তার_শহরের_প্রেম পর্ব ১১+১২

গল্পের নামঃ- #তার_শহরের_প্রেম😍😍

লেখিকাঃ- konika Islam sanju

part:11

কলেজ শেষে একটার পর একটা ফুচকা খাচ্ছে, আয়াত আর আলভিরা। অন্য দিকে আরিয়ান ওদের খাওয়া দেখছে। হঠাৎ করেই একটা বাচ্চা এসে আয়াতের হাতে একটা লাল চিরকুট আর একটা গোলাপ ফুল দিয়ে যায়। আয়াত বলে

—- বাবু এটা তোমাকে কি দিতে বলেছে? বাবুটা ইশারা করে বুঝায় সে কথা বলতে পারে না আর দৌড়ে চলে যায়। আরিয়ান বলে

—- এটা আবার কোন নতুন আপদ!! দেখি আমাকে দাও। আয়াত চিরকুটা আরিয়ানের কাছে দেয় আরিয়ান পড়ে দেখে তাতে লেখা

—– সৌন্দর্যের পরিপূর্ণ সম্ভার বললেও হবে না ভুল,

যেমন সুন্দর তোমার মাথার ঘন কালো চুল,

তেমনই তোমার টিয়া পাখীর মত লাল ঠোঁট অনন্য,

একেবারে পাগল আমি তোমাকে পাবার জন্য!

অপ্সরার রানি রম্ভার মত গায়ের রং তোমার,

তুলার মত নরম কোমল গালে থাকবে স্পর্শ আমার,

এমনই সাধ জাগে মনের মাঝে,

সকাল দুপুর কিংবা সাঁঝে!

বিধাতার বিশেষ সৃষ্টি তুমি,

তোমার মন জয় করে ছাড়বই আমি♥️♥️ চিরকুটের লেখাটা শুনে হুহু করে হাসতে লাগে,, আলভিরা আর আয়াত।। আরয়িন বলে

—- হায় দিন দুপুরের আয়াত তোমার জন্য নতুন প্রেমিক তৈরি হয়েছে,, এবার তুমি সমালাও। বলেই হাসতে লাগে। আয়াত ফুচকা চিবুতে চিবুতে বলে

—- পুরান পাগলের ভাত নাই,, নতুন পাগলের আমদানি,, ডিপলি ভাবা যায় এগুলো??!! কোথায় থেকে আসে এরা!! আলভিরা বলে

—- ভাবি আমি শিহরিত,,, । কিন্তু আয়ান ভাইয়াকে জ্বালানো যাবে। আজ কালতো সে আবার তার বউকে চোখে হারায়। আয়াত রেগে সে ফুচকাটা খেতে খেতে বলে

—– কচু চিন? ঐ কচু। আরিয়ান চিরকুটটা আয়াতের দিকে এগিয়ে দেয় আর বলে

—- না আজকাল তো তাই দেখছি। তা এটার কি করবে?? আয়াত বলে

— কি আর? ডাস্টবিনে জায়গা হবে। বলেই চিরকুট টা ছিড়ে ফেলে দেয়। আর তিনজনই বেরিয়ে পরে আয়াতদের বাসার উদ্দেশ্য। চারদিকে যাক যমক,,, বাড়ি ঘর সাজাতে মেতে উঠেছে সবাই। এতো সাজ সজ্জা কেন? আয়াত সাদীকে জিজ্ঞেস করে

—- এই সাদী এতো সাজসজ্জা কেন? সাদী আয়াতের গাল টেনে বলে

—- তোর অপূর্ব ভাইয়া আসছে,,,।

অপূর্ব ভাইয়া নামটা শুনেই খুশিতে গদগদ হয়ে উঠি,,, অপূর্ব ভাইয়া হচ্ছে আমার বাবার,,,চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মানে আমার ভাই লাগে। আগে প্রায় আসতো কিন্তু বিয়ের পর আর দেখা হয়নি৷ আরিফা আপুর বিয়ের ১ মাস আগে বলে ছিল দেখিস আরিফার পরেই তোর বিয়ে। আমাকে অনেক আদর করে।। খুশি মনে বাসায় চলে আসাল আয়াত।

_________

বিকেলে অফিস থেকে ফিরে আয়ান দেখে আয়াত আর সবাই একসাথে খুশিতে মেতে উঠেছে,,, আর আয়াতের সাথে বসে আছে অপূর্ব। অপূর্বর সাথে আয়ানের সম্পর্কটা সাপ নেয়ুলের মতো। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। কারণ সেটা অজানা৷ (পরে জানতে পারবে) আয়ান আয়াতকে ডাকে আর বলে

—- আয়াত উপরে আসো।অপূর্ব বাঁকা হাসি দেয় আর বলে

—- হেই বিগ বি,,, কেমন আছো? আয়ান বলে

—- আলহামদুলিল্লাহ,, আয়াত জলদি রুমে আসো।

আয়াতকে সবাই পিন্ঞ্চ মেরে বলে যাও যাও। কিন্তু সব কিছুর পরও অপূর্বের চোখ জোরা সবার আড়ালে গিয়ে আটকে আছে একজনের দিকে। আয়াত রুমে এসে দেখে আয়ান টাই খুলছে চোখ মুখে ভয়ংকর রাগ। আয়াত মনে মনে বলে

—- আয়াতরে কেটে পর কেটে পর,, যেই ভাবা সেই কাজ কিন্তু তার আগেই আয়ান আয়াতের হাত ধরে দরজটা লাগিয়ে দেয় আর আয়াতের দুই হাত চেপে ধরে বলে

—- ফাস্ট আর লাস্ট বারের মতো বলছি,, অপূর্বের থেকে দূরে থাকবি, তোর ,, আশেপাশেও যেন ওকে না দেখি। আমি একটু সাহস জুগিয়ে বলি

— কেন অপূর্ব ভাইয়া কি!!? আয়ান রেগে দেওয়ালে পান্ঞ্চ মারে বলে

—- না মানে না। এর উপরে কোনো কথা চাই না। আয়ান রাগের বসে সেই কাটা হাত দিয়ে দেওয়ালে মেরেছে ফলে হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আয়াত রেগে গিয়ে আয়ানের হাত ধরে বলে

—- সবসময় ফালতু রাগ আর জিদ আপনার,, রাগের বসে তো আপনারই ক্ষতি হয়েছে,, ব্যাথা করছে না, আমি এখনই ।।।। বলে আয়াত যেতে চাইলে আয়ান আয়াতের হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে আর জাড়িয়ে ধরে। আয়াত রেগে অনেক কথা বলছে কিন্তু সেদিকে আয়ানের খেয়াল নেই। আয়ান মনে মনে বলে

—- অপূর্ব থেকে তোর দূরে থাকতে হবে,, কারণ অপূর্ব মনে করে তার থেকে তার প্রিয় মানুষটাকে দূরে আমি সরিয়েছি,, কিন্তু না সব ছিল ভাগ্যের লেখা৷ আই এম সরি অপূর্ব,, এতে আমার কোন ভুল ছিল না। আর আমি আমার আয়াতকে কোথাও যেতে দিব না। আয়াত আমার আছে আমারই থাকবে। আয়াত নিজেকে আয়ানের থেকে ছাড়িয়ে আবার হাতে বেন্ডেজ করে দেয়।

________

রাতে শুয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আয়াত। তখনই আয়ান এসে বলে

—- তোর পড়া শেষ? নাকি শুধু কলেজই যাস। আর আসিস। আয়াত রাগী চোখে তাকিয়ে বলে

—- রাত ১২টা অব্দি বাইরে থাকলে দেখবেন কি করে? তখনই অপূর্ব দরজায় করা নারে। আয়াত দরজা খুলে বলে

—- তুমি এখানে? কিছু লাগবে ভাইয়া?? অপূর্ব বলে

—- সবাই একসাথে উপরে গল্প করছে তুই আর আয়ানও আয়। আয়াত বলে

— সে মাত্র বাইরে থেকে এসেছে তুমি যাও আমরা আসছি। আয়ান ভেবে দেখে এখন যদি সে বারণ করে তাহলে খারাপ দেখায় তাই বলে

—- আয়াত তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। আয়াত মনে মন বলে

—- সবার সামনে তুমি আর একা তুই,, হারামি। আয়াত আর অপূর্ব কথা বলতে বলতে চলে যায়। আয়ান ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হতে যাবে তখনই কিছু তরল জাতীয় জিনিসের উপর স্লিপ করে। কিন্তু বেলেন্স করে নেয়। সামনে তাকাতেই দেখে একটা কাচের গ্লাস ভাঙা,, আর নিচে জুস৷। এইরে একটুর জন্য কাচের উপর পরত। তখনই আয়ান একটা সার্ভেন্টকে ডাকে আর বলে

—- এগুলো একটু দেখে শুনে করবেন,, একটু হলেই তো। সার্ভেন্ট টা বলে

—- সরি,,, স্যার মাফ করবেন। কিছু সময় আগেই তো একজন উপরে জুস দিয়ে এসেছে তখন হয়তো। আমি পররিষ্কার করে দিচ্ছি। আয়ান পাশ কাটিয়ে চলে আসে ছাঁদে। তারপর শুরুহয় তাদের আড্ডা। আয়াত বলে

—- আমার সাথে একটু কেউ নিচে কিচেনে চলো না,, পানি খাবো,, এখানে তো সব,, আয়ান বলে

—- চলো,,, আর সবাইকে গুড নাইট
কালকে আয়াতের কলেজ আছে, আলভিরা ঘুমাতে যা আরবি তুইও,, আর আরিয়ান তো কিছু সময় আগেই বাসার উদ্দেশ্য বের হয়েছে একটা কল দিয়ে৷ তখনই আরিয়ানের মেসেজ আসে সে ঠিক মতো বাসায় পৌঁছে গিয়েছে আর তার দিদুন নাকি আর তিনদিন পর আসবে৷ আয়াত নিচে নামতে নামতে বলে

—- আচ্ছা আপনি এমন হঠাৎ বদলে গেলেন কিভাবে? এতো ভালো ব্যবহার৷ আয়ান রাগী কন্ঠে বলে

—- কেন বাজে ব্যবহারটাই কি ঠিক? আসলে আমারই ভুল,,,বেশি মাথায় তুলে ফেলেছি। আয়াত চুপ হয়ে যায় আর মনে মনে বলে

—- ঠিকইতো হয়তো সিমপ্যাথি দেখাচ্ছে এর বেশি কিছু না। নিজের বেহায়া মনটাকে ইচ্ছে মতো বকে
_______

অপর দিকে অজানা ব্যক্তিটা রেগে একাকার। আয়ান কিভাবে বেঁচে গেলো?

——৷ আহহহহহহহ,,, আয়ান,,, আয়ান,, আয়ান। কি এমন আছে ওর মাঝে যা আমার মাঝে নেই। আয়াত আমার আর ওকে খুব জলদি আমার করে নিব,, মাঝপথে বাঁধা শুধু আয়ান। আর আয়ান আই এম সরি BB,,,, তোমাকে সরতে হবে। ৪দিন পরই তো আহমেদ বাড়িতে উৎসব। আর সেটাই হবে আমার আয়ানকে পথ থেকে সরানোর আসল দিন। এই চোর পুলিশের খেলা আর না এবার সামনা সামনি খেলা হবে। বলেই বাঁকা হাসি দেয়। আর হাতে থাকা ছুড়িটা ছুড়ে মারে আয়াত আর আয়ানের বিয়ের ছবি বরাবর।
গল্পের নামঃ- #তার_শহরের_প্রেম😍😍

লেখিকাঃ- konika Islam sanju

part:12

ছাঁদের দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে আয়াত আর একটু দূরেই দাড়িয়ে আয়ান,, চোখ মুখে দুষ্ট হাসি,,, হাত ভরতি রঙ। আয়াত এখন পিছাতেও পারছে না আর আগাতেও না৷ আয়ান ঠোঁট কামড়ে এক ভ্রু উচু করে হাসি দিয়ে বলে

—- জানেমান এখন কথায় পালাবা। সবার হাত থেকে তো পালিয়ে এসেছিলে এখন?? আয়াত একটা শুকনো ঢুক গিলে বলে

—- দেখুন,, আম,,,আমার এই রঙ খেলায় কেনো রকম ইচ্ছে নেই,, তো আপনি খেলুন ওদের সাথে নিচে অনেকে আছে। আয়ান একটা ফ্লাইং কিস দিয়ে বলে

—- নো বেইবি আমি আমার বউ এর সাথে রঙ খেলব। বলেই আয়াতের গালে রঙ মেখে দেয়। আয়াত রেগে তেরে আসলে। আয়ান দৌড়ে নিচে নামতে লাগে,, সাথে আয়াতও। আজ সবাই মিলে রঙ খেলছে কারণ আজ অপূর্ব ছোট বোন আর বাড়ির সবার চোখের মনি ইরা আসছে। তারই আসার আয়োজন। আর আয়াত এইসব থেকে বাচার জন্য ছাঁদে এসে বসেছিল,, কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো কই? আয়ান এসে ঠিকই রঙ লাগিয়ে দিয়েছে। আয়ান দৌড়াচ্ছে আর বলছে

—- তোর মতো ডোরেমন আমাকে ধরতে পারবে? আয়াত রেগে নাক ফুলিয়ে বলে

—- তাল গাছের মতো লম্বা আপনি,,, পা গুলে এতো বড় বড় তো ধরব কি ভাবে? একটু ধীর গতিতে দৌড়ালে কি হয়। আয়ান সোজা দৌড় দিয়ে গার্ডেনে চলে যায়। আয়াতও আসে আর সাথে সাথে আয়ান আয়াতের দিকে রঙ ছুড়ে মারে। আয়াতও কমনা নিজের পা এগিয়ে দেয় আর লেং মেরে আয়ানকে নিচে ফেলে দেয় ,,,,, আয়ান নিচে পরে যায় তা দেখে আয়াত হাহা করে হাসতে লাগে। আয়ান নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে

—- ফাজিল মেয়ে উঠা আমাকে।। আয়াত হাতটা এগিয়ে দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়ে বলে

—- সময় নেই। আয়াত চলে যেতে চাইলে আয়ান আয়াতের উড়না ধরে বলে

—- বউগো আমাকে উঠাও না। খুব ব্যাথা পেয়েছি। আয়াত ও নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় আয়ান উঠে দাড়িয়ে বলে

—- এখন তোর কি হবে?

আয়াত দৌড় আয়াতকে আর পায়কে। আয়ান আর আয়াত মেতে উঠেছে রঙ খেলায়,,,, অন্য দিকে আরেকজন রাগে ফুসছে।।।।।

হঠাৎ ভিরের মাঝে কে যেন আয়াতকে রঙ লাগিয়ে দেয়। আয়াত সেটা কে বুঝে উঠার আগেই আলভিরা পিছন থেকে বলে

—- আমাদের ইরা বতি,,,, আর সবাই ব্যস্ত হয়ে পরে ইরাকে নিয়ে। ইরার সবার সাথে কথা বললেও,,, আরিয়ানের সাথে কথা বলে না,,,, ইরা বরাবরই আরিয়ানকে লাইক করে কিন্তু আরিয়ান ইরাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু এইবার আরিয়ান ইগনোর করার আগেই ইরা আরিয়ানকে ইগনোর করছে। তাতে অবশ্য আরিয়ানের কিছু যায় আসে কি না বুঝা যাচ্ছে না।

___________

অপর দিকে আয়াত সেই কখন থেকে ওয়াশরুমের দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে,, আয়ান বের হলেই সে শাওয়ার নিতে যাবে। আরিয়ান দরজাটা হালকা ফাক করে বলে

—- আয়াত তোয়ালেটা দেতো নিতে ভুলে গিয়েছে। আয়াত বিরক্ত হয়েই তোয়ালেটা এগিয়ে দেয় আয়ানের দিকে। কিন্তু তার আগেই আয়ান আয়াতের হাত ধরে টান দিয়ে ভিতরে নিয়ে আসে। হঠাৎ এমন করাতে আয়াত ঘাবড়ে যায়। ঝরনার পানিতে দুজনে ভিজে একাকার,,,, আয়াত বার বার চোখের পলক ফেলছে,, কারণ পানির গতি অনেক। তা দেখে আয়ান মুচকি হাসি দিয়ে আয়াতের চোখে দুটো চুমু দেয়। আয়াতের সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কখনো খুব কেয়ার করে কখনো আবার খুব করে বকে। আয়ান আয়াতের দিকে তাকিয়ে বলে

—- শাওয়ার নিয়ে আসো। আর আমি রুমে চেন্ঞ্জ করে নিচ্ছি। বলেই চলে যায়। আয়াত এখনো সেই আগের জায়গায় দাড়িয়ে আছে। আয়ান দরজায় নক কর বলে

—- ফাস্ট । আয়াতের হুশ আসতেই দরজটা আটকে শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে আসে। আয়ান রুমে নেই হয়তো নিচে। আয়াত বেলকনিতে গিয়ে দেখে,, আরিয়ান আর আয়ান কোনো ব্যাপার নিয়ে কথা বলছে। আয়ান পরেছে হুয়াইট শার্ট হাতা গুলো কনুই অব্দি উঠানো,,,,, আর কালো পেন্ট,,, আরিয়ানও কম কিসে ইস্কাই ব্লু কালারের শার্ট আর হুয়াই পেন্টে। আসলে বাগান পরিষ্কার করা হচ্ছে,, রঙ খেলায় বাজে অবস্থা তখনই ইরা আসে আয়াতের রুমে আর ভাওও করে আয়াতকে ভয় পায়িয়ে দেয়। আয়াত রেগে ইরার কান ধরে বলে

—- জীবনে ভালো হবি না। ইরা ঠোঁট উল্টে বলে

—- আহহ আয়ত আপুই লাগছে তো ছাড়োনা। আয়াত ছেড়ে দেয় পরে দু’জন ইচ্ছে মতো গল্প করে। কিন্তু এতটুকু সময় অপূর্বের দেখা একবারও মেলেনি। অন্য দিকে নিজের রুম থেকে বের হচ্ছে আলভিরা,, বের হতে না হতেই আরেক জনের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যেতে চাইলে তাকে সে ধরে ফেলে। সাদী ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো

—- তোর জন্য চশমা কিনতে হবে,, কখনো পানিতে পরিস আবার কখনো শুকনো জায়গায়। আলভিরা সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলে

—- আর আমার গল্পে হিরোর মতো এন্ট্রি নাও তুমি,, এটা তোমার প্লানিং!! সাদী বলে

— গল্পের ভিলেন আমি,,এই নে তোর পায়েল,,, রঙ খেলার সময় খুলে গিয়েছিল। আর আমার সব বিগ বি গুলো কই? অপূর্ব ভাইয়া আয়ান ভাইয়া আরিয়ান একজন কেও তো দেখছি না। আলভিরা পায়েলটা নিয়ে বলে

—- আমি জানি না,, আরবি আপুকে জিজ্ঞেস কর গিয়ে। কিচেনে আছে। সাদী আলভিরার চুল টান দিয়ে চলে যায়। আলভিরা রেগে বলে

—- বিগ বির কাছে বলে দিব৷ সাদী বাঁকা হাসি দিয়ে বলে

—- বিবি আমাকে কিছু বলবে না আর করতেও পারবে না। নিচে আয় একটু পর সবাই খেতে বসবে।

_________

সবাই একসাথে খাচ্ছে আর গল্প করছে কিন্তু এইসবের মাঝে আয়াত পরেছে বিপদে,, আয়ান এক হাত দিয়ে খাচ্ছে আরেক হাত দিয়ে মাঝে মাঝে আয়াতের হাতে চিমটি দিচ্ছে। আয়াত না পারছে সহ্য করতে না পারছে কিছু বলতে । তখনই অপূর্ব বলে

—- আয়াত তোমার সমস্যা হলে তুমি আমার জায়গায় এসে বসো। আর আমি না হয়। আয়াত রাজি হয়ে যায়,,, আয়ান একবার আয়াতের দিকে তাকিয়ে বেস জুড়েই চিমটি দেয়। আয়াত বেচার আম্মু বলে চেচিয়ে উঠে।। তা দেখে সবাই বলে

—- কি হয়েছে কি হয়েছে?? আয়াত পরিস্থিতি সামাল দিতে বলে

—- মাছের ঝুলটা যা হয়েছে না,, আরেক পিছ। আয়ান মিট মিট করে হাসছে। একটু পরই অপূর্ব এসে বসে পরে আরবি আর আয়ানের মাঝে,,, আর আয়াত গিয়ে বসে পরে আরিয়ানের পাশে মানে অপূর্বের জায়গায়। পাশেই আলভিরা আর সাদী বসা। আয়াতের মা আয়াতের প্লেটে মাছ দিতে দিতে বলে

—- সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে!! আলভিরা শশা খেতে খেতে বলে

—- সামনাসামনি। আয়ানকে উদ্দেশ্য করে। সাদী আলভিরার মাথায় হলাকা থাপ্পড় দিয়ে বলে

—- সূর্য উত্তর দিকে উঠে গাঁধা,,, পূর্ব দিকে উঠে। আলভিরা এক রকম কেঁদে দেয় আর বলে

—- আমি আয়ান ভাইয়ার কথা বলছি,,, তুমি না দেখালা আয়ান ভাইয়া আয়াত আপুর হাতে চিমটি কাটছিল। আর সবাই একসাথে হেসে দেয়,, শুধু একজন ছাড়া। আয়াত বেচারির গলায় খাবার আটকে যায় ।৷ আরিয়ান তাড়াতাড়ি করে পানি এগিয়ে দেয়,, আর সাদী রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আলভিরার দিকে। আয়াত পানি খেয়ে বলে

— আমার খাওয়া শেষ,, আর সোজা রুমে দৌড়। আয়ান বেচারার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে বেচারও বলে

—- আমার খাওয়াও শেষ। আর আয়ানও দৌড়। আয়ান যেতেই সবাই হাসিতে ফেটে পরে। ইরার হাসতে হাসতে প্রায় অবস্থা খারাপ তাই সে সামনের থাকা গ্লাসটার দিকে হাত বারায় পানি খাওয়ার জন্য, আর আরিয়ানও। কিন্তু আরিয়ান গ্লাসের বদলি ইরার হাত ধরে

চলবে
চলবে

এমন নেক্সট নাইছ না কমেন্ট করে গঠনমূলক কমেন্টও করতে পারো। 🙃😐😬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here