গল্পঃ এখানে কোনো বৃষ্টি নেই
পর্ব ০৪
অভির সাথে অামার অানুষ্ঠানিক কথা বন্ধ থাকলো।
তাতে কি হলো?? অামার জ্বালাতন কিন্তু বন্ধ থাকলো না। কথা বন্ধের এডভান্টেজ অামি অন্যভাবে নিতে লাগলাম।
এবার নতুন টৃক চাললাম। খেতে বসলেই, অামি বই হাতে নিয়ে বসতাম। পড়তাম অার খেতাম ;মাঝে মাঝে টেবিলের নিচে দিয়ে অভির পায়ে খোঁচা মারতাম। দু-অাঙুলে প্যাঁচ করে অভির অাঙুল চেঁপে ধরতাম।
অভি তখন খাওয়া থামিয়ে হুট করে উঠে দাঁড়িয়ে পড়তো। অান্টি জিজ্ঞেস করতেন,
———-হোয়াট হ্যাপেন্ড??? দাঁড়িয়ে গেলি যে??
অভি অামার দিকে তাঁকিয়ে রাগে বিড়বিড় করে বলতো,
———কিছুই তো বুঝতে পারছি না।
———বুঝতে পারছিস না মানে?? ফট করে কেমন নাড়া খেয়ে উঠলি…
অামি তখন পুরো মুখটা বইয়ে ঢেকে মনোযোগী হয়ে পড়ছি।
অভির রাগের মাত্রা ১০০ক্রস করে যেতো!
দাঁত খিঁচিয়ে বলতো,
———অামার পেটে বাবু অাছে মা। বাবুটা লাথি মারলো তো…. তাই।
এরপর থেকে অভি ভাত খেতে বসলে কেডস পড়ে বসতো।
বাসায় সার্বক্ষণিক কেডস।কেডস পড়ে অামার সামনে দিয়ে ধক্কর ধক্কর শব্দ করে হাটা। অান্টি বকতো!
——-এমন জুতো পড়ে কেনো রেডী হয়ে থাকিস অভি?? তোর কি দৌড় প্রতিযোগিতা অাছে??
———দৌড় প্রতিযোগিতা না মা, পা সেইভ করে চলছি। ইদানীং খুব দুঃস্বপ্ন দেখছি, কুমির অামার পা কামড়াচ্ছে টাইপ।
——–কুমিরের কি কোনো কাজ নেই নাকি, যে তোর পা কামড়াবে…?? স্ট্রেঞ্জ…..
স্বপ্নে দেখছিস কুমিরে কামড়াচ্ছে, তাহলে ঘুমোবার সময় কেডস পড়ে ঘুমোলেই তো পারিস।সবসময় এমন কেডস পড়ার দরকারটা কি??
———ঘুমোবার সময় পড়েই থাকি মা, তবে অামার ক্ষীণ সন্দেহ স্বপ্নের কুমিরটা ইশারামাত্র। বাস্তবেই একটা কুমির অামার পা খাবার জন্য সেঁধিয়ে অাছে…..
অান্টি অভির দিকে কিছুক্ষণ অবাক তাঁকিয়ে থেকে বললেন,
———অভি, অাই থিংক, ইট ইজ হাই টাইম টু কনসাল্টিং এ সাইকিয়াট্রিস্ট। ফর গড সেইক, তুই কালকেই কারো সাথে এপয়েনমেন্ট করে ফ্যাল।
অভি তখন অামার দিকে সূর্যদৃষ্টি নিয়ে তাঁকিয়ে রইতো। সূর্যদৃষ্টি বলছি কারণ তখন রাগে অভির চোখদুটো দুপুরের সূর্যের মত জ্বলতো।
অামি অভিকে ক্ষেপানোর জন্য তারপর থেকে ড্রয়িংরুমের সোফায় শুয়ে পড়তাম। ওটা অভির সবথেকে প্রিয় জায়গা। অামাকে কিচ্ছু বলতে না পেরে বেচারা অাশেপাশে ঘুরঘুর করতো। একদিন সন্ধ্যায় অামি সোফায়ই শুয়ে অাছি, অভি কোথায় যেনো খুবই তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলো। কিন্তু তাঁর পোশাক দেখে অামি চমকে গেলাম। পড়নে ঘিয়া রংয়ের পাঞ্জাবি, পায়ে কেডস কিন্তু পাঞ্জাবির সাথে পায়জামা নেই, সাথে হাফপ্যান্ট। অামি অভির পেছন পেছন গিয়ে
একবার ভাবলাম, পিছু ডেকে বলি। পরে ভাবলাম, থাক্!অামাদের তো কথা বন্ধ। প্রফেশনালি এন্ড পারসোনালি।
ঘন্টাখানেক পর অভি ফিরে এলো। এবং চেঁচামেচি করে বাড়িসুদ্ধ মাথায় তুলে নিলো।
অামি দরজা খুলে ড্রয়িংরুমে দেখতে এলাম কি হলো??
অভি অগ্নিমূর্তি ধারণ করে, সোফায় বসে। অান্টি তাঁর মাথায় অাইসব্যাগ ধরে বসে অাছেন।
অভি রেগে রেগে কথা বলছে,
———বাড়িভর্তি এতগুলো মানুষ, কারোর কোনো খেয়াল নেই অামার প্রতি। অামি তো কেউ না।অাই এম নাথিং।
অামি থাকবোনা, এই বাড়িতে থাকবো না। এক্ষুনি এই হাফপ্যান্ট পড়ে এই বাড়ি ত্যাগ করবো।
অান্টি বললেন,
———তুই যেহেতু পাঞ্জাবি পড়ে গিয়েছিস, হাটু পর্যন্ত তো ঢেকেই ছিলো। সো…
তুই শুধু শুধু এত রিয়েক্ট করছিস।
———অামি শুধু শুধু রিয়েক্ট করছি। ইউ নো মা, ইট ওয়াজ মাই ফ্রেন্ড’স রিসেপশান। হোয়েন অাই গট ডাউন ফ্রম দ্য কার, এভরিবডি ওয়াজ লাফিং। দে ওয়ার যাস্ট বেকিং মি! আমি হাফপ্যান্ট পড়ে দাঁড়িয়ে আছি। ভাবা যায়??
———তুই রেডী হয়ে যখন বেরোচ্ছিস তখন একবার অায়নায় কেনো চ্যাক করলি না?? কেউ ছিলো না সামনে?? ‘ওকে’ কিনা জিজ্ঞেস করতে পারতি তো?? এই তো পরী, তুমি তো ড্রয়িং রুমেই ছিলে, তুমি দেখেছিলে অভি বেরোচ্ছিলো যখন???
অামি জোরেসোরে না সূচক মাথা নাড়লাম।
অভি ক্ষেপে গেলো অারো।
———সি ইজ লায়িং মা। অাই এম হান্ড্রেড পার্সেন্ট শিওর, ও দেখেও বলেনি অামাকে।
অামি সাথে সাথে অসহায় মুখ করে ফেললাম।
——–অামি অংক করছিলাম অান্টি। একদম দেখিনি। এই যে পানি ছুঁয়ে বলছি।
———মা, ও অংক ফংক করছিলো না। ও’শুয়েছিলো। হাঁ করে অামায় দেখেওছিলো।
——–ওকে ফাইন, পরী যদি তোঁকে দেখলোই তাহলে বললো না কেনো??? কেনো??হোয়াই অার ইউ গেটিং হার রং?? সি ইজ গেটিং হার্ট!
অভি অান্টির এই কথার জবাব না দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। পাঞ্জাবি তুলে হাফপ্যান্টের দু-পকেটে হাত ঢুকিয়ে অামার সামনে এসে একটু দাঁড়ালো; হাত দিয়ে অাই টু অাই সাইন দেখালো। তারপর গটগট করে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো। অামি অভির দিকে মুগ্ধ চোখে তাঁকিয়ে। উফ্ কি স্টাইল! পাঞ্জাবী – নীল হাফপ্যান্ট, পকেটে হাত, রোমশ পা বেরিয়ে অাছে। আমার তক্ষুনি মনে হলো, অভি কোনো রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাসের নায়ক। এই মাত্র গল্প থেকে উঠে এসেছে; শুধু অামার জন্য।
সেদিন রাতে অভি অামাকে তাঁর ঘরে ডাকলো। নোট পাঠিয়ে।
“পাঁচমিনিটের মধ্যে অাসো পরী, একটা জিনিস দেখাবো”!
অামি গেলাম না। অামি কারো কথার গোলাম না। হুহহহহ…..
তবে সে রাতে সারারাত অামার ঘুম হলো না। খুব ভোরে,
অভি এসে নক করলো,,অামার ঘরে।
দরজায় দাঁড়িয়ে বললো,
——–একটু কি বারান্দায় অাসবে পরী?? দেখো, কি সুন্দর ভোর হচ্ছে।
অামি অভির এক ডাকে বেরিয়ে গেলাম।
অভি সেই হাফপ্যান্ট পড়ে দাঁড়িয়ে। তবে এবার সাথে ব্লাক জ্যাকেট। মাথায় হ্যাট। চমৎকার লাগছে দেখতে। অামি ভালো করে লক্ষ্য করলাম, অভির চোখের পাপড়ি খুবই ঘন।অার এজন্যই চোখ দুটো এমন শান্ত দেখায়। বিড়বিড় করে বললাম, দিনের শুরুটা অাজ ভীষণ স্নিগ্ধভাবে হলো।
অামি অভির পাশে দাঁড়ালাম। সে রেলিং এ কনুই রেখে বাগানের দিকে তাঁকিয়ে।
অভি কোনো ভূমিকা না করেই বললো,
———কাল অামি ওভাবে চলে গেলাম তুমি বলোনি কেনো, পরী?? ওখানে অামি কতটা এমবারাসড হয়েছিলাম জানো??
অামি জবাব দিলাম না।অামার কথা বন্ধ হয়ে যাবার অসুখটা অাবার শুরু হলো।
——–অামি ঠিক করেছি কি জানো??? এই হাফপ্যান্ট অামি অার খুলবোনা। ইউনিভার্সিটি, বন্ধুঅাড্ডা, খেলা, মুভি সব এই হাফপ্যান্টের সাথে।
———থাকুক। হাফপ্যান্টে কিন্তু অাপনাকে
দেখতে নভোচারীদের মত লাগে বস।
——-ইশ… তোমার মুখ থেকে বস শুনতে কি অশ্লীল লাগে।
———ওকে, তাহলে এখন থেকে স্যার!
অভি এবার সোজা হয়ে দাঁড়ালো।
অামি সরে গিয়ে বারান্দার টুলে বসলাম।
অভি পূর্ণদৃষ্টিতে অামার দিকে তাঁকালো। বা-হাতটা কোমড়ে রেখে কাত হয়ে দাঁড়ালো। ডানহাত নেড়ে নেড়ে বলতে লাগলো, ইশ্ অভির হাত নাড়াটাও কি ভালো লাগে দেখতে!
——–অামি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি, অামার জীবনে একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটলো। প্রায় প্রতি রাতেই সেই ঘটনাটা ঘটতে লাগলো।
অার সেটা স্বপ্নে, গাঢ় ঘুমের মধ্যে।
অভি এতটুকু বলবার পর, অামি খুবই লজ্জা পেতে লাগলাম। অামি তো জানি সেই ব্যাপারটা কি! ছেলেদের ওই এইট নাইনে পড়াকালীনই হয়… ***দোষ। অভিটা রোমান্টিক হতে গিয়ে, কি যে দুষ্টু করে কথা বলছে না, উফ্!
———পরী, তুমি এরকম করছো কেনো??
অামি স্বাভাবিক হতে মিটিমিটি হাসি বন্ধ করে গম্ভীর হলাম।
——–তুমি অামার কথা শুনছো তো পরী???।
——–হুঁ….
———–তাহলে, লিসেন টু মি, ভেরি কেয়ারফুলি্ল, ওকে…
অভি বুড়ো আঙুলে “ডান” সাইন দেখালো।
অামি ভদ্র হয়ে মাথা নাড়লাম।
কিসের কথা! অামার ভেতরে কি যে উথাল পাথাল ঢেউ তখন। অভি কি এখন, সেই স্বপ্নটা বলেই চুমু খেতো চাইবে?? ওহ নো… এত তাড়াতাড়ি চুমু না। তাছাড়া………
অভি বলতে লাগলো,
———-প্রতিরাতেই অামি স্বপ্ন দেখতাম, অামি পেন্সিলে একটি স্কেচ অাঁকছি। নারীর।ক্রমাগত পেন্সিল টানছি। ঘষ ঘষসস।
তুমি হয়তো জানোনা পরী, অামি খুব ভালো স্কেচ অাঁকতে পারি। বাবার স্টাডিতে গিয়েছো?? সেখানের সবগুলো পেন্সিল স্কেচ অামার করা। তারপর যা, বলছিলাম,
। শাড়ি, চুল…. কোমড়….. সব দ্রুত এঁকে ফেলছি, শুধু সেই নারীর মুখটাই অাঁকতে পারছি না। কিছুতেই না। কিছুতেই না।
অামি চেষ্টা করছি খুব….
ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে একপর্যায়ে অামার ঘুম ভাঙতো।
ঘুম ভাঙলে অামি সেই স্কেচটা অাঁকার চেষ্টা করতাম, একই ব্যাপার! মুখটা অাঁকতে পারছি না। তারপর থেকে স্কুলে, কলেজে, ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়ে অামার যখনি কোনো মেয়ে বন্ধুকে চমৎকার লেগেছে, অামি বাসায় এসে সেই স্কেচে মুখটা বসিয়ে দেখেছি। উহুু… কাজ হয়নি; মিল খায়নি।
তুমি কি বুঝতে পারছো পরী, ব্যাপারটা নিয়ে দিনের পর দিন অামি কতটাই না অস্থির হয়ে পড়েছিলাম??
এখানে এসে
অভি কথা বলা থামিয়ে দিলো।
———তারপর??? বলুন তারপর???
অাপনি কি স্কেচটা অাঁকা বন্ধ করে দিলেন???
———না, অপেক্ষা করতে লাগলাম.। স্কেচের মুখটা সামনে অাসার জন্য।
ঘুমোতে গেলেই উইশ করতাম, স্বপ্নে যেনো অামি মুখটা খুঁজে পাই।
তারপরই একটা চমৎকার ব্যাপার ঘটলো। একদিন খুব ভোরে, অামি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। অামি কিন্তু সকাল বেলার পাখি। ভোর হওয়া না দেখলে অামার মাথা হ্যাং হয়ে থাকে। অামার জন্ম ও নাকি হয় এক কাক ডাকা ভোরে। তো যেটা বলছিলাম, ছয়টার দিকে, দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি,
একটি মেয়ে এলো, অামাদের বাসায়। সাথে তাঁর বাবা। এলোমেলো চুল, ক্লান্ত অার ঘুম না হওয়া চোখ। সারারাত জার্নি করে এসেছিলো তো….. । মেয়েটির লম্বা খোলা চুলের বেশিরভাগটাই জট বেঁধে অাছে। সে সব চুল ঘাড়ের একপাশে এনে একহাতে চেঁপে সামলাবার চেষ্টা করছে। অন্য হাতে ডান কানটা চেপে ধরে অাছে, তাঁর কপালের বা-দিকে একটা চমৎকার কাটা দাগ। তাঁর ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে গিয়ে ততক্ষণে ঠোঁটের বর্ডার লাইন মত দাঁড়িয়েছে।কি ধারালো নাক, অার বা-চোখের নিচে হঠাৎ করেই একটা তিল। তবে তাঁর গালদুটো, বেশি অাদুরে। ডাঁশা অার সুপুরি ঢুকিয়ে রেখে ফোলানোর মত।
সেই মেয়েটিকে দেখে অামি চমকে গেলাম। এই তো অামার স্বপ্নের স্কেচের মুখ; এইতো খুঁজে পেয়েছি অামি।
——–প্লিজ অার বলবেন না, স্যার। প্লিজ….
অামি দু-হাতে মুখ ঢেকে ফেললাম।
অভি অামার কথা শুনলো না। বলতেই থাকলো।
——-গতরাতেই অামি সেই স্কেচটা শেষ করেছি। এজন্যই তোমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম।
তুমি কি সেই স্কেচটা দেখবে পরী??
অামি দু-হাত মুখ থেকে না সরিয়েই কাতর গলায় বললাম,
——–না না… অামি একদম দেখতে চাই। একদম না।
——–অামি তোমাকে ফোর্স করবোনা। তবে স্কেচটা কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে।স্পেশালি তোমার গাল!এত ফাট্টো। ন-দশমাসের চাইল্ডের মত। অাই’ম ফিলিং এ লিটিল বিট শাই।
এভাবে বলতে হচ্ছে। অাসলে, অামি ছোট্ট ছোট্ট নোটগুলো…… এক্সপ্লেইন করতে চাচ্ছিলাম।
ডোন্ট মিসঅান্ডারস্ট্যান্ড মি।
অামি কি বলবো, বুঝতে পারছিলাম না। অভি এতদিন ধরে অামার ছবি এঁকেছে?? ওহ…..
——-তবে স্কেচের মেয়েটা বাস্তবে তাঁর থেকেও বেশি সুন্দর । অাচ্ছা, পরীরা কি এমন গালফোলা হয়??? অাচ্ছা পরী নাম না হয়ে গালফুলি হলে কেমন হয়????
অভি অাবার রেলিং এ কনুই রেখে বাগানের দিকে তাঁকালো।
অামার সমস্ত শরীর কাঁপছে, কলিজা কাঁপছে, হাটু কাঁপছে তখন।
কোনোরকমে বললাম,
——–অামি কি অাপনাকে এক কাপ চা বানিয়ে খাওয়াতে পারি, স্যার??
——– তুমি কি চা বানাতে পারো, গালফুলি??
অামার নিস্তেজ ইগোতে অাগুন জ্বললো অাবার! কি?? অামাকে সামান্য চা বানানো নিয়ে খঁচকা দেওয়া?? হুহ……
এক্ষুণি হাজার কাপ চা বানিয়ে দেখাবো অামি।
অামি অভির জন্য চা বানাতে গিয়ে দেখলাম অাসলেই অামি চা বানাতে পারিনা। চা-পাতা, দুধ, চিনি সব মিলিয়ে কিভাবে রান্না করলে সেটা এক কাপ চা হয়, তা নিয়ে অামি মহা টেনশানে পড়ে গেলাম।
(চলবে)
(যারা আমাদের পেজে আসতে পারছেন না তারা লাইট এপ ব্যবহার করেন)