# আমার_সংসার
.
Part:08
.
Writer :Mollika Moly
.
.
–আপনার কফি?
বলে সিফাত কে কফি দিলো সিনহা ওর নামাজ শেষে।
.
–ধন্যবাদ।
হাত বাড়িয়ে নিয়ে বললো।
.
–একটু বাহিরে যাবেন?
.
–কোথায়,,?
.
–আসুন।
বলে উনার হাত টা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে সিনহা।
.
–আরে বলবে তো কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?
.
–আসুন না তাহলেই দেখতে পারবেন।
.
সিফাতের হাত ধরে সিনহা একটা খোলা মাঠে নিয়ে গেলো।খুব ভোরে জনমানবশূন্য মাঠ।হালকা কুয়াশা পড়েছে,শরৎএর আগমনী সুর ভেসে আসছে।ঘাসের ওপর শিশির জমেছে,সিনহা খালি পায়ে সেই শিশিরের ওপর হাটছে,আর হাসছে।সিফাত অপলক তাকিয়ে আছে।ওর হাসিতে সে মুগ্ধ। বিশেষ করে সিনহার বাকা দাঁত টা বেশি আকর্ষণীয়, হাসলে অনেক সুন্দর দেখায়।
.
–কি হলো চুপ করে দাড়িয়ে রইলেন যে,আসুন খালি পায়ে একটু হেঁটে দেখুন ভালো লাগবে।
.
–হুম হাটছি।
বলে সিফাত জু্তোটা খুলে পাশে রেখে খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাটতে লাগলো।
.
–কেমন অনুভব করছেন?
.
–বেশ ভালো।
.
–আগে কখনো হেটেছেন এমন শিশির ভেজা ঘাসের ওপর।
.
–নাহ, দেশেইতো ছিলাম না,প্রায় ছোটবেলা থেকেই
শহরে আসি তারপরেই বিদেশ,সুযোগ হয়নি সেভাবে।
.
–ওহ,আজ হাটলেন,অনুভুতি টা জানা হলো।
.
–হুম একদম।
.
–চলুন ফিরা যাক,বাবা,মা,হয়তো এতোক্ষনে উঠে পড়েছে।উনাদের সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
.
–হুম চলো।
.
দুজনে একসাথে বাড়ি ফিরছে হেঁটে, সিনহার ইচ্ছে করছে সিফাতের আঙুল গুলো একটু ছুয়ে দিতে,আঙুলে আঙুল ডুবিয়ে পথ চলতে,কিন্তু সেটা
সে পারবে না,কারন সিফাত যে ওকে ভালোবাসে না।
তারপরো সিনহার আজ ভালো লাগছে,কারন সিফাত আজ ওর কথা শুনেছে,ওর সাথে ভালো করে কথা বলেছে,নামাজ পড়েছে,আর কি চায়,এটুকুইতো অনেক পাওয়া,সিফাত ওর সাথে এমন আচরন করলেই সিনহা খুশি।
.
দুজনে বাড়ি ফিরে এলো,হাসি মুখে,কথা বলতে বলতে,ভিতরে ঢুকতেই দেখলো ওর শ্বশুর, শাশুড়ি
বসে চা খাচ্ছে। সিফাত সোজা রুমে চলে গেলো।
.
–গুড মর্নিং বাবা,গুড মর্নিং মা।
.
–গুড মর্নিং। এতো সকালে দুজনে কোথায় গিয়েছিলি?
.
সিনহার শাশুড়ি বললো কথাগুলো।
.
–সরি মা,আজ একটু হাটতে গিয়েছিলাম,তোমাদের জন্য চা করতে পারিনি,আসলে বুঝতে পারিনি এতো দেরী হবে।
.
–আরে বাবা,এতে সরি বলার কি আছে,সুবর্ণ তো বানিয়ে দিয়েছে।আর তোর সাথে কি সিফাত গিয়েছিলো?
.
–হুম মা উনি আমার সাথে হাটতে গিয়েছিলো।
.
–বলিশ কি রে,সত্যি?
.
–হুম মা।বলে লজ্জায় মাথাটা নিচু করলো সিনহা।
.
–সিফাত কি নিজে থেকে গিয়েছিল নাকি,,,,,?
.
–নাহ মা আমি যেতে বলেছি আগে।
.
–তুই বললি আর সিফাত গেলো কিছু বলেছে নাকি?
.
–না মা আজ উনি আমার সব কথা শুনেছে,সকালে নামাজ পড়তে বলেছিলাম সেটাও শুনেছে,তারপর হাটতে বেরিয়েছে।
.
কথাটি শুনে সিনহার শাশুড়ির চোখদুটো জ্বল জ্বল করে উঠলো খুশিতে।
.
–আল্লাহ আমার ছেলে কে তোর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখাবে,তুই পারবি মা,আমার ছেলে কে শোধরাতে,ওর চোখের পর্দা সরিয়ে দেখে দে কে আসল আর কে নকল।
.
–হুম মা দোয়া করো তুমি।
বলেই সিনহা ওর শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরলো।ওর শাশুড়িও ওকে জড়িয়ে নিলো বুকের মাঝে,মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
.
খানিক টা সময় এভাবে থাকার পর সিনহা মুখ তুলে বললো,,
.
–মা আসি রান্না করি।
.
–হুম যা।
.
সিনহা রান্না করতে চলে গেলো।
.
to be continue…. .