My vampire lover comes again part 20

#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না
#পর্ব_20

সিরাত বইটার পৃষ্ঠা উল্টাতেই দেখে ইরিন এর অপরুপ সৌন্দর্য্যের ছবি সেখানে ঠাই পেয়েছে। তাকে দেখতে একদম রুপকথার রাজকন্যাদের মধ্যে দেখাছে। সে ছবিটার নিচের লেখা খেয়াল করে দেখল।

সেখানে লেখা Orin the princess of Abraham.
আবরাহাম তখনকার সময়ের এক পিশাচ নগর । সেখানের সুন্দরী রাজকন্যা পিশাচ ছিল অরিন। তাকে সৌন্দর্যের মায়াবি রাণী বলা হতো। বহু পিশাচ তাকে পাওয়ার লোভে তার পিতা আবরাহাম এর কাছে প্রস্তাব পাঠাতো। কিন্তু সব প্রস্তাব কে রাজকন্যা অরিন প্রত্যাখ্যান করে দিতেন। কারণ কোনো রাজ পিশাচ অরিন এর তৈরি পরীক্ষায় উওীর্ণ হতে পারতো না।

একদিন অরিন এর বাবা তার রুমে এসে নক করলো। অরিন জানালার ধারে মন উদাস করে বসে ছিল। দরজায় কারো নক দেওয়ায় সে নিজেকে স্বাভাবিক করে ফেলল। সে গিয়ে দরজা খুলে দিল। দেখলো তার বাবা এসেছে। সে মুচকি হেসে তার বাবা কে রুমে এনে বসাল।

আবরাহাম মেয়ের হাত ধরে নিজের পাশে বসিয়ে বলে—“মন খারাপ কি আমার রাজকন্যা অরিন এর?

অরিন নিজের মাথা ডামেবামে নাড়িয়ে না জানায়। তার বাবা অরিন এর মনের কথা তার মুখখানি দেখেই বুঝে গেল। তিনি মুচকি হেসে বলে।

—“শুনো তুমি হলে এই পুরো আবরাহাম শহরের একমাএ রাজকন্যা পিশাচিনী। আমার সবকিছু তোমারই। তোমার মতে খুশিতে আমিও খুশি। তোমার জন্যে যতো যোগ্য পাএ খুঁজছি ততো তুমি তাদের ফেরত পাঠিয়েছো তোমার পরীক্ষাটার জন্যে। দেখো সোনা তোমার মা ইসাবেল এর মারা যাওয়ার পর তুমিই ছিলে আমার বাঁচার একমাএ আশা। এবার তোমার জীবনে এক সঙ্গী এনে নিজেকে মুক্ত করতে পারলেই হল। তুমি যখন তার বউ হবে এই পিশাচদের বিরাট দায়িত্ব তোমার আর এর ভাগিদার তোমার বর এর হবে।
তোমার পরীক্ষাটার জন্যে শেষ দুইজন কে বেছে নিয়েছি। তাদের মধ্যে যদি কেউ একজন পরীক্ষাটা পেরে যায়……..

তিনি আর কিছু বলার আগেই অরিন বলে—“তাকে আমি নিঃসন্দেহে নিশ্চিতে বিয়ে করব। আর তুমি বাবা বার বার মারা যাওয়ার কথা বল কেন? ভালো লাগে না কান্না পাই। অনুরোধ করছি আর এমন বলবে না।

অরিন বাচ্চাদের মত ফেস করে কান্নার ভাব আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তার বাবা হেসে দিল। এ দেখে অরিনও হাসতে লাগে।

হাসার চলে অরিন তাদের নাম জিগ্গেস করল। আবরাহাম ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকিয়ে বলে—“একজন ভীড়পিশাচরাজ শ্রেয়। সুঠাম সুবল সুস্বাস্থ্য সৌন্দর্যের এক বিশেষ রাজপুএ যার বাবা হলেন আমার বন্ধু শ্রেমন। তার মা নেই পৃথিবীতে তোমার মতো(অরিন এর হাত ধরে)। শ্রেয় ছোটবেলা থেকে প্রশিক্ষণ নে তার বাবা থেকে। আর তার এক অটুট ক্ষমতা আছে জানো কি সেটা?? টেডি স্মাইল করে অরিন এর থুতনি হালকা টেনে বলল।

অরিন উদ্দীপকপূর্ণ ভাব করে বলে—“কি.?

—“সে ভীড়পিশাচ তার থেকে অলৌকিক শক্তির তৈরি তলোয়ার আছে। যা একসেকেন্ডে হাজার পিশাচ শএুদের পরাজয় করে দে।
তার আরো অলৌকিক ক্ষমতা আছে। যা আমি ঠিক জানিনা সেটা তুমি তার সাথে দেখা করলেই জানতে পারবে।

অরিন শুনে খুব খুশি হয়ে বলে—“ওয়াও এমন এক ভীড় এর সাথে দেখা আর বিয়ে করা সুভাগ্যের ব্যাপার।

—“হুমম। এখন আরেকজনের নাম শুনো। সুঠাম দেহ সৌন্দর্য আসমান চুম্বন,,,তার পিশাচ বংশের বাবা ভেরুল। আমার শএু। তাও তার ছেলে আমাকে নেকড় দলের সাথে লড়াই করতে সহযোগিতা করেছিল। আমার উপর তার কিছু সুদ আছে। তাই সে ঐদিনই আমাকে তোমার জন্যে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি তোমার পরীক্ষার কথাটা জানায়। সেও রাজি হলো। তার ছেলের নাম কেনেল।

—“আল্লাহ তাই বলে আমরা কি তোমার শএু সাথে বন্ধন গড়বো? তোমার কি মনে হয় বাবা কেনেল এর হাতে আমাকে দিলে আমাদের পিশাচবংশ রক্ষিত থাকবে? বিয়ের আগে তো অনেকেই ভালো দেখায় কিন্তু বিয়ের পর ঠিকই নিজের আসল রুপ বের করে।চোখ রাঙিয়ে বলল।

—” তোমার লাগে কি আমি দিব? আমি দিলে তোমার বিয়ে দিব একমাএ ভীড়পিশাচ শ্রেয় এর সাথে।
আর যতটুকু আমি জানি কেনেল আর শ্রেয় এর মধ্যে শুধু শ্রেয়ই বিজয় হবে।

—” ওকে দেখি তাহলে। মুচকি হেসে কিছুটা লজ্জামাখা ফেস করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

—“তোমার জন্যে শ্রেয় এর চেয়ে উচ্চ যোগ্যমান পাএ আর কেউ হবে না। মুচকি হেসে।

___________________

অরিন তার প্রসাদ থেকে বের হয়ে দূর আম গাছের বাগানের দিকে হাঁটতে থাকে। তার সাথে অনেক রাজপ্রজা যেতে চাইলো। তার বাবার আদেশ রাজকন্যা যেখানেই যাবে তার সাথে যেনো তিন চার রাজপ্রজা যায়।

কিন্তু আজ অরিন বের হলেও রাজপ্রজারা আসেনি। সে তাদের একনাগাড়ে বলে দিল। কেউ যদি আমার সাথে আছেন তাহলে আমি আমার রুপ নিয়ে শেষ করতে পিছপা হব না ! আমার কথা সবাই বুঝতে পেরেছেন?
শান্তভাবে অরিন বাইরের দিকে দৃষ্টি রেখে বলল।

রাজপ্রজারা নিজের মাথা নাড়িয়ে অরিন এর সামনে থেকে সরে যায়।

অরিন বাগানের মধ্যে গাছের সাথে আটকানো দুলনায় বসে সেখানের পরিবেশের সুগন্ধ নিচ্ছে। হঠাৎ এক বিকুট শব্দ শুনতে পেল। অরিন উঠে আশপাশ তাকাছে কিন্তু কাউকে দেখছে না।

অরিন কিছুটা সামনে গিয়ে দেখে নেকড়ে দল আর এক পিশাচ দলের লড়াই চলছে। সে নিজেকে আড়ালে করে নিজের শক্তিকে আনার জন্যে হাতজোড়া এক করে ফেলে। কিন্তু আশ্চর্য এর ব্যাপার তার শক্তি আসছে না। এমন কি তার রুপও বদলাছে না।

—“এই কি হলো? আমি নিজের রুপে আসতে পারছি না কেনো? আব্বুর কথা মতো আমি ত জানি আমার একুশ বছর বয়সে আমার রুপে আসার কথা। তাহলে আমি আসতে পারছি না কেনো? চিন্তিত হয়ে নিজের হাতজোড়া এক করে চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু তার রুপের পরিবর্তন হয় না।

অরিন পিছে ফেরতেই দেখে তার সামনে এক নেকড়ে তাকিয়ে আছে। সে একপা দুই পা করে সামনে আগাতে থাকে। অরিন ভয়ে ধীরে ধীরে পিছাতে থাকে। কিন্তু সে চোখ বুলিয়ে আশপাশ তাকিয়ে দেখে পিশাচদল অপর দিকে লড়াই করছে।

অরিন নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে নিচে সব বালি। সে জট করে বালি গুলো নিয়ে নেকড়ের চোখে ছুড়ে মেরে দৌড় লাগায়। নেকড়ে নিজের মুখ ঝেড়ে অরিনের পিছে দৌড়াতে লাগে।

অরিন দৌড়ে প্রায় তার বাসার কাছে আসতেই নেকড়ে লাফিয়ে তার সামনে এসে পড়ে। সে দাঁড়িয়ে থেমে পিছে যেতেই পায়ের সাথে পা লেগে পড়ে যায়। সে জোরে জোরে তার বাবার নাম ধরে ডাকে।

কিন্তু তার বাবা নিজের রুমে ধ্যানে মগ্ন ছিল। তিনি তার মেয়ে অরিন এর জম্মদিন এর কাগজটা বের করে সেই কাগজের উপর ধ্যান করে জানতে লেগে যায়। যে কেনো তার জম্মের সাথে মুনস্টোন এর সম্পর্ক?

অরিন এর চিৎকার পিশাচরাজ শুনতে পেলো। সে ভ্রু কুঁচকে চোখ রাঙিয়ে সেদিকে ফিরে তাকায়। নেকড়ে কে দেখে পিশাচরাজ বাঁকা হেসে তার প্রজাদের হুকুম দে সব গুলো নেকড়েকেই এই মুহুর্তে শেষ করে দাও। আমি আসছি !

নেকড়ে টা অরিনকে শিকার করার জন্য হাত উঠাতেই তার সামনেই এসে পিশাচরাজ তলোয়ার ঢুকিয়ে দিল তার পেটে। মুহুর্তের মধ্যেই নেকড়েটা ফেটে যায় সাথে তার শরীর গলিয়ে মিশে গেলো ধুলোর সাথে।

পিশাচরাজ হাহা করে হেসে পিছে ফেরাতেই তার চোখজোড়া আটকে যায় মেয়েটাকে দেখে। অরিন এক শ্বাস ফেলে পিশাচ এর দিকে তাকিয়ে দেখে সে খুব ঘোরভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এ দেখে অরিন মনে মনে বলে—“এভাবে দেখছে যেনো জীবনে কোনো পিশাচকন্যা দেখে নি। শুনুন হাত দেন আর আমাকে তুলেন।

পিশাচরাজ মুচকি হেসে জট করে অরিনকে কুলে তুলে নিল।

অরিন পিশাচটার কান্ডে ভেবাচ্যাকা খেয়ে গেল। সে রাগের জটে বলে—“এই আমাকে এভাবে উঠালেন কেনো? আমি কি বলেছি কুলে উঠান!

—“না তা ত বলো নি। তবে আমাদের রাজপ্রসাদে মেয়েদের এভাবেই উঠানো হয়। ভাব নিয়ে পিশাচরাজ বলে সামনের দিকে তার রাজপ্রজাদের কাছে আসে।

—“এই মাথা মনে হয় আপনার গেল এভাবে ওদের সামনে নিয়ে যাচ্ছেন। ছাড়েন আমাকে আমি নামবো ছাড়েন আমাকে।
অরিন ছুটাছুটি করতে লাগে। কিন্তু পিশাচের বডিটা সুঠাম শক্ত হওয়ার কারণে সে চাইলেও নামতে পারছে না।

সে চুপ হয়ে গেল। পিশাচরাজ তার রাজপ্রজার নেতার সামনে এসে কিছু বলবে তার আগেই রাজনেতা অরিনকে দেখে বলে—“রাজকন্যা অরিন সাহেবা আপনি পিশাচরাজ শ্রেয় এর কোলে কেনো??
অবাক হয়ে সে সাথে পুরো প্রজা তাদের দেখছে।

অরিন পড়ল দ্বিধায়। সে রাজনেতার মুখে শ্রেয়র কথা শুনতেই মুখ তুলে তার দিকে তাকাতে পারছে না লজ্জায় শ্রেয় কে আকঁড়ে ধরে আছে।

শ্রেয় মুচকি হেসে বলে—“তোমরা এভাবে কেনো বলছো? অামি যাকে কুলে নিয়েছি সে অন্য কেউ না তোমাদের ভবিষ্যত পিশাচরাজের পিশাচরাণী।

অরিন জট করে অবাক নয়নে শ্রেয় এর দিকে তাকায়। সে মনে মনে বলে—“এটা কি হলো? শ্রেয় হুটহাট আমার ব্যাপারে না জেনে বিয়ে করবে বলতেছে। উহহ পারবে না আবার আসছে কথা বলতে।

শ্রেয় অরিন এর মনের কথা সেই মুহুর্তে পড়ে বলে—“পারি কি পারি না সেটা শুধু দেখতে থাকো।তোমার পরীক্ষায় উওীর্ণ হওয়া আমার বাঁ হাতের খেলা।

সে অরিনকে তার রাজপ্রসাদ আবরাহাম প্রসাদে দিয়ে আসল। সাথে আবরাহাম এর সাথে কিছু কথা বলে নিজের শ্রেমন প্রসাদে চলে আসে।

আর ঠিক করলো কালকেই পরীক্ষাটা নেওয়া হবে।

সকালবেলা….


আবরাহাম আর অরিন সাথে রাজপ্রসাদের সবাই মাঠে হাজির হলো। আবরাহাম আর অরিন একসাথে নিজের মুকুট চেয়ারে বসে। বাকিরাও আসন এ এসে বসল।

মাঠের দুইদিকে দুইজন চলে আসল। কেনেল আর শ্রেয়।
তাদের সামনেই এক বড় আকারে বিষালো কুমির রাখা। যা মানুষের উচ্চতা থেকে খানিকটা লম্বা মোটা তাজা শরীর। কুমিরটা এতোই বড় যেনো দূর থেকে কেনেল আর শ্রেয় কে তুচ্ছ মনে হচ্ছে।

কিছুক্ষণের মধ্যে আবরাহাম এর কথায় পরীক্ষা শুরু হলো।

কেনেল নিজের শরীরের ভার করে কুমিরটাকে মারার চেষ্টা করে নিজের তলোয়ারটা নিয়ে বার বার কুমিরকে আঘাত করে কিন্তু কুমিরটার কিছুই হচ্ছে না।

শ্রেয় একপা একপা করে পিছাচ্ছে তার সাথে কুমিরটাও তার দিকে এগিয়ে আসছে। তার আসা দেখে এবার শ্রেয় মনে মনে বলে—“মহারাণী অরিন তুমার পরীক্ষায় আমি উওীর্ণ হবো তা ত নিশ্চিত। কারণ আমি পিশাচরাজ শ্রেয়।

সে এক দৌড়ে কুমিরের দিকে এগিয়ে আসে। এ দেখে অরিন আর আবরাহাম হতবাক। অরিন মনে মনে বলে—“কি করতেছে শ্রেয়? সে উল্টা পিছাবে তা না করে আগাছে কেনো?
অবাক সাথে আহ্লাদী নয়নে শ্রেয় এর দিকে তাকিয়ে আছে।

শ্রেয় নিজের আত্নবিশ্বাস অটুট করে দৌড়ে এসে এক জটে লাফ দিল। সাথে সাথে কুমির এর গলায় বেঁধে থাকা দড়িটা চেপে ধরে সেটা বেয়ে কুমিরটার উপর উঠে বসে। কুমিরটা ছটপট করা শুরু করে। সে জোরে জোরে নড়তে লাগে। তার নাড়াচাড়া দেখে শ্রেয় মনে মনে বলে—“এরে আমি বাঁচানোর জন্যে মারছি না। আর সেই এই আমাকে ফেলে দিতে চাচ্ছে।

কেনেল তার তলোয়ার দিয়ে কুমিরের চোখে আঘাত করে সাথে সাথে কুমিরটা হেলেদুলে পড়ে গেল। সবাই একসাথে করতালি দিয়ে উঠে। আবরাহাম আর অরিন কেনেল এর বিজয়তা দেখে ভাবান্তর হয়ে পড়ে।

কিন্তু হঠাৎ সবাই দেখল। কেনেল এর পিছে কুমিরটা দাঁড়িয়ে জোরে হংকার দিল। অরিন এ দেখে বাঁকা হেসে বিরবির করে বলে—“এতো সহজ না আমার পালিত কুমিরকে হার মানানো। মায়াবি শক্তি দিয়ে ঘেরা। যতই আঘাত করো না কেনো? মায়াবি কুমিরকে শুধু তারাই মারতে পারবে যাদের মাথায় মায়াবি বুদ্ধি থাকে।

কেনেল আর শ্রেয় অরিন এর মনের কথা শুনতে পেল। কেনেল ভাবে—“এখন কি করি? এতোবছর অরিনকে নিজের করে পাবার আশায় আজ এখানে এলাম। এতো সহজে কিভাবে থাকে ছাড়ি। না কোনো ভাবেই এই কুমিরকে শেষ করতে হবে। না হলে আমি অরিনকে পাবো না। রাগে সে আবারো আঘাত করতে লাগে কুমিরকে।

শ্রেয় এবার বুঝতে পারল। সে কুমির এর উপর দাড়িয়ে নিজের তলোয়ার দিয়ে জোরে তার গায়ের উপর আক্রমণ করে। তলোয়ারটা কুমির এর পিঠে ঢুকতেই অজ্রস লাভার মতো রক্ত পড়তে লাগে। এ দেখে অরিন জট করে দাঁড়িয়ে যায়। তার মনে আর মুখে হাসির আবির্ভাব হয়। সে মনে মনে বলে।

—“তাহলে আমার পিশাচরাজের পিশাচরাণী হওয়ার কথাটা সত্যি হবে। লজ্জা লাল হয়ে সে শ্রেয় এর দিকে তাকায়।

শ্রেয় অরিন এর অনুভূতি বুঝতে পারছে। সে তাকে দেখে চোখ টিপ মারে। এ দেখে অরিন আরো লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। শ্রেমন আর তার সদর রাজপ্রজা রা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।

আবরাহাম সবাই কে জানিয়ে দে আজিই এখন এই মুহুর্তে শ্রেয় আর অরিন এর বিবাহ হবে। সবাই খুশিতে মেতে পড়ে।

কেনেল নিজের প্রজায় এসে সবকিছু ভাঙচুর করতে থাকে আর বলে—“পাড় বেড়ে গেছে তাই না আবরাহাম। তোর মেয়েকে সুখে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই তাও হতে দিস নি। নিজেই নিজের মেয়ের গলায় শএুতার মালা গাথঁছিস। এবার দেখ আসতেছি আমি অরিনকে নিজের বানাবো। সে আমার না হলে আর কারো হবে না। হতে দেবোই না। আজ রাত সব শেষ করে দেবো।

ভেরুল কেনেল এর কাঁধে হাত রেখে বলে—“সবকিছু প্রস্তুত আছে রাতে আক্রমণ হবে। আর সাহেবার সাথে বাসর বিবাহ সব তোর সাথেই হবে। তার পর তুই পেয়ে যাবি মুনস্টোন আর হবি পুরু বিশ্বের এক মহারাজা। তোর বাচ্চা হবে শয়তানের বিশাল সেবক। বিশাল শয়তানের রাজা।

কেনেল হু হা করে হাসতে লাগে আর বলে —“মুনস্টোন তো আমারিই হবে। শুধু আমার। রাজত্ব চালাবার দিন চলেই আসছে।

এদিকে,,,,শ্রেয় আর অরিন এর বিবাহ পূর্ণ হয়ে গেল। সবাই খুব আয়োজন করে অনুষ্ঠান উদযাপন করল। সব পিশাচরাজের পিশাচপ্রজারা আনন্দ করতে লাগে।

অরিন নিজের রুমে বউ সেজে বসে আছে। তার মুখে খুশির মাঝে লজ্জার ভাব। সে ভাবতেই পারেনি যে শ্রেয়ই তার জীবনেরসঙ্গী হবে।

কিছুক্ষণ পরই শ্রেয় রুমে আসল। অরিন উঠে তার কাছে এসে সালাম দিল। শ্রেয় তখনই অরিনকে কোলে উঠিয়ে বেলকনিতে নিয়ে এসে সেখানে রাখা মুকুট চেয়ারে বসে। আর বলে—“এই চাঁদনী রাতের জোৎস্না হলে তুমি,,,আমার পৃথিবীতে আলোর অভিভূত করাতে এলে তুমি,,,থাকবো হবো আর আসবো ফিরে শুধু তোমারিই কাছে আমার প্রিয়সী।

অরিন শুনে শ্রেয় এর বুকে মুখ লুকায়। সে মুখ গুজে ফিসফিস করে বলে—“ভালোবাসি ফিরে আসবেন তো।

—“ভালোবাসি আমিও ফিরে তো আসবোই।

তাদের খুশির সময় টা যে কিছুক্ষণের ছিল। তা তারা একটু হলেও অনুমান করতে পারছিল।

হঠাৎ শুরু হলো……..

……….চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here