#জোর_করে_ভালোবাসবো_তোকে
#পর্ব- ৩🔴🔴🔴🔴🔴🔴🔴🔴
#শিফা_আফরিন
.
.
🍁
🔴রেহান- উহুম… রোমান্স করবে। (মুচকি হেসে)
আঁচল – অসহ্য বলেই চলে যেতে নেয়। রেহান আঁচলের হাত ধরে টান দিতেই আঁচল রেহানের বুকে এসে পড়ে।
রেহান- এতো পালাই পালাই করো কেনো বলো তো? আমার মতো এতো হ্যান্ডসাম বর পেয়েছো.. কোথায় সারা দিন আদরে রাখবে তা না..
আঁচল – শুনুন আপনার বকবকানি শুনার বিন্দু মাত্র আগ্রহ আমার নেই। আমাকে ছাড়ুন প্লিজ।
রেহান – কেনো কোথায় যাবা?
আঁচল – আজিব! আমি শাওয়ার নিবো না?
রেহান – অহহ এই কথা। ভালো এখন যাও শাওয়ার নিতে। পরে আবার নিতে হবে বলে দিলাম তখন কিন্তু আমার উপর রাগ করতে পারবে না বলে দিলাম (চোখ মেরে)
রেহানের কথা শুনে আঁচলের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। মনে হচ্ছে এখনি বুঝি চোখ দুইখানা বেরিয়ে আসবে।
(এই অসভ্য বলে কি!! সারা রাত তো ঘুমুতে দেয়ই নি আবার এখন…… নাআআআ আমি তোহ মরেই যাবো মনে হচ্ছে.. মনে মনে)
রেহান – কি হলো বেইবি? কি ভাবছো? দুইবার শাওয়ার নিবে নাকি এখনি…. (মুচকি হেসে)
আঁচল কি বলবে বুঝতে পারছে না। কিন্তু সে এখন কোনো ভাবেই রেহানের চক্করে পরতে চায় না।
(ধুর বাবা এখন বরং শাওয়ার নিতে যাই। পরের টা পরে দেখা যাবে। মনে মনে)
রেহান – বেইবিইইই…. আঁচল কে ঝাকুনি দিয়ে।
আঁচল – হ্যা হ্যা…
রেহান – কি এতো ভাবছো বলো তো?
আঁচল – বলছিলাম যে আমি শাওয়ার নিতে যাবো এখন।
রেহান – তার মানে তুমি দুবার শাওয়ার নিতে চাও তাই তো? (ভ্রু কুচকে)
আঁচল – হ্যা। (দু’বার না ছাই… পরের টা পরে দেখে নিবো। দেখি কিভাবে আমার নাগাল পাও হুহহ। মনে মনে)
রেহান – ঠিক বলছো তো? পরে আমার দুষ দিবে না কিন্তু। (মুচকি হেসে)
আঁচল – ওকে বাবা এখন ছাড়ুন তো।
রেহান – ছাড়তে পারি। তবে একটা শর্তে!
আঁচল – আবার কি শর্ত? আপনার কথা মতো তো দু’বার শাওয়ার নিতে রাজি হয়েছি। (অবাক হয়ে)
রেহান – হ্যা সেটা তো হবেই। কিন্তু এখন আমার মিষ্টি চাই।
আঁচল – কিহহহহ! আপনি ঘুম থেকে উঠে এখনো মুখ ধুতে যাননি আর বলছেন মিষ্টি খাবেন!! এই আপনি কি সকালে মুখ না ধুয়েই খাবার খান নাকি? ইয়াককক ছিহহ।
আপনি দেখছি আস্ত একটা খাটাস।
রেহান আঁচলের কথা শুনে হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছেনা।
রেহান – এই চুপপপ। কি সব আবল তাবল বকছো? আমি কি ঐ মিষ্টির কথা বলেছি নাকি?
আঁচল – আপনিই তো বললেন।
রেহান – ওকে বুঝেছি মুখে বলে কাজ হবেনা। আমাকেই নিতে হবে।
আঁচল – হ্যা তো আপনিই নিন না। (আমাকে দিয়ে মিষ্টি আনাবে হুহহ.. কাজের মেয়ে নাকি আমি। মনে মনে)
আঁচলের ভাবনায় জল ঢেলে দিয়ে রেহান আঁচলের কোমড় জড়িয়ে ধরে কাছে এনে আঁচলের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।
আঁচল রেহান কে ছাড়াতে ছুটাছুটি শুরু
করে দেয়। রেহান আঁচলে আরও শক্ত করে ধরে চুমু খেতে থাকে।
৫ মিনিট পর রেহান আঁচলকে ছেড়ে দেয়।
রেহান – ব্যাস… আমার মিষ্টি খাওয়া শেষ। এবার তুমি শাওয়ার নিতে যেতে পারো। আর হ্যা সেকেন্ড টাইম শাওয়ার নিতে হবে ভুলো না কিন্তু। (চোখ মেরে)
আঁচল হা করে দাঁড়িয়ে আছে। কি বলছে রেহান। চুমু দিয়ে বলে মিষ্টি খাওয়া শেষ। তার মানে এতো খন ঐ মিষ্টির কথা বলেনি… মনে মনে।
আঁচল রেগে ওয়াশরুমে ঢুকে পরে। রেহান আঁচলের রাগ দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
অনেক খন হয়ে গেলো আঁচলের বেরুনোর নাম গন্ধও নেই। রেহান আঁচলের জন্য ওয়েট করতে করতে হাঁপিয়ে যায়।
রেহান – এই মেয়েটা কি আজ ওয়াশরুমে থাকবে বলে ডিসাইড করলো নাকি। এতো খন লাগে ওর শাওয়ার নিতে। (রেগে)
রেহান আঁচলকে ডাকতে শুরু করে….
রেহান – আঁচল… এই আঁচল…. হলো তোমার? এতো খন ধরে কেও শাওয়ার নেয়? ঠান্ডা লেগে যাবে তো।
আঁচলের কোনো রেসপন্স নেই। রেহানের রাগ টা আরও বেরে যায়।
: চলবে কি…….??
ভালে না লাগলে পড়বেন না দুরে থাকুন। যদি নেক্সট পার্ট পড়তে চান জানাবেন তাহলে দিবো। আর নেক্সট পার্ট পেতে আমার আইডিতে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে আমার সাথে এড হয়ে যান অথবা ফলো ফাস্ট করে রাখুন কষ্ট করে পোস্ট দেই আমার আইডিতে এড না হলে আর দিতে ইচ্ছা করে না😥
এত কষ্ট করে গল্প খুঁজে বের করি আপনাদের জন্য,, ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে এড হোন plz, ইনশাআল্লাহ কোন পার্ট মিস হবেনা
চলবে…!!
রেহান – আঁচল তুমি যদি এখনি না বের হও আমি কিন্তু দরজা ভেঙে ফেলবো। (দাঁতে দাঁত চেপে)
রেহান আবার আঁচলকে ডাক দিতে নিলেই দরজা খুলে যায়।
রেহান সামনে থাকা আঁচলকে দেখে থমকে যায়।
খয়েরী রং এর জামদানি শাড়ি, ভেজা চুল গুলো কোমড় অব্দি ছাড়া, শাড়ি টা পাতলা হওয়ায় আঁচলের পেট টা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে রেহান।
রেহানের কেমন জেনো ঘোর লেগে যাচ্ছে। সে আঁচলের মাথা থেকে পা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে।
আঁচল রেহান কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভয়ে ঢোক গিলে।
আঁচল – (এই লুচু ব্যাটা এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো? ও কি আবার কিছু করার প্লান করছে নাকি? না বাবা এই লুচু কে বিশ্বাস করা যায় না। আমি বরং কেটে পরি এখান থেকে। মনে মনে)
আঁচল রেহানের কাছ থেকে চলে যেতে নিলেই রেহান আঁচলের হাত ধরে আটকে ফেলে।
আঁচল – এই রে যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই হলো।
রেহান আঁচলের হাত ধরে আঁচলকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে..
রেহান – কোথায় পালাচ্ছো তুমি?
আঁচল – মা.. মানে?
রেহান আঁচলের গলায় মুখ গুঁজে ঘোর লাগা কন্ঠে বলে…..
রেহান – আমাকে পাগল করে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছো? তা তো হতে দিবো না।
আঁচল যেনো বরফ হয়ে যাচ্ছে রেহানের এতোটা কাছে আসায়। next next na লিখে, গল্প পড়ার আগ্রহ থাকলে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে এড হোন, অথবা ফলো দিয়ে রাখুন, ইনশাআল্লাহ কোন পার্ট মিস হবেনা,
আপনাদের রিকুয়েস্টর সাড়া পেলে আজকেই সব পর্ব দিবো
খুব খারাপ লাগে যখন গল্প পড়ে চলে যায়
সামান্য লাইক কমেন্ট না করেন না😥💔😭
আঁচল – আমার ক্ষিধে পেয়েছে। প্লিজ আমায় নিচে যেতে দিন। (কাঁপা কন্ঠে)
আঁচলের এমন কাঁপা কন্ঠে রেহানের নেশা টা আরও বেরে যায়।
রেহান – উহুম…. আগে আমাকে খেতে দাও। (ফিসফিস করে)
আঁচল – খাবেন তো ভালো কথা। যান ফ্রেশ হয়ে নিচে যান।
রেহান – খাবো তো তোমার দেয়া মিষ্টি বেইবি।(মুচকি হেসে)
রেহানের কথা শুনে আঁচলের বুঝতে বাকি রইলো না যে সে কি চাচ্ছে।
আঁচল – দেখুন কোনো অসভ্যতামি করবেন না। আমাকে নিচে যেতে দিন প্লিজ।
রেহান আঁচলের কথা কানে না নিয়ে এক হাতে আঁচলের কোমড় ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। আরেক হাতে আঁচলের ঠোঁটে স্লাইভ করতে থাকে।
চলবে…