#Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা : নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৬
মুন তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রোদের দিকে রোদ স্বাভাবিক হয়ে সামনে তাকিয়ে আছে । রোদ আর মুন একসাথে রিসোর্টে এর ভিতরে ঢুকলো
রাজ: hey the most beautiful couple ( রোদ আর মুনকে দেখিয়ে)
রোদ: hey what’s up
রোদ ,রাজ সবাই এক সাথে গ্রুপ হাগ করলো
রোদ আর মুনের হাত ধরে সামনে গেলো
সবাই মুনের সাথে খুব ভালো ব্যাবহার করছে একটু এদিক সেদিক হলে রোদ জানে মেরে দেবে ।
আশিক: তোর প্ল্যান টা কিন্ত সেই ছিল হটাৎ করে সবাই একসাথে
রাজ: হুম ঠিক বলছিস দুপুর যখন আমি ওর ওখানে গেলাম তখনই এই প্ল্যান করে যে সবাই একসাথে হবো আর দেখ আমরা কত মজা করেছি
রোদ: দেখতে হবে না প্ল্যানটা কার ( ভাব নিয়ে)
শুভ: বাই দা বাই ভাবি কিন্ত সেই সুন্দর
রোদ আড় চোখে তাকালো
শুভ: না মানে তোর সাথে খুব মানিয়েছে তাই বলছি
রাজ: আচ্ছা ওসব বাদ দে সবাই এনজয় কর
রাজ রোদকে একটু সাইটে নিয়ে গেলো
রাজ: রোদ আজকের দিনের জন্য নিজের রাগ কন্ট্রোল কর প্লিজ
রোদ: ওর সাহস কি( রেগে)
রাজ: প্লিজ দেখ ভাবি কত হ্যাপি ভাবির কথা ভেবে তো একটু
রোদ তাকিয়ে দেখে মুন কোয়েক জনের সাথে খুব হেসে হেসে কথা বলছে আর চারিদিক তাকিয়ে দেখছে
রোদ মুনের কাছে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো
মুন চমকে উঠলো
রোদ: আমাকে খুঁজছিলে বুঝি
মুন: আপনি কোথায় গিয়েছিলেন আমাকে রেখে আপনি জানেন আমি কাউকে চিনি না তাও আমায় ছেড়ে গিয়েছিলেন ( কাদো কাদো ফেস করে)
রোদ মুনকে সামনে এনে কোমর জড়িয়ে বলে
রোদ: সরি জান আমি ভেবেছিলাম তুমি বাসায় একা থাকো তাই যদি সবার সাথে কথা বলো ভালো লাগবে সেজন্য আর কখনো একা ছেরে যাবো না
মুন: সত্যি তো
রোদ: হুম ম্যাডাম
মুন: আচ্ছা আপনি আজ এত ভাব নিচ্ছেন কেনো শার্টের বোতাম খোলা কেনো কোর্ট হাতে কেনো মেয়েদের দেখাচ্ছেন তাই না
রোদ: দেখাতে পারি কেনো তুমি কি জেলাস
মুন: মোটেও না আমি ভাব নেবো
রোদ: জানে মেরে ফেলবো ( রেগে)
মুন: হ্ন আপনি করলে দোষ না আমি করলে দোষ
রোদ: হা দোষ বেশি বুঝতে যেও না ওকে
মুন: হ্ন আয়ছে ভাব নিতে
রোদ just মুনকে দেখছে
রোদ: খুব সহস বেড়েছে তোমার তাই না (
মুন: সাহসের কি দেখছেন আপনি সব তো আপনার থেকে শেখা
রোদ: যাক এতক্ষণে মুনের মন থেকে চাবির বেপার মুছে গেছে এটাই সবার জন্য ভালো ( মনে মনে)
রাজ: এই যে আপনারা কি এখানেই বসে কথা বলবেন হুম রোমান্স করার অনেক টাইম পাবেন
মুন হালকা হাসলো
আশিক: ওই রোদ চল আমরা আছি আমাদের better half আছে চল ট্রুথ আর ডেয়ার খেলি
রাজ: বোরিং খেলা
আশিক: বোরিং কি করে হবে যা করতে হবে ২জন মিলে
।
।
।
এভাবে ওদের খেলা শুরু করে খাওয়া দাওয়া করে যে যার মতো বাড়ি চলে গেলো
মুন বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে ভাবছে কি করে রোদের কাছ থেকে চাবি নেবে
মুন: রোদ তো এমনি এমনি চাবি দেবে না কিন্ত কি করে আমি চাবি নেবো কিভাবে কিছু একটা করতে হবে
মুন এসব আনমনে ভাবছে আর রোদ ওয়াশরুম থেকে এসে দেখে মুন গভীর চিন্তায় কি ভাবছে
রোদ: মুন তোমাকে কতো বার বলছি তোমার ভাবনা সব কিছু জুড়ে আমি থাকবো তাও কি নিয়ে এত ভাবছো
রোদের কোথায় মুন চমকে উঠে
রোদ: কি হলো এভাবে চমকালে কেনো কি ভাবছ বলো তো ( ভ্রু কুচকে)
মুন: কি আর ভাববো আপনি কি আমায় কোনো কিছু ভাবতে দেন । আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে কত মজা করেন কিন্ত আমি আমার বান্ধবীদের সাথে দেখা ও করতে পারিনা
রোদ: হটাৎ এই কথা( সন্দেহের দৃষ্টিতে)
মুন: হটাৎ এই কথা না আপনি যা খুশি করেন আজ কিভাবে বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলেন আর আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা আজব ( গাল ফুলিয়ে)
রোদ কিছু বলে না বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়
মুন ও পিছন পিছন গিয়ে রোদকে জড়িয়ে ধরে
মুন: রোদ প্লিজ আমাকে একটু দেখা করতে দিন না কত দিন দেখি না একটু বাইরে যেতে দিন এভাবে ঘরে থাকতে ভালো লাগে
রোদ: আজ না ঘুরতে নিয়ে গেলাম
মুন: ও তো আপনার বন্ধু আমার কে
রোদ: তোমার কেউকে দরকার নেই আমি আছি তো তোমার সব কিছু ঘিরে শুধু আমি বুঝেছ। এই নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাইনা ( ধমক দিয়ে)
মুন কিছু না বলে ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে একটু পর রোদ ও গিয়ে মুনকে জড়িয়ে ধরে কিন্ত দূরে সরে যায়। রোদ টানছে মুন ও আসার পাত্রী না
রোদ: মুন্নননন ( চিৎকার করে)
রোদের চিৎকারে মুন ভয় পেয়ে রোদের কাছে এসে শুয়ে পড়ে
রোদ মুনকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে
।
।
।
বেশ কিছুক্ষণ পর
রোদ বুঝলো যে ওর বুকের জায়গা ভিজে শেষ
রোদ মুনের মুখটা উচু করে কিন্ত মুন হাত সরিয়ে দেয় রোদ আবার মুনের মুখ উচু করে মুন আবার হাত সরিয়ে দেয় এভাবে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির মধ্যে মুন কেদে দেয়
মুন: আআআআআআআআআআআআআআআআআহ
রোদ মুনকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে
রোদ: এমন পাগলামির কি মানে এমন ফালতু জেদ কেউ করে
মুন: আআআআআ
রোদ: এবার চুপ করো প্লিজ এতো রাতে এভাবে কেউ কাদে আচ্ছা ঠিক আছে কাল তোমার বান্ধবীদের সাথে দেখা করো কেমন
মুন: সত্যি ( খুশিতে)
রোদ: কান্না অফ
যাই হোক দেখা করতে পারবে কিন্ত ওরা তোমার বাসায় আসবে এর বেশি আর কিছু না
মুন: ধুর তাহলে তো কিছুই হবে না
রোদ: কি হবে না ( ভ্রু নাচিয়ে)
মুন: আমি বলতে চাইছি মজা হবে না আমি বাইরে গেলে কি হবে প্লিজ
রোদ: মুন আমি এই নিয়ে আর কথা বলতে চাইছি না অনেক রাত হইছে ঘুমাও ( কঠিন গলায়)
মুন কিছু একটা ভেবে
মুন: আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যা বলবেন তাই হবে আমি ওদের আসতে বলে দি
রোদ: হুম আমার সামনে বলো
মুন: ডেভিল একটা
বলে ফোন করে ওদের আসতে বলে
রোদ: এবার খুশি তো
মুন: হুম
রোদ: এখন ঘুমাও কোনো কথা না
মুন কোনো কথা না বলে শুয়ে পরে
।
।
।
।
মাঝ রাতে মুন উঠে দেখে রোদ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন
মুন: এটাই সুযোগ যা করার করতে হবে ( মনে মনে)
মুন উঠতে যায় কিন্ত রোদ এমন ভাবে মুনকে জড়িয়ে আছে যেনো ছেরে দিলে চলে যাবে
মুন: উফফ বুঝি না উনি এমন ভাবে ধরে কেনো ধুর এখন উঠবো কি করে ভালো লাগে না
মুন অনেক চেষ্টা করে রোদের থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারেনি
শেষে চুপ করে শুয়ে থাকে ।একটু পর রোদের বাঁধন হালকা হলে মুন আস্তে আস্তে রোদের থেকে উঠে পা টিপে টিপে বাথরুমে যায়
মুন: উফফ সব উনার প্ল্যান এই পায়েল পড়িয়েছে কারণ আমি যা করি উনি যাতে টের পেয়ে যায়
মুন বাথরুমে গিয়ে চেঞ্জিং রুমে গিয়ে রোদের ড্রেস খুঁজতে লাগে
পেয়ে যায় মুন রোদের পেন্ট থেকে সেই বক্সটা বের করে ওখানে থেকে চাবি বের করে সাবানের উপর দিয়ে ভালো করে ছাপ নেয় । কাজ শেষে আবার আগের জায়গায় রেখে দেয়
মুন: কাজ শেষ এখন কাল ওরা আসলে বাকিটা হয়ে যাবে
মুন সাবান টা উরনার আচলে বেঁধে নেয়
মুন ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে রোদ বসে আসে
মুনের তো আত্মা কেপে উঠছে । তাও মুখে মেকি হাসি দিয়ে বলে
মুন: আপনি এখন উঠলেন কেনো ঘুম ভেংগে গেছে( ভয়ে ভয়ে)
রোদ শান্ত দৃষ্টিতে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে
মুন: আল্লাহ বাচাও প্লিজ আজ ধরা পড়লে আমি কবর নিশ্চিত ( মনে মনে )
রোদ মুনের দিকে এগিয়ে আসছে মুনের তো আত্মনা উরে গেলো বলে
রোদ মুনের কাছে এসে মুনকে কোলে নিয়ে ঘাটে শুয়ে দেয়
রোদ মুনের দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাথে মুন ও
মুন: আমার ঘুম পাচ্ছে বলে কম্বল মুড়ি দিলো
রোদ কম্বল টেনে ফেলে দেয়
রোদ: এতো রাতে উঠছো কেনো?
মুন: আমার একটু ওয়াশরুমে যাওয়ার দরকার ছিল
রোদ: আমাকে ডাকলে না কেনো?
মুন: আজব বাথরুমে যাওয়ার জন্য ও আপনার ডাকতে হবে আর আপনি তো ঘুমিয়েছিলেন
রোদ কিছু না বলে মুনের কপালে গালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়
আস্তে আস্তে হারিয়ে গেলো অন্য দুনিয়ায়
।
।
।
সকালে
মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে রোদ নেই
মুন: এই রে কোথায় গেলো আমার কি অনেক দেরি হয়ে গেছে উনি কোথায়
এসব ভাবতে ভাবতে রোদ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো
রোদ মুনের দিকে একটা স্মাইল দিলো
মুন কিছু না বলে
ওয়াশরুমে চলে যায়
মুন যাওয়ার সাথে সাথে রোদ বক্সটা নিয়ে আলমারিতে থুয়ে দেয় ।
রোদ: আমি জানি কাল তুমি এটাই খুঁজছিলে তোমার মাথা থেকে আমি এটা যে করে হক বের করেই ছাড়বো আজ তোমার বান্ধবীরা আসবে তাদের সাথে থাকলে তুমি কিছুটা ওসব ভুলে থাকবে আর আমি আছি তো তোমাকে কিছুতেই ওই কালো অধায় যেতে দেবো না
মুন বেরিয়ে রোদের জন্য খাবার নিয়ে আসলো ।
রোদ খাবার খেয়ে বেরিয়ে পরলো
মুন ঘরে এসে খাটের নিচ থেকে উরনা বের করে
মুন: ভাগ্যিস কাল কম্বলের মধ্যে গিয়ে ওরনা টা খাটের নিচে ফেলে দিয়েছিলাম নাহলে কালই ধরা পরটাম এখন এটা সাবধানে রাখি একটু পর ওরা আসবে ।
মুন ওরনা রেখে রান্না ঘরে গেলো
।
।
।
কিছুক্ষণ পর লামিয়া ,রুমা আসলো
মুন: তাহলে আসার সময় হলো
লামিয়া: সর তোর সাথে কথা নেই একটু তো খোজ নিস না সেই যে বিয়ে করে আসলি তারপর থেকে মহারানীর খোজ নেই
মুন: বিয়ের পর একটা মেয়ের জিবন পাল্টে যায় এটা বুঝতে হবে আর আর এই বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ নেই রোদ তো অফিসে যায় আসবে দেরি করে আর একটু আগে আসলে দেখা হতো
রুমা: দেখা হবে কি জিজু তো আমাদের এখানে গাড়ি করে নিয়ে এসে চলে গেলো
তোকে কিছু বলেনি
মুন: না তো
লামিয়া: কপাল করে একটা বর পাইছিস
মুন: তোদের হেল্প লাগবে আমার
রুমা: কিসের হেল্প তুই যা বলবি আমরা তাই করতে রাজি
তারপর মুন ওদের সেইদিনের কথা বললো
লামিয়া: এতে বুঝা যাচ্ছে যে জিজু কিছু একটা লুকাচ্ছে আচ্ছা তুই চাবি টা নিচ্ছিস
মুন: না চাবি নিতে পারিনি কিন্ত চাবির ছাপ নিয়েছি এখন তোদের ওটা দেবো আর তোরা চাবি বানিয়ে এনে দিবি
রুমা: ওকে আমি আমার ড্রাইভার কে ফোন করে আসতে বলে চাবি বানাতে পাঠিয়ে দিচ্ছি আজই চাবি পেয়ে যাবি
মুন: তাহলে তো আরো ভালো দারা আমি সাবান টা নিয়ে আসি
মুন সাবান এনে রুমা কি দিলো
লামিয়া: চিন্তা করিস না তোর কাজ হয়ে যাবে
মুন: হুম
রুমা: চল যতক্ষণ না চাবি আসতে আমরা আড্ডা দিতে থাকি কত দিন পর দেখা
৩বান্ধবী মিলে আড্ডা দিতে থাকে
।
।
।
দুপুর মুন চাবি পেয়ে যায়
লামিয়া: কীরে এখন খুলবি নাকি?
মুন: না এখন না পশু দিন উনার কাজের অনেক চাপ থাকবে সেদিন খুলব তার আগে খুঁজতে হবে আলমারি কোনটা আর আজ কিছু করা যাবে না উনি যেকোনো টাইম এ আসতে পারে আগে চাবিটা সাবধানে রাখতে হবে
মুন চাবিটা আলমারিতে রেখে দেয়
রুমা: তুই জিজু কে খুব ভালবাসিস তাইনা
মুন: জানিনা তবে ওর আমার প্রতি এই পাগলামি গুলো আমার খুব ভালো লাগে যখন রেগে যায় তখন মনে হয় দি একটা কিন্ত যখন আঘাত করে ভালোবাসে তখন মনে হয় এই মানুষ তার কাছে আমি সব থেকে বেশি নিরাপদ
রুমা+লামিয়া: ওরে বাবা রে কি ভালোবাসা
বুঝতে হবে বউটা কার
মুন লামিয়া রুমা দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে
#Mr_Devil
(A Psycho love story)
লেখিকা: নুসরাত জাহান অংকুর
পার্ট_৭
রোদ দরজার কাছে হেলান দিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
রুমা: আরে জিজু আপনি কখন এলেন?
রোদ:এই তো একটু আগে আমার সালিকা এসেছে আর আমি না এসে পারি তাই চলে আসলাম তোমাদের সাথে গল্প করতে
লামিয়া: ভালো করেছেন আসুন বসুন
রোদ ওদের সাথে গিয়ে গল্প করতে লাগলো
।
।
।
বিকালে ওটা চলে গেলো
মুন ঘরে আসার সাথে সাথে রোদ ওকে পিছনে থেকে জড়িয়ে ধরে
রোদ: কি এবার খুশি তো?
মুন: হুম খুব খুশি অনেক দিন পর আবার এক সাথে হলাম সত্যি সময়টাকে যদি ধরে রাখতে পারতাম কি না ভালো হতো তাই না
রোদ: সময় কে কখনই ধরে রাখা যায়না ওটা আবেগ থেকে বেরিয়ে আসে
মুন: আচ্ছা আবেগের বসে মানুষ কতো কিছু না করে কাছের মানুষ থেকে ও এমন কিছু লোকায় যা তার জানা দরকার
রোদ কিছুটা নরে
রোদ: আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি তুমি থাকো
এই বলে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে
মুন: পালিয়ে গেলেন আমার কথার উত্তর দিতে চাইছেন না কিন্ত আমি তো সব কিছু খুঁজে বের করবো যে করে হোক
মুন কিচেনে গিয়ে কফি করে নিয়ে আসে
রোদ বেরিয়ে দেখে মুন কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছে রোদকে দেখে মুন কফিটা এগিয়ে দিল
মুন: এই নিন আপনার কফি
রোদ মুনের হাত থেকে কফিটা নিয়ে বিছানায় লিপটবে কাজ করতে শুরু করে
মুন: ধুর বেরসিক মানুষ
মুন ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো
রোদ কাজ করেই যাচ্ছে
বেশ কিছুক্ষণ পর মুন ঘরে এসে রোদের পাশে বসে
রোদ তো কাজ করেই যাচ্ছে মুনকে পাত্তা দেওয়ার টাইম তার নেই
মুন তো শান্তি মতো বসে আছে না একবার রোদের খোঁচা খোঁচা দাড়ি ধরে টানাটানি করছে তো একবার চুল ধরে টানছে
রোদ: কি হলো কি করছো কি?( বিরক্তি নিয়ে)
মুন: কিছু না আপনি আপনার কাজ করুন আমি আমার কাজ করি
রোদ আবার কাজে মনোযোগ দিল কিন্ত মুন ও তো চুল দাড়ি টেনেই যাচ্ছে সাথে আবার কান ধরে ও টানাটানি
রোদ আর সহ্য করতে না পেরে মুনকে বিছানার সাথে চেপে ধরে
রোদ: কি ব্যাপার কি সমস্যা তোমার হা এভাবে টানাটানি করছো কেনো ( রেগে)
মুন: তো আমি কি করবো সারাদিন তো এই বাড়িতে চুপ করে থাকি আর আপনি যখন বাড়ি আসেন আমাকে পাত্তাই দেন ওতো যখন কাজ তো বাড়ি তাড়াতাড়ি আসতে কে বলে । অফিস ওতো ভালো লাগে তো অফিসে থাকতেন আমাকে বিয়ে করে এভাবে জিবন নষ্ট করার কি মানে হু সরুন তো ( রোদকে ধাক্কা মেরে)
মুন উঠে নিজেকে ঠিক করে আবার বলে
মুন: সময় থাকতে বউকে মূল্য দিতে শিখুন নাহলে বউ অন্য কারোর হয়ে যাবে ( অভিমানী কণ্ঠে)
রোদ: অন্য কারোর হয়ে দেখাও না ঠেঙ্গ ভেঙ্গে বসিয়ে রাখবো
মুন: পারেন তো শুধু ওটাই করতে
রোদ: তবে রে
বলে মুনকে ধরতে গেলে মুন তো দোর
রোদ: এই দাড়াও বলছি ( দৌড়াতে দৌড়াতে)
মুন: আমি কি পাগল আপনার কাছে ধরা দেবো
রোদ: হাতের কাছে পাই তারপর তোমাকে দেখছি
রোদ আর মুন সারাবাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছে
মুন উঠে সোজা ছাদে গেলো সাথে রোদ ওর রোদ ছাদের দরজা লাগিয়ে দিল
রোদ: এবার কোথাও যাবে
মুন: দেখুন একদম কাছে আসবেন না ভালো হবে না বলে দিলাম
রোদ: আচ্ছা দেখা যাক ( মুনের কাছে যেতে যেতে)
রোদ এক পা এক পা করে মুনের কাছে যাচ্ছে আর মুন পিচাচ্ছে ।
মুন দৌড়ে চলে যেতে গেলে রোদ হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়
রোদ: এখন কোথায় পালাবে সুইটহার্ট
মুন: ছাড়ুন আপনি যান আপনার অফিসের কাজ আছে জান
রোদ: এখন তো আর যাচ্ছি না এখন আমি অন্য কাজ করবো
রোদ মুনের আরো কাছে যাচ্ছিলো তখনই রোদের ফোন বেজে উঠে
মুন রোদকে ধাক্কা মেরে নিচে চলে যায়
রোদ মিষ্টি হেসে ফোনটা ধরে
রোদ: তাহলে মনে পড়লো ?
….
রোদ: থাক আর বলতে হবে না তুই যে কেমন আমার ভাই সে বুঝা হয়ে গেছে আমার বিয়েতে ও রো তোর আসার সময় হলো না
…..
রোদ: হইছে এবার বলে কবে আসছিস?
…..
রোদ: সত্যি আমি মুনকে বলছি তুই তাড়াতাড়ি আয় তোকে দেখতে খুব মন চাচ্ছে
…..
রোদ: ওকে
রোদ আর কিছুক্ষণ কথা বলে নিচে চলে গেলো
।
।
।
রোদ নিচে গিয়ে দেখে মুন কাবার্ড গুছাছে রোদ তাড়াতাড়ি গিয়ে বললো
রোদ: এখানে কি করছ তুমি?
রোদের ডাকে মুন খানিকটা ভয় পেয়ে যায়
মুন: দেখতে তো পাচ্ছেন কি করছি
রোদ: তোমাকে আমার পাশ গুছাতে হবে না আমি করে নেবো
মুন একটু থেমে বললো
মুন: হা আমার তো অধিকার নেই আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আচ্ছা সরি আপনি গুছান আমি রাতের খাবার রেডী করছি
মুনা আর কিছু না বলে নিচে কিচেনে চলে যায়
রোদ: জানি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি কিন্ত আমি নিরূপায় । আমার সব কিছু শুধু তোমার কিন্ত আমার কষ্টের ভাগ আমি তোমাকে দিতে পারবো না । তোমাকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার শুধু আমার অন্য কোনো ভাবে আমি তোমাকে কষ্ট পেতে দিতে চাইনা
রোদ ক্যাবাড থেকে চাবিটা অন্য একটা জায়গায় রাখলো যেখানে রোদের ফিঙ্গার ছাড়া কাজ হবে না ।
।
।
।
রাতে মুন খাবার রেডী করে রোদকে ডাকছে
রোদ তো কপালে হাত দিয়ে শুয়ে আছে। মুনের ডাক যেনো ওর কানেই যাচ্ছে না মুন বেশ বিরক্তি নিয়ে রোদের কাছে গিয়ে গায়ে যায় দেয় আর রোদ ঝড়ের গতিতে মুনকে নিজের বুকে ফেলে দেয়
মুন: কি হচ্ছে কি ছাড়ুন ( অন্য দিকে ফিরে)
রোদ: আমার দিকে তাকাও
মুন: খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে
রোদ: আমার দিকে তাকাতে বলছি না ( রাগী গলায়) উফফ এই মেয়েটা
বলে মুনের মুখ নিজের কাছে অনে
রোদ: খারাপ লেগেছে ?
মুন….
রোদ: কি হলো আমি অভাবে বলতে চাইনি আমি just তোমাকে সাহায্য করতে চাইছিলাম কিন্তু তুমি আচ্ছা যাও এবার থেকে ঘরের যেখানে খুশি কাজ করো আমি আর কিছু বলবো যাও
মুন: এভাবে বলছে কেনো নিশ্চয় চাবি লুকানো হয়ে গেছে কিন্ত লুকিয়ে লাভ নেই আমার কাছে আছে( মনে মনে)
রোদ: তুমি হাজার খুঁজলে ও পাবে না( মনে মনে) কি হলো যাও
মুন: না আপনি খেতে চলুন
রোদ মুনের গালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে উঠে পড়ে । আর মুন হা করে আছে
রোদ: কি হলো যাবে না এখানে বসে থাকবে
মুন আর কথা না বাড়িয়ে রোদের সাথে হাঁটা ধরলো
।
।
।
খাওয়া দাওয়া শেষে রোদ আর মুন শুয়ে আছে
রোদ: মুন আমায় ছেড়ে কখনো যেও না তুমি বিহীন নিঃস্ব আমি
মুন রোদকে টাইট করে জড়িয়ে বলে
মুন: সূর্যের আলোতে চাদ পরিপূর্ণ তেমনি আপনার ভালোবাসার এই মুন পুরিপূর্ন
রোদ ও মুনকে খুব টাইট করে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে চলে যায়
ভোর ৪ টায় মুনের ঘুম ভেংগে যায় মুন তাকিয়ে দেখে রোদ কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে
মুন: ঘুমিয়ে থাকলে একদম বাচ্চা আর জেগে থাকলে পুরাই #ডেভিল
মুন রোদের এলোমেলো চুলগুলো আরো এলোমেলো করে দিল সাথে গাল টানছে আর দাড়ি ধরে টানছে । রোদ ঘুমের মধ্যে মুনের হাত সরিয়ে দিলো মুন আবার টানছে
রোদ চোখ মেলে বলে
রোদ: কিহলো এতসকালে কি শুরু করলে ঘুমাতে দাও
মুন: আমার ঘুম ভেংগে গেছে আপনাকে আমি ঘুমাতে দেবো না উঠুন উঠুন ( হাত ধরে টানছে)
রোদ কিছু না বলে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে
মুন রোদের কম্বল ধরে টানাটানি করছে কিন্ত পারছে না শেষে কম্বলের উপর থেকে চিমটি কাটছে কিল ঘুসি দিচ্ছে
রোদ কম্বল ফেলে মুনের দিকে তাকিয়ে আছে
মুন অন্য দিকে ফিরে আছে
মুন: ইসস কেনো যে উনাকে জালাতে গেলাম এখন আমার কিউট গাল দুটোকে লাল করে দেবে ধুর ভালো লাগে না ( মনে মনে)
মুন রোদের দিকে তাকিয়ে দেখে রোদ ওর দিকে হাত বাড়িয়ে আছে
রোদ: চুপচাপ এসে শুয়ে পরো একটা কথা বললে মার একটা ও নিচে পড়বে না ( দাতে দাঁত চেপে)
মুন কিছু না বলে রোদের বুকে শুয়ে পড়ে
বেশকিছুক্ষণ পর
মুন মাথা তুলে দেখছে রোদ ঘুমিয়েছে কি না
রোদ: আবার
মুন: ঘুম না আসলে আমি কি করবো উঠে পড়ি
রোদ: একদম না ঘুম না আসলে ও ঘুমাতে হবে তুমি উঠলে আমার ঘুমের বারোটা বাজবে চুপচাপ শুয়ে থাকো
মুন: ওমন করেন কেনো একটু গল্প করলে কি হয় ( কাদো কদো ফেস করে)
রোদ কিছু না বলে উঠে স্টাডি রুমে যায়
মুন: লাঠি আনতে গেলো নাকি ওহ আল্লাহ বাচাও কেনো যে উনাকে জালাতে যাই আল্লাহ শেষবারের মতো বাচাও
একটু পর রোদ হাতে একটা বই নিয়ে আসলো মুন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো
রোদ মুনের কাছে এসে মুনকে বুকে নিয়ে বললো
রোদ: আমি গল্প বলছি তুমি ঘুমাও
মুন মাথাটা একটু উচু করে রোদের গালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দেয়
রোদে মুচকি হেসে গল্প বলতে শুরু করে
গল্প বলতে বলতে একসময় মুন ঘুমিয়ে যায় রোদ ও মুনকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে
।
।
।
সকালে
মুন ঘুম থেকে উঠে দেখে রোদ নেই ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ১১টা বাজে
মুন: ইসস কত দেরি হয়ে গেল উনি নিশ্চয় চলে গেছে ধুর ভালো লাগে না কেনো যে এত ঘুমালাম রাতে ঘুম আসে না আর সকালে ঘুম ভাঙতেই চায় না
মুন উঠে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এসে ফোন হাতে নিয়ে একটা মুচকি হাসে
ফোনে রোদ মেসেজ দেছে
এই যে ম্যাডাম অনেক বেলা পযন্ত ঘুমিয়েছেন রাতে আমার ঘুম কেড়ে নিজে কি সুখে ঘুমাচ্ছে যাই হোক আজ একটু বেশি কাজ আছে আসতে দেরি হবে তুমি খাবার খেয়ে বাসায় থাকো । ভয় করলে লামিয়া, রুমা কে ডেকে নিও নাহলে আমায় ফোন দিও। নিজের খেয়াল রেখো সাবধানে থেকো অনেক বার ফোন দিছি পাইনি তাই মেসেজ দিলাম আজ একটু কাজের চাপ বেশি থাকবে আর তুমি চিন্তা করো না আমি খেয়ে নিয়েছি ।
মুন ফোনটা রেখে খেয়ে নেয় ।
মুন: আজ সুযোক রোদের ব্যাপারে জানার মুন আলমারি থেকে চাবি নিতে গিয়ে অবাক
চলবে
( অনেকেই বলছেন রোদ বেশি করছে তাদের বলছি গল্পের নাম #মিস্টার ডেভিল (A Devil husband) তাহলে রোদ ওর জায়গায় ঠিক আছে আমাকে তো গল্পের নামের সাথে মিল রাখতে হবে )
চলবে