গোধূলি বেলায় পর্ব ১৩

#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_13

আনন্দির আর হোস্টেলে ফিরে যাওয়া হল না। পরের দিন আনন্দি সবাইকে সবটা বলে কিন্তু সমাপ্তর অ্যাবোর্শান করানোর কথাটা বলে না। সবাইকে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে এই বাচ্চাটা আসছে বলে সবাই কতোটা খুশি এরমধ্যে ওই কথাটা বললে সবাই বেশ রাগ করত হয়তো সমাপ্তকে নানা কথার সম্মুখীন হতে হতো। আনন্দি এটা চায় নি তাই ওই কথাটা স্কিপ করে যায়।
যতোই হোক সমাপ্ত ওর স্বামী আর বাঙ্গালী মেয়েরা তো স্বামীর জন্য নিজের জীবনও দিতে পারে সেখানে স্বামীকে সবার সামনে ও ছোট করে কিভাবে!

পরের দিন থেকে বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ আনন্দির উপর অত্যাচার শুরু করে। যে যা পাচ্ছে খাইয়ে যাচ্ছে। কোন প্রকার হাটতে বা কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না আনন্দিকে। এমন কি খাওয়ার জন্য দোতলা থেকে নিজে আসারও কোন অনুমতি নেই আনন্দির। এতে নাকি বেবি কষ্ট পাবে। আনন্দির ভয় লাগে এতো খাচ্ছে আর ঘরের মধ্যে বসে শুয়ে কাটাচ্ছে ও না এবার ফুটবলের মতো গোলগাল হয়ে যায়। এমনিতেই মেয়েদের প্রেগনেন্সির সময় একটু ওয়েট বাড়ে ওর ক্ষেত্রে তো ডাবল হবে বলেই মনে হচ্ছে।

আনন্দির ভার্সিটি থেকে মেডিকেল লিভ নেওয়া হয়েছে ও শুধু গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসবে। যদিও এমন নিয়ম নেই তবে অনেক বোঝানোর পর প্রিন্সিপালের থেকে অনুমিতটা নেওয়া গেছে। এমনিতে আনন্দি মেধাবী ছাত্রী হওয়াতে অন্য টিচাররাও হেল্প করেছে।

আনন্দির অবশ্য ভাল লাগছে যে রিসেন্টলি ওর ইয়ার ফাইনাল শেষ হয়েছে। আবার একবছর পর হবে পরীক্ষা, ততদিতে পিচ্চুটা বাইরে এসে হাটাহাটি শুরু করবে।
হাটাহাটি এতো তাড়াতাড়ি করবে না কিন্তু আনন্দি মা হবার আনন্দে উল্টো পাল্টা চিন্তা করে চলে দিন ভর। এসব চিন্তার মধ্যে খামখেয়ালীপনাই আছে বেশী।

তবে শুধু আনন্দি নয় মনোয়ারা বেগম আর আরফাও যোগ দিয়েছে আনন্দির সাথে। ওরা তিনটিতে মিলে যেন বাচ্চাটা নিয়ে সব প্লানিং শেষ করে ফেলেছে। ছবি কিংবা সিনেমার মতো আনন্দি যে ঘরে থাকে সেই ঘরের প্রত্যেকটা দেওয়াল পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চার ছবি দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আনন্দি সারাদিন ওই ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে আর ওর বাবুকে নিয়ে ভাবে। তবে ঘরে বেশির ভাগ মেয়ে বেবির ছবি টানানো। এই ছবিগুলো দেখে কেন যেন আনন্দির মনে হয় ওরও মেয়ে বাবু হবে।

মাঝে মাঝে আনন্দি আর আরফা মিলে শপিং এও যায় বাচ্চাদের নানা ধরনের জিনিসপত্র সব কেনা কমপ্লিট শুধু জামাকাপড় ছাড়া।
আনন্দি আবশ্য বেশ কিছু জামা কাপড়ও কিনেছে। ওর কেন যেন মনে হয় ওদের মেয়ে বাবু হবে। তবে জামাগুলো একদম পিচ্চি বাচ্চার জন্য জিরো সাইজের নেওয়া হয়েছে। আর জিরো সাইজোর জমাগুলো মোটামোটি সব বাচ্চাই পড়তে পাড়ে। ওগুলো মোটামুটি ছেলেবাবু মেয়েবাবু সবার কথা চিন্তা করেই বানানো হয় তাই সমস্যা হয় না।

তবে এই সব থেকে অনেকটা দুরে আছে সমাপ্ত। সেদিন সবাই সবটা জানার পর থেকেই আনন্দিকে নিজের ঘরে নিয়ে গেছেন মনোয়ারা বেগম। তার মতে এখন আনন্দির এক্সট্রা কেয়ার দরকার যা সমাপ্ত পারবে না।
এমনিতে ছেলেরা গুছিয়ে কারও যত্ন নিতে পারে না তার উপর উনার ছেলের সম্পর্কে উনার ভীল অভিজ্ঞতা আছে। দেখা যাবে রাতে আনন্দির কোন প্রয়োজনে ওকে ডাকছে আর ও সেটা না শুনে ভোসভোস করে ঘুমাচ্ছে।
আর উনি অভিজ্ঞ মানুষ উনার কোন সমস্যা হবে না। আর তারপর থেকেই দুরুত্ব বেড়েছে সমাপ্ত আর আনন্দির মধ্যে। সমাপ্ত এখন ওর বাবার সাথে ঘুমায়।

সমাপ্তর চলাফেরাতে বোঝা যায় না তার জীবনে এমন একটা পরিবর্তন আসতে চলেছে। ও আগের মতো খাচ্ছে ভার্সিটিতে যাচ্ছে বন্ধু আড্ডায় যোগ দিচ্ছে পড়াশোনা করছে।
প্রথমে কয়েকদিন আনন্দির সাথে কথা বলার প্রচুর চেষ্টা করেছিল সমাপ্ত কিন্তু সবাই আনন্দিকে এমনভাবে ঘিরে রাখত যে কোন স্কোপ পেত না।
আর সত্যি বলতে আনন্দিও চাইতো না ওর মনে তখনও ভয় ছিল সমাপ্ত সবার আড়ালে হয়তো বাচ্চাটা নষ্ট করে দিবে তাই সমাপ্তর থেকে দুরত্ব রাখত ও।

সময় পেরিয়ে যায়,,,

আনন্দির প্রেগনেন্সির পুরোটা সময় ওকে ওর পরিবারের লোকরা ঘিরে রেখেছিল। এখন আনন্দির প্রেগনেন্সির লাস্ট স্টেজ চলছে। এখন আনন্দি একা একা চলতে পারে না। ওর পেটটা বেশ বড় হয়ে গেছে।
অনেক কষ্ট হয় হয় অানন্দির। প্রেগনেন্সির প্রথম আর লাস্ট স্টেজে মেয়েদের বেশী কষ্ট হয়। আর আনন্দি এই দুটোই ফেস করেছে।

এখন অবশ্য ডাক্তার বলায় আনন্দি প্রত্যেকদিন বিকেল বেলা বাড়ির নিচে লনে হাটাহাটি করে। সারাদিন শুয়ে বসে থাকতে কার ভাল লাগে। মনে হয় যেন একটা বন্দী জীবন পার করছে।

আজ বিকেলে লনে হাটার সময় আনন্দির হঠাৎ পেট ব্যাথা শুরু হয়। যেহেতু ওর প্রেগনেন্সির লাস্ট স্টেজ চলছিল তাই এটাকে লেবার পেইন বলা যায়।
কেউ রিস্ক নিল না আনন্দিকে সরাসরি হসপিটালে নেওয়া হল।

ডাক্তার আনন্দিকে প্রথমে একটু চেকআপ করে তারপর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলেন। সবাই বাইরে বসে অপেক্ষা করছিল।

আরফার হঠাৎ মনে হল সমাপ্তকে জানানো হয় নি। আনন্দির যখন লেবার পেইন ওঠে তখন ও বাসায় ছিল না। ওদের হসপিটালে আসার অনেকক্ষণ হয়েছে। এখন হয়তো সমাপ্ত বাসায় ফিরেছে।

আরফা যখন সমাপ্তকে ফোন করল তখন ও বন্ধু আড্ডায় ব্যস্ত ছিল। আনন্দির কথা শোনার পর ওর বেশ রাগ হয়। এতো দীর্ঘ সময় ধরে আনন্দির ওর সাথে কথা না বলার জন্য ওর বেশ রাগ হয়েছিল আনন্দির উপর।
ফোন রাখার পর মনে মনে সিধান্ত নিয়েই নিয়েছিল যাবে না ও। ওকে ছাড়ায় তো সব চলল এতো গুলো দিন।আজও ওকে ছাড়ায় সব হবে। ওর যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

কিন্তু পরক্ষনেই কি হল কে জানে। হঠাৎ করে বন্ধু আড্ডা থেকে উঠে পড়ল সমাপ্ত। সবাই জিজ্ঞাসা করতে থাকল কি হয়েছে? ও কোথায় যাবে?
কিন্তু কারও কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সমাপ্ত সরাসরি হসপিটালে চলে আসল।

হসপিটালে এসে দেখলো তখনও আনন্দির ডেলিভেরি কমপ্লিট হয় নি। সবাই অপারেশন থিয়েটারের বাইরে বসা। সমাপ্ত নিজেকে সেই জায়গাটাতে আবিষ্কার করে বেশ আবাক হল। ও তো ভেবেছিল আসবে না। তাহলে হঠাৎ ওর কি হল। মনে হচ্ছে যেন ও আসে নি পা দুটো ওকে চালিত করে নিয়ে এসেছে।

হঠাৎ করে অপারেশন থিয়েটারের দরজাটা খুলে গেল। একজন নার্স এসে দাড়ালো একটা ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে। এবারও সমাপ্ত এগিয়ে গেল। কেউ আসার আগেই ও গিয়ে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিল।
বাচ্চাটা তার ছোট ছোট ঠোট দুটো নেড়ে কাঁদছিল। সমাপ্তর মনে হল যেন কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছে। কেন কাঁদছে ওর মেয়ে। ও ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,,

– ও কাঁদছে কেন মা? এতো কান্না করছে কেন?

মনোয়ারা বেগম মুখে একরাশ হাসি ফুটিয়ে তুললেন। তবে তার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই একটু আগে কি ভীষন চিন্তার মধ্যে ছিলেন উনি। মুখে হাসি ফুটিয়েই উত্তর দিলেন,,

– বাচ্চারা প্রথম পৃথিবীতে এসে ওমন একটু কাঁদে। বরং না কাঁদলে তাকে মেরে মেরে কাঁদানো হয়।

সমাপ্ত বাচ্চাটাকে বুকে সাথে জড়িয়ে ধরে বেশ বাচ্চাদের মতো করে বলল,, কেন মারতে হবে কেন? ওর যদি কাঁদতে মন না চায় কাঁদবে না তার জন্য মারতে হবে কেন এতোটুকু একটা পিচ্চি বাচ্চাকে ?

মনোয়ারা বেগম খানিকটা হাসনেল। মনে মনে ভাবলেন আমার ছেলেটাই তো এখনও বাচ্চা আছে। কি রকম বাচ্চাদের মতো করে কথা বলছে। আর ওর নাকি আবার একটা বাচ্চা হয়ে গেছে ভাবা যায়।
তারপর বোঝানোর ভঙ্গিতে বলল,, বাচ্চারা জন্মের পর যদি কাঁদে তাহলে তাকে স্বাভাবিক বাচ্চা বলে ধরা হয় আর না কাঁদনে অস্বাভাবিক মনে করা হয়। তাই বাচ্চার স্বাভাবিকতা প্রমান করার জন্য মেরে কাঁদানো হয়। তবে নিজে থেকেই কাঁদলে এমন কিছু করে না।

সমাপ্ত যেন বাচ্চাটাকে আরও বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল। বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে খানিকটা সময় অন্য মনস্ক হয়ে ভাবল।
কয়েকবছর আগে এই হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে দেখা হয়েছিল আনন্দির সাথে। সেদিন আনন্দির জীবন মরন আশংকা ছিল। সেদিনও সমাপ্ত অধীর আগ্রহে দাড়িয়ে ছিল কখন ডাক্তার বেরোবে।

ডাক্তার বের হতেই ছুটে গিয়েছিল ডাক্তারের কাছে। আজও সেই একই জায়গায় দাড়িয়ে আছে সমাপ্ত। সময় বদলেছে। বদলেছে সম্পর্ক গুলোও। আজও সেই হসপিটালের অপারেশন থিয়েটারের সামনে সমাপ্ত দাড়িয়ে তবে আজ সম্পূর্ণ অন্য কারণে।

আজ সেদিনের সেই অচেনা মনুষটা ওর বউ আর এটা ওদের সন্তান। কালের পরিক্রমায় বদলেছে কতো কিছুই। আর আজ ওরা কারও জীবন বাচানোর জন্য দাড়িয়ে নেয়। বরং এসেছে একটা নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে। একটা নতুন প্রাণের জন্মের আনন্দে ওরা আজ একত্রে হয়েছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~

আনন্দির নরমাল ডেলিভেরি হয়েছিল তাই ওকে বেশী দিন হসপিটালে রাখে নি। দুই দিন পরই রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয়। এই দুই দিন পুরোটা সময় সমাপ্ত থেকেছে হসপিটালে। বরং ও আর কাউকে এখানে থাকতে দেয় নি। আসলে অন্য কেউ থাকলে ও ওর মেয়েকে খুব একটা কাছে পায় না তাই নানা অজুহাতে কাউকে থাকতে দেয় না।

সেদিন আনন্দিকে বেডে সিফট করে দেওয়ার পর সবাই আনন্দির সাথে দেখা করতে যায় তবে কাউকেই বেশী সময় থাকতে দেওয়া হয় নি। সব শেষে যায় সমাপ্ত সাথে ওদের পিচ্চি বাবু।
আনন্দি এতোক্ষন বাচ্চাটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল কিন্তু কেই একবারও এনে ওকে বাচ্চা দেখায় নি। সমাপ্ত বাচ্চাটা নিয়ে কেবিনে ঢুকছিল আর আনন্দি মুগ্ধ দৃষ্টিতে বাবা মেয়েকে দেখছিল। হ্যা ওদের মেয়ে হয়েছে। আনন্দির অনুমানই ঠিক হয়েছে।
আনন্দি ওদের দেখে ভাবছে এতো সুন্দর একটা দৃশ্য দেখব বলেই আল্লাহ্ আমাকে এতোটা সময় অপেক্ষা করালেন।

সমাপ্ত এসে আনন্দির বেডের পাশে রাখা একটা টুলের উপর বসে। যদিও আনন্দির নরমাল ডেলিভেরি হয়েছে কিন্তু ওর শরীর খুব দুর্বল ছিল তাই আনন্দিকে স্যালাইন দেওয়া আছে।

সমাপ্ত একটু দুরত্ব রেখে বসল যাতে আনন্দির স্যালাইনে লেগে ওর কোন অসুবিধা না হয়। আনন্দি চোখ দিয়ে ইশারা করে বাচ্চাটাকে ওর কোলে দিতে বলল। সমাপ্ত আলতো করে বাচ্চাটাকে আনন্দির দুহাতে উপর রাখল তবে নিজে ছাড়ল না।
আনন্দি নিজে একটু সরে জায়গা করে দিল তারপর ইশারা করল বাচ্চাটাকে ওখানে শোয়াতে। সমাপ্ত বাচ্চাটাকে শোয়ালো তারপর টুলটা টেনে একটু কাছো বসল।

আনন্দি একদৃষ্টিতে বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চোখ দিয়ে অটোমেটিক্যালি পানি বের হচ্ছে। এতোদিন ও পেটের মধ্যে এই পিচ্চি মাংসের দলাটাকে বড় করেছে। আজ তা বাইরে। কেমন যেন একটা অনুভুতি হচ্ছে।

– বাচ্চার নাম ঠিক করেছিস?

আনন্দি বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে ছিল এমন সময় সমাপ্ত হঠাৎ প্রশ্নটা করে। আনন্দি চমকে উঠে সমাপ্তর দিকে তাকায় তারপর মাথা নেড়ে না বলে।

– এতোদিন বসে বসে তাহলে কি করেছিস? সামান্য বাচ্চার নামও ঠিক করতে পারিস নি।

– তুমিও তো বাচ্চার বাবা। তুমি নাম রাখলেই হয় আমাকেই কেন করতে হবে?

সমাপ্ত বেশ ভাবুক ভঙ্গিতে মাথা নাড়ায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাচ্চার নাম কি রাখবে তা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে ও। বাচ্চাটা তখনও আনন্দির দিকে তাকিয়ে ছিল। হয়তো পৃথিবীতে এসে নিজের মাকে চেনার চেষ্টা করছে। এখন ও আর কান্না করছে না।

হঠাৎ সমাপ্ত আনুসমি বলে ডেকে ওঠে। বাচ্চাটা চট করে মাথাটা বাকিয়ে সমাপ্তর দিকে তাকায়। সমাপ্ত হেসে ফেলে। আনন্দিও হেসে বলে, আনুসমি! নট ব্যাড।

সমাপ্ত কলার নেড়ে বলে, দেখতে হবে না কে ঠিক করেছে। তুই করলে হয়তো কোন জরিনা সখিনা রাখতি। আর দেখ আমি ডাকতেই আমার মেয়ে কেমন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বোঝায় যাচ্ছে ও একেবারে আমার মতো হবে।

আনন্দি কপট রাগ দেখিয়ে বলল, খবরদার ওকে নিজের মতো বান্দর বানাবা না। আমি কিন্তু সামলাতে পারব না বলে দিলাম।

– এহ্ তুই না পারলে ভারী বয়েই গেছে। আমি আছি না আমার মেয়ের জন্য। আমরা বাবা মেয়ে বেশ নিজেদের সামলে নেব। তাই না আম্মাজান।

আনুসমি আবারও ঘাড় বাকিয়ে তাকাল যেন সমাপ্ত কি বলছে সব বুঝছে ও আর সমাপ্তর সাথে সম্মতি জানাচ্ছে।

চলবে,,

জাকিয়া সুলতানা

বি দ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here