#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_৩
চাচা আবার এগিয়ে তাকে ধর্ষন করতে,ভয়ে গুটিসুটি মেরে যায় তারিন! না এ হতে পারে না।
তখনই নানি ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে তুলে দেয় তারিন কে
:তারিন তোর মামিকে কেউ মেরে ফেলেছে (নানি)
শুনেই তারিন স্তব্ধ হয়ে যায়! দ্রুত তারা সেই গাছের নিচে যেতেই দূর থেকে তার মামা তাকে দেখে তেড়ে আসে কিন্তু তামিম সমানে আসায় থেমে যায়!
:কি বুঝছিস?(তামিম)
:গলার লোম ও কেটে গেছে ছুরি অনেক ধারালো(কাব্য)
:এই গ্রামে এমন কিছু…
:আশা করা যায় না তাই তো
:হুম
:সেটাই
:কেউ কি এর মৃত্যুর সময় কি কেউ দেখেছে?(সবার দিকে তাকিয়ে)
ভীড়ের মধ্যে থেকে একটা লোক হাত তোলে।
:এগিয়ে আসুন,বলুন কি দেখেছেন!
লোকটা এগিয়ে আসে
:স্যার আমার নাম শফিক।আমার বাড়ির মাঠের পাশেই,কাল রাত আমি জানালার পাশে শুয়ে ছিলাম।তখনই চিৎকার শুনে বাইরে তাকাই। দেখি এই চাচি দৌড়াচ্ছেন আর সামনে একটা কালো মানুষের মতো প্রানী চার হাত পায়ের উপর ভর দিয়ে তার সামনে হেটে যাচ্ছে।
:কিহ! কি বাজে বকছেন
:সত্যি স্যার, আর ওই প্রানীটা একটা পি পি শব্দ করে
:আচ্ছা বুঝলাম
তামিম ওতো কেয়ার করে না। লাশ টা গাড়ি তে তুলে চলে যায়।কাব্য ও কিছু না বলে চলে যায়
তারিন এক কোণায় দাড়িয়ে থাকে।
রাত ১১ টা।
বাজার থেকে আড্ডা দিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে শফিক। মাঠের পাশ দিয়ে যেতেই শরীর ঝাকি দিয়ে উঠে। আড় চোখে গাছ টার দিকে তাকায়। যেন কোনো দানব দাড়িয়ে আছে।
ঠিক তখনই।
পি পি পি!!!!
শব্দ টা কানে আসতেই ভয়ের স্রোত বয়ে যায় শরীরে।শফিক এদিকওদিক তাকাতে শুরু করে! হঠাৎ চোখ পড়ে মাঠের গাছটার দিকে
কিছু একটা এগিয়ে আসছে। খেয়াল করে দেখতেই শফিকের গলা শুকিয়ে যায়।সেই মানবাকৃতির প্রানীটি চার হাত পায়ের উপর ভর দিয়ে অসম্ভব গতি তে ছুটে আসছে।
শফিক দৌড়াতে শুরু করে। পেছন থেকে অনেক ফিসফিস শব্দ আসতে থাকে। শফিক খেয়াল করে চারদিকের গাছ গুলোয় পাতা নেই।।পাতার জায়গায় আছে হাতের কবজি।
শফিক চোখ বন্ধ করে দৌড়াতে থাকে।
একসময় বাড়ি পৌঁছে দরজা আটকে দেয়।
জানালা দিকে তাকায়। কেউ নেই। হাফ ছেড়ে বাচে শফিক।
রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। কালই কবিরাজ ডাকবে সে।
রাত ১ টা।
হঠাৎ বাইরে থেকে..
:শফিক!!!
ঘুম থেকে উঠে বসে শফিক।।কে ডাকে
:শফিক!!!(মিস্টি কন্ঠে)
শফিক উঠে দাঁড়ায়
:শফিক!!
এ তো পাশের বাড়ির ভাবী
শফিক ঝট করে দরজা খোলে।তার পর আর কিছু মনে নেই।
যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখে সে মাঠের গাছ টার সামনে,আর সামনে দাড়িয়ে আছে সেই প্রানীটা।
শফিক পালাতে গেলেই প্রাণি টা তার গলায় কামড় দিয়ে তুলে নেয়।তারপর জোরে জোরে আছাড় মারা শুরু করে। এতে শফিকের সব রক্তনালি ছিড়ে যায়। গলা আলগা হয়ে যায় আর ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটতে থাকে।
হাত পা সব ছিটে বেরিয়ে যায়!
আকাশে লালচে চাদের আভা,এই পরিবেশ কে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে
পরেরদিন সকালে
সবাই দেখে গাছের পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শফিকের দেহের টুকরো
তামিম জিপে বসে চুপ করে আছে। ৩দিনে ৩জন। কে করছে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
আচ্ছা আসলেই সেই প্রানীটা সবাই কে মারছে না তো?…
চলবে…
#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য