#তুমি_আমার_অধিকার🍂
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ.
#পার্টঃ3
এইইই হেই অন্তী যে, কি অবস্থা মেডাম অনেক দিন পর দেখা
হুম ( মুখ গোমড়া করে.)
আমি তো ভাবতে পারিনি । আমাদের দেখা হবে ওই আমাদের কলেজ লাইফ গেলো একসাথে ছিলাম ভার্সিটির লাইফ তারপর হঠৎা করে তুমি উধাও হয়ে গেলা..
অন্তী বললো আমাকে মিস করো নাই তুমি একটুও
_ এই কথা শুনতে নিলয় চুপ হয়ে গেলো.. আসলে ব্যাপারটা কি একটু ফ্লাসব্যাকে গিয়ে শুনে আসি, কি তাদের সম্পর্ক….
_নিলয় আর অন্তী একই সাথে পড়তো সেই কলেজ লাইফ থেকে আর অন্তী নিলয়কে প্রচন্ড ভালোবাসে একথা নিলয় জানতো কিন্তু সে অন্তীকে কখনো সরাসরি না করে দিতে পারিনি ।
অন্তী মেয়ে হিসাবে ভালো খুব, যেমন পড়ালেখা এক্সপার্ট সুন্দর ও বটে , তবে তেমন সুন্দর না. চেহারা আর বাকি দিক দিয়ে সব এক্সপার্ট, এক কথায় যে কেউ এক দেখাতে পছন্দ করে ফেলবে। অনেক ছেলের প্রোপজল পেয়েছিলো কিন্তু নিলয়ের জন্য সে সব পাওা দেই নি ।
_ভার্সিটির ক্লাস শুরু হওয়ার আগে নিলয়ের জন্য ওয়েট করা আবার শেষ হলে একসাথে ঘুরতে যাওয়া । লেকের পাশে বসে গল্প করা আরো কত কিছু সারাক্ষন অন্তী নিলয়ের সাথে খুনসুটিতে ব্যস্ত থাকতো ।
_নিলয়ের যে ভালো লাগতো না তা কিন্তু নয় । সেও অন্তীকে ভালোবাসতো একটু হলোও কিন্তু অন্তীকে সে এখন সে অধিকার দিবে না । কারণ তার সকল অধিকার জমা রেখেছে তার বউয়ের জন্য ।
নিলয় যেমনটি জানতো অন্তী ছোট থেকে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে তারপর শহরে এসে তার জীবনটা পাল্টে গেছে, আসলে নিলয় তাকে অনেক ভাবে হেল্প করছে । কারণ এই পৃথিবীতে নিলয় ছাড়া অন্তীর তেমন কেউ নেই..
তবে সব কিছু ঠিক ছিলো হঠৎা করে অন্তী উধাও হয়ে গেছে. নিলয় অনেক খুজলো কিন্তু অন্তীকে আর পেলো না..
অনেক কিছু জানা হয়ে গেছে অন্তীর ব্যাপারে এইবার বর্তমানে আসি….
নিলয়ঃ কেমন আছো..
অন্তীঃ হুম ভালো..
নিলয় বলে উঠলো, এতদিন কোথায় ছিলি তুমি
অন্তীঃ কেনো আমায় খুজছিলে নাকি ।
হুম. ( নিলয়)
জানতাম না তো তুমি আমায় খুজবে । কারণ সে কলেজ লাইফ থেকে আমি তুমাকে ভালোবেসে গেছি কিন্তু কখনো ভালোবাসা পাইনি সেই ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার টুকু মনে হয় আমার নেই..।
আচ্ছা এই সব কিছু বাদ দিলে হয় না হুম….
দূর এমনিতে মুড খারাপ আর তারপর তুমি আগের কাহিনি বলে মুড খারাপ করে দিয়েছো..
_কেনো মুড খারাপ কেনো. ( অন্তী)
নতুন বিয়ে করলে শুনলাম, তাহলে মুড ভালো থাকার কথা. অন্তী আশেপাশে তাকালো কিন্তু কোথাও নিলয়ের বউকে দেখতে পাচ্ছে না । কিরে তর বউ কোথায় তাকে তো দেখতি পাচ্ছি না..
নিলয়ের মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো, চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো.. অন্তী এটা দেখে কি হলো তুমি কাদছো কেনো হুম..
আসলে অন্তী নিলয়ের চোখের পানি সহ্য করতে পারে না । তড়িগড়ি করে ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে নিলয়ের চোখটা মুছে গেলো.
_ নিলয় আর আটকালো না অন্তীকে, কারণ বেচারি মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে এইটুকু করার অধিকার আছে তার.
এর পর নিলয় অন্তীকে এক এক করে সব কাহিনি বললো.
অন্তী কি বলবে বুজতে পারছে না । কারণ যে নিলয় তার সবটুকু ভালোবাসা তার বউয়ের জন্য রেখেছে । কিন্তু হায় বেচারার কি হলো দেখো বউয়ের ওপর তার ভালোবাসা ফলানের অধিকারটুকু নেই ।
অন্তীঃ চিন্তা করো না সব ঠিক হয়ে যাবে, আর বেশি কাদলে কিন্তু তুমার মাথা ব্যাথা করবে চল কোথায় যাই তাহলে তুমার মন ভালো হয়ে উঠবে ।
– হুম কোথায় যাওয়া যায় . অন্তী বললো আমাদের সেই অতি পরিচিত যাওয়া যায় । নদীর পাশে.
হুম চলো.. ( নিলয়..)
ওইদিকে নিলয়ের বউ নিরা অনেক্ষণ ধরে দাড়িয়ে আছে হদয়ের জন্য কিন্তু হদয়ের আসার কেনো খবর নেই..
তাই সে দাড়িয়ে না থেকে একটু বসলো এর কিছুক্ষণ পর হদয় আসলো..
-হদয় আসাতে নিরার চেহারা হাসি ফুটে উঠলো..
হদয়ের চরিএের একটু ধারণা দিয়ে দেই আপনাদের । হদয় এমন একটা ছেলে প্রথমে সে খুব ভালো সাজবে কেউ বুজতো ও পারবে না । তারপর আস্তে আস্তে তার রুপ বদলাতে থাকবে ।
নিরা এখনোও হদয়কে চিন্তে পারিনি । আসলে নিরা হদয়কে খুব ভালোবাসে হয়তো তাই হদয়কে সন্দেহ করতে পারে না কেনো কিছুতে ।
হদয়ঃ হেই সুইট হার্ট, সরি অনেক দেরি করে ফেললাম..
নিরাঃ ইট’স ওকে,.
হদয়ঃ চলো বসি.
নিরাঃ হুম চলো..
হদয়ঃ তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছো, এবং বিয়ে করে ফেলছো এখন আমি কি করবো.. আমার মনে হয় আমাদের এখান থেকে সব ক্লোজ করে দেওয়া দরকার ।
নিরাঃ এমন কেনো বলছো, বিয়ে হয়েছে কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু হয় নি.
হদয়ঃ হয় নি মানে, একটার মেয়ের বিয়ে হয়েছে আর তুমি বলছো কিছু হয় নি হুম..
নিরাঃ হুম সত্যি আমাকে বিশ্বাস করো । আমাদের মধ্যে কিছু হয় নি. ওই পাগলটাকে আমি আমার শরীর কি আমার ড্রেস পযন্ত স্পর্শ করতে দেই নি।
হদয় আড়াচোখে নিরার তাকিয়ে বললো হুম বুজলাম । তো এখন তুমি কি করবা ।
নিরা বললো আমি ডিভোর্স নিয়ে নিবো তার থেকে..
হদয়ঃ কিহ তুমার মাথা ঠিক আছে ডিভোর্স নিবা মানে..
তুমার বাব মা আছে তাদের কে কিভাবে বুজাবে তারা কি মেনে নিবে
নিরাঃ হুম মেনে নিবে, তুমি এই নিয়ে চিন্তা করো না আমি সব ব্যবস্থা করবো । তবে মনে হয় ওই পাগলটা আমাকে সহজে ছাড়বে না..
হদয়ঃ হুম তবে আমি জানি আমার বেবিটা পারবে চলো কিছু খেয়ে নেয়া যাক । তারপর মুভি দেখতে যামু..
নিরাঃ সত্যি.. মুভি দেখতে যাবা.
হদয়ঃ হুম যাবো..
এইদিকে অনেক্ষণ ধরে নিলয় আর অন্তী বসে আছে নদীর ধারে.
নদীগুলো মায়ের মতো, এই যেমন শান্ত তারপর হঠৎা করে রাগ করে ফুসে উঠে. মায়ের কথা মনে করাতে নিলয়ের ফোন বেজে উঠলো. ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে নিলয়ের মা কল দিয়েছে কলটা রিসিভ করে..
হ্যালো মা ” কেমন আছো তুমি..
আম্মুঃ হুম বাবা ভালো আছি তুমি কেমন আছো আমার বউমাটা কেমন আছে..
-হুম ভালো আছে মা.
আম্মুঃ আচ্ছা বউমাকে দেয় কথা বলি..
নিলয় কি করবে বুজতে পারছে না, আম্মুকে তো না করা যাবে না আর সে যে এখন বাহিরে আছে তা জানতে পারলে আম্মু রাগ করবে..
– তাই সে কিছু না ভেবে অন্তীকে কলটা দিলো, তুমি একটু ম্যানেজ করো. আম্মুকে.
অন্তীঃ চোখ বড় বড় করে আমি আমি কেনো… 🙄
তারপর নিলয়ের আম্মু হ্যালো… বউমা
অন্তীঃ আসসালামু আলাইকুম আম্মা কেমন আছেন…
হুম ভালো তুমি কেমন আছো হুম. আমাকে তো মনে হয় ভুলে গেছো.
অন্তীঃ না আম্মা কি যে বলেন ভুলবো কিভাবে ভুলি নাই তো..
এরপর অন্তীর আর নিলয়ের আম্মু অনেক্ষণ কথা বললো..
-আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থেকো.. আর নিলয়ের দিকে খেয়াল রেখো.. রাখি..
অন্তীঃ জি আম্মা, আসসালামু আলাইকুম..
-নিলয় বলে উঠলো যাক তুমি আমাকে বাচিয়ে দিয়ছো.. আজকে. অন্তী বললো হুম কিন্তু এইভাবে আর কতদিন হুম..
-যতদিন বাহিরে থাকবো ততদিন.. এই বলে নিলয় হে হে করে হেসে উঠলো..
অন্তীঃ শয়তান..
আচ্ছা চলো অনেক ক্ষুধা পেয়েছে আজকে আমি তুমাকে খাওয়াবো অন্তী অবাক চেয়ে তাকিয়ে রয়ে বললো তুমি…
নিলয়ঃ হুম আমি কেনো কেনো সমস্যা..
অন্তীঃ না চলো ঠিক আছে.. তুমি যখন নিজ থেকে বলছো আমার কেনো সমস্যা হবে…
নিলয় আর অন্তী নদীর পাশ থেকে উঠে রেস্টুরেন্টের দিকে হাটা দিলো.. যাওয়ার পথে নিলয় বলে উঠলো আচ্ছা এই কয়েবছর তুমি কোথায় ছিলে কি করছিলে, বলো
অন্তী আরে বাবা আস্তে আস্তে সব বলবো. চলো এখন.. পা চালাও. বড্ড ক্ষিধা লাগছে..
( অন্তীর এই কয়েক বছর কোথায় থেকেছে সব রহস্য জানবো…এটা কি অজানা থাকবে নাকি রহস্যে জট খুলবে দেখধ যাক )
এই যে হ্যালো হুম আপনাদের বলছি.. নাইস নেক্সট বাদ দিয়ে গঠনমূলক কমেন্ট করুন.
চলবে.