অন্তরালের কথা পর্ব ৩৫

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৩৫
.
.
” হা হয়ে দাঁড়িয়ে না থেকে ঘরের ভেতর যেতে দাও কিছু জরুরি কথা আছে তোমার সাথে। ”
বলেই তানহা দ্রুত পায়ে তিহানের ঘরের ভেতর চলে গেল। কিন্তু তিহান সে আগের মতোই তার জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। সবকিছুই যেন আশ্চর্য লাগছে তার কাছে। তবে আশ্চর্য হওয়ার থেকেও ব্যাপারটি বেশি ভাবাচ্ছে তিহানকে।
ঘরের ভেতর তানহার গলা খেকড়ানোর আওয়াজ শুনে তিহানের ধ্যান ফিরল ঘরের দিকে। দরজা কিছুটা আজিয়ে ঘরের ভেতর যেতে যেতে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল,
” মাঝরাতে আমার ঘরে যে? সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো? ”
” বেঠিক হওয়ারও কিছু নেই তো। ”
” তাহলে স্বামীর ঘর ছেড়ে পর পুরুষের ঘরে যে? ”

” কিছু কথা ছিল তাই। ”
” দিনে বললে কী হতো না? ”
” অন্যান্য দেবর-ভাবীর মতো আমাদের সম্পর্ক হলে ঠিকই বলা যেত। কিন্তু আমরাতো আর আট দশটা দেবর-ভাবীর মতো নই তাই বলাও সম্ভব নয়। ”
” বুঝলাম। তো বলো, কী বলার জন্যে এ নির্জন রাতে নির্ভয়ে পর পুরুষের ঘরে এসেছ। ”
” খোঁচাচ্ছ কেন তিহান? ”
” সত্যি বলেছি। খোঁচা দিই নিই। ”
” কাল তোমার বিয়ে তিহান। ”
” ভাগ্যিস তুমি বলে দিলে! না বললে তো আমি জানতেই পারতাম না কাল আমার বিয়ে। ”
” সবকিছু ভুলে নিজেকে কী স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো যায় না? ”
” নেশা করছি আমি? পান খাচ্ছি? সিগারেট খাচ্ছি? ”
” মানে? ”
” তাহলে অস্বাভাবিকের কী দেখলে? ”
তিহানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে কিছু বলার জন্য মুখ খুলে নিচে তাকাতেই দেখে তার ছবি মেঝতে পড়ে আছে। ছবিটি মেঝে থেকে উঠিয়ে হাতে নিয়ে তিহানের দিকে ফিরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসহিত বলল,
” এটা কী তিহান? আজকের দিনেও এসব কী? ”
” চোখে কী কম দেখো নাকি? এটা যে ছবি সেটা কি দেখতে পাচ্ছো না? ”
” আজ তুমি বড্ড কথা ঘোরাচ্ছ। ”
” আমার মনে যে আমার বাস তাই তো যন্ত্রণারা ছুটোছুটি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ”
” আমার কথার সাথে কিন্তু তোমার কথা মিললো না তিহান। ”
নিজেকে অন্য সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে ফেলার দুঃখে, কষ্টে, যন্ত্রণায় তানহাকে সামনে পেয়ে তিহান যেন তার হুশ হারিয়ে ফেলে। গত পাঁচ বছরে যা করেনি মুহূর্তের মাঝে তা করে ফেলে। তানহাকে এক ধাক্কা দিয়ে বিছানার উপর ফেলে নিজের শরীরের ভরটুকু তানহার উপর ছেড়ে দিয়ে নিজের দাঁতের সাথে দাঁত চেপে তিহান বলল,
” কেন এসেছ এখানে? আমার কষ্ট দেখতে? নাকি মজা করতে কোনটা? ”
তানহা নিজের সবটুকু শক্তি প্রয়োগ করে আপ্রাণ চেষ্টা করছে তিহানকে নিজের উপর থেকে সরাতে। কিন্তু পারছে না।
এদিকে তিহান নিজেকে তানহার কাছ থেকে দূরে সরানো তো দূরের কথা উল্টো তানহার দু’হাতে আরও শক্ত করে চেপে ধরে দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল,
” এখন কেন সরে যাবার চেষ্টা করছ? আসতে কী বলেছিলাম আমার কাছে? নিজে যখন এসেছ এখন কেন যেতে চাচ্ছো? ভালো লাগছে না বুঝি? ”
” তিহান! তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছ? কী করছ কী তুমি এসব? তুমি কী ভুলে গিয়েছ আমি তোমার বড় ভাইয়ের বউ? ”
” ভুলে আমি না, ভুলে তুমি গিয়েছ। বড় ভাইয়ের বউ অবশ্যই ঘুটঘুটে আঁধার রাতে ঘরে আসবে না। ”
” তিহান প্লিজ ছাড়ো আমায়। আমি তোমার জিএফ না যে এভাবে গায়ের সাথে লেপ্টে থাকবে। আমি একজনের স্ত্রী, প্লিজ আমার ছেড়ে দাও। ”
” তুমি যে একজনের স্ত্রী সেটা কী আমাকে বিশ্বাস করাতে চাচ্ছো নাকি নিজেকে? ”
” এ কথাগুলো তো দূরে সরেও বলতে পারো তিহান। ”
” চোখ মুখে ভয়ের ছাপ, সেই ভয়ের রেশ ধরে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের কণা, বুকে ধুকপুকানির তাল তারপরও মুখে জোরে কোন শব্দ নেই। চিৎকার তো প্রশ্নই আসে না তাই না? কেন এতো সহ্য করছ? কিসের ভয় আমার টর্চার সহ্য করছ? ”
” তিহান প্লিজ…. ”
” ওহ্! মনে পড়েছে, স্বামীর সন্দেহের খাতায় তালিকাভুক্ত না হবার ভয়ে তাই না? ”
” এবার কিন্তু বেশি বেশি হচ্ছে তিহান। তুমি উঠবে নাকি…”
” নাকি কী হ্যাঁ? বলো কী? আজ আমার ছোঁয়া বিষের মতো লাগছে তাই না? একসময় তো এই ছোঁয়া পাওয়ার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠতে। কী উঠতে না? ”
” সেসময় আর এখন আকাশপাতাল পার্থক্য তিহান। কেননা এখন আমি একজনের স্ত্রী। ”
” যেদিন স্বামীর সাথে বিছানার খেলায় মেতে উঠেছিলে সেদিন মনেপ্রাণে আমার ছিলে তুমি। সেদিন কেন এভাবে স্বামীকে সরাওনি? আজ যেভাবে আমায় সরিয়ে দিচ্ছো। আজ যদি ইসলামিক নিয়মানুসারে আমি পর পুরুষ হই, সেদিন তো মনের মিলনমেলায় তোমার স্বামী তোমার মনের জন্য পর পুরুষ ছিল তাই না? ”
তিহান কথায় পড়ে ক্ষানিকটা ফাঁক দিতেই তানহা এক ঝটকায় তিহানকে নিজের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,
” ইসলামিক নিয়ম পালন আর মনের মিলনের চাহিদা দুটোই আলাদা।”
আচমকা তানহার জোড়ালো ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে তিহান ছিটকে পড়ে মেঝেতে। শরীর খানিকটা ঝাঁকুনি খেতেই বুঝতে পারে সে কতবড় ভুল করতে যাচ্ছিল। নিজের রাগ, অভিমান,যন্ত্রণাকে কাবু করে মেঝেতে একহাত ভর দিয়ে উঠতে উঠতে শান্ত গলায় বলল,
” কেন এসেছ এখানে? ভাইয়া দেখতে পেলে কী হবে ভাবতে পারছ? ”
” এতক্ষণ খেয়াল ছিল না সেই কথা? ”
” কিছুক্ষণ আগের কথাগুলো না-হয় ভুলে যাই আমরা! ”
” বললেই কী ভুলে যাওয়া যায়? ”
” মাথা ঠিক ছিল না আমার। আর এখনো নেই। তাই বলছি আগের কথা বাদ দিয়ে যেটা বলতে এসেছিলে দ্রুত বলে চলে যাও। ”
” তার আগে বলো তুমি ওই অসভ্যের মতো আচরণটা কেন করেছ? ”
” বললাম তো মাথা ঠিক ছিল না। আর তোমার হাতের ওই ছবিটি আমার কাছে দিয়ে দাও। ”
” কী করবে এই ছবি দিয়ে? এ ছবি কী আদৌ তোমার কোনো প্রয়োজনে পড়বে?”
” সেটা নিয়ে তোমাকে না ভাবলেও চলবে। ”
” ভাব বার মতো বিষয় বলেই তো এই মাঝ রাতে তোমার নিকট হয়রানি হতে এসেছি৷ ”
” মানে? কী বলতে চাচ্ছো তুমি? ”
” হুম, এসব ছবি আর স্মৃতির জন্যই এই রাত করে তোমার ঘরে আসা। ”
” ওহ্! তো বলো, কী বলবে তুমি? ”
” হুম… বলছি। ”
তানহা ছবিটির দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিহানের মুখোমুখি বরাবর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক ভাবে বলল,
” বেলা প্রায় শেষের পথে। আজ আর মনে তোমায় ঘিরে স্বপ্ন বিচরণ করে না। স্বপ্নের সেই গোধুলী বিকেলের বালু মাখা পথে হাতে হাত রেখে হাঁটতে ইচ্ছে করে না। হতে পারে সন্তানের মা হইনি এখনো অবধি তাই বলে কী বয়স থেমে আছে? থেমে নেই তিহান। আজ আমরা কেউই আবেগে পরিচালিত হবার বয়সে নেই। তোমার ভাইয়ের বয়স এখন ৩৫ বছর। এদিকে তোমার ৩৩ বছর আর আমার ৩০ বছর। কিছুদিন পর আমরা সকলেই ৪০ এ পা দিবে। আর এই বয়সের জের ধরেই কিন্তু আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে সংসারে মনোনিবেশ হয়ে তোমার ভাই অতলকে ভালোবেসেছি। এটাই এ জগতের নিয়ম। তবে তুমি কেন জগতের নিয়ম অমান্য করছ? কেন নিজের জীবন সাজাচ্ছো না? কেন আবেগের স্থান এখনো এই মনে গেঁথে রেখেছ। যার ফলে আজ তিনজন মানুষের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে! আর কাল থেকে শুরু হবে চারজনের মাঝে এ মনোমালিন্য। কিন্তু এতোগুলা দিন যাবার পরেও কী মনের মাঝে এ মনোমালিন্য থাকার কথা তিহান? বয়সের ভারেও তো এসব ব্যাপার চাপা পড়ে যাবার কথা! তাহলে তুমি কেন এখনো পর্যন্ত এসব বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরে বসে আছো? ”
” বয়স বাড়লেই কী সব ভুলে যাওয়া যায় তানহা? ”
” চেষ্টা করলেই সবই পারা যায়। জলজ্যান্ত প্রমাণ তো আমি নিজেই তোমার সামনে। যে আমি তোমার জীবনসঙ্গী হবো বলে নিজের বাবা-মা’কে কতো ছয় নয় দিয়ে বুঝিয়েছি বছরের পর বছর। সেই আমি আজ নিজের চেষ্টায় তোমার ভাইয়ের ভালোবাসায়, সংসারের টানে তোমার জীবনসঙ্গী না হওয়ার জন্য মৃত্যুর পথে বেছে নিয়েছিলাম। তাহলে আমি কী পরিবর্তন হইনি? ”
” এখন আমাকে তুমি ঠিক কীভাবে কীভাবে পরিবর্তন হতে বলছ?”
” রাত পোহালেই নতুন বউ আসবে তোমার হাত ধরে এ বাড়িতে। সেই তুমি যদি পুরনো স্মৃতি ঘেটে নিস্তেজ হয়ে থাকো ব্যাপারটি কী আদৌ শোভনীয় দেখায়? যেই স্মৃতি অনেক বছর আগেই ঘুচে গিয়েছে। ”
” কে বলেছে তোমায় আমি পুরনো স্মৃতি ঘাটাঘাটি করি? নিজের মন গড়া মতো কথা বলো না। ”
” তাহলে এ ছবিটি মেঝেতে কী করে আসলো? ছবির কী পাখা আছে যে,নিজে নিজে পাখা ঝাপটে উড়ে এসে তোমার ঘরের মেঝেতে ঘাপটি মেরে বসে আছে? ”
” পাখা ঝাপটে ছবি এসে আমার ঘরে বসবে কেন? এ ছবি আমি নিজেই বের করেছি তবে পুরনো স্মৃতি ঘাটার জন্য নয়, একেবারে মন থেকে উপড়ে ফেলার জন্য। ”
বলেই তানহার হাত থেকে ছবিটি একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়ে দু’হাত দিয়ে টুকরো টুকরো করে বাথরুমের কমোডে ফেলে ওয়াশ করে দিল। আর হাসি মুখ করে বলল,
” তুমি বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যেটা আমার আদৌ প্রয়োজন ছিল না তারপরও অসংখ্য ধন্যবাদ তোমায়। এবার আসতে পারো। ”
তিহানের কাছ থেকে এতটা রূঢ় আচরণ পেয়ে তানহা ক্ষানিকটা কষ্ট পেলেও পরমুহূর্তে সেই কষ্ট ভুলে গিয়ে বাতাস ভেবে উড়িয়ে দেয়। এই ভেবে যে, সে তো এটাই চেয়েছিল। নিজের স্মৃতি ভুলিয়ে দিতেই চেয়েছিল। তাহলে তিহানের এই আচরণে কষ্ট পেয়ে লাভ কী!
এটা ভেবেই তানহা নিজেকে সামলে নিয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নেয়। তবে চৌকাঠ পেরোনোর আগ মুহূর্তে পেছনে ফিরে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মুখে স্মিত হাসির রেখা ফুটিয়ে বলল,
” মেয়েটি খুব ছোট। অবুঝই বলতে পারো। তাই মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করো। আমাদের ব্যাক্তিগত কারণে ওই ছোট্ট মেয়েটির মনে আঘাত দিও না প্লিজ। ”
তানহা চলে গেল কিন্তু দেখে গেল না ঘরের ভেতর থাকা মানুষটির বিধ্বস্ত মুখ টুকু। অনুভব করতে পারলো না ঘরের কোণায় কোণায় প্রবাহমান সেই মানুষটির জীবনের সবচেয়ে বড় অপ্রাপ্তির দীর্ঘশ্বাস।
তানহা ঘর ত্যাগ করতেই তিহান ঘরের দরজার ছিটকিনি দিয়ে চোখের জল ফেলে হনহন করে চলে যায় ওয়াশরুমের ভেতর। ওয়াশরুমের দরজা লাগিয়ে শাওয়ার ছেড়ে তার নিচে দাঁড়িয়ে দেয়ালে দু’হাত চেপে ধরে বুকের অসহ্য যন্ত্রণায় চোখের জলের সমাপ্তি ঘটাতে এক ভয়ানক চিৎকার দিয়ে ওঠে। যার স্থায়িত্ব বেশ ক্ষানিকটা সময় ধরে হলেও পরিশেষে থমকে যায়।
.
এক আকাশ কালো মেঘের দুশ্চিন্তা নিয়ে চোখ বুঝে ঘুমের ভান ধরে আছে অতল। চোখ মেলে পাশ ঘুরবার ইচ্ছে থাকলেও সাহস পাচ্ছে না। চোখ খুলে পাশে তাকালে যদি তার অনুভব সত্যি হয়ে যায় সেই ভয়ে। ঘুমের ভান ধরা মিটমিট চোখ দুটো ভিজে আসছে নোনা জলে। কয়েক ফোঁটা জল বালিশের কভারেও গড়িয়ে পড়লো কিন্তু অতল চোখ মেলে তাকালো না। বরং চোখ বুজেই মনে মনে ভাবলো,
” এর শেষ কোথায়? কবে এসবকিছুর সমাপ্তির মাত্রা টেনে আসবে তার জীবনে? তানহা তাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে সেটা সে জানে। এমনকি এটাও জানে যে, এ ভালোবাসার মাঝে বিন্দু পরিমান ফাঁক নেই। তাহলে কেন তার মনে তানহাকে হারাবার এতো ভয়! কেন সারাক্ষণ মনের মাঝে তানহাকে হারাবার ভয়ের ছায়ারা দৌড়োদৌড়ি করে? আচ্ছা, তিহানের প্রতি তানহার দায়িত্ববোধ গুলোই কী এসব ভাবনার মূল হুদা! সে জানে, তিহানের মনকে শক্ত করার জন্যই কেবল তানহার আজ এই রাত করে যাওয়া। কাল থেকে যে আর এই সুযোগ পাওয়া যাবে না তাই আজকের এই মাঝরাতটি তানহা মিস করেনি। কিন্তু এতকিছু জেনেও,বুঝেও কেন তার মন মানছে না! জানে না সে, কিচ্ছু জানে না, কিচ্ছু না। ”
কথাগুলো ভেবেই বিছানার এপাশ থেকে ওপাশ কাত হয়ে শুতেই দরজার বাহির থেকে খটখট শব্দ কানে ভেসে আসতে লাগলো অতলের।
সে বুঝতে পারল তানহা হয়তো বাহির থেকে দরজা খুলছে। তাই দ্রুত চোখের কোণে জমে থাকা জলের কণাগুলো মুছে বালিশ বুকে আঁকড়ে ধরে, চোখমুখের ভঙ্গি ঘুমন্ত ব্যাক্তির ন্যায় করে অঘোর ঘুমের ভান ধরে শুয়ে রইলো।
এদিকে বাহির থেকে দরজার ছিটকিনি আস্তে করে খুলে, ঘরে ঢুকে ফের দরজা ভেতর থেকে লক করে দিল তানহা। পা টিপে টিপে হেঁটে অতলের ঘুমন্ত মুখখানার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তানহা। হাঁটু ভেঙে মেঝেতে বসে অতলের মুখে আলতো করে ছুঁয়ে অপরাধের ন্যায় বিড়বিড় করে বলল,
.
.
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here