real love পর্ব ২৬

#Real_Love♥
#Oniya_Chowdhury
Part: 26
.
.
ঈদের দিনের জমজমাট আয়োজন যাকে বলে।ঘুম থেকে উঠেই মনের ভেতর একরাশ আনন্দ বয়ে গেলো।আজ ঈদ!ইফাজের সাথে প্রথম ঈদ!কাল রাতেই প্লান করে রেখেছিলাম আজ কিচেনে ঢুকবো শুধুমাত্র ইফাজের জন্য!
এই দুদিনে ইফাজের সাথে অনেক কথা হয়েছে!কলেজ ও নেই! সকাল সকাল ওঠারও তাড়া নেই!ইচ্ছামতো রাত জেগে ইফাজের সাথে কথা বলেছি!কাল সন্ধ্যেয় মেহেদীও ঠিকমতো দিতে পারি নি উনার জন্য!জেদ ধরে বসে ছিলো “আমার সাথে কথা বলা অবস্থায় মেহেদী দিতে পারলে দাও নয়তো দরকার নেই।কাল আমি নিজে এসে দিয়ে দিবো!”
.
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাত্র বাজে সাড়ে পাচঁটা!এখন নিশ্চয় ইফাজ ঘুমোচ্ছে। আমি ফোনটা হাতে নিয়ে কল না দিয়ে ছোট্ট করে “ঈদ মোবারাক ইয়াং ম্যান” লিখে ইফাজের নাম্বারে সেন্ড করলাম!
পাশেই নাফিসা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলো! আমি কম্বলটা একটানে সড়িয়ে কানের কাছে আস্তে করে বললাম,
– ঈদ মোবারাক বোনু!
নাফিসা মিটমিট করে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
– ঈ…ঈদ মো…মোবারাক……. ঘুম ঘুম কন্ঠে কথাটা বলে কম্বলটা একটানে নিয়ে আগের ন্যায় মাথা ঢেকে শুয়ে পরলো!
আমি দ্রুত বেড ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে চুলগুলো ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে নিলাম!ফোনের স্ক্রিন জ্বলে ওঠাতে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ইফাজ কল করেছেন!
আমি দ্রুত রিসিভ করে হ্যালো বলতেই উনি বললেন,
– ধরছিলে না কেনো?
– কল দিয়েছিলেন নাকি?
– অলরেডি তিনবার হয়ে গেছে!
– ওহ্ সরি!ওয়াশরুমে ছিলাম একটু!
– হুম!আমি ভেবেছিলাম তুমি এখনও ঘুমোচ্ছো,তাই ডিস্টার্ব করি নি!বাট ম্যাসেজ পেয়ে কল দিলাম!বাই দ্য ওয়ে….ঈদ মোবারাক মাই বেবি’স মাদার!
উনার কথাটা শুনে বুকের ভেতর কেঁপে উঠলো!উফ্…আমার কেনো এমন হয়?বেবিদের কথা উঠলেও সবকিছু ওলটপালট লাগে!
.
– কি হলো?
– হুম?
– চুপ কেনো?
– কিছু না…এমনি!
– ইয়াশ একটু কথা বলবে তোমার সাথে….ওয়েট ভিডিও কল দিচ্ছি।
– এতো সকালে ও উঠেছে?
– হুম!আজ আমার কাছেই ঘুমিয়েছিলো!তোমা
র সাথে কথা বলছিলাম টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পরেছে।
– ওহ্….
– হুম!
ইফাজ কল কেটে ভিডিও কল দিলো!ইয়াশ আমাকে দেখেই ফ্লাইং কিস দিয়ে বললো,
– ঈদ মোবারাক ভাবী!
আমি তো দুইভাইকে দেখে হা হয়ে গেলাম!দুইজনই খালি গায়ে বেডের সাথে আধশোয়া অবস্থায় শুয়ে লেপটপটা ইফাজের পায়ের উপর রেখে কথা বলছে!ইয়াশ ইফাজের বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে!ইয়াশ হাই তুলছে!এখনও ঘুমের রেশটা কাটিয়ে উঠতে পারে নি।
আমি একটা কিস দিয়ে বললাম,
– ঈদ মোবারাক সোনা!আহারে এখনও তো তোমার চোখে ঘুম লেগে আছে!
– হুম!
ইয়াশ আরেকটা হাই তুললো!চোখদুটো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু ইয়াশ জোর করে খুলে রেখে বললো,
– ভাবী….আজ কখন আসবে?
– কোথায়?
– আমাদের বাসায়!
– আমি তো আজ যাচ্ছি না।আজ তুমি আন্টি আঙ্কেলকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসবে!
– আচ্ছা……ইয়াশ চোখ আর খুলে রাখতে পারলো না!ইফাজের বুকেই ঘুমিয়ে পরলো!
ইয়াশের কান্ড দেখে আমার হাসি পেলো!ইফাজ ইয়াশকে আস্তে করে বালিশে শুয়ে দিলো!
লেপটপটা একটু কাছে নিয়ে বললেন,
– দেখো,একটু পর আবার উঠে পরবে!
– তখন আপনি একটু দূরে গিয়ে কথা বললেই ওর কাঁচা ঘুমটা নষ্ট হতো না!
– যত দূরেই যাই না কেনো ও ঠিক টের পেয়ে যায়!এখনই এই অবস্থা,বিয়ের পর কতরাত আমাকে একা কাটাতে হবে সেটা ভেবে তো আমার সুইসাইড করতে ইচ্ছে করে!
– উফ্!আবার ওসব কথা!যখন বিয়ে হবে সেটা তখন দেখা যাবে!এখন রাখলাম!
আমার কথা শুনে উনি হাসলেন!
– এভাবে হাসছেন কেনো?
– তুমি এতোটা ভীতু কেনো?তুমি তো রীতিমতো বিয়ে,বেবি এই নামগুলোই শুনতে পারো না!এতো লজ্জা পেলে চলবে,টিয়াপাখি?
উনার কথাগুলো শুনে লজ্জায় আমার মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে!উনার দিকে ভালোভাবে তাকাতে পর্যন্ত পারছি না!কিন্তু উনি দিব্যি আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন!
আমি কোনোরকমে বলে উঠলাম,
– আম্মু ডাকছে!এখন রাখছি।পরে কথা হবে!
– হিয়া….খবরদার কাটবে না!
– আম্মু ডাকছে তো!
– ডাকুক!
আমি চোখ বন্ধ করে কোনোকিছু না ভেবে কেটে দিলাম।ফোনটা টেবিলের উপর রেখে আলমারি থেকে ছোট তালাটা বের করে কিচেনে চলে এলাম!আম্মু কি যেনো রান্না করছিলো।আমি আম্মুকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
– ঈদ মোবারাক আম্মু!
– বাব্বাহ্!এতো সকালে?
– হুম!ঈদ না আজ….তাই!
– এর আগেও তো কত ঈদ এলো গেলো তখন তো ডেকেও উঠাতে পারিনি….
আমি আম্মুকে থামিয়ে বললাম,
– তখন তো ছোট ছিলাম! এখন তো বড় হয়েছি!
আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
– ইফাজের সাথে কথা হয়েছে?
– হুম!একটু আগেই হলো!পায়েশ রান্না করছো?
– হুম!
আমি আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ মনোযোগ দিয়ে আম্মুর পায়েশ রান্না দেখলাম।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আম্মুর পায়েশ রান্না কমপ্লিট হলো!আম্মু একটা বাটিতে পায়েশ ঢেলে ডাইনিং এ রেখে আসতে গেলো আর আব্বুকে ডাকতে গেলো!এইফাঁকে আমি পায়েশ রাধার যাবতীয় জিনিশপত্র নিয়ে দাদুর বাসায় চলে এলাম!মেইনডোর লাগিয়ে দিয়ে কিচেনে চলে এলাম!
হঠাৎ মনে পড়লো দুধ আনতে ভুলে গেছি!দ্রুত বাসায় যেয়ে কিচেন থেকে দুধ নিয়ে একদৌড়ে দাদুর বাসায় চলে এলাম!
আম্মু যেভাবে যেভাবে পায়েশটা রান্না করেছিলো ঠিক সেভাবে সেভাবে আমিও রান্না করলাম।শুধু চিনিটা একটু কম দিলাম!প্রায় ঘন্টাখানেকের মতো লেগে গেলো!রান্নায় হাতকাঁচা যাকে বলে!যেখানে আম্মুর লাগে পনেরো মিনিট সেখানে আমার লাগে একঘন্টা!
.
আমি পায়েশটা একটা বাটিতে ঢেলে কিচেনেই ঢেকে রেখে সেই ছোট তালাটা দিয়ে কিচেনে তালা দিলাম!যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে!
.
তিনচাচ্চুর বাসায় গিয়ে সবার সাথে দেখা করে আসলাম!
.
সকাল থেকেই আম্মুর ইনট্রাকশন অনুযায়ী সব কাজ আমিই করলাম।নাফিজা ছোট চাচীর বাসায় যেয়ে আড্ডা দিচ্ছে! দুই দুইবার ওকে ডাকতে গিয়েছিলাম বাট এখনও আসার নাম নেই।
নয়টার দিকে একটু ফ্রি হলাম!আমি রুমে এসেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম!চোখ বন্ধ করতেই কেমন ঘুম চলে এলো।সেই সাড়ে পাঁচটায় উঠেছিলাম।ঘুম আসাটা স্বাভাবিক।আমি এক ঝটকায় চোখ খুলে ওয়াশরুমে যেয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে আসলাম।ফোনটা চেক করার জন্য টেবিলের উপর থেকে নিয়ে দেখলাম নো ম্যাসেজ, নো কল’স!মুহূর্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো!পাশেই ফোনটা রেখে আলমারি থেকে ড্রেস বের করে ওয়াশরুমে ঢুকে পনেরো মিনিটে শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলাম।
টাওয়াল দিয়ে চুল মুচ্ছিলাম তখনই কিচেন থেকে আম্মুর ডাক পড়লো।দ্রুত আম্মুর কাছে এসে দেখলাম আম্মু তাড়াহুড়ো করে সব করছে।
– কি ব্যাপার?এতো তাড়াহুড়ো করছো কেনো?
– তোর আব্বু ইফাজের বাবাকে নিয়ে আসছে!একটু হেল্প কর আমাকে!
আম্মু আমার হাতে একটা বাটি দিয়ে ডাইনিং এ রেখে আসতে বললো!আমি দ্রুত ডাইনিং এ বাটিটা রেখে এসে আম্মুর সামনে দাড়াতেই আম্মু একসাথে একশটা কাজ করতে বললো।ওখান থেকে ওটা আনো!ফ্রিজ থেকে এই আনো,সেই আনো!যাও স্পুন বের করো।গ্লাসগুলো ঠিকভাবে রেখেছো তো!না রাখলে যাও ঠিক করে আসো!
.
আমি প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেলাম!আমি আম্মুর কাছ থেকে চলে এলাম।আম্মুর কাছে আর যাওয়া যাবে না।চুপচাপ রুমে বসে থাকাই বেটার।বেডের উপর শুয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে একবার ভাবলাম ইফাজকে কল দেই পরমুহূর্তেই ভাবলাম থাক!বিজি আছে হয়তোবা!আমি চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম।
.
হঠাৎ নাফিসা আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললো,
– আপু!তাড়াতাড়ি উঠো!আঙ্কেল এসেছেন! সাথে ইফাজ ভাইয়াও এসেছেন!
ইফাজ এসেছে শুনে বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো।আমি দ্রুত বেড ছেড়ে আয়নার সামনে গিয়ে চুলগুলো আচঁরিয়ে নিলাম!মাথায় ওড়নাটা দিয়ে ড্রইংরুমে এসেই দেখলাম আঙ্কেলের পাশেই ইফাজ বসে আছে!একটা নেভী ব্লু কালার পাঞ্জাবী পরেছেন!আব্বু উনাদের সামনে সোফায় বসে আঙ্কেলের সাথে কথা বলছেন!
আমাকে দেখেই ইফাজ কিউট করে একটা হাসি দিলো!আমিও ছোট করে হাসলাম।আঙ্কেলের কাছে গিয়ে আঙ্কেলকে সালাম দিয়ে ঈদ মোবারাক বললাম!ভালোমন্দ জিঙ্গেস করলাম!ইয়াশকে আনে নি দেখে একটু খারাপ লাগলো!
আব্বু আমাকে আব্বুর পাশে হাত ধরে বসিয়ে দিলেন!আমার এখানে বসার মোটেও ইচ্ছা ছিলো না!কেমন একটা আনইজিফিল লাগছে!ইফাজের দিকে তাকাতেই দেখলাম আঙ্কেল আর আব্বুর কথা শুনছে আর মাঝে মাঝে আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে!যখনই তাকাচ্ছেন তখনই মিষ্টি একটা হাসি ফ্রি দিচ্ছেন।প্রতিত্ত্যুরে আমিও ছোট করে হাসছি!
আমি কোনোকিছু না ভেবে আস্তে করে সেখান থেকে উঠে চলে আসলাম!রুমে এসে নাফিসাকে বললাম,
– একটা কাজ করতে পারবি?
– কি কাজ?
– কোনোভাবে ইফাজকে মেইনডোরের বাহিরে নিতে পারবি?
আমার কথা শুনে নাফিসা অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলো,
– কেনো আপু?
– এমনি!একটা কাজ আছে!
– ওকে!
নাফিসা হাত থেকে ফোনটা রেখে ড্রইংরুমের দিকে চলে গেলো!আমি বেডের উপর বসে বসে পা দুলাতে লাগলাম!
কিছুক্ষণ পর ইফাজের নাম্বার থেকে কল আসতেই আমি রিসিভ করে হ্যালো বললাম,
– আপু!ভাইয়াকে বাহিরে এনেছি!চলে আসো!
– ওকে!
আমি দ্রুত ফোনটা রেখে মেইনডোর ভেদ করে বাহিরে এলাম।নাফিসা আমাকে দেখে বাসায় চলে গেলো!
ইফাজ আমাকে দেখে কিছু একটা বলার আগেই আমি দ্রুত ইফাজের হাত ধরে দাদুর বাসায় চলে এলাম।মেইনডোর ভালোভাবে লাগিয়ে দিয়ে উনাকে সোফায় বসিয়ে আমি কিচেনে আসার উদ্দেশ্যে এক পা বাড়াতেই উনি আমার হাত খোপ করে ধরে ফেললেন!
আমাকে টান দিয়ে পাশে বসিয়ে বললেন,
– ব্যাপার কি?হুম?
– পরে বলি?এখন একটু ছাড়ুন!আমি যাস্ট যাবো আর আসবো!
– উহুম!আগে বলো….then ছাড়বো!
– প্লিজ!একটু ছাড়ুন!
– ওকে!
ইফাজ আমার হাত ছেড়ে দিতেই আমি দ্রুত কিচেনে এসে একটা ট্রেতে পায়েশ আর পানির গ্লাস নিয়ে উনার সামনে আসলাম।উনি ভূত দেখার মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছেন!আমি ট্রে টা উনার সামনে রেখে পায়েশ উনার হাতে দিয়ে বললাম,
– খেয়ে বলুন তো কেমন হয়েছে?
উনি অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলেন,
– হিয়া….তুমি করেছো পায়েশটা?
আমি কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললাম,
– হুম!
হঠাৎ উনি আমার হাত ধরে টান দিয়ে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমো দিয়ে বললেন,
– আই লাভ ইউ সো মাচ মাই লাভলি ওয়াইফ!ওহ্ মাই গড ইট’স এ বিগ সারপ্রাইজ!
উনি দ্রুত স্পুন দিয়ে খেতে শুরু করলেন!
আমি পা’দুটো সোফার উপর উঠিয়ে উনার দিকে ঘুরে সোফার সাথে হেলান দিয়ে উনার খাওয়া দেখছি!আমি একবারও টেস্ট করি নি।কেমন হয়েছে আল্লাহই জানেন!খারাপ হলে হোক!উনি যে তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছেন এটাই অনেক!আমি জানি আমি যত বাঁজে রান্নাই করিনা কেনো উনি সেটা তৃপ্তি নিয়ে খাবেন!
উনি খাচ্ছেন আর বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন পায়েশটা ভীষন ভালো হয়েছে!
উনার কান্ড দেখে আমার মুখ থেকে হাসি যাচ্ছে না!আমি শব্দহীনভাবে হাসছি!ইফাজ আমার দিকে তাকিয়ে স্পুনটা আমার মুখের সামনে ধরে বললো,
– দেখি,হা করো!
আমি হেসে হা করলাম!উনি আমাকে একচামচ খাইয়ে দিয়ে নিজে আবার খেতে শুরু করলেন!
বাহ্!পায়েশটা তো সত্যি ভালো হয়েছে!আমার কাছেই এতো ভালো লাগছে নিশ্চয় উনার কাছে আরো বেশি ভালো লাগছে!
.
– ইয়াশকে আনেন নি কেনো?
– ঈদের দিন ইয়াশ অনেক বিজি থাকে!ওর প্রায় বিশ পচিঁশটার মতো ফ্রেন্ড!সবার বাসায় নিজে যাবে,ওদেরকে আবার নিজের বাসায় নিয়ে আসবে!সারাদিন ঘুরবে,খেলবে,মজা করবে!রাত দশটার সময় বাসায় আসবে!
– বাব্বাহ্!এই পিচ্চি বয়সেও দেখি বড়দের থেকে কম যায় না!ভয় লাগে না এতো রাত করে বাসায় ফিরে?
– উহুম!ড্রাইভার তো সাথে থাকেই!পানি দাও!
আমি দ্রুত পানির গ্লাসটা উনার সামনে ধরলাম!উনি গ্লাসটা না ধরে আমার হাত থেকেই খেতে শুরু করলেন!
.
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here