#Your_love_is_my_Addiction
#Season_2
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৪
.
এই সম্পূর্ণ কলেজে কোনো ফ্রেন্ড নেই ইচ্ছের। মূলত ও ইচ্ছে করেই কোনো ফ্রেন্ড বানায়নি। সবসময় একা থাকতেই পছন্দ করতো। কিন্তু হঠাৎ একদিন ক্লাসে রুজাইনার সাথে ওর দেখা হয়। আর রুজাইনার ব্যবহার, চালচলন সবকিছু হুবুহু ওর মতো ছিল বলে কীভাবে কীভাবে যেন রুজাইনার সাথে ওর বন্ধুত্ব হয়ে গেছিল। রুজাইনাকে নিজের বোনের মতো মনে করতো ইচ্ছে। যেকোনো জায়গায় গেলে রুজাইনাকে ছাড়া যেতো না সে। সবসময় দু’জনে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত মাতিয়ে রাখতো। কিন্তু সেই রুজাইনাকেই আয়াশ মেরে ফেলেছে ওর চোখের সামনে। আয়াশকে ঘৃণা করার সবথেকে বড় কারণ এটাই। রুজাইনার পর রায়ানের সাথে সবমাত্র ক্লোজ হওয়া শুরু করেছিল ইচ্ছে। কিন্তু এখানেও আয়াশ এসে রায়ানকে জঘন্যভাবে মেরে হসপিটালে পাঠিয়ে দিল।
সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে ইচ্ছের রাস্তা আটকে দাঁড়ালো কলেজের কিছু সিনিয়র ছেলেরা। খানিকটা ভরকে গেল ইচ্ছে। মাত্রই ক্লাস শেষ করে বেরিয়েছে ও। আর হঠাৎ এভাবে কলেজের সিনিয়ররা ওর পথ আটকে দাঁড়াবে ভাবতেও পারেনি। শুঁকনো দুটো ঢোক গিলে নিলো ইচ্ছে।
-“আপনারা আমার পথ আটকে কেন দাঁড়িয়েছেন?”
-“তোমাকে তো ইদানিং দেখাই যায় না কলেজে। কোথায় থাকো তুমি?”
-“একটু ব্যস্ত ছিলাম। কেন কোনো দরকার ছিল!”
-“শুনলাম তোমার বয়ফ্রেন্ড রায়ান নাকি হসপিটালে! কে যে ইচ্ছেমতো মেরেছে বেচারাটাকে।”
-“হয়তো কোনো গুন্ডারা পিটিয়েছে।”
-“তার মানে এখন তোমাকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ নেই? আহারে! থাক মন খারাপ করো না। আমরা তো আছি! আমরা তোমাকে সঙ্গ দিব।”
ওদের ভেতরে একজন ইচ্ছের কাঁধে হাত রাখতেই চমকে উঠলো ইচ্ছে। দূরে সরে যেতে গেলে পেছন থেকে আরও একজন ছেলে এসে ওর হাত ধরে ফেললো। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল ইচ্ছের। ও এখন সম্পূর্ণভাবে বন্দী হয়ে আছে ছেলেগুলোর মাঝে। আশেপাশে দাঁড়িয়ে অনেক স্টুডেন্ট আর টিচাররাও এই দৃশ্য দেখছে। কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। ইচ্ছে চিল্লাচ্ছে আর হাত-পা ছুড়ছে সমানে ছাড়া পাওয়ার জন্য। কিন্তু লাভ হচ্ছে না কোনো। একজন ছেলে ইচ্ছের বুকে হাত রাখতে গেলে চোখ বন্ধ করে কেঁদে দিল ইচ্ছে। ছেলেটার হাত ইচ্ছের কাছে পৌঁছানোর আগেই কেউ একজন কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করলো ছেলেটার হাতে। কাঁচ ভাঙার শব্দে চোখ মেললো ইচ্ছে। মুহিবকে দেখে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো সে। ছেলেগুলো মুহিবের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো।
-“এই কে রে তুই? আমাদের কলেজের বলে তো মনে হচ্ছে না। তাহলে কোন সাহসে তুই কাঁচের বোতলটা ভাঙলি ওর হাতে?”
-“ওয়েল… মুহিব খানের সাহস বরাবরই একটু বেশি। কিন্তু তোদের সাহস দেখে তো আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। একটা মেয়েকে জনসম্মুখে দাঁড়িয়ে হ্যারাস করছিস তোরা! লজ্জা করে না এসব করতে?”
-“আমাদের যা মন চায় করব। তুই ফুট এখান থেকে। নাহলে জান নিয়ে ফিরে যেতে পারবি না।”
-“যাবো তো আমি অবশ্যই। তবে একা নয়। ইচ্ছেকেও সাথে নিয়ে যাবো।”
-“বাহ্! এই মেয়ে তো দেখি সেই চিজ। কয়টা ছেলেরে চালায় একসাথে? আগে তো রায়ান ছিল। এখন দেখি আরও একজন আছে। তাহলে আমরা কী দোষ করেছি? আমাদেরও একটা সুযোগ দেওয়া উচিৎ।”
কথাগুলো বলেই ছেলেগুলো একসাথে হেসে উঠলো। মুহিব এবার রেগে গেল। চোয়াল জোড়া শক্ত হয়ে গেছে ওর। একটা ছেলে মুহিবের কাঁধে হাত রেখে বললো,
-“চল তোকেও চান্স দিলাম। আমরা সবাই মিলে একসাথে মালটাকে খাবো।”
কথাটা বলতে দেরি ছেলেটার মুখে ঘুষি মারতে দেরি হয়নি মুহিবের। বাকি ছেলেরা ভরকে গেল মুহিবের কাজে। ওরা তেড়ে আসতে গেলে মুহিব চুটকি বাজালো। প্রায় সাথে সাথেই চারপাশ থেকে গার্ডরা এসে ঘিরে ধরলো ছেলেগুলোকে। প্রত্যেকটা গার্ডদের হাতে গান রয়েছে। গান দেখে থেমে গেল ছেলেগুলো। ভয় পেয়ে গেল ওরা। মুহিব কিছু না বলে ফোন বের করে একটা নম্বরে কল দিয়ে এখানে ঘটে যাওয়া পুরো ব্যাপারটা বললো। ওপাশ থেকে কোনো আওয়াজ এলো না। শুধু ফোনটা খট করে কেটে দিল। ইচ্ছে মুহিবের কাছে এসে বললো,
-“আয়াশকে এসব জানানোর কোনো দরকার নেই। নাহলে খামোখা অতিরিক্ত ঝামেলা করবেন উনি।”
-“স্যরি ইচ্ছে ডার্লিং। আমি তো অলরেডি ভাইকে জানিয়ে দিয়েছি। অ্যান্ড আই থিংক হি ইজ কামিং। বেশি না! ঘড়ি দেখে জাস্ট দুই মিনিট অপেক্ষা করো। ভাই এর মধ্যেই এসে পড়বে আ’ম সিয়্যর।”
চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস ফেলে ছেলেগুলোর দিকে তাকালো ইচ্ছে। করুণা হচ্ছে ওর এই ছেলেগুলোর উপরে। এদের হাত-পা সুস্থসবল থাকবে বলে মনে হচ্ছে না ওর। আয়াশ জীবনেও ছাড়বে না ওদের।
ঘড়ি ধরে ঠিক দুই মিনিটের মাথায় আয়াশ এসে পৌঁছালো কলেজে। আশেপাশের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। গ্যাংস্টার আয়াশ খানকে চিনে না, এমন মানুষ এই ব্যাঙ্গালোর শহরে খুব কমই আছে। আয়াশ খানকে সবাই এক নামে চিনে। নামও বলতে হয় না, শুধু ব্যাঙ্গালোর শহরের কিং বললেই সবাই চিনে ফেলে ওকে। আয়াশ কলেজে ঢুকতেই মুহিব গার্ডদের বলে মাঠে পাঠিয়ে দিল ছেলেগুলোকে।
স্বয়ং আয়াশ খানকে নিজেদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মাত্রাতিরিক্ত ভয় পেয়ে গেল ছেলেগুলো। আশেপাশের সকলেও কিছুটা ভয়ে আছে। যতটা অবাক হয়েছে, ঠিক ততটাই ভয়ে আছে সকলে আয়াশকে দেখে। ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে সানগ্লাসটা খুলে ফেললো আয়াশ। ছেলেগুলোর দিকে একবার তাকিয়ে আবারও ইচ্ছের দিকে তাকালো। বাম হাত কিছুটা লাল হয়ে আছে ইচ্ছের, যা নজর এড়ালো না আয়াশের। ও ইশারায় ইচ্ছেকে নিজের কাছে ডাকলো। কিন্তু ইচ্ছে এক পা-ও নড়লো না নিজের জায়গা থেকে।
-“আই সেইড কাম হিয়ার রাইট নাউ।”
আয়াশের শান্ত কণ্ঠের ধমকে ইচ্ছে কেঁপে উঠলো। দ্রুত পা চালিয়ে এগিয়ে এলো। ইচ্ছের হাত ধরে দেখে নিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো ছেলেগুলোর দিকে।
-“তোরা কার দিকে হাত বাড়িয়েছিস তোরা জানিস! আয়াশ খানের জানের দিকে। আমার ইচ্ছেময়ীর দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস কী করে হলো তোদের? আজকে যদি তোদের সবকটাকে আমি জ্যন্ত মাটিতে পুঁতে না ফেলেছি তবে আমার নামও আয়াশ খান নয়। আয়াশ খানের জিনিসের দিকে নজর দেওয়া আয়াশ খান একদম পছন্দ করে না। সেখানে তো তোরা ওকে ব্যথা দিয়েছিস। এর ফল তোরা আজ হারে হারে টের পাবি।”
আয়াশের গম্ভীর কণ্ঠের চিৎকারে আশেপাশের সকলে তটস্থ হয়ে গেছে। মুহিব বুঝতে পারছে এই ছেলেগুলোর বেঁচে থাকার চান্স খুবই কম। আয়াশ প্রায় সাথে সাথেই নিজের গান বের করে পর পর চারজনকেই গুলি করে দিল। ইচ্ছে বিস্ফোরিত চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে চিৎকার করে উঠলো। মুহিব এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবার দিকে তাকালো। সবাই ভয়ে কাঁপছে। আয়াশ সকলের দিকে নিজের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই যে যার মতো কেটে পড়লো ওখান থেকে।
-“গার্ডস! এই আবর্জনাগুলোকে নিয়ে যাও এখান থেকে।”
গার্ডরা আয়াশের কথা মতো লাশগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে গেল। ইচ্ছের চোখ থেকে সমানে পানি গড়িয়ে পড়ছে। গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না তার। স্তব্ধ হয়ে গেছে একদম। আয়াশ ইচ্ছের হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। মুহিব আয়াশের পাশে এসে দাঁড়াতেই আয়াশ কী যেন বললো তাকে। মুহিব চমকে উঠলো। ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে আবারও বিস্ফোরিত চোখে ভাইয়ের দিকে তাকালো মুহিব। আয়াশ মুহিবকে আরও কিছু বলে গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়ি নিজে ড্রাইভ করছে আয়াশ। পাশেই ইচ্ছে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে এখনো। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেছন থেকে মুহিব তাকিয়ে আছে আয়াশের গাড়ির দিকে।
বাসার সামনে গাড়ি থামিয়ে ইচ্ছেকে গাড়ি থেকে নামতে বললে নামে না ইচ্ছে। সে এখনো তার নিজের মাঝে নেই। চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে সেই চারজন ছেলের মৃতদেহের প্রতিচ্ছবি। তার আশেপাশে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেদিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই তার। আয়াশ প্রচন্ড বিরক্ত হলো ইচ্ছের এরূপ আচরণে। হাত ধরে টেনে গাড়ি থেকে বের করলো ইচ্ছেকে। আর কথা না বাড়িয়ে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলো তাকে। আয়াশ ইচ্ছেকে কোলে নিয়ে বাসার ভেতরে ঢুকলে আশেপাশের সকল সার্ভেন্টরা চোখ বড় বড় করে তাকালো ওদের দিকে। ওসবে পাত্তা দিল না আয়াশ। রুমে গিয়ে বেডে বসিয়ে দিল ইচ্ছেকে। ও বুঝতে পারছে ইচ্ছে একটা শক পেয়েছে। তাই এরকম ব্যবহার করছে। আয়াশ গ্লাস ভরতি পানি এনে ইচ্ছের মুখের কাছে ধরে কিছুটা জোর করেই খাইয়ে দিল তাকে।
পানি খেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ইচ্ছে আয়াশের দিকে তাকিয়ে তার চোখে চোখ রাখে। জলে টলমল করছে ইচ্ছের চোখ। একরাশ ঘৃণা নিয়ে তাকিয়ে আছে সে আয়াশের দিকে। এই চোখের ভাষা পড়তে সময় লাগলো না আয়াশের। সে নিজেও জানে প্রতিনিয়ত সে নিজেকে ঘৃণা করার জন্য নতুন নতুন কারণ তৈরি করে দিচ্ছে তার ইচ্ছেময়ীকে। কিন্তু ওর হাতে কিছুই নেই। ও যা করছে তাতে কোনো ভুল নেই; বরং ইচ্ছেই ভুল ভাবছে। এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারও ইচ্ছের চোখের দিকে তাকাতেই ইচ্ছে বললো,
-“আমি আমার জীবনে যদি সবথেকে বেশি কাউকে ঘৃণা করে থাকি তবে সে হলেন আপনি। আপনাকে ভালো লাগার কোনো কারণ না দিলেও, ঘৃণা করার হাজারটা কারণ তৈরি করে দেন আপনি নিজে। আয়াশ আপনি জানেন এই মুহূর্তে আমার নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে! আমার ভাবতেও ঘৃণা লাগছে যে কোনো এক সময় আপনার ব্যাপারে কিছু না জেনেই আপনাকে পছন্দ করেছিলাম। আপনি কারও পছন্দের মানুষ হওয়ার যোগ্য না। আই হেইট ইউ আয়াশ খান। আই রিয়্যালি হেইট ইউ।”
চোখ থেকে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে ইচ্ছের। আয়াশ থমকে গেছে ইচ্ছের কথা শুনে। কোনো এক সময় তাকে পছন্দ করতো তার ইচ্ছেময়ী আর সে তা জানতোও না এতদিনে। তবে ইচ্ছের বাকি কথাগুলো শুনে চোখে জল জমে গেল তার। ইচ্ছে কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎ করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো। ভয় পেয়ে গেল আয়াশ। সে বুঝতে পারলো শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছের। তাড়াতাড়ি আবারও কষ্ট করে একটু পানি খাইয়ে দিয়ে ইচ্ছেকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো। বারবার করে তাকে কান্না থামাতে বলছে আয়াশ। কিন্তু চেয়েও ইচ্ছে নিজের কান্না থামাতে পারছে না। এক সময়ে আর না পেরে ঢলে পড়লো আয়াশের বুকে। ইচ্ছের গালে হাতে রেখে কয়েকবার ডাকলেও কোনো সাড়া পায় না। ইচ্ছেকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে গায়ে পাতলা কম্বলটা টেনে দিয়ে ডক্টরকে কল দিল আয়াশ।
একটু আগেই ডক্টর এসে দেখে গিয়েছে ইচ্ছেকে। কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে গেছেন তিনি। আর টোটালি কোনো প্রকার স্ট্রেস দিতে নিষেধ করেছেন ইচ্ছেকে। মানসিকভাবে অনেক দূর্বল সে এখন। এই মুহূর্তে যদি বারবার ইচ্ছেকে মেন্টালি স্ট্রেস দেওয়া হয় তাহলে তার ব্রেইন স্ট্রোক করার সম্ভাবনা আছে। আয়াশকে সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন ডক্টর।
বর্তমানে ইচ্ছের পাশে ওর হাত ধরে বসে আছে আয়াশ। চোখের কোণে জল জমে আছে তার। বারবার তার কানে ইচ্ছের বলা ‘আয়াশ আপনি জানেন এই মুহূর্তে আমার নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে! আমার ভাবতেও ঘৃণা লাগছে যে কোনো এক সময় আপনার ব্যাপারে কিছু না জেনেই আপনাকে পছন্দ করেছিলাম। আপনি কারও পছন্দের মানুষ হওয়ার যোগ্য না। আই হেইট ইউ আয়াশ খান। আই রিয়্যালি হেইট ইউ।’ কথাগুলো বাজছে। তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করছে আয়াশ। ইচ্ছের বলা ‘আই হেইট ইউ’ কথাটায় এমন কী ছিল যা শুনে তার ভেতরটা এখনো জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে?
চলবে….