#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_১৩
কল কেটে ফিয়ে তামিম চুপ করে বসে থাকে। ওই তান্ত্রিক এর সাথে যাওয়া একজন কল ফিয়ে জানায় একটা খুব খারাপ খবর। এটা গ্রামবাসী কে জানানো যাবে না। ওরা আবার ভেঙে পড়বে!
তামিম গাছটির সামনে বসে পড়ে । রাত কেটে যায়। ভোরে তামিমের ঘুম ভেঙে যায় লোকজন এর ডাকে। চোখ খুলে দেখে গ্রাম সাজানো হচ্ছে। লোকজন এর থেকে জানতে পারে এই খুনের তান্ডব কমায় তারা উৎসব পালন করবে। তামিম সবার সাথে হাসলেও মনে মনে সে প্রচন্ড ভয়ে আছে। সে জানেনা পরে কি হবে।
সকাল হতেই গ্রামে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।পিঠে বানানো,গান বাজনা,নানা রকম খাবার,,, সবাই খুশি। তারিন আজ অনেক দিন পর সেজেগুজে বসে আছে। আয়েশা পিঠে বানানো দেখছে।
:কাব্য কই?(নাদিয়া)
:ঘরে হয়তো,আমি ডেকে আনছি!(তারিন)
তারিন ধীরে ধীরে কাব্যের ঘরের দিকে যায়। হঠাৎ ভেতর থেকে কিছু শব্দ শুনে সে দরজার বাইরে থেকে উকি দেয়।
কাব্য ৬-৭ বছরের একটা বাচ্চার গলা চেপে ধরে তুলে রেখেছে।!
:তোদের জানতে হবে কাব্য কে আর কি করতে পারে!!!(কাব্য)
বলেই কাব্য বাচ্চার মাথা দেয়ালে মারে। মাথা থেতলে ভেঙে যায়। রক্ত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তারিন অনেক কস্টে নিজের চিৎকার আটকে রাখে। তারপর দৌড়ে পালিয়ে আসে।
কিছুক্ষন পর কাব্য বেরিয়ে আসে। কথাও এখানে। নীল শাড়ী পড়েছে সে। কাব্য কে দেখে এগিয়ে আসে।
:কি হলো তুমি পাঞ্জাবি পড়বে না?(কথা)
কাব্য কথার দিকে তাকায় ও না।।নিজের মতো একভাবে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
কথা মুখ বাকা করে চলে যায়।
হঠাৎ এই আনন্দের ভিড়ে দুজন লোক কাদতে কাদতে আসে।এসেই তামিমের সামনে দাঁড়ায়।
:স্যার আপনি এখানে আসার পর এই গ্রামের অনেক অন্যায় কমে গেছে।,স্যার আমরা পাশের মানুষ। আমাদের গ্রাম প্রধান আমাদের উপর অনেক জুলুম করে। তার থেকে ধারে টাকা নিলে সে অনেক টাকা সুদ নেয়। আর যখন আমরা শোধ করতে পারিনি তখন আমার ছেলেকে মেরে বিছানায় ফেলে দেয় সারাজীবনের মতো আর ওর মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয় তার ছেলের সাথে আর এখন তার উপর অনেক অত্যাচার করে! আমাদের সাহায্য করুন! (তাদের মধ্যে একজন)
:কোন গ্রাম(তামিম)
ঠিকানা নিয়েই তামিম বেরিয়ে পড়ে গ্রাম প্রধানের বাড়িতে গিয়েই বন্দুক বের এলোপাতাড়ি গুলি করে সব গার্ড দের মেরে ফেলে তামিম। সোজা বাড়ির ভেতর যায়। প্রধান বসে ছিলো চেয়ারে। তামিম গিয়েই ২পা আর ২ হাতে গুলি করে অকেজো করে ফেলে তখনই হেটে চলে আসে।
মাত্র ১ ঘন্টায় ওই গ্রামের কাজ শেষ করে এসে আবার এই গ্রামে আনন্দে সামিল হয়।
ফিরে এসে দেখে কাব্য নেই।
কিছুক্ষন খুজে আয়েশার কাছে যায়।
:কাব্য কোথায়? (তামিম)
:তুমি যাবার পরই একটা লোক আসে,তার মেয়েকে ৩জন যুবক মিলে রেপ করেছে এই কিছুদিন আগেই। তার তুমি ছিলে না তাই কাব্য গেছে(আয়েশা)
:ধুর আবার ৩জন
:এই সিরিজ এ শুধু রেপিস্ট দেরই শাস্তি হচ্ছে
:ধীরে ধীরে সব অপরাধীর হবে৷ এত প্রশ্ন থাকলে #good_villains তে যাও।
তামিম হাটা শুরু করে।
:কই যাও?(আয়েশা)
:কাব্য কে থামাতে হবে নাহলে এই ৩জন কেও খুব বাজে ভাবে মেরে ফেলবে
বলতে না বলতেই দেখল কাব্য আসছে।তামিম দ্রুত কাব্যের কাছে যায়।
:কই ছিলি?(তামিম)
:কেন তোকে বলেনি?(কাব্য)
:তুই ওদের মেরে ফেলে….
:হ্যাঁ
:কিভাবে?
:সিম্পল ভাবেই
:অহ আচ্ছা
:শুধু হ্রদপিন্ড ড়া বের করে রেখে দিয়েছি
:এ্যাহ?
তামিম অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
:ওই মি. পিঠা খাবেন না?(আয়েশা)
তামিম হেসে সেদিকে চলে যায়। সারাদিন কেটে যায় এমন আনন্দে ।
সন্ধ্যা ৭ টা।
সবাই এক ঘরে বসে গল্প করছে। তামিম গ্রান প্রধানের সাথে কিছু কথা বলছে।কাব্য নিজের রুমে বসে তলোয়ার টা পরিষ্কার করছে
তখনই নাদিয়ার একটা কল আসে। কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যায়। হাটতে হাটতে মাঠের দিকে চলে যায়।
হঠাৎ দেখে কেউ একজন সেই গাছটার দিকে যাচ্ছে।কিন্তু গ্রামের কেউ এই সময় কেন যাবে ওইদিকে
:এই কে?(নাদিয়া)
নাদিয়া কে কে বলতে বলতে সেদিকে চলে যায়…
গাছের কাছে গিয়ে দেখে সেখানে কেউ নেই।
হঠাৎ পেছন থেকে নাদিয়ার মুখ চেপে ধরে কেউ ঝোপে টেনে নিয়ে যায়….
অন্যদিকে অনেক্ষন হয়ে যাবার পর ও নাদিয়া ফিরছে না দেখে সবাই চিন্তায় পড়ে যায়। তামিম তাকে খুজতে লোক নিয়ে বের হয়।
কিন্তু পুরো গ্রাম খুজেও পায় না
তাহলে নাদিয়া গেলো কোথায়? আর সে ঠিক আছে তো?
নাকি সে আছে কোনো বিপদে আছে…..