#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১১
.. বেলা চমকে পিছনে তাকাতেই দেখে সাঁঝ তাকে কোমরে ধরে পিছন থেকে জড়িয়ে উচু করে তার সমান করে ধরে রেখেছে। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। চোখে লেগে আছে নেশা আসক্তি মাখা। বেলা এক ঝলক সাঁঝ কে দেখে নেয় পুরো। হটাৎ করে সাঁঝ বেলা কে নিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ওদের পাশ কেটে বেরিয়ে একটা বুলেট। আর তার সাথে সাথে ওদের পিছনে থাকা টুল এর ওপর ফুলের টব টা ভেঙে নিচে পড়ে। হটাৎ আচমকা এমন হওয়াতে বেলা ভয়ে সাঁঝ কে আকড়ে ধরে চোখ মুখ খিঁচে রেখেছে। সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে নিয়ে উঠে বসে। বেলা কে ভয়ে চোখ মুখ বন্ধ রেখে তাকে এই ভাবে আকড়ে থাকতে বেলার মুখের দিকে কিছুক্ষণ দেখে। দু হাত বেলা কে নিজের কোলে তুলে রুমে এসে একেবারে ওয়াশরুমে শাওয়ার এর তলায় নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বেলা নিজের ওপর হালকা উষ্ণ পানির স্পর্শ পেয়ে আসতে আসতে চোখ খুলে তাকায়। সাঁঝ তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে ভেসে ভয় হারানোর।
.
. বেলা কে নিজের দিকে তাকাতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে বেলার ঠোঁট জোড়া নিজের ঠোঁটের ভাঁজে নিয়ে। বেলা নাড়াচাড়া করতে পারছে না। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে সে। আর একটু আগের দৃশ্য টা ওর চোখে ভাসছে। ও কিছুতে এখন সাঁঝ এর এই আদর ফিল করতে পারছে না।
.
. সাঁঝ বেলার অবস্থা বুঝতে পেরে বেলা কে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। বেলার কোমরে হাত রেখে হালকা করে চেপে নিয়ে প্যাশনেট ভাবে কিস করতে থাকে। বেলা একহাত দিয়ে সাঁঝ কোমরে ও আরেক হাত মাথার পিছনে আকড়ে ধরে। সাঁঝ বেলার প্রতিক্রিয়া দেখে আরো সফ্টলি কিস করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বেলা পুরো তার আদরে মুড়ে যেতেই সাঁঝ বেলার ঠোঁট ছেড়ে কপালে ঠোঁট রেখে গভীর এক চুমু খায়।
.
–“ঠান্ডা লেগে যাবে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি ড্রেস দিচ্ছি। সাঁঝ বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে বেরিয়ে যায়।
.
. এদিকে বেলা ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে সাঁঝ রেডি হচ্ছে। চোখ মুখে হিংস্রতা ছেঁয়ে আছে নীল চোখ পুরো লাল হয়ে আছে কপালের রগ গুলো ফুলে আছে। বেলা বুঝতে পারছে সাঁঝ এখন প্রচণ্ড রেগে আছে। আর তার কারণ টা ও বেলা জানে। সাঁঝ পুরো ব্ল্যাক গেট আপ নিয়েছে। ফর্সা টকটকে মুখের সাথে ব্ল্যাক যেনো ফুটে আছে। পুরো জল জল করছে। গলায় ওই তিল টা জেনো আরো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
.
. সাঁঝ মাথা ঘুরিয়ে দেখে বেলা তার দিকে তাকিয়ে আছে। মাথা থেকে টপ টপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। ভালো করে চুল গুলো ও মুছতে পারে না। এটা সাঁঝ প্রথম দিন থেকে দেখে আসছে। মুখে লেগে আছে বিন্দু বিন্দু পানি। কপাল বেয়ে গলায় গড়িয়ে পড়ছে পানি। সাঁঝ এর ঘোর লেগে আসছে। প্রচুর পরিমাণে নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে যেটা অতিরিক্ত অবিরাম। যার পরিমান দিনে দিনে আরো বেড়ে চলেছে। সাঁঝ এখন এই নেশায় ডুবে যেতে চায় না। তাই অতি কষ্টে নিজের চোখ সরিয়ে নেয়। বিছানা থেকে টাওয়েল নিয়ে বেলা কে টেনে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে নিজে চুল গুলো মুছে দিতে থাকে। বেলার এই নিষ্পাপ মাসুম মায়াবী মুখের দিকে যতো দেখছে ততই রাগ বাড়ছে। আরো হিংস্র হয়ে উঠছে।
.
.একটু আগের ওই ভয়ানক দৃশ্য টা ভেসে উঠছে সাঁঝ এর চোখের সামনে। ও যদি খবর টা না পেতো। ও যদি ঠিক সময়ে না এসে পৌঁছত। তাহলে কি হতো। এটা ভেবে তার বুক কেঁপে উঠছে। সে বেলা কে হারিয়ে ফেলত যদি আর একটু দেরি করত বেলা কে সরিয়ে নিতে।
.
. বেলার কোমরে সমান লম্বা চুল গুলো কে টাওয়েল পেচিয়ে কাঁধের এক পাশে রাখে। চোখ উন্মুক্ত পিঠের দিকে যেতে সাঁঝ এর শরীরে শিহরন জেগে যায়। কেঁপে ওঠে তার হৃৎপিন্ড। এক্সপ্রেস এর বেগে বিট করতে থাকে। বেলার ব্লাউজ ব্যাক লেস হওয়ায় পিঠ অনেক টাই উন্মুক্ত হয়ে আছে। পিঠে ঠিক মাঝখানে ত্রিভুজ আকৃতি তিল। লেভি দিয়ে পরিমাপ করলে হয়তো পুরো কাঁটায় কাঁটায় হবে। একসাথে তিনটে তিল জল জল করছে আর তার পাশে আছে বিন্দু বিন্দু পানি। সাঁঝ আর নিজেকে সামলাতে না পেরে বেলার নেশায় আসক্ত হয়ে পিঠে ওই তিল এর ওপর নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়। বেলা হঠাৎ এমন স্পর্শে কেঁপে ওঠে। চোখ গুলে চেপে বন্ধ করে নেয়। হাত চেপে মুঠো বাধে শাড়িতে। সাঁঝ ডুবে যায় বেলার মাঝে।
.
. হটাৎ ফোন বেজে ওঠায় বেলা চমকে সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে আটকে রাখে নিজের সাথে। সাঁঝ বেলার পিঠে মুখ চুবিয়ে রাখে। এক হাতে দিয়ে কানে থাকা ব্লুটুথ কানেকশন এ রিসিভ করে। ফোন ওপারে কথা শুনে আসতে আসতে সাঁঝ নেশা কেটে গিয়ে হিংস্র তে পরিনত হয়। চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।
.
–“আই এম কামিং। সাঁঝ মুখ তুলে বলে ওঠে শীতল কন্ঠে।
.
. বেলা কেঁপে ওঠে সাঁঝ এর এমন কন্ঠ শুনে চোখ খুলে সামনে আয়নায় তাকাতে চমকে যায়। সাঁঝ এর চোখে মুখের পরিবর্তন দেখে। বেলা ঘুরে সাঁঝ এর দিকে দাঁড়াতে সাঁঝ বেলার কপালে একটা গভীর চুমু দেয়।
.
–” ঘুমিয়ে পড়। আর রুমের বাইরে পা রাখবে না। বলে সাঁঝ বেরিয়ে যায়।
.
. কিন্তু হঠাৎ হাতে টান পড়াতে পিছন ঘুরে দেখে বেলা তার হাত ধরে আছে। চোখে মুখে তার উদ্বিগ্ন ভয় প্রশ্ন নিয়ে তার দিকে চেয়ে আছে।
.
–” চিন্তা নেই। বেঁচে ফিরে আসবে সাঁঝ বেলার কাছে। ঘুমিয়ে পড়। বলে বেরিয়ে যায়। রুম থেকে বেরিয়ে যায় সাঁঝ।
.
. বেলা ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর চলে যাওয়ার দিকে। মুখে ফুটে আছে ভয়ের ছাপ। একটু আগের কথা ভাবতে বুক কেঁপে ওঠে। আজ যদি সাঁঝ ঠিক সময় মত না আসতো তাহলে যে কি হতো বেলা আর ভাবতে পারছে না। চোখের সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসছে। বিছানায় বসে দেয়ালে টানানো তার ছবির দিকে তাকায়। এটাই সেই দিন ছিল যখন ও সাঁঝ এর ডিটেইল নিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছিল। সাঁঝ কে নিয়ে পাগলামি শুরু করেছিল। চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুরোনো স্মৃতি।
——————
–“আরে ইয়ার বেলা । আর কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবি। আমাদের কে ভিতরে যেতে দেবে না। দেখ এবার তো ফিরে চল। বেদ বলে ওঠে।
.
–” স্কুল ডুব দিয়ে তুই তোর আনজানা ক্রাশ এর খোঁজে বেরিয়েছিস ভাবতে পারছিস। মানে এটা তুই আমাদের বেলা তো? প্রশ্ন করে ওঠে নিশান।
.
–“ওহ জাস্ট সাট আপ নিশ । বেলা তার দৃষ্টি সামনের বিল্ডিং এর টপ ফ্লোরে স্ক্যান করাতে করাতে বলে ওঠে।
.
–“আরে বাবা তুই কি এই মাটিতে দাঁড়িয়ে ওই আকাশ সমান বিল্ডিং এর টপ ফ্লোর স্ক্যান করাতে পারবি শুনি। রুহি বলে ওঠে।
.
–“ওহহোও তোর এই ক্রাশ এর চক্করে আমরা না বাঁশ খেয়ে যাই। ওম বলে ওঠে।
.
. সামনে দিকে তাকাতে হটাৎ বেলার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। চোখ গুলো চিক চিক করে ওঠে। বেলার দৃষ্টি অনুসরণ করে সবাই সামনে তাকাতে দেখে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে বেসমেন্ট এর দিকে যাচ্ছে সাঁঝ রওশন। পুরো ব্ল্যাক গেট আপ। বেলা তাড়াতাড়ি করে নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে পটাপট ছবি তুলে নেয়। নিজে ঘুরে দাঁড়িয়ে সাঁঝ বলে এক চিৎকার দিয়ে সাঁঝ এর সাথে রান্ডডমলি ক্লিক করতে থাকে। ওদের মধ্যে গ্যাপ অনেক টাই কিন্তু রান্ডডমলি ক্লিক করার জন্য সাঁঝ এর সাথে বেশ কয়েকটা ছবি উঠে যায়। সাঁঝ এর গাড়ি বেরিয়ে যেতেই বেলা চিৎকার করে লাফিয়ে ওঠে।
.
. এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বেলার বন্ধু গুলো অবাক হয়ে বেলার পাগলামি দেখতে থাকে। বেলা যে সব সময়ে আখড়ু হয়ে থাকতো সেই এখন প্রেমে পড়েছে। বেলা ছবি গুলো চেক করতে করতে দেখে সাঁঝ তার দিকে ফিরে তাকিয়ে ছিল এক ঝলক আর তখন ক্যামেরা বন্দি হয় মুহূর্ত টা। সাথে সাথে আপলোড করে বেলা ছবিটা।
.
.❤️””দেখেছি তোমায় এক ঝলক বৃষ্টির রাতে। পড়ে গেছি নেশায় তোমার কন্ঠে।
ডুবেছি ওই গভীর নীল চোখের সমুদ্রের মাঝে।
আজ মরেছি তোমার নেশায় আসক্তিতে”” ❤️
❤Dream man❤️
.
. ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করে দেয় নিজের আইডিতে বেলা ।
.
.রাস্তার মাঝ দিয়ে এগিয়ে চলেছে পাশাপাশি তিনটে বাহন। দুটো বাইক ও একটি স্কুটি। বেলা পিছনে বসে দু হাত দু দিকে মেলে দিয়ে পিছনের দিকে হেলে পড়েছে।
.
. 🎶 ঝিরি ঝিরি স্বপ্ন ঝরে
দুটি চোখের সীমানায়
চুপি চুপি কানে কানে
কেউ আমাকে ডেকে যায়
মন হারানোর এ সময়ে
পাখা মেলে না জানি যাব কোথায় 🎶
.
. এটুকু গেয়ে বেলা স্কুটি থেকে লাফিয়ে পড়ে। রাস্তার মাঝে থেকে এবার স্কুটির সাথে আকাবাকা ভাবে ছুটতে ছুটতে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয়
তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয় 🎶
.
. রাস্তার মাঝে পা ছড়িয়ে বসে গালে হাত দিয়ে হেসে আবার ও গেয়ে ওঠে। আর রাস্তা থেকে যাওয়া সবাই দেখতে থাকে।
.
. 🎶একলা ঘরে মনে পড়ে
পথে প্রথম দেখার ছবি যে
ভয় জড়ানো শিহরনে
লিখি প্রেমের চিঠি যে
একলা ঘরে মনে পড়ে
পথে প্রথম দেখার ছবি যে
ভয় জড়ানো শিহরনে
লিখি প্রেমের চিঠি যে
হাত বাড়ানো এই সময়ে
পাখা মেলে না জানি যাব কোথায় 🎶
.
. বেলা হাত পা ছিটিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে দু পা দু পা করে এগিয়ে যায়। আর পাশ থেকে গাড়ি গুলো বেরিয়ে যায় বেলার পাগলামি দেখতে দেখতে। কেউ সিটি বাজাচ্ছে তো কেউ চিৎকার করে বেলার সাথে তাল মেলাচ্ছে।
.
. 🎶তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয়
তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয় 🎶
.
. বেলার এই পাগলামি সাথে তালে তাল মিলিয়ে তার চার বন্ধু ও সামিল হয়। সারা রাস্তায় এই রকম পাগলামি করে। আর বেলা তো পুরো ডুবে আছে সাঁঝের স্বপ্নে বিভোর হয়ে।
. দূর থেকে যে কেউ বেলার এই পাগলামি দু চোখ ভোরে দেখ ছিল সেটা তারা বুঝতে পারিনি। বেলার এই গান আর করা পাগলামি দেখে তার ও মুখে ফুটে ওঠে একটা মিষ্টি হাসি।
—————-
. হালকা আলো আধারি রুমের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে সাঁঝ। হলির মত তার পুরো শরীরে মেখে আছে রক্ত। সামনে পড়ে আছে দুটো লাশ। নৃশংস ভাবে পড়ে আছে। কেউ দেখলে আতকে উঠবে। সাথে সাথে হার্ট ব্রেক করবে।
.
–“আমার কলিজায় হাত বাড়ালে তার অবস্থা এমন হবে। এর থেকে ও ভয়ানক। কাউকে ছাড়ব না আমি। যে এই সাহস করবে তার সাথে সাথে পাতা কেটে যাবে। সাঁঝ দাঁত কিড়মিড় করে বলে ওঠে সাঁঝ।
–” আকাশ এর পিছনে কে আছে খোঁজ নাও। আমি যেনো সকালে এই খবরটা পেয়ে যাই। গট ইট। সাঁঝ হুঙ্কার ভরা গলায় বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ রওশন এর জানের দিকে হাত বাড়ানোর সাহস করে খুব ভুল করেছে এর পরিণতি খুবই ভয়ংকর হবে যেটা কোনো দিন ভাবতে পারবে না।
. #তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_১২
–“বেলা ঘরওয়ালি ।বেলা মাই সুইটহার্ট । কোথায় গেলে। সাঁঝ চিৎকার করে ডেকে ওঠে।
–” হয়েছে টা কি এই ভাবে চিৎকার করছেন কেনো ষাঁড় এর মত যতো সব। বেলা রুমের মধ্যে ঢুকে বলে ওঠে।
–“কোথায় ছিলে তুমি। কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি তোমাকে। সাঁঝ বলে বেলার দিকে এগিয়ে যায়।
–” সেটা আপনার না জানলে ও চলবে। কেনো ডেকেছেন বেলা মুখ ঘুরিয়ে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে আচমকা বেলার কোমর জড়িয়ে নিয়ে নিজের বুকের ওপর ফেলে। বেলা হকচকিয়ে সাঁঝ এর দিকে তাকাতে সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” বাঁধো । টাই । দুষ্টু হেসে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–“কেনো আপনি পারেন না নাকি। বেলা বলে ওঠে।
.
–“উহু। মাথা নাড়িয়ে বলে ওঠে। আগে পারতাম এখন আর পারি না।
.
–“ঢং যতো সব। আমি পারব না। ছাড়ুন আমাকে। বেলা মুখ বেঁকিয়ে বলে ওঠে।
.
–“ওকে বেঁধনা । আমার তো খুব ভালো লাগছে এই ভাবে থাকতে। চোখ টিপে দুষ্টু হেসে বলে উঠে মুখ নামিয়ে বেলার গলায় মুখ ডুবায়।
.
. এদিকে বেলার দম যাওয়ার জোগাড়। নিশ্বাস নিতে পারছে না কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গেছে। সাঁঝ এর এমন করাতে।
.
–” আ..আমি বেঁধে দিচ্ছি সরুন প্লিজ। বেলা কাঁপা গলায় বলে ওঠে।
.
.সাঁঝ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আর বেলা কে নিজের সাথে একদম মিশিয়ে নিয়ে মুখে দুষ্টু হাসি আর চোখের ইশারা করে বেলা কে টাই বাঁধতে।
.
–” দেখুন একদম মুচকি মুচকি হাসবেন না। বেলা বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কিছু না বলে মাথা নাড়ায়। কিন্তু তারপরও সেই এক কাজ করে তার সাথে দুষ্টামি। বেলার কোমরে ধরে থাকা হাত দিয়ে স্লাইড করতে থাকে। আর এদিকে বেলার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কেঁপে কেঁপে ওঠে বারবার।
.
–” হ..হয়ে গে..ছে ছাড়ুন আমাকে। বেলা কেঁপে কেঁপে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে বেলা কে আরো শক্ত করে ধরে উচু করে নিজের সমান সমান করে। বেলার কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। এদিকে বেলার অবস্থা পুরো টাই টাই ফিস হয়ে গেছে। অসহায় হয়ে সাঁঝ এর টর্চার সহ্য করতে থাকে।
.
–“সাঁঝ। বেবি ।
.
. দিশার আওয়াজ আসতেই দুজন ছুটে আসে। আর সাথে সাথে দিশা ওদের রুমে ঢুকে যায়। সাঁঝ এর মুখে রাগ আর বিরক্তির ছাপ ফুটে আছে। আর বেলা তার মুখে কোনো ভাব দেখা যাচ্ছে না। দিশা একবার বেলার অগোছালো চুল আর ড্রেস এর দিকে তাকিয়ে নিয়ে। সাঁঝ কে গিয়ে এক হাত জড়িয়ে বলে ওঠে।
.
–“বেবি দেরি হয়ে যাচ্ছে আমাদের। ন্যাকা স্বরে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে একবার ওদের দেখে নিয়ে তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিয়ে বেরিয়ে যায়।
——————–
–” এই যে শুনছেন। এই যে। সারা সেই কখন থেকে বেদ কে ডেকে যাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে তার কোনো ধ্যান আদেও কিছু শুনতে পাচ্ছে কি না কে জানে।
.
–” আরে বাবা কোথায় হারিয়ে গেলেন আপনি বলুন তো। আচ্ছা আপনার কি চোখের ফিউশ কেটে গেছে যে এক জায়গাতে আপনার চোখ স্থির হয়ে গেছে। সারা বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ তাই তো ভাই তুই কোথায় হারিয়ে গেলি বলত। নিশান তার পাশে বসা বেদ কে ধাক্কা দিয়ে বলে ওঠে।
.
–“ক..ক..কই না তো আমি এখানে আছি। হকচকিয়ে গিয়ে বলে ওঠে।
.
–“হ্যাঁ তাই তো তুই আর কোথায় যাবি। তুই এখন তোর সামনে দুটো চোখে প্রেমের সমুদ্রে ডুবে গেছিলি এতক্ষণ। ওম হাসতে হাসতে বলে ওঠে।
.
–“বলছিলাম যে আপনার চোখের ফিউশ ঠিক আছে তো এখন। বাঁকা হেসে বলে ওঠে বেলা।
.
–“আরে না না ও তো এতক্ষণ সারা রা রা করছিলো না মনে মনে। রুহি বলে ওঠে।
.
–“এই তোরা বড্ড ঝিরঝির করছিস। এবার একটু চুপ কর। বেদ বলে ওঠে।
.
–” নিশান চুপ একদম একদম বড্ড ঝিরঝির করছিস। বলেই বেলা হেসে ওঠে।
.
.বাকিরা সবাই হাসছে। বেদ ওদের চুপ করাতে ব্যস্ত। আর সারা লজ্জা মাখা মুখে চুপ করে বসে আছে। বেদ একবার কোনা চোখে সারা কে দেখে নিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে মাথা চুলকায়। আর বেদ এই রিয়্যাকশান দেখে আবার ও সবাই হেসে ওঠে। ওরা সবাই ইউনিভার্সিটি গার্ডেন বসে আছে।
.
. ওদের হাসি মজার মধ্যে বেলার ফোন বেজে ওঠে। ফোন হাতে নিতেই দেখে “জিন্দেগি” নাম থেকে কল আসছে। এখন সবার দৃষ্টি বেলার ফোনের দিকে যেখানে অ্যাটিটিউড নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হট চকোলেট বয়। ডান হাত দিয়ে অর্ধেক গ্লাস খুলে আছে। বেলা সবার দিকে একবার দেখে নিয়ে ফোন কানে ধরে। আর সবাই মিট মিট করে হাসছে ।
.
–” সুইটহার্ট মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” তো আমি কি করব শুনি। খেতে ইচ্ছে হলে খেয়ে ফেলুন। আমার কাছে কেনো ফোন করেছেন। বেলা বলে ওঠে।
.
–“কি করব জান মিষ্টি টাই যে এখন আমার কাছে নেই। সাঁঝ বলে ওঠেন।
.
–” দেখুন আপনার ফালতু পায়তাড়ি আপনার কাছে রাখুন। বেলা সবার দিকে একবার দেখে বলে ওঠে।
.
. সবাই এখন বেলার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে ।
.
–“একটু তো মিষ্টি করে কথা বলতে পারো জান। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“আসলে জন্মের সময়ে মা আমাকে মধু দেয়নি। করোলার জুস খাইয়ে ছিল তাই আমি তেতো। হয়েছে। বেলা ঝাঁজের সাথে বলে ওঠে।
.
–“ঠিক আছে এখন থেকে আমি তোমাকে মিষ্টি খাওয়াবো বেশি বেশি করে। আমার আদুরে মিষ্টি। তাহলে দেখবে তুমি মিষ্টি হয়ে গেছ। সাঁঝ হেসে বলে ওঠে।
.
.কথা টা শুনতে বেলা চোখ বন্ধ করে নেয়। কেমন একটা শিহরন বয়ে যায় তার শরীর থেকে।
–“কোথায় আছো সুইটহার্ট ।তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে এসো। আমি ফিরছি। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“আকাশের তলায় আর মাটির ওপরে আছি। বেলা মুখ ভেঙিয়ে বলে ওঠে।
.
–“উফফফফফ । এত কেনো জ্বালাও আমাকে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” এই ফোন রাখুন তো আপনার সাথে বকবক করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। যতো সব। বলেই ফোন কেটে দেয় বেলা।
.
. এদিকে এতক্ষণ ধরে চেপে থাকা হাসি গুলো ফেটে বেরিয়ে আসে। সবাই হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
.
–“জানো সারা তোমার মিষ্টি ভাবি এখন তোমার ভাই কে পাত্তা দেয় না। ঠিক তেমনই এক সময়ে তোমার মিষ্টি ভাবি তোমার ভাই বলতে পাগল ছিল। কত না কান্ড করেছিলো। বলে হেসে ওঠে বেদ।
.
. বেলা কোনো কথা বলে না ওদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে। ওরা তার গল্প শোনাচ্ছে সারা কে। এখন সে নিজেই ভাবতে বসে। সত্যি তখন কতই না পাগল ছিল। কতই না পাগলামি করেছিলো একবার তার জিন্দেগি কে দেখার জন্য।
—————-
রাতের আঁধারে গাড়ি ছুটে চলেছে। শুনসান রাস্তা কেউ কোথাও নেই। শুধু কয়েক মিনিট পর পর তাদের পাশ কেটে চলে যাচ্ছে গাড়ি গুলো। তারা প্রোগ্রাম করে ফিরছে। পাঁচটা বাইক ছুটে চলেছে রাতের অন্ধকারে । বেলার গলায় ঝোলানো গিটার। মাথায় হেলমেট না থাকার ফলে পনিটৈইল করা চুল গুলো হাওয়া তে উড়ছে। বাকি গুলোতে ওম বেদ নিশান রুহি। এখন তাদের গন্তব্য করামাঙ্গলা ব্যাঙ্গালোর টপ নাম্বার ওয়ান রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া। রওশন ম্যানসনের দিকে।
.
. এখন এটাই তাদের প্রতিদিন এর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদিন ক্লাস করার পর বিকালে গিয়ে এস.আর ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অফ কোম্পানির সামনে গিয়ে দাঁড়ানো। আর তারপর রাতের বেলা বাইক নিয়ে সাঁঝ এর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা সাঁঝ কে দেখা। যতক্ষণ না পর্যন্ত সাঁঝ রুমে গিয়ে লাইট অফ করে। আর তারপরে বেলা এক টুকরো একটা চিরকুট ছুড়ে দেয় সাঁঝ এর রুমে তারপর ফিরে আসে বেলা। আর বেলার এই পাগলামি তে সাথে থাকে তার চার বাহন।
.
.বাইক এসে দাঁড়ায় ঠিক রওশন ম্যানসনের সামনে। বাইক স্ট্যান্ড দিয়ে বাইক এর উপরে উঠে দাড়ায় বেলা। হ্যাঁ ওই তো দেখা পাচ্ছে বেলা তার জিন্দেগি তার সাঁঝ কে। রুমের মধ্যে পায়চারি করছে। কানে ফোন আর হাতে কফির মগ। বেলা মুগ্ধ হয়ে দেখছে সাঁঝ কে। লাইট এর উজ্জ্বল আলোতে তার মুখে ফুটে থাকে বিরক্তি ছাপ। কথা বলতে বলতে কখন কখন ভ্রু কুঁচকে ফেলা। নিচের ঠোঁট টা কামড়ে ধরা। আবার কখন হাত দিয়ে চুল পিছনে উল্টে দেয়া।
.
. বেলার হার্ট জোরে জোরে বিট করতে থাকে সাঁঝ এর এই ছোটো ছোটো কাজে। বেলা চটপট এক টুকরো কাগজে লিখে ফেলে।
.
. ❤️এই যে তুমি কি জানো তোমার ওই বাঁকা হাসি কারোর জান কেড়ে নিতে পারে। জানো যখন কথার মাঝে মাঝে হটাৎ করে তোমার ভ্রু কুঁচকে যায়। তখন ঠিক আমার হার্ট থেমে যাওয়ার জোগাড়। আর যখন তুমি হাত দিয়ে চুল গুলো কে পিছনে করো তখন তোমাকে পুরো হট চকোলেট লাগে। মনে হয় পুরো কামড়ে কুমড়ে খেয়ে ফেলি। জানো আমার চকলেট পছন্দ ছিল না। কিন্তু তোমাকে দেখার পর যে আমি সারাদিনে কত কত চকোলেট খাই তার হিসাব থাকে না। তোমার ওই গলায় থাকা তিল টা আমাকে নেশা লাগিয়ে দেয়। এত দিন জানতাম ছেলেরা মেয়েদের প্রতি এত টা নেশা গ্রস্থ হয়। কিন্তু দেখো আমি কেমন তোমার নেশায় নেশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছি। দিন দিন আক্রান্ত হয়ে পড়ছি তোমার ভালোবাসাতে। তোমার ওই গভীর নীল চোখের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি গভীর ভাবে। তোমাকে একবেলা না দেখলে আমার দম আটকে আসে। তোমার আসক্তি পাগল করছে আমায় অতিরিক্ত ভাবে। তোমার নেশায় আসক্ত খুব বাজে ভাবে গভীর ভাবে পড়ে গেছি তোমার ভালোবাসায় জিন্দেগি ❤️
.
. বেলা কাগজে লিখে সেটা একটা পাথরে মুড়ে নিয়ে ছুড়ে দেয় সাঁঝ এর বারান্দায়। কিন্তু একি সাঁঝ কোথায় গেলো এক্ষুনি তো এখানে ছিল তাহলে কোথায় গেলো। বেলা বাইক এর ওপর দাঁড়িয়ে উকি ঝুকি মারতে লাগে।
.
. এদিকে চারজন বসে বসে অ্যাপি ফিজ খেয়ে যাচ্ছে বেলা কে হঠাৎ উকি ঝুকি মারতে দেখে বেদ বলে ওঠে।
.
–“ওই কি হল তোর ওইরকম করছিস কেনো।
.
–” আরে ইয়ার সামনে দেখ। ভয়ে ভয়ে বলে ওঠে নিশান।
.
. এদিকে ওরা চারজন চুপ চাপ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। বারবার বেলা কে টেনে নামাতে গেলেও বেলা নামছে না। সে এখনও উকি দিতে ব্যস্ত।
.
–“ধুর বাবা কোথায় হারিয়ে গেলো। বেলা বিরক্তি ভাবে বলে ওঠে।
.
–“কি হারিয়েছে।
.
–” আরে বাবা আমার মন আর আমার জিন্দেগি এখানে তো ছিল গেলো কোথা…। এটুকু বলেই বেলা চমকে ওঠে। হঠাৎ মনে হল সে তার সেই আকাঙ্ক্ষিত পুরুষালি ঝঙ্কারময় কন্ঠ শুনেছে। বেলা আসতে আসতে পিছনে মুড়ে তাকাতে দেখে তার সামনে তার হট চকলেট বয় সাঁঝ রওশন। বেলা তাড়াতাড়ি করে নিচে নামতে গিয়ে স্লিপ কেটে নিচে পড়ে।
.
. পড়ে যাওয়ার ভয়ে বেলা চোখ মুখ কুঁচকে রাখে। কিন্তু সে কিছুক্ষণ পর অনুভব করে যে সে নিচে পড়েনি বরং সে কারোর বাহুডোরে আটকে আছে। যার বুকের বাম দিকে জোরে জোরে করাঘাত করে চলেছে তার হৃদয়। বেলা চোখ খুলে তাকাতে দেখে তার দিকে তাকিয়ে আছে সাঁঝ। বেলা ও ডুবে যায় সাঁঝ এর ওই গভীর নীল চোখের মাঝে। এদিকে ওদের থেকে একটু দূরে দাঁড়ানো ওম রুহি বেদ নিশান হা করে দেখছে ওদের দুজন কে। রুহি নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে ওদের নজর এড়িয়ে ভিডিও বানাতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেছে কিন্তু এখনও ওদের দৃষ্টি একে অপরের দিকে।
.
–“বেলা বেবি তুই ঠিক আছিস তো। রুহি দুষ্টু হেসে বলে ওঠে।
.
. রুহির কথা কানে যেতে সাঁঝ তাড়াতাড়ি করে বেলা কে নিচে নামিয়ে দেয়। বেলা এখনও ঘোরের মধ্যে আছে। তার শরীর এখনও কাঁপছে। সে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না যে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সাঁঝ।
.
–” তো তোমরা এখানে কি করছো। আর তোমাদের কোথাও দেখেছি মনে হচ্ছে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ ।মনে নেই সেই দিন ওই বৃষ্টির রাতে আপনার গাড়িতে লিফট দিয়েছিলেন। রুহি উত্তেজিত হয়ে বলে ওঠে।
.
–“ও হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে। খানিকক্ষণ ভাবার পর বলে ওঠে সাঁঝ। কোনা চোখে একবার তাকিয়ে দেখে বেলা এখনও তার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
. বেদ বেলার হাতে চিমটি কাটতে বেলা ঘোর কেটে বেরোয়। আর এদিকে সাঁঝ বাঁকা হাসতে থাকে বেলার কাজ দেখে।
.
–” তো তোমরা এত রাতে আমার বাড়ির সামনে কি করছিলে। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” আপনাকে দেখছিলাম। বেলা আনমনে বলে ওঠে।
.
–“কি। সাঁঝ অবাক হয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা নিজের ভুল বুঝতে পেরে চুপ করে যায়। বেদ তাড়াতাড়ি আবার ও বলে ওঠে।
.
–” আসলে আমরা প্রোগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছি। বেলার হাতে থেকে ঘড়ি টা পড়ে যেতেই আমরা দাঁড়িয়ে পড়ি।
.
. বেলা বেদ এর কথা শুনে চমকে ওঠে বেদ এর দিকে তাকায়। বেদ এর কথার মানে বুঝতে পেরে নিজের হাত পিছনে মুড়ে হাতের থেকে জ্যাকেট এর হাত কিছুটা গুটিয়ে নিয়ে ঘড়ি খুলে পাশে ঘাসের মাঝে ফেলে দেয়।
.
. এটা কারোর নজরে না পড়লে ও সাঁঝ এর নজরে ঠিক পড়ে যায়। কিন্তু ও না বোঝার ভান করে দাঁড়িয়ে থাকে স্বাভাবিক ভাবে। সাঁঝ ওদের সাথে থাকা গিটার দেখে বলে ওঠে।
.
–“তোমরা কি সিঙ্গার। আই মিন তোমরা মিউজিক প্লে করো। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” ইয়েস। চার জন একসাথে বলে ওঠে।
.
. আর বেলা এক দৃষ্টিতে সাঁঝ কে দেখতে থাকে। গিলে খেতে থাকে সাঁঝ কে।
.
–“তোমরা কি প্রফেশনাল। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” অ্যাকচুয়ালি গান টা প্রথম আমরা শখের বশে গাইতাম কিন্তু এখন আমরা গান গাই ছোটো ছোটো বাচ্চাদের জন্য। আমাদের একটা অনাথ আশ্রম আছে। যেটা আমরা আমাদের এই উপার্জন দিয়ে তৈরী করেছি। আর এখন গান টা ও ওদের জন্য গাই। বেদ হেসে বলে ওঠে।
.
–” ওয়াও ।খুব ভালো তো। তোমরা তো মনে হচ্ছে এখনও স্কুলে পড়। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ ক্লাস ইলেভেন । নিশান বলে ওঠে।
.
–“এই বয়সে থেকে ও এত সুন্দর কাজ সত্যি খুব ভালো। আচ্ছা আমি কি তোমাদের কে একটু হেল্প করতে পারি। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–“কি রকম হেল্প। ওম বলে ওঠে।
.
–” দেখ তোমরা যেহেতু একটা ভালো উদ্দেশ্য কাজ করছ। আর তার ওপরে তোমরা স্টুডেন্ট। তাই তোমরা কি এস.আর গ্রুপের হয়ে গান গাইতে পারবে। তোমরা এস আর গ্রুপে সিঙ্গার হিসাবে জয়েন করতে পারো। এবার তোমরা ভেবে দেখতে পারো। এটা আমার কার্ড। তোমরা ভেবে আমাকে জানিও। সাঁঝ বলে ওঠে।
.
. এদিকে সাঁঝ এর কথা শুনে সবার চোখ কপালে ওঠে। সবাই সবার মুখ চাওয়া চায়ি করতে থাকে।
.
–“ওকে তো এবার তোমরা বাড়ি ফিরে যাও অনেক রাত হয়েছে। এত রাতে বাইরে থাকা সেফ নয়। বাই। বলে সাঁঝ একবার বেলার দিকে তাকিয়ে নিয়ে গেট এর ভিতরে ঢুকে যায়।
.
. এদিকে সাঁঝ চলে যেতে বেলা চিৎকার করে লাফিয়ে ওঠে। বুকে হাত দিয়ে ঢোলে পড়ে ওদের গায়ে। আর বাকিরা ও বেলা কে ধরে নেই। আবার ও বেলার নাচানাচি শুরু হয়ে যায়। এতদিন সে দূর থেকে দেখে নিজের নেশা মেটাত। আর আজকে তার সামনে থেকে দেখেছে। সে তার কোলে ছিল এটা ভাবতে বেলার মধ্যে শিহরন শুরু হয়ে যায় তার এখন মিউজিক ছেড়ে আচ্ছা করে ডান্স দিতে ইচ্ছা করছে।
.
. বেলা বাইকে ওঠে একবার গেটের ভিতরে তাকিয়ে দেখে স্টার্ট দেয়। তার মন এখন পুরো নেশায় জর্জরিত হয়ে আছে। মনে মনে তার এখন ঈদ হচ্ছে।
.
. এদিকে তাদের এই অবস্থা দেখে যে কেউ বাঁকা হাসে সেটা ও প্রতিবার এর মত তাদের অজানা।
—————–
লাক্সজিউরি হোটেল রুমে বসে আছে সাঁঝ। আর তার ঠিক সামনে বসে আছে তানভী। মুখে চড়া মেকআপ। গায়ে খুবই ক্ষুদ্র পোশাক। যেটা তে তাকে আরো কমনীয় লাগছে। নিজেকে আরো কিছুটা এগিয়ে দিয়ে লাস্যময়ী ভাবে সাঁঝ এর দিকে ঝুঁকে বসে। তার উদ্দেশ্য এখন একটাই সাঁঝ কে সিডিউস করে তাকে তার দিকে টানা। তার মুখে ফুটে আছে এখন কামনা ভরা ইশারা।
.
. সাঁঝ তার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ করে তার হাতে থাকা ওয়াইন এর গ্লাসের দিকে চেয়ে আছে। সে একবার ও চোখ তুলে তাকায় নি তানভীর দিকে। এসেছিল এখানে আহুজাদের সাথে ডিল ফাইনাল করতে। কিন্তু তানভী যে আহুজা গ্রুপ এর ডিরেক্টর হিসাবে মিটিং করতে আসবে সেটা জানা ছিল না।
.
. তানভী সাঁঝ এর দিকে তাকিয়ে দেখে সে তার হাতের গ্লাস এর দিকে তাকিয়ে আছে। তানভী খানিকটা বিরক্তি হয়ে উঠে দাঁড়ায়।
.
–“এবার আমিও দেখি তুমি কেমন করে চুপ করে থাকতে পারো। চোখের সামনে আমার মত সুন্দরী থাকতে তুমি কি ভাবে নিজের হাত গুটিয়ে নাও এটা তো হতে পারে না। তোমাকে আমার কাছে ধরা দিতেই হবে। মনে মনে বলে ওঠে তানভী।
.
. মুখে একটা কমনীয় হাসি টেনে রেখে সাঁঝ এর দিকে এগিয়ে যেতে লাগে ধীর পায়ে।
.
.
.
.💝💝💝
.
. চলবে…
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি ।সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। কালকে আপনাদের কমেন্ট পড়ে আমি অনেক উৎসাহিত হয়েছি আর সেই থেকে আপনাদের কে ধন্যবাদ হিসাবে আজকের পার্ট টা অনেক বড় করে দিলাম। তাই একটু লেট হয়ে গেছে। তাই কেউ মনে নেবেন না। আপনাদের জন্য রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা 😍 😍 😍
#
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন ।সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊
(বলছি এই যে নেক্সট জনগণ আপনারা কি আমাকে নেক্সট এর মাঝে ডুবিয়ে মারতে চান নাকি। একটু বলুন তো আপনারা কি চান 🤔🤔নেক্সট ছাড়া ও তো একটু কিছু বলা যায় নাকি। এই যে আমি কত কি বলে দিলাম। আপনারা ও তো বলতে পারেন। তা নয় আমাকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন নেক্সট এর মাঝে 😢😢😢 প্রচুর কান্না পাচ্ছে প্রচুর কান্না পাচ্ছে 😥😥)