বাড়ি ভর্তি লোকের সামনে আমার শাড়ির আচলে আগুন লাগিয়ে দিল আমার স্বামী নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছি কিন্ত কেউ এগিয়ে আসছে না আসবে কেনো সবাই আমার স্বামীকে ভালো করে চিনে কেউ এগিয়ে এসে নিজের জীবন হারাতে চাইবে না । আজ আমার স্বামীর অফিসের কাজের জন্য একটা পার্টি রাখা হইছে পার্টিতে একটা নীল কাতান সারী পরে যাই আমার স্বামী তার অফিসের লোকদের সাথে কথা বলছে হটাৎ আমার কাছে এসে সারিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
সারিতে আগুন জ্বলছে আমার চোখ আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে গেলো
।
।
।
যখন চোখ খুললো নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম শরীরে একটা ট্রিপিস ।
হাতে পোড়া ডাক তার উপর মলম দেওয়া
পার্টির কথা মনে পরতে কেদে দিলাম
একটু পর একটা কন্ঠ ভেসে আসলো
এখন কেদে কি হবে করার আগে মনে ছিল না এখন এসব নাটক বন্ধ করো( চিৎকার করে)
তার চিৎকারে আমি কেপে উঠলাম
আমি: কেনো এমন করছেন আমার সাথে কি করছি আমি কেনো এভাবে কষ্ট দিচ্ছেন এভাবে না মেরে একবারে মেরে ফেলেন ( কাদতে কাদতে)
আমার কথাতে তার চোখ রক্ত লাল হয়ে গেছে
ঝড়ের বেগে আমার কাছে এসে আমার চুলের মুঠি ধরে বললো
কি বললি আবার বল মরতে চাস খুব মরার সখ তাইনা মরলে তো আমার থেকে মুক্তি পাবি কিন্ত আমি তো টা হতে দেবো না বাঁচবো তোকে নিয়ে আর মরবো তোকে নিয়ে বুঝছিস ( রেগে)
আমি: আমার খুব লাগছে প্লিজ ছেরে দিন আর পারছি না ( কান্না করতে করতে)
আমার কথাতে তার উপর কোনো পতিকিয়া হলো না উল্টে সে আমার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয় । মনে হচ্ছে আমার ঠোঁটের উপর সব রাগ মিটাচ্ছে ।
।
।
(আসুন পরিচিত হয়ে নি আমি মুন চৌধুরি আব্বু আম্মুর এক মাত্র সন্তান খুব আদরের আর একটু আগে আমার উপর যে অত্যাচার করলেন সে আমার স্বামী রৌদুর আহমেদ রোদ চৌধুরি । বাবা মা পছন্দ করে উনার সাথে আমার বিয়ে দেয় কিন্ত বিয়ে হওয়া থেকে উনি আমার উপর অত্যাচার করেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী কিন্ত কাজে পুরাই ডেভিল । আমাদের থেকে খুব বড়োলোক সেইজন্য বাবা এক কথায় রাজি হয়ে যায়
বাকিটা গল্প পরলে বুঝা যাবে)
একটু পর ঠোঁট ছেরে দিয়ে আমার হাত পিছনে মুরে বললো
রোদ: তোমার সাহস কি করে হয় পাতলা সারী পড়ে সবাইকে আমার সম্পদ দেখানোর বলো এতো সাহস কি করে পেলে
মুন ব্যাথায় কুকরে গেছে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে
রোদ: কি হলো কথা বলছো না কেনো ( চিৎকার করে)
মুন: আমি পাতলা সারী পড়িনি ওটা কক
আর কিছু বলার আগে রোদ মুনকে সামনে ফিরিয়ে মুনের গলা চেপে ধরে
রোদ: কি বললে আমার মুখের উপর কথা পাতলা সারী পরে মানুষকে তোমার শরীর দেখিয়ে বেড়াবে আর আমি চুপ করে বসে থাকবো টা তো হবে না তোমাকে তো শাস্তি পেতে হবে
মুন: রোদ প্লিজ আমি আর কখনও পড়বো না প্লিজ আমাকে মাপ করে দেন প্লিজ
রোদ: না sweeatheart তা তো হবে না শাস্তি তোমাকে পেতে হবে একটু বসো আমি আসছি
এই বলে রোদ বেরিয়ে যায়
একটু পর আবার ফিরে আসে হাতে কেরোসিন নিয়ে
রোদের হাতে ওসব দেখে মুন তো ভয়ে শেষ
মুন: আপনার হাতে এটা কিসের জন্য ( কাপা কাপা গলায়)
মুন: আপনার হাতে এটা কিসের জন্য ( কাপা কাপা গলায়)
রোদ: আরে তুমি কেনো ভয় পাচ্ছো আমি তোমাকে শাস্তি দেবো না এমনিতেই তুমি শাস্তি পেয়েছো আর দিয়ে চাইনা এবার তোমার শাস্তি অন্য ভাবে হবে।
এই বলে কবার্ড থেকে সব সারী বের করলো
মুন: রোদ আপনি
রোদ: হুশ কোনো কথা না
রোদ সারী গুলোতে কেরোসিন দিয়ে পকেট থেকে গাসলাইট বের করে সব জ্বালিয়ে দিল।
মুন দৌড়ে গিয়ে সব নিভাতে গেলে রোদ ওর হাত ধরে ।মুন যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছে কিন্ত রোদ ওকে একদম শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।
মুন: রোদ প্লিজ ওগুলো পুড়িয়েন না আমার আম্মুর স্মৃতি প্লিজ রোদ
রোদ যেনো মুনের কথা শুনতে পাচ্ছে না
মুন ছুটাছুটি করে সেন্স হারায় ।
রোদ মুনকে বুকের মধ্যে নিয়ে বলে
রোদ: তোমার সব কিছুর উপর শুধু আমার অধিকার আমার
এই বলে মুনকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বেলকনিতে চলে যায়।
।
।
।
আকাশের পানে তাকিয়ে ভাবছে
কিভাবে মুনের সাথে দেখা হলো কিভাবে ওকে ভালোবেসে ফেললো
অতীত
রোদ অফিসের একটা কাজে বাইরে গিয়েছিলো সেখানে রাস্তার পাশে একটা মেয়েকে দেখে রোদের চোখ আটকে গেলো।
গোলাপী থ্রিপিস খোলা চুল ঠোঁটে মিষ্টি হাসি মায়াবী চেহেরা ।
রোদ তো হা করে দেখছে মেয়ে টা কিভাবে ফুসকা খাসছে কিভাবে কথা বলছে হাত বাড়িয়ে সব রোদকে পাগল করে দিচছে।
রোদ দেখলো মেয়েটা চলে যাচ্ছে রোদ ওর লোকদের দিয়ে মেয়েতার খোজ নেয়
সেদিন এর পর থেকে রোদ সব সময় ওই মেয়েতার কথা ভাবত ওকে ভুলার জন্য কইদিন দেশের বাইরে যায় টা ও ভুলতে পারে না ।
একদিন রোদ গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে তখনই কেউ ওর গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়
চলবে
গল্পঃ Mr Devil
(A Devil husband)
( A Pyscho love Story)
লেখনিতে: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_১
( রেসপন্স পেলে পরের পার্ট দেওয়া হবে । গল্পটা কেমন হইছে জানাবেন । সবাই কিপটামি করলে কি হয় একটু কমেন্ট আর লাইক দিলে কি হয়)