গল্পঃ #Mr _Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৪
রোদ মুনের কাছে যায়
রোদ : খুব কষ্ট হচ্ছে আর একটু এক্ষুনি ডক্টর চলে আসবে
মুন রোদের হাত ধরে আছে ।
একটু ওর ডক্টর আসলো। মুনকে দেখছে ।
ডক্টর : কি খেয়েছিলেন?
রানী : তেমন কিছু না just ফুসকা খেয়েছিল
ডক্টর : অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আর খালি পেটে তাই এমন ব্যাথা করছে ।
রোদের চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে
রাজ রোদের কাধে হাত রাখে
রাজ : মুন এখন অসুস্থ তাই তুই নিজের রাগ কন্ট্রোল কর
রোদ : ডক্টর সিরিয়াস কোন ব্যাপার না তো ?
ডক্টর : আমি ওষুধ লিখে দিচ্ছি উনাকে হালকা কিছু খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিবেন
রোদ : রাজ
রাজ : হা আমি যাচ্ছি ওষুধ নিয়ে আসতে
রাজ ডক্টর এর কাছ ওষুধ এর লিস্ট নিয়ে বেরিয়ে যায়। রানী মুনের জন্য খাবার আনতে যায় ।
রোদ : আর কিছু কি লাগবে ?
ডক্টর : না আমি এই ইঞ্জিকশন দিয়ে দিচ্ছি ব্যাথা কুমে যাবে আর উনাকে দেখে রাখবেন যেনো এমন আর কখনো না করে
রোদ : জী আমি দেখে রাখবো
রোদ জনকে ডাক দিল।
রোদ : ডক্টর কে এগিয়ে দিয়ে এসো।
ডক্টর চলে যেতে রোদ মুনের কাছে বসে ওকে জড়িয়ে ধরে
রোদ : আর একটু এখনই রাজ ওষুধ নিয়ে আসবে
রাজ : রোদ ওষুধ । আর এই নে খাবার
রোদ ওষুধ আর খাবার নিয়ে মুনকে খাইয়ে দেয় ।
খাওয়া শেষে মুনকে শুয়িয়ে দেয় । মুন আগের থেকে অনেকটা শান্ত হলো
রোদ : ঘুমিয়ে পড় চোখ বন্ধ করো।
রোদের কথা মত মুন চোখ বন্ধ করলো আর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলো।
রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে
রাজ : রোদ ওকে যেনো আবার কিছু বলিস না।
রোদ…
রানী: হা রোদ ওর দোষ নেই মুন বলেছিলো ওর পেটে ব্যাথা করে কিন্ত আমরা বেড বেঁধে খেয়েছিলাম ।
রোদ : অনেক রাত হলো তোরা এখন যা ঘুমা
রানী : আমি মুনের কাছে থাকছি ।
রোদ : না তুমি গিয়ে শুয়ে পরো দরকার পড়লে আমি ডেকে নেবো যাও
রাজ আর রানি চলে গেলো । রোদ দরজা লাগিয়ে মুনের পাশে শুয়ে পরলো মুনকে বুকের সাথে নিয়ে
মুন আরামে ঘুমাচ্ছে কিন্ত রোদের চোখে ঘুম নেই রোদের চোখ দিয়ে টুপটাপ পানি পরছে।
মুন রোদের বুকে চুপটি করে ঘুমাচ্ছে আর রোদ মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
মাঝরাতে
মুন বমি করে রোদকে ভাসিয়ে দেয়। রোদ নিজের শার্ট খুলে মুনকে কোলে নিয়ে বাথরুমে যায় । ফ্রেশ করিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করিয়ে মুনকে শুয়ে দেয়।
রোদ নিজে ও ফ্রেশ হয়ে মুনের পাশে বসে ।
রোদ : মুন এই মুন পেটে কি এখন ও বেথা করছে ?
মুন ঘুম ঘুম কণ্ঠে না বলে
রোদ সারারাত মুনকে দেখে রাখছে । সকালে রোদের চোখ লেগে যায়।
।
।
।
সকালে
মুন চোখ ডলতে ডলতে সামনে তাকিয়ে দেখে রোদ ওর মাথা কাছে শুয়ে আছে
কালকের কথা মনে পরতে মুন ভয়ে চুপছে গেছে ।
মুন : আল্লাহ কাল যা হলো রোদ তো আমাকে মেরে ফেলবে কি করবো (মনে মনে)
মুন এসব ভাবতে ভাবতে উঠতে গেলে । মুনের নড়াচড়া তে রোদের ঘুম ভেংগে যায় । রোদ মুনের দিকে তাকিয়ে বলে
রোদ : এখন ও কি পেট বেথা করছে ?(চিন্তিত হয়ে)
মুন : না হালকা হালকা
রোদ : ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে
রোদ উঠে মুনকে কোলে করে ফ্রেশ করিয়ে দিল।
একটু পর রানী দরজা নক করলো। রোদ দরজা খুলে দিল
রানী : এই কোল্ড ওয়াটের পেক দিলে ব্যাথা অনেক কুমে যাবে
রোদ রানীর কাছ থেকে নিয়ে মুনের কাছে গেলো।
মুনের পেটে চেপে ধরলো ।
মুন : আমি এখন ঠিক আছি
রোদ মুনের দিকে একটা রাগী লুক দিলো তাতেই মুনের যাই তাই অবস্থা
মুন : রোদ
রোদ….
মুন : আমার খুদা লাগছে
রোদ : ফুসকা আনবো ?(দাতে দাত চেপে)
মুন 😯
রোদ:😒
মুন : আমার সত্যি খুদা লাগছে (বাচাদের মত করে)
রানী : এই তো খাবার ।
রোদ তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি খাইয়ে দিচ্ছি
রোদ : আমি পারবো
রানীর হাত থেকে নিয়ে মুনকে খাওয়াতে লাগলো । মুন ও চুপচাপ খেতে লাগলো।
খাওয়া শেষে মুনকে শুয়ে দিল
মুন রোদের হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে
মুন : আপনি খাবেন না ?
রোদ : খাওয়ার ওয়ে রাখছো ?
মুন : আমি তো
রোদ উঠে বাথরুমে গেল
মুন রানীকে ডাক দিল
রানী : কীরে ডাকছিস কেনো ?
মুন : আপু রোদের জন্য খাবার নিয়ে আসো
রানী : তোর জন্য ছেলেটার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না কাল মনে হচ্ছিল ওর প্রাণটা চলে যাচ্ছে । সারারাত জেগে ছিল । তুই একটু সুস্থ হ দেখ তোর কি করে
মুন : ভয় দেখিয় না তো খাবার এনে দাও উনি কখন খাবে না আমি জানি
রানী : আচ্ছা wait কর আমি আনছি
রানী বেরিয়ে যেতে রোদ বের হলো
মুন রোদকে দেখে একটা সুন্দর হাসি দিল কিন্ত লাভ হলো না রোদ তো রেগে আছে ।
মুন : রোদ শুনেন
রোদ….
মুন : রোদ আমার পেট
মুনের বলতে দেরি কিন্ত রোদের আসতে দেরি না
রোদ : কি হলো পেটের বেথা করছে ?(অস্থির হয়ে)
মুন : না ব্যাথা এখন আর করছে না
রোদ মুনের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে
মুন উঠে বসে মাথাটা ঘুরছে সারারাত বমি করার ফলে দূর্বল হয়ে গেছে।
মুন রোদের গলা জড়িয়ে ধরে
মুন : রাগ করে আছেন আমার উপর
রোদ…
মুন : প্লিজ ওমন করেন না আপনার ওমন ভাবে দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগে না
বলতে বলতে রানী খাবার নিয়ে আসে
রানীকে দেখে মুন রোদের গলা ছেড়ে দেয়। রোদ মুনকে বিছানার সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে দেয়।
রানী : এই যে খাবার
রোদ : তোমার কি আরো খিদে লেগেছে (মুনের দিকে তাকিয়ে )
মুন : হুম
মুন খাবার রোদের মুখের কাছে ধরলো
রোদ : আমি খাবো না
মুন জোর করে রোদের মুখে পুরে দিল ।
মুন : বেশি কথা না বলে খান
রোদ খেয়ে যাচ্ছে আর একটু পর পর রাগী দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ।
খাওয়া শেষে
মুন : আমার পাশে শুয়ে পড়ুন
রোদ : কেনো ?
মুন : এমনি
রোদ শুয়ে পরলো আর মুন রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
কিছুক্ষণের মধ্যে রোদ ঘুম
মুন রোদের কপালে ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দেয়
মুন : আমি জানি আপনার খুব ঘুম পাচ্ছে সারারাত জেগে ছিলেন । এতো কেনো ভালোবাসেন আমায় । এতো সুখ কি আমার কপালে সহ্য হবে ।
ভাবতে ভাবতে মুন ও ঘুমিয়ে পরে
।
।
।
In London
জয় একটা বড়ো ছবির সামনে দাড়িয়ে আছে হাতে তার সিগারেট
জয় : আর মাত্র কিছু দিন তার পর তুমি সারাজীবনের জন্য আমার হবে কেউ তোমাকে আমার থেকে আলাদা করতে পারবে না কেউ না । যে যে আমাদের মাঝখান আসবে তাদের সবাইকে আমি শেষ করে দেবো সবাইকে
বলে একটা ভিলেন স্মাইল দিলো ।
In BD
মুন ঘুম থেকে উঠে রোদকে সরিয়ে ওয়াশরুমে যায় ।
কিছুক্ষণ পর গোসল করে বেরিয়ে দেখে রোদ এখন ও ঘুমাচ্ছে । মুন আয়ানায় দাড়িয়ে চুল মুছে বাইরে গেলো
।
।
।
কিছুক্ষণ পর পকোড়া হাতে নিয়ে আসে এসে দেখে রোদ লাঠি হাতে দাড়িয়ে আছে
রোদ: এখানে এসো (রাগী গলায়)
রোদকে দেখে বুঝা যাচ্ছে কত রেগে আছে ।
মুন ভয়ে ভয়ে রোদের সামনে যায় ।
রোদ : কোথায় গিয়েছিলে ?(চিৎকার করে)
রোদের চিৎকারে রানী ও চলে আসে। রোদের হাতে লাঠি দেখে রানী অবাক হয়
রানী : কি ব্যাপার রোদ তোমার হাতে লাঠি কেনো ?
রোদ : আজ ওর ঠং ভাঙ্গবো (রেগে)
মুন তো ভয়ে কান্না করার মত অবস্থা ।
রোদ : বলো (ধমক দিয়ে)
মুন : বাইরে গিয়েছিলাম ( ভয়ে ভয়ে )
রোদ : হাতে ওটা কাল এতো কিছু হলো ভেবেছো আমি তোমাকে কিছু বলবো না
এই বলে লাঠি দিয়ে এগিয়ে আসতে গেলে মুন রানীর পিছনে লুকিয়ে পড়ে।
রানী : আহা রোদ বাদ দাও ছোটো মানুষ
রোদ : কি বাদ দেবো কত সাহস দেখেছো এখন আবার পকোড়া খাচ্ছে
রানী রোদের কোথায় মুনের হাত চেক করে দেখে সত্যি পকোড়া ।
রানী : তোর না শরীর খারাপ তাহলে
মুন কাচুমাচু হয়ে দাড়িয়ে আছে
রোদ : আজ তো ওর একদিন কি আমার একদিন (মুনের দিকে এগিয়ে যায় )
রানী হাত দিয়ে আটকে দেয় রোদ চোখ দিয়ে রানীকে চুপ থাকতে বলে রানী বুঝে চুপ হয়ে যায়
রোদ মুনের সামনে লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে আছে
রোদ : আজ তোমার ঠাঙ ভাঙ্গবো
রানী : মুন বলে দে আর কখনো হবে না
মুন : আর কখনো হবে না এবার শেষ আর কখনই ফুসকার ধারে কাছে যাবো না (কাদ কাদ )
রোদ : পা থাকলে ত যাবে
মুন এবার কেদে দেয়
মুন : আআআআআ
রোদ : চুপ একদম কোনো আওয়াজ যেনো না বের হয়(ধমক দিয়ে)
মুন: 🙊
রানী মিটমিট করে হাসছে ।
রানী : এবারের মতো মাপ করে দাও ও আর জিবনে ও করবে না
রোদ : সত্যি তো
মুন : সত্যি বলছি আর কখনো আপনার অবাধ্য হবো না যা বলবেন তাই করবো প্রমিজ
রোদ : মনে থাকে যেনো (রাগী লুক দিয়ে)
রোদ বাইরে যায় । মুন রানীকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে
রোদ রানীকে ইশারায় মুনকে শান্ত করতে বলে। রানী রোদের ইশারা বুঝে রোদকে আশ্বাস দেয়।
রানী : কান্না করিস না মুন রোদ যা করছে তোর ভালোর জন্য জানিস ত
মুন : এতো বকে কেনো ভালো লাগে না
রানী : রোদ তোকে ভয় দেখানোর জন্য করেছে
মুন : না তুমি ওকে চেনো না যা বলে তাই করে
রানী : আচ্ছা চিনি না এবার চল
।
।
।
রাতে রোদ বাড়ি আসে । মুন ঘরে বসে ছিল
রোদ মুনকে পিছন থেকে একটা খাম এগিয়ে দেয়।
মুন : কি এটা ?
রোদ : খুলে দেখো
মুন খুলে চোখ কপালে ।
মুন : সত্যি ?
রোদ : হুম হ্যাপী?
মুন : খুর
বলে রোদকে জড়িয়ে ধরে । রোদ ও মুনকে জড়িয়ে ধরে ।
রোদ : আর কখনো ওমন করবে না নাহলে
মুন : না না আমি আর কখনো ওমন করবো না সত্যি
রোদ একটা মুচকি হাসি দিয়ে
রোদ : যাও রানীকে দেখিয়ে এসো
মুন রানীকে দেখাতে যায়
গল্পঃ #Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা ;নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৫
মুন : আপু
রানী : হা বল কিছু লাগবে
মুন : এই দেখো কি (বলে খামটা এগিয়ে দেয়)
রানী : সুইয়াজালান্ড
মুন : আমরা সবাই যাবো । কাল সব শপিং করতে হবে রোদ বলেছে তুমি আর আমি যাবো কেমন
রানী : আচ্ছা ঠিক আছে
মুন : আমি এখন যাই তুমি রোমান্স করো
রানী : শয়টান দারা তোকে
মুনকে আর পায় কে এক দৌরে রুমে
রোদ : কি হলো এভাবে দৌরে আসলে কেনো ?
মুন : কিছু না
রোদ : হুম শুয়ে পরো কাল তাড়াতাড়ি উঠতে হবে
মুন : ওহ আচ্ছা
বলে মুন শুয়ে পরলো । পাশে রোদ ও শুয়ে পরলো।
মুন : আচ্ছা আপনি হটাৎ ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলেন কেনো ?
রোদ : কেনো তোমার ভালো লাগেনি ?
মুন : না খুব ভালো লাগছে কিন্ত
রোদ : প্ল্যানটা হটাৎ করা না অনেক আগে থেকে করা শুধু তোমার ভিসার জন্য wait করছিলাম
মুন : ওহ আচ্ছা
রোদ : হুম এবার কথা বন্ধ করে ঘুম পরো।
২জনে ঘুমের দেশে
In London
জয় একের পর এক ড্রিংক করে যাচ্ছে।
নীলিমা : কি হচ্ছে এসব my son ?
জয় নীলিমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার খাওয়া শুরু করে
নীলিমা : আমি তোমাকে কিছু ask করছি
জয় বোতল আছার মেরে বলে
জয়: কি করবো আমাকে বলে দাও ওকে আমার খুব প্রয়োজন i need her very badly
নীলিমা : তার মানে মেয়ে টাকে তুমি just একদিন ব্যাবহার করবে
জয় : নো মম নো i love her and i want her পরি আমার নেশা না যা একটু পর ছেরে যাবে ও আমার সব কিছু । ওকে ছাড়া থাকা খুব কষ্টের ওর মুখের মিষ্টি হাসি মায়াবী চোখ ওর চুলের গন্ধ ওর শরীরের ঘ্রাণ সব আমাকে পাগল করে দিচ্ছে i want her
নীলিমা চৌধুরী বুঝতে পারে ছেলেটা ওকে পাগল এর মত ভালোবেসে ফেলে কিন্ত এই ভালোবাসা যেনো কাল না হয়।
নীলিমা : my son প্লিজ শান্ত হও তোমার পরি তোমার থাকবে অন্য কারোর না এটা আমার প্রমিজ
জয় ওর মম এর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরলো
In BD
সকালে মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে রোদ কাজ করছে
মুন : আপনি এত তাড়াতাড়ি উঠলেন ?
রোদ : হুম রেডী হয়ে নাও
মুন : কেনো ?
রোদ: বাইরে যাবো
মুন: কিসের জন্য?
রোদ : দরকার আছে ?
মুন : কি দরকার?
রোদ : কাজ আছে?
মুন : কি কাজ ?
রোদ ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে মুনের দিকে তাকায়
মুন : আমি তো এমনি বলেছিলাম 😅
মুন উঠে রেডী হতে গেলো ।
একটু পর বেরিয়ে এসে চুল ঠিক করছে
রানী : কীরে মুন রেডী ?
মুন : তুমি ও কি কোথাও যাচ্ছ ?(অবাক হয়ে)
রানী : আমি কেনো আমরা সবাই যাচ্ছি রোদ তো আমাকে রেডী হতে বললো
মুন : এই খাটাস কি করতে চাইছে(মনে মনে) রানী : কীরে কি ভাবছিস?
মুন : কিছু না
মুন রেডী হয়ে নিল।
রোদ : রেডী ?
মুন +রানী : হুম
রোদ : এবার চলো
মুন আর রানি গাড়িতে বসলো
গাড়ি চলছে
মুন বার বার রোদের দিকে তাকাচ্ছে
মুন : এই সকাল সকাল কোথায় নিয়ে যাবে মনে হয় শপিং করাতে ।
মুনের ভাবনার ছেদ ঘটে রোদের গাড়ি ব্রেক করাতে।
মুন : কি হলো
রোদ কোনো কথা না বলে একটা রেস্টুরেন্ট যায় ।
মুন : আপু উনি কোথায় গেলো ?
রানী : i have no idea
একটু পর রোদ আসলো হাত অনেক রকমের মিষ্টির প্যাকেট ।
মুন : এতো মিষ্টি কার জন্য ( অবাক হয়ে)
রোদ : চুপচাপ বসো
রোদ গাড়ি স্টার্ট দিলো
।
।
।
কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা চলে আসলো
রোদ : নামো
মুন আর রানি নেমে দেখে একটা বাড়ি । দেখতে সুন্দর
মুন : এখানে কে থাকে ?
রোদ : ভিতরে গেলে বুঝতে পারবে
মুন আর রানি দরজার সামনে দাড়িয়ে নক করলো।
একটু পর দরজা খুলে দিল ।
মুন লোকটাকে দেখে নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না
মুন : আম্মু (কান্না জনিত কণ্ঠে)
মুনের আম্মু : মুন মা কেমন আছিস ?
মুন ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে
মুন : ভালো আছি আম্মু তুমি কেমন আছো ?
মুনের আম্মু : আমি ভালো আছি আয় ভিতরে আয় রোদ কোথায় ?
মুন : উনি তো
মুনের আম্মু রোদের কাছে গেলো ।
মুনের আম্মু : কি দরকার এসব আনার?
রোদ : সমস্যা নেই শশুর বাড়ি আসছি
মুনের আম্মু : আসো ভিতরে এসো
রানী : মুন এটা কি তোর বাড়ি ?
মুন : বুঝতে পারছি না
রোদ মুন রানী ভিতরে গেলো
মুনের আব্বু আসলো
মুনের আব্বু : কেমন আছিস মা ?
মুন : ভালো আছি আব্বু তোমার শরীর কেমন আছে ওষুধ খাচ্ছ তো ?
আব্বু: না খেয়ে উপায় আছে রোদ প্রায় প্রায় ডক্টর এর কাছে নিয়ে যায়
মুন অবাক হয়ে রোদকে দেখছে
রোদ : আমি এখন আসি অফিসে কাজ আছে
আব্বু : সেকি তুমি এখন আসলে আবার এখন চলে যাবে
রোদ : আসলে অফিসে অনেক কাজ আছে কাল আবার মুনকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে ।
আম্মু : কিছু তো খেলে না
রোদ : সমস্যা নেই আমি বিকালে এসে দুপুরের খাওয়া খেয়ে যাবো এখন আসি
আব্বু : আচ্ছা যাও সাবধানে যেও
রোদ : জী
মুন আমি বিকালে তোমাকে আর রানীকে নিতে আসবো
মুন মাথা নাড়ায় । রোদ গাড়ি নিয়ে চলে যায়
আম্মু: জা তোরা একটু ফ্রেশ হয়ে নে উপরের ২ য় রুমটা তোদের এটা কে (রানীকে দেখিয়ে)
মুন : এটা আমার বড়ো আপু +আমার জা +নোনদিনি
আম্মু: খুব সুন্দর তো তুমি ও যাও মা
রানী : জী অ্যান্টি
আব্বু : যা মা ফ্রেশ হয়ে নে
মুন : আচ্ছা আব্বু
মুন রানীকে নিয়ে উপরে গেলো
মুন রুমে গিয়ে অবাক কারণ রুম আগে থেকে গুছানো মুনের মনের মত ।বেডের পাশে আবার রোদ আর মুনের বড়ো করে একটা ছবি ।
রানী : ওয়াউ রুমটা কি সুন্দর করে সাজানো মুন তুই কি আসিস নাকি এখানে
মুন : আপু আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর তুমি যেও
রানী : আচ্ছা
মুন ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসলো।
মুন : আপু তুমি যাও
রানী ফ্রেশ হতে গেলো।
মুন : আচ্ছা এখানে আমার এতো ছবি সাথে উনার। আব্বু আম্মু এখানে কেনো ?
মুন নিচে ওর আম্মুর আছে যায়
আম্মু: কীরে ফ্রেশ হলি?
মুন : হুম
আম্মু : আচ্ছা ঠিক আছে এই নাস্তা গুলো তুই আর তোর আব্বু আর রানি খা আমি রান্না করছি
মুন : আচ্ছা আম্মু তোমরা এই বাড়িতে কেনো আগের বাড়ি কি হলো
আম্মু : আগের বাড়িতে আগুন লেগেছিল তাই রোদ আমাদের এখানে নিয়ে আসে । ভাগ্য ভালো সেইদিন আমি আর তোর আব্বু বাইরে ছিলাম নাহলে যে কি হতো। রোদকে কথা থেকে যেনো আসে পরে আমাদের জোর করে তোদের বাসায় নিয়ে যেতে চায় কিন্ত আমরা রাজি হইনাই বলে এই বাড়িতে আনে । তোর আব্বু টাকা দিতে চাইছিল কিন্ত পাগল ছেলে কি বলে জানিস
মুন : কি (কান্না জনিত কণ্ঠে)
আম্মু: বলে আমরা তাকে তার জিবন দিছি তার বদলে সে একটু কিছু করছে (হাসতে হাসতে)
মুন যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না
মুন : রোদ আমার আব্বু আম্মুর জন্য এত কিছু করছে আর আমি কিছু জানতে পারলাম না (মনে মনে) আচ্ছা আম্মু ওই ঘরে আমার আর উনার ছবি কেনো ?
আম্মু : রোদ তো মাঝে মাঝে এখানে আসে ও লাগিয়েছে । অনেক সময় আমাদের সাথে রাতে খেয়ে যায় মাঝে মাঝে বাজার করে দেয় তোর আব্বুকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যায় । রোদকে যেনো আমরা জামাই না ছেলে হিসেবে পেয়েছি।
মুনের চোখ দিয়ে টুপটাপ পানি পড়ছে। মুন নিজেকে সামলে নিয়ে উপরে রানীকে নিয়ে ওর আব্বুর কাছে যায়
মুন : আব্বু আসবো?
আব্বু: আয় মা আয়
মুন : তোমার সাথে গল্প করতে আসলাম
আব্বু : ভালো করেছিস বস
মুন রানী আর মুনের আব্বু গল্প করতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পর খাবারের জন্য ডাকলো ।
সবাই এক সাথে হাসি তামাসা খাওয়া শেষ করলো
।
।
।
মুন ওর আম্মুর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে সাথে রানী ও। মুনের আম্মু দুই মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
মুন আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পরলো রাজ ফোন করেছে তাই রানী কথা বলতে গেলো।
মুনের আম্মু মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে
আব্বু : শুনছো রোদ এসেছে ?
আম্মু: এসেছে আমরা তো ওর জন্য অপেক্ষা করছিলাম
মুনের আম্মু আস্তে আস্তে উঠে যায়
আম্মু: এখন তো না করবে না ?
রোদ : না এখন খেয়েই যাবো আর আমি কি না খেয়ে কখনো গিছি
আব্বু: ঠিক বলেছ আমার ছেলে খুব ভালো । যাও মুন ঘুমিয়ে আছে ফ্রেশ হয়ে নাও
আম্মু : আমি খাবার বারছি
রোদ : আচ্ছা
রোদ মুনের আছে গেলো।
রোদ গিয়ে দেখে মুন ঘুমিয়ে আছে
রোদ : হায়রে ঘুম কাতুরে বউ আমার (দরজার সাথে হেলান দিয়ে)
(ওই ব্যাটা ঘুমাবো না তো কি করবো ঘুম ছাড়া আছে কি । বেশি বললে তোরে গুল্লি মেরে উরাইয়া দিমু)
রোদ ফ্রেশ হয়ে মুনের পাশে বসলো।
রোদ মুনকে দেখছে তখন রানী আসে
রানী : খাওয়ার জন্য ডাকছে
রোদ : আচ্ছা আমরা আসছি
রানী চলে যায় । রোদ মুনকে ডাক দেয়
রোদ : মুন উঠ( মুনকে ঝাকিয়ে)
মুন : উহু
রোদ : তাড়াতাড়ি উঠ খেতে যেতে হবে তো একটু পর আবার বাসায় যেতে হবে
মুন লাফ দিয়ে উঠে
মুন : এতো তাড়াতাড়ি ?( মন খারাপ করে)
রোদ : ঘুরে এসে আবার একদিন আসবো তখন বেশি দিন থেকে যেও
মুন : যদি সেই সুযোগ না পাই (আনমনে)
রোদ : কি বললে (রেগে)
মুন : না বলছি যদি আপনি আছে বেস্ত হয়ে পড়েন (ঢোক গিলে)
রোদ : নিচে চলো
রোদ নিচে যায় একটু পর মুন ।
মুন নিচে গিয়ে চোখ কপালে
#Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_২৬
মুন দেখে টেবিলের এই পাশ থেকে ঐপাশ সব খাবার আর খাবার একটু ও জায়গা নেই।
আম্মু : কি রে ওখানে দাড়িয়ে আছিস কেন আয় বস
মুন রোদের পাশে গিয়ে বসে পরলো।
মুনের আম্মু সবাইকে পরিবেশন করছে ।
আব্বু : তা কাল নাকি তোরা কোথাও বেড়াতে যাবি?
মুন : তোমরা যাবে আমাদের সাথে ?
আম্মু : না রে মা
মুন : কেনো চলো না খুব মজা হবে
আব্বু : না এবার তোরা যা পরের বার আমরা যাবো ।
মুন : আমি বলছি তাই
আব্বু : আরে না রোদ তো সেদিন কত জোর করলো কিন্ত আমাদের ওতো দূরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই তুই আর রোদ যা পরের বার আমরা যাবো
মুন অবাক হয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে।
একটা মেঁয়ের বিয়ের পর এর থেকে বেশী আর কি চাই । সব মেয়ে চায় বিয়ের বর তার স্বামী যেনো তার আব্বু আম্মু কে নিজের মতো দেখো । এটা একটা মেয়ের সব থেকে বড়ো পাওয়া ।
আম্মু : আল্লাহ কাছে দোয়া করি যেনো আমাদের রোদ আর মুনের জিবনে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের নাতি নাতনী আসে ।
মুনের আম্মুর কোথায় রোদের কাশি উঠে গেলো। সবাই রোদকে পানি দিচ্ছে ।
মুন লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে । রানী মুচকি মুচকি হাসছে ।
আব্বু : আহ্ তুমি ও না খাওয়ার সময় কেউ এসব কথা বলে । জানো না খাওয়ার সময় বেশি কথা বলতে নেই । বাবা এখন কেমন আছো (রোদকে ইশারা করে)
রোদ পানি খেয়ে। নিজেকে সামনে বলে
রোদ : জী আব্বু ঠিক আছি
খাওয়া শেষে সবাই যে যার রুমে চলে গেল।
মুন রুমে গিয়ে দেখে রোদ বারান্দায় দাড়িয়ে আছে আছে ।
মুন : এখন কি বের হতে হবে?
রোদ : না আর একটু পর তুমি চাইলে বাবা মার সাথে এখন সময় কাটাতে পারো ।
মুন : সমস্যা নেই সকাল থেকে ছিলাম
মুন রোদের পাশে গিয়ে দাড়াল।
মুন একটু পর রোদকে জড়িয়ে ধরে
মুন : থ্যাঙ্কু সো মাচ আমাকে এত সুন্দর একটা দিন দেওয়ার জন্য আমার আব্বু
রোদ : থাক আর বলতে হবে না তোমাকে যেদিন বিয়ে করেছি সেদিন উনারা আমার আব্বু হয়ে গেছে সো আমি আমার আব্বু আম্মুকে নিয়ে কি করবো সেটার তোমার কাছ থেকে শুনতে চাইনি । তোমার তো পাখনা গজিয়েছে মুখে যা আসছে তাই বলছো (ধমক দিয়ে)
মুন : ধুর শুধু বকে মনডা চায় লাথি মেরে
নিচে ফালাই দি (মনে মনে)
(হো ঠিক কয়ছিশ আমার ও একই অবস্থা এক্সাম খারাপ করছি আমি আমাকে সান্তনা না দিয়ে উল্টো বকাবকি করছে মনডা চাইছিল টিকটিকির ছুপ করে খাওয়াই । সাথে ব্যাঙের সস ফি)
রোদ : কি হলো কি এতো গালি দিচ্ছ
রোদের কথায় মুন হচ্কিয়ে যায়
মুন : গালি কিসের গালি আমি কেনো আপনাকে গালি দিতে যাবো আপনার আমায় দেখে ওমন মনে হয়
রোদ : হয়েছে পাকামো কথা এখন যাও আব্বু আম্মুর সাথে দেখা করে আসো
মুন : হুম
মুন ওর আব্বু আম্মুর সাথে দেখা করতে গেলো । রোদ ওখানেই দাড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে ।
দুনিয়ার সব মানুষ যদি ভালো হতো তাহলে দুনিয়াটা অন্য রকম হতো সম্পটির লোভ মানুষকে অমানুষ বানিয়ে দেয়।
।
।
।
মুন ওর আব্বু আম্মুর সাথে গল্প করে ঘটে এসে ফ্রেশ হয়ে নিল।
রানী : মুন এখন কি বেরোবি ?
মুন : হুম তুমি গুছিয়ে নাও
রানী মুন গুছিয়ে ওর আব্বু আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো।
গাড়িতে মুন বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে । রোদ ড্রাইভ করছে আর রানি ফোন চালাচ্ছে।
একটু পর গাড়ি একটা শপিং মলের সামনে এসে দাড়ালো ।
রোদ মুন রানী ভিতরে গেলো ।
রোদ : রানী তুমি তোমর ড্রেস কিনতে লাগে রাজ এখনই আসবে ।
রানী : হুম
মুন আর কি পুতুলের মত দেখছে কারণ মুনের ড্রেস তো রোদ দেখছে ।
আমার মত আমার আব্বু ও আমার ড্রেস পছন্দ করে দেয় । সব সময় এখন ও আব্বুর কাছে আমি বাচ্চা ।
একটু পর রাজ আসলো।
রানী : কই ছিলে এতক্ষণ এতো দেরি লাগে এখন আমার ড্রেস পছন্দ করে দাও ।
রাজ আর রানি শপিং করছে আর রোদ মুনের গায়ে একটা করে ড্রেস দিচ্ছে আবার অন্য টা
মুন : আমার শপিং তো অনেক করলেন এখন আপনার শপিং করেন ?
রোদ ….
মুন : অদ্ভুত লোক তো ছোটো বেলায় মনে হয় মধুর বদলে নিমের রস খাইয়েছিল ।
হটাৎ মুনের রোদের ছোটো বেলার কথা মনে পড়ে যায়।
রানী : এই মুন এদিকে আয় তো
মুন : আমি একটু আপুর কাছে যাচ্ছি
রোদ : হুম
মুন রানীর কাছে গেলো
মুন : কি হয়েছে আপু ?
রানী : দেখ তো এর মধ্যে কোনটা নেবো
মুন : ভাইয়া কে দেখাও
রাজ : আমি যেটা বলবো সেটা উনার পছন্দ না
রানী : এই তুমি চুপ করো তোমার কি কোনো চয়েস আছে
রাজ : কি বলতে চাও?
রানী : আমি বলছি যে তোমার কোনো পছন্দ নেই
রাজ : আমার পছন্দ তো তুমি তাহলে
রানী : দেখছিস মুন কিভাবে আমাকে অপমান করলো
মুন : আচ্ছা ঠিক আছে চুপ করো আমি দেখছি
মুন একটু দেখে একটা ড্রেস রানীকে দেয়।
রানী : এটা তো খুব সুন্দর
মুন : তোমরা দেখো আমি উনার কাছে গেলাম
মুন রোদের আছে যায়
রোদ : কি হচ্ছিল ওখানে ?
মুন : তেমন কিছু না সব শেষ
রোদ : হুম
মুন : এবার আপনার জন্য কিনতে হবে
শপিং শেষে সবাই খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি চলে আসলো।
মুন বাড়ি এসে বিছানায় ধপাস ।
রোদ ফ্রেশ হতে গেলো।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে মুন শুয়ে আছে ।
রোদ : কিহলো যাও ফ্রেশ হয়ে আসো
মুন : এখন আমি পারবো না পরে যাচ্ছি
রোদ : কোনো কথা না আগে যাও
মুনের আর কি করার অনিচ্ছা সত্বেও যেতে হলো।
মুন বেরিয়ে দেখে রোদ বিছানায় ল্যাপটপে কাজ করছে মুন বিছানায় শুয়ে পড়ে ।
একটু পর
রোদ : মুন ড্রেস গুলো তো গুছালে না
মুনের কোনো সাড়া শব্দ নেই
রোদ :৮টা বাজে আর ম্যাডাম ঘুম
রোদ মুনকে ভালো করে শুয়ে দিয়ে গায়ে কম্বল দিয়ে দেয়।
আর রোদ ল্যাপটপে কাজ করছে ।
অনেকক্ষণ পর রোদ ল্যাপটপ রেখে ঘুমিয়ে পড়ে ।
সকালে
রানী : মুন এই মুন (দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে)
রানীর ডাকে রোদ উঠে দরজা খুলে দেয়।
রানী : মুন কোথায় ?
রোদ : ও তো ঘুমুচ্ছে
রানী মুনকে ডাকতে লাগে
মুন : কি হয়েছে আপু (চোখ ডলতে ডলতে)
রানী : ঐই তাড়াতাড়ি উঠ আজ না আমাদের যাওয়ার কথা
মুন : সে তো বিকালে এখন উঠে কি করবো
রানী : কত কাজ বাকি আছে জানিস উঠ তাড়াতাড়ি
রানী মুনকে বাথরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে আসে ।
মুন গোসল করে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে ।
রোদ : কি হলো তুমি আবার শুয়ে পড়লে কেনো রানী ডেকে গেলো না
মুন : আমার ঘুম পাচ্ছে
রোদ : এই মেয়ে যে কত ঘুমাতে পারে আল্লাহ জানে ।
একটু পর রানী আবার মুনকে টেনে টুনে নিয়ে যায় ।
রানী আর মুন মিলে নাস্তা বানায়
রানী: মুন এগুলো ওদের দিয়ে আয় আমরা পরে খেয়ে নেবো এখন এগুলো দিয়ে পার্লারে যেতে হবে
মুন : ওখানে কি করতে যাবে
রাণী: সাজবো না
মুন : ওহ
মুন উপরে রাজকে দিয়ে রোদকে দিতে যায়
রোদ : আজ এখানে নিয়ে আসলে ?
মুন : আপনি কাজ করছেন তাই
রোদ : তুমি খেয়েছ ?
মুন : পরে খাবো আপনি খান
মুন চলে আসতে গেলে রোদ ওর হাত ধরে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়।
রোদ : হা করো
মুন : আআা
রোদ : হা করো
মুন হা করলে রোদ মুনের মুখে খাবার ঢুকিয়ে দেয়।
মুন : কিহলো এটা
রোদ : এতো আমি খেতে পারবো না আর তুমি পরে খাওয়ার টাইম পাবে না আমাদের তাড়াতাড়ি বের হতে হবে
মুন চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে আবার রোদকে ও খাইয়ে দিচ্ছে ।
নিচ থেকে রানী মুনকে ডাকছে
মুন : আপু ডাকছে
রোদ : খাওয়া শেষ করে তারপর যাবে
মুন : আমি আর খাবো না আপনি খান আমি কফি দিয়ে যাচ্ছি
রোদ : আচ্ছা যাও
মুন রোদের কোল থেকে উঠে নিচে যায়
রানী : কিরে এতক্ষণ লাগে ?
মুন : আপু আমাদের বিকালে বের হতে হবে তোমাকে পার্লারে যেতে হবে না এখনও সব গুছানো বাকি
রানী : আমাকে তো যেতে হবে
মুন : আপু এক কাজ করো পার্লার থেকে লোক আন সেজে নাও আমি সব গুছিয়ে রাখি
রানী : ভালো কথা বলেছিস তুই আমার টা গুছানো আছে তুই তোর ব্যাগ গুছিয়ে নে । তার আগে রান্না করে নি
মুন : হুম
মুন রানীকে রান্নায় সাহায্য করতে লাগলো।
রান্না শেষে রানী পার্লারে চলে যায় আর মুন ব্যাগ গুছাতে লাগে ।
মুন : আচ্ছা আমরা কইদিন থাকবো ?
রোদ : ৭দিন
মুন : তাহলে তো অনেক কিছু নিতে হবে
রোদ : কাল যা কিনেছি সেইগুলো শুধু নাও আর যা লাগে ওখান থেকে কিনে নিবেন
মুন : আচ্ছা
ব্যাগ গুছানো প্রায় শেষ ।
রোদ : রাজকোথায় ?
মুন : আপু পার্লারে গেছে সাথে রাজ ভাইয়া ও
রোদ : তুমি যাওনি ?
মুন : না আমার ওসব ভালো লাগে না
রোদ : ঠিক আছে ওতো আটা ময়দা মেখে কি হবে দেখবো তো আমি ।
মুন ভেংচি কাটে
রোদ : মুন একটু কফি নিয়ে আসো তো
মুন : আচ্ছা
মুন কফি করে রোদের কাছে যায়
মুন : নিন (কফির কাপটা এগিয়ে দিয়ে)
রোদ : হুম
২জনেই চুপ
কিছুক্ষণ পর রোদ বলে
রোদ : ভাবছি আম্মুর ইচ্ছা পূরণ করব খুব তাড়াতাড়ি
মুন : কোন ইচ্ছা (অবাক হয়ে)
রোদ : কেনো নাতি নাতনী (চোখ মেরে)
মুন লজ্জায় চলে আসতে গেলে রোদ ওর হাত টেনে ধরে
রোদ : আমি কি যেতে বলেছি কি সাহস আমার অনুমতি ছাড়া চলে যাচ্ছে চুপ চাপ দাড়াও আগের কথা কি ভুলে গেছো
রোদের কথায় মুনের লজ্জা সরম সব উঠে গেলো
রোদ কফি খাচ্ছে আর মুনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে ।
রোদ : গোসল করেছো?
মুন : না
রোদ : আমি ও করিনি
মুন : জান করেনিন
রোদ : হুম
রোদ কিছু না বলে মুনকে কোলে নিয়ে বাথরুমে যায়
মুন : আরে কি করছেন কি ছাড়ুন(ছুটাছুটি করতে করতে)
রোদ কোনো কথা না বলে সাওয়ার অন করে দেয়। পানি পড়ছে রোদ মুনকে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে । মুন রোদের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে । এই চোখে মুনের জন্য আজ সীমাহীন ভালোবাসা যার কোনো শেষ।
রোদ মুনকে নামিয়ে দিয়ে মুনের কপালে ভালোবাসা একে দেয়। মুন ও পরম আবেশে ভালোবাসা গ্রহণ করে।
২জন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে । রোদ মুনের প্রতি আসক্তি হয়ে পরছে ।
আস্তে আস্তে রোদ মুনের উষ্ঠো আকরে ধরে নিজের ঊষ্ঠো দিয়ে
মুন রোদের শার্ট আকরে ধরে ।
বেশ কিছুক্ষণ পর রোদ মুনকে ছেড়ে জড়িয়ে ধরে সাথে মুন ও।
২জনের আর কোনো হুস নেই মনে হচ্ছে এভাবে জনম জনম পার করতে পারবে ।
এভাবে কতক্ষন ছিল কেউ জানে না ।
রোদ মুনকে ছেরে দিয়ে বলে
রোদ : ড্রেস দিয়ে যাচ্ছি চেঞ্জ করে নাও
মুন মাথা নাড়ে। রোদ বেরিয়ে গিয়ে একটা ড্রেস দিয়ে যায় ।
মুন ড্রেস পরে বাইরে এসে রোদকে দেখে ক্রাশ খায়
রোদ মুনের সাথে ম্যাচিং করে ব্ল্যাক শার্ট অ্যান্ড ব্ল্যাক জিন্স পড়েছে । সাদা শরীরে black কালার খুব মানাচ্ছে। মুখে চাপ দাড়ি আর প্রতিদিনের মত গোলাপী ঠোঁটে পাগল করা হাসি ।
রোদ আয়নায় চুল ঠিক করছিলো মুনকে দেখে থমকে যায়
মুন ব্ল্যাক গাউন পড়েছে ভেজা চুল তাতেই মুনকে খুব মায়াবী লাগছে ।
সুন্দর তো অনেক হতে পারে কিন্ত মায়াবী খুব কম মেয়ারা হয়।
রোদের এমন চাহনি তে মুন অনেকটা লজ্জা পায়
রোদ মুনের কাছে গিয়ে মুনকে বসিয়ে দেয়
রোদ : আজ আমি আমার বউকে সাজাবো
রোদ কাজল এনে মুনের চোখে দিয়ে দেয়।
চুলটা সুন্দর করে আচড়ে দেয়।
এতেই মুনের দিক দিয়ে চোখ সরানো যাচ্ছে
মুন আয়নায় নিজেকে থেকে অবাক কারণ রোদ এতো সুন্দর করে কাজল পড়িয়েছে যে চোখ সরানো যাচ্ছে না
২জন রেডী হয়ে নেয় । রাজ আর রানি ও রেডী ।
সবাই এক সাথে এয়ারপোর্টের দিকে যায়।
গাড়িতে রোদ বার বার মুনের দিকে তাকাচ্ছে।
রাজ : আমরা কি এক বারে এয়ারপোর্টে যাবো
রোদ : না আগে কিছু খেতে হবে বিকেল হতে গেলো
রাজ : আচ্ছা
রোদ গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় ।
মুন রোদ হাত ধরে ভিতরে গেলো ।
সবাই যে যার মতো খাবার অর্ডার দেয়।
রোদ মুনকে খাইয়ে দিতে যায় তখন কেউ একটা মেয়ে এসে পিছন থেকে রোদের গলা জড়িয়ে ধরে
মুন তো হা করে তাকিয়ে আছে
চলবে
চলবে
(
So amazing 🖤🤞