটা শুরু করলাম।

সামনেই খালা
আসু,,,

খালাকে চুপ করিয়ে,,
খালা আগে পারফর্ম করতে দাও।তারপর যতো বকা দেওয়ার দিও।

বলে সেখান থেকে স্টেজের দিকে হাঁটা শুরু করলাম।

খালা অবাক হয়ে বললো
এই মেয়ের হলো কি?


স্টেজের পর্দা টানানো হলো
আমি স্টেজের মাঝখানে গিটার নিয়ে চেয়ারে বসে আছি।আমার চারপাশে বাচ্চাকাচ্চা আর ডালিয়া পজিশন মতো দাড়িয়ে আছে।এটাই শেষ পারফর্মেন্স।

স্টেজ থেকে পর্দা সরাতেই আভি অবাক।
এই মেয়ে স্টেজে কি করছে?(আভি মনে মনে)

এইটা আস্থা না?(নিহাল আভি কে প্রশ্ন করলো)

এখন বিশ্বাস হলো তোর!আমি সেই কখন থেকে বলছি।যে আমি মিস:পেঁচাল কে দেখেছি।কিন্তু তুই বিশ্বাসই করতে চাস নি।(আভি নিহালকে রাগ দেখিয়ে)

সরি।বন্ধু এখন থেকে চোখ বন্ধ করে তোকে বিশ্বাস করবো।(নিহাল আভির পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে)

নাহ।ভাই চোখ খোলা রেখে বিশ্বাস করলেই আমার জন্য যথেষ্ট।(আভি হাত জোড় করে)

ওকে ওকে।(নিহাল)

ওই মেয়ে কি করছে স্টেজে?(আভি)

মনে হয় পারফর্ম করবে!(নিহাল)

আমিও জানি স্টেজে মানুষ পারফর্ম করে।কিন্তু ওই মেয়ে স্টেজ কেনো? ও কি পারফর্ম করবে? ও তো ঝগড়া ছাড়া আর কিছু পারে না।(আভি ভ্রু কুঁচকে)

হয়ত তোর সাথে ঝগড়া পারফর্ম করবে। অবশ্য তোদের ঝগড়া সব পারফর্মেন্সকে হার মানায়!একদম পয়সা অসুল পারফর্ম করিস তোরা।(নিহাল টিটকারি করে)

সত্যিই তাই না?(আভি😒)

আরে দেখো আবার রাগ করছে।কি কথায় কথায় রাগ করিস ইদানিং?(নিহাল)

কারণ ইদানিং আপনি একটু বেশিই পিন মূলক কথা বলছেন।(আভি)

আচ্ছা।বাদ দে পারফর্মেন্স দেখ।
বলেই নিহাল মনোযোগ দিলো।আর তখনই ডালিয়া চোখ টিপ মারলো নিহালকে।

নিহাল। মেয়েটা মনে হয় তোকে চোখ টিপ মারলো (আভি)

আরে না।তুই ভুল দেখেছিস।(নিহাল)
কোনো ভাবেই আভি কে বুঝতে দেওয়া যাবে না।তাহলে আবার আমাকে পচানো শুরু করবে।কিন্তু এই মেয়ের কি হলো?তখন খাবারের সময়ও আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে ছিলো।এখন স্টেজে দাড়িয়ে সবার সামনে আমাকে চোখ টিপ মারলো।কি হচ্ছে কি?কি চলছে এই মেয়েটার মনে?যাই চলুক খুব ভয়ানক কিছু।


স্টেজে থেকে আমি কলি আন্টির দিকে তাকালাম আর উনিও আমাকে ইশারা দিয়ে বললো ভয় নেই আমি তো আছি।এখন আমার মনে হচ্ছে আমি আমার মার সামনে বসে পারফর্ম করতে চলেছি।

একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে শুরু করলাম
(আগুনের দিন শেষ হবে এক দিন
ঝর্নার সাথে গান হবে এক দিন)

আস্থার গলা দিয়ে গানের শব্দ গুলো বের হতেই আভি অবাক হয়ে গেলো
এই মেয়ে এত সুন্দর করে গান গাইতে পারে।আমি তো জানতাম ও,,,,
আভি অবাক হয়ে শুনছে।

(এই পৃথিবী ছেড়ে চলো যাই
স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে সীমাহীন)

মেয়েটা খুব ভালো গান গায় তাই না?(জিসান)

আস্থা।(কলি)

কিহ!(জিসান)

ওর নাম আস্থা।(কলি)

খুব ভালো আস্থা।মনে হচ্ছে আমার নিজের মেয়েকে পারফর্ম করতে দেখছি।বুকটা কেনো জানি গর্বে ভরে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে সত্যিই আমার আগুনের দিন শেষ।এখন এক জন আমার সামনে এসে তার ঝর্নার সাথে আমার সব দুঃখ মুছে ফেলছে।এক দেখায় তোমার সাথে আমি এতো আপন হয়ে গেছি।(কলি মনে মনে)

(আগুনের দিন শেষ হবে একদিন
ঝর্নার সাথে গান হবে এক দিন
এই পৃথিবী ছেড়ে চলো যাই
স্বপ্নের শিরি বেয়ে সীমাহীন)

(হৃদয়ে জ্বলছে যে বন্নি
সে একদিন তারা হয়ে জ্বলবে
জোৎস্নায় মিল হবে ওমনি
সেই আলোর পথ চলবে
যেই যাত্রায়,,
কেনো হায়
ভয় হয় নিশিদিন,,)

(আগুনের দিন শেষ হবে একদিন
ঝর্নার সাথে গান হবে একদিন
এই পৃথিবী ছেড়ে চলো যাই
স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে সীমাহীন)

(জোনাকির গান বুঝি থামলো
চাঁদনী যে এলো কালো আড়ালে
শিশিরের স্নান করে ভোর হয়
তুমি এসে দুটি হাত বাড়ালে
এই ভুবন যে নতুন
এই শপন যে চিরদিন)

(আগুনের দিন শেষ হবে একদিন
ঝর্নার সাথে গান হবে একদিন
এই পৃথিবী ছেড়ে চলো যাই
স্বপ্নের শিরি বেয়ে একদিন (*3)

আমি গিটার বাজাতে বাজাতে গানটা শেষ করলাম।

নিজেকে কেনো জানি অনেক হালকা লাগছে।এই গান যেনো আমার মনের কথাই বলছে।কলি আন্টি এসে স্টেজে আমার মাথায় একটা চুমু দিয়ে বলল
তুমি খুব সুন্দর গান করো!আমার খুব ভালো লাগলো।দোয়া করি অনেক বড় হয়।

সত্যিই মা তুমি খুব ভালো গান গাও।আর এই গানটা তোমার গলায় খুব মানিয়েছে!(জিসান আঙ্কেল আমার মাথায় হাত রেখে)

থ্যাঙ্ক ইউ আঙ্কেল।আপনাদের ভালো লাগলো এতেই আমি অনেক খুশি।

কিরে গান শুনে এতই অবাক হলি যে মুখ হা হয়ে গেলো?(নিহাল আভি কে ধাক্কা দিয়ে)

হ্যা। হ্যাঁ।এই মেয়ে এতো ভালো গান গাইতে পারে আগে তো জানতাম না।(আভি অবাক হয়ে)

মেয়েটা অনেক সুন্দর গান গেয়ে শুনালো।আর তুই ওকে একটা সাবাশী দিবি না?(নিহাল)

হুম।চল দেয়া তো দরকার।শত হোক ও আমার ভালোবাসার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
বলেই আভি নিহালকে নিয়ে স্টেজে গেলো।

আমি স্টেজে দাড়িয়ে আছি সবাই আমাকে সাবাশী দিচ্ছে।আর আমারও সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে ভালোই লাগছে।হটাৎ আমার সামনে মি:কোবরা এসে দাড়িয়ে বললো
খুব ভালো ছিলো গানটা!(আভি মুড নিয়ে)

আর গান গাওয়ার মানুষটা?(নিহাল টিটকারি করে)

ভালো।(আভি)

আমি অবাক! মি:কোবরা আমার প্রশংসা করছে?(আমি মনে মনে)

আর নাচের মানুষটা?(ডালিয়া নিহালে পাশে গিয়ে)

আ,,হা।ভালো ভালো!(নিহাল চিন্তিত হয়ে)

ডালিয়া আর নিহালের কথোপকথন শুনে আমি আর আভি (😒)

আভি চল চল যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে।চল যাই চল চল।
বলেই নিহাল টানতে টানতে আভি কে নিয়ে গেলো।
এখানে আমি কি হলো কিছুই বুঝলাম না।

সেদিন খুব ভালোই গেলো দিনটা।আমি আর মি:কোবরা আর ঝগড়া করি নি।কিন্তু যখন কলি আন্টি বিদায় নিতে আসলো তখন মনটা খুব ভার হয়ে গেলো।তবুও তাকে বিদায় দিতে হবে কারণ ধরে রাখার কোনো কারণ আমার কাছে নেই।কলি আন্টি যাওয়ার আগে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো
খুব শীগ্রই আবার দেখা হবে।

আমি উনার এই কথায় শুধু একটু হাসি দিলাম।


অনেক দিন পর
আমি আবারও মি:কোবরার কেবিনে বসে আছি।কারণ উনি আবারও আমাকে কিডন্যাপ করছে।মেজাজ গরম করে সোফায় বসে আছি।সামনে হেরোদের মতো পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে মি:কোবরা।আগে থাকলে উনার হ্যান্ডসাম চেহারা দেখে লাইন মারতাম।কিন্তু এখন শুধু মাত্র উনার গলা চেপে ধরতে মন চাচ্ছে আমার।

আচ্ছা।আমি ATM এ রাখা আপনার টাকা।যে কোনো সময় তুলে আনবেন?(আমি দাঁত চেপে)

নিহাল প্লিজ একে বল।(আভি নিহালের দিকে তাকিয়ে)

আবার নিহালকে বল।নিহাল কেনো বলবে!আপনি তুলে আনছেন।আপনি বলেন।(আমি রেগে)

এক মিনিট আস্থা।আমি তোমাকে সব খুলে বলছি।(নিহাল)

আমি শান্ত হয়ে বসলাম নিহালের কথা শুনতে।

আসলে তোমাকে আমাদের দরকার।(নিহাল)

কেনো?আমাকে কেনো দরকার?(নিহাল)

আমি তোমাকে ব্যাপারটা খুলে বলছি।

অতীত
কাল রাতে
নিহাল।do something,, মি: আরমান চৌধূরী এসেই এখন আমার বিয়ের গীত শুরু করে দিছে।কিন্তু তুই তো জানি আমি উনার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবো না।কিছুতেই না।উনি আমার মার সাথে যা করেছে।তার জন্য আমি উনাকে কখনও ক্ষমা করবো না।(আভি)

কিন্তু এখন কি করবি?উনি তো তোর বিয়ে না দিয়ে দম নিবে না।আর যতক্ষণ বিয়ে না করবি ততক্ষণ উনি বিয়ের মালা জপবে।(নিহাল)

তাই তো কথা।কিন্তু উনার পছন্দে আমি বিয়ে করতে পারবো না।উনি আমার মাকে যেই কষ্ট দিয়েছে।আমার বাবা উনার জন্য যেই কষ্ট ভুগতেছে।তারপর উনার,,,,(আভি মনমরা হয়ে)

আভি চিন্তা করিস না।একটা একটা না উপায় বের হবেই।(নিহাল আভির পিঠে হাত বুলিয়ে)

আমাদের এমন একটা মেয়ে দরকার যে মি:আরমান চৌধুরীকে টক্কর দিতে পারবে।আমি উনাকে বুঝিয়ে দিতে চাই আমার মার জায়গা চৌধূরী পরিবারে কেমন!(আভি রাগে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে)

আভি আর নিহাল গভীর চিন্তায় মগ্ন।সেদিন রাত ওদের চিন্তা করতে করতে পার হলো।


পরের দিন সকালে
বাহ!পার্ট টাইম জব আর ভার্সিটি খুব সুন্দর ভাবে চলছে।এতো ভালোভাবে সব কিছু মেনেজ হবে ভাবতেই পারি নি।কি শান্তি এখন আমার জীবনে (রাখো! শান্তি কই যায় দেখবা — লেখিকা)।আজ একটু আগে যাবো। রিকশায় পেলেই হয় এখন।
এইসব বলেই হোস্টেল থেকে বের হলাম আমি।

আজ ভাগ্য এতো ভালো ছিলো যে বের হতেই একটা রিকশা পেয়ে গেলাম।

এই রিক্সা।যাবেন?(আমি)

কোথায় যাইবেন?(রিক্সাওলা)

নেশন্যাল ভার্সিটিতে।(আমি)

জ্বি।উঠেন।(রিক্সাওলা)

আমি চটপট উঠে গেলাম।আমি রিক্সায় উঠে বইয়ে মুখ গুজে দিলাম।কিন্তু হটাৎ কি হলো জানি না।আমি, রিকশা চালক সহ রিকশা নিয়ে উল্টে পরে গেলাম।

আমি হাতে ভালোই চোট পেয়েছি।কিন্তু রিকশা চালক মাথায় চোট পাওয়ায় উনার মাথা থেকে রক্ত পড়ছে।আর উনার রিকশা প্রায় ভেঙেই গেছে।

আমি উনাকে টেনে তুললাম।উনি উনার নিজের অবস্থা থেকে রিকশা নিয়ে কান্নাকাটি করা শুরু করে দিয়েছে।এইটা নাকি উনার রিকশা না উনার মালিকের।এই রিকশার কিছু হলে সব ক্ষতি পূরণ উনাকে দিতে হবে।আর উনার এতো সামর্থ নেই যে উনি এই টাকা পূরণ করবে।

আমি তাকিয়ে দেখি একটা সাদা গাড়ি দাড়িয়ে আছে।আর এই সাদা গাড়িটাই আমাদের ধাক্কা দিয়েছে।তাই আমি ওই গাড়িটার কাছে গেলাম।

এই শুনছেন।(আমি গাড়ির জানালার কাছে দাড়িয়ে)

তখনই গাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে আসলো।দেখে আমার দাদার বয়সের মনে হলো।ভাবলাম উনি হয়ত সরি বলবেন।উনার ড্রাইভারের ভুলের কারণে ক্ষমা চাইবে কিন্তু না।উনি তো ক্ষমা দূরে থাক উনি যেই কথা বললেন টা শুনে আমার উনার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাই কাজ করলো না।
উনি বললেন
যতো সব ছোটো লোক।ভিক্ষারির দল।আমার গাড়িতেই আসলো মরতে।এই তুই(রিকশা চালক) কি জায়গা পাস না মরার।ছোটো লোকের দল কোথাকার।যেই দেখে বড়োলোকের গাড়ি এসে পড়ে মরতে।
.
.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here