#তোমাতেই_খুজি_আমার_পূর্ণতা🤗 (৫)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)
বর্তমান…..
বেলকোনির দরজা খোলা থাকায় নতুন সকালের মিষ্টি একটুকরো রোদ আমার মুখশ্রীতে এসে পড়তেই মূহূর্তেই চোখ-মুখ কু’চ’কে ফেললাম। পরমূহূর্তে আ’র’মো’ড়া ভে’ঙে শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসি। পাখির কিচিরমিচির শব্দ মিষ্টি সুর তুলে কানে এসে বাজছে। ঠোঁটের কোনে আনমনেই এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠে।
_____অবশেষে মিস.মি’ডে’ল’ক্লা’স এর ঘুম ভা’ঙ’লো।
তীব্রের রা’শ’ভা’ড়ি কন্ঠ কর্ণপাত হতেই ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা হাসির রে’শ মূহূর্তেই শূ’ন্যে মি’লি’য়ে গেলো যেনো। ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ছেড়ে তীব্রের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম, দরজার সাথে হেলান দিয়ে বুকের সাথে দু’হাত গু’জে রেখে দাড়িয়ে আছে সে। পশ্চিম পার্শে থাকা খোলা জানালা দিয়ে হালকা রোদের ঝলক তীব্রের চোখে-মুখে এসে পড়ায় ওর ফর্সা মুখশ্রীকে জ্ব’ল-জ্ব’ল করে তুলছে।
এই সময়টা যদি গত দু’মাস আগের সেই ভালোবাসাময় সময়ের মতো হতো তাহলে হয়তো আমি ঘুম থেকে উঠার পর সর্বপ্রথম তীব্রের মুখ দেখে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করতাম। মনে করতাম, ভালোবাসার মানুষটির সুন্দর মুখশ্রী দেখে নতুন দিনের সূচনা হয়েছে মানে সম্পূর্ণ দিনটিও বেশ আনন্দের সাথে কে’টে যাবে।
কিন্তু এখন তো সম্পূর্ণই তার বি’প’রী’ত ঘ’টে। তীব্রের মনে আমার জন্য কোনো ভালোবাসার চি’হ্ন মাত্রও নেই তাই ওর মুখ দেখে নতুন সকালের সূচনা হওয়া মানে সেইদিনটি আমার সবথেকে খা’রা’প ও দূ’র্বি’ষ’হ ভাবে কাটবে৷ এখন তো আমার জন্য প্রতিটি দিনই জা’হা’ন্না’ম বানাতে স্বয়ং আমার স্বামীই প্রস্তুত আছেন।
_____এই যে মিস.মি’ডে’ল’ক্লা’স আর কতো আরাম করে সময় ন’ষ্ট করবেন? এবার তো নতুন সারপ্রাইজ পাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুক।
তীব্রের কন্ঠ আবারও কর্ণপাত হতেই চি’ন্তা’র ঘো’র থেকে বে’ড়ি’য়ে আসি৷ আমি তীব্রের কথার কোনো প্রতিত্তুর না করে বিছানা ছে’ড়ে নেমে ওয়াশরুমে প্রবেশ করলাম, এই লোকটার সামনে বেশিক্ষণ থাকতে আর ইচ্ছে করে না। সবসময় শুধু অ’প’মা’নি’ত স্বরে কথা বলেন। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বিছানা গুছিয়ে ড্রয়িং রুমের উদ্দেশ্যে হা’টা ধরি। ক্ষু’ধা লেগেছে ভিষন, কিছু খাওয়া প্রয়োজন।
ড্রয়িং এসে দাঁড়াতেই তীব্র আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো…
_____ফ্রীজে কোনো সবজি বা ফল রাখা নেই, বাসার পিছন পার্শে বিভিন্ন সবজি আর ফলের গাছ লাগানো রয়েছে, দ্রুত বাগানে গিয়ে প্রয়োজনীয় সবজি আর ফল নিয়ে এসে রান্না বসাও।
তীব্রের এহেনু কথায় আমার মে’জা’জ যেনো সপ্ত আসমান ছু’ই ছু’ই। জোরে জোরে বারকয়েক নিঃশ্বাস নিয়ে নিজের রাগকে নিজের মধ্যেই হ’জ’ম করে নেওয়ার চেষ্টা করি৷ রা’গে’র বসি’ভূ’ত হয়ে কিছু বলে ফেললে খা’রু’স’টা নিশ্চিত নি’র্দ’য়ে’র মতো আমাকে আজ না খাইয়ে রেখে ঘরের সব কাজ করাবে। তাই চি’ন্তা করি চুপচাপ খা’রু’স’টার কথা মেনে নেওয়াই শ্রেয় হবে। রান্না ঘরে প্রবেশ করে একটা বড় আকারের ব্যগ নিলাম। আপাতত রান্না করতে স্বপ্ল পরিমাণ সবজি আনলেই চলবে। ব্যগটি হাতে নিয়ে লম্বা লম্বা ক’দ’ম ফেলে বাগানের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলাম।
রান্না করছিলাম, এদিকে ক্ষু’ধা’র রে’শ সময়ের সাথে পা’ল্লা দিয়ে বেড়েই যাচ্ছিলো। রান্নাঘর থেকে একবার উ’কি দিয়ে দেখলাম তীব্র উ’ল্টো ঘুরে সোফায় বসে কাজ করছে। ঠোঁট প্রসারিত করে কিছুসময় পূর্বে আনা ফলগুলো যে ঝুড়িতে রেখেছিলাম সেখান থেকে একটা আপেল হাতে উঠিয়ে নিয়ে বে’সিং থেকে ধুয়ে নিলাম। সবে মাত্র আপেলে একটা বা’ই’ট দিয়েছি অমনি তীব্রের তা’চ্ছি’ল্য’ক’র সুরে বলা কথা আমার কর্ণপাত হতেই অ’প’মা’নে চোখ-মুখের আকৃতি থ’ম’থ’মে গেলো।
_____মি’ডে’ল’ক্লা’স তো এমনি বলি না, এমন চু’রি’র স্বভাব তো শুধুমাত্র মি’ডে’ল’ক্লা’স পরিবারের লোকদেরই থাকে।
আমার চোখের কর্নিশ ঘে’ষে কয়েকফোঁটা পানি গাল বেয়ে নিচে পড়লো। সঙ্গে সঙ্গে ঘনঘন চোখের পাতা না’ড়া’লা’ম, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে শুকনো ঠোঁট দ্বয় ভিজিয়ে নিয়ে আলতো করে ঢো’ক গি’লে নিজের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ইমোশনগুলোকে দ’মি’য়ে ফে’লা’র চেষ্টা করলাম। ছিলো না হয় তার দেওয়া গত দু-মাসে সেই ভালোবাসা গুলো নিখুঁত অ’ভি’ন’য়ের একেকটা ধা’প কিন্তু আমি তো অভি’নে’ত্রী ছিলাম না! সে (তীব্র) তো দীর্ঘ ২মাস ধরে আমাকে খুব কাছে থেকে দেখেছে, আমার অনুভূতি, ভালোবাসা তার প্রতি কতোটা গা’ঢ় তা জেনেছে তবুও কি করে পারে সর্বক্ষণ আমাকে এতো তি’ক্ত স্বরে কথা বলতে?
_____আমার বাড়িতে থাকছো, আবার আমার পারমিশন ছাড়া আমার জিনিস খা’চ্ছো এটাকে তো চু’রি করাই বলে তাই না মিস.মি’ডে’ল’ক্লা’স?
তীব্রের কন্ঠ কর্ণপাত হতেই আমার ধ্য’ন ভা’ঙে। ঠোঁট প্রসারিত করে তা’চ্ছি’ল্যে’র একটুকরো হাসি ফুটিয়ে তুলে ভা’ঙা কন্ঠে তীব্রকে উদ্দেশ্য করে বললাম…
_____এক মূহূর্তের জন্য ভু’লে গিয়েছিলাম আমাকে এ বাড়িতে আনার আপনার আসল উদ্দেশ্য কি! ভেবেছিলাম আ’ই’ন’ত ও ইসলামিক নিয়ম মেনে যেহেতু আমাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছে তাই এই সামান্য বিষয়ে আপনার থেকে আমার পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বারবার আপনি আমার আসল জায়গাটা বুঝিয়ে দেন তাই আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আর ছো’ট করছি না। এরপর থেকে এই মি’ডে’ল’ক্লা’স মেয়ে আপনার পারমিশন ছাড়া এক ফোঁটা পানিও পান করবে না। আর এই চু’রি’র অ’প’রা’ধে আমাকে কি শা’স্তি পেতে হবে সেটাও বলে দিন আমি মাথা পে’তে তা গ্রহন করবো।
কথাগুলো বলার সময় আমার বুক চি’ড়ে ক’রু’ণ আ’র্ত’না’দ গুলো বেড়িয়ে আসতে চেয়েছিলো যেনো। কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে নেওয়ার যথেষ্ট ধৈর্য যে আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে আমার অ’শে’ষ শুকরিয়া আদায় করা বাকি রইলো। আমার কথাগুলো তীব্রের উপর কোনো প্রভাব ফেলেছে কিনা জানা হলো না, ওর চোখের দিকে তাকানোর শ’ক্তি বা ইচ্ছে কোনোটাই এই মূহূর্তে ছিলো না আমার। শুধু ও যে স্থান ত্যগ করলো তা বুঝতে পারলাম ওর পায়ের শব্দ কর্নপাত হতেই। পরপর বেড়িয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস, ডুবে যাই অতীতের স্মৃতির পাতায়…
~~~~~~~~
ফ্লাসব্যক………
~~~~~~~~
কে’টে যায় বেশ কয়েকদিন, এক্সাম ও আর ১টা বা’কি আছে। এর মাঝে তীব্র নামক ঐ লোকটির সাথে সাক্ষাৎ হয় নি, লোকটি (তীব্র) যে তার কথা রেখেছেন এই কয়দিনে তা বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারলাম৷ আমাকে সত্যিই কোনো ঝা’মে’লা’য় জ’র্জ’রি’ত হতে হয় নি, কিন্তু তবুও কেন যেনো মনের কোথাও না কোথাও চা’পা অ’শা’ন্তি অনুভব করতাম। মবে হতো কিছু করা বা’কি রয়ে গেছে আমার, কিন্তু করা বা’কি রয়ে গেলো তা ভেবে পেতাম না হয়তো বিষয়টা নিয়ে গভীর ভাবে ভাবছি না তাই ধরতেও পারছি না। পরমুহূর্তে চি’ন্তা করলাম এক্সাম শে’ষ হয়ে গেলে একটু সময় নিয়ে ভাবতে বসবো কেন আমার মনে এমন চা’পা অ’শা’ন্তি হচ্ছে।
যথারিতিতে এক্সাম সম্পন্ন হলো আমার, আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট ভালো হয়েছে প্রতিটি পরীক্ষাই তাই কিছুটা রিলাক্স বোধ করছি। বারান্দায় বসে চা পান করছিলাম আর ছোট ভাইয়ের সাথে প্রতিবেশী কিছু বাচ্চারা খেলা করছে তা দেখছিলাম। হঠাৎ ফোন বাজার শব্দ কর্নপাত হতেই ভ্রু কিন্ঞ্চিত কুঁচকে পাশে রাখা ফোনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম, আননোন নাম্বার থেকে কল এসেছে দেখে পাত্তা না দিয়ে আবারও সামনের দিকে দৃষ্টি সরিয়ে ফেললাম। কিন্তু আবারও ফোন বেজে উঠায় কিছুটা বি’র’ক্ত বোধ করলাম, ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করতে নিবো তারপূর্বেই আপনা-আপনি কে’টে গেলো দেখে বিরবিরিয়ে বললাম…
_____এই অসময়ে আবার কার আমাকে স্মরণ হলো যে বারবার কল করছে৷
ফোন ভাই’ব্রে’ট মুডে থাকায় আবারও বে’জে উঠায় হালকা কেঁপে উঠলাম এবার আর দেড়ি না করে ফোনটি রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে ভেসে এলো কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক রা’শ’ভা’ড়ি পুরুষালী কন্ঠস্বর। কিয়ৎক্ষণ স্ত’দ্ধ রইলাম, পুরুষালি সেই কন্ঠটি আবারও ভেসে এলো….
_____কেমন আছো মিস.ভী’ত’পা’খি……
ভী’ত’পা’খি ডাকটি শুনামাত্র আবারও কিয়ৎ কেঁপে উঠলাম, থা’মা থা’মা কন্ঠে বললাম….
_____কে বলছেন?
_____বাহ রে, এতো তাড়াতাড়ি ভু’লে গেলে আমাকে! দিস ইজ ভেরি ব্য’ড ভী’ত’পা’খি।
_____হে’য়া’লি না করে পরিচয় দিন জনাব।
_____মি.আবরার রহমান তীব্র বলছিলাম….
উনার নাম শুনামাত্র আমার চোখের আকৃতি বড় বড় হয়ে গেলো, আপনা-আপনি মুখ হাত চলে গেলো। চি’ন্তা করলাম আমার নাম্বার কোথায় পেলেন উনি? আর কি মনে করেই বা কল করলেন?
_____কি ব্যপার নিরব হয়ে গেলে যে? নাম শুনেও চিনতে ক’ষ্ট হচ্ছে নাকি?
আমি মেরুদণ্ড সোজা করে বসে বললাম…
_____জ্বী না চিনতে একটুও ক’ষ্ট হয় নি, কিন্তু বেশ অবাক হলাম।
_____অবাক কেন?
_____মা’ফি’য়া কিং উচ্চবিত্ত মি.আবরার রহমান তীব্র হঠাৎ কি মনে করে আমাকে স্মরণ করতে পারে সেটা ভেবে।
আমার কথা শুনে উনি শব্দ করে হেসে উঠলেন। ওনার হাসির শব্দ কর্নপাত হতেই মনের কোনে কেন যেনো এক অদ্ভুত শি’হ’র’ন দোলা দিয়ে গেলো, লোকটি (তীব্র) দেখতে যেমন সুপুরুষ, তেমন সুন্দর তার কন্ঠ, তেমন সুন্দর তার হাসির শব্দ জানি এই মুগ্ধকর হাসি মাখা মুখশ্রী সামনে থেকে দেখতে কতো বেশি সুন্দর হবে! কিয়ৎক্ষণ পর লোকটি হাসি থামিয়ে বললেন…
_____সমাজের সকলের চোখে আমি মা’ফি’য়া কিং হতে পারি, কিন্তু সবকিছুর পরেও একটা সময় আসে যখন আমি একলা থাকি আর সেই সময় আমাকে ভাবায় আমারও একটা পারসোনাল জীবন আছে। যেখানে কিছুসময়ের জন্য হলেও থাকবে না কোনো নৃ’সং’শ’তা, খু’ন, র’ক্ত, প্র’তি’শো’ধ, রা’গ, ক্ষো’ভ থাকবে শুধু একটুকরো ভালোলাগার অনুভূতি, আনন্দে ভরপুর সময় আর থাকবে আমার জন্য কারোর মনের গহীনে জমে থাকা দৃঢ় ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। যা আমাকে এক অন্য পৃথিবীতে নিয়ে যাবে, ভুলিয়ে দিবে কিছুসময়ের জন্য আমি একজন নি’ষ্ঠু’র মা’ফি’য়া কিং…..
লোকটির (তীব্র) বলা এতোসময়ের প্রতিটি কথা আমার মনের গহীন পর্যন্ত ছুঁয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে যেনো। আনমনেই বলে উঠলাম…
_____কে সেই সৌভাগ্যবান নারী! যে আপনার একলা সময়ের সঙ্গীনী হতে পেরেছে।
_____এখনও তেমন কেও আমার জীবনে আসে নি তবে ভাবছি এবার তেমন কাওকে আনার প্রয়োজন রয়েছে।
ওনার জীবনে এখনও তেমন কেও আসতে পারে নি শুনে আনমনেই আমার ঠোঁটের কোনে একটুকরো হাসি ফুটে উঠলো। ঠোঁটের কোনে সেই একটুকরো হাসি বজায় রেখেই বললাম….
_____শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। খুব শীঘ্রই যেনো আপনি আপনার একলা সময়ের মানসিক শান্তি প্রদানকারী সঙ্গিনীর সন্ধান পেয়ে যান যেনো সেই কামনাই করি।
_____হুম ধন্যবাদ। আচ্ছা আজ রাখছি তবে, অন্যসময় আবারও কথা হবে।
আমিও সম্মতি প্রদান করলাম, লোকটি কল কে’টে দিলেন।
আমিও আমার মনের কোনে এতোগুলো দিন ধরে হওয়া চা’পা অ’শা’ন্তি’র কারণ খু’জে পেলাম। লোকটির থেকে আমার ক্ষমা চেয়ে না নেওয়া, ওয়াসিফ ভাইয়া আমার হয়ে বলে দিয়েছিলেন ঠিক কিন্তু আমার উচিত ছিলো পরে ওনার থেকে নিজে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া নিজের করা ভু’লে’র জন্য অনুতপ্ততা প্রকাশ করা, আর তা না করার কারণেই উনি ক্ষমা করে দেওয়া স্বর্তেও আমার মনের কোনে চা’পা অ’শা’ন্তি অনুভব হয়েছে এতোদিন। এখন যখন কারণটি খু’জে পেয়েছি তাই এর পর উনি আবারও কল করলে ওনার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবো বলে মনঃস্থির করলাম।
#চলবে……….