#তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ.
#পার্টঃ০৬
#writer : #মারশিয়া_জাহান_মেঘ.
আমি বারান্দায় গিয়ে দেখলাম সকালে যেই ছেলেগুলো আমাকে কটুকথা বাজে কথা বলেছে সেই ছেলেগুলোর নাজেহাল অবস্থা। কারো নাকে ব্যান্ডেজ কারো হাতে আমি এইসব দেখে অবাক হয়ে গেলাম। লোকটা আসলে চায়টা কি? এইভাবে আমার জন্য ওদেরকে মেরেছে কেনো? দরজার ওপাশে রওশানী আমাকে ডেকেই যাচ্ছে আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুললাম।
রওশানী:এতোক্ষণ লাগে আপু? কতোক্ষণ ধরে তোমাকে ডাকছি।[ বিরক্ত হয়ে ]
আমি: ঘুমে ছিলাম আর তুই ইবা কেনো এতো কড়া নাড়ছিস দরজায়?
রওশানী : আব্বু তোমাকে ডেকেছে নয়তো তোমার রুমে আসতে আমার বয়েই গেছে [ নাকটা বেংচি কেটে চলে গেলো ]
ওফ এই মেয়েটা যে এতো ভাব কোত্থেকে নেয়। এইটা বলেই আমি ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে গেলাম।
অন্যদিকে…
রোদ তার বাবার সাথে কথা বলে রুমে ডুকে শুয়ে শুয়ে ভাবছে আমার সাথে ছোটবেলায় যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। মানুষ এতো লোভী কেনো ভেবেই পায়না। টাকা দিয়ে সব কিছু পরিমাপ করে এইটা বলেই ফোনটা হাতে নিলো রোদ। ফোনটা হাতে নিতেই কল করলো তার অতি প্রিয় একজন মানুষকে।
কেমন আছিস বাবা? তোর বাবা ঠিক আছেনতো?[ রোদের মা ]
রোদ:হুম মা ভালো আছি আর বাবাও ভালো আছে। তুমি ঠিকমতো ঔষধ খাচ্ছোতো?
রোদের মা: হুম বাবা খাচ্ছি।
রোদ: মা পুতুলকে আমি পেয়েছি মা।
রোদের মা: কি বলছিস সত্যি? ওহ দেখতে কেমন হয়েছেরে?
রোদ: হুম মা সত্যি। আর পুতুল পুরো পুতুল এর মতোই দেখতে হয়েছে। আমি তোমায় ছবি পাঠিয়ে দিবো কেমন? তুমি এখন ঔষধ খেয়ে শুয়ে পড়ো।[ দীর্ঘশ্বাস ফেলে] এইটা বলেই কলটা কেটে দিলো রোদ।
কিরে ইশিতা তনয়ার ফেইসবুক আইডিটা দেতো [নীল ]
ইশিতা: ওমা কেনো? আমার বান্ধবীর আইডি নিয়ে তুমি কি করবা ভাইয়া?[ ভাব নিয়ে ]
নীল:একটা ধমক দিয়ে বললো চুপ এতো তর্ক কোথা থেকে শিখেছিস দে।
ইশিতা আর কোনো কিছু না বলে তনয়ার ফেইসবুক আইডিটা দিয়ে দিলো।
হঠাৎ ফেইসবুকে টুং আওয়াজে,ফোনটা হাতে নিলো তনয়া দেখতে পেলো “আহমাদ নীল” নামের একটা আইডি রিকুয়েষ্ট পাঠিয়েছে তাকে। প্রোফাইল পিকটা দেখে চিনতে অসুবিধে হয়নি তার যে এইটা ওই বান্দরটা। তনয়া এক্সসেপ্ট না করে ঝুলিয়ে রেখেছে নীলকে।
সুমাইয়া ব্যাস্ত রনের সাথে ফোনে কথা বলাতে।
রন: তুমি কেনো বুঝোনা বলোতো সুমু যে আমি তোমাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসি।
সুমাইয়া : বুঝেও কিছু হবেনা কেউ মেনে নিবেনা আমাদের সম্পর্ক। [ মনটা খারাপ করে ]
রন: তুমি শুধু একটা হে বলো আমি ডিরেক্টর বিয়ের প্রপোজাল পাঠাবো খালামনিকে।
সুমাইয়া লজ্জা পেয়ে বললো হুম্ম আমি রাজি।
রন:ইয়াহু [ আনন্দে]
আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতেই দেখতে পেলাম নিচে আব্বুর বন্ধু শফিকুল আংকেল এসেছেন। আমাকে দেখতেই বললেন আরে মামনি যে কেমন আছো? আমি মুচকি হেসে বললাম আলহামদুলিল্লাহ আংকেল ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন? আংকেল হেসে বললেন হুম আমিও ভালো আছি।
আংকেল : তবে কথা ওইটাই রইলো কি বলিস? [ আব্বুর দিকে তাকিয়ে ]
আব্বু : হুম [ আংকেলকে জড়িয়ে ধরে ]
আমি ওনাদের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না।
রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে আছি। চোখে ঘুম আসছেনা তাই একটু ছাদে গেলাম। চাদের মাখা আলো যেনো পুরো ধরণীকে আগলে রেখেছে।আমি যখন চাঁদের প্রশংসাশ ব্যস্ত কে জানতো যে ১জোড়া চোখ আমার দিকে আপন মনে তাকিয়ে আছে। আমি হঠাৎ রাস্তায় তাকালাম দেখলাম কে জেনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাকাতেই লোকটা মুখে রুমাল বেধেঁ চলে গেছে।
চলবে…..