#ও_ফিরে_এসেছে (পর্বঃ ১)
#Written_by_M.H (Dp)
গভীর রাতে মাইশার রুমে থেকে গোঙ্গানির শব্দ শুনে আঁতকে উঠেন মিসেস শিখা বেগম..।।
নিচ থেকে ঠান্ডা পানিতে আনতে গিয়ে, যেই না সিড়িঁতে পা রাখতে যাবেন..ঠিক সেই মুহূর্তে পাশের রুম থেকে এক ধরণের অদ্ভুত গোঙ্গানির শব্দ শুনতে পান..।
মিসেস শিখা পা টিপে টিপে যথই মেয়ের রুমে অগ্রসর হচ্ছে ততই গোঙ্গানির আওয়াজটা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে…!!
জানালা পাশে আঁড়ি পেতে শুনতে পান গোঙ্গানো সাথে কটকট আওয়াজ.. মনের মধ্যে অজনার ভয় আতঙ্ক শুরু হয়, তার মেয়ের কিছু হয়নি তো…?
তাড়াহুড়ো করে দরজা গিয়ে ধাক্কা দেয় কিন্তু দরজা ভিতর থেকে লক করা..!!
মাইশা তো কোন সময় দরজা বন্ধ করে ঘুমাই না..!! তাহলে কি মাইশার রুমে কেউ ঢুকেছে..?
ভয় আতঙ্কে শিখা বেগম পা কাঁপতে তাকে…!!
গোঙ্গানোর শব্দটা সাথে কটকট দস্তাদস্তি ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে..!!
এবার এমন আওয়াজে শিখা বেগম চুপ করে তাকতে পারলেন না.. মেয়েকে ডাকতে থাকেন…
– মাইশা..মাইশা.. মা মাইশা..! কি হল শুনতে পারছিস না, দরজা খুল মা। মাইশা শুনতে পারছিস।
রুম থেকে মেয়ে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে ভয়ে আতঙ্ক মাইশার বাবা কে জোরে জোরে ডাকতে শুরু করেন।
স্ত্রীর চিৎকার চেঁচামিছি শুনে কাচা ঘুম থেকে ওঠে
বসেন জালাল সাহের। দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে শিখা বেগম কে দেখতে পান তার মেয়ের রুমের দরজার সাথে দাঁড়িয়ে কাঁপছে।
এতক্ষণে মাইশার রুম থেকে অদ্ভুত আওয়াজ থেমে যায় শিখা বেগমের চিৎকার চেঁচামিছি তে..!!
জালাল সাহেব উনার স্ত্রীর কাছে এসে দেখে..শরীর কাঁপাকাঁপি, কঁপাল বেয়ে ঘাম আর চোঁখ দুটি স্পর্ষ্ট ভয়ের ছাপ লক্ষ্য করেন..বুঝতে পারেন ভীষণ ভয় পেয়েছে…!!
শান্ত স্বরে বলেন
– কি হয়েছে, এমন দেখাচ্ছে কেনো তোমাকে ভয় পেয়েছো..?
– অস্ফুট স্বরে বলেন “না ” মানে মাইশা….
– মাইশা মানে..কি বলছো মানে মানে করে , আমাকে একটু কূলাশা করে বল..? আর এমনেতেই তুমি খুব ভয়ে ঘাবড়ে আছো, চলো রুমে…!!
– না ‘ সে মন কিছু না..! বলছি শুনো। ঘটে যাওয়ার সব কিছু খুলে বললে.. চিন্তিত ভয়ার্ত ছাপ স্পর্ষ্ট ভেসে ওঠে জালাল সাহেবের মুখে।
জালাল সাহেব আর চুপ করে না থেকে তার মেয়েকে ডাকতে শুরু করেন।
যখন ভিতর থেকে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে,,
দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন.. উপায় না পেয়ে দরজা ভাঙ্গার জন্য দারোয়ান কে ফোন করতে গেলেই দরজার ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ শুনতে পান। পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে দরজা খুলে গেছে।
মনের মধ্যে অজানা ভয় আতঙ্ক দূর করে দৌড়ে ছুটে যান মেয়ের রুমে..!!
দরজার কাছে এসে দুজনেই আঁতকে উঠে,, যখন মাইশার ক্ষতো বিক্ষতো নগ্ন দেহ টা ফ্লোরে পরে থাকতে দেখে।
হতভম্ব বাকরুদ্ধ হয়ে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকেন জালাল সাহেব। শিখা বেগম চিৎকার দিয়ে ওঠেন মেয়ের এমন অবস্থায় দেখে।
দৌড়ে গিয়ে বিছানার চাদুরটা টেনে মেয়ের নগ্ন শরীরটা ঢেকে দেন।
জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন মেয়ের দেহটা কে নিয়ে..!!
অনেক বার স্ত্রীর ডাকা ডাকিতে কিছুটা জ্ঞান ফিরে আসে জালাল সাহেবের।
দ্রুত এ্যামবুলেন্স কে ফোন দেয়… এ্যামবুলেন্স আসতে আসতে ভোর চারটা বেজে যায়।
হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর যখন, ওটিতে মাইশার ট্রিটমেন্ট করতে থাকে ডক্টর ফারজানা আর ডক্টর শামীম.. তখনেই দুজনেই লক্ষ্য করেন মাইশার মুখ থেকে কুচকুচে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে এসে দেওয়াল বেধ করে বিলিন হয়ে যায় এটা শুধু ড. ফারজানা এই অদ্ভুত দৃশ্যটি দেখে..!! পরে ড. ফারজানা মাইশার মুখের দিকে এক ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকলেও.. ড. শামীম মাইশার স্লীম ফিগারের বার বার নজর দিচ্ছে।
ডক্টর জীবনে এমন পেসেন্ট, এমন স্লীম ফিগার, ধবধবে ফর্সা ২০ বছরের সুন্দরী তরুণী মেয়ের এমন ফিগার কখনো দেখে নি।
মনের মধ্যে এক অজানা শিহরণ বয়ে চলেছে ড. শামীমের..!!
তাই তো বুকের ক্ষত স্থান ছোঁয়ার পাশা পাশি স্লীম শরিল টা কে হাতিয়ে দেখছে…!…হঠাৎ ড. ফারজানার ডাকে ঘুর কাটলো ড. শামীমের।
বিরক্তিকর দৃষ্টিতে তাকায় ড.ফারজানার দিকে.. কারণ ড.শামীম বিখ্যাত স্বনামধন্য সিনিয়র ডক্টর।
ড.ফারজানা উনার দৃষ্টি দেখে খুব বুঝতে পেরেছেন, তার প্রতি খুব বিরোক্ত।
দুজনেই ট্রিটমেন্টে মনোযোগী হন কিন্তু বার বার ড. শামীম মাইশার বিভিন্ন অঙ্গের উপর ড্যাভড্যাব চোঁখে তাকিয়ে থাকেন। তার সমস্থ কাজের ট্রিটমেন্ট ড. ফারজানা সম্পুর্ণ করেন…।।
ওটি থেকে দজনেই বের হয়ে মাইশার বাবা মা দেখেই কে বুঝা যাচ্ছে বেশ আতঙ্কিত ভয়ের চিন্তার ছাঁপ স্পর্ষ্ট বুঝতে পেরে ড. শামীম বলেন…
– রিলেক্স,, ভয়ের কিছু নেই পেসেন্ট এখন অনেকটা বিপদ মুক্ত.. ঘন্টা কানেক পর জ্ঞান ফিরলে আপনারা রোগীর সাথে দেখা করতে পারেন।
এক নাগারে কথা গুলো বলেই ড. শামীম তার কেবিনে চলে জান।
ড. ফারজানা এই প্রথম ড. শামীমের এমন অদ্ভুত আচরণে একটুও অবাক হয়নি কারণ, ড. শামীমের মনে এখন কি ঝড় বয়ে চলছে সেটা কিছুটা আঁছ করতে পেরেছে।
ড. ফারজানা.. মাইশার বাবা মা কে জিঙ্গাস করেন.. এমন অবস্থা কি করে হয়েছে..???
তখন মিসেস শিখা বেগম ড. ফারজানা কে ঘটে যাওয়া সমস্ত কিছু ঘটনা খুলে বলে…!!
শিখা বেগমের কথা শুনে ড. ফারজানা একটা হিসার মিলাতে পারছেন না সেটা হল.. মাইশার সাথে কেউ শারীরিক মিলন না হলে, তাহলে তার শরীরে এমন নকের আঁচড় আসলো কি করে..? আর যৌনাঙ্গের মধ্যে স্পর্ষ্ট রক্তের দাগ তাহলে কি এসব দেখা ঘটে যাওয়া সব ভুল মিথ্যে..??
কিছুতেই কোনো হিসাব মিলাতে পারছে না,,, সবকিছু মাথায় ঝট পাকিয়ে যাচ্ছে। ড. জীবনে এই প্রথম তার ভিন্ন ধরণের এক অদ্ভুত পেসেন্ট হাতে এসেছে…!!
এদিকে ড. শামীম.. মাইশার ধবধবে সাধা স্লীম ফিগার টা দেখে আসার পর থেকে মনের মধ্যে এক অজানা কামুকী শিহরণ বয়ে চলছে…!!
ব্যাচেলর লাইফে ও ডক্টর জীবনে এই প্রথম কোনো মেয়েই নজর কারা স্লীম ফিকার মুগদ্ধ করেছে তাকে..!!
মনে হচ্ছে এখনেই গিয়ে মাইশার স্লীম ফিগারটা স্পর্শ করে আসতে কিন্তু………
হঠাৎ বৈদ্যুতিক বাল্বের জ্বি জ্বি শব্দে ড. শামীমের ঘোর কাটে। হঠাৎ নিভু জ্বলে ওঠা বৈদ্যুতিক বাল্বের এমন সিচুয়েসনে দেখে ঘাবড়ে উঠে…!!
মনের মধ্যে অজানা ভয়ে আতঙ্কে পুরো শরীর ঘেমে একা কার হয়ে যাচ্ছে,, এসি চালু তাকার পরেও
কেনো এমন অদ্ভুত গরম অনুভূতি… ঘটনা ঘটছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না….??
হঠাৎ করে এসির স্বচ্ছ ঠান্ডা বাতাসের সাথে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে এসে পুরো রুম গুটগুটে কালো ধোঁয়া আচন্ন করে ফেলে..!!এতে করে
ড. শামীম কাশতে কাশতে চোঁখ মুখ লাল হয়ে উঠে,, নিঃশ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছে… এক বিধ্বস্ত কাহিল অবস্থা হয়ে পরে…!!
এদিকে দরজা ও খুলছে না । হঠাৎ এমন অদ্ভুত বিপদের স্মুখিন হতে হবে সেটা কখনো অনুধাবন করতে পারে নি…!!
আর কিছুক্ষণ এমন ভাবে চলতে থাকলে মৃত্যু নিশ্চিত অবধারিত……….
কোনো বিষয়ে ডিস্কাস করতে ড. শামীমের চেম্বারে আসতে থাকেন ড. ফারজানা। যখন দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতে যাবেন তখনেই ফ্লোরে হাঁটু গিরে বসে থাকা ড. শামীমের বিধ্বস্ত চেহারা ও রক্তাক্ত চোঁখ দুটি দেখে ভয়ে দু পা পিছিয়ে আঁতকে উঠে ড. ফারজানা…!!
মুহূর্তে ই চোঁখ যায় এসির দিকে, স্পর্ষ্ট দেখতে পায় সেই কালো ধোঁয়া.. যেটা মাইশার মুখ থেকে বেরুতে দেখে ছিল।
চোঁখের পলখে নিমিষেই কালো ধোঁয়াটা অদৃশ্য হয়ে যায়।
ড. ফারজানা দাঁড়িয়ে না থেকে ড. শামীম কে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়, ফ্রেশ হয়ে ইজি চেয়ারে বসিয়ে দেয় ড. শামীম কে।
২০ মি. ড. শামীম যখন কিছুটা সুস্থ ফিল করে তখন তা দেখে ড. ফারজানা বলে উঠে..
– স্যার.. আপনি ঠিক আছেন তো..?
– হুম…বলে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
– স্যার কিছু মনে না করলে, বলবেন কি আপনার সাথে ঠিক কি হয়ে ছিল..? যার কারণে এমন অবস্থা হয়ে আপনার।
– অস্ফুট স্বরে বলে ” না তেমন কিছু না ” আসলে হয়েছে কি…..ড. ফারজানাকে সব ঘটে যাওয়া সমস্ত কিছু খুলে বলে।
ড. ফারজানা এভার বেশ না ১০০% শিউর মাইশার শরীরে এমন অদ্ভুত কিছু আছে যা কেউ কু নজর বা তার কোনো ক্ষতি করতে চাইলে, সেঁ অদ্ভুত জিনিসটা তাকে সাহায্য করে আর ঐ ব্যক্তি কে শাস্তি দেয়,, যেটা ড. শামীম কিছু একটা করার করণে তার শাস্তি পেয়েছে বা সংকেত দেখিয়েছে.. এমটা চিন্তা করলেন।
– এই যে মিসেস ড. ফারজানা কি চিন্তা করছেন। এমন ধ্যান করে বসে আছেন যে…ও হ্যালো…!!
– চিন্তা জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে ড. শামীমের কথায়…। না.. না..কিছু চিন্তা করছি না (আঁমতা আঁমতা করে উওর দেয়)
– ও..!! ওকে ফাইন চলেন বাসায় যাওয়া যাক,, সকাল ৮ টা বেজে গেছে।
এই বলে যখন ড.শামীম সাহেব মুঁচকি হাসি দিয়ে ওঠে দাঁড়ালেন তখন ড. ফারজানা বলে উঠে…
– মাইশার ব্যাপারে কোনো বাজে উঙ্গিত বা কিছু করতে চাইছিলেন স্যার..??
এমন কথা শুনে ড.শামীম সাহেরের হাস্যজ্জল মুখটা নিমিষেই ফ্যাকাশে হয়ে যায়…..
বিষন্নমাখা মুখ দেখে ড. ফারজানা একদম অনুমান চিন্তা শক্তি শিওর ড. শামীম কোনো কু মতলব করছিল,, যার কারণে এই অবস্থা…?
ড. ফারজানার কথার কোনো আন্সার না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে পাচঁ কদম এগুতেই আবার ড. ফারজানা প্রশ্ন করেন…..
– মাইশাকে নিয়ে, মনে কোনো কু মতলব থাকলে ঝেঁড়ে ফেলুন,, সেটা আপনার জন্য মঙ্গোল জনক হবে,,, ড. শামীম সাহেব।।
– ঘাড় পিছনে ঘুরিয়ে, ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে জিঙ্গাস করে ” মানে, কি বুঝাতে চাইছো “..?
– মানে টা খুব সিম্পল, আপনার সাথে মুহূর্তে ঘটে যাওয়া ব্যাপারটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে..??
– গভীর স্বরে বলে..তুমি বুঝাতে চাইছো এটা ভূত প্রেতের কাজ..।।
– ব্যাপারটা ঠিক তা না, আবার হতেও পারে..!!
– এভার বেশ বিরোক্ত নিয়েই জবাব দেয়..এনাফ ড. ফারজানা এনাফ,,এসব ভূত প্রেত আজঘুবি কথা বিশ্বাস করেন,, তাও আবার একজন ডক্টর হয়ে..!! এটা হ্যালোসেনিশন হতে পারে..! পৃথিবীতে ভূত প্রেত বলতে কিছুই নেই.. ওকে..!!
যত্তোসব বলে দরজা খুলতে নার্স এসে হাজির..!
কিছুক্ষণ ড. শামীমের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে..ড. ফারজানা কাছে এসে বলে..ম্যাম খুব
অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেছে ২০৫ নম্বর পেসেন্ট একদম সুস্থ, আর অদ্ভুত বিষয় এটা মেয়েটার শরীরে কোনো ক্ষতো বিক্ষতো চিহৃ টুকুও নেই…….
নার্সের মুখে এমন কথা শুনেই ড. শামীম ও ড. ফারজানা দুজনেই হতভম্ব,,,,ভোর থেকে এমন অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা মস্তিষ্কে অনরকম প্রভাবিত করছে কেমন এক ডিপ্রেশনে পরে গেছে…!!
ঘটনা সত্যতা জানার জন্য দুজনেই চেম্বার থেকে বেরিয়ে যেতে গেলেই হঠাৎ ড. ফারজানা দাড়িয়ে যায়, ” স্যার আপনি এগুন,,ভুলে আপনার চেম্বারে সেলফোন টা ফেলে রেখে আসছি..আমি এখনেই নিয়ে আসছি “..।।
এই বলে ড. শামীমের চেম্বারে ঢুকে দেখে ঐ নার্সটা ঠিক উল্টো ফিরে দেওয়ালের দিকে ফিরে একদম মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে…!!
ড. ফারজানা সেদিকে ভ্রু হস্তক্ষেপ না করে ফোনটা নিয়ে দরজার কাছে এসেই ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখে – যেমনটা দেখে ছিল ঠিক সেমনটাই নার্স দাঁড়িয়ে তাকতে দেখে জিঙ্গাস করে…..
– কি ব্যাপার নার্সা , এমন মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছো কেন.. যাও পেসেন্টের কাছে যাও.. (বিরোক্তিকর স্বরে)
বার বার ডাকার ফলে নার্সের রেন্সপন্স না করাই ভীষণ রেগে গিয়ে নার্সের কাঁধে হাত দিয়ে ঘুড়িয়ে দাঁড়ালে.. নার্সের ভয়ঙ্কর চেহারা, কোলো মুখ তুবড়ে মাংস কষে পরা, চোঁখ দিয়ে টপটপ রক্তে ফুটা.. এমন ভয়ঙ্কর নার্সের চেহারা দেখে মুহূর্তে ই জোরে চিৎকার দিয়ে দু পা পিছিয়ে আসে ড. ফারজানা…………
এদিকে ড. শামীম ২০৫ নম্বর মাইশার রুমে ঢুকে আঁতকে উঠে..!!
দরজায় স্থির দাঁড়িয়ে থেকে শরীর কাঁপতে শুরু করে,, মাইশার চেহারাই অন্য একটা মেয়ের আবরণ চেহারা দেখে ভয় আতঙ্কে অস্ফুট ভাবে মুখ দিয়ে বেরিয়ে
আসে.. ” আলিশা “………………..??
চলবে..
.
.