তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ পর্ব -০৫

#তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ.
#পার্টঃ০৫
#writer :#মারশিয়া_জাহান_মেঘ.

নীল এসেই বললো,ইশু তোকে পুরো পেত্নীর মতো লাগছে[ তনয়ার দিকে তাকিয়ে]
তনয়া তখন বললো, ইশিতা চলতো নিচে… ইতিমধ্যে আন্টি এসে গেছে আন্টি এসে চোখে পানি নিয়ে ইশিতার মুখে দুইটা হাত রেখে বললো,মাশাল্লাহ আমার মেয়েটাকেতো অনেক সুন্দর লাগছে। তোমরা ইশুকে নিচে নিয়ে আসো। আমরা সবাই পরিপাটি হয়ে নিচে গেলাম ইশিতাকে নিয়ে। নিচে গিয়ে আরেক দফা অবাক হলাম। শুধু আমি না আমরা সবাই। এমন কি ইশিতাও। আমি সুমাইয়ার কানে কানে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম এই অমুল্লুকটা এইখানে কিভাবে?
সুমাইয়া: আমিওতো সেইটাই ভাবছি রোদ স্যার এইখানে কিভাবে।

আমাদের ভাবনায় ১০০ বালতি সমবেদনা জানিয়ে স্যার বললো,,এই স্যারকে দেখলে সালাম দিতে হয় জানোনা? আমরা সবাই চারিদিকে ঘুরে দেখলাম সবাই বসে আছে তাই কিছুটা লজ্জা পেয়ে স্যারকে সবাই সালাম দিলাম।

নীল : রোদ ভাইয়া আপনি তো লন্ডন থেকে ব্যাক করে এইখানে জয়েন হয়েছেন তাইনা?
রোদ স্যার: হুম নীল তাও শুধু মাত্র বাবার জন্য।

ওদের মাঝেই ইশিতার সাথে যার বিয়ে হবে সে বললো, নীল ভাইয়া আরেকটা কারণ আছে।
নীল ভাইয়া:কি কারণ?[উচ্ছসিত কন্ঠে]
রোদ স্যার: আমার বন্ধু সাফওয়ানের বিয়ের জন্য [এইটা বলতেই দেখলাম ইশিতার ফ্রিয়েন্সি মুচকি হাসলো আর স্যারকে ফিসফিস করে কি যেনো বললো।

এতোক্ষণে বুঝতে পারছি ইশিতার ফ্রিয়েন্সি স্যারের বন্ধু। মনে মনে ইশিতাকে ১০০ টা কথা শুনালাম। আর কোনো মানুষ পেলোনা ভালোবাসার জন্য? অবশেষে বজ্জাত স্যারের বন্ধু? সবকিছু মিটে যাওয়ার পর পর ওই আমরা বেরিয়া আসলাম বাসার উদ্দেশ্যে। আজকে ইশিতাকে আংটি পড়িয়ে রাখা হয়েছে।

তনয়া: ভালোবাসার মানুষগুলোকে পাওয়ার ভাগ্য সবার হয়না।
নীলাশা:ঠিকি বলেছিস।
মিমি:দেখনা ইশিতা ঠিকি ভাগ্য করে পেয়েছে তার ভালোবাসাকে।
আমি তখন সুমাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,সুমাইয়া তুই কি আসলেই রন ভাইয়াকে অন্যকিছু ভাবিসনা। আমার এই প্রশ্নে সবাই সুমাইয়া বললো হুম সত্যি করে বলতো।
সুমাইয়া তখন কিছুটা চুপ থেকে বললো, আসলে রন ভাইয়াকে নিয়ে তেমনভাবে কখনো ভাবিনি।
তনয়া: একা নিরবে ভেবে দেখিস তোর মন কি বলে।

এরপর সবাই যে যার বাসায় চলে গেলো। আমি বাসার দিকে রাস্তা দিয়ে একা একা যাচ্ছি। এমন সময় আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে কেউ একজন আছে যে আমাকে ফলো করছে এইটা ভেবে যেই পিছে তাকাইছি দেখলাম কেউ নেই।

বাসার সামনে যেতেই কিছু উটকো বখাটে ছেলে আমাকে ইঙ্গিত করে অনেক বাজে বাজে কথা বলছে। আমি এইসব পাত্তা না দিয়ে ভেতরে চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে কারো সাথে কোনো কথা না বলেই…ব্যাগটা সোফাতে রেখে উপরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। গোসল করে বিছানায় গাটা এলিয়ে দিলাম শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। হঠাৎ ফোনে টুং করে একটা শব্দ হওয়াতে দেখলাম ওই আননোন নাম্বারে এস এম এস আসছে। এস এম এস টা,,

রাস্তা দিয়ে কেউ কিছু বললে প্রতিবাদ করতে হয় এইভাবে এড়িয়ে যেতে নেই তা না হলে ওরা কিছু না বলার সুযোগটা ভালোভাবে নেয়।

এই এস এম এস দেখেই মনে পড়ে গেলো রাস্তার বখাটে ছেলেগুলোর কথা৷ আজব! এই মানুষটা কিভাবে জানলো যে রাস্তায় ওরা আমাকে…. না আর ভাবা যায়না। ফোনটা রেখে ঘুম দেশে পাড়ি জমালাম। আপুু ও আপু দরজাটা খুলোনা..রওশানীর ডাকে ঘুম থেকে ঘুম ঘুম চোখে উঠি উঠেই ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ৭টা বাজে! [অবাক হয়ে ]
চোখ আটকে গেলো একটা মেসেজে..”বারান্দায় আসো” আমি তড়িঘরি করে বারান্দায় যেতেই চোখ আতকে উঠলো…

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here