#তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ
#পার্টঃ১০
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ
আজকে ৭দিন হলো আমাদের পরীক্ষা শেষ। এর মধ্যে হাজার বার ওই আননোন নাম্বার আমাকে অনেক এস এম এস করেছে। বরাবরের মতোই যতবার কল দিয়েছি ততবার বন্ধ। আজকে ইশিতার বিয়ে। ইশিতাকে কনে সাজে বেশ মানিয়েছে।
Attention Please Everyone [ নীল ভাইয়া] ( আমরা সবাই স্টেজের দিকে তাকালাম।
আমি এই শুভ অনুষ্ঠানে একটা কথা বলতে চায়। আমি সেই নীল যে প্রেমের কথা শুনলে হেসে উড়িয়ে দিতো। কিন্তু এই আমিটাই একটা মেয়েকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি৷ আমরা সবাই অবাক। বিয়ে বাড়িতে এমন কথা! নীল ভাইয়া তখনি বললো,I Love You Tonoya…I really Love You..Will yOu Marry me?তনয়ার সামনে হাটু গেড়ে বসে লাল গোলাপ নিয়ে কথাটা বললো নীল ভাইয়া৷ এইবারতো ইশিতা খুশিতে পারলে নেচে উঠে আর আমরা সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছি৷ তনয়া আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে প্রশ্নান্তর হয়ে। আমরা সবাই তনয়াকে বললাম,,Say Yes Tonoya Say Yes”
তনয়া বললো,Yes I will Marry You আমরা সবাই হাততালি দিলাম। তনয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে একদম। আর নীল ভাইয়ার মুখে বিজয়ের হাসি।ইশিতার বিয়ের বরযাত্রী আসতেই চোখে পড়লো রোদ স্যারকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ উফ স্যার এতো কিউট কেনো পুরাই ক্রাশ বয়। স্যারকে চারিদিকের মেয়েগুলো দেখে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। যেনো বিয়েটা স্যারের যত্তসব।
স্যার:রৌদ্রানী এইখানে আসোতো।
স্যারের ডাকে আমার অবস্থা যায় যায় হয়ে গেছে প্রায়। আমি গিয়ে বললাম জ্বি স্যার বলুন।
স্যার: তুমি ওই ছেলেটার সাথে হেসে কথা বললে কেনো?
আমি আমতা আমতা করে বললাম কই স্যার?[ বেটা বজ্জাত আমি যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে কথা বলবো তাতে তোর কি[ মনে মনে বললাম] একটু পরই দেখলাম ছেলেটা আর এই বাড়িতেই নেই৷ ওহ আল্লাহ এক্ষুনিতো এইখানেই ছিলো। ইশিতার বিয়ে শেষে আমরা সবাই চলে আসলাম। আসার সময় নীল ভাইয়া তনয়াকে বললো আমাদেরো খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে [ চোখ মেরে]
নীলাশাকেও চালিয়ে নিয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। সুমাইয়াও রণ ভাইয়াকে হ্যাঁ উত্তর দিয়ে দিয়েছে।
রাতে শুয়ে শুয়ে ফেইসবুকিং করছিলাম তখন আব্বু এসে বললো, কালকে তোমাকে দেখতে আসবে আাহিরদের বাসা থেকে রেডি থেকো। আমি অবাক হয়ে বললাম দেখতে আসবে মানে কি আব্বু?
আব্বু :তোমার এক্সাম শেষ আর আমি চাই তোমার বিয়েটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে এইটা বলেই আব্বু রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। রওশানী আর আম্মু তখন ভেতরে আসলো।
আমি: এইসব কি হচ্ছে আম্মু? আমি এখন বিয়ে করতে চায়না আমার এখনো অনেক কিছু করা বাকি।
আম্মু: মারে তোর আব্বু যা বলবে তাই করতে হবে এইটা বলেও আম্মুও চলে গেলো। আর আমি মন খারাপ করে বসে আছি রুমে।তখনি ফোনে মেসেজ আসলো
“তুমি শুধু আমার অন্য কারো নয়,
কীভাবে বলো অন্য কারো পাশে তোমাকে সই?
কেউ যদি আমার থেকে তোমায় কেড়ে নিতে চায়,
তখন সে পাবে মৃত্যুর রায়”
এই এসএমএস দেখো আমি অনেক ঘাবড়ে গেছি।লোকটা বলে কি এইসব? কে এই লোকটা? যে আড়াল থেকে সব জান্তে পেরে যায়। আর ওই ছেলেটা কোথায় চলে গেলো বিয়ে বাড়ি থেকে? আর স্যারই বা কেনো বললো আমি ওর,সাথে কথা বললাম কেনো? নাহ কিছুতো একটা আছেই।
চলবে….