#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড

#লেখিকা_তামান্না

#পর্ব_১৮

জারা বেখেয়ালি ভাবে কাজ করতে গিয়ে তার হাত কেটে যায়। কেটে ব্লাডিং হতে শুরু করে। হঠাৎ হাত কেটে যাওয়ায় সে হালকা চিৎকার করে উঠে। তার চিৎকার ড্রয়িং রুমে শুনা যায়। ফায়যান নিউজ পেপার দেখছিল জারার চিৎকার শুনে তেড়ে আসে।

কিচেনে এসে জারার হাতে ব্লাডিং দেখে সে অস্থির হয়ে পড়ে।

—“জান এটা কিভাবে হলো? তোমাকে আজিই কাজ করতে কে বলেছে দেখো……দেখো কত……কত ব্লাডিং হচ্ছে। আজ থেকে তুমি কোনো কাজই করবে না। মেইডরা আছে ওরা ধীরেসুস্থে কাজ করে ফেলবে। তোমার থেকে কাজ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

জারার কাটা অংশ মুছে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম লাগিয়ে ব্যান্ডেজ বাঁধতে বাঁধতে বলে। জারা ফায়যানের দিকে তাকিয়ে আছে। সে তার কেয়ারিং ভালোবাসা দেখে নিজেকে কুঁচতে থাকে।

—“কিভাবে আমি তোমায় বলব জানোয়ারের কথা। সে যে মানুষ নয় এক অমানুষ। ভেবেছিলাম সব ছেলেই খারাপ অমানুষের পরিচয় দে। শুধু শরীর দেহ ছাড়া কিছু বুঝে না। কিন্তু না আমি ভুল ছিলাম। আজও তোমার মত মানুষ পৃথিবীতে আছে। যারা দেহ নয় মনের ভালোবাসা চাই আশ্রয় চাই। ভেবে জারার চোখ থেকে পানি পড়ল।

ব্যান্ডেজ বেঁধে ফায়যান হাঁফ ছেড়ে বলে।

—“নাও জান আর ব্লাডিং হবে না। ব্যথা এক-দুইদিনে ভালো হয়ে যাবে। আর আমি তো আছিই কেয়ার করার জন্যে…..সে জারার দিকে তাকাতে অবাক হয়ে যায়।
জারার চোখ লাল হয়ে গেছে কান্নার আভা যে তার চোখে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠল তা ফায়যান বেশ বুঝতে পারল।

ফায়যান জারার কোমরে হাত রেখে নিজের বুকের মাঝে টেনে নে। জারার ফায়যানের সাথে লেগে যায়। হাতজোড়া ফায়যানের ঘাড়ে কলার চেপে ধরে।
ফায়যান তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে।

—“কি হয়েছে চোখজোড়া লাল করে বাচ্চার মত কান্না করতে চাইছো কেন? বেশি ব্যথা হচ্ছে!

জারা মুচকি হেসে নিজের মাথা ডানে বামে নাড়িয়ে না বলে।

ফায়যান জারার সামনের চুলগুলো পিছে গুজে দিয়ে তার চোখজোড়ায় চুমু এঁকে দেয়। জারা লজ্জায় কেঁপে উঠে। সে চোখজোড়া বন্ধ করে শক্ত করে ফায়যানের শার্ট খামচি দিয়ে রাখে।

—“ম্যাম……এক মেইড কিচেনের বাহিরে দাঁড়িয়ে ভেতরে না দেখে মাথা নিচু রেখে দরজায় নক করে ডাক দে।

কারো উপস্থিতিতে ফায়যান না চাওয়ার শর্তেও জারাকে ছেড়ে দে। জারা নিজেকে ঠিক করে বলে।

—“হ্যা আপু বলো।

—“ম্যাম আজ একটু ছুটি লাগবে। আমার মামারবাড়িতে যেতে হবে ভাগ্নের বিয়ে। অনেক ধরনের আয়োজন চলবে।

জারা ফায়যানের দিকে তাকালে সে জারাকে ইশারা করে হ্যাঁ বলতে। জারা টেডি স্মাইল দিয়ে বলে।

—“জ্বী আপু তুমি যেতে পারো সমস্যা নেই। আর তোমার ভাইয়া বলেছে আয়োজন হবে যখন সেই উপলক্ষে আমাদের পক্ষ থেকে একটা গিফ্ট তোমার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

—“থ্যাংক ইউ স্যার এন্ড ম্যাম।

—“ওয়েলকাম। ফায়যান জারা একসাথে বলে।

মেইডটা যেতেই জারা ফায়যান থেকে সরে আসতে চাইলে ফায়যান তার হাত ধরে বলে।

—“জান ভাবছি কি আজ বাসায় একটা ধামাকাদার পার্টি রাখলে কেমন হয়? তুমি সুস্থ হয়ছো সাথে মিডনাইট বাসর রাত। সব আয়োজন করলে…..ব্রাশমার্কা স্মাইল দিয়ে দুষ্টুমির নজরে জারাকে বলে।

জারা ক্ষেপে গিয়ে বলে।

—“তোমার থেকে আর কাম নাই?

—“আছে তো! সিরিয়াস মুড করে ফায়যান বলে।

—“কি কাম? ভ্রু নাচিয়ে জারা বলে।

—“তোমাকে ডিস্টার্ব করা।
ফায়যান কথাটা বলে হাসতে শুরু করে দে।

—“উহ তোমার মত পাগল আমি আর জীবনে দেখি নাই।

—“উহ তোমার মত পাগলী বউ আমি আর জীবনে দেখি নাই।

—“কপিক্যাট।

—“কপিবউ। চুমু দে দূর থেকে। জারা হা করে তাকিয়ে থাকে।

জারা রেগে কিছু বলবে তখন সে ভাবে।

—“এখন সঠিক সময় ফায়যান হাসিখুশি আছে তার ব্যাপারে এখন বললে হয়তো খুব একটা রাগ করবে না। যদি দেরি করে ফেলি তাহলে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। না না তা হতে দেওয়া যাবে না ফায়যানকে সত্যটা বলে দেবো। বলার পর যা হবে তা দেখা যাবে।…

—“ও হ্যালো মিসেস হাসান। জারার মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে ফায়যান তার ধ্যান ভাঙ্গে। কোথায় কই গেলা?

—“না মানে আমি না তোমাকে একটা কথা….না একটা না কিছু কথা বলতে চাই।

—“হুম বলো। শুনার জন্যে দাঁড়িয়েই আছি।

—“আসলে আমি বলছি যে…..আমতা আমতা করে জারা বলার চেষ্টা করে।
কিন্তু তখনই ফায়যানের কল চলে আসে। সে কল নিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলে।

—“হুম বল।

—“স্যার পেয়ে গেছি।

—“গুড জব তাড়াতাড়ি অফিসে আন। আমিও আসছি।
বাঁকা হেসে কল কেটে জারার দিকে তাকায়। জারা হাত মুচড়ামুচড়ি করছে। ফায়যান জারার কাছে এসে হাত ধরে বলে।

—“জান আজ রাতের পার্টির জন্যে রেডি এন্ড ওয়েট কইরো। আমি এখন কাজে যাচ্ছে ওহ তোমার কথা পরে এসে শুনব আরামছে বসে ওকে?

জারা চুপ হয়ে যায় সে হাসার চেষ্টা করে নিজের মাথা নাড়ায়।

ফায়যান বের হয়ে যায়। জারা দরজা বন্ধ করে টিভির সামনে বসে পড়ে। অনেকক্ষণ টিভি দেখতে দেখতে সে বোর হয়ে যায়। তখন প্রিয়া কল করে। প্রিয়ার কল আসতেই সে খুশিতে কল উঠায়।

—“হ্যা….হ্যালো…জা…..জারা। এক ঢোক গিলে প্রিয়া আমতা আমতা করে বলে।

—“আরে কি হয়ছে তুই কাঁপতেছিস কেন?

—“না তো আমি কাঁপছি না এমনেই গলা ব্যথা সর্দি জ্বর হয়েছে।

—“কিন্তু তোর গলার সাউন্ড শুনে লাগছে তুই কোনো জিনিস দেখে ভয়ে ভয়ে কথা বলছিস! সন্দেহ এর বনীতে বলে।

—“না…..না তো। আমি ঠিক আছে তুই বল এতোদিন ভার্সিটিতে কেন আছিস নাই?

—“ওহ হ্যাঁ তোকে তো বলাতেই ভুলে গেছি।

—“কি???

—“সুখবর – দুঃখবর দুইটাই আছে। সুখবর হচ্ছে আমার বিয়ে হয়ে গেছে আর দুঃখবর হচ্ছে আমাকে মেহরান আর চাচি মিলে ভয়াবহ মৃত্যু দিতে চেয়েছিল। কিন্তু উনারা উনাদের কাজে সক্ষম হোন নি। আমার বর এসে আমাক বাঁচিয়ে নে। উনাদের কাজের কথা চাচু শুনে এখন অজ্ঞান হয়ে আছে। হুঁশ আছে নি।

—“ওহ তুই কেমন আছিস এখন?

—“এতো আমি এখন সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ। আর আজকে আমার আর আমার বরের মিলন রাত হবে দোয়া করিস তোকে যেন খালা বানাতে পারি।

—“কিভাবে বলব তোকে জারা! তুই সবকিছু বলছিস কিন্তু নামটা নিলি না এটাই বেটার করলি। আমার পাশে যে গার্ন টেগ করে আবরার স্যার দাঁড়িয়ে আছে তোকে কোনোভাবেও ইঙ্গিত দিতে পারছি না।
প্রিয়া ভয়ার্ত ফেস করে এক ঢোক গিলে আবরার এর দিকে তাকায়।

আবরার এতোক্ষণ জারা কি কি বলল সব শুনল। সে স্বাভাবিক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে শান্তির আভাস ছড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রিয়ার কেমন জানে ব্যাপারটা অদ্ভুত লাগছে !

সে জারাকে অন্যকিছু বলতে যাবে তার আগেই। আবরার ছুঁ মেরে ফোনটা নিয়ে কল কেটে দে। জারা কল কেটে দিল দেখে অবাক হয়ে যায়।

—“আরে কল কেটে দিল? এতো রাগ করল আমার সাথে? কিন্তু আমি তো তেমন কিছুই করি নি। শুধু জানায় নি বিয়ের কথাটা। তাই বলে রাগ করতে হবে ? বাহ্ যাক গে আমিও রাগ করব।
গাল ফুলিয়ে জারা এফবি অন করে চালাতে থাকে।

__________

অফিসে ফায়যান জেহানের সামনে বসে আছে। জেহান মাথা হেলিয়ে রকিং চেয়ারে বসা। ফায়যান এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে।

—“তাহলে তার টাইম শেষ?

জেহান উদাস ফেস করে আছে। সে বলে।

—“হুমম।

রাহুলও তখন কেবিনে ঢুকে।

—“স্যার আসতে পারি?

—“তোকে পারমিশন নিতে কে বলছে? চলে আয়।

রাহুল মুচকি হেসে এসে বসল। জেহানকে দুইজন মিলে শান্ত করার চেষ্টা করছে কিন্তু সে হচ্ছে না।

—“দেখ আমি তাকে খুব ভালোবাসতাম। কিন্তু সে ঐ ছেলের সাথে রাত কাটিয়ে আমার ভালোবাসার মর্যাদা নষ্ট করে দিল। আজ…..আজ সেই ছেলে তাকে মেরে ফেলল। কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে জেহান বলে।

ফায়যান তার পিঠে হাত রেখে বলে।
—“শুন আরমান আর বাঁচতে পারবে না। তার মৃত্যু আমার হাতেই লেখা।

—“হুম আমরা তোর সাথে সাথেই আছি। জেহান বলে

___________

আবরার প্রিয়ার ফোন ফেলে বলে।

—“জারা কার সাথে বিয়ে করেছে?
গম্ভীর কণ্ঠে বলে।

—“স্যার আমি জানি না জারা নিজেই তো তার বরের নাম নেই নি।

—“তার বর মাই ফুট। তুই জারার বরের খবর বের করে আমাকে দিবি ! যেভাবেই হোক জারার বর্তমান এড্রেস আমার চাই ই চাই। এখন আমার শুধু তার চাচার বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে আর যদি তুই, তোর ফ্যামিলি আগামী দিনের কিরণ দেখতে চাস তাহলে এড্রেস যেনো পেয়ে যায়।
আবরার হিংস্র নয়নে ধমকির সুরে প্রিয়াকে বলে। প্রিয়ার হার্ট প্রব্লেম। উচ্চ সাউন্ডে কেউ কিছু বললে তার হার্টে প্রব্লেম হয়।

আবরার এর এমন ধমকিতে প্রিয়ার মাথা চকর খেয়ে উঠে। সে সেখানেই পড়ে যায়। কিন্তু আবরার তাকে দেখে নি। সে তার মত রুম থেকে বের হয়ে যায়।
প্রিয়া ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছিল তখন আবরার জারার ব্যাপারে জানার জন্যে প্রিয়ার মুখ চেপে হাত ধরে রুমে নিয়ে আছে। রুমে এনে ধমকি দিয়ে জারাকে কল দিতে বলে। তাদের কথা শেষে আবরার তাকে ওয়ার্নিং দে যেনো কেউ তাদের কথার ব্যাপারে না জানে।

আবরার সোজা তার অফিসের জন্যে রওনা দে।

আয়শা কয়েকদিনের জন্যে তার পরিবারের সাথে দেশের বাহিরে বেড়াতে গেছে। সাহেল আর কি বিন্দাস মেহরানও নেই যখন তখন যা ইচ্ছে করতে পারবে।
সে আয়শাকে ড্রপ করে ভার্সিটিতে চলে আসে। সে ক্যান্টিনের দিকে যেতে লাগে। তখন হঠাৎ তার পা থমকে যায়। সে একটা রুমের দিকে তাকায়। রুমের দরজাটা খুলা ছিল। সেখানের মধ্যে প্রিয়াকে নিচে পরা দেখে ভেতরে এসে প্রিয়ার পার্লস চেক করে। তার রক্ত চলাচল হচ্ছে তা ফিল করল কিন্তু অজ্ঞান।

প্রিয়াকে অজ্ঞান দেখে সে কাউকে ডাকতে যাবে কিন্তু তখন তার নজর আঁটকে গেল প্রিয়ার বুকের দিকে। প্রিয়ার গলার স্কাফটা নড়েচড়ে বুকের উপর থেকে সরে গেছে।

সাহেল এর হিংস্র মনুষ্যত্ব ভেতরে নাড়া দিয়ে উঠে। সে সরু নজরে বাহিরে তাকিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দে।
ধীরে ধীরে অজ্ঞানরত প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে শয়তানি হাসি দিয়ে বলে।

—“এক মাল কে তো পেলাম না তাতে কি বেস্ট মাল তো আজ পাবো। জারা আউট প্রিয়া ইন। বলে সে হাটু গেড়ে প্রিয়ার পাশে বসে তার স্কাফটা জোরে টান দিয়ে সরিয়ে ফেলে।

প্রিয়া অজ্ঞান তাই সে কিছু টের পাচ্ছে না কিন্তু তার সাথে যে জঘন্য কাজটা সাহেল করছে। তা জানার পর প্রিয়ার অবস্থা কেমন হয় তা তো আল্লাহই ভালো জানে।

_________

মিসেস ফিহা আরমান দুইজনই অবাক হয়ে আবরার এর কথা শুনছে। আবরার রাগে গজগজিয়ে বলতে লাগে।

—-“মম ড্যাড আমি মেরে ফেলব যে আমার জারাকে নিজের ওয়াইফ বানিয়েছে। সে শুধু আমার সম্পদ। আমার সম্পদে আমি কাউকে হাত মারতে দেবো না।

আরমান নিজের ছেলের পাগলামি খুব ভালোই জানে। তিনি তাড়াতাড়ি ওয়াইন বানিয়ে তাতে বরফ ঢেলে আবরার কে দিল। আবরার সাথে সাথে ড্রিংক করতে শুরু করে।

জ্যাক তড়ফড়িয়ে আবরার এর কেবিনে এসে হাঁফাতে থাকে।

আবরার ভ্রু কুঁচকে বলে।

—“তুই এভাবে হাঁফাছিস কেন? তোকে যে কাজ দিচ্ছিলাম সেটা করছিস? ফায়যানের পিএ কে নিজের ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়ে ফায়যানের কোম্পানি নষ্ট করার জন্যে তোকে অরিতার সাথে রিলেশন করতে বলেছিলাম। সেই কাজের কি হয়ছে বল?

জ্যাক আবরার এর মেজাজ গরম দেখে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না! সে মাথা নিচু করে থাকে। আমতা আমতা করে বলে।

—“স্যার প্লেন এটা আসলে আমরা হেরে……..বাকিটা অংশ শেষ করার আগেই আবরার তার হাতে থাকা ড্রিংকের গ্লাস জ্যাকের মুখ বরাবর ছুঁড়ে মারে। গ্লাসটা জোরে জ্যাক এর কপালে লেগে ভেঙ্গে চোখের অংশে ঢুকে যায়। সে চিৎকার করতে করতে সেখানে বসে পড়ে। আরমান আবরারকে ধরে ফেলে তার গার্ন বের করার আগে মিসেস ফিহা আরমানের দিকে তাকালে। আরমান ফিহাকে ইশারা করে জ্যাককে ট্রিটমেন্ট দিতে মেডিক্যাল এ নিয়ে যেতে বলে।
মিসেস ফিহা বুঝতে পেরে দুইজন গার্ডস ডেকে জ্যাককে উঠিয়ে মেডিক্যালে নিয়ে যায়।

জারা ফায়যানের পুরো বাংলোতে ঘুরতে থাকে। তখন সে খেয়াল করল এক রুম থেকে তাজব কান্ডের হু হু হু হু সাউন্ড আসছে। জারা সরু নজরে সেই রুমের দিকে যেতে লাগে। দরজার পাশে আসলেই সে দরজায় নিজের কান লাগিয়ে শুনার চেষ্টা করে। তখনও সেইম সাউন্ড আসছে কিন্তু দরজার কাছে আসাতে সাউন্ডটা খুব জোরেই আসছে। জারা আস্তে আস্তে দরজা খুলে দেখে পুরো রুম অন্ধকার। সে ধীর পায়ে লাইটের সুইচ খুঁজছে ফ্লোরে তার পা রাখাতে নরম ঠান্ডা পানির মত অনুভব হলো। সে আরেকটু আগাতেই……..

……..চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here