#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__১৭
আরিহানের বাড়ির বাহিরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি, নিধি আর জয় ভাইয়া ৷ ভেতরে যাবো নাকি যাবো না সেটাই চিন্তা করছি ৷ যদি আরিহান এসব জেনে যায় তো আমার কি অবস্থা করবেন উনি? সেটা ভাবলেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ৷ এতদূর এলাম এখন দেখা না করেই চলে যাবো? সেটা কি করে হয়?
মনের মধ্যে সাহস নিয়ে কলিংবেলে টিপ দিলাম ৷ কিছুক্ষনপর একটা লোক এসে দরজা খুললেন ৷ চোখে তার মোটা ফ্রেমের চশমা ৷ হাতে বই ৷ মুখে বয়সের কোনো ছাপ নেই ৷ এটা যে আরিহানের বাবা সেটা বুঝে গেছি ৷ তার কারণ ওই বইটাতে এই লোকটারি ছবি ছিল ৷ তাই চিনতে অসুবিধা হয় নি ৷
আমাদের দিকে একবার তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি জয়কে দেখে বললেন,,,,
— আরে জয় যে ৷
জয় : আসসালামুআলাইকুম আঙ্কেল কেমন আছেন?
— ওয়ালাইকুমুসসালাম ৷ ভালো আছি ৷ এসো এসো ভেতরে এসো ৷
আমাদেরকে ভেতরে আসতে বলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন ৷ আমরা তার পিছু পিছু গেলাম ৷ আরিহানের বাবা জয় ভাইয়াকে বসতে বললেন আর কিছু সার্ভেন্টদের খাবার নিয়ে আসতে বললেন ৷ নিধি আর আমি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছি ৷ তখন নিধি আমার কানে কানে বললো,,,
নিধি : আরে ইয়ার তোর শ্বশুর কি হ্যান্ডসাম দেখেছিস?
চোখ রাঙিয়ে তাকালাম ওর দিকে সেটা দেখে আবার বললো,,,,
নিধি : এভাবে তাকানোর কি আছে? যেটা দেখেছি সেটাই তো বললাম ৷
কাশফিয়া : তোর ওই রেডিওটা অফ কর বইন ৷
নিধি আমার কথায় একটা ভেংচি কেটে জয়ের পাশে গিয়ে বসলো ৷ আমিও নিধির পাশে গিয়ে বসে পরলাম৷
— তো এতোদিন পর মনে পরলো আমাকে? (আরিহানের বাবা)
জয় : না না আঙ্কেল আসলে অফিসে কাজের চাপ তাই টাইমই পাওয়া যায় না ৷
— হুম শুধু তুমি আর আরিহানই কাজ করো আমরা তো কেউই করি না ৷ এই মাসে আরিহান একবারও এলো না৷
জয় : আঙ্কেল আরিহানের কাছে এই মাসে যান নি?
— না ও যেতে মানা করে দিয়েছে ৷ আচ্ছা ওরা কে?
জয় : ওহ হ্যাঁ ৷ ও হচ্ছে নিধি আমার স্ত্রী ৷
— কিরে জয় আমাকে রেখেই বিয়ে সেরে নিলি?
জয় : ওই আরকি ৷ (মাথা চুলকে)
— হয়েছে হয়েছে (মুচকি হেসে)
জয় : হুম আর ও হচ্ছে কাশফিয়া ৷ আরিহানের স্ত্রী ৷
— কি? আরিহানের স্ত্রী? আরিহান বিয়ে করেছে? (অবাক হয়ে)
জয় : জ্বী আঙ্কেল ৷
— মানে? আমি তো কিছুই জানিনা ৷
জয় : কাউকে জানানো হয়নি ৷
ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ৷ কেন আসলাম এখানে? এখন আরিহানের বাবা কি করবে কি জানি!! আরিহানের বাবা চুপ করে রইলেন কিছুক্ষন ৷ তারপর কিছু একটা ভেবে বললেন,,,,
— আরিহান আসে নি কেন?
জয় : আঙ্কেল ও হয়তো অফিসে এখন ৷
— ওহ ৷ দেখি মা তুমি এদিকে আসো তো ৷
আমি নিধি আর জয় ভাইয়ার দিকে তাকালাম ৷ ওরা ইশারা করে যেতে বললো ৷ আমি উঠে আরিহানের বাবার পাশে গিয়ে বসলাম ৷ উনি মুচকি হেসে বলতে লাগলেন,,,,,
— বাহ ৷ আরিহানের পচ্ছন্দ আছে বলতে হবে ৷ কিন্তু বিয়েটা করবে আমাকে বললে কি হতো বলো? আমার ছেলেটাই এরকম তাও এটা বললে কি মানা করতাম আমি? কিরে জয় আরিহানকে ফোন করে আসতে বল ৷ আর বউমা তোমাকে কিন্তু আমি মেনে নিয়েছি ৷ তাই টেনশান করো না তোহ ৷
আমি কিছু বললাম না ৷ শুধু হালকা করে হাসলাম ৷ উনি উঠে যেতে নিয়েও বসে বললেন,,,,,
— আমার ছেলেটা অনেক রাগী, জেদি ঠিক আছে ৷ কিন্তু তুমি যদি ওকে ভালোবেসে ওর চাওয়া, পাওয়া পূরণ করো তাহলে ওর ওসব কিছুই থাকবে না ৷ আমি আরিহানকে আসতে বলছি ফোন করে ৷ আজ সবাই থাকবে এখানে ৷ ঠিক আছে? তোমরা বসো আসছি আমি ৷
আরিহানের বাবা উঠে চলে গেলেন ৷ আমি জয় ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : ভাইয়া আরিহান আসলে কি হবে তখন?
জয় : ভয় পেয়ো না কাশফিয়া ৷ কিচ্ছু হবে না ৷
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,,,,
কাশফিয়া : আচ্ছা ৷ আমি একটু বাড়িটা ঘুরে দেখি বরং ৷
জয় : আচ্ছা যাও ৷
ওখান থেকে উঠে চলে এলাম ৷ ওদের একটু স্পেস দরকার ৷ কিন্তু আমার টেনশান হচ্ছে আরিহানকে নিয়ে ৷ উনি জানলে কি হবে আমার? এই ছেলেটা যে কার মতো হয়েছে ৷ ওনার বাবা তো খুব সহজ, সরল, শান্ত ৷ একদম আরিহানের অপজিট ৷
আগের বাড়িটার থেকে এটা বেশ বড় আর খোলামেলাও ৷ সব আসবাবপত্র বড় বড় আর বিভিন্ন নকশা করা ৷ বড় বড় ফ্রেমের ছবি আর মাটির ফুলদানির অভাব নেই ৷ খুব সুন্দর করে সাজানো বাড়িটা ৷ সিঁড়ি দিয়ে উপরে চলে এলাম ৷ করিডোর দিয়ে প্রত্যেকটা রুম ঘুরে ঘুরে দেখলাম ৷
করিডোর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনে পা থেমে গেলো ৷ ওখান থেকেই নিচের দিকে তাকালাম ৷ দেখি আরিহান বাড়ির ভিতরে আসছেন আর ‘ড্যাড, ড্যাড’ বলে ডাকছেন ৷ তাকে দেখে টেনশান আরো বেড়ে গেলো আমার ৷ আরিহানের বাবা রুম থেকে বের হয়ে ওনার কাছে গিয়ে আরিহানের উদ্দেশ্যে বললেন,,,,
— এলি তুই? এতোদিন পর এলি?
আরিহান : কিসের জন্য ডেকেছো সেটা বলো ৷ আর জয় তুই এখানে তাও নিধিকে নিয়ে?
— আমি আসতে বলেছি ৷ তোরা দুইজন যে বিয়ে করে নিলি বললিও না আমাকে ৷
আরিহান : বিয়ে? (অবাক হয়ে)
— এখন কি বলবি বিয়ে করিস নি? আমি জানি সবটা ৷ জানালেও পারতি ৷ এভাবে না জানিয়ে কি দরকার ছিল? তবে হ্যাঁ বউমা কিন্তু বেশ পচ্ছন্দ হয়েছে আমার ৷
আরিহান : বউমা?? তুমি দেখেছো নাকি?
— না দেখলে বলবো কি করে বল? এই জয় বউমা কোথায় রে?
পাশ থেকে নিধি বললো,,,,,
নিধি : উপরে দেখলাম…ওই যে কাশফিয়া ৷ (হাত দিয়ে ইশারা করে)
আমি এতক্ষন উপরে থেকে ওদের কথা শুনছিলাম ৷ নিধির কথায় সবাই আমার দিকে তাকালো ৷ আর আরিহানের চোখে চোখ পরে যায় আমার ৷ তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলাম ৷ নিচে থেকে আরিহানের বাবা বললেন,,,,
— বউমা নিচে আসো তো ৷
আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম ৷ ওই নিধিটাকে দশ তলা থেকে ফেলে দিতে ইচ্ছা করতেছে ৷ ওর জন্যই এখন নিচে যেতে হবে আমার ৷ ধূর ভাল লাগে না ৷ আমাকে এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরিহানের বাবা আবার বললেন,,,
— ভয় পেও না বউমা ৷ নিচে চলে এসো ৷
আমি শাড়ির আঁচল আঙ্গুলে পেঁচাতে পেঁচাতে আরিহানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম ৷ আরিহান আমাকে কিছু বলবে তার আগেই আরিহানের বাবা বললেন,,,
— কিছু বলবি না তুই ৷ যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে ৷ আর আজকে তোরা সবাই এখানে থাকবি ৷ আর শুধু আজ না প্রত্যেকদিন এখানেই থাকবি ৷ কোনো কথা না ৷ জয় তুমিও থাকবে ৷ আরিহান আখিকে ফোন করে আসতে বলে দাও ৷
আরিহান : কিন্তু ড্যাড আমি…
— কোনো দিনও কিছু বলি নি আজ বললাম একটু শুনিস ৷ যা রুমে যা ৷
আরিহান আমার দিকে তাকিয়ে গটগট করে উপরে চলে গেলেন ৷ আরিহানের বাবা আমাকে রুম দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলেন ৷ আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি উপরে যাবো নাকি যাবো না? তখনি পেছন থেকে নিধি আমাকে ধাক্কা দিলো ৷ চমকে উঠলাম আমি ৷ রেগে ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও দাঁত কেলিয়ে হাসছে ৷
কাশফিয়া : পাগলের মতো হাসছিস কেন এভাবে?
নিধি : আরে রাগিস কেন? ভাইয়া ওয়েট করছে তোর জন্য যা ৷
কাশফিয়া : থাপ্পর দিয়ে গাল লাল করে দিব একেবারে৷
নিধি : দে না দে ৷
কাশফিয়া : ফাজিল একটা ৷ যা সর ৷
বলেই সিঁড়ি দিয়ে উঠতে যাবো তখনি নিধি আবার বললো,,,,
নিধি : আরে যা যা ৷ বেচারি ভাইয়া আমার, তোর জন্য বসে আছে ৷ একটু আদর করে দিস ৷
কাশফিয়া : শয়তান মাইয়া তোরে আমি হাতের কাছে পাইলে জুতা মারতাম ৷
নিধি : আয় না আয় ৷ মার মার ৷
কাশফিয়া : সুদে আসলে সব শোধ নিবো ৷ দিন দিন বেয়াদপ হচ্ছিস ৷
বলেই উপরে চলে এলাম ৷ কিন্তু রুমের মধ্যে যাওয়ার সাহসটুকু পাচ্ছি না ৷ বাহির থেকে একবার উঁকি দিলাম কিন্তু আরিহানকে দেখতে পাই নি ৷ মনে সাহস নিয়ে ভিতরে ঢুকলাম ৷ কিন্তু আশেপাশে আরিহানকে পেলাম না ৷ দরজা লাগানোর শব্দে চমকে পিছনে তাকালাম আমি ৷
দেখি আরিহান দাঁড়িয়ে আছেন সামনে ৷ মুখে বাঁকা হাসি ৷ তাকে দেখে একটা ঢোক গিলে বললাম,,,,
কাশফিয়া : দদরজা লাগালেন কেন? আআমি তো বাহিরে যাবো ৷
উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললেন,,,,
আরিহান : ধরে রেখেছি তোমাকে?
আমি মাথা নাড়িয়ে পিছাতে লাগলাম ৷ আরিহান আমাকে টেনে তার কাছে নিয়ে এসে বললেন,,,,
আরিহান : এখানে কেন এসেছো?
কাশফিয়া : আআআসলে…
আরিহান : আসলে কি? গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছে?
কাশফিয়া : কককিসের গগোয়েন্দাগিরি?
আরিহান : সেটা তো তুমি জানো ৷ যাইহোক এটা কার?
পকেট থেকে একটা ইয়ার রিং বের করে বললেন ৷ এইটা হচ্ছে ওই দিনের কানের দুলটা যেটা পরে গিয়েছিল কোথাও ৷ কাঁপাকাঁপা গলায় বললাম,,,,
কাশফিয়া : আমি কি জানি!!
আরিহান : সত্যি তুমি জানো না?
কাশফিয়া : ননা ৷ ছাড়ুন আমাকে ৷
আরিহান : আগে সত্যি বলো তারপর ছাড়বো ৷
কাশফিয়া : সত্যি মানে?
আরিহান : এটা তোমার?
কাশফিয়া : আআমার মনে নেই ৷ হয়তো পরে গিয়েছিল তাতে এতো কথা কিসের ৷ ছাড়ুন আমাকে ৷ আপনি বেশি কথা বলেন ৷
আরিহান : এতোই যখন কথা বলি ৷ মুখটা বন্ধ করে দিলেই তো হয় ৷
কাশফিয়া : এ্যাঁ আমি কিভাবে কি করবো?
আরিহান : দাঁড়াও দেখিয়ে দিচ্ছি ৷
তখনি দরজায় নক পরলো ৷ আরিহান চোখ মুখ কুচকে বললেন,,,,”কে?”
— স্যার অাপনাদের বড় সাহেব ডাকছেন ৷
আরিহান : হুম যাও আসছি ৷ স্বামী স্ত্রী বাদে ফ্যামেলীতে আর কেউ থাকলে এই এক প্রবলেম ৷ এ ডাকছে, ও ডাকছে ৷ ডিসগাস্টিং ৷ একটু প্রাইভেট টাইমও দেয় না ৷
আরিহানের কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আমার ৷ কি বলছেন এগুলা উনি? আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললেন,,,,,
আরিহান : কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
কাশফিয়া : ডেকেছে শুনেন নি? ছাড়ুন আমাকে ৷
আরিহান : হুম ফ্রেশ হয়ে এসো নিচে যাচ্ছি আমি ৷
বলেই চলে গেলেন উনি ৷ যাক বাবা বেঁচে গেছি তেমন কিছু বলে বা করে নি ৷ ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলাম আমি ৷
_____________________
রাতের ডিনার শেষে রুমে এসে বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসলাম ৷ একটু পর আরিহান এসে খাটের একপাশে শুয়ে পরলেন ৷ তাকে শুয়ে পরতে দেখে তার দিকে ঘুরে বসে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : এই এই আপনি শুচ্ছেন কেন এখানে? উঠুন উঠুন ৷
আরিহান : কেন?
কাশফিয়া : কেন মানে? এখানে শুবেন কেন? আমি কই শুবো তাহলে? আপনি উঠে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরুন ৷
আরিহান : কি? আমি তো জানতাম তুমি গাঁধা ৷ এখন তো দেখছি কানাও ৷
কাশফিয়া : এই কি বললেন আপনি?
আরিহান : রুমে কোথাও সোফা আছে??
আমি চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলাম ৷ সত্যিই তো এখানে সোফা নেই ৷
কাশফিয়া : ততো কি হয়েছে? নিচে গিয়ে শুয়ে থাকুন ৷
আরিহান : কিহ আমি নিচে শুবো? তুমি গিয়ে শোও পারলে ৷
কাশফিয়া : আপনার বাড়ি আপনি শুবেন না তো কে শুবে?
আরিহান : আমার বাড়ি তাই তো আমি বিছানায় শুবো৷
কাশফিয়া : নিচে গিয়ে শোন না ৷ আমি আপনার সাথে শুতে পারবো না ৷
আরিহান : আমিও নিচে যেতে পারবো না ৷
কাশফিয়া : ধ্যাত ভালো লাগে না ৷
একটা কোলবালিশ নিয়ে মাঝে দিয়ে বললাম,,,
কাশফিয়া : এটার এপাশে আসবেন না একদম ৷
আরিহান একবার কোলবালিশটার দিকে তাকিয়ে তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,,,,,
আরিহান : বর্ডার বানাচ্ছো? স্ট্রেন্জ্ঞ!!
কাশফিয়া : ভালো! একদম এপাশে আসার চেষ্টা করবেন না ৷
আরিহান : আমি কি তোমার মতো ঘুমাই?
কাশফিয়া : মানে? আমি কি আপনার মতো এক পা পাকিস্তান আরেক পা মালেয়েশিয়া নিয়ে ঘুমাই??
আরিহান : সেটাই তো মনে হচ্ছে ৷
কাশফিয়া : উফ অসহ্যকর ৷
বলেই ওই পাশ ফিরে শুয়ে পরলাম আর টান দিয়ে কাঁথাটা গায়ে দিলাম ৷ একটুপর আরিহান টান দিয়ে পুরো কাঁথাটা নিয়ে গেলেন ৷ তারপর আমি আবার টান দিলাম ৷ সেটা দেখে আবারও উনি টান দিলেন ৷
কাশফিয়া : হচ্ছেটা কি? আরেকটা কাঁথা আনুন না ৷
আরিহান : আমি এখন কোত্থেকে আরেকটা কাঁথা আনবো?
কাশফিয়া : ধুররর!!
আমি পাশ ফিরে গুটিশুটি মেরে শুয়ে রইলাম ৷ একটু পর আরিহান আমার গায়ে কাঁথাটা জড়িয়ে দিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন,,,,”গুড নাইট”
আমি কাঁথাটা আরো টেনে নিয়ে মুচকি হেসে চোখ বুজে নিলাম ৷
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,