#গোধুলীর_শেষ_প্রহরে
#পর্বঃ২২
#রাউফুন (ছদ্মনাম)
‘পেশেন্ট আর কোনো দিন কথা বলতে পারবে কিনা তার কোনো গ্যারান্টি দিতে পারছি না ডক্টর শাম্মী!’
‘এসব কি বলছেন ডক্টর? আমার ছেলে আর কথা বলতে পারবে না? না না ডক্টর আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। এটা হতেই পারে না। নিশ্চয়ই কথা বলতে পারবে ও। আমাকে মা ডাকবে আমার ছেলে। আমি যে কত বছর থেকে অপেক্ষায় আছি ওর মুখ থেকে মা ডাক টা শুনবো বলে! নিশ্চয়ই কথা বলতে পারবে। আমার মাহেত কথা বলবে।’
‘দেখুন ডক্টর শাম্মী, আপনি শান্ত হোন। আমরা চেষ্টা কম করিনি। উনার মাথায় যে ফ্র্যাকচার টা হয়েছিলো সেটা ছোট হলেও সমস্যা টা ছিলো বড়। সব ডক্টর এই ছোট সমস্যা থেকে যে বড় কিছু হতে পারে বুঝতে পারবে না সহজেই। আপনারা আগে কেন এর চিকিৎসা করান নি। আমার যেটুকু মনে হলো এটা অনেক পুরনো ক্ষত। এই ক্ষতের জন্য মাথা ব্যথাটা কম হবে কারণ এক জায়গায় র’ক্ত জমাট বেঁধে ছিলো। বড় হওয়ার সাথে সাথে এটা ছোট আকার ধারণ করেছে ঠিকই কিন্তু ব্রেইনের মেইন স্থানে এসে বসেছে আস্তে আস্তে। আমরা সেই র’ক্তের ছাঁ’চ টা সরাতে সক্ষম হয়েছি ঠিকই কিন্তু ব্রেইনের সঙ্গে তো গলা, নাক, কান, এসব কানেক্টেড। যেহেতু র’ক্তে’র ছাঁচ টা সরাসরি মাথার উপরের দিকে সেহেতু সোজা ওর কণ্ঠনালীর সঙ্গে এফেক্টেড হয়ে গেছে। তাই র’ক্তের ছাঁচ সরানোতে পেশেন্টের কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে গেছে। উনি যে একেবারেই আর কথা বলতে পারবেন না তা নয়। যখন তখন উনি কথা বলে উঠতে পারেন। আবার সারাজীবন বো’বা ও হয়ে থাকতে পারেন। আমরা এর গ্যারান্টি দিতে পারছি না। স্যরি ডক্টর শাম্মী। আপনিও তো একজন ডক্টর নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কি বুঝাতে চাইলাম। আর পেশেন্ট কে চিন্তা মুক্ত রাখবেন। খেয়াল রাখবেন উনি যেনো আবার বড় কোনো শকট না পাই। পেশেন্ট এর জ্ঞান ফিরলে দেখা করতে পারবেন।’
বলেই ডক্টর চলে গেলেন। শাম্মী দু হাতে মাথা চেপে বসে পরলেন। উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে গেছে। সবার চোখ জলে টইটম্বুর। গাল গলিয়ে টপটপ করে পরছে। মুহুর যখনই ডক্টর এর কথা গুলো কর্নপাত হলো সে হতভম্ব হয়ে দু কদম পিছিয়ে এলো। শরীর অবস হয়ে আসছে তার। ফুলবাবু যে তার অস্তিত্ব,মন, প্রান সবটা। তার মাঝেই নিজেকে বিলীন করে দিয়েছে সে। তার নিজের অস্তিত্বের এমন বেহাল অবস্থা কি করে মানবে সে। আস্তে আস্তে ওর চোখ বন্ধ হয়ে এলো। লুটিয়ে পরতে নিলো সে তার আগেই কেউ একজন দু হাতে আগলে নিলো। সবাই মুহুকে পরে যেতে দেখে বিচলিত হয়ে চিৎকার করে উঠলো মুহুর নাম ধরে। পরক্ষণেই সবাই তাকালো মুহুকে আগলে রাখা মানুষ টির দিকে।
তৌহিদের বাড়ি থেকে অটো বা টেক্সিতে হসপিটাল আসতে দশ মিনিট সময় লাগে। অবশ্য হসপিটালের মধ্যে ঢুকে কুহুকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়েছে ওঁকে। অতঃপর রিসিপশন থেকে জেনে নিয়েছে আজকের সুই’সাই’ডের পেশেন্ট কোন ক্যাবিনে ভর্তি। প্রথমে রিসিপশনিস্টের একটু সমস্যা হয়েছে। কারণ পুরো হসপিটালের শুধু মাত্র একজন সু’ইসা’ইডাল ক্যাস তো আর হয়নি। আরও অনেকে এই রকম বোকা লোক আছে। যারা নিজেকে ভালোবাসতে জানে না। আবার অন্যের জন্য নিজের জীবন দিতে বসে। আগে নিজেকে ভালোবাসো বোকারা তারপর না অন্যকে ভালোবাসবে। এভাবে সে কুহুকে খুৃঁজে পাবে না তাই সে পরবর্তীতে ভাবলো প্রিতির নাম বললে হইতো চিনবে। প্রিতির নাম বলতেই চিনে ফেলেছে। এরপর সে খুঁজে পেয়েছে কুহুকে। কুহুকে দেখেই তার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠেছিলো। আনন্দের সেই হাসি মুহুর্তের মধ্যে মিলিয়ে যায়। পরক্ষণেই দেখলো মুহু শরীর ছেড়ে দিয়ে লুটিয়ে পরছে মাটিতে৷ কোনো রকমে এগিয়ে এসেই ধরে ফেলে সে মুহুকে। সবাই তৌহিদ কে দেখে অবাক হয়ে গেছে। কুহু দুই ভ্রু সংকুচিত করে প্রশ্ন করলো,
‘তৌহিদ আপনি এখানে?’
‘আমি এখানে কেন সেটা পরে বলছি। আগে মুহুকে ধরুন।’
প্রিতি এই পর্যায়ে কান্না করে দিলেন শব্দ করেই। কুহু কথা বাড়ালো না। জ্ঞান শুন্য মুহুকে একটা ব্যাডে শুইয়ে দিলো তৌহিদ।
এরপর প্রিতিকে অপ্রসন্ন গলায় জিজ্ঞেস করে,
‘আন্টি মুহুর এই অবস্থা কেন? কি হয়েছে ওর?’
প্রিতি কিছু বলতে পারলেন না। একবার তৌহিদ কে দেখলেন তিনি। অফিসের ফর্মাল ড্রেস এখনো অব্দি ওর পরনে। অফিস ব্যাগ কাধে ঝুলানো। নিশ্চয়ই অফিস থেকে সরাসরি এসেছে এখানে। কেন এসেছে মনে প্রশ্ন জাগলেও চুপ রইলেন তিনি। চোখের পানি মুছে ইনজেকশন নিয়ে এলেন। ইনজেকশন এ জ্ঞান ফেরার লিকুইড ভরে পুশ করলেন মুহুর হাতে। তৌহিদ কুহুর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে ইশারায় বুঝালো, ‘কি হয়েছে সব ঠিক আছে তো?’
কুহু আস্তে আস্তে বলে , ‘বাইরে আসুন বলছি সবটা!’
ওরা বাইরে এলো। বাইরে এসে কুহু দুই ক্যাবিনের দুজনকে দেখালো। প্রথমে সারাফ কে তারপর শৈবাল কে। তৌহিদের ক্ষোভের উদ্রেক হলো শৈবাল কে দেখেই। তার সামনে তার বোনকে এই ছেলেটা কতটা জঘন্য, কতটা নগন্য ভাবে স্পর্শ করেছিলো। সে শুধু স্পাইনলেসের মতো সব টা দেখেছে সেদিন। কিছুই করতে পারে নি সে। নিজের উপর এবং শৈবালের উপর আজ প্রচন্ড রাগ হলো। শক্ত চোয়ালে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে উঠলো,
‘কুহুলতা শৈবাল এখানে?’
‘হ্যাঁ শৈবাল ই সেই ছেলে যাকে আমি রিজেক্ট করার পর সু’ই’সা’ই’ড করার চেষ্টা করেছে।’
‘কিহ? শৈবাল? শৈবাল আপনার জন্য সু’ই’সা’ইড করেছে?’
‘হ্যাঁ!’
তারপর সে বাকি সব কিছু খুলে বললো যা কিছু হয়েছে। সারাফের সব টা শুনে তৌহিদের খারাপ লাগলেও শৈবালের জন্য ভেতর থেকে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। হাইরে দুনিয়া। নিয়তি কখন কাকে কোথায় এনে দাড় করাই বুঝা মুশকিল! একদিন তার বোনের সাথে যে অন্যায়, জঘন্য অপরাধ শৈবাল করেছিলো সেটা সে এখন ফিরে পাচ্ছে গুনে গুনে। একদিন যে আমার বোনের সাথে অন্যায় করেছে আজ তার শাস্তি সে নিজেই নিজেকে দিয়েছে নিজের অজান্তেই। শক্ত দেয়ালে লেগে একদিন না একদিন নিজের ছুরা তী’র নিজের গায়েই লাগে। প্রকৃতি সব টা সময়ের সাথে সাথে ফিরিয়ে দেই। শুধু একটা অপেক্ষা!
শাম্মীও ক্যাবিনের বাইরে বসে আছেন। একদিকে তার ছেলের চিন্তা আর অন্য দিকে মুহু মেয়েটা। তিনি বুঝতে পারছেন মুহু মাহেত কে কতটা ভালোবাসেন। তিনি অনড়ভাবে অপলক নয়নে সাহিরার দিকে তাকিয়ে আছেন। সেই দৃষ্টির সম্মুখে সাহিরাও অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন শাম্মীর দিকে। কিছু বলার মতো ভাষা তিনি খুজে পাচ্ছেন না। সে যত যায় হোক অপরাধী শাম্মীর কাছে। একজন মায়ের চোখে তার অপরাধ কোনো অংশে কমে যাবে না। একজন মা তার সন্তানের জন্য কতটা ডেস্পারেট হতে পারে সেটার বাস্তব প্রতিচ্ছবি শাম্মী। সাহিরা কিছুই মনে করেনি শাম্মীর এরকম ভাবে তাকে একিউস করাই। বরং এটা ভেবে কষ্ট হচ্ছে যে এতো বছর পর ছেলেকে পেয়েও তার মুখ থেকে মা ডাক টা শুনতে পারবে না। হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে গেলেন সাহিরা। দুচোখ বন্ধ করে ভেতর টা কে শান্ত করার চেষ্টা করলো। কিন্তু না শান্তি নেই।কোথাও এতো টুকুও শান্তি নেই।
•
সুপ্রিয় সেই কখন থেকে তানহার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কোনো ভাবেই একটি বারের জন্যও তানহা বারান্দায় বেরোই নি। ওঁদের বাড়ি টা একতলা বিশিষ্ট। চারটি রুম বোধ হয়। এখন কথা হচ্ছে দরজা তো লক। এরপর জানালাও বন্ধ। সন্ধ্যার পর সাত টার দিকে রোজ তানহা বারান্দায় কাপড় তুলতে আসে। আজ কাপড় ও নেই। রাস্তা থেকে স্পষ্ট দেখা যায় তানহার বারান্দার সবকিছু। সে উপায় না পেয়ে দেয়াল টপকে তানহাদের বাগানে আসে। শব্দ না করে তানহার রুমের জানালার কাছে গিয়ে ফিসফিস করে ডাকলো,
‘তানহা!’ একবার দুবার তিনবার। এরপরে জানালার কাচে টোকা দিলো সুপ্রিয়।
এতক্ষন তানহা সটকা মেরে চুপচাপ পরছিলো। একটা ধুপধাপ শব্দ সে পেয়েছে।একা একা বাড়িতে ভয় করছে তার। সন্ধ্যার পর সে আজই প্রথম একা রয়েছে। এর আগে তার বাবা ছিলো তখন বাবার রুমে গিয়ে পড়তো। কিন্তু এখন তো আর বাবা নেই। বাবা নেই ভাবতেই ভেতর টা দুমড়ে মুচড়ে উঠছে তার। এরপর তার ভাই নিয়মিত সন্ধ্যা সারে ছয়টাই বাড়ি আসে। ভয় পাওয়ার কোনো কারন থাকে না। কিন্তু আজ ভয়ে শেটে আছে সে। চার বারের বার তার নাম ধরে কেউ ডাকছে তাও তার জানালার কাছ থেকে। এইবারে তানহার টনক নড়লো। হ্যাঁ স্পষ্টই তাকে কেউই ডাকছে। ভু’ত টু’ত নয় তো? সে ছোট বেলাই শুনেছে ভুত কখনো তিন বারের বেশি ডাকে না। যদিও ভু’ত প্রে’তে ওর বিশ্বাস নেই। তবুও এখন ভয়ে ভয়ে উঠলো টেবিল থেকে। কারণ এখন তাকে যে ডেকেছে সে চার বার ডেকেছে। তার মানে কোনো মানুষ! সে ভীত স্বরে বলে,
‘কে আছো ওখানে? ক-ক-কে?’
অস্পষ্ট উত্তর এলো, ‘তানহা আমি! ‘
‘আমি কে?’
‘আরে আমি সুপ্রিয়! জানালার কপাট টা খুলো প্লিজ!’
সুপ্রিয় নাম টা শুনেই ধড়াস করে উঠলো তার অন্তস্থলে। হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে। যেনো মনে হচ্ছে হাতুড়ি পেটাচ্ছে কেউ তার হৃদয়ে। দুরুম দুরুম করছে ভেতর টা!
অপাশ থেকে আবার আওয়াজ এলো,
‘কি হলো তানহা জানালা টা খুলো?’
তানহা দ্বিতীয় বার চমকালো। সে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে শুধাই,
‘আপনি? আপনি এখানে কেন?’
‘প্রেমিকা কে দেখতে এসেছি! এবার জানালো খুলো!’
তানহা বিরাগ নিয়ে বলে, ‘অসম্ভব! আমি জানালা খুলবো না!’
সুপ্রিয় তেছড়া ভাবে বলে, ‘ওহ আচ্ছা বুঝেছি। জানালা থাক তবে। দরজা খুলে দেও ভেতরে আসি। কি বলো?’
তানহা বেশ বুঝলো সুপ্রিয়ের ব্যাঙ্গাত্মক বানী। সে শ্লেষাত্মক কন্ঠে বলে,
‘আশ্চর্য আমি দরজা খুলে দিতে যাবো কেন?’
‘তাহলে ভালোই ভালোই জানালার কপাট খুলে দেও!’
‘আপনার লজ্জা করে না! আপনি অন্য নারীকে বিয়ে করছেন কিছু দিন পর। আর এখন আপনি এসেছেন পর নারীর সঙ্গে দেখা করতে?’
‘না লজ্জা কেন করবো। হবু বউকেই তো দেখতে এসেছি।’
‘মানে?’
‘মানে কিছু না। জানালা টা খুলো। একটু দেখি তোমাকে। এখানে প্রচুর মশা। কামড়ে শেষ করে দিলো বাবারে!’
তানহা বিরাগ নিয়েও ঠোঁট চেপে হাসলো।সে আলতো হেসে বলে,
‘বেশ হয়েছে মশা কামড়েছে! পর নারীকে দেখতে চাওয়ার এইটাই শাস্তি।’
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো আওয়াজ এলো না। বেশ কিছুক্ষন কোনো সারা শব্দ না পেয়ে তানহা ভাবলো হইতো সুপ্রিয় চলে গেছে। আস্তে করে জানালার কপাট খুলতেই ওর মুখে আলোর ঝলকানি লাগলো। সুপ্রিয় ফোনের ফ্লাস জ্বালিয়ে ওর মুখো পানে ধরেছে। চোখ মুখ খিচে বন্ধ করলো তানহা। সুপ্রিয় অপলক নয়নে দেখলো তার প্রেয়সীকে। চোখ বন্ধ অবস্থায় ওর রুপের ছঁটা যেনো আরও ছঁলকে পরছে। প্রান ভরে দেখতে লাগলো সে তার প্রানেশ্বরী প্রিয়তমাকে। তার চোখে রয়েছে একরাশ মুগ্ধতা। মহাআকাশ সম এক আকাশ ভালোবাসা। এই মেয়েটাকে প্রথম দেখেই ভালোবেসে ছিলো সে। কিন্তু এতো ঘুরেও পাত্তা মেলে নি মেয়েটার থেকে। ফোস করে দম নিলো সে। হঠাৎ ওর ফোন টা ভাইব্রেট হলো। সে ফোন টা বের করে দেখলো ‘মা’
লেখা। সে এক পলক তানহা কে দেখে হাসলো। তারপর একটু দূরে গিয়ে ফোন টা রিসিভ করলো।
তানহা এখনো বিমুঢ়। জানালার কপাট এখনো খোলা। এভাবে যে সুপ্রিয় তার সাথে ট্রিকস করবে সে আন্দাজ করে নি। বুকের দপদপ শব্দ টা বেড়েছে আরও। এই বুঝি পাম্প হতে হতে ফেটে যাবে হৃদপিণ্ড টা। আবারও নিস্তব্ধতা। কোনো আওয়াজ নেই। চারপাশে ঝিঝি পোকা উদ্ভট আওয়াজ দিচ্ছে। সে চোখ মেলে চাইলো। কিন্তু না কেউই নেই। সে ভালো ভাবে লক্ষ্য করেও কারোর ছাঁয়াও দেখতে পেলো না।
‘তাহলে কি সত্যিই এবার চলে গেলেন উনি!’
অভিমানে নাক ফুলালো সে। কেন যেনো অভিমান হলো তার। এভাবে এসে না বলে চলে যাওয়ার মানে টা কি? গাল ফুলিয়ে অগ্রসর হলো খাটের দিকে। বাতাসে জানালার কপাট টা জোরে তাল দিলো। বিকট শব্দ হলো তাতে। তানহা বিরক্ত হয়ে অনিচ্ছা সত্তেও জানালার কপাট লাগিয়ে দিলো।
#চলবে