তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ পর্ব -০৪

#তোমাতেই শুরু তোমাতেই শেষ.
#পার্টঃ০৪
#writer :#মারশিয়া_জাহান_মেঘ.

আমি রুমে বসে যখন পড়ছিলাম হঠাৎ ফোনে একটা এস এম এস এর আওয়াজ আসলো। আমি জানি কে এই এস এম এস দিচ্ছে। আমি ফোন কিনার পর থেকেই অলওয়েজ একটা আননোন নাম্বার থেকে এস এম এস আসে। আর এই এস এম এস গুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে পাঠানো হয়। ফোনটা হাতে নিলাম। নিতেই সুন্দর করে একটা এস এম এস ছন্দ রুপে ফোনের স্কিনে আসলো। এস এম এস টা এইরকম =

“তোমার এক চিলতে হাসি,
আমি বড্ড ভালোবাসি।
তোমাতেই শুরু
তোমাতেই শেষ,
তোমাতেই এই আমিটা
থাকি বেশ।

এই এসএমএসটা দেখে আনমনেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো আমার। আগেকার মতোই এই আননোন নাম্বার এ কল দিলাম। ঘুরে ফিরে ফোন অফ ওই বলে।

আপু আপু আব্বু এসেছে [ খুশিতে রুমের ভেতর আসতে আসতে কথাটা বললো রওশানী।

আমি উৎফুল্ল হয়ে বললাম কিইইই? আব্বু আইসা পড়ছে?
রওশানী: হুম। আর জানো আব্বু আমার জন্য অনেক সাজুনি নিয়ে আসছে। [ দুই হাত ছড়িয়ে ]

আমি নাকটা বেংচি কেটে বললাম আল্লাহ এই তুই এতো সাজ নিয়ে পড়ে থাকিস কেনো বলতো?
রওশানী বললো, ওমা আমি সাজবোনা? আমাকে সাজলে নাকি পুরা বউ বউ লাগে [ লজ্জা মুখ নিয়ে ]
আমি তখন বললাম কে বলেছে তোকে এই কথা?
রওশানী: ওইতো পাশের ফ্ল্যাট এর মনি আন্টির ছেলে রিধান বলেছে।
আমি অবাক হয়ে বললাম কিইইই!!!!

রওশানী কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলো।
আমি মনে মনে ভাবছি আল্লাহই জানে বড় হয়ে এই মেয়ে কইটার সাথে প্রেম করে। আমি তাড়াতাড়ি নিচে নামলাম। নিচে নামতেই আব্বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম আব্বু কেমন আছো তুমি?
আব্বু : এতোক্ষণ ভালো ছিলাম না আমার মামনিটাকে দেখে ভালো হয়ে গেলাম।
রওশানী: বাহ্ আপুই তোমার মেয়ে আব্বু আমি না বুঝি?
রওশানীর কথা শুনে আমি আম্মু আর আব্বু ফিক করে হেসে দিলাম। আজ ইশিতাকে দেখতে আসবে…তাই আমি মিমি,তনয়া,নীলাশা আর সুমাইয়া ভার্সিটি না গিয়ে ডিরেক্টলি চলে গেলাম সবাই ইশিতাদের বাসায়। তনয়া প্রথমে যেতে চায়নি নীলের জন্য কিন্তু ইশিতা কল দিয়ে আফসাফ বলে দিয়েছে একটাও যদি না আসে এরপর থেকে কারো সাথে কথা বলবেনা সে।

হঠাৎ কলিংবেল বাজতেই নীল গিয়ে সদর দরজা খুলে দিলো। আমাকে মিমিকে আর সুমাইয়ার সাথে তনয়াকে দেখতেই নীল ভীষম খেলো। তনয়া মুখটা কালো করে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে৷ আমাকে দেখেই ইশিতা বললো,রৌদ্রানীইই [ জড়িয়ে ধরে ]

আমরা সবাই ভেতরে গেলাম তনয়া ডুকতে যাবে এমন সময় নীল তনয়ার সামনে দাড়িয়ে বললো এই যে মিস ডংগী আমার দিকে না তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ কেনো?
তনয়া রেগে বললো,,আপনার বান্দর মার্কা চেহারায় কিইবা আছে মিস্টার বাঁদুর। এইটা বলেই তনয়া ভেতরে ডুকে ইশিতাকে জড়িয়ে ধরলো। আমরা সবাই ভেতরে বসতেই আন্টি আমাদের সবাইকে….কিছু খাবার দিলো। আর নীল আড়চোখে বার বার তনয়াকে দেখছে। নিচে কিছুক্ষণ আন্টিদের সাথে কথা বলে,আমরা সবাই ইশিতার রুমে গিয়ে ইশিতাকে সাজাচ্ছি। মিমি: এই দেখ আসতে না আসতেই হাদাটা আমাকে কল দেওয়া শুরু করেছে [ ফোনটা হাতে নিয়ে ]
নীলাশা : কে কল করেছে? ওহ বুঝছি আমাদের জিজু [ হেসে ]
নীলাশা : ইশরে রন ভাইয়া তোকে কতো ভালোবাসেরে মিমি…
আমি তখন খিলখিল করে হেসে বললাম,, হুম্ম এতোই ভালোবাসে যে ২৪ ঘন্টা কলের উপর রাখে…আমার কথা শুনে সবগুলা হাহা করে হাসা শুরু করছে। আর মিমি বললো এই চুপ থাক তো তোরা আর এমনিতেও রন ভাইয়া আমার খালাতো ভাই আর কিছুইনা।
তনয়া আর আমরা সবাই একসাথে বললাম… আহা খালাতো ভাইইই…[ চিল্লিয়ে বললাম]

হঠাৎ ই নীল ভাইয়া আসলো ইশিতার রুমে। নীল ভাইয়াকে দেখেই তনয়া বললো এইতো আসলো হাবলা মার্কা বাদঁর।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here