তুই আমার প্রতিশোধের মোহর পর্ব ৩

#অবাদ্ধ_যন্ত্রণা
#তুই_আমার_প্রতিশোধের_মোহর
#Megh_La
Part:03
কিছু সময় পর আমান খাবার নিয়ে আসে।
এসে দেখতে পায় মেঘ এখনো সেই ভাবে বিছনায় শুয়ে আছে। খুব ভালো করে বুঝতে পারছে কতোটা কষ্ট হচ্ছে মেঘের।
এতে মনের কোনে কোথায় একটু মায়া জন্মে আমানের।
আমান মেঘের ভারি গয়না গুলো খুলে দেয়।
–মেঘ। মেঘ।
–হু।
–একটু জামা টা পাল্টে নেও।
–হু। (বেহুশের মতো)
–তুমি শুনতে পারছো মেঘ।
–……(নিশ্চুপ)
–আমাকেই কিছু করতে হবে।
আমান নিজেই মেঘের জামা পাল্টে দিয়ে একটা নরম কাপড় পরিয়ে দেয়।
তার পর খাইয়ে দিয়ে ঔষধ দিয়ে ঘুমিয়ে দেয়।
মেঘ ঘুমচ্ছে। আমান ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে এমন সময়,
–স্যার আসবো।
–হুম এসো।
–জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছে গেছে স্যার আমাদের নামতে হবে।
–হুম।
–স্যার বাইরে বড়ো আব্বু আর বাকি সবাই ওয়েট করছে।
–ওকে আমি ওকে নিয়ে আসছি৷
তুমি যাও।
লোকটা চলে যায় আমান মেঘকে পাজ কোল করে নিয়ে হাঁটতে থাকে।
–জানেমান ধামাকা অপেক্ষা করছে শান্তির ঘুম ঘুমিয়ে নেও।
আমান মেঘকে নিয়ে জাহাজ থেকে নামে।
সেখানে দাঁড়িয়ে আছে আমানের পরিবার। আমানের পরিবারে কোন মেয়ে নাই। আমানের স্ত্রী মেঘ সে এখন আছে । আগে অবশ্য ছিলো কিন্তু এখন তার ছবিতে আছে।
এবার আমানের পরিবারের পরিচয় দেওয়া যাক।
আমানের বাবা জমিদার সাথে বিক্ষত বিজনেসম্যান আবির খান। এই নাম সে গত ১ বছরে অর্জন করেছে।
আমানের ২ টা ছোট ভাই আহম্মেদ খান, অরিফ খান। দুই জনি বেকার বাবা আর ভাইয়ের নামে চলে।
এদের বাসায় মেয়ে নেই বলতে কোন সার্ভেন্ট মেয়েও নাই। সবি ছেলে।
আমানের বাড়িটা কোন রাজ প্রসাদ থেকে কম নয়৷ তবে এ সব কিছুই হইছে ১ বছরে। আবির খান তার ছেলেদের নিয়ে একটি দ্বীপে থাকে যেটার পুরোটা ওনার দখলে। অবশ্য এসব কিছু অর্জন করতে আমানের পুরোপুরি সহায্য ছিলো।
ওদের নাম এখ পুরো পৃথিবীতে বিক্ষ্যাত।

–আরে ভাই তুই এভাবে নিয়ে এলি ভাবি কে। আমরা তো বধু বরন করতে চাইছিলাম। (আহম্মেদ)
–সমস্যা ছিলো। (আমান)
–আরে ভাই ভাবির এ অবস্থা কেন? (আরিফ)
–তোর এসব introgression শেষ হলে ওদের। গাড়িতে উঠতে দে। ছেলেটা কত সময় বৌমাকে নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে।
–ও বাবা তুমি ছাড়া কেউ বুঝে না আমাকে।
–আয় আয় জলদি আয়।।
সবাই গাড়িতে ওঠে। কিছু সময় পর তারা পৌঁছে যায় তাদের বাংলো তে।
–ভাই আমরা কি ভাবির জন্য কিছু করবো না উনি তো এখনো।
–তোর নাম যা ইচ্ছে কর আমি ওকে উঠিয়ে আনছি।
–শিওর।
–হ্যা।
ওরা চলে যায়।
আমান মেঘের মুখে পানির ছিটা দেয়।
মেঘ নাড়ে ওঠে।
–মেঘ(মুখে হাত দিয়ে)
মেঘ আস্তে আস্তে চোখ খুলে।
–ঘুম হলো।
আমি চারি দিকের অবস্থা দেখে থমকে যায় এটা কোথায় নিয়ে আসছে আমাকে।
–এটা কই।
–তোমার শ্বশুর বাড়ি সুইটু৷
–মানে।
–মানে নাই চলো।
বলেই আমাকে ধরে গাড়ি থেকে নামালেন আমি দেখতে পেলাম এটা একটা বড়ো প্রসাদ আমাদের টার থেকে বড়ো।
আমান আমাকে ধরে ভেতরে নিয়ে এলেন।
আমি শুধু দেখে যাচ্ছি। চারি দিকের পরিবেশ অনেক সুন্দর।
দরজার সামনে পৌঁছাতে,
–আরে আরে ভাই আগে বরন করি৷
দেখুন ভাবি এটা মেয়েদের কাজ আমাদের বাসায় কোন মেয়ে নাই তাই এটা বাবাই করবে (আহম্মেদ)
আমি ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছি।সে বুঝতে পারছে আমি তাকে চিনি না তাই তাকিয়ে আছি।
–আরে ভাবিকে আগে পরিচয় দে।
ভাবি আমি আরিফ আর ও আহম্মেদ আমরা দুই জন ছোট দেবর আপনার।
আর এই যে আমাদের বাবা মা সব।
–সালাম করো (আমান)
আমি সলাম করতে নিচু হলে আঙ্কেল থামিয়ে দেন।
–না না আল্লাহর সামনে ছাড়া কারোর সামনে মাথা নোয়াবে না।
তুমি আমাকে আজ থেকে বাবা বলবে।
এসো ভেতরে এসো।
আমানের সাথে পা মিলিয়ে ভেতরে আসলাম।
কেন জানি না বাবার বলা কথাটা আমাকে সাহস দিলো।
আল্লাহ ছাড়া কারোর সামনে মাথা নোয়াবে না।
–আচ্ছা ওরা অনেক টা পথ পারি দিছে। ওদের রেস্ট নিতে দে। (বাবা)
–ওকে রাতে পার্টি দিবেন কিন্তু ভাই।
–ওকে।
আমান আমাকে নিয়ে একটা রুমে আসে।
কিন্তু আমার তো এদের দেখে মনে হচ্ছে এনারা আগে থেকে সবটা জানে। আচ্ছা এনারা কি এটাও জানে আমান আমার বাবাকে মেরেছে।
–কি ভাবছো।
–হু।
–কি ভাবছো।
–কিছু না।
–ও সুইটু একটা কথা শুনো বাসার কেউ জানে না তোমাকে আমি কি করে বিয়ে করেছি ভুল করেও বাসার কাউকে বলবে না কি করে আমাদের বিয়ে হইছে। ওরা জানে তুমি আমি দুজন দুজন কে ভালোবাসি তাই বিয়ে করেছি৷
এটা আমার থ্রেট ভেবে নেও।
–হুম সবটা মানার দায়িত্ব আমার এটাও আমি মানবো কিন্তু মনে রাখবেন বেশি দিন না।
–বাবা তুমি কথা বলা শিখে গেছ।
–আপনি শিখিয়েছেন।
–সেরনি জেগে গেছে।
–সিংহের স্ত্রী তো সিংহিনী হয়।
–হুম তা ঠিক৷ এবার খেলা জম্বে বলো।
–লিভ মি।
–ওকে এমনিতেও তেমার কাছে থাকার কোন ইচ্ছে আমার নাই সো বাই৷
আমান চলে যায়৷
–সহ্যের শিমা থাকা দরকার। আর না এবার আমিও এক জন রাজকুমারীর মতো ভাববো। আমিও প্রতিশোধ নিবো।
বি রেডি ফর ইট মি.আমান খান।
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here