#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড
#লেখিকা_তামান্না
#পর্ব_১৯
জারার পা পিছলে যায় তার শাড়ির আঁচল গিয়ে আটকা পড়ে রেলিং এর কোণায়। সে তড়িঘড়ি রেলিং টায় হাত দিয়ে ধরে ভর করে উপরে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু পারছে না।
জারা আড়চোখে পাশে থাকাতেই দেখে একটা বড় সুইমিং পুল। সে ভাবল পড়লে তো আবার উঠাই যাবে সাতার কেটে। সে হাত ছেড়ে দিতে গিতে দেখল। কিছু একটা পানির মধ্যে নাড়াচাড়া করছে। সে আড়চোখে তীক্ষ্ম ভাবে দেখার চেষ্টা করছে।
—“এটা কি পানিতে? কখনো দেখি নি। সুইমিং পুলে পানিতে কি রাখা হয়েছে। কে….কে…..ও…ওখানে?
কেঁপে কেঁপে জারা পানিতে ভাসা ছায়াটার দিকে তাকিয়ে বলে।
কিন্তু কোনো উওর এলো না। পানির ছাঁয়াটা ক্রমশ তার দিকে এগিয়ে আসছে। জারা জোরে জোরে হেল্পের জন্যে ডাকে। তবে কেউই তার সাউন্ড শুনতে পেল না। কারণ রুমটা ছিল সাউন্ড প্রুভড। পুরো রুমটা দেখতে হলের মত। বিরাট হল এরই মাঝে সুইমিং পুলে আছে সার্ক। ফায়যানের পালিত সার্ক। যার নাম কোবরা।
সে মাথাটা কিছুটা উপরে করে দরজার দিকে তাকায়। যাতে কোনো গার্ডস বা মেইড সেখান দিয়ে যাই কিনা। তবে দুভাগ্য কেউই নাই।
সব গার্ডস নিচে পাহারা দিচ্ছে। যারা সেই রুমের মধ্যে চেক দিতো তারা খাবার খেতে যায়। কিন্ত এখনো চেক দিতে আসে নি।
জারা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। তখনই হলে থাকা আয়নার মধ্যে তার নজর পড়ল। দেখতে পেল এক বড় আকৃতির দেহ মুখের মধ্যে দাঁতগুলো বড় বড় হয়ে আছে। ছায়াকে আগাতে দেখে সে ঘাবড়ে গেল।
—“এ…..এ….এতো বিশাল আকৃতির প্রাণী মনে হচ্ছে। আল্লাহ এই আমি কোথায় এসে পড়লাম। ফায়যানও তো কখনো এইরকম কোনো হলের কথা বলে নি। এইটা আসলে কি হবে? আল্লাহ বাঁচাও কোনো ফেরেশতা পাঠাও নইতো আজকেই আখেরি দিন হয়ে যাবে। বাঁচাও কেউ আছেন প্লিজজ হেল্প মি।
যথেষ্ট চিৎকার করার পরও কেউ আসছে না। সে আশেপাশে কোনো দড়ি আছে কিনা খুঁজতে থাকে। পরে তার হাতের নাগালে একটা দড়ি পেয়ে যায়। সুতাযুক্ত কাটার ন্যায় ছিল দড়িটা। জারা রেলিং সেরে দড়িটা ধরতেই আহহহহ আহহ আমার হাত জ্বলছে। সে এক হাত দিয়ে ধরে আরেক হাত দেখতেই অবাক। তার হাতের চামড়া লাল হয়ে আছে। সাথে কিচেনে কেটে যাওয়া আঙুলটির উপরও ফ্যাকাশে দানা এসে জমা হচ্ছে। একি হচ্ছে দড়ি তো এমন হয়না তাহলে এটা কেমন দড়ি। ফায়যানের কাছে এসব আজব ধরনের জিনিস পএ কেনো? উনার এসব দিয়ে কি কাজ। না এখন কিছুই ভাবা যাচ্ছে না আহহহ।
কোবরা এসে জারার শাড়ির নিচের পায়ের অংশ টুকু দাঁত দিয়ে কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে তাকে খাওয়ার চেষ্টা করছে। কোবরা জারাকে চিনে না কারণ সে শুধু ফায়যান আর তার গার্ডসকে সারাক্ষণ দেখতে দেখতে চিনে ফেলেছে। তাই তাদের আক্রমণ কোনো কারণেই কোবরা করে না। কিন্তু অচেনা কেউ হলে কোবরা তাকে খেয়ে ফেলে। জারাও তার কাছে অচেনা নতুন। তাই সে এসেই তাকে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করছে।
—“আহহহহ।
পানিতে ঢুকে পড়ে জারা। গভীরে ঢুকে শ্বাস নিতে জোরে উপড়ে হয়ে শ্বাস নে। কোবরা এবার পানির নিচ থেকে ঘুরে দ্রুতগতি হয়ে জারার দিকে আসে। জারা দেওয়ালের সাথে লেগে নিজের মুখ ডানে ঘুরিয়ে চোখ হিচকে বন্ধ করে ফেলে।
পাঁচ সেকেন্ড পর বুঝতে পারল সে এখনো বেঁচে আছে। সে চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে ফায়যান ভিজে দুইহাত দেওয়ালে রেখে তার বাহুডোরা দিয়ে জারাকে আগলে আছে। ফায়যানের ঠোঁটজোড়ায় ঠান্ডা পানি লাল হয়ে গেল। এমনেই তো ফর্সা রঙের ফরেইন হিরোর মত দেখতে। সেখান থেকে আবার পানিতে ভিজা অবস্থায় আরো ক্রাশ খাওয়ার মত দেখাচ্ছে। জারার ঠোঁটের খুব কাছেই ফায়যান। দুইজনের ঠোঁট কাঁপছে কিন্তু নিশ্চুপ। ফায়যানের চোখ-মুখে লাল আভা বেশ বোঝা যাচ্ছে।
জারা এক ঢোক গিলে মনে মনে বলে।
—“এমনভাবে তাকানো তার মানে কোনো বিপদ। জানি না আবার এই এরুগেন্ট পোলা কি না কি করে। উহ এরুগেন্ট না মিস্টার #ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড । বিয়ে করছি বলে এভাবে ভয় লাগার মত আমার দিকে তাকায়।
—“বকা শেষ মনের মধ্যে?
জারার চোখের দিকে চোখ গরম করে ফায়যান বলে।
—“আ….আ….আব আম…আম..আমি ব…বকা দে নি।
—“দাও নি তাই না দাও নি?
ফায়যান চোখ গরম করেই পিছে ফিরে তাকায়। সে চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কোবরার দিকে তাকায়। কোবরা ফায়যানকে দেখে থেমে যায়। সে তার কাছে এসে নিজের নাকের ডগা ফায়যানের হাতের কাছে নাড়া দিয়ে আদর করার বনীতা করে।
ফায়যান মুচকি হেসে কোবরার নাকের ডগায় নিজের হাত বুলিয়ে দিতে লাগে। জারা চোখ পাকিয়ে হা করে তাকায় দুইজনের কান্ড দেখছে।
—“কোবরা জানো আমি না বিয়ে করছি! একটা সুন্দর পরী যেনো আমার মনের গহীনে বাসা বেঁধেছে। আড়চোখে জারার দিকে তাকিয়ে। তুমি তার সাথে পরিচিত হবে না? আসো আসো আমি দেখা করায়।
কোবরা নেড়েচেড়ে হ্যা বুঝায়। জারা চিৎকার দিয়ে উঠে না না না প্লিজ প্লিজ এই আপনি কি করছেন নিজের বউ কে মেরে ফেলতেছেন? ভ্যা ভ্যাআআআআ। ন্যাকা কান্না করতে শুরু করে বলে জারা।
—“ওহ মেরি জান এটা আমার পালিত পশু কোবরা। আমাকে আর আমার সদস্যদের জন্যে এই খুব প্রিয় কিন্তু বাকিদের জন্যে ডেঞ্জারাস এক প্রাণী।
তোমাকে আর কিছু করবে না বেব। কারণ কোবরাকে আমি বলে দিয়েছি তুমি আমার কলিজার স্ত্রী।
—“তুমি আর তোমার লুকাইয়া গুপ্তধন তোমাথ কাছেই রাখো। উহ ভেংচি মেরে সে সাতার কেটে সেখান থেকে উঠতে গেলে ফায়যান তার হাত ধরে টান মেরে নিজের কোলে নিয়ে নে। সে কোবরা কে বিদায় জানিয়ে রুমটা অফ করে বেরিয়ে নিজের রুমে জারাকে কোলে করে নিয়ে আসে।
দুইজন ফ্রেশ হয়ে কাপড় চেঞ্জ করে নিচে আসে। গার্ডস ভয়ে ভয়ে ফায়যানের দিকে তাকায়। ফায়যান তখনোও স্বাভাবিক ভাবে বিহেভ করছে।
—“তোমাকে আমি কিভাবে বলি জান? যে তোমার বর কোনো সাধারণ বর না। এই পুরো এলাকার বিভিন্ন দেশের মাফিয়া গ্যাং এর লিডার আমি। যদি তুমি আমার কালো জগৎ সম্পর্কে জানো তাহলে কি আমায় ছেড়ে দিবে? না না তা হয়তো তুমি দিবে না আমি দিতেই দিবো না। কারণ অবশ্যই আমি ডার্ক ওয়াল্ডের লিডার কিন্তু আমার কাজ শুধু খারাপদের বারোটা বাজানো। ভালোদের সাথে কোনো ধরনের অন্যায় হতে আজ পর্যন্ত দে নি। আই হোপ তুমি বুঝতে পারবে।
ফায়যান ভেবে ভেবে জারার সাথে লান্স করছে।
—“এই মুহুর্তে তোমাকে বললে ভালো হবে আমার অতীত সম্পর্কে জানার অধিকার তোমার আছে। আমি চাই না সেই অতীত আবার আমার জীবনে ফিরে আসুক।
জারা আড়চোখে ফায়যানের দিকে তাকিয়ে ভেবে নিল। সে আমতা আমতা করে বলে।
—“তোমাকে একটা কথা বলি?
—“যা ইচ্ছা বলো!
—“আমার উপর বিশ্বাস আছে কি?
জারার এমন প্রশ্নে সে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
—“যদি এই কথা আমি তোমাকে জিগ্গেস করি?
—“মানে?
—“তুমি কি আমাকে পুরোপুরি নিজের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ভাবো? যার উপর বিশ্বাস রাখতে পারবা?
—“হ্যা আমার ধারণা ভুল হবে না আপনার ব্যাপারে। আমি জানি আপনি একজন ভালো মানুষ।
—“হুম কিন্তু কখনো মুখের বিচারে বলা মিষ্টি কথায় বিশ্বাস করতে নেই। কারণ পরে ধোঁকা তারাই দেই। সততা আর বিশ্বাস এগুলো ছাড়া সম্পর্ক অচল। তুমি আমার অস্তিত্বে গেঁতে গেছো জারা। তোমাকে ছাড়া আমার বাঁচার কোনো সাধ্য নেই। আমার পরিবারে রাহুল জেহান ছাড়া কেউ নেই। কিন্তু একসময় আমার পরিবার ছিল। আম্মু মারা যাওয়ার পর আমার আব্বু কাছে ছিল। উনি খুব কষ্ট করে বড় করলেন কিন্তু আমার বাবার সেই কষ্টের উপর পানি ঢেলে দিলো এক অমানুষ । আজও তার খুঁজে আমি চটপট করি তাকে খুঁজে নিজের হাতে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি আমার নেই। তোমাকে আমি এসব কেনো বলছি জানো?
জারার দিকে তাকিয়ে।
—“না। জানার ভঙ্গিতে মগ্ন হয়ে ফায়যানের কথা শুনছে জারা।
—“হুম সব জানবে তোমার হাজবেন্ডের ব্যাপারে। বাঁকা হেসে বলে।
—“বাবালে এমন ভাবে বলছো যেনো তুমি কোনো দেশের মাফিয়া হবে? হাহাহাহাহা জারা কথাটা বলে হাসতে থাকে।
ফায়যান হা করে তাকায়। সে বলতে গিয়ে চুপ হয়ে যায়।
—“বেবি সত্যিটা জানলে বেঁহুশ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মনে মনে বলে।
—“এখন চুপ কেন আছো বলো?
—“উহুম ভাবছি কি বলব?
—“কি বলবে মানে। বলো তোমার বাবা এখন কই? আমার শ্বাশুড়…….
—“মাটির নিচের ঘরে।
—“আব…জারা চুপ হয়ে যায়। সে ফায়যানের দিকে তাকিয়ে দেখে তার চোখজোড়া ছলছল করছে কিন্তু পানি পড়ছে না। অবশ্যই সে নিজেকে শক্ত করে রেখেছে। ছেলেদের কাঁদতে নেই। কিন্তু সবসময় যে একথা সত্য তা নয়। কখনো কখনো বিশেষ কারণে নিজের প্রিয়জনকে হারালে যে ব্যথা হৃদয়ে লাগে তা গভীর হয়ে যায়। তখন হাজার চেষ্টা করলেও কান্না কে থামানো যাই না। সেই ব্যথা দুঃখ কষ্ট কান্নার ফলে চোখ থেকে বেয়ে পড়ে।
—“কষ্ট পেও না আমি কাছে আছি তোমার ছেড়ে না যাওয়ার জন্যেই তো এই বন্ধন গড়েছি আর ইনশাআল্লাহ বন্ধনটা অটুট ভাবে পালন করব।
ফায়যান মুচকি হেসে জারাকে চেয়ারে বসা থেকে উঠিয়ে নিজের কোলে বসায়।
গার্ডস সব চোখ নামিয়ে এদিক ওদিক পাহারা দে। ফায়যান এবার গার্ডস এর দিকে তাকিয়ে বলে।
—“তোমরা কই গিয়ে ছিলে? তোমাদের ম্যাম হলের দিকে গেল আর তোমরা বারণও করলে না??? গম্ভীর নজরে ধমকির সুরে বলে।
জারা কিছু বলবে কিন্তু ফায়যান তাকে চুপ থাকতে বলে। সে মুখ ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকায়।
___________
সাহেল প্রিয়ার কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তার শরীরে নিজে স্পর্শ দিতে গেলেই কেউ যেনো তার বাহুডোরায় জোরে লাথি দে। লাথি এতোই জোরে ছিল যে সে প্রিয়ার উপর থেকে সরে দেওয়ালে গিয়ে লাগে। সাহেল সামনে তাকিয়ে দেখে একটা সুটমুট পরা লোক তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার পিছেই দুইজন গার্ডস। সাহেল ভয় পেয়ে গেল।
লোকটা অন্য কেউ না ফায়যানের বন্ধু জেহান। জেহান অফিস থেকে ভার্সিটির মধ্যে আসে। জারার ব্যাপারে কিছু ডিটেলস বের করতে যা তাকে ফায়যান করতে বলল। ভাগ্যক্রমে সে ক্যান্টিনের এদিক দিয়ে আসায় দরজার ভেতর থেকে কারো ফুরফুরে আওয়াজ আছে। যা জেহান শুনে ভেতরে ঢুকে দেখার জন্যে তখনই সাহেলকে প্রিয়ার সাথে অসভ্যতামি করার দৃশ্য দেখে রেগে মারা শুরু করে। প্রিয়াকে জেহান অবশ্যই চিনে কারণ জারার সাথে প্রিয়াকে খুব বাহিরে ঘুরতে দেখা যেতে দেখতো। তাই একবার ফায়যানকে জিগ্গেস করে যে মেয়েটা কে? তখন ফায়যান বলে……তোর ভাবির বান্ধবী প্রিয়া। ওওওও কিউট আছে দুই বান্ধবী মাশাআল্লাহ। জেহান তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে।
ওই সাবধান দুইটার মধ্যে একটা আমার কলিজা। জেহান ফায়যানের কথা শুনে বলে। ওই ওই তোরটা তোরই আমার শখ নেই ভাবি কে নেওয়ার হ্যাঁ কিন্তু সিঙ্গেল না আমিও মিঙ্গেল। সোনিয়া আছে আমার উহ।
ফায়যান ও মুচকি হেসে তার সাথে কাজে মন দে।
আর সোনিয়ার ডেড হওয়ার পর ভালোবাসাটা জেহান এর জন্যে কিছুটা কঠোর হয়ে গেল। সোনিয়ার কে আবরার বিষ খাওয়ানোর পর সে মৃত্যুর মুখে জেহানকে একবার দেখতে চেয়েছিল। ঐদিন জ্যাকের মাথায় যে লাঠির আঘাত করেছিল সে অন্য কেউ নয় জেহানই ছিল। জেহানের সাথে রিলেশন ছিল সোনিয়ার। সোনিয়া কিছু প্রব্লেমের কারণে আবরার এর সাথে ক্লাবে ছিল। কিন্তু সেও একদিক থেকে জেহানকে ভালোবাসতো।
জেহান প্রিয়ার কাছে এসে তার পালর্স চেক করে। শ্বাস ঠিক আছে দেখে। কিছুটা জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে।
—“প্রিয়া প্রিয়া তুমি ঠিক আছো…..উঠো? জেহান প্রিয়ার কাপড়ের ছিঁড়ে অংশগুলো ঢেকে দেওয়ার জন্যে নিজের ব্লেজার তার গায়ে জড়িয়ে তড়ফড় করে গাড়িতে বসায়।
জেহান তার গার্ডস এর দিকে তাকিয়ে বলে ছেলেটাকে ধরে আমাদের আড্ডাখানায় নিয়ে আস কুইকলি।
গার্ডস মাথা নেড়ে আধমরা সাহেলকে ধরে ফায়যানের গোডাউন। যেখানে সে আর ফায়যান,রাহুল আড্ডা আর তাদের মিশন কম্পলিট করে সেখানে নিয়ে যায়। জেহান প্রিয়াকে নিয়ে ফায়যানের বাসার দিকে রওনা দে।
আবরার খুশিতে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। সে তার হাতের মধ্যে ধরে থাকা কার্ডটা দেখে দেখে খুশির জোরে একের পর এক ড্রিংক করেই যাচ্ছে। মিস্টার আরমান আর মিসেস ফিহাও আবরারের খুশি দেখে চিয়াসস করছে এক সাথে।
আবরার কার্ডটার দিকে আরেক নজর তাকিয়ে বলে—“এবার আমার খাঁচায় বন্দী হওয়ার জন্যে রেডি হয়ে যাও মিস ফারিজা ওপস সরি নোট ফারিজা মিস জারা।
হাহাহাহাহাহা।”
…………চলবে………..
[বিঃদ্র—গাইস গেট রেডি কালকের পার্ট ধামাকা পার্ট প্লাস সেই ধামাকায় সব রহস্যের খোলাসা হবে😌। ওকে হেপ্পি রিডিং]