গল্প – অতঃপর তুমি আমি
রেশমী রফিক
পর্ব – ৯
পরদিন সকালে চোখের উপর এক ফালি রোদ এসে পড়তেই নড়ে উঠল পিউ। রাতে দোলনায় বসে কান্নাকাটি করেছে। তারপর কান্না থামিয়ে বসেছিল অনেকক্ষণ। মনকে বুঝ দিয়েছে, জুনায়েদ হয়তো ওর উপর বিরক্ত, তাই এমন করছে। আবার হতে পারে, আসলেই মহাব্যস্ত জুনায়েদ। নতুন চাকরি বলে ওদিকেই সমস্ত মনোযোগ ঢেলে দিয়েছে। প্রবেশন পিরিয়ড শেষ হলে হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাছাড়া তার নিজেরও তো সামনে পরীক্ষা। এই সময়ে পড়াশুনায় কঠিন মনোযোগ দেয়া দরকার। নয়তো তিন বছরের অধ্যবসায় ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে নিমেষেই। আর জুনায়েদ যে তাতে মোটেও খুশি হবে না, এ তো জানা কথা। তার চেয়ে বরং জুনায়েদকে তার মতো থাকতে দেয়া উচিত। ওর উপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে পড়াশুনার দিকে মন দেয়া উচিত।
আড়মোড়া ভেঙ্গে দোলনায় উঠে বসল পিউ। ওকে দোলনায় ঘুমুতে দেখে নিশ্চয়ই জুনায়েদের মুডমেজাজ আরো খারাপ হয়েছে। অফিসে পৌঁছুতে দেরি হবে বলে আর চিৎকার-চেঁচামেচি করেনি। সকালবেলার এই সময়টা একদম মাপা। একটু এদিক-সেদিক হবার উপায় নেই জুনায়েদের। অ্যালার্ম বাজতেই ঘুম থেকে উঠবে, ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হবে। অফিসের জন্য জামাকাপড় পরে তৈরি হবে। এরপর নিচতলায় এসে ঝটপট নাশতা বানাবে। ঘড়ি ধরে নাশতা খেয়েই অমনি দৌঁড়ায় গাড়ির দিকে। গাড়িতে করে অফিসে যেতে পাক্কা পয়ত্রিশ মিনিট লাগে। ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক নয়টা বাজার পাঁচ মিনিট আগে অফিসে পা দেয়। এই পাঁচ মিনিট হচ্ছে রাস্তাঘাটের ব্যাকআপ টাইম। অনেক সময় ট্রাফিক থাকলে বা সিগন্যালে আটকে থাকতে হয়।
দোলনা থেকে উঠতেই পিউয়ের চোখে পড়ল, সামনে একটা কফি টেবিল। সেখানে কফির কাপ ঢেকে রাখা। তার নিচে একটা চিরকুট। সেটা টেনে হাতে নিল সে। জুনায়েদ লিখেছে, “ডাইনিং টেবিলে নাশতা রেখেছি তোমার জন্য। কফিও বানানো আছে। তুমি মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিও।” চিরকুট পড়ামাত্রই হুড়মুড় করে বাড়ির ভেতর দৌড়ে গেল পিউ। ঘড়িতে আটটা তিপ্পান্ন! তার মানে বিশ মিনিট আগেই বের হয়ে গেছে জুনায়েদ। উফফ, আরেকটু আগে ঘুম ভাঙ্গল না কেন? জুনায়েদ ওকে একবার ডাকলেই সে উঠে পড়ত। যাবার আগে কী একবার দেখা করতে পারত না?
দিনের শুরুতেই মনটা খারাপ হলো পিউয়ের। ফ্রেশ হয়ে, নাশতা সেরে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা হলো সে। সেখানে গিয়েও মন ভালো হলো না। ক্লাসে অন্যমনস্ক রইল। প্রফেসর কীসব আউড়ে গেল, কানে ঢুকলেও মাথায় ঢুকল না। ক্লাস চলাকালীন সময়ে মোবাইল ব্যবহার করা নিষেধ। তাই লুকিয়ে মেসেজ পাঠাল, “আজ বাসায় ফিরে কথা বলবা আমার সাথে। কাল রাতে বলছিলা, মনে আছে? তোমার সাথে সত্যিই কিছু কথা বলা দরকার। বেশিক্ষণ না, মাত্র আধঘন্টা হলেই চলবে। তুমি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আইসো কিন্তু। একসাথে ডিনার করব। ডিনারের পর কথা বলব। ঠিক আছে? কখন বাসায় আসবা আমাকে জানাইও”। যথারীতি কোনো রিপ্লাই এলো না। পিউ মেসেজের জন্য অপেক্ষা করল অনেকক্ষণ। কখন ফিরবে, সেই সময়টা লিখে কী একটা মেসেজও পাঠানো সম্ভব না?
দুটো ক্লাসের মাঝখানে পাঁচ মিনিটের বিরতি। তখন ওয়াশরুমে গিয়ে জুনায়েদের মোবাইলে দুই-তিনবার কল করল পিউ। ওপাশ থেকে কল রিসিভ হলো না। রিং বেজে বেজে লাইন কেটে গেল। আচমকাই একটা পরিকল্পনা চলে এলো ওর মাথায়। ক্লাস শেষ হতেই সে হুড়মুড় করে ছুটল ক্যাম্পাসের গেটের দিকে। বন্ধুবান্ধবরা সবাই মিলে একসাথে লাঞ্চ করার পরিকল্পনা করছিল। ওরা পেছন থেকে বারবার ডাকল। কিন্তু সে সাড়া না দিয়ে ঝটপট বাসে উঠে পড়ল। বাসটা জুনায়েদের অফিসের ওদিকে যায়। জুনায়েদকে এক ঝলক দেখার জন্য মনটা উচাটন হয়ে আছে। তবে ওখানে গিয়ে দেখা করবে না। জুনায়েদের কেবিনটা কাচ দিয়ে ঘেরা। অফিসে ঢুকতেই রিসিপশনের একপাশে ভিজিটরদের জন্য বসার জায়গা আছে। সেখান থেকে জুনায়েদকে সরাসরি দেখা যায়। দূর থেকে একবার দেখেই আবার চলে আসবে। জুনায়েদকে কিছুতেই জানতে দেয়া যাবে না, সে গিয়েছিল ওর অফিসে। টের পেলে ক্ষেপে বোম্ব হবে। দেখা যাবে, অফিসের স্টাফদের সামনেই ধমক দিতে শুরু করেছে। ঝাড়ি মেরে বলবে,
– তুমি এইখানে কী করো? ক্লাস নাই তোমার?
– আছে।
– তাহলে এইখানে কেন আসছ?
– এমনি।
– এমনি মানে?
– মানে তোমাকে একটু দেখতে ইচ্ছা করল।
– কেন? আমাকে হঠাৎ দেখতে ইচ্ছা করবে কেন? কখনো দেখ নাই আমাকে?
– দেখছি।
– তাহলে?
– আজকে সকালে তো দেখা হয় নাই। তুমি যাবার আগে একবার ডাকতে পারতা আমাকে।
ওই মুহূর্তে জুনায়েদের হুট করে মনে পড়বে, সে রাতের বেলায় বাগানে গিয়ে ঘুমিয়েছিল। তখন প্রসঙ্গ পালটে নতুন ঝাড়ি শুরু করবে,
– তুমি রাতের বেলা বাগানে গেছিলা কেন?
– এমনি।
– এমনি মানে? রাতের বেলায় বাগানে যাইতে হবে কেন?
– তুমি কেমন জানি করলা আমার সাথে। খুব মন খারাপ লাগতেছিল। তাই…
– তাই বাগানে গিয়ে ঘুমাইতে হবে?
– না, বাগানে গেছিলাম মন ভালো করতে। এরপর দোতলায় যাব। কিন্তু হুট করে দোলনাতেই ঘুমায় গেছি।
– এইরকম খামখেয়ালী করলে চলে না পিউ। রাতের বেলায় টেম্পারেচার ডাউন হয়। অনেক ঠান্ডা থাকে। আর তুমি দোলনায় গিয়ে ঘুমাইছ ঠান্ডা লাগাইতে।
– ঠান্ডা লাগে নাই তো। সিটিং রুম থেকে ব্ল্যাঙ্কেট নিয়ে নিছিলাম।
– এখন লাগে নাই। পরে লাগবে। ভালোমতো ঠান্ডা লাগবে। এরপর তুমি চিৎ হয়ে থাকবা আর তোমাকে নিয়ে দৌড়ানো লাগবে আমার। অফিস বাদ দিয়ে তোমার সেবাযত্ম করা লাগবে।
– তো করবা, অসুবিধা কী? বউ অসুস্থ হইলে তার সেবাযত্ম করা যাবে না, এইটা কোন হাদিসে লেখা আছে?
– হাদিসে এইটাও লেখা নাই যে, পরীক্ষার হলে গিয়ে অসুস্থ বউয়ের প্রক্সি দেয়া লাগবে। সামনে তোমার ফাইনাল এক্সাম। এর মধ্যে ঝামেলা না করলে হইতেছে না? ঠান্ডা লাগাবা, জ্বর আসবে। তারপর এক্সাম মিস দিবা! নাকি তুমি আশা করতেছ, আমি এক্সাম হলে গিয়ে তোমার এক্সামটা দিয়ে আসব। তোমার প্রফেসরকে বলব, আমার বউ অসুস্থ। তাই আমি আসছি ওর হয়ে এক্সাম দিতে!
কাল্পনিক কথোপকথন ভাবতে গিয়ে হাসি পেল পিউয়ের। একটু হাসতেই পাশের সিটে বসে থাকা প্যাসেঞ্জার অবাক হয়ে তাকাল ওর দিকে। হয়তো ভাবল, এই মেয়ের প্রবলেম কী? একাকী হাসছে কেন? পাগল-টাগল নাকি?
বাসটা এদিক-ওদিক ঘুরে এরপর ওদিকটায় যায়। কম করে হলেও একশটার উপর বাস স্টপে থামে, যার কারণে ওখানে পৌঁছুতে প্রায় ঘন্টাখানেকের মতো লাগবে। রাস্তায় ট্র্যাফিক থাকলে বা বাস ধীরে-সুস্থে চলতে থাকলে আরো দেরি হবে। মোবাইলে সময় দেখল পিউ। বাসটা যেমন গতিতে যাচ্ছে, তাতে করে কাঁটায় কাঁটায় এক ঘন্টা লাগবে। ততক্ষণে জুনায়েদের অফিসে লাঞ্চটাইম শুরু হয়ে যাবে। আর ওই সময়ে জুনায়েদ তার কেবিনে থাকে না। ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ খায়। ক্যান্টিনে যাওয়া সম্ভব না। ওখানে গেলেই ধরা পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে একটা কাজ করা যেতে পারে। জুনায়েদের অফিসে পৌঁছুতে যদি লাঞ্চটাইম হয়ে যায়, তাহলে অফিসে না ঢুকে এখানে-সেখানে ঘুরঘুর করবে। সিটি সেন্টারের মধ্যিখানে অফিসটা, একদম ব্যস্ত এলাকায়। আশপাশে দোকানপাট আছে অনেক। সেগুলোয় ঢু মারা যেতে পারে ঘন্টাখানেকের জন্য। আবার ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়েও বসতে পারে। ধীরে-সুস্থে লাঞ্চ সেরে এরপর অফিসের উদ্দেশ্যে পা বাড়াবে। ম্যাকডোনাল্ডসের পাশেই একটা কেএফসি দেখেছিল এর আগে। ওখানেও যাওয়া যেতে পারে। তবে ওটা হালাল কীনা জানা নেই। ওখানে গিয়ে কাউন্টারে জিজ্ঞেস করতে হবে। হালাল না হলে ম্যাকডোনাল্ডসই শেষ ভরসা। ম্যাকডোনাল্ডসটা হালাল না। তবে, ওখানে ভেজি ডেলি বা ভেজি বারগার, ফিশ ও ফিলে অর্ডার করা যায়। লাঞ্চটাইম শেষ হলে জুনায়েদ ফিরে যাবে তার কেবিনে। আর সেও অফিসে গিয়ে একটুখানি দেখেই আবার ফিরতি বাস ধরবে। ক্লাস ততক্ষণে শেষ। তাই সরাসরি বাসায় ফিরবে।
বাসে বসেই আপনমনে পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলল পিউ। বাসায় ফিরে জামাকাপড় পালটে জম্পেশ ঘুম দেবে একটা। এরপর বিকেল ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠে হালকা সাজুগুজু করবে, শাড়ি পরবে। শাড়ি খুব পছন্দ জুনায়েদের। শাড়ি পরলে খুব খুশি হয় সে। অফিস থেকে ফিরে ওকে শাড়ি পরা অবস্থায় দেখলে তার মন এমনিতেই ফুরফুরে থাকবে। খোশমেজাজে দুইজন একসাথে ডিনারের আয়োজন করবে। এরপর খেয়েদেয়ে কথার আসর জমাবে। কী কী বলবে, সেটাও মনে মনে ঠিক করে নিল পিউ। জুনায়েদকে বুঝাতে হবে, প্রথমদিকে সে অবুঝ ছিল। বিয়ের পর স্বামীকে চিনলেও সংসার তার মাথায় ঢোকেনি। সেটার একটা অভ্যেস রয়ে গেছে। সাথে যোগ হয়েছে পড়াশুনা। বাংলাদেশে যতই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ুক, স্কটল্যান্ডে আসার পর নতুন পরিবেশ আর নতুন স্কুলে মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। জিসিএসই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো তেমন কোনো ব্যাপার না হলেও ওর জন্য ছিল বিশাল ব্যাপার-স্যাপার। জিসিএসইর সিলেবাসে বাড়তি সাবজেক্ট আর টপিক ছিল, যেগুলো সে বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে পড়েনি। স্কুলের শিক্ষক আর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মানিয়ে নেবার ব্যাপারটা তো ছিলই। এর মধ্যে সংসারের দিকে মন দেয়া হয়নি। তাছাড়া তখন তো সংসার বলতে কিছু ছিলই না। জুনায়েদ যেখানে বাসা নিয়েছিল, ওই এলাকার স্কুলে সিট খালি ছিল না বলে দূরের একটা স্কুলে পড়তে হয়েছিল। সপ্তাহে পাঁচদিন হোস্টেলে থাকত। আর উইকেন্ডের দুইদিন জুনায়েদ আসত ওর সাথে দেখা করতে। দুইটা দিন এখানে-সেখানে ঘুরত ওরা। বাসায় তো সেভাবে যাওয়াই হয়নি কখনো। সংসার বলতে যদি কিছু থাকে তখন, সেসব জুনায়েদই সামলেছে। জিসিএসই পরীক্ষার পর কয়েক মাসের জন্য বাসায় থাকা হয়েছিল। তারপর জিইসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগল। ক্লাস শুরু হলো। তখন স্কুলটা বাসার কাছে হলেও ব্যস্ততা ছিল অনেক। বেলা তিনটায় স্কুল ছুটির পর কোচিংয়ে যেতে হতো। কোচিং শেষ করে বাসায় ফিরতে সাতটা বাজত। কোনোরকমে জামাকাপড় পালটে, ডিনার সেরেই ধুপ করে পড়ে যেত বিছানায়। সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখ মেলে তাকাবার উপায় ছিল না। পরদিন সকালে আবার স্কুল! উইকেন্ডে তখন জুনায়েদ দিনে চৌদ্দ ঘন্টা কাজ করত। দেখাই হতো না ওদের তখন!
বাসায় থিতু হতে পেরেছে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর। অনার্সের ক্লাসগুলো প্রতিদিন দুইটা কী তিনটা থাকে। বেশিরভাগই সকালের দিকে। ক্লাস শেষ করে দুপুর একটার মধ্যেই বাসায় চলে আসতে পারত। তারপর অফুরন্ত সময় থাকত হাতে। জুনায়েদ ফিরত বিকেল সাড়ে চারটায়। দুজন মিলে সমস্ত খুনসুটি করত তখন। কখনোবা এদিক-সেদিক বেড়াতে যেত। কী সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো। ঝামেলা হলো ইউনিভার্সিটির বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে। শুরুটা হয়েছে থমাসের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার দিন থেকে। ছোটখাট তর্কাতর্কি হতো, অল্পসল্প ঝগড়া হতো। একদিন সেই ছোটখাট বিষয়টা বিশাল বড় হয়ে গেল। ব্যাপারটা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াল। তারপর অনেকবার ক্ষমা চেয়েছে পিউ। জুনায়েদও ক্ষমা করেছে। এয়ারের চাকরি ছেড়ে চলে এসেছে এডিনবরায়। নতুন করে জীবন শুরু করেছে দুজন। পিউ এখন আগের তুলনায় সংসারে অনেকটাই মনোযোগী হয়েছে। সবকিছুর আগে জুনায়েদকেই প্রাধান্য দেয় এখন। তার মন বুঝে চলার চেষ্টা করে। সে ক্ষেপে যায় বা রাগ করে, এমন কিছু এখন না করার চেষ্টা করে। বন্ধুদের নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল বলে ক্যাম্পাস পাল্টাতে চেয়েছিল। জুনায়েদই নিষেধ করল। বলল, আর মাত্র একটা বছর। বলতে গেলে আট-নয় মাস মাত্র। এই সময়টুকুর জন্য ক্যাম্পাস পাল্টানোর দরকার নেই। এমনকি বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করলেও একই অজুহাত দেখাল। এই শেষ সময়ে বন্ধুত্ব নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। জুনায়েদের সমস্ত কথা পিউ মেনে নিয়েছে। কিন্তু জুনায়েদই শেষমেশ পালটে গেছে। দিনকে দিন দূরে সরে যাচ্ছে একটু একটু করে। পিউয়ের ভয় হয়, কখন বুঝি আবারও হারিয়ে ফেলে জুনায়েদকে! সব ঝুটঝামেলা পার করে এখন মোটামুটি থিতু হয়েছে ওরা। আর কয়েকটা মাস পর ফাইনাল এক্সাম। তারপর তো অখন্ড অবসর। এই সময়ে আগের কথা ভেবে বিগড়ে থাকলে চলবে? (চলবে)