আধারের মায়াবী ডাক পর্ব -১৫

#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_১৫

তামিম তারিনের মায়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তামিম খেয়াল করে তারিনের মায়ের চোখের মণি ভিষণ ছোট। তামিম চমকে উঠে। তামিমকে এড়িয়ে তিনি গাছটার দিকে এগোতে থাকে।

তামিম পিছু নেবে ঠিক তখনই পেছন থেকে
“তামিম!!!

নাদিয়া তামিমকে ডাক দেয়

তামিম চমকে উঠে তাকায়। দেখল সে কোনো মাঠের সামনে না।সে বাড়ির ছাদে। আর এক পা বাড়ালেই সোজা নিচে কাটা তারের উপর পড়বে সে।
তামিম আতকে উঠে পিছিয়ে যায়। এ কি হচ্ছে। প্রথমে তানভীর এখন তামিম নিজেই এর শিকার।

তামিম ছাদ থেকে নেমে যায়। কিন্তু নিচে নাদিয়া নেই। চারদিক খুযে দেখে কেউ নেই।
তামিম দ্রুত নাদিয়ার রুমে যায়।

নাদিয়া গভীর ঘুমে।

তামিম চমকে উঠে
তাহলে তাকে কে ডাকলো??

তামিম ভেবে পায়না।

সকাল বেলা

কাব্য ঘুমিয়ে আছে। তখনই তার রুমে প্রবেশ করে কথা।
এসে পাশে বসে। মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

:উঠুন,মি. অনেক বেলা হলো(কথা)

কাব্য ঝট করে উঠে বসে

:আপনি /??আরে এখানে কেন?(কাব্য)

:কফি!!(কথা)

বলেই কথা কফি মগ টা দেখায় টেবিলে।কাব্য দেখে মাথা নাড়ে।কথা হেসে উঠে চলে যায়।

বাইরে…
তারিন বসে বই পড়ছে,আয়েশা ফোনে কি যেন পড়ছে।

:সব সময় ফোনে কি এতো পড়ো আপু!?(তারিন)

:তুষার আহমেদ এর গল্প!হিহি(আয়েশা)

:সে কে?

:😑 তুষার আহমেদ কাব্য, মানে কাব্য!

:অহ সরি, কিসে?

:ফেসবুকে, ওর পেজে!

:ওও নাম কি?

:এটাও বলতে হয় কি দিন এলো. I am Tushar A.

: tushar A. মানে?

:তুষার আহমেদ

:ওহ

:হুম

তখনই বাসায় ফেরে মাইশা আর তিথী

:কোথায় ছিলে তোমরা? (আয়েশা)

:জগিং এ! তোমাদের মতো নাকি মটু(তিথী)

:যাই হোক, নাস্তা খাবো, ক্ষিদে পেয়েছে

:তোমরা যাও আমরা আসছি(আয়েশা)

মাইশা আর তিথী ভেতরে চলে যায়।

সবাই খেতে বসে!

:আজ তামিমকে এতো মনমরা লাগছে কেন?(নাদিয়া)

:নাহ এমনি!দেরী তে ঘুমিয়েছিলাম!(তামিম)

:আজ কিন্তু কথা আপু কে খুব বেশ খুশি লাগছে(তিথী)

:হুম লাগবেই।এখন তো…হিহি(আয়শা)

তখনই কারেন্ট চলে যায়

:ধুর এই সময় কারেন্ট গেলো(মাইশা)

:😄😄😄(নাদিয়া)

তখনই কাব্য দরজার কাছে আসে।কেউ সেটা খেয়াল করে না।

:গরম লাগছে।কথা আপু তো ঘেমেই গেছে(আয়েশা)

কাব্য কথার দিকে তাকায়। আসলেই কথা ঘেমে গেছে।
কাব্য তলোয়ার টা রেখে কথার পাশ দিয়ে খুব দ্রুত হেটে যায়। তাতে একটা বাতাসের ধাক্কা কথা আর বাকিদের গায়ে লাগে।

আবার অন্যদিক থেকে আবার এসে আরেকবার বাতাসের ধাক্কা দিয়ে যায়। কাব্যের হাতে পাখাও ছিলো।যা কেউ দেখেনি।

এমন কিছুক্ষন করার পর কথার ঘাম শুকিয়ে যায়।

:কিছু খুজচ্ছিস কাব্য?(তামিম)

:আমার তলোয়ার টা!(কাব্য)

আয়েশা হেসে উঠে

:ভাইয়া ওইযে দরজার পাশে।যেখান দিয়্ব তুমি ৩ বার গিয়েছো!(আয়েশা)

:আরে বাতাস করতে হবে তো নাকি? তোরাও না?(নাদিয়া)

কাব্য বিব্রত হয়ে যায় আর সেখান থেকে বের হয়ে যায়। কথা নিচের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে কাব্যের কান্ড দেখে।

তামিম নাস্তা করে তার ওই দুজন লোককে কল দেয়।

সেখান থেকে কোনো ভালো খবর আসেনা।

হতাশ হয়ে যায় তামিম

বিকেলে কথা আর তিথী গ্রাম ঘুরতে বের হয়।
কাব্য গ্রামের সামনেই ছিলো। হঠাৎ কাব্য খেয়াল করে দুইটা ছেলে অনেকক্ষন কথার দিকে তাকিয়ে আছে আর পিছু আসছে

হঠাৎ ছেলে গুলো খেয়াল করে কাব্য দূর থেকে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। হাতে তলোয়ার। দেখেই দুজন পালিয়ে যায়।

কাব্য পুরো রাস্তা কথার উপর নজর রাখে।

রাত ১১ঃ১১.

নাদিয়া ঘুমিয়ে আছে,হঠাৎ সে অনুভব করে তার হাত পা নাড়াতে পারছে না।

অনেক চেস্টা করেও পারেনা। তখনই ঝট করে চোখ খুলে যায়। চোখ খুলেই যা দেখলো তা দেখে তার পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলো

দেখল সামনে তামম আর কাব্যের লাশ পড়ে আছে আর একটা মেয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে হাসছে….

নাদিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে.. এটা কি সত্যি?

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here