চাঁদ হয়ে রবো পর্ব ৯

“চাঁদ হয়ে রবো”
~খাদিজা বিনতে হক
পর্ব-৯
“মহিলা কি আপনাকে কিছু বলেছে”
তুষার হাসলো।হাসির মাঝে তাচ্ছিল্য ছাপ।
“ফাহাদ ভাই আপনি এক্সাইটেড।নিন সিগারেটে একটা টান দিন।”
ফাহাদ সাহেব কিছুটা লজ্জিত ভঙ্গীতে বলল
“সত্যি ব্যপারটা রহস্য জনক”
“হ্যা।আপনি আমার কথায় মনোযোগি নন।
ব্রেক চাই।স্ট্রং কফি নিবেন।”
“মন্দো বললেন নি”
“আমি দুকাপ স্ট্রং কফি নিয়ে আসি।”
“উমহু তিন কাপ”
তুষার হেসে তিন কাপ কফি নিয়ে এলো।
গরম ধুয়ো উরছে।ফাহাদ সাহেব তুষারের কাছে জানতে চাইলো।আজকি বৃষ্টি হবে।
তুষার এবারও হাসলো।ফাহাদ সাহেব ভ্রু বাকিয়ে তাকিয়ে রইলো।হয়তো বা লোকটার মাথা গেছে অথবা ভয়টাকে কারো সামনে আনতে দিতে চানা তার ভিতর কি চলছে।।
“নিন ফাহাদ ভাই।আপনার কাছ থেকে এমন এলো মেলো প্রশ্ন শুনবো ভাবিনি।”
“তারপর আপনি কি করলেন?”
“রুমে চলে এলাম।পৌষী ওখানে শুয়ে যেখানে রেখে গেছি”
“ওহহহহ”
“আপনি খুব চিন্তিত।বাকিটা কাল বলি”
“আরো কিছু ঘটেছে!”
“না।আমার বাবার কথা বলেছিলাম।আপনাকে”
তুষার কফিটা কিভাবে শেষ করলো ও নিজেই জানে।এতো গরম কফি কেউ এতো তারাতারি শেষ করতে পারে।
ফাহাদ সাহেব একটা সিগারেট এগিয়ে দিয়ে বলল।
“খাবেন”
“না অফিসের ভিতর এগুলো খাওয়া বারন”
“আপনার বাবা তো”
“মৃত্যুর আগে এমন একটা বিদঘুটে স্বপ্নদেখে ছিলেন”
ফাহাদ সাহেব এক পলাক তাকালোন।তুষারের দিকে আবার বলল।
“আশিক সাহেব।আপনিকি বই পরেন”
“হ্যা”
এবার হাসলো।
“বাহির থেকে ঘুরে আসেন মনটা ফ্রেস লাগবে”
ফাহাদ সাহেব চলে গেলেন।
তুষার তখনও ঠায় বসে ভাবছে।
এখান থেকে বাহিরে বললো।না
জীবন থেকে বাহিরে।
,
টোঙের দোকান থেকে।করা লিকারের একটা চা খেয়ে।
হালকা লিকার ওর কাছে লোক ঠকানো চা মনে হয়।ধাপ্পাবাজি।
দুধ চা মনে হয় লোভ দেখানো।প্রলোভন যুক্ত চা।
মুখে সিগারেট ধরিয়ে হাটা শুরু করলো গন্তব্য।বাড়ী।
ঘুরতে হবে।কোথায়।
ফাহাদ ভাইর কি বলা উচিৎ ছিলো না।
আজব।বই পরি কিনা কেনো জানতে চাইলো।
,
… আমার একলা আকাশ,
থমকে গেছে রাতের স্রোতে ভেসে,
…শুধু তোমায় ভালোবেসে।।
,
পৌষী গুন গুন করে গান গাইছে।
কি মিষ্টি তার কন্ঠেস্বরে।
ঘোর লাগে।অদভুত মেয়েটা এতো ভালো গাইতে শিখেছ কার কাছে।
,
তুষার বিরক্ত হচ্ছে।কালকের ব্যপারে সে চিন্তিত।
বিরক্তের বিষাদের ছাপ।তার লাল লাল চোখ দুটোতে দেখা যাচ্ছে।
মুখটা বন্ধ করে।দাঁতে দাঁত চেপে তাকালো।
পৌষীর মায়া মায়া মিষ্টি মুখে।
পৌষী বিছানা ঝেরে নতুন চাদর বিছিয়ে।
নরম নরম বালিশ কোলে তুলে তাকালো।
তুষারের বিরক্তি মাখালা কালো মুখের দিকে।
তুষার দাঁতে দাঁত চেপে বলল
“মনে রঙ লেগেছে।এখান থেকে বেরিয়ে বাইরে ধেই ধেই করে নেচে আসো”
পৌষীর হাসি হাসি মুখটা মিয়িয়ে গেলো।
,
তুষার গভির চিন্তায় পরলো।
অদৃশ্য কিছুটা কি আজ রাতেও আসবে।
পৌষী।গুটি শুটি মেরে শুয়ে পরলো তুষারের পাশে।
,
পৌষূ বিড় বিড় করে বলল
“এর সাথে কি আমার জন্মের আগে থেকেই বাধা সম্পর্ক ছিলো।আমি জানলে বিয়ে করতাম না।আমাকে তিল পরিমান বুজে না।”
বলেই চোখ বেয়ে জল গরিয়ে পরলো।
বালিশ ভিজে গেছে।কখন যে চোখে ঘুমের পরি বসে ঘুম পারিয়ে গেছে।পৌষী বুজতে পারলো না।
তবে।তুষার আজকে জেগে থাকবে।দেখতে দেখতে।বাড়ীর বড় ঘড়িটায় দুইটা বাজার ঢং ঢং শব্দ হলো।
এবার হাল ছেরে দিলো।আর জেগে থাকতে পারছে না।
রাজ্যের ঘুমে তলিয়ে গেলো।
,
পৌষী পায়ে নরম স্পর্শ পেয়ে ডান দিক বা দিক মোরাতে মোরাতে চোখ খুললো।
চোখ খুলে অবাক হয়ে দেখলো।
কালো শাড়ীতে সুঠাম দেহে বসা একজন মহিলা।কোলে কালো বিড়াল।
লাফ দিয়ে উঠতে গিয়ে পারলো না।
পুরো শরীর অসার হয়ে পরছে।
অতিরিক্ত ভয়ে।মুখ দিয়ে বিড় বিড় করছে।
ওর গোঙানির শব্দে উঠলো তুষার।
চারো দিকে চোখ বুলিয়ে অবাক হলো।বেলকনি খোলা।বাতাস সো সো করে ঘরে ঢুকছে।বাতাসে পর্দা গুলো মৃধু কাপছে।
পৌষীকে স্পর্শ করতেই উঠে তুষার কে জরিয়ে বলল।
“আমায় ছেরে দিন।আমি যাবো না।”
তুষার অবাক হয়ে বলল।
“তোমায় ছারবো কেনো।আর নিয়ে যাবোই বা কোথায়”
পৌষী পিট পিট করে চোখ খুলে বলল।
“মা।। মা এসেছে।নিয়ে জাবে।”
তুষারের কপালে কয়েকটা চিন্তার ভাজ পরলো।
“আমার মিউ কে নিয়ে।মিউ ডাকছে।মা আমার হাতটা এতো শক্ত করে ধরলো।দেখেন আমার হাতের চুড়ীর দাগ বসে গেছে।”
তুষার হাত দেখে অবাক হলো হাতে কোনো ছাপ নেই।ও শান্ত গলায় বলল
“স্বপ্ন।।স্বপ্ন দেখেছো।কেউ আসে নি।ভয় পেয়ো না”
পৌষী ভিতূ কণ্ঠস্বরে বলল।
“আমাকে নিয়ে যাবে।এখানে থাকতে দিবে না।তার আমার জন্য চিন্তা হয়।আমি নাকি ভালো নেই।তার উচিৎ না আমাকে এখানে রাখা। আমি বললাম আমার এখানে অনেক কাজ আমি যাবো না।রাগ করে আমার হাতটা খাটের সঙ্গে বারী দিয়ে চলে গেলো”
পোষী আদুরে বিড়ালের মতো তুষারের কোলে মাথা রেখে বলল।
“দেখুন।আপনি ই বলুন।আমি ভালো নেই।
দিব্বি আছি।খুব আছি।ভালো আছি।আমার তো তা মনে হয় আপনার কি মনে হয়?”
,
তুষার পৌষীর ভয় ভয় মাখা মুখটার দিকে তাকিয়ে ভাবছে।এসব কি হচ্ছে তাদের সাথে।”
পায়ের কাজে নরম কিছু অনুভব করে দেখলো সাদা ব্রাউন কালারের কম্বিনেশনে একটা বড় সরো মপের বিড়াল।
বিছানা থেকে লাফ দিয়ে মেজেতে পরে সোজা ব্যলকনি থেকে লাফ দিয়ে নিচে পরলো।
নিচে পরতেই বিকট চিৎকার খরলো বিড়ালটা।
তার চিৎকারের মানে তুষার কিভাববে।
,
গুরুতরো আহতো।
,
না উল্ল্যাস করছে।
,
,
চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here