Your_love_is_my_Addiction পর্ব ৯

#Your_love_is_my_Addiction
#Season_2
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৯
.
আয়াশের ঘুম ভাঙতেই সে পাশে তাকিয়ে ইচ্ছেকে না দেখতে পেয়ে উঠে বসলো। রাতের কথা মনে পড়তেই হেসে ফেললো সে। ঘড়িতে সময় দেখে নিয়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। এদিকে ইচ্ছে কলেজে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিলো। সে দেখে এসেছে আয়াশ ঘুমোচ্ছে। আয়াশের ঘুম ভাঙার আগেই সে বাড়ি থেকে বের হতে চায়। নাহলে আজও তাকে জোর করে ধরে সেই জঘন্য খাবারগুলো খাওয়াবে আয়াশ। ইচ্ছে রুমের দরজা খুলে উঁকি দিল। আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে এক দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল সে। আর একটু সামনে এগোতেই পেছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠস্বর শুনে দাঁড়িয়ে গেল ইচ্ছে। একেই বলে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যাে হয়। মুখে একটা মিথ্যে হাসি ঝুলিয়ে ভয়ে ভয়ে পেছনে ঘুরলো ইচ্ছে। আয়াশ সিঁড়ির উপরে দাঁড়িয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ইচ্ছের দিকে।
-“কোথায় যাচ্ছ?”
-“কলেজে।”
-“তোমাকে কলেজে আমি নিয়ে যাই। এই কথাটা মনে হয় তুমি ভুলে গিয়েছো।”
-“না মানে…”
-“আমি জানি তুমি কেন একা একা লুকিয়ে কলেজে যেতে চাইছিলে।”
ইচ্ছে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো আয়াশের দিকে। আয়াশ হুকুম করে বললো,
-“ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসো যাও।”
-“আমার খিদে নেই।”
-“তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি আমি?”
মাথা নাড়িয়ে না করলো ইচ্ছে। আয়াশ লিজাকে ডেকে বললো,
-“ওকে পাস্তা বানিয়ে দাও। আর আমাকে কফি দাও।”

লিজা ঘাড় নাড়িয়ে কিচেনে চলে গেল। ইচ্ছে আয়াশের পাশে বসে আছে অবাক হয়ে। লিজা চলে যেতেই খুশি হয়ে আয়াশের গালে চুমু দিয়ে বসলো ইচ্ছে। আয়াশ হতভম্ব হয়ে গেল। ইচ্ছে নিজেও হকচকিয়ে গেল। আসলে আজকে পাস্তার কথা শুনে একটু বেশিই খুশি হয়ে গেছে ইচ্ছে। ভয় পেয়ে চোখ বড় বড় করে এক আঙুল মুখে ঢুকিয়ে নখ কামড়াতে লাগলো সে। আয়াশ আড়চোখে ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে তার অবস্থা দেখে মুখ টিপে হাসলো। তারপর সে নিজেও ইচ্ছের দিকে ঝুঁকে ওর কপালে আলতো চুমু দিয়ে সোজা হয়ে বসলো।
-“এটা কী হলো?”
-“কোনটা?”
-“আপনি আমার কপালে চুমু দিলেন কেন?”
-“তুমি আগে আমার গালে চুমু দিলে কেন সেটা বলো?”
-“আমি তো…”
-“আমি এখনো ভাবতে পারছি না একটা মানুষ চুমু খেতে খেতে কীভাবে ঘুমোতে পারে?”

পানি পান করছিল ইচ্ছে আয়াশের কথা শুনে বিষম খেলো সে। কাশতে কাশতে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গিয়েছে তার। আয়াশ রাগী দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। কিছুটা স্বাভাবিক হতেই হুংকার দিয়ে উঠলো আয়াশ।
-“দেখে শুনে কিছু করতে পারো না তুমি? সব সময় কেন গন্ডগোল করো?”
মাথা নিচু রেখে মন খারাপ করে ইচ্ছে বললো,
-“স্যরি।”
দীর্ঘশ্বাস ফেললো আয়াশ। ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে আলতো করে তার চুলের মুঠি ধরে মুখ উঁচু করে নিজের কাছে এনে বললো,
-“আমি তোমার কোনো কষ্ট সহ্য করতে পারি না। এই কথাটা জেনেও কেন তুমি বেখেয়ালি হয়ে নিজেকে কষ্ট দাও? আর কোনোদিন যদি তোমার বেখেয়ালিপনা দেখেছি তাহলে খবর আছে তোমার।”

আলতোভাবে ইচ্ছের গালে কামড় দিয়ে তাকে ছেড়ে দিল আয়াশ। অবাক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আয়াশের দিকে তাকিয়ে রইলো সে। পরক্ষণেই কিছু একটা ভেবে মাথা নিচু করে মিনমিনে গলায় বললো,
-“আমি চেষ্টা করব নিজের খেয়াল রাখার। ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো নিজেকে কষ্ট দিব না।”
এ কথা শুনে তৎক্ষনাৎ ইচ্ছের দিকে তাকালো আয়াশ। নিঃশব্দে হাসলো সে। ইচ্ছের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
-“কথাটা যেন মনে থাকে।”

মাথা নাড়িয়ে সম্মতি প্রদান করলো ইচ্ছে। লিজা খাবার নিয়ে আসতেই ইচ্ছে আজকে কোনো প্রকার অনীহা না দেখিয়ে পাস্তা খেতে শুরু করলো। আয়াশ কফি খেতে খেতে ম্যাগাজিন দেখছিল। ইচ্ছে পাস্তা খেতে খেতে আড়চোখে আয়াশকে পর্যবেক্ষণ করছিল। হঠাৎ আয়াশের হাতে থাকা ম্যাগাজিনের একটা ছবিতে নজর পড়লো তার। শোভন জামিল রায়হান! আয়াশের চেহারার অভিব্যক্তি কী তা দেখার জন্য আয়াশের দিকে তাকালে দেখে আয়াশ একদম শান্ত আর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাগাজিন পড়ছে। ভ্রু কুঁচকালো ইচ্ছে। শোভনের সাথে শত্রুতা থাকলে অবশ্যই আয়াশের মুখে রাগ অথবা তাচ্ছিল্যের হাসি থাকতো। কিন্তু এমন কিছুই আয়াশের অভিব্যক্তি দেখে বোঝা যাচ্ছে না। এর মানে কী? চিন্তা করতে লাগলো ইচ্ছে।
গাড়ি কলেজের সামনে এসে থামতেই আয়াশের দিকে ঘুরে বসলো ইচ্ছে। আয়াশ হাসলো। কারণ এই ক’দিনে তার আচরণের সাথে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে ইচ্ছে। ইচ্ছে রাসেলের দিকে তাকিয়ে দেখে ইতোমধ্যে সে কানে ইয়ারফোন গুঁজে চোখে স্লিপিং মাস্ক পড়ে সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে। না চাইতেও ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
আয়াশ ইচ্ছেকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে এলো। ইচ্ছের কাঁধে নাক ঘঁষে আলতো করে কয়েকটা চুমু দিয়ে একটা গাঢ় চুমু খেলো। ঠোঁটে আলতো চুমু খেয়ে সরে এলো আয়াশ। আয়াশের দিকে তাকিয়ে তার চোখে চোখ রেখে ইচ্ছে বললো,
-“এত কাছে কেন আসেন আমার?”.
-“আমার ইচ্ছা।”
-“আপনার ইচ্ছা আপনি অন্য কারও উপরে ফলান। আমার উপরেই কেন?”
ইচ্ছের কথা শুনে রেগে গেল আয়াশ। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
-“যাও এখান থেকে।”
-“না যাব কেন? আপনি আগে আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিন। কেন এত কাছে আসেন? যদি শুধু ইচ্ছেই হয়ে থাকে তাহলে অন্য মেয়ের কাছে গিয়ে নিজের ইচ্ছে কেন পূরণ করেন না? আমার কাছেই কেন আসতে হবে?”
-“ইডিয়ট! বের হও গাড়ি থেকে। এক্ষুণি বের হও।”
আয়াশের চিৎকার শুনে কেঁপে উঠলো ইচ্ছে। ভয়ে ভয়ে গাড়ির দরজা খুলে বের হলো সে। মুহিব ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“ভয় পাচ্ছ কেন?”
ইচ্ছেকে প্রশ্নটা করে আয়াশের দিকে তাকালো মুহিব। কাঁদো কাঁদো চোখে আয়াশের দিকে তাকিয়ে ইচ্ছে মুহিবকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-“তোমার ভাই একটা হার্টলেস লোক। কারও ফিলিংস এর কোনো দাম নেই উনার কাছে।”

ইচ্ছের গলা শুনে মনে হচ্ছে সে এখুনি কেঁদে দিবে। মুহিব কিছু বলতে গেলে ইচ্ছে তাকে কিছুই বলার সুযোগ দিল না। হনহনিয়ে কলেজের ভেতরে চলে গেল। মুহিব পেছন থেকে বেশ কয়েকবার ডাকলো ইচ্ছেকে, কিন্তু তার ডাকে সাড়া দিল না ইচ্ছে। আয়াশ একধ্যানে তাকিয়ে রইলো ইচ্ছের যাওয়ার দিকে। মুহিব তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“কী হয়েছে ভাই? ইচ্ছে তো প্রায় কেঁদেই ফেলছিল।”
-“একটু জোরে ধমক দিয়েছিলাম।”
-“ভাই তুমিও না…. কেন ধমক দিতে গেলে ওকে? ও কেমন তুমি জানো না! তাছাড়া ও কী করেছিল যে তুমি ওকে বকা দিয়েছো?”
-“ওসব কথা ছাড়। আজকে ওর ক্লাস শেষ হবে কখন?”
-“একটা ক্লাসই আছে আজকে। তাও ওটা জরুরি না।”
-“তার মানে ক্লাস না করলেও চলবে?”
-“হ্যা। কেন তুমি কী এখন ওকে নিতে যাবে?”
-“হুম।”

ক্লাসে না গিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল ইচ্ছে। ব্যাগ থেকে শোভনের দেওয়া ফোনটা বের করে শোভনের নম্বরে কল দিল সে। নিজের নম্বরটা শোভন “SJR” লিখে সেভ করে দিয়েছে ইচ্ছের ফোনে। কল রিসিভ করে ওপাশ থেকে শোভন বললো,
-“হ্যাল্লো মিস! কেমন আছেন?”
-“ভালো। তার আগে আপনি বলুন তো আপনি আমায় একবার আপনি একবার তুমি করে কেন বলেন?”
-“ভালো লাগে তাই। এনিওয়ে এসব কথা ছাড়ো। আগে বলো তোমার আর আয়াশের কী খবর? মানে তুমি কি প্ল্যান মতো কাজ শুরু করেছো?”
-“হ্যা গতকাল থেকেই শুরু করে দিয়েছি।”
-“ভেরি গুড। বাই দ্যা ওয়ে, আয়াশ সন্দেহ করে নি তো তোমাকে?”
-“একদম না। আসলেই সে আমার প্রতি দূর্বল। তা আমি এতদিনে বুঝতে পেরেছি। আর সেটাই কাজে লাগিয়েছি আমি।”
-“ইম্প্রেসিভ। তুমি আসলেই অনেক সাহসী। নাহলে আয়াশ খানের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার কথা তো কেউ ভাবতেও পারে না। আফটার অল জীবন-মরণের ব্যাপার।”
-“ওই জঘন্য লোকটার সাথে থাকার চেয়ে তো মরে যাওয়াই ভালো। কিন্তু এমনি এমনি মরবো না আমি। ওকে ধ্বংস করব আগে তারপর যদি মৃত্যু কপালে লেখা থাকে তাহলে মরবো।”
-“ওহ ডিয়ার কুল! এত হাইপার হওয়ার কিছুই নেই। কিচ্ছু হবে না তোমার। আমি আছি তো!”
-“যাই হোক এখন আমি রাখছি। আসলে রাগ দেখিয়ে বেরিয়ে এসেছি আয়াশের গাড়ি থেকে। মুহিব হয়তো ক্লাসে আমায় খুঁজছে। তাই এখন রাখছি।”
-“ঠিক আছে। বেস্ট অফ লাক আর ভয় পাবে না একদম।”
-“হুম।”

কল কেটে দিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো ইচ্ছে। মনে মনে বললো, ‘এখন থেকে তুমি আমার ইশারায় নাচবে আয়াশ খান।’ ব্যাগ থেকে গ্লিসারিনের বোতলটা বের করে একফোঁটা একফোঁটা করে দু’চোখে লাগিয়ে নিলো। প্রথম কিছুক্ষণ প্রচন্ড জ্বললেও পরে ঠিক হয়ে গেল। চোখে-মুখে পানি দিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে চোখ দু’টো লাল টকটকে হয়ে আছে। তা দেখে হাসলো ইচ্ছে। মনে মনে বললো, ‘পারফেক্ট।’ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে আয়াশের মুখটা লাল হয়ে আছে রাগে। হয়তো তাকে ক্লাসে খুঁজে পায় নি বলে। ইচ্ছে মাথানিচু করে ক্লাসরুমের সামনে গিয়ে ভেতরে ঢুকতে গেলে পেছন থেকে তার হাতে টান পড়লো। সে বুঝতে পারলো আয়াশ করেছে কাজটা।
-“কোথায় ছিলে তুমি? কখন থেকে এখানে অপেক্ষা করছি অথচ তোমার কোনো খোঁজ খবর নেই। বলো কোথায় ছিলে তুমি?”

আয়াশের চিৎকারে কেঁপে উঠলো ইচ্ছে। সত্যি কথা বলতে গেলে আশকে সে প্রচন্ড ভয় পায়। কিন্তু তাও অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এই ধ্বংসের খেলায় নেমেছে সে। এখানে একজন না একজনের ধ্বংস অনিবার্য। হয় আয়াশ মরবে আর নয়তো ইচ্ছে মরবে। ইচ্ছে ছলছল চোখে আয়াশের চোখের দিকে তাকাতেই আয়াশ একদম শান্ত হয়ে গেল। ইচ্ছের চোখ দু’টো লাল হয়ে পানি জমে আছে। তার মুখে পানি আর হাতও ভেজা। আয়াশের বুঝতে বাকি রইলো না যে ইচ্ছে ওয়াশরুমে গিয়ে কান্না করছিল এতক্ষণ। সামান্য একটা ধমকে মেয়েটার এই অবস্থা? ভেবে নিজ মনেই হাসলো আয়াশ। আবার খারাপও লাগলো ইচ্ছের চোখে জল দেখে। কোনো কথা না বলে ইচ্ছের হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো সে। ইচ্ছেও কোনো প্রশ্ন করলো না। ইচ্ছের মুখে একটা হাসি ফুটে উঠলো একহাত দিয়ে চোখে জল মুছে আয়াশের দিকে তাকিয়ে রইলো।
ইচ্ছেকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে আয়াশ নিজেও গাড়িতে উঠে বসলো। রাসেলের এখনো কোনো খবর নেই। সে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে এই দুনিয়ায় কী হচ্ছে না হচ্ছে সব ভুলে বসে আছে। এতক্ষণ ঘটে যাওয়া একটা ঘটনাও সে শোনেনি আর দেখেওনি। মনের সুখে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেছে সে।
মাথানিচু করে গাড়ির একপাশের দরজার সাথে মিশে বসে আছে ইচ্ছে। তা দেখে আয়াশ বুঝতে পারলো ভয় পাওয়ার সাথে সাথে অনেকটা কষ্টও পেয়েছে মেয়েটা। ইচ্ছে যে এখনো তাকে পছন্দ করে তা এই মুহূর্তে সে নিশ্চিত। আয়াশের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। সে ইচ্ছেকে টেনে নিজের কোলে এনে বসালো। ইচ্ছের মুখের সামনে পড়ে থাকা চুলগুলো একহাতে কানের পেছনে গুঁজে দিল সে। ইচ্ছের মাথাটা নিজের বুকে রেখে বললো,
-“স্যরি। আসলে তখন তোমার কথায় প্রচন্ড হার্ট হয়েছিলাম আমি। তাই তোমাকে ধমক দিয়েছিলাম।”

ইচ্ছে মনে মনে প্রচুর হাসলো। কিন্তু এই মুহূর্তে হাসলে চলবে না। নাহলে আয়াশ বুঝে যাবে যে কিছু একটা ঘাপলা অবশ্যই আছে। আয়াশের কথার জবাবে চুপ করে রইলো ইচ্ছে। তার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে তার কপালে চুমু খেলো আয়াশ। ইচ্ছে চুপচাপ আয়াশের বুকে মাথা রেখে একহাতে আয়াশের শার্টের বোতাম নিয়ে খেলতে লাগলো। তা দেখে মুচকি হাসলো আয়াশ। ইচ্ছেকে নিজের বুকের উপর থেকে সরিয়ে তার দু’গালে আলতো করে হাত রেখে ইচ্ছে চোখে চোখ রেখে আয়াশ বললো,
-“তখন জিজ্ঞেস করেছিলে না আমি কেন তোমার এত কাছে আসি?”
কথাটা শুনে আয়াশের চোখের দিকে তাকালো ইচ্ছে। তৎক্ষনাৎ ইচ্ছের ঠোঁটে আলতো চুমু খেয়ে আয়াশ বললো,
-“আমি অন্য কোনো মেয়ের কাছে না গিয়ে শুধু তোমার কাছে আসি কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। আই লাভ ইউ ইচ্ছেময়ী।”

এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল ইচ্ছে। তার শরীরে শিহরণ বয়ে গেল। তার মনে কী যেন হলো। কিছু বলতে পারছিল না সে। আয়াশের চোখ থেকে তৎক্ষনাৎ নিজের চোখ সরিয়ে নিলো ইচ্ছে। এই চোখজোড়ায় অসম্ভব মায়া রয়েছে। এই চোখের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে নিজের লক্ষ্য কোনোদিন পূরণ করতে পারবে না সে। মিনিট খানেক চুপ থেকে মনে মনে কিছু একটা ভেবে আয়াশের দিকে তাকিয়ে ইচ্ছে বললো,
-“বিয়ে করতে পারবেন আমাকে?”

চলবে….

“ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here