ডার্ক ডায়মন্ড পর্ব ১৪

#ডার্ক ডায়মন্ড
#আফরিন ইভা
#পর্ব-১৪

____________________

– মীরা অপলক দৃষ্টিতে ছবি টার দিকে তাকিয়ে থাকলো। ছবিটা যেনো মীরা কে চুপিচুপি কিছু একটা ইশারা করছে। যে ইশারায় আছে অনেক রহস্য।

-সানা মীরা কে ধাক্কা দিয়ে বললো, হোয়াট হেপেন্ড?

– সানার চিৎকারে মিরার হুঁশ ফিরলো।
মীরা সানার দিকে তাকিয়ে বললো, কিছু না। অর্ধ মানবের ছবিটা মীরা কে বড্ড বেশি ভাবাচ্ছে। মীরা একবার চিন্তা করলো সানা কে ছবি টার বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবে, আবার ভাবলো করবে না।
কিন্তু মনকে কিছুতেই মানাতে পারছেনা।

মীরা শেষমেশ আর থাকতে বা পেরে সানা কে জিজ্ঞেস করলো, সানা এই ছবিটা কিসের?

– সানা মীরার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে
কিছু একটা ভেবে বললো, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই শুধু এটুকুই জানি এটা একটা শক্তিশালী এক ভ্যামপায়ারের ছবি।

– মীরা ভ্যামপায়ারের কথা শুনে লম্বা একটা নিঃশ্বাস ফেললো। এই নিঃশ্বাসে যেনো কিছু চাপানো কষ্ট লুকিয়ে আছে।

– সানা আবার বললো, এই ভ্যামপায়ার সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবোনা তবে…. বলে সানা একটু থেমে মীরার দিকে তাকিয়ে বললো, আমার গ্র্যান্ডপা এ সম্পর্কে পুরোপুরি বলতে পারবে।

– সানার কথা শুনে মীরার বেশ আগ্রহ হলো
এই অর্ধ মানব ভ্যামপায়ার টার কথা পুরোপুরি জানতে। কিন্তু হাতে খুব বেশি সময় নেই, এদিকে সান্ড্রা কেও বলে আসেনি মীরা। সানা বললো, মীরা চলো তোমাকে একজনের সাথে দেখা করাতে চাই।

” সানার কথা শুনে মীরা বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো কার সাথে?”

” সানা মেয়েটা এমনিতেই বেশ সুন্দরী, মিষ্টি হাসিতে মেয়েটাকে আরো বেশ লাগছে মীরার কাছে। ”

– সানা মীরার হাত ধরে বললো কে আবার আমার গ্র্যান্ডপার কাছে। আসলে গ্র্যান্ডপা তোমাকে দেখতে চেয়েছিল, তোমার কথা আমি গ্র্যান্ডপা কে বলাতে সে বেশ রিকোয়েস্ট করলো তোমাকে একটিবার দেখাবার জন্য।

” মীরা সানার কথা শুনে বেশ অবাক হচ্ছে এটা ভেবে যে, সানার কথায় গ্র্যান্ডপা কেনো মীরা কে দেখতে চাইবে।”

সে যাই হোক বয়স্ক লোক মীরাকে দেখতে চেয়েছেন হয়তো এমনি।
বয়স্কদের মীরা এমনিতেও খুব সম্মান করে, তাই মীরা সানার কথায় গ্র্যান্ডপার সাথে দেখা করতে রাজি হলেন।

___________

সানা গ্র্যান্ডপার অনুমতি নিয়ে মীরা কে নিয়ে রুমে প্রবেশ করলো।

– মীরা রুমে প্রবেশ করে একদম স্তব্ধ হয়ে রইলো।
রুমে প্রবেশ করবার সাথে সাথে অদ্ভুত এক ভালো-লাগা কাজ করলো।
মীরা পুরো রুমটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। মীরা যেনো শীতলতার ছোঁয়া পেলো।

মীরা এই রুমেও সেই অর্ধ মানব ভ্যামপায়ার টার ছবি আবিষ্কার করলো।

রুমের চারটি দেয়ালেই সেই ভ্যামপায়ার টার ছবি গেঁথে রেখেছেন তাও একটি, দু’টি ছবি নয় প্রায় অনেক গুলো ।

মীরা আরো অবাক হলো লাস্ট একটা ছবি দেখে। ছবিটায় দু’টো ভ্যামপায়ার তা-ও আকৃতি তে ছোট। খুব সম্ভব একজন মেয়ে ভ্যামপায়ার আর একজন ছেলে।
মীরা কাছে গিয়ে যে-ই ছবিটা ছুঁতে গেলো হঠাৎ কেউ একজন মীরার হাত আঁটকে ধরলো।

-মীরা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখলো একজন সুদর্শন বৃদ্ধ লোক।
বয়স খুব একটা বেশি নয়, দেখতে বেশ চমৎকার। বৃদ্ধ লোক এখনো অনেক তরতাজা দেখে মীরার যেনো বিশ্বাস ই হচ্ছে না।

মীরা বৃদ্ধ লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখলো, উনি কেমন কৌতূহল চোখের চাহনিতে মীরা কে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দেখে যাচ্ছে।

এ চাহনিতে মীরার বেশ অস্বস্তি লাগছে।

– বৃদ্ধ লোকটা অস্ফুটে মীরা বলে ডেকে উঠলো।

-মীরা অবাক হয়ে ভাবতে লাগলো, উনি কিভাবে মীরা কে চিনতে পারলো।

– সানা মীরার হাত নিজের হাতে নিয়ে মীরার দিকে তাকিয়ে বৃদ্ধ লোকটা কে গ্র্যান্ডপা বলে ডেকে উঠলো।

মীরা গ্র্যান্ডপার দিকে তাকিয়ে দেখলো, উনাকে কোনো দিক দিয়েই গ্র্যান্ডপা বলে মনে হচ্ছে না, শুধু সানা ডাকলো বলেই বিশ্বাস করতে হচ্ছে।

-গ্র্যান্ডপা এই হলো সেই মীরা যাঁর কথা তোমাকে আমি বলেছি, যে বাংলাদেশ থেকে এসেছে এখানে পড়তে।

– গ্রেন্ডপা বেশ কিছুক্ষণ গম্ভীর মনে কিছু একটা চিন্তা করে মীরার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, গড ব্লেস ইউ।

– মীরা বেশ অবাক হলো এটা ভেবে, গ্র্যান্ডপা কে প্রথম দেখায় মীরার কাছে খুব আপন আপন বলে মনে হচ্ছে। মীরার ইচ্ছে করছে গ্র্যান্ডপা’র পায়ে হাত দিয়ে দোয়া নিতে। কিন্তু উনি তো হয়তো একজন খ্রিষ্টান, উনার গলায় যিশুর সেই লকেট টা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
তাই মীরা কিছু একটা ভেবে নিজেকে সংযত রেখে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।

– মীরা গ্র্যান্ডপার দিকে তাকিয়ে যেনো সব ভুলে গেলো।

মীরা গ্র্যান্ডপার সাথে গল্প করে সানার কে সাথে নিয়ে বাসায় চলে আসলো।

– এদিকে সান্ড্রা সানার সাথে বেশ হাসিখুশি ভাবে গল্প জুড়ে দিলো, যেনো একে অপরকে খুব আগ থেকেই বেশ ভালোই চেনে।

__________________

মীরা নিজের রুমে বসে বসে ভাবছে গ্র্যান্ডপার দেয়ালের সেই ছবিটার অর্ধ মানব টার কথা, যাঁর ডানা গুলো বিশাল আকৃতির, বেশ লম্বা এ কালো হুডি পড়া কেউ একজন। ছবিটা মীরা কে যেনো কিছু বুঝাতে চায়, যা মীরা বুঝতে পারছেনা।
ছবির মানব টাও যেনো মীরা কে খুব কাছে টানে।

মীরা আর ভাবতে পারছে না।
মীরা সিদ্ধান্ত নিলো কোনো একদিন সময় করে সানার সাথে গ্র্যান্ডপার কাছে যাবে।
উনার কাছ থেকে অর্ধ মানবটা সম্পর্কে জানতে চাইবে।

_________________

মীরা ব্যানকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো।
মীরার অবাধ্য চুলগুলো বার-বার মুখে এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে। বাহিরে ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। হঠাৎ মীরার চোখ পরলো নিজের হাতের দিকে।
হাত গুলোর চামড়া কেমন দিন দিন শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে, হাতের চামড়া গুলো যেনো উঠে যাবে এমনই মনে হচ্ছে মীরার কাছে।
মীরা হাত পায়ের চামড়া গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে আবিষ্কার করলো, মীরার হাতের লোমশগুলোও কেমন যেনো বড়ো হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। মীরার কেমন যেনো টেনশন টেনশন লাগছে।

– মীরা এক মনে টেনশন মনে করলেও আরেক মনে ভাবলো, ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় মীরার চামড়া মানিয়ে নিতে হয়তো একটু সময় লাগবে।
এই জন্যই হয়তো মীরার শরীরের চামড়া গুলে এমন হচ্ছে। তাই মীরা আর এ বিষয় টা নিয়ে ভাবলো না।

_________

মীরা শুতে যাবে এমন সময় কারো চেহারার মায়া মীরার চোখে ভেসে উঠলো।
মীরা মুচকি হাসি ফুটিয়ে মনে মনে বললো, রুদ্র ভাই জানেন, আপনার চেহারার সাথে হুবহু মিল আমার একটা স্যার আছে স্যারের দিকে তাকালেই যেনো মনে হয়, আপনি আমাকে এই বুঝি বলবেন, মীরা তুই লুচু মেয়েদের মতো এভাবে তাকাস না।

জানেন রুদ্র ভাই আপনার মতো হাজার কেউ আসলেও এই মীরা যে ঘুরেফিরে শুধু আপনাকেই খুঁজে।

মীরার চোখ জুড়ে ঘুম চলে আসলো।

________

তোর কি মনে হয়, আমি-ই তোর স্যার? আমার এতোই শখ তোর মতো গাধাকে পড়িয়ে মানুষ করতে এই ইংল্যান্ড পর্যন্ত চলে এসেছি।

রুদ্র ভাইয়ের ধমক শুনে মীরা চমকে উঠে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো চারদিকে এখনো প্রায় অন্ধকার।
মীরার গলাটা বড্ড বেশি শুকিয়ে গেছে।
মীরা পানি খেয়ে গলাটা ভিজিয়ে লম্বা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।

-সান্ড্রা মীরার রুমে উঁকি দিয়ে মীরা কে দেখে গেলো, সব ঠিক আছে কি-না?
সানা এতোক্ষণ ধরে মীরার ছটফটানি দেখে বেশ চিন্তিত হয়ে পরেছিলেন।
মীরা ঘুমিয়ে পরাতে নিজের রুমে চলে গেলেন।

সান্ড্রা রুমে গিয়ে কেউ একজন কে দেখে চমকে উঠলো

আপনি এসেছেন প্রিন্স?
আপনি কি জানেন প্রিন্সেসের মধ্যে খুব দ্রুত পরিবর্তন আসতে চলেছে, শারীরিক, মানসিক সব দিক দিয়ে পরিবর্তন হতে চলেছে।

” প্রিন্স সান্ড্রার দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি হাসলো আর বললো, আমি জানি সব।
সর্বক্ষণ আমি ওর খেয়াল রাখি। কি হচ্ছে না হচ্ছে ওর সাথে আড়ালে ঠিকই খেয়াল করছি।

আর… তুমি তো আছোই।

– জ্বি প্রিন্স, কিন্তু প্রিন্স একটা কথা কি জানেন?

– প্রিন্স সান্ড্রার দিকে অবাক চোখে তাকালো।

-সান্ড্রা ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে প্রিন্স কে বললো” যদি ওরা আবার আমাদের প্রিন্সেসের ক্ষতি করে ফেলে?

– প্রিন্স উচ্চস্বরে হাসিতে ফেটে পরলেন, হঠাৎ চোখ মুখ লাল করে হিংস্র বর্ন ধারণ করে সান্ড্রার দিকে তাকিয়ে বললেন, ওরা এবার আর কিছুতেই আমার প্রিন্সেস কে আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।
আমি ওদের সব ক’টার রক্ত খাবো ও গোসল করবো।
পৃথিবীর বুকে সাক্ষী রেখে যাবো, প্রিয়জন কে কেড়ে নেওয়ার নিঃসংশ ফলাফল কি হতে পারে।
এ-ই জগতের প্রতিটি সৃষ্টি কে আমি দেখিয়ে দিতে চাই, প্রিন্সেসের জন্য কতোটুকু ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছি এই বুকে।

” সান্ড্রা প্রিন্সের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে বললো, প্রিন্স আমরা জানি আপনারা একে অপরকে কতটা ভালোবাসেন, কতোটা চান, কতোটা গভীর ভালোবাসা আপনাদের, তাই তো গড পুনরায় আবারো আপনাদের পাঠিয়েছেন।”

প্রিন্স সান্ড্রার সামনে এসে দাঁড়ালো। কালো হুডি টা তুলে,
সান্ড্রার দিকে তাকিয়ে বললো, চিন্তা করোনা সান্ড্রা খুব শীঘ্রই আমরা আমাদের প্যালেসপ ফিরে যাবো, ন্যাকড়েদের কাছ থেকে সব আবার পুনরায় ফিরিয়ে আনবো।
আর যাঁরা আমাদের সাথে বেইমানি করেছে তাদের কেও তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেবো।
আর তোমার মেয়ের জন্য চিন্তা করো না, প্রিন্সেস খুব শীঘ্রই তোমার মেয়ে কেও উদ্ধার করে নিয়ে আসবে।

– প্রিন্স চোখের নিমিষে বাতাসের বেগে তাঁর ডানা দু’টো বের করে জানালা দিয়ে উড়ে গেলো।

_______________

এদিকে মীরা ঘুমঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলো, সকালের আলো ফুটে উঠেছে।
চারদিকে তাকিয়ে দেখলো আজকের ইংল্যান্ডের সকাল টা যেনো খুব মোহনীয় লাগছে মীরার কাছে, যা মনে প্রাণে দোলা দিতে যথেষ্ট।
মীরা চোখ বন্ধ করে ভোরের সৌন্দর্য টা কিছুটা হলেও নিজের আটপৌরে হৃদয়ে গাঁথার চেষ্টা করলো।
মীরা নিজেকে দেখতে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
হঠাৎ আয়নায় নিজেকে দেখে চমকে গেলো।

মীরা নিজে কে কি দেখছে, একদম বিবর্ণ, বৃদ্ধস্য ভয়ংকর চেহারা।
মীরা আয়নায় দেখলো, দু’পাশে মীরার দাঁত বের হয়েছে, চোখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে, পেছনে দু’টো ডানা গজিয়েছে।

মীরা ভয় পেয়ে চিৎকার দিলো।

— মীরার চিৎকার শুনে সান্ড্রা দৌড়ে মীরার রুমে এসে দেখলো মীরা কাঁদছে বড্ড উন্মাদের মতো করে নিজের লম্বা চুলগুলো ছিঁড়ে যাচ্ছে।

– সান্ড্রা তারাতাড়ি করে মীরার সামনে এসে দাঁড়ালো।

– মীরা সান্ড্রা কে দেখে চিৎকার করে বললো, সান্ড্রা আমাকে দেখো আমি কেমন বিবৎসা, ভয়ংকর হয়ে গেছি, আমার দু’টো ডানা গজিয়েছে, দুটো ভয়ংকর দাঁতও বের হয়েছে। আমাকে দেখলে যে কেউ ভয়ে পালিয়ে যাবে।
আমি জানি তুমিও ভয় পেয়ে এখন আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।

-সান্ড্রা বুঝতে পারছে মীরার যে শারীরিক পরিবর্তন হতে চলেছে, কিন্তু এখনো পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন বাকি রয়েছে।
সান্ড্রা মীরাকে বুকে জড়িয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, রিলাক্স মীরা প্লিজ রিলাক্স।
তুমি একদম ঠিক আছো তাছাড়া দেখো তোমার ডানাও নেই, ভয়ংকর দাঁতও বের হয়নি।

– সান্ড্রার কথা মীরা যেনো বিশ্বাস করতে পারলো না।

মীরা দৌড়ে গিয়ে আয়নাতে নিজেকে ভালো করে দেখে নিলো।
আসলেই তো মীরা তো একদম ঠিক আছে।
মীরা ভাবতে লাগলো তাহলে কি নিজেকে ভুল দেখলো?

হয়তো!

-মীরা সান্ড্রা কে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো, ধন্যবাদ সান্ড্রা তুমি না আসলে ভয় পেয়ে এতক্ষণে আমি মরেই যেতাম।

– সান্ড্রা মনে মনে অনেক কিছুই ভাবলো, কিন্তু মীরার কাছে এখন কিছু প্রকাশ করলোনা।

সান্ড্রা এ টপিক টা এড়াতে মীরা কে বললো, চলো তোমাকে ভার্সিটি তে দিয়ে আসি।

-মীরাও সান্ড্রার কথায় সায় দিয়ে রেডি হয়ে নিলো।

হঠাৎ মীরা গাড়ির ভেতর থেকে বাহিরে তাকালো।

এমন সময় যা দেখলো নিজের চোখ কেও যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না।

#চলবে—–

#বিদ্রঃগল্প আবার ৩০ তারিখ আসবে, সবাই গঠনমূলক মন্তব্য করে যাবেন,আজ কিন্তু রহস্য উন্মোচন করে দিলাম গল্পটা ভ্যামপায়ারের গল্প।
সবাই গ্রুপে জয়েন হয়ে নিবেন যাঁরা গ্রুপ লিংক জানতে চান কমেন্ট করে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here