Mr Devil part 33+34+35

গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৩৩

পরি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে।

পরি : আমি এখানে কি করে আসলাম আমি তো ওই লোকটা কোথায়

পরি এদিক ওদিক তাকিয়ে খুঁজছে তখনই চম্পা আসে

চম্পা : আপামনি আপনার কিছু লাগবে ?
পরি : আমি এখানে কি করে আসলাম?
চম্পা : আমি নিয়ে আসছি আপনি কার একটা গাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন তাই আমি নিয়ে আসলাম । আপামনি লোকটা কে ? আপনার কি boyfriend
পরি : জানিনা
চম্পা : লোকটা কিন্ত খুব সুন্দর দেখতে আপনার সাথে মানবো জয়ে স্যার এর থেকে ও সুন্দর

পরীর মাথায় এতক্ষণে জয় এর কথা আসলো

পরি : জয় কোথায় ও কিছু দেখেনি তো ?(ভয় পেয়ে)
চম্পা : স্যার তো ম্যাডাম কে দিতে গেছে আজ দেরি করে ফিরবে

পরি একটা সস্থির নিশ্বাস ছাড়ল। পরি উঠে বাথরুমে যেতে গেলে

চম্পা : মুন

পরি পিছনে তাকায়
পরি : হুম
চম্পা : আপনার নাম মুন ম্যাডাম আমি তো এমনি বললাম

পরি : এই মুন কে ওই লোকটা ও মুন মুন করছিলো আসলে এই মুন কে(মনে মনে)
চম্পা : আপামনি
পরি : হুম
চম্পা : আমি আপনার জন্য খাবার নিয়ে আসছি

বলে চম্পা চলে গেলো। মুন গোসল করে নিল।

এদিকে
রোদ ডক্টর এর কাছে বসে আছে।

রোদ : কোনো খারাপ কিছু কি দেখছেন ?
ডক্টর : মাথায় অনেক বড়ো একটা আঘাত লাগে আর ওষুধ গুলো দেখে মনে হচ্ছে যাতে কখনো সুস্থ না হয় তার ওষুধ
রোদ : এখন কি করতে হবে ? (চিন্তিত হয়ে)
ডক্টর : আমি ওষুধ গুলো পাল্টে দিচ্ছি এগুলো নিয়মিত খাওয়াতে হবে আর হা মাথায় বেশি চাপ দেওয়া ঠিক হবে না
রোদ : ওকে

রোদ ওখান থেকে বেরিয়ে কাকে একটা ফোন করলো।

রোদ : হুম সব ঠিক আছে?

রোদ : গুড আমি ওষুধ দিচ্ছি এখন থেকে সেইগুলো খাওয়াতে হবে আর আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাবো । আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবে না আমি সাবধানে থাকবো তুমি ও

রোদ ফোন রেখে একটা ভিলেন স্মাইল দেয়

রোদ : খেলা তো এবার শুরু কার কলিজায় হাত দিচ্ছিস সেটা জানিস না

(সবাই তো বুঝতে পারছেন পরি আসলে মুন। তবে কেনো কিভাবে কে করলো সেসব ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন )

মুন গোসল করে আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে

মুন : লোকটাকে আমি কোথায় দেখেছি কিন্ত মনে পড়ছে না । আসলে কে লোকটা আর আমাকে মুন মুন বলছিল কেনো জয় যদি জানতে পারে তাহলে তো উনাকে শেষ করে দেবে । লোকটার কি মাথায় সমস্যা দেখে তো মনে হলো না কিন্ত লোকটার মধ্যে একটা অদ্ভুত মায়া মনে হচ্ছিল যা বলছে সব সত্যি ।

চম্পা : আপামনি আপনার খাবার

চম্পা ডাকে মুনের হুস ফিরে।

মুন : রেখে যাও

চম্পা : আপামনি এই দুদ টুকু খেয়ে নিয়েন ।

চম্পা চলে যায় । মুন উঠে হালকা খেয়ে দুদ খেয়ে নেয়।

একজন আড়াল থেকে সব দেখে কাউকে ফোন করে বলে ওষুধ খেয়েছে।

মুন এর সব গুলিয়ে যাচ্ছে তাই মুন নিজের মনটাকে ফ্রেশ করার জন্য বই পরতে থাকে ।

কিছুক্ষণ পর লাইট অফ হয়ে যায়। মুন অন্ধকারে খুব ভয় পায় । মুন উঠে বাইরে যেতে গেলে কেউ ওর কোমর টেনে দেঁয়ালের সাথে চেপে ধরে। অন্ধকারে মুন কিছু দেখতে পাচ্ছে না কিন্ত একটা মানুষ এর অস্তিত্ব অনুভব করছে । মুনের ঘাড়ে কারোর গরম নিশ্বাস পরছে । মুনের কাছে এই ছোয়া খুব চেনা ।

মুন চিৎকার দিতে যাবে তার আগে লোকটা বলে উঠে

রোদ : ভয় পেয় না মুনপাখি আমিই । আমি ছাড়া আর কে আসবে বলো তো

মুন বুঝতে পারে এটা কে

মুন : আপনি আবার আসছেন আপনি কে বলুন ত আর আমাকে ওই নামে কেনো ডাকছেন ? আমি সত্যি আপনাকে চিনিনা
রোদ : আমি আমার বউকে যা খুশি বলে ডাকতে পারি তোমার কি

মুন কিছু বলতে কবে তখনই গাড়ির হনের শব্দ আসে।

মুন : দেখুন আপনি এখন জান জয় চলে আসছে আপনাকে দেখলে আপনার যে কি অবস্থা করবে আপনি ভাবতে পারছেন না
রোদ : আমাকে যখন চেনো না তাহলে আমাকে নিয়ে কেনো এত টেনশন বলো তো (মুনের ঘাড়ে কিস করে)

রোদের ছোয়ায় মুন কেপে উঠে । রোদ মুনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে মুনের কপালের সাথে নিজের কপাল লাগিয়ে বলে

রোদ : অনেক দিন আমার থেকে দূরে দূরে থেকেছ এবার যখন তোমাকে খুঁজে পেয়ছি আর হারাতে দেবো না কিছুতেই না খুব ভালোবাসি তোমায় খুব (কান্না জনিত কণ্ঠে)

মুনের চোখ দিয়ে যেনো আপনাপানি পানি বের হচ্ছে কেনো যেনো লোকটার প্রতি মুনের এক অদ্ভুত মায়া কাজ করছে ।

রোদ : আমি জানি তোমার কিছু মনে নেই আর এই সব কিছুর পিছনে কার হাত আছে সেটাও আমি জানি কিন্ত মাষ্টারমাইন কে বের না করা পযন্ত আমার শান্তি নেই । সেইজন্য তোমাকে এখানে রাখছি নাহলে কবেই নিয়ে যেতাম । যতদিন তুমি এখানে থাকবে ততদিন পযন্ত আমি ও তোমার সাথে থাকবো all time

তখনই দরজায় কেউ নক করে।

মুন : আপনি এখন জান
রোদ : না আমি আমার বউ এর সাথে থাকবো
মুন : কি বউ বউ করছেন আমি আপনার বউ না ওকে এখন জান প্লিজ
রোদ : ওকে যাচ্ছি কিন্ত আবার আসবো আর হা এটা তোমার কাছে রাখো (একটা ফোন এগিয়ে দিয়ে) ফোন দিয়ে আমি তোমার সাথে কথা বলবো।
মুন : উফফ আপনি জানতো
রোদ : হুম লাভ ইউ

রোদ চলে যায় মুন ফোনটা সেরে রেখে দরজা খুলে দেয়

জয় : কিহলো এতো সময় লাগে দরজা খুলতে (রেগে)
মুন : আমি গান শুনছিলাম তো তাই
জয় : আচ্ছা ঠিক আছে সামনের সপ্তাহে আমাদের এঙ্গেজমেন্ট ঠিক হয়েছে আর

জয় খেয়াল করে যে মুন এদিক সেদিক তাকিয়ে কি যেনো খুঁজছে

জয় : কি খুঁজছো?(ভ্রু কুচকে)
মুন : কই কিছু না তো
জয় : আমি দেখলাম তুমি কিছু একটা খুঁজছো
মুন : কিছু না তো চলুন বাইরে গিয়ে কথা বলি
জয় : সেটাই বেষ্ট চলো ছাদে যাই

মুন মাথা নাড়িয়ে জয়ের এর সাথে ছাদে গেলো।

অনেকক্ষণ কথা বলে খাওয়া দাওয়া করে মুন ঘরে এসে দেখে ফোন বাজছে । মুন ফোনটা হাতে নিয়ে অবাক কারণ ফোন রোদ করেছে।

মুন ফোন ধরে না

মুন : লোকটা কি পাগল ফোন ধরিয়ে দিয়ে গেলো। আরে আমাকে নিজের বউ বউ বলছে কেনো যে উনাকে সরাতে গেলাম জয় কে দিয়ে মার খাওয়ালে ভালো হতো । তবে কেমন যেনো একটা টান টান অনুভব করি কি আছে লোকটার মধ্যে

মুন এসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা লক খুলে গ্যালারিতে যায়। কিছু দেখবে তার আগে রোদের আবার ফোন ।

মুন অতিষ্ণ হয়ে ফোন অফ করে ঘুমিয়ে পড়ে

ঘুমের মধ্যে মুনের শরীর ঘামছে । মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে যাবে । মুন চোখ খুলে দেখে মুনকে কেউ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে ।

মুন চিৎকার দিতে যাবে তার আগে কেউ ওর মুখে রুমাল দিয়ে সেন্সলেস করে ফেলে।

মুনকে কাধে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ।
গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৩৪
মুনের যখন সেন্স ফেরে তখন নিজেকে দোলনায় দেখে।

মুন : আমি এখানে কেনো আমি তো ঘরে ছিলাম (মাথা হাত দিয়ে)

মুন চারিদিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে জয় আসে।

জয় : পরি তো দেখি উঠে পড়েছে?(হালকা হেসে)
মুন : আপনি আর আমি এখানে কেনো?
জয়: আমি নিয়ে এসেছি জান
মুন : আমরা এখানে কেনো বাসায় যাবো

জয় : যাবো তো তার আগে আমি তোমার সাথে কিছু সময় কাটাতে চাই।
মুন : এসবের মানে কি আপনি আমাকে সেন্সলেস করে এখানে কেনো নিয়ে আসছেন(হালকা বিরক্তি নিয়ে)
জয় : আমার পরি তো দেখি রেগে যায়। আচ্ছা রাগতে হবে না আমি তোমাকে নিয়ে এসেছি কারণ আজ আমার birthday আর আমার জীবনের একটা এমন দিনে তোমার সাথে কিছু সময় কাটাতে চাই।

মুন আর কিছু বলে না জয় মুনকে নিয়ে কেক কাটে।

আরো অনেক সময় কাটিয়ে দুইজনে বাড়ি চলে যায়।

মুন ঘরে গিয়ে দেখে রোদ বসে আছে মুখে তার রাগী ভাব।

১ঘন্টা পর
মুন : আর কতক্ষন আর পারছি না (কান্না করতে করতে )
রোদ : যতক্ষণ না আমি বলবো ততক্ষণ খেতেই হবে
মুন : আপনি কেনো এমন করছেন আমি আর পারছি না তো এত কেক কেউ খেতে পারে
রোদ : কেনো জয়ের সাথে তো খুব খেতে পেরেছিলে (রাগী গলায়)
মুন : আমি আর কখনও যাবো না সত্যি বলছি

কি হয়েচে বুঝতে পারছেন না তাই তো ওকে আমি বলছি মুন রুমে ঢুকে রোদকে দেখে। রোদ ধির পায়ে মুনের কাছে এসে মুনকে বলে কোথায় গিয়েছিলে মুন মিথ্যে বলে রোদ আরো রেগে যায়। রেগে একটা চর মারে মুন তোতাপাখির মত সব বলে দেয়। রোদ কিছু না বলে বেরিয়ে যায় একটু পরে ফিরে আসে যাতে অনেক গুলো কেক । সেইসব কেক মুনকে খেতে বলে কারণ জয় মুনকে খাইয়ে দিয়েছিল ।

মুন : আমার খুব বমি পাচ্ছে

রোদ কিছুক্ষণ মুনের দিকে তাকিয়ে থাকে
মুন : সত্যি বলছি

রোদ কিছু না বলে মুনের হাত ধরে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়।

মুন কাদ কাদ ফেস করে

রোদ : আর কখনো যাবে ?
মুন : না (কান ধরে)
রোদ : মনে থাকবে তো
মুন : সারাজীবন

রোদ মুনের কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়।

রোদ : আমি জানি তোমার কিছু মনে নেই আর আমার ছোয়া তুমি অবৌধ মনে করছ কিন্ত আমার তোমার উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে সেটা তো তুমি দেখছ
মুন : ওই ছবি গুলো কি সত্যি ?
রোদ : আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো কোনো মিথ্যে কি পাও

মুন : আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি নিজের জন্য অফুরূন্ত ভালোবাসা পাই কেনো যেনো আপনার সব কিছু আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে (মনে মনে)
রোদ : কিহলো কোথায় হারিয়ে গেলে ?
মুন : না কোথাও না
রোদ : অনেক রাত হলো ঘুমিয়ে পরো আমিও ঘুমাতে চাই ১বছর আমি ঘুমাতে পারিনি এই চোখ দুটি একটা শান্তির ঘুম ঘুমাতে চাইছে আমি খুব ক্লান্ত

মুনের কেনো যেনো খুব মায়া লাগলো। রোদ মুনকে কোলে নিয়ে শুয়ে দিয়ে নিজে মুনের পাশে শুয়ে মুনকে বুকে জড়িয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়।

মুনের কেনো যেনো মনে হচ্ছে এই বুক তার সব থেকে আশয়ের জায়গা ।

এসব ভাবতে ভাবতে মুন ঘুমিয়ে পরে।

সকালে

মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে রোদ এখন ও ঘুমিয়ে আছে । মুন মুচকি হেসে বাথরুমে চলে যায়।

ফিরে এসে দেখে রোদ নেই।

মুন : কোথায় গেলো ? যাক বাবা বাচা গেছে

মুন রেডী হয়ে নিচে যায় ।

জয় : গুড মর্নিং সুইটহার্ট

মুন মুচকি হেসে
মুন : মর্নিং
জয় : কেমন কাটলো রাত?
মুন : সালা তোর জন্য আমায় অতগুলো কেক খেতে হয়েছে না বাবা বেশি কথা বলবো না। না জানি পরে কি শাস্তি পেতে হবে(মনে মনে)

খাওয়া শেষে
মুন বাইরে যাচ্ছিলো জয় ওর হাত ধরে নিজের ঘরে নিয়ে যায়।

মুন : কি ব্যাপার জয় আপনি এখানে আনলেন কেনো ?
জয় : বাড়িতে আজ অনুষ্ঠান তাই তোমাকে একটু হেল্প করতে হবে । ডিজাইন সিলেক্ট করতে
মুন : মামনি আসলে এসব করলে ভালো হতো না
জয় : মম আজ রাতের আগেই আসবে । তুমি ডিজাইন দেখো

মুন ল্যাপটপ নিয়ে দেখতে গেলে আবার সেই ছবি দেখে

মুন : এ তো। তার মানে
জয় : কি হলো কি দেখছ
মুন : না কিছু না

মুন জয়কে এটা সেটা বলে নিজের রুমে আসে।

রুমে এসে রোদের দেওয়া ফোন থেকে রোদকে ফোন করে।

একটু পর রোদ আসে।

রোদ : কি ব্যাপার আজ দেখি ম্যাডামের সকাল সকাল আমার কথা মনে পড়ে গেলো।
মুন : এখানে আপনার ছবি কেনো (ল্যাপটপ দেখিয়ে)

রোদ কিছু বলতে যাবে
মুন : আসলে আপনি কে ? আপনি যা বলছেন সব কি সত্যি জয়ের সাথে আপনার কিসের সম্পর্ক

রোদ মুনের দুইগালে হাত দিয়ে বলে
রোদ : মুন তোমাকে এসব নিয়ে ভাবতে হবে না তুমি শুধু নিজের খেয়াল রাখো কেমন আমি আসছি আমার একটু কাজ আছে।

রোদ চলে যায় ।

মুন কিছুক্ষণ বসে থেকে নিচে যায় । পুরো বাড়ি সাজানো হচ্ছে।

সন্ধ্যায়
মুন একটা পিংক কালারের লেহেঙ্গা পরছে । মুখে হালকা লিপিস্টিক

জয় মুনের হাত ধরে স্টেজের সামনে নিয়ে দাড়ায়।

নীলিমা খান এসেছে।

মুন নীলিমার সাথে কথা বলছে তখন জয় স্টেজে গিয়ে বলে

জয় : গুড ইভিনিং আজকে সবাইকে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আজ আমার জিবনে একটা বিশেষ দিন সেই দিনকে আরো সুন্দর করার জন্য একটা সুখবর আছে।

তার আগে মিট মায় লাইফে যে ফিউচার এ এই খান কোম্পানির মালিক হবে মিস পরি (মুনের দিকে হাত বাড়িয়ে )

মুন এদিক সেদিক তাকিয়ে কাউকে খুঁজছে

নীলিমা : কীরে পরি কাকে খুঁজিস যা জয় হাত বাড়িয়ে আছে

মুন জয়ের হাত ধরে স্টেজে গেলো।

জয় মুনের হাত ধরে বলতে শুরু করে

জয় : সো সেই সময় চলে আসছে তো আমি এখন খুশির খবর বলছি আজ আমার birthday party তে আমার আর পরির এঙ্গেজমেন্ট হবে

সবাই হাত তালি দিতে লাগলো

মুন জয়কে কিছু বলবে তার আগে নীলিমা রিং নিয়ে আসে।

জয় মুনের হাতে পরিয়ে দিতে যাবে তখনই লাইট অফ হয়ে যায়।

জয় : এই লাইট এর কি হলো পরি তুমি এখানে দাড়াও আমি দেখছি।

কিছুক্ষণ পর লাইট অন হয়

জয় পাশে তাকিয়ে দেখে মুন নেই

জয় : মম পরি কোথায়
নীলিমা : এখানে তো ছিল

সবাই পরিকে খুঁজতে লাগলো কিন্ত পেলো না।

রোদের সামনে এক জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ।
গল্পঃ #Mr_Devil
(A psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৩৫

রোদ হকিস্টিক দিয়ে সামনে থাকা মানুষের মুখ উচু করে।

রোদ : কিহলো এতো সহজে শক্তি শেষ এতো বড়ো একটা গেম সাজালি আর এখন সব শক্তি শেষ আচ্ছা তোকে কি নামে ডাকা যায় বল তো (একটু ভেবে) জয় বলবো নকি আরিয়ান অপস সরি তোর নাম তো আরিয়ান আহমেদ জয় Bd তে আরিয়ান আর লন্ডন এ জয় বাহ

আরিয়ান ব্যাথায় তাকাতে পারছে না

রোদ : তোকে যে আমি কি করি সেটাই ভাবছি। আমার কলিজার দিকে কেউ নজর দিলে তার চোখ আমি তুলে ফেলি সেখানে তুই আমার কলিজাকে কেরে নিতে চাইছিলি আচ্ছা যা তোকে কম শাস্তি দেবো যতই হোক তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড । বল কি করা যায় তোকে নিয়ে

আরিয়ান অনেক কষ্ট বলে

আরিয়ান : তুই আমার কিছু করতে পারবি না কিছু না
রোদ : এই না হলে আমার ফ্রেন্ড ভাঙবে তাও মচকাবে না গুড কিন্ত তোর এই জোর কোথা থেকে আসছে সব খেলা তো শেষ
আরিয়ান : কিছু শেষ না তুই এখন ও কিছু ধরতে পারিস নি লুডু খেলায় জিতে কেউ অলিম্পিক জিততে চাই সেটা তোকে না দেখে বুঝতাম না
রোদ : জানিস তো আমি লাস্ট খেলায় বাজিমাত করি এটা আমার ছোটো বেলার অভ্যাস । এখন ভালো মত সত্যি টা বলে দে তো
আরিয়ান : কি শুনতে চাস মুনকে কেনো আমার কাছে রাখছি তাই তো
রোদ : না একদম না ওই মুখে মুনের নাম নিবি না । তুই আমার best friend হয়ে কি করে আমার ভালোবাসা কেরে নিতে চাষ কিভাবে
আরিয়ান : তোর ভালবাসা কি করে হয়। মুন আমার প্রথম ভালোবাসা
রোদ : তোর প্রথম ভালোবাসা মানে (অবাক হয়ে)
আরিয়ান : হা ভার্সিটিতে থাকতে মুনকে আমি প্রথম দেখি কিন্ত ওর বেপারে কিছু জানতাম না। তাই ওর নাম পরি দিয়েছিলাম মুনকে খুঁজতে অনেক চেষ্টা করেছি পেয়ে ও গিয়েছিলাম কিন্ত সেইসময় অনেক লন্ডনে ফিরে যেতে হয় । দেশে ফিরে এসে আমি আবার মুনকে খুঁজি পেয়ে ও যাই কিন্ত সেটা তোর বউ হিসেবে । মুনকে ভুলতে চেষ্টা করি কিন্ত তুই তো জানিস আমার জিবনে আগে একবার নিশা ধোঁকা দিয়ে চলে গিয়েছিল তাই মুনকে হারাতে চাইনা সেইজন্য আমি প্ল্যান করি মুনকে নিয়ে যাবো
রোদ : তাই তুই মুনকে মারার প্ল্যান করিস (রেগে)
আরিয়ান : না আমি মুনের কোনো ক্ষতি করতে চাইনি । তুই যখন ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করিস তখন আমি মুনকে সেখান থেকে নিয়ে আসার প্ল্যান করি মুনকে শুধু আমি ভয় দেখাতাম কিন্ত কিভাবে মুন পাহাড় থেকে পড়ে যায় আমি মুনকে পাগলের মত খুঁজি শেষে ওকে পেয়ে যাই । পুলিশ তোকে খবর দেওয়ার আগে আমি পুলিশকে টাকা দিয়ে চুপ থাকতে বলি । ৩মাস মুন কোমায় ছিল যখন কমা থেকে ফিরলো তখন মুনের কিছু মনে নেই । আমি যেনো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়ে গেলাম । পরে মুনকে আমি আমার বাসায় পরি হিসেবে নিয়ে যাই আর মুন আমার সব কথা বিশ্বাস করে।
রোদ : তোর খেলা খুব সুন্দর ছিল কিন্ত তুই একটু ভুল করলি

আরিয়ান রোদের দিকে প্রশ্ন বুধুক চোখে তাকিয়ে আছে

রোদ : আমি বলছি তুই সেদিন আমার ফোন থেকে মেসেজ তো delete করলি কিন্ত সব মেসেজ ডিলেট করে দিস আর সেদিন সকালে মুন রানীকে মেসেজ পাঠায় সেইটা ও ডিলিট করে দিস এতেই আমার সন্দেহ হয়। মুনকে অ্যাকসিডেন্ট এর ভয় দেখিয়ে যে গাড়ি পাঠিয়েছিলী ওটা আমার দ্বিতীয় বার সন্দেহ হয়। কিন্ত আমি কিছু বলেছিলাম না মুনের সোখে আমি পাগল হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা কিন্ত মুন সব ভুলে গেলেও ওর মনে আমার জন্য ভালোবাসা মুন ভুলেনি তাই ও আমার নাম্বারে কল করে মুনের গলা পেয়ে আমি বুঝতে পারি । পরে রাজ রানীর সাথে কথা বলে জানতে তুই মুনকে অন্য নজরে দেখতিস সেটা মুন রানীকে বলেছিলো সেই কথা শুনে আমি তোর ঘরে যাই and গিয়ে তোর আলমারিতে মুনের পুরানো কিছু ছবি পাই তাতেই আমি কিছু বুঝতে পারি। পরে মুন যেই নাম্বারে ফোন দিয়েছিল সেটা লন্ডন থেকে আসে আর আমাদের ভার্সিটিতে তোর বেপারে সব খোজ নিতে গিয়ে জানতে পারি তুই লন্ডনে থাকিস ব্যাস আমার সন্দেহ বিশ্বাস পরিণত হলো।

রোদ একটু থেমে আবার বলে

রোদ : আমি তখনই মুনকে নিয়ে আসতে পারতাম কিন্ত তখন নিয়ে আসলে আসল দোষী কে ধরতে পারতাম না

আরিয়ান এবার জোড়ে হেসে দেয়। রোদ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান নিজের হাসি থামিয়ে বলে
আরিয়ান : তুই তার কাছে কখনো যেতে পারবি না । আর হইলো মুন সে তো আমার হবেই খুব তাড়াতাড়ি
রোদ : তাই পারলে মুনকে খুঁজে বের কর।
আর আমি তো তার কাছে যাবোই আমি ও দেখতে চাই কে সে
আরিয়ান : তুই দেখলে তোর রুহু কেপে উঠবে
রোদ : সেইজন্য তো দেখার ইচ্ছা ততদিন তুই আমার বন্দিতে থাক কেমন টাটা

আরিয়ান : রোদ দারা রোদ দারা(চিৎকার করে)

রোদ স্টাইল দিয়ে সিস বাজাতে বাজাতে চলে গেলো।

জন :স্যার গাড়ি রেডী
রোদ : ওরা ঠিক ভাবে গেছে তো ?
জন : জী স্যার
রোদ : এটাকে এমন শাস্তি দাও যাতে এর চিৎকার পুরু লন্ডন কেপে উঠে

রোদ বিমানে উঠে BD তে গেলো।

রোদ বারান্দায় দাড়িয়ে আছে

রোদ বাইরে তাকিয়ে গান গাইতে শুরু করলো।

yeh dil tanha kyun rahe
kyun hum tukdon mein jiye!
kyun rooh meri sahe
mein adhroora jee raha hoon
hardum ye keh rah hoon
mujhe teri zaroorat hain
mujhe teri zaroorat hain

Andheron se tha mera rishta bada
tune hi ujalon se waaqif kiya
ab lauta main hoon in
andheroon mein phir toh paaya hai
khud ko begaana yahaan
tanhayi bhi mujhse khafaa ho aayi
banjaron ne bhi thukra diya
main andhora jee raha
khud par hi ik sazaa hoon
mujhe teri zaroorat hain
mujhe teri zaroorat hain!!

রোদ গান গেয়ে চোখের পানি মুছে নিল।

রোদ : কেনো সব কিছু ভুলতে চাইলে ও ভুলতে পারলাম না? কেনো পুরানো আঘাত আবার ফিরে আসলো কেনো এই আঘাত এক মাত্র তুমি দুর করতে পারবে ।

রোদ নিজের চোখের পানি মুছে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পর রোদ ওর গন্তব্যে পৌঁছে যায়। রোদ গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে যায়।

একজন : স্যার সব ঠিক আছে আমরা গার্ড আরো বাড়িয়ে দিচ্ছি
রোদ : হুম কোথায় ওরা ?
একজন : উপরে

রোদ উপরে গিয়ে মুচকি হাসে

চলবে

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here