#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__০৩
হঠাৎ পেছন থেকে কারো আওয়াজ পেয়ে চমকে পিছনে তাকালাম আমি ৷ তখনি দেখি আরিহান একটা ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন ৷ আমাকে তাকাতে দেখে উনি বললেন,,,,
আরিহান : এই নাও ৷ এই ব্যাগে তোমার সাইজের জামা আছে ৷
কাশফিয়া : লাগবে না এসব জামা কাপড় আমার ৷ আপনি নিয়ে যান ৷ (মুখ ঘুরিয়ে)
আরিহান : এসব ভারী জামা কাপড় পরে থাকতে তোমার অসুবিধা হচ্ছে ৷
কাশফিয়া : হোক অসুবিধা ৷ আমার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে যদি আপনি এভাবেই ভাবতেন তাহলে আমাকে আপনার কাছে আটকে রাখতেন না ৷
উনি ব্যাগটা বিছানার ওপর রেখে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন ৷
কাশফিয়া : আসবেন না ৷ আমার কাছে একদম আসবেন না ৷ আপনাকে আমার সহ্য হয় না ৷
আরিহান : আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে ৷ কিন্তু এভাবে দূরে ঠেলে দিও না আমাকে ৷
কাশফিয়া : আপনার জায়গা আপনি নিজেই নিয়ে নিয়েছেন ৷ জোর করে কখনো কিছু হয় না ৷ তাই জোর করে আপনি কখনো আমার ভালোবাসা পাবেন না আরিহান ৷
আরিহান : আমি জোর করবো তোমাকে ৷ এছাড়া আমার কাছে কোনো উপায় নেই ৷ তোমাকে আমি অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারবো না কাশফুল!!
কাশফিয়া : মেরে ফেলুন আমাকে আরিহান ৷ মেরে ফেলুন ৷ আমি যে ছোট থেকেই সায়ানকে ভালোবাসি ৷ ওকে ভুলতে পারবো না আমি আরিহান ৷ মরে যাবো আমি ৷ (ফ্লোরে বসে)
উনি আমার কাছে এসে ফ্লোরে বসে পরলেন ৷ আমার গালে হাত রেখে মুখ তুলে বলতে লাগলেন,,,,
আরিহান : তুমি কেন বুঝতে পারছো না সায়ান ভালো ছেলে না ৷ ও খারাপ, ও তোমাকে ব্যবহার করেছে ৷
কাশফিয়া : সায়ানের নামে একটাও বাজে কথা বলবেন না আপনি ৷ দয়া করে আর মিথ্যা বলবেন না ৷
আরিহান : আমি মিথ্যা বলছি? না আমি সত্যি বলছি ৷ আর তার প্রমাণ তুমি একদিন পাবে ৷
কাশফিয়া : চলে যান আমার সামনে থেকে ৷ আই জাস্ট হেট ইউ!!
আরিহান : ভালোবাসবে ঠিক ভালোবাসবে ৷ ততদিন আমি অপেক্ষা করবো ৷ তাই বলে ভেবো না তোমাকে আমি ছেড়ে দিবো ৷ তুমি শুধু আমার ৷ শুধু আমার ৷ তার জন্য যা করতে হয় আমি করবো ৷ কিন্তু তোমার আমার থেকে মুক্তি নেই ৷ চেন্জ্ঞ করে খেয়ে নিও ৷
বলেই উঠে দাঁড়িয়ে চলে গেলেন উনি ৷ কাঁদতে ইচ্ছা করছে আমার অনেক ৷ কেন জোর খাটাচ্ছেন উনি আমার লাইফে? কেন শেষ করে দিচ্ছেন আমার আমিকে? আমি যে সইতে পারছি না আর ৷
উঠে দাঁড়িয়ে ফ্রেশ হয়ে চেন্জ্ঞ করে নিলাম ৷ এসব ভারী ভারী জিনিস পরে থাকতে কষ্ট হচ্ছে ৷ তাই না চাইতেও আরিহানের দেয়া জামা পরতে হলো আমাকে ৷ খাটের এক কোনায় গুটিশুটি মেরে বসে আছি আমি ৷ আর ভাবছি সেই দিনের কথা যেদিন আরিহান সোজাসাপ্টা ভাবে তার মনের কথা আমাকে বলেছিল ৷
In the past…
রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছি আমি আর নিধি ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৷ কাল নিধির অ্যাকসিডেন্টে ভার্সিটি যাওয়া হয় নি ৷ আজ ও অনেকটা সুস্থ তাই ওকে ওর বাসা থেকে নিয়ে গল্প করতে করতে হেঁটে চলেছি আমি৷
কাশফিয়া : কিরে? কাল ওই ছেলেটাকে বলেছিলিস তোর ফ্রেন্ড? কে ছিল ও? কবে ফ্রেন্ড হলো তোর?
নিধি : আরে আমাদের পাশের ফ্লাটে থাকে তাই ফ্রেন্ডশিপ হয়েছে ৷
কাশফিয়া : ওহ তো কাল তোর সাথে কি হয়েছিল? আই মিন রিকশা থেকে পরলি কিভাবে?
নিধি : বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওনার সঙ্গে দেখা হয় ৷ আর তার সঙ্গেই ভার্সিটির পথে যাচ্ছিলাম ৷ তারপর রিকশায় উঠতে গিয়েই পা মচকে পরে যাই আমি ৷ ওই ছেলেটাই তারপর হসপিটালে নিয়ে আসে ৷
কাশফিয়া : শুধু কি ওইটুকুই নাকি আরো কিছু আছে?
নিধি : কি বলতে চাইছিস তুই? (কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে)
কাশফিয়া : কই কিছু না তো ৷ তুই আবার দাঁড়ালি কেন? চল তাড়াতাড়ি ৷
এই বলেই হাঁটতে লাগলাম আমরা ৷ এমন সময় হঠাৎ আমাদের সামনে একটা বাইক এসে থামলো ৷ ভয়ে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেলাম ৷ সামনে থাকা লোকটি বললো,,,,
— ভয় পাওয়ার কিছু নেই ৷
আমি তার দিকে তাকিয়ে এগিয়ে গেলাম ৷ এটা আর কেউ না আরিহান ৷ আমি তাকে বললাম,,,,
কাশফিয়া : এটা কি রকম অসভ্যতামি??
আরিহান : কিসের অসভ্যতামি করেছি আমি? কাশফুল!!
কাশফিয়া : দেখুন ঠিক ভাবে কথা বলুন ৷ ফার্স্টলি আমার নাম কাশফুল নয় আমি কাশফিয়া রহমান ৷ আর সেকেন্ডলি এভাবে দুইটা মেয়ের রাস্তা আটকানো কি অসভ্যতামি নয়? এটা সভ্যতার কোন রুলসে পরে?
আরিহান : আরে আস্তে হাপিয়ে গেলে এটুকু বলতেই ৷ তোমার নাম আর যাইহোক তুমি আমার কাশফুল ৷ আর রুলস? আমি কোনো রুলস মেইনটেইন করি না ৷ এখন বাইকে উঠে বসো তুমি ৷
কাশফিয়া : কেন বসবো? বসবো না আমি ৷ নিধি চল ৷
আরিহান : আই নো মেয়েরা একটু ঘাড়ত্যাড়া টাইপ হয় ৷ আর সেটার স্পষ্ট প্রমাণও পেলাম আজ ৷ ভালো ভাবে বলেছি শুনো নি ৷ এরপর অন্যকোনো উপায় নিলে তোমার জন্য ওটা খুব একটা ভালো হবে না ৷
কাশফিয়া : এই আপনি আমার কি খারাপ করবেন হ্যাঁ? পথ ছাড়ুন যেতে দিন আমাদেরকে ৷
আরিহান : ওকে!!
এতো সহজে মেনে গেলেন? এতক্ষন কি করছিলেন তাহলে? সে যাইহোক মেনেছে ভালোই করেছে ৷ হঠাৎ উনি পকেট থেকে কিছু একটা বের করে আমার নাক মুখে চেপে ধরলেন ৷ ধাক্কা দিতে গিয়েও পারলাম না ৷ সামনের ব্যক্তিটির গায়ে ঢলে পরলাম আমি ৷
আরিহান : সো শালিকা তুমি ভার্সিটি যাও ৷ আজ আর ওর যাওয়া হবে না ৷ চিন্তা করো না ৷ আমি ওর কোনো ক্ষতি করবো না ৷ আর কোনো ক্ষতি হতেও দিবো না ৷ এখন যেতে পারো তুমি ৷
নিধি মাথা দুইদিকে নাড়িয়ে ‘হ্যাঁ’ বলে ভয়ে ভয়ে কেটে পরলো ৷ আর ওর দিকে তাকিয়ে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে কাশফিয়ার দিকে তাকিয়ে রইল আরিহান ৷
____________
আস্তে আস্তে চোখ খুলে নিজেকে একটা রুমে আবিষ্কার করলাম আমি ৷ নাহ এটা কোনো রুম না…এটা একটা হল রুম ৷ সকালের কথা মনে আসতেই ঝটপট চোখ খুলে আশেপাশে চোখ বুলাতে লাগলাম আমি ৷ এখনও সকালই আছে ৷ পাশের একটা চেয়ারে আরিহান বসে বসে মোবাইল টিপছেন ৷ তাকে দেখে আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : এসবের মানে কি?
উনি মোবাইলের দিকেই চোখ রেখেই বললেন,,,,,
আরিহান : কোন সবের??
কাশফিয়া : এমন ভাব ধরছেন যেনো কিছুই জানেন না আপনি ৷ আমাকে তুলে এখানে কেন নিয়ে এসেছেন?
মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে আমাকে নিচ থেকে উপরে একবার স্ক্যান করে দাঁড়িয়ে গেলেন ৷ নিজের মোবাইল প্যান্টের পকেটে রেখে তার দুইহাত প্যান্টের পকেটে গুজে দিয়ে এগিয়ে এলেন আমার কাছে ৷ তারপর ভ্রু কুচকে বললেন,,,,,
আরিহান : তুলে নিয়ে এসেছি?
কাশফিয়া : তো আমি এখানে এলাম কিভাবে?
আরিহান : কি জানি?
কাশফিয়া : আজব তো? কি শুরু করেছেন আপনি? আপনি…ধুর আপনাকে বলে কোনো লাভ নেই ৷ আমি নিজেই চলে যেতে পারবো ৷
বলেই পিছনে ঘুরলে আরিহান তার হাত দিয়ে আমাকে আটকে দিলেন ৷ সামনে ঘুরিয়ে বললেন,,,,
আরিহান : আমার কিছু বলার আছে ৷
কাশফিয়া : কি?? (ভ্রু কুচকে)
আরিহান : আমি কোনো কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলতে পারি না ৷ সোজা কথা সোজা ভাবে বলি ৷ সো তোমাকেও সোজাভাবেই বলছি ৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি ৷ গতকাল প্রথম দেখে ভালোবেসেছি তোমাকে আমি ৷
কাশফিয়া : কি বলছেন আপনি এসব? পাগল হয়ে গিয়েছেন? আমি আপনাকে চিনি না ৷ আর না আপনি আমাকে চিনেন ৷ আমার সমন্ধে কতটুকু জানেন আপনি? হয়তো আমাকে দেখে আপনার ভালো লেগেছে ৷ ভালোবাসা হয় নি ৷ তাই কয়েকদিনের মোহে এতটা ভুল করবেন না ৷
আরিহান : না কাশফুল আমি তোমাকে ভালোবাসি ৷ সত্যি অনেক ভালোবেসে ফেলেছি আমি তোমাকে ৷
কাশফিয়া : ভুল করছেন আপনি ৷ কিন্তু আপনি আমার লাইফ থেকে চলে যান ৷ আমার লাইফে অন্য কেউ আছে ৷ প্লিজ চলে যান আপনি ৷
উনি আমাকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে এসে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,,,,,
আরিহান : অন্য কেউ? দেখি সেই অন্য কেউটা কে? যে তোমাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে তাকে আমি শেষ করে দিব ৷ তুমি শুধু আমার ৷ আমার ভালোবাসাটা সহজে বুঝলে তো বুঝলাই ৷ নাহলে আমাকে অন্য কিছু করতে হবে ৷ এই আরিহান যা চায় তাই করে ৷ আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টাও করো না কাশফিয়া ৷ করলে তার ফল খুব একটা ভালো হবে না তোমার জন্য ৷ নিজের ভালোবাসার জন্য আমি সব কিছু করতে সদা প্রস্তুত ৷ মাথায় রেখো তুমি শুধুই আমার ৷
বলেই আমার কপালে ওনার ঠোঁট ছুঁইয়ে বেরিয়ে গেলেন উনি ৷ হলোটা কি এগুলা এখানে? কিছু সময়ের জন্য মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমার ৷ যখন সেন্স আসলো তখন রাগ হলো ৷ কি একটা লোক এসে বলবে আমি তার৷ আর আমি তার হয়ে গেলাম? কখনোই না ৷ ওনাকে আমি ভালোবাসবো না কখনোই ৷ আর না ওনার ভালোবাসা আমি মেনে নিবো ৷
ওই হল থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা করে বাসায় যাওয়ার দিকে রওনা দিলাম ৷ আজ ক্লাসটাও করতে পারলাম না ওই লোকটার জন্য ৷ বাসায় এসে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আমি ৷
বিছানা বসা মাত্রই আমার ফোনটা বেজে উঠলো ৷ বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরে বললাম,,,
কাশফিয়া : হ্যালো!! কে??
ওপাশ থেকে : কে? চিনিস না আমাকে?
পরিচিত একটা কন্ঠ শুনে মোবাইলের স্ক্রিনে তাকালাম আমি ৷ স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নামটা দেখেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো ৷ তাড়াতাড়ি করে বললাম,,,
কাশফিয়া : আরে সায়ান ভাইয়া তুমি?
সায়ান : আবার ভাইয়া?? (করুন সুরে)
কাশফিয়া : সরি সরি সায়ান ভাইয়া থুক্কু সায়ান ৷
সায়ান : কবে শোধরাবি তুই?
কাশফিয়া : অভ্যাস হয়ে গেছে ৷ কি করব বলো? আর তুমি কেন আমাকে খালি তুইতুকারি করে বলো ৷
সায়ান : সেম অভ্যাস হয়ে গেছে ৷ তো তুই কি এখন ভার্সিটিতে? নিতে আসবো তোকে?
কাশফিয়া : না না না আমি বাসায় চলে এসেছি ৷ আজ ক্লাস করিনি ৷ ভালো লাগছিল না তাই ৷
সায়ান : কাশফি? তুই ঠিক আছিস তো?
কাশফিয়া : হুম আমার আবার কি হবে?
সায়ান : তো ভালো লাগছে না কেন? তোর? মামিকে বল ডাক্তার দেখাতে নাকি আমি আসবো?
কাশফিয়া : আরে না কিচ্ছু হয় নি আমার ৷ একটু ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে ৷
সায়ান : আচ্ছা তাহলে তুই ঘুমিয়ে পর ৷ পরে কথা হবে ৷ এখন রাখি নিজের খেয়াল রাখিস ৷
কাশফিয়া : আচ্ছা ৷ (বলেই ফোন কেটে দিলাম)
শুয়ে শুয়ে ভাবছি আরিহানের কথা ৷ কি করা উচিত আমার? যত ভুলতে চাইছি তত আরিহানের কথা মনে পরছে আমার ৷ সায়ান আমার ফুফাতো ভাই ৷ ছোট থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি আমরা ৷ ছোট থেকেই আমরা দুজন দুজনকে পচ্ছন্দ করতাম ৷ এখনো করি ৷ কিন্তু মাঝখান থেকে আরিহান নামক মানুষটা এসে সব কিছু ওলটপালট করে দিলো ৷ জানিনা আমার অনিশ্চিত জীবনে কে আছে, আর কে নেই!!
In the present…
আখির কথায় হুশ ফিরে আমার ৷ এতক্ষন এখানে বসে বসে আগের অতীত ভাবছিলাম আমি ৷ জানিনা আমি আরিহানের থেকে মুক্তি পাবো নাকি কখনো? কিন্তু চেষ্টা করতে হবে আমার ৷ এভাবে তার কাছে বন্দি থাকার কোনো মানেই হয় না ৷
আখি : কি ভাবছো? (ধাক্কা দিয়ে বললো আমাকে)
কাশফিয়া : হুম…না কিছু নাহ ৷
আখি : নাও খেয়ে নাও ৷ (খাবারের প্লেট এগিয়ে দিয়ে)
কাশফিয়া : না আমি খাবো না ৷
আখি : তুমি না খেলে ভাইয়া আমাকে বকা দিবে ৷ প্লিজ খেয়ে নাও ৷
কাশফিয়া : আচ্ছা খাবো ৷ তবে তোমাকে আমার একটা হেল্প করে দিতে হবে ৷
আখি : কি হেল্প বলো?
কাশফিয়া : আরিহানকে আবার বলে দিও না প্লিজ ৷
আখি : আচ্ছা ঠিক আছে ৷
কাশফিয়া : ফোন আছে তোমার কাছে? জানি আছে প্লিজ না করো না ৷ আমি একটু আম্মু আব্বুর সাথে কথা বলবো ৷ প্লিজ!!
আখি : কিন্তু…?
কাশফিয়া : প্লিজ আখি না করো না ৷ খুব দরকার ভেবে দেখো একটু ৷
আখি : আচ্ছা তবে দশ মিনিট এর বেশি না ৷
কাশফিয়া : এতেই হবে ৷
আখি : ঠিক আছে তুমি খেয়ে নেও ৷ আমি আমার মোবাইলটা নিয়ে আসছি ৷
কাশফিয়া : আচ্ছা ৷ (একটা রাস্তা পেয়েছি ৷ কাজে লাগাতে হবে ৷ আল্লাহ…দেখো যেনো সব ঠিক ঠাক করতে পারি –মনে মনে)
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
#The_Terrible_Lover
#অদ্রিতা_জান্নাত
#পর্ব__০৪
আখির মোবাইল হাতে নিয়ে বসে আছি আমি ৷ কাকে ফোন দিব তাই ভাবছি? বেশি দেরি করলে আরিহান এসে পরবে তখন অবস্থা হাতের বাহিরে চলে যাবে ৷ কিন্তু আমাকে তো পালাতে হবেই এখান থেকে যে করেই হোক ৷ সায়ানের নাম্বার ডায়াল করে কল দিলাম ৷ প্রথম কল কেটে গেলো ৷ দ্বিতীয় বার কয়েকবার রিং হওয়ার পরই রিসিভ হলো ৷ সঙ্গে সঙ্গে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : হ্যালো সায়ান?
ওপাশ থেকে : কাশফি মা কেমন আছিস? কোথায় আছিস?
কাশফিয়া : ওহ ফুপ্পি আমি ঠিক আছি তুমি সায়ান ভাইয়াকে ফোনটা দাও ৷ তোমার সাথে পরে কথা বলি ৷ প্লিজ আগে সায়ানকে দাও ৷
ফুপ্পি : দাঁড়া দাঁড়া দিচ্ছি ৷……….
সায়ান : কাশফি কোথায় তুই? ঠিক আছিস তো? কেমন আছিস?
কাশফিয়া : আমি ভালো আছি আর আরিহান আমাকে এখানে আটকে রেখেছে ৷
সায়ান : ওই আরিহানকে তো আমি…
কাশফিয়া : সায়ান শান্ত হও প্লিজ ৷ আমাকে এখান থেকে বের হতে হবে ৷ এট এনি কস্ট!! তবে আমি একা একা পারবো না ৷ তোমার হেল্প লাগবে আমার ৷
সায়ান : তুই বল কি করতে হবে? আমি তোর জন্য সব করতে পারবো ৷ কিন্তু কাশফি আরিহানকে তো তুই চিনিস ৷ ও যদি এসব কিছু বুঝে যায়?
কাশফিয়া : ভয় পেলে হবে না ৷ একটা চেষ্টা তো করতেই হবে ৷ আমি তোমাকে বলছি তুমি মন দিয়ে শোনো ৷
সায়ান : আচ্ছা বল ৷
কাশফিয়া : ………………………………………….. বুঝেছো?
সায়ান : যদি কিছু ওলট পালট হয়ে যায় তবে?
কাশফিয়া : জানিনা কি হবে? কিন্তু আমি বন্দি অবস্থায় আরিহানের কাছে থাকতে চাইছি না সায়ান ৷
সায়ান : আমি আমার সবটা দিয়ে চেষ্টা করবো ৷ চিন্তা করিস না তুই ৷
কাশফিয়া : আচ্ছা ৷ আম্মু আব্বু কেমন আছে?
সায়ান : ভালো নেই রে ৷ কাল মামার বুকে ব্যথা হয়েছিল ৷ ডাক্তার দেখিয়ে আমি তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি ৷
কাশফিয়া : আম্মু আব্বুকে বলে দিও আমি ভালো আছি আর কাল দেখা হচ্ছে ৷ এখন রাখি ৷
সায়ান : আচ্ছা সাবধানে থাকিস ৷
কাশফিয়া : হুম ৷
বলেই কল কেটে দিলাম ৷ একটা চাপা শ্বাস বেরিয়ে এলো ৷ তখনি তড়িঘড়ি করে রুমে ঢুকলো আখি ৷ ওকে এভাবে আসতে দেখে আমি বললাম,,,,,
কাশফিয়া : কি হয়েছে? এভাবে আসলে যে?
আখি : আপু মোবাইলটা দাও তাড়াতাড়ি ৷
কাশফিয়া : হুম নাও আমার কথা বলা শেষ ৷
ফোনটা আখিকে দিয়ে বললাম ৷ তখনি দেখলাম আরিহান এই রুমের দিকে আসছেন ৷ হয়তো ওনাকে দেখেই আখি এরকম করলো ৷ ওনাকে আসতে দেখে আমি আমার জামার এক প্রান্ত টেনে ছিঁড়ে ফেললাম ৷ তারপর আখিকে বললাম,,,,
কাশফিয়া : আখি? তোমার কোনো এক্সট্রা জামা আছে?
আখি : কেন আপু?
কাশফিয়া : বলো না ৷ আছে?
আখি : হুম কয়েকটা আছে তো ৷
— ওর জামা দিয়ে তুমি কি করবা? (আরিহান রুমে ঢুকে বললেন)
কাশফিয়া : এই দেখুন আপনি ছেঁড়া জামা এনেছেন আমার জন্য ৷ (ছেঁড়া অংশ দেখিয়ে)
আরিহান : আদো কি ছেঁড়া ছিল? নাকি ইচ্ছা করে ছিঁড়েছো?
কাশফিয়া : আজব আমি কেন ছিঁড়ব?
আরিহান : সেটা তুমিই ভালো জানো ৷ যাইহোক এখন রাত সো এখন আর কোত্থাও যেতে পারবো না ৷ কাল এনে দিবো নে ৷
এটা বলেই উনি চলে যেতে নিলেন ৷ আমি খাট থেকে নেমে বললাম,,,
কাশফিয়া : এই না নাহ ৷
আরিহান : কি না নাহ? (পিছনে ঘুরে)
কাশফিয়া : না মানে হ্যাঁ মানে আরে ধুর ৷ আসলে বলছিলাম কি আপনি গেলে আবার আমার জন্য ছেঁড়া জামা নিয়ে আসবেন ৷ তাই আমি নিজেই আপনার সাথে গিয়ে আমার পচ্ছন্দ মতো জামা নিয়ে আসতাম ৷
উনি ভ্রু কুচকে আমার দিকে আগাতে লাগলেন ৷ ওনার আগানো দেখে আখি রুম থেকে চলে গেলো ৷ আমি পিছাতে পিছাতে বললাম,,,,,
কাশফিয়া : আ-আগাচ্ছেন ক-কেন?
উনি আমার কাছে এসে বললেন,,,,
আরিহান : তুমি কাশফিয়া তো?
কাশফিয়া : এটা কেমন কথা?
আরিহান : তুমি চাইছো আমার সাথে শপিংএ যেতে? লাইক সিরিয়াসলি? আগে তো আমার একটা কথাও শুনতে না ৷ একটু আগ পর্যন্তও ৷ কিন্তু এখন কি এমন হলো যে তুমি সোজা আমার সঙ্গে বাহিরে যেতে চাইছো? পালানোর প্লান করছো বুঝি?
ওনার কথা শুনে ঘামতে লাগলাম আমি ৷ কিভাবে যে সব বুঝে যায়? তবে এখন ধরা খেলে হবে না ৷ নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে হবে ৷
কাশফিয়া : কি সব আবোল তাবোল বলছেন ৷ যদি না নিয়ে যেতে চান তাহলে নিয়েন না যাবো না আমি ৷ আপনিই যান ৷
আরিহান : সত্যি তুমি যাবে না?
আমি ওনাকে সরিয়ে মুখ ঘুরিযে খাটে বসে বললাম,,,,
কাশফিয়া : না যাবো না ৷ এমনিতেও আমার আপনার সঙ্গে ঘোরাঘুরি করার ইচ্ছাও নেই ৷ আমার শপিং করতে ভালো লাগে তাই যেতে চেয়েছিলাম ৷ তার জন্য জানতাম নাকি এতো কথা শুনতে হবে আমাকে ৷
আরিহান : আচ্ছা ঠিক আছে ৷ কাল সকালে যাবো আমরা ৷ রেডি হয়ে থেকো ৷ মন ভরে তোমার পচ্ছন্দ মতো শপিং করো ৷ কিন্তু হ্যাঁ পালানোর কোনো প্লান থাকলে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো ৷ কেননা তুমি কখনোই আমার থেকে দূরে যেতে পারবে না ৷ আর দূরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ফল ঠিক কি রকম হবে সেটা হয়তো তোমার জানা আছে, আবার হয়তো নেই ৷ তাই আমাকে তোমার কাছে খারাপ কিংবা হিংস্র হতে বাধ্য করো না কাশফিয়া ৷ বুঝেছো?
আমি মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বললাম ৷ কিন্তু আমার ভিতরে চলছে অন্য কথা ৷ কিন্তু সেটা আরিহানকে বুঝতে দিলে চলবে না ৷
আরিহান : রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরো ৷ খেয়েছিলা কি?
কাশফিয়া : হুম ৷
আরিহান : আচ্ছা শুয়ে পরো আমি আসছি ৷
বলেই উঠে চলে গেলেন ৷ আমি লাইট বন্ধ করে শুয়ে শুয়ে ভাবছি ৷ কাল ঠিক কি হবে বা কি হতে পারে? পালাবো ভাবলেই এখন আমার ভয়টা আরো বেড়ে যায় ৷ না জানি আরিহান কি করবে আমার সাথে!! কিন্তু আমি যে থাকতে পারছি না এখানে ৷ দম বন্ধ হয়ে আসে আমার কেন এটা বোঝেনা আরিহান?
অন্যদিকে
দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে ঘুমন্ত কাশফিয়াকে দেখছে আরিহান ৷ আর মনে মনে বলছে,,,,,
“কেন দূরে দূরে রাখছো আমাকে কাশফুল!! কি করে বোঝাই তোমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসি আমি ৷ তোমাকে ছাড়া আমি যে মরে যাবো ৷ বোঝো না কেন তুমি? সায়ানের মধ্যে কি এমন আছে যা আমার মধ্যে নেই ৷ কেন তুমি বারবার বলো তুমি সায়ানকে ভালোবাসো? আমার ভালোবাসা তোমার নজরে পরে না কেন? আমি তোমাকে অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারবো না ৷ তুমি শুধু আমার ৷ তোমাকে ভালোভাবে চেয়েও যে আমি ব্যর্থ ৷ এখন তোমাকে আমার কাছে রাখা ছাড়া যে আর কোনো উপায় নেই আমার কাছে ৷”
___________________________
পরেরদিন…🍁
রেডি হয়ে রুমে বসে আছি আমি কিন্তু আরিহানের আসার নাম নেই ৷ আমাকে রেডি হতে বলে উনি যেনো কোথায় চলে গেলেন ৷ এখনো আসে নাই ৷ এদিকে আমার টেনশান ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ৷ জানিনা আজ কি হবে? কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেই হবে ৷ আমি কি করে ভালোবাসবো আরিহানকে? যেখানে আমি ছোট থেকেই অন্য একজনকে ভালোবাসি ৷
নিচে গাড়ির হর্ণের শব্দ পেয়ে তাড়াতাড়ি নিচে চলে গেলাম আমি ৷ গাড়িতে উঠে বসলে গাড়ি স্টার্ট দিলেন উনি ৷ কিছুক্ষনপর গাড়ি এসে থামলো একটা মলের সামনে ৷ উনি গাড়ি থেকে নেমে আমার হাত ধরে নামিয়ে ভেতরে নিয়ে যেতে লাগলেন ৷ আমি মুচড়ামুচড়ি করে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে আরো শক্ত করে ধরেন ৷ এভাবে হাত ধরে নিয়ে যাওয়ার মানে কি? তবে কি কিছুটা অনুমান করেছেন আরিহান??
শপিংমলে ঢুকতে গিয়ে একজনের উপরে চোখ আটকে গেল আমার ৷ মাথায় তার শীতের টুপি, আর মুখটা ঘোরানো ৷ যার জন্য চেহারাটা অস্পষ্ট ৷ তবে পিছন দিক থেকে সায়ানের মতো লাগছে ৷ আরিহানের কারণে যেতেও পারছি না, ডাক দিতেও পারছি না আর দেখতেও পারছি না ৷ আমাকে এরকম উঁকি ঝুকি দিয়ে দেখতে পেয়ে আরিহান বললেন,,,,
আরিহান : এতো নড়াচড়া করছো কেন বলোতো? আর ওই দিকে কি দেখছো? দেখি…
উনি ওই দিকে তাকাতে নিলে তার হাতে টান দিয়ে বললাম,,,
কাশফিয়া : কিছু না কিছু না ৷ তাড়াতাড়ি চলুন ৷
আরিহান আমাকে একবার দেখে নিয়ে সামনে হাঁটতে হাঁটতে বললেন,,,,,
আরিহান : হুম তোমার মাথায় কি চলছে বলোতো ৷
কাশফিয়া : কই কি কিছু না তো ৷
ওনার সাথে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ এদিকে ওটা যে সায়ান সেটা আমি নিশ্চিত ৷ কিন্তু বজ্জাতটা একবারও আমার দিকে তাকালো না ৷ আমাকে দেখেছে কিনা সেটা সন্দেহ ৷ আরিহান আমাকে নিয়ে চারতলার ফ্লোরে গেল ৷ যেখানে শুধু মেয়েদের জামাকাপড় রয়েছে ৷ আমি একটার পর একটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জামা দেখছি কিন্তু আমার মন অন্য জায়গায় ৷ আজ যদি একবার আরিহান আমাকে ধরে ফেলে তো আমার অবস্থা কি হবে আল্লাহ জানেন ৷
কাশফিয়া : আরিহান? একটু দেখুন কোনটা ভালো লাগে?
উনি আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলেন ৷ স্বাভাবিক তাকে আমি আমার ভালো লাগা সব বিষয় থেকে দূরে রেখেছি ৷ আর সেই আমি বলছি কোনটা আমার গায়ে ভালো লাগবে?
কাশফিয়া : ওভাবে কি দেখছেন? থাক আমি নিজেই দেখছি ৷
তখনি ওনার ফোন বেজে উঠলো আর বললেন,,,,
আরিহান : এখানেই চুপচাপ বসে থাকো ৷ একটু নড়লে খবর আছে ৷ কথা বলে আসছি আমি ৷
আমি মাথা নেড়ে ‘হ্যা’ বললাম ৷ তারপর ওনাকে দেখিয়ে জামা পচ্ছন্দ করতে লাগলাম ৷ কিন্তু আমার হাতে বেশি সময় নেই ৷ যা করার এখনি করতে হবে ৷ তাই এখানকার একজনকে ডাক দিলাম ৷ উনি এসে বললেন,,,,
— জ্বী ম্যাম আপনার কিছু লাগবে?
কাশফিয়া : শুনুন আমি একটু ওই পাশে যাচ্ছি ৷ ওখানে নিউ স্টাইলের ড্রেস দেখেছি ৷ ওই লোকটা (আরিহানকে ইশারা করে) কে বলবেন যে আমি ওই দিকে গিয়েছি ৷ প্লিজ ৷
— ওকে ওকে ম্যাম ৷
আরিহান ঘুরে রয়েছেন ৷ যার কারণে আমাকে দেখতে পাচ্ছেন না তবে একটু পর পর পিছন ঘুরে ঘুরে দেখছেন ৷ আমি তার আড়ালে অন্য রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে গেলাম ৷ বেরিয়ে যেতেই সামনে সায়ানকে দেখতে পেলাম ৷ ওকে দেখেই এগিয়ে গিয়ে বললাম,,,,
কাশফিয়া : হয়েছে? চলো?
সায়ান : হুম চল দেরি করা ঠিক হবে না ৷ আরিহান যে কোনো সময় চলে আসতে পারে ৷
বলেই আমাকে নিয়ে হাঁটা শুরু করলো ৷ আরিহানের নাম্বার সায়ানের কাছে আগে থেকেই ছিলো ৷ ওকে আমি বলেছিলাম আরিহানের নাম্বার ট্রেক করে আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে যেতে ৷ তাই আমি কোনো একটা এক্সকিউজ দেখিয়ে আরিহানের সঙ্গে বাহিরে এসেছি ৷ ওই সময়ে আরিহানের ফোনে সায়ানই কল দিয়েছিল ৷ ওকে আমার থেকে একটু দূরে রাখতে ৷ আর সেই সময়ে সেই জায়গা থেকে আমি বেরিয়ে গেলাম ৷ মলের বাহিরে এসে গাড়িতে বসে পড়লাম ৷ সায়ান গাড়ি স্টার্ট দিলে আমি বললাম,,,,,
কাশফিয়া : গাড়ির স্প্রিড বাড়াও ৷ আমাকে যদি একবার আরিহান তার হাতে পান ৷ তো আমার কি করবে বুঝতে পারছো?
সায়ান : টেনশান করিস না ৷ আমাদের বিয়ে হলে ও আর কিছু করতে পারবে না ৷
কাশফিয়া : বিয়ে? কিভাবে কি?
সায়ান : এখনি কাজীঅফিসে গিয়ে বিয়ে করবো আমরা ৷
কাশফিয়া : কিইই??
সায়ান : হুম কিন্তু তুই এরকম করছিস কেন?
কাশফিয়া : আম্মু আব্বুকে না জানিয়েই?
সায়ান : আমি মামা,মামি,আর আমার আম্মু আব্বুকে কাজী অফিসে আগেই যেতে বলে দিয়েছি ৷ এখন আমরা গেলেই হবে ৷
কাশফিয়া : ওহহ ৷
সায়ানকে আমি ভালোবাসি কিন্তু ওর সাথে বিয়েতে কেন জানি খুশি হতে পারছি না? কি রকম জানি লাগছে আমার ৷ কেন লাগছে এরকম বুঝতে পারছি নাহ!!
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
(একজন বলেছেন কাশফিয়া দেখতে কেমন সেটা একটু বলতে ৷ ফার্স্টলি এর এত হাইট, নয়তো ওর এত হাইট, দ্যান গায়ের রঙ, গায়ে কয়টা তিল বলতে গেলে একটা মানুষের সব আগাগোড়া আমি আমার গল্পে রাখি না ৷ ভালো লাগে না আমার কাছে ৷ তাই বলি নি ৷ আপনারা আপনাদের নিজেদের মতো ভেবে নিয়েন যে ওদের ঠিক কিরকম দেখতে! ভালো মন থাকলে একটা কালো মেয়েকেও ভালোবাসা যায় ৷ সে যাইহোক গল্পটা কেমন হচ্ছে? আর কোথাও কোনো ভুল হয়েছে কিনা জানাবেন ৷ আমার ভুলটা ধরিয়ে দিবেন পারলে ৷ কাউকে কষ্ট দিলে ক্ষমা করবেন ৷ আর আজকের পর্ব কেমন লাগলো বলবেন ৷ ধন্যবাদ❤)