বদ্ধ অন্ধকার রুমের এক কোণে গুটি-শুটি হয়ে শুয়ে আছে ইচ্ছে। হাত দু’টো পেছন দিকে বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। পা দুটোও বাঁধা। কাঁদতে কাঁদতে সম্পূর্ণ চোখ-মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ আগেই কান্নার ফলে আর সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে মাথা অসম্ভব ব্যাথা করার কারণে ঘুমিয়ে গেছে সে। চোখের পাপড়িতে এখনো মুক্তোর মতো পানিগুলো চিকচিক করছে। চোখের পানিতে গাল দুটো এখনো ভেজা।
রুমের দরজা খুলে ঘুমন্ত ইচ্ছের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে পাশের টেবিলের দিকে তাকাতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল আয়াশের। রেগে ইচ্ছের কাছে যেয়ে ওর ডান হাতের বাহু ধরে টান দিয়ে বসিয়ে দিল। ঘুমের ভেতরে আচমকা এমনটা হওয়ায় প্রচুর ভয় পেয়ে গেল ইচ্ছে। ভয়ে চোখ না খুলেই জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো ও। তা দেখে আয়াশ চুপ করে রইলো। ইচ্ছে চোখ পিটপিট করে খুলে নিজের সামনে আয়াশকে বসে থাকতে দেখে ঢোক গিলে নিলো। আয়াশ এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে থেকে ঝাঁঝালো গলায় বললো,
-“খাবার খাও নি কেন তুমি?”
ইচ্ছে কোনো উত্তর দিল না। আয়াশ এবার গলার জোর একটু বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করতেই ইচ্ছে ভয়ে ভয়ে বললো,
-“কী..কীভাবে খাবো আমি? আমার হাত-পা দুটোই তো আপনি বেঁধে রেখেছেন।”
আয়াশ নিজের ভুল বুঝতে পেরে বললো,
-“আ’ম স্যরি। আমার খেয়াল ছিল না।”
ছলছল চোখে আয়াশের দিকে তাকিয়ে ইচ্ছে বললো,
-“একটু পানি দিবেন! সকাল থেকে একফোঁটা পানিও খেতে পারিনি। গলা শুঁকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে আর একটু হলেই আমি মরে যাবো।”
ইচ্ছের কথা শুনে আয়াশ দাঁতে দাঁত চেপে চোখে একরাশ রাগ নিয়ে তাকালো ইচ্ছের দিকে। মুহূর্তেই চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করে টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে ইচ্ছের মুখের সামনে ধরতেই ইচ্ছে কথা না বাড়িয়ে পানিটা খেয়ে নিলো। পানির গ্লাস রেখে হাত ধুয়ে এসে নিজ হাতে ইচ্ছেকে খাইয়ে দিল আয়াশ। ইচ্ছেও চুপচাপ খেয়ে নিলো। কেন না তার ভীষণ খিদে পেয়েছিল। খাওয়ানো শেষ করে আয়াশ ইচ্ছের মুখের সামনে একটা মেডিসিন ধরলো। তা দেখে ইচ্ছে জিজ্ঞেস করলো,
-“এটা কিসের মেডিসিন?”
-“তোমার মাথা ব্যাথা করছে। এটা খেলে ব্যাথা সেড়ে যাবে।”
ইচ্ছে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-“আপনি কি করে জানলেন যে আমার মাথা ব্যাথা করছে?”
-“আমি সবই বুঝি।”
আয়াশের কথা শুনে ইচ্ছে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললো,
-“তাহলে আমাকে আটকে রেখেছেন কেন?”
গম্ভীর কণ্ঠে আয়াশ বললো,
-“দোষ করেছো বলেই আটকে রেখেছি। এবার চুপচাপ মেডিসিনটা খেয়ে নাও।”
ইচ্ছের মাথা ব্যাথা থাকায় ও আর কথা বাড়ালো না আপাতত। আয়াশ মেডিসিন খাইয়ে ইচ্ছেকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ইচ্ছের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে বললো,
-“এখন কোনো কথা না বলে ঘুমাও। আর পালানোর চেষ্টা ভুলেও করবে না। নাহলে তোমার জন্য খুব খারাপ হয়ে যাবে।”
ইচ্ছে কিছু বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই আয়াশ ওকে ধমকে উঠলো,
-“কি হলো! বললাম না ঘুমোতে? চোখ বন্ধ করছো না কেন?”
ইচ্ছে তড়িঘড়ি করে চোখ বন্ধ করে ফেললো। আয়াশ ওর দিকে কিছু সময় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে উঠে দরজা লাগিয়ে চলে গেল।
রুমে এসে একটা হুইস্কির বোতল আর গ্লাস নিয়ে বসলো আয়াশ। আজকের আকাশটা ঘন কালো মেঘে ঢাকা। ঠিক যেমনটা ওর জীবন কালো মেঘে ঢাকা। আয়াশ হুইস্কির বোতল থেকে গ্লাসে হুইস্কি ঢালতেই দরজায় কেউ টোকা দিল। আয়াশ তাকে ভেতরে আসতে বলে হুইস্কির গ্লাসটা তুলে হুইস্কি মুখে দিল। আগন্তুক ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে বললো,
-“কি ব্যাপার মুহিব! তুই এখানে কেন?”
-“ভাই একটা ঘটনা ঘটে গেছে।”
-“কি হয়েছে?”
-“আমাদের যে মালবাহী ট্রাকটা চেন্নাই যাচ্ছিল, সেই ট্রাকটাকে অর্জুনের লোকেরা হাইজ্যাক করে নিয়েছে। মালগুলো সব ওরা নিজেদের গোডাউনে নিয়ে গেছে।”
-“পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।”
-“এখন কি করব ভাই?”
আয়াশ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১২ টা ৩৯ বাজে। এক নিমিষে পুরো হুইস্কির বোতল খালি করে সোফা থেকে উঠে আলমারি খুলে নিজের গানটা লোড করে নিতে নিতে বললো,
-“চল একটু ঘুরে আসি ওদের গোডাউন থেকে। আমার বোরিং লাগছে প্রচুর। ফিলিং ঢিসুম ঢিসুম।”
মুহিব ভাইয়ের কথা শুনে বুঝতে পারলো আজ অর্জুনের কপালে শনি লেখা আছে। মুহিব মাথা নাড়িয়ে নিচে গিয়ে গার্ডদের গাড়ি রেডি করতে বললো। আয়াশ ইচ্ছের রুমের দিকে তাকিয়ে নিচে গিয়ে বাকি গার্ডদের বললো ইচ্ছের ওপর নজর রাখতে। কথাটা বলেই আয়াশ গিয়ে গাড়িতে বসলো। গাড়ি চলতে শুরু করলো অর্জুনের গোডাউনের উদ্দেশ্যে। মুহিব ওর পাশে বসে একটু পর পর আড়চোখে ওর দিকে তাকাচ্ছে। আয়াশ তা বুঝতে পেরে বললো,
-“যা জানতে চাস জিজ্ঞেস কর। এভাবে আমার চেহারার দিকে তাকাচ্ছিস কেন বারবার?”
মুহিব থতমত খেয়ে বললো,
-“না মানে… আচ্ছা ভাই, তুমি ইচ্ছেকে আটকে রেখেছো কেন?”
-“ও আমার কথার অবাধ্য হয়েছে।”
-“মানে! কী করেছে ও?”
কথাটা আয়াশের কানে পৌঁছাতেই ওর চোখ দুটো দ্বপ করে জ্বলে উঠলো। চোয়াল জোড়া শক্ত হয়ে এলো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
-“ও যা করেছে তার শাস্তি তো ওকে পেতেই হবে। ওর সাহস কত বড় ও আমার! এই আয়াশ খানের কথার অবাধ্য হয়? কাজটা একদম ঠিক করে নি ও।”
মুহিব বুঝতে পারলো এখন আয়াশকে কিছু জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। একে তো ড্রিঙ্ক করেছে, তার ওপর আবার অর্জুনের দেওয়া টেনশন এর মধ্যে আবার ইচ্ছে অবাধ্য হওয়ায় আয়াশের আজ মেজাজ খারাপ। মুহিব আর কিছুই জিজ্ঞেস করলো না তার ভাইকে। আয়াশ চোখ বুঁজে শুয়ে আছে মাথা হেলিয়ে। তা দেখে এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো মুহিব।
চোখে-মুখে হালকা আলো এসে পড়তেই চোখ মেললো ইচ্ছে। জানালার পর্দাগুলো বাতাসে উড়ে সরে গিয়ে সেখান থেকে আলো এসে ওর চোখে-মুখে পড়েছে। উঠে বালিশের সাথে হেলান দিয়ে বসে ঘড়ির দিকে তাকালো। সকাল আটটা বাজতে চলেছে প্রায়। আজ তার ক্লাস আছে ভার্সিটিতে। কিন্তু এখন যেতেও পারবে না। আয়াশ তাকে যেতে দিবে না। কথাটা ভাবতেই ভীষণ কান্না পেলো ইচ্ছের। এই একটা মানুষের জন্য তার পুরো জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেছে। নিজের মন মতো করে বাঁচতে পারছে না সে। চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ার আগেই তা মুছে নিলো ইচ্ছে। আয়াশকে কিছু করার মতো বা বলার মতো ক্ষমতা তার নেই। কারণ আয়াশ এমনই একজন মানুষ যার কথায় এই পুরো বেঙ্গালোর শহর চলে।
দরজা খোলার শব্দে সেদিকে তাকায় ইচ্ছে। একজন মহিলা সার্ভেন্ট এসেছে খাবারের ট্রলি নিয়ে। এই মহিলাকে ইচ্ছে চিনে। তার নাম লিজা। লিজা খুবই অমায়িক একজন মানুষ। লিজার বয়সটা প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি। কিন্তু এখনো তাকে দেখতে চমৎকার রূপবতী লাগে ইচ্ছের কাছে। ইচ্ছে মলিন হাসলো লিজাকে দেখে। লিজাও পাল্টা হাসি দিল।
-“কেমন আছো ডিয়ার?”
-“দেখতেই তো পাচ্ছ। তোমাদের স্যার থাকতে আমি কি করে শান্তিতে থাকি বলো!”
-“এভাবে বলো না। স্যার খুবই ভালো মানুষ। শুধু তোমার ব্যাপারে একটু বেশি পজেসিভ তাই তোমার সাথে এমন করে।”
-“কেন আমি এমন কে যে আমার ব্যাপারে তার এত পজেসিভ হতে হবে! সে কেন বুঝে না তাকে আমার পছন্দ নয়। আর সবথেকে বড় কথা হলো আমার জীবনে কেউ হস্তক্ষেপ করুক তা আমার পছন্দ নয়।”
-“আচ্ছা এখন এসব কথা ছাড়ো। ফ্রেস হয়ে এসে ব্রেকফাস্ট করে নাও। নাহলে স্যার যদি এসে শুনে যে তুমি এখনো খাওনি তাহলে আবারও বকবে তোমাকে।”
-“এছাড়া আর কি পারে সে!”
ইচ্ছে রাগে-দুঃখে ওয়াশরুমে চলে গেল। ফ্রেস হয়ে চোখে-মুখে পানি দিয়ে আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে রইলো সে। আজ যদি তার আয়াশের মতো সামর্থ্য থাকতো তাহলে হয়তো তাকে এখানে এভাবে বন্দী হয়ে থাকতে হতো না। এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ওয়াশরুম থেকে তাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে বিছানায় এসে আসাম করে বসলো। খাবারের দিকে তাকিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে লিজার দিকে তাকালো ইচ্ছে। লিজা সে দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে বললো,
-“আমার কিছু করার নেই। তোমার সারাদিনের খাবারের লিস্ট স্যার নিজেই তৈরি করে দিয়েছেন। আর সেই অনুযায়ী তোমার জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করেছি আমি।”
ইচ্ছে আর কিছু বলার মতো খুঁজে পেলো না। তার কান্না পাচ্ছে ভীষণ এই খাবারগুলো দেখে। যা সে একদম সহ্য করতে পারে না। দুধ, অমলেট, ব্রেডটোস্ট আর মিক্স ফ্রুট স্যালাড দেওয়া হয়েছে ওকে খাওয়ার জন্য। বাধ্য হয়ে নাক-মুখ কুঁচকে সেগুলো খেয়ে নিলো ইচ্ছে। শেষে দুধ খেতেই তার মনে হলো গা গুলিয়ে আসছে। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে লিজাকে বললো এক টুকরো লেবু নিয়ে আসতে। লিজা এক টুকরো লেবু এনে দিতেই সেটা খেয়ে আপাতত নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে নিলো ইচ্ছে। লিজার আরো কাজ থাকায় সে আবারও দরজা লাগিয়ে খাবার ট্রলি নিয়ে চলে গেল। ইচ্ছে কি করবে ভেবে না পেয়ে উঠে গিয়ে বুকশেলফ থেকে একটা বই নিয়ে আবারও বিছানায় এসে বসে পড়লো। আপাতত এই বই পড়েই সময় কাটাবে সে।
আয়াশ বাড়িতে ঢুকেই সবার প্রথমে ইচ্ছের রুমে গেল তাকে দেখতে। রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখে ইচ্ছে ঘুমিয়ে আছে। ওর বুকের ওপর একটা বই নামানো রয়েছে। সে বই পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে গেছে। আয়াশ এসে আস্তে করে বইটা সরিয়ে পাশের টেবিলে উপর নামিয়ে রেখে দিল। পাতলা কম্বলটা নিয়ে ইচ্ছের গায়ে জড়িয়ে দিয়ে মাথা ঝুকিয়ে ইচ্ছের কপালে আলতো চুমু খেয়ে বেরিয়ে গেল সে। নিজের রুমে এসে একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে চুলগুলো মুছে বিছানায় এসে উবু হয়ে শুয়ে পড়লো। কাল সারারাত ঘুমোতে পারেনি কাজের জন্য। এখন একটা আরামের ঘুম প্রয়োজন তার। আয়াশ চোখ বন্ধ করে বাঁকা হেসে নিজে নিজেই বলে উঠলো,
-“বি রেডি মাই লাভ। তোমার জন্য আজ বিকেলে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ আছে। এরকম সারপ্রাইজ তুমি আগে কখনোই পাওনি। আমি শুধু এটাই ভাবছি, তুমি এত বড় সারপ্রাইজটা নিতে পারবে তো! নাকি অজ্ঞান হয়ে যাবে? উমম… যাক সেটা তখনকার ব্যাপার তখনই দেখা যাবে। বাট ফর নাউ আই নিড এ ডিপ স্লিপ।”
বাঁকা হেসে কিছুক্ষণের মধ্যেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল আয়াশ।
সন্ধ্যার আগ দিকে ঘুম ভেঙে গেল আয়াশের। সে আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো। ঘড়িতে সময় দেখে নিয়ে ওয়াশরুমে যেতে যেতে বাঁকা হাসলো। কালো স্যুট পড়ে তৈরি হয়ে ইচ্ছের রুমে ঢুকে দেখে ইচ্ছে উদাস মনে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। আয়াশ নিজের মুখের হাসি বজায় রেখে বললো,
-“দশ মিনিট সময় দিলাম তৈরি হয়ে নাও। আমরা বের হবো এখন। আর আমার কোনো প্রশ্ন পছন্দ নয় তা ভালো মতোই জানো তুমি। তাই কোনো কথা না বলে আমি যা বলেছি তা শুনো।”
আয়াশ একমুহূর্তও অপেক্ষা না করে বেরিয়ে গেল। ইচ্ছে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। আয়াশের কথা তার মাথার উপর দিয়ে গেছে। কিন্তু এখন যখন তাকে তৈরি হতে বলেছে তখন যদি সে কথা না শুনে তবে আয়াশ কোনো ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাতে দু’বার ভাববে না। তাই দেরি না করে আয়াশের দেওয়া সময়ের ভেতরেই সে তৈরি হয়ে বসে রইলো বিছানায়। এই রুমের বাইরে যাওয়ার অনুমতি তার নেই। রুমের দরজা আয়াশ গতকাল থেকেই বাইরে থেকে লক করে রেখেছে।
দরজা খুলে আবারও রুমে ঢুকে আয়াশ। ইচ্ছেকে তৈরি দেখে কোনো কথা না বলে তার হাত ধরে নিয়ে যায় নিজের সাথে। ইচ্ছেকে গাড়িতে বসিয়ে আয়াশ নিয়ে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ে। আয়াশের গাড়ির পেছনে রয়েছে আরো তিনটে গাড়ি। সে গাড়িতে রয়েছে তার গার্ডরা। গাড়ি চলছে তার নিজ গতিতে। ইচ্ছে বাইরে তাকিয়ে ভাবছে আর বোঝার চেষ্টা করছে আয়াশ তাকে ঠিক কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!
চলবে….
#Your_love_is_my_Addiction
#Season_2
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_১