তোর আসক্ত পর্ব -০৫

#তোর আসক্ত❤
#পর্ব – ৫
#writer_শিফা_আফরিন_মিম

🍁
রুপসা গলায় হাত দিয়ে কাশতে থাকে। আয়ানকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই এক দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। এতে
আয়ান আরও রেগে যায়।

রুপসা নিচে এসে দেখে তার শাশুড়ি মা কিচেনে। রুপসা ও যায়।

রুপসা – মা আমাকে ডাকলেন না কেনো আমিই তো করে দিতে পারতাম।

আয়ানের মা – কয়েকটা দিন পার হলে সকালের চা কফির দায়িত্ব টা না হয় তোমার কাছেই দিয়ে দিবো কেমন? (মুচকি হেসে)

উত্তরে রুপসাও মুচকি হাসে। আয়ানের মা চা বানিয়ে রুপসা কে জিগ্যেস করে…

আয়ানের মা – কিছু বলবে মা?

রুপসা – মা সত্যি করে একটা কথা বলবেন? আমি জানিনা আপনাকে জিগ্যেস করাটা ঠিক হবে কিনা। যদি অন্যায় হয়ে থাকে মাফ করবেন।

আয়ানের মা রুপসার কথায় বেশ চিন্তায় পড়ে যায়। কী এমন কথা বলবে ও?
আয়ানের মা – হ্যা বলো…

রুপসা – মা উনি কী কাউকে ভালোবাসেন? উনি আমার সাথে এমন ব্যবহার কেনো করেন মা? যদি কাউকে ভালোই বাসেন তাহলে আমার সাথেই বা কেনো বিয়েতে রাজি হয়েছেন?

আয়ানের মা রুপসার কথা শুন স্তব্ধ হয়ে যায়। চোখ বেয়ে দুফোটা পানিও চলে আসে। রুপসা খেয়াল করে দেখে আয়ানের মা কাঁদছে।

রুপসা – কী হলো মা? আমি কি কিছু ভুল করে ফেললাম?

আয়ানের মা – নারে মা। তোর সব কথার উত্তর দিবো আমি আজই। আগে ওদের ব্রেকফাস্ট করতে দিই। অনেক খন ধরে ওয়েট করছে খাবার টেবিলে।

রুপসা – ঠিক আছে মা আমি আপনাকে হেল্প করছি। (মুচকি হেসে)

সবার ব্রেকফাস্ট হয়ে গেলে রুপসা নিজের রুমে চলে যায়। গিয়ে দেখে আয়ান খাটে আধশোয়া হয়ে ফোন টিপছে।
কিছুক্ষন আগের কথা মনে হতেই রুপসার খুব রাগ হয় বলতে গেলে অভিমানও। রুপসা কিছু না বলে বেলকনিতে চলে যায়।
অনেক খন ধরেই আয়ান খেয়াল করছে রুপসা বেলকনিতে। আয়ান কিছুতেই ভেবে পাচ্ছে না রুপসা এতোখন যাবৎ বেলকনিতে কী করছে। আয়ান ফোন টা হাতের পাশে টেবিলে রেখে বেলকনিতে উঁকি দিতেই দেখে রুপসা গ্রিল ধরে আনমনে বাহিরের দিক তাকিয়ে আছে।

— বেলকনিতে দাড়িয়ে কাকে দেখার জন্য ওয়েট করে আছো?

হটাৎ কারো এমন কথায় ধ্যান আসে রুপসার পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে আয়ান!

রুপসা – কী বলছেন এসব?

আয়ান – কিছু ভুল বললাম কী?

রুপসা জানে আয়ানের সাথে অযথা তর্ক করে লাভ নেই তাই সে চুপচাপ সেখান থেকে চলে আসে।

আয়ানের মা রুমে একা একা বসে আছে। রুপসার ও ভালো লাগছিলো না তাই তার শাশুড়ি মার রুমে আসে গল্প করার জন্য।

রুপসা – মা আসবো?

আয়ানের মা – শুনো মেয়ের কথা! নিজের মার রুমে আসতে কিসের পারমিশন শুনি?

রুপসা মুচকি হেসে রুমে ঢুকে।

রুপসা – একা একা বসে আছেন কেনো? শরীর খারাপ লাগছে আপনার?

আয়ানের মা – নারে মা। ঠিক আছি। আচ্ছা আমি যে তোকে তুই করে বলি তুই কী এখনো আমাকে আপনি করেই বলবি? তুমি করে বলা যায় না? আমি একদিনে তোকে আপন করে নিতে পারলেও তুই পারিস নি তাই না।

রুপসা – এ কেমন কথা মা? তোমাকে আপন করে নিতে না পারার কোনো কারন আছে? দেখাও তো!
তুমি জানো মা তোমার ছেলেটা অনেক রাগি। খালি রাগ দেখায় আমার সাথে আর তুমি কতো ভালো! কত্তো ভালোবাসো আমায়।

আয়ানের মা – নারে আমার ছেলেটা অতোটাও রাগি না। ওর রাগের কারন টা জানতে হয়তো তুইও অবাক না হয়ে পারবি না।

রুপসা – মা বলো না উনি এমন করেন কেনো আমায়?

আয়ানের মা – জানিস আমার ছেলে আয়ানের বড় ভাই অনিক সবার অনেক আদরের ছিলো। আয়ান কে যে আমরা ভালোবাসি না তা না। অনিক আর আয়ান দুজনই আমদের কলিজার টুকরা ছিলো। অনিক বছর দুয়েক আগে একটা মেয়েকে ভালোবাসে। মেয়েটা সুন্দরী। তাছাড়া ওর ফেমেলিও ভালো তাই আমরা অনিকের সাথে ওর বিয়ে দিই। বিয়ের দের মাস পরে অনিক জানতে পারে ঐ মেয়ের অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিলো। এতো কিছুর পরেও অনিক মেয়েটাকে ছাড়ে নি। চেয়েছিলো তাকে বুঝিয়ে হয়তো সব ঠিক করে নিবে। কিন্তু না! ঐ মেয়েটা আমার অনিক কে ভালোবাসে নি রে। ও শুধুই অনিকের টাকা চেয়েছিলো। ওর অনেক চাহিদা ছিলো অনিক ওকে কোনো কিছুতে অভাব দেয়নি। সব চাহিদা পূরণ করতো। যখন অনিক ওর চরিত্র সম্পর্কে সবটা জেনে যায় ওকে অনেক বার বারন করে। কিন্তু ও শুনেনি। শেষে ও অনিককে ছেড়ে চলে গেছে। জানিস ঐ মেয়েটাকে আমার অনিক এতোটাই ভালোবাসতো যে ও নিজের জীবন টাই দিয়ে দিলো। ও অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো ঐ মেয়েটার ভালোবাসায়। ও আমাদের কারো কথা ভাবেনি। ও একটা বারও আয়ানের কথা ভাবেনি। আয়ান যে ওকে পাগলের মতো ভালোবাসতো ওর একবারও আয়ানের জন্য নিজেকে বাঁচাতে মন চায়নি। ঐ দিনের পর থেকে আয়ান নিজের মধ্যে নেই রে।
ওর ভাইটার কথা ও কোনো দিনও ভুলতে পারবে না। খুব ভালোবাসতো যে অনিককে।
তাই আয়ান কোনো মেয়ের দিকে তাকায়ও নি। ওকে আমরা বারবার বুঝাতে চাই যে সব মেয়েরাই এক না। যেমন খারাপ আছে তেমন অনেক ভালো মেয়েও আছে। কিন্তু আমরা বারবারই ব্যার্থ হই রে মা। (বলেই কেঁদে দেয়)

রুপসার চোখে ও পানি চলে আসে। কি হয়ে গেলো আয়ানের ভাইয়ের সাথে! সত্যিই তো আয়ান আয়ানের বাবা মা যে অনেক ভালোবাসতেন কিভাবে ভুলবেন?

রুপসা আয়ানের মার মুখটা দু’হাত ধরে চোখের পানি গুলো মুছে দেয়।

রুপসা – কেদো না মা।

আয়ানের মা – রুপসা জানিস তোর উপর আমার পুরো ভরসা আছে। যেদিন তোকে দেখতে গিয়েছিলাম সেদিনই বুঝেছি আমার আয়ান কে তুই কখনো কষ্ট দিবিনা।
তুই আমার ছেলেটাকে কষ্ট দিস না। ও যেনো বিশ্বাস করে সব মেয়েরাই এক নয়।

রুপসা – আমি মরার আগ পর্যন্ত উনার পাশে থাকবো মা। উনার সব সুখ দুঃখের পাশে থাকবো।

আয়ানের মা রুপসার কপালে একটা চুমু দেয়।

আয়ানের মা – যা গিয়ে দেখ আয়ান টার কিছু লাগবে কিনা। ও হয়তো এতোখনে তোকে মনে মনে খুঁজছে।

রুপসা – হুম যাচ্ছি মা। তোমার কিছু দরকার হলে আমাকে ডেকো কেমন।

আয়ানের মা – হ্যা রে হ্যা ডাকবো। তুই যা।

রুপসা চলে আসে রুমে। এসে দেখে আয়ান পকেটে হাত গুজেঁ বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে।

রুপসা – (আমিও কি ভাবছিলাম উনার সম্পর্কে! ছিঃ ছিঃ, এতোটা কষ্ট পেয়েছেন উনি!)

রুপসা ধীর পায়ে আয়ানের পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়।

রুপসা – ওভাবে দাড়িয়ে আছেন যে?

আয়ান পেছন ফিরে তাকায়, মুখে তার বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট!

আয়ান – তবে কি নাচবো? (রাগি কন্ঠে)

রুপসা – হ্যা চাইলে নাচতেই পারেন। তবে একা একা হবেনা। আমাকে নিয়েই নাচতে হবে বুঝলেন! (মুচকি হেসে)

আয়ান রেগে রুপসার দিকে তেড়ে আসতেই রুপসা চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে দাড়িয়ে পরে। ভেবেছিলো দৌড় দিবে কিন্তু দেয়নি!
আয়ান রুপসার কাছে এসে একহাতে রুপসার কোমড় ধরে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। রুপসা টাল সামনাতে না পেরে আয়ানের বুকে পড়ে যায়। আয়ানের শার্ট খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে। বেচারির অনেকটা ভয়ও লাগছে না জানি আয়ান আবার কি শাস্তি দেয় কে জানে!

আয়ান অনেক খন যাবৎ রুপসার দিকে তাকিয়ে আছে। সত্যিই যে কেউ ওর মায়ায় পড়ে যাবে। টানাটানা চোখ, গোলাপের পাঁপড়ির মতো ঠোঁট দেখলেই ছুঁয়ে দিয়ে ইচ্ছে করে।
রুপসা আয়ানের কাছ থেকে একটু সরে যেতে চাইলেই আয়ান আরও চেঁপে ধরে নিজের সাথে। একহাতে কোমড় চেঁপে ধরে আরেকহাতে চুলের ভাঁজে হাত গুঁজে দেয়।
রুপসা যেনো প্রচন্ড রকমের শক খায়। শরীরটা ক্রমশ অবস হয়ে আসছে তার। ঠোঁট দু’টো কাঁপছে। আয়ান রুপসার কাঁপা কাঁপা ঠোঁট দু’টো নিজের দখলে নিয়ে নেয়।
মূহুর্তেই রুপসার চোখ দু’টো বড় বড় হয়ে গেছে! কী হলো আয়ানের!

রুপসা আয়ানের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। অনেকখন পর আয়ান রুপসাকে ছেড়ে দেয়। রুপসাকে এতোটা কাছে দেখে আয়ানের নিজের উপরই রাগ হচ্ছে। কী করে ভুল করতে পারে ও! আয়ান ধাক্কা মেরে রুপসাকে দূরে সরিয়ে দেয়। রুপসা ও টাল সামলাতে না পেরে বিছানায় পড়ে যায়। ধাক্কা টা এতোটাই জোরে দিয়েছে যে যদি বিছানায় না পড়তো তবে বোধহয় অনেক বড় ব্যাথা পেতো!

রুপসা আয়ানের উপর প্রচন্ড রেগে যায়। কী পেয়েছেন টা কী উনি?
যখন ইচ্ছে হবে কাছে আসবে আবার ভালো না লাগলে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবে! রুপসা রেগে আয়ানের কাছে যায়। আয়ানকে কিছু বুঝতে না দিয়েই ওর পিঠে অনেক জোরে কামড় বসিয়ে দেয়।

আয়ান মোটেও এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলো না! রুপসা এমন কিছু করবে ভাবতেই তার চোখ গুলো লাল বর্ণ ধারন করে। যেনো মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে আগুন ঝরবে যা রুপসাকে জ্বালিয়ে দিতে চাইছে!

রুপসা বেচারি রাগের মাথায় এমন একটা কান্ড করলো ঠিকই কিন্তু এখন তো আয়ানের রাগী ফেস টা দেখে ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে! ভয়ে কেঁদে দেবে অবস্থা!

আয়ান – হাউ ডেয়ার ইউ! আমাকে কামড় দিয়েছো তুমি? মাথায় চড়ে বসেছো তাইনা? কি ভেবেছো তোমাকে আমি মেনে নিয়েছি? নেভার! তোমার থেকে হাজার গুন ভালো মেয়ে আমার পিছন ঘুরঘুর করেছে তাও কাউকে পাত্তা দিই নি। কারন আমি পার্মানেন্টলি কাউকে চাইনা। সো ভুলেও আমার ধারে কাছে আসার চেষ্টা করো না। যদি পারো তো একেবারে চলে যাও বুঝলে? (দাঁতে দাঁত চেঁপে)

রুপসা একদৃষ্টিতে আয়ানের দিকে তাকিয়ে আয়ানের বলা কথা গুলো হজম করেছে। বেচারির রাগ, দুঃখ, অভিমান হলেও কিছুই প্রকাশ করতে পারেনি। কারন সে ভালো মতোই জানে আয়ান কে রাগালে কোনো সমস্যার সমাধান করা যাবেনা বরং ভালোবেসে তার সব ভুল ধারনা ভাঙতে হবে।

দুপুরে রুপসা শাওয়ার নিয়ে এসেই তার শাশুড়ি মার সাথে গল্প করতে চলে গেছে কারন এঘরে থেকে এই গম্ভীর ব্যাটার ঝাড়ি খাওয়া থেকে শাশুড়ি মার আদর খাওয়া অনেক ভালো!
আয়ান শাওয়ার নিতে যায়। পিঠে পানি পড়তেই যেনো কিছু একটা কামড়ে ধরেছে মনে হলো।
তখন রুপসা তার দাঁতগুলো যেভাবে বসিয়েছে তাতে জ্বালা করাটাই স্বাভাবিক। পানি পড়তেই জ্বালা টা যেনো আরও বেড়ে গেছে! এই মুহুর্তে আয়ানের ইচ্ছে করছে রুপসাকে তুলে একটা আছাড় মাড়তে। আয়ান শাওয়ার নিয়ে৷ এসে ফাস্টএইড বক্স থেকে অয়েনমেন্ট নিয়ে ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাড়ায়। যেহেতু দাঁত গুলো পিঠে বসিয়েছে তাই নিজের হাতে অয়েনমেন্ট লাগানো না অনেক কষ্ট কর।
আয়ান অনেকক্ষণ যাবৎ চেষ্টা করছে লাগাতে কিন্তু পাড়ছে না। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে তার মাকে ডাক দেয়।

আয়ানের মা – ঐ যে আয়ান মনে হই ডাকছে। বোধহয় কিছু লাগবে ওর। তুই যা কী লাগবে দেখ। যদি আমার কথা জিগ্যেস করে তাহলে বলবি আমি ঘুমিয়ে আছি কেমন?

রুপসা – কিন্তু মা উনি তো আমাকে উনার সামনে দেখলেই রেগে যায়।

আয়ানের মা – আরে বোকা মেয়ে রাগ করুক না তাতে কী? কতো দিনই বা রাগ করে থাকতে পারবে বল তো? ও যেনো তোর উপর আর রাগ করতে না পারে তোকে মেনে নিতে পারে তার জন্য তে তোকে চেষ্টা করতেই হবে তাইনা?

রুপসা – হুম (মাথা নিচু করে)

আয়ানের মা – যা এখন গিয়ে দেখ কেনো ডাকলো?

রুপসা – ঠিক আছে মা।

রুপসা রুমে এসে দেখে আয়ান হাতে অয়েনমেন্ট নিয়ে পিঠে লাগানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য!

রুপসা ভয়ে ভয়ে আয়ানের পিছনে যায়। কারন সেই তো আয়ানের পিঠে দাঁত বসিয়েছে। ইশশশ! বেচারার কী কষ্ট টাই না হচ্ছে এখন। ক্ষত টা অনেকখানি গভীর দেখা যাচ্ছে। রুপসার নিজেরই অনেক খারাপ লাগছে। কেনো যে এমন ছেলেমানুষী করতে গেলো!

রুপসা – আ আমাকে অয়েনমেন্ট টা দিন। আমি লাগিয়ে দিই… (ভয়ে ভয়ে)

আয়ান রেগে রুপসার দিকে ফিরে তাকায়।

আয়ান – তুমি নিশ্চয় তোমাকে ডেকেছিলাম না?

রুপসা – আ আসলে মা ঘুমাচ্ছিলো তো তাই।

আয়ান – মা ঘুমাচ্ছে তো? তোমাকে আসতে বলেছি একবারও?

রুপসা মাথা নাড়িয়ে না বলে….

আয়ান – আর কোনো দিন যদি আমার সামনে এসে ঘুরঘুর করো তো তোমার কপালে শনি আছে মনে রেখো। ফাজিল মেয়ে।

রুপসা কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না। আয়ান অয়েনমেন্ট টা টেবিলে রেখে আলমারির কাছে যায় কাপড় আনতে। রুপসা চট করে অয়েনমেন্ট টা হাতে নিয়ে আয়ানের কাছে যায়। আয়ান কাপড় খুজায় ব্যাস্ত এই সুযোগে রুপসা আয়ানের পিঠে যত্নসহকারে অয়েনমেন্ট টা লাগিয়ে দেয়। আয়ান ঘুরে দাড়ায়। রাগি লুক নিয়ে রুপসার দিকে তাকায় রুপসা কোনো কিছু না ভেবেই এক দৌড়ে রুম ত্যাগ করে। কারন এখন আয়ানের কাছে থাকাটা বিপদজনক!

রাতে…

খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই যার যার রুমে চলে যায়। রুপসা রুমে এসে দেখে আয়ান খাটে শুয়ে আছে। রুপসা কিছুতেই বুঝতে পারছে না কোথায় শুবে?
কাল রাতের মতো আজও কি তাকে বেলকনিতেই শুতে হবে? ভাবতেই গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে! কাল কী ভয় টাই না লাগছিলো সারা টা রাত৷

রুপসা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ভাবছে কী করা যায়। আয়ান রুমে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে রুপসা অসহায়ের মতো তার দিকে তাকিয়ে আছে।
আয়ান উঠে বসে রুপসার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।

রুপসা – আ আসলে ক কোথায় শুবো ব বুঝতে পারছিনা। (ভয়ে ভয়ে)

আয়ান – আমার মাথায় শোও। অলরেডি আমার মাথায় ত চড়ে বসেই আছো এখন শুয়েও থাকতে পারো সমস্যা নেই৷ (দাঁতে দাঁত চেপে)

রুপসা আয়ানের কথায় ভয় পেয়ে যায় কারন আয়ান যে ক্ষেপে আছে তা বুঝার বাকি নেই রুপসার।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here