My vampire lover comes again part End

#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না

#অন্তিম_পর্ব

ইরিন কেনেল এর সাথে হাত মিলিয়ে দরজা খুলে বাইরে পা রাখতেই তার মাথা ঘুরতে লাগে। সে আরেক পা আগানোর চেষ্টা করতে লাগে। কিন্তু তার মাথা প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করতে শুরু করে। তার চোখ বন্ধ হয়ে পড়ে যেতে লাগলেই কেনেল তাকে চেপে ধরে। ইরিন নিজের জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কেনেল তাকে কোলে উঠিয়ে নিজের রুমে গিয়ে বেডে শুয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।

—“বেবি এখন তো অনেক কিছু বাকি আর তুমি এতো জলদি চলে যাবার চেষ্টা করছ? দ্যাটস নোট ফেয়ার! তুমি অবশ্যই যাবে তবে সেটা মুনস্টোন আমার হাতে আসার পর। তারপর নিশ্চিত ভাবে তুমি মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিতে পারিবে সাহেবা অরিন ওরপে মিস ইরিন জনাবা। ডেভিল লুক করে ঠোঁটে শয়তানি হেসে দিল।

—“আচ্ছা আমার আইডিয়াটা কেমন লাগল মহাশয়? এলেজ কেনেল এর সামনে হাজির হয়ে বলল।

—“ধারণ তোর এই পারফিউম এর চমৎকার সুবাসের জন্যে ইরিন কে কাবু করলাম। নইতো সে প্রস্তুতি নিয়েই নিয়েছিল সিরাত এর কাছে চলে যাওয়ার।

—“জী স্যার আপনার জন্যেই বানিয়ে আনলাম। বিপদে কাজে লাগবে।

—“হুম গুড। এখন চল আমাদের পিপাসা মিটিয়ে আসি ক্ষুধা লাগছে প্রচুর পরিমাণে। রক্তের ঘ্রাণ যেন নাকে এসে ভার করছে। তাড়াতাড়ি চল।

এলেজ কেনেল এর সাথে বেরিয়ে যায়।

_____________________

সিরাত ব্লেক কালার শেরওয়ানি পরে মুকুট চেয়ারের সামনে দাঁড়াল। মায়াবিনী অর্নব নিকেল রেনা সবাই খুশি মনে সবার সাথে তাল মিলাছে।
সবার সামনে মুকুট পরানোর অনুষ্ঠান শুরু হলো। জর্জ বিভিন্ন মন্ত্র পড়ে মুকুটের মধ্যে শক্তি আনল। মুকুটটা পরক্ষণেই আলোকিত হয়ে উঠল। সেটা মায়াবিনী নিজ হাতে সিরাতের মাথায় পড়িয়ে দে। সিরাতের রুপ পরিবর্তন হতে লাগে। তার হাতজোড়া শক্ত বাহুডোরা ফুলে উঠে। এক পর্যায়ে তার শক্তি পরিপূর্ণ হয়ে সে পিশাচে রুপ নিয়ে গর্জন দিয়ে উঠে। নিকেল স্বাভাবিক ভাবেই দাঁড়িয়ে পিশাচদের রুপ চেঞ্জ হওয়া দেখছে।

সিরাত এর গর্জনে সবাই পিশাচে রুপ নিল এমনকি রেনাও। রেনা নিকেল এর দিকে তাকিয়ে বলে।
—“আপনি হবেন না পিশাচ?
—“এ্যাহ আমি কেন হব পাগলী? আমি ত নেকড়ে ।
—“ওহ্।
সিরাত মুকুট চেয়ারে বসে বলে—“নিকেল নিজের রুপে এসে গর্জন দিয়ে তোমার এলাকার নেকড়েদের ডাক দাও যুদ্ধের ময়দানে যাওয়ার টাইম চলে আসছে।

নিকেল মুচকি হেসে ততক্ষণে নিজের রুপে এসে জোরে জোরে গর্জন দিতে লাগে।
পরে সে নিজের মানুষের রুপে চলে আসে। কিন্তু কারো আসার সাড়া না পেয়ে নিকেল হতাশ অনুভব করে। সে নিজের মাথা নিচু করতে লাগে। তখনই ভাউউউউ।

কারো গর্জনে সবাই সেদিকে ফিরে তাকায়। নিকেল দেখে জোরে বলে—“চলোওওও।

সিরাত নিজের রুপে চলে আসাতেই তার পিঠের থেকে পাখা বের হলো। সেটার ফলে সে সবার সামনে উপরে উঠে বলে—“চলো দুশমনদের কাজ শেষ করতে যায়। কেনেল আমি আসতেছি নিজের প্রতিশোধ নিতে। রেগে বাঁকা হাসি দিল।

_________________

ইরিন মাথা চেপে ধীরে ধীরে উঠে বসে। সে আশপাশ ভালোভাবে তাকিয়ে দেখে। কেউ নেই সাথে তার হাত পা বেডের সাথে বাঁধা। এদেখে ইরিনের বুঝতে বাকি রইল না। কাজটা কার হতে পারে। সে নিজেকে কোজতে থাকে আর বলে—“ছিঃ কেনেল আপনাকে মহৎ ভেবেছিলাম কিন্তু আপনি ত সর্বনাশকারী। তবে সবাই কই? আমার থেকে যেভাবেই হোক এখান থেকে বের হতে হবে। না হলে কেনেল কি করবে জানি না। ইয়া আল্লাহ কিভাবে ছাড়াবো নিজেকে।

হঠাৎ তার মনে পড়ল তার শাড়ির আঁচলে তার বক্সটা আটকানো। সে নড়েচড়ে কোনোভাবে আঁচলের প্যাচ খুলার চেষ্টা করে। সে খেয়াল করল প্যাচ আছে তবে গিঁট নেই। যাক ভাভা গিঁট নেই খুলে যাবে ! যাই হোক খুলতে ত হবেই। আনমনে বলেই সে নাড়াচাড়া করতে লাগে।

শাড়ির আঁচলের ধাক্কাধাক্কি তে বক্সটার গভীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে এক হাই তলে দেখে ইরিনের হাত-পা বাঁধা। সে এদেখে বলে—“সাহেবা এ কি হলো? তোমাকে কে বেঁধেছে?
—“তুই নিজের শক্তি দিয়ে দেখ বুঝে যাবি।
বক্সটা নিজের চোখ বন্ধ করে কি কি হলো সব দেখে তড়িঘড়ি নিজেকে শাড়ির আঁচল থেকে ছাড়িয়ে উপরে উড়তে লাগে। সে নিজে মাথার উপর থেকে একটা ছুড়ি আবিষ্কার করল। সেটা মুখে নিয়ে সে ইরিনের এক হাতের দড়ি কেটে ফেলল। ইরিন বাকি দড়ি খুলে নিজেকে ঠিক করে বলে—“শুন তুই কি আমাকে অফিসে নিতে যেতে পারবি?
—“কেন সেখানে কি? ভ্রু কুঁচকে বলল।
—“রহস্য কি সেটা বের করতে!
—“ওহ ওকে।

কিন্তু যখনই বক্সটা নিজের শক্তির প্রয়োগ করতে যাছিল। তখনই ইরিন খেয়াল করল তার হাতের রিং চিকচিক করে আলোকিত হচ্ছে। সবুজ বাতি টা লাল বাতি হচ্ছে। সে দেখে বক্সটাও দেখল। বক্সটা বিজয়ের হাসি দিয়ে বলে—“সাহেবা অফিসে যেতে হবে না। সেই রহস্য এর সন্ধান এই ঘরের কোনো এক জায়গা থেকে পাবা।
ইরিন খেয়াল করল লালবাতির আলোকিত হচ্ছে সামনের দিকে ইঙ্গিত করছে। বক্সটা এ দেখে বলে—“চলো কোন দিকে নিয়ে যায় দেখি।

ইরিন আর বক্সটা মিলে লালবাতির সাথে সামনে এগোই। তারা একটা রুমে এসে থেমে যায়। কারণ লাল বাতিটা সেই রুমের দিকে যাচ্ছে। তারা দরজা খুলে দেখে একটা স্টোর রুম। পুরো রুম খুঁজতে লাগে কিন্তু কোনো এক কোণায়ও লাল বাতিটা জ্বলছে না। এখন সবুজ বাতি জ্বলে আছে। ইরিন কি করবে সে হাত একটা দেওয়ালে স্পর্শ করে হঠাৎ তার রিং এ লাল বাতি জ্বলে উঠে। বক্সটা সাথে সাথে ইরিনকে বলে—“দেখো দেখো রেড লাইট ইজ অন।
ইরিন সন্দেহ এর ভঙ্গিতে পুরো দেওয়ালটা দেখে ঠোঁট উল্টিয়ে হাতের স্পর্শ করে তখন রেড লাইট অন হয় সরিয়ে নিলে গ্রিন লাইট। সে টেডি স্মাইল দিয়ে একটা হাতুড়ি নিয়ে কুড়লো দেওয়ালটা। সামনে দরজা দেখা গেল। সে সামনে গিয়ে দেখে সবকিছু নোংরা হয়ে আছে দরজাটা খুলার জন্য চেষ্টা করে কিন্তু সেখানে তালা মারা। এখন চাবি কিভাবে পাব? আর এতো দূর এসে চাবি খুঁজতে যেতে যেতে কেনেল চলে আসতে পারে। তুই কিছু কর বক্স!
—“ওহ হ্যাঁ করছি। সে মন্ত্র পড়ে একটা নকল শক্ত চাবি হাজির করে ইরিনকে দিল।
ইরিন ধীরে ধীরে চাবিটা ঢুকিয়ে জট করে নাড়া দে চট করে তালা টা খুলে যায়। সে তড়িঘড়ি করে সামনে আগায়। সে দরজা খুলে দেখে পুরো রুম অন্ধকার এরই মাঝে একটা নিচে যাওয়ার সিড়ি। সে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে আর তার পাশে দেওয়ালগুলোতে আড়চোখে দেখছে। পুরো দেওয়ালে পিশাচদের কাহিনি এঁটে দেয়া।

নিচে এসে দেখে একটা বরফ চক্র। এর নিচে আগুনের লাভা ফুটফুট করছে। সে ভাবান্তর হয়ে বলে—“এখানে ত গরম ঠান্ডা দুটোই আছে? কি করব!
—“ধাঁধা টা মনে করে দেখ।
—“ঠান্ডা আবাশ হবে। হুম ইরিন বরফ এর উপর ফুঁ দিল।
ফুঁ এর আবাশ বরফে পড়তেই পুরো বরফ ভেঙ্গে লাভার সাথে মিশতে লাগে। এতে তারা খেয়াল করল। লাভা আর পানি মিলে রাস্তা নিমার্ণ হচ্ছে আপনাআপনি। পুরো রাস্তায় পূর্ণ হয়ে গেলে। তারা সেই রাস্তা পাড় করে সামনে যায়। তাদের শেষ ধাপে পৌঁছে দেখে শেষ দরজা। দরজার নিচ থেকে আলো আসছে। ইরিন এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে দরজা খুলতেই দেখে এক তলোয়ার আসমানে ভাঁসছে। সে তলোয়ারটার দিকে ঘোরভাবে দেখে কিছুটা মনে করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার মনে আসছে না। বক্সটা ইরিনের কাছে এসে বলে—“ঐদিক দেখো তোমার ভীড় পিশাচ এর ছবি। এর উপর থেকে পর্দাটা সরাও। আর সরাতেই আমি মানুষেও পূর্ণ হব।

ইরিন মুচকি হেসে সেই বড় ছবির ফ্রেমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। সে কাঁপাকাঁপা হাতে পর্দা টা সরাতেই দেখে সিরাত আর তার ছবি আর্ট করা। এরই সাথে বক্সটা নিজের রুপ ফিরে পাই। সে লাফাতে লাফাতে বলে—“সাহেবা ছবিতে স্পর্শ করো।

ইরিন ছবির মধ্যে স্পর্শ করতেই সে হিচঁকে চোখ বন্ধ করে ফেলল। তার মনের মধ্যে সব স্মৃতি ফিরে এলো। আগে সে কি ছিলো কে ছিলো? সব তার মনে পড়ে গেল। সে কান্নামিশ্রিত ভাবে চোখ খুলল।

মুখ দিয়ে শুরু একটা কথায় বের হলো—“সিরাত আমার শ্রেয়।
—“হুম সাহেবা আর আপনি অরিন।
—“অনেক দেরি করে ফেলেছি মনে হয় আসতে তাই না বেবি?
হঠাৎ কারো আওয়াজ পেয়ে দুইজন পিছে ফিরে তাকায়।
—“আ…আপনি? ইরিন ভয়ার্ত ফেস করে দাঁড়িয়ে আছে।
—“হুম আমি কেনেল সম্রাট কেনেল। সাতবছর ধরে তোমার জন্যে অপেক্ষা করেছি। আজ সফল হব।
—“কখনই না। শুধু স্বপ্নই দেখবা। বাস্তবটা তোমার জন্যে বিপরীতভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে। যাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
—“হাহাহা কি বলে এলেজ শুনছস? আমাকে পরাজয় করার মত আজ পর্যন্ত কারো সাহস হয় নি। এমন কি শ্রেয়োরও নয়।
—“ভুল এটা একদম তোমার ভুল ধারণা। অতীতে তুই শ্রেয়কে পিঠপিছে আক্রমণ করেছিস। এবার দেখ আমার শ্রেয় আসবে আর আক্রমণও হবে তোর চোখের সামনে।
—“ব্যস অনেক শুনলাম তোমার বকবক এবার কাজ করার বেলা।
সে বক্সটাকে দেখে বলে—“আরে শালা সাহেব কি যেন নাম? ওহ সিল তোকেও স্বাগত। এলেজ ধর একে। আমি ইরিনকে নিয়ে বিয়ে মহলে যায়।
এলেজ নিজের মাথা নাড়িয়ে সিলকে ধরে ফেলল। তার কাছে এখন কোনো শক্তি নেই। কারণ সে মানুষে রুপ নিয়েছে।

ইরিন নিজেকে ছাড়ানোর জন্যে কেনেলের হাতে বারি মারে পান্স মারে কিন্তু তার কিছুই হয় নি। সে বিয়ে মহলে এনে ইরিনকে চাঁদের নিচে দাঁড় করায়। সে তার দিকে তাকিয়ে বিজয়ের হাসি হেসে বলে—“আজ তুমি একুশ বছর হবে ঠিক চাঁদের আলো তোমার উপর পড়লেই তোমার শরীরে মুনস্টোনের শক্তি চলে আসবে। এই সময় আমি তোমার নরম নরম ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিব। তারপর তোমার মুনস্টোনের সব শক্তি আমার কাছে চলে আসবে। আমি অমর হয়ে যাব। এট লাস্ট তোমাকে মৃত্যুর স্বাদও গ্রহণের সুযোগ দিব।

ইরিন জোরে চিৎকার দিয়ে নাআআআআআআআআ। সিরাততততত।
চাঁদের আলো ইরিনের উপরতেই সে পিশাচিনীতে রুপলাভ করে। সাথে তার শরীর ধবধবে সাদা উজ্জ্বল আলোর মতো হয়ে যায়। কেনেল তাকে ধরে নিজের কাছে আনতে যাবে তখনই প্রবল বাতাস তেড়ে এসে কেনেলকে ইরিন থেকে দূরে ঠেলে দিল। সে দেখল বিষপাতার দল সাথে নিকেল আর তার সাথীরা চলে এসেছে।

বিষপাতা তাকে দেখে বলে—“কি মনে করেছিলি আমি আমার মালিককে হত্যা করব? না সব আমার চাল ছিল তোর ব্যাপারে সত্যটা জানার জন্যে। নইতো আমি কবে পিশাচরাজ এর সাথেই ছিলাম। বাঁকা হেসে নিকেল এর সাথে তাল মিলিয়ে বলল।
—” তোর মতো আবাল পিশাচ আমি আমার জীবনে আর দুটো দেখি নি। আরে মূর্খ তুই অতীতে বাঘের ধাবা ছিলি কিন্তু আমাদের পিশাচরাজ সিংহ ছিল সেই সময়ের আর আদৌও সেই সিংহই আছে।

কেনেল তার সাথীদের লড়াইয়ের হুকুম দে। পুরো পিশাচদল নেকড়ে মিলে লড়াইয়ে নামে। নিকিল গিয়ে সিলকে এলেজের হাত থেকে ছাড়াল। এলেজের পেটে তলোয়ার ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে মেরে ফেলল।

কেনেল চুরিচুপে ইরিনের কাছে এসে তাকে স্পর্শ করার জন্যে হাত আগাতেই। কে যেন তার হাত ধরে চেপে ধরল।

কেনেল ব্যথায় কুকড়ে উঠে সে চিৎকার দিয়ে পাশে পিশাচরাজকে দেখতেই অবাক। সিরাত এর পিশাচরুপ সেই শ্রেয়ো সত্যি চলে আসল।
—“আমার অরিনের দিকে কুনজর দেয়ার সাহস করছস এর ফল তোর হাত থেকেই প্রথম নিব। রাগে দাঁত কটমট করে সে জোরে হাত টান দে।
সাথে সাথে কেনেল এর হাত বাহুডোরা থেকে আলাদা হয়ে আসে রক্ত পড়তে লাগে। সে ব্যথায় ফ্লোরে বসে পড়ে। কেনেল নিজের শক্তিতে এসে তার পিঠ থেকে পাখা বের করে। সেও আসমানে উড়ে শ্রেয়কে বলে—“নিচে কি উপরে আস!
সিরাত বাঁকা হেসে বলে—“তুই নিজেই নিজের মৃত্যু কে দাওয়াত দিলি!

সিরাত উপরে উঠে নিজের তলোয়ার বের করে কেনেলও তলোয়ার বের করে একে অপরের উপর আঘাত করার চেষ্টা করে। তলোয়ার উপর করতে গিয়ে সিরাতের পাখার মধ্যে কেনেলের তলোয়ার লেগে হালকা ছিঁড়ে যায়। সিরাত গর্জন দিতেই সবাই উপরে তাকায়। মায়াবিনী নিজের শক্তি দিয়ে কেনেল এর উপর আগুনের আভা নিক্ষেপ করে। আগুনের লাভা কেনেল বুকে লেগে জ্বলছে যায়।সে নিচে এসে পড়ল। সিরাত উপর থেকে তেড়ে এসে কেনেল এর পেটে তলোয়ার ঢুকিয়ে দিল।
—“শেষ তোর সামাজ্র‍্য। ইতিহাস কখনো ভুল হয় না। শয়তানের মৃত্যু নিশ্চিত থাকেই।

একে একে কেনেল এর পিশাচদল আপনাআপনি ধুলোয় হয়ে ফ্লোরে পড়ল। সিরাত দেখল ইরিন চাঁদের স্পর্শ অজ্ঞান। সে মায়াবিনীর দিকে জিগ্গেস এর ভঙ্গিতে তাকাল।
—“ইরিনকে কিস কর। তাহলেই সে মুক্ত হবে সাথে মুনস্টোন আমাদের পিশাচরাজ্যের উপর পড়বে।
মুচকি হেসে সে অর্নব এর পাশে গিয়ে দাঁড়াল।

সিরাত ইরিনের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দিল। পুরো মুনস্টোনের শক্তি পিশাচরাজ্যে ছড়িয়ে গেল। ইরিন নিজের রুপে ফিরে এলো।
—“তাহলে আপনি এসেই গেলেন আমার সেই অন্ধকার রাজা?
মুচকি হেসে সিরাতের গালে হাত রেখে বলল।
—“হুম #এসেছি_ফিরে_তোমারই_ডার্ক_প্রিন্স।

দুইজন মুচকি হেসে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে।

পাঁচবছর পর…..

—“প্রিয়ুশ কই তুমি?দেখো বাবা তোমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে তো! চলো বের হয়। ইরিন কোমরে হাত দিয়ে গলায় প্রিয়ুশ এর টিফিন আর ব্যাগ ঝুলিয়ে ডাকছে।
—“মাম্মা রেডি দাও।
—“এই না হলো আমার ছেলে।
—“উহ শুধু তোমার না আমার ও ছেলে। এনেছি ত আমিই তাই না? ভাব নিয়ে সিরাত বলল।
—“ঢং এর জ্বালায় বাঁচি না।

—“গাইস চল এখনো দাঁড়িয়ে আছিস তোরা। মায়াবিনী ভ্রু কুঁচকে বলল।
—“এতো আপু আসছি আমরা। সিরাত বলল।

সবাই নিচে আসে। তাদের বাসায় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর পরই তারা সেটা পালন করবে।
অর্নব আর মায়াবিনী এর একটা মেয়ে মৃনিয়া। নিকেল আর রেনার দুইটা জমজ ছেলে নায়েক আর রেমন।
সিরাত আর ইরিন এরটা ত বুঝতেই পারছেন। একটা ছেলে প্রিয়ুশ। সবাই যার যার মতো একএ হলো। সিরাত একবার দেওয়ালে আটকানো ফ্রেমের দিকে তাকাল সেখানে স্থান পেয়েছে তার জন্মদাকারী বাবা-মা তফাজ্জল হোসেন আর ইয়াসমিন। উনাদের সময় শেষ হয় যখন রেনা আর নিকেল এর বিয়ে হলো।হাসি খুশিভরা পরিবারই উনাদের প্রত্যাশা ছিল।

ইরিন সিরাত এর কাঁধে হাত রেখে বলে—“উনারা এখনো আছেন আর থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।
মুচকি হেসে সিরাতের চোখজোড়া থেকে পানি মুছে দিল।

সিরাত নিজের মাথা নাড়িয়ে সবার মাঝে সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায়।তারা সবাই মিলে মুনস্টোনের পাথর আবিষ্কার করে সেই পাথরের উপর হাত রেখে নিজেদের শক্তিগুলো সেই পাথরে আবদ্ধ করে দে। সাধারণ পিশাচ হয়ে থাকে।

রাতে সবাই খেয়ে দেয়ে ঘুমাতে গেল।ইরিন বেলকণিতে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে।
সিরাত দেখে মুচকি হেসে পিছ থেকে ইরিনকে জড়িয়ে ধরল। আর বলে—“চলো আজকের রাত অসাধারন করি কি বল? দুষ্টুমি হেসে ডেভিল লুক দিল।
—“এই না না একদম না সরো সরো। ইরিন নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হল না। সিরাত তাকে কোলে তুলে বেডে শুয়িয়ে দিল।
আবারো পাড়ি দিল ভালোবাসার আরেক সাগরে।
থাকতে দেই এদের এভাবেই হাসিখুশি তে। আমরা এদের গুরত্বপূর্ণ সময় টায় বাধা না দেই কেমন।

………………..সমাপ্ত…………….

[বিঃদ্র:—“শেষ পিশাচ স্টোরি। জানিনা কেমন হলো বা কেমন করে লেখলাম। ভালো লেগেছে নাকি লাগে নি সেটা একান্তই আপনাদের মনের ধারণার উপর ভিওি করে। আপনাদের গঠণমূলক মন্তব্য আশা করছি। কেমন লাগল পিশাচের কাহিনি টা পড়ে। আসলে তেমন টাইম পাই নি নইতো সাজিয়ে লেখতাম। তাও সর্বাপেক্ষা চেষ্টা চালিয়েছি। ভুলএুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর কালকে #তোমার_খেলার_ফল গল্পটা দেবো। এই গল্পটা শেষ হলে নেক্সট গল্প কবে দেই জানিনা। হয়তো লেইট হবে তবে আশা করি আপনারা পাশেই থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ হেপ্পি রিডিং😊।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here