দহন পর্ব ৪

#দহন
#পর্ব_৪
#লেখা_মিম

খুব সাবধানে নিজেকে অনিমের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিলো শিমুল যাতে অনিমের ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলো বৃষ্টি ফোন দিচ্ছে। ফোনটা রিসিভ করলো সে।
-” হুম ভাবী বলো…”
-” কি রে মাত্র ঘুম ভাঙলো নাকি?”
-” হ্যা তোমার ফোন পেয়েই ঘুম ভেঙেছে।”
-” বেলা নয়টা বাজে তোর ঘুম ভাঙলো!! এত দেরী করে তো তুই কখনোই উঠিস না। তার মানে গতরাতে অনেকক্ষন জেগে ছিলি তাই না?”
-” হুম।”
-” কি কি হয়েছে বল না?”
-” তোমাকে কেন বলবো?”
-” কেন বলবি না? আমি তোর ভাবী। আমার জানার পুরো অধিকার আছে। বল না শিমুল কি কি হলো?”
-” এসব কি বলার মতো কথা?”
-” অবশ্যই বলার মতো কথা। গতরাতে নদী আপা, বড় ভাবী আর আমি ঘুমাইনি। বসে বসে রাত তিনটা পর্যন্ত তোর কথা ভেবেছি। আদৌ তুই অনিমকে কাছে আসতে দিয়েছিস তো নাকি আবার লজ্জায় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শুয়েছিলি। একবার ভেবেছিলাম তোকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করবো কি চলছে? পরে আবার চিন্তা করলাম এত রাতে ফোন দেয়াটা খুবই বেমানান দেখাবে। তাই আর দেই নি।”
-” ভালো করেছো দাওনি।”
-” হ্যাঁ, এখন মনে হচ্ছে সত্যিই ভালো করেছি ফোন না দিয়ে। আর নয়তো শুধু শুধু তোদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ব্যাঘাত ঘটতো।”
-” আচ্ছা তোমাদের কে বলেছে সারারাত জেগে এসব চিন্তা করতে?”
-” ওমা! কি বলিস? চিন্তা হবে না? গত সন্ধ্যায় তোর বাসায় যেয়ে তোদের দুজনের যা ভাবগতি দেখেছিলাম তাতে তো মনে হচ্ছিলো আগামী এক মাসেও তোদের মাঝে কিছুই হবে না।”
-” তোমার তো কত কিছুই মনে হয়।”
-” তো বল না গতরাতের কথা। অনিম তোকে কি বললো, তোকে কিভাবে কাছে টেনে নিলো।”
-” তোমার সাথে আমার ভাই বিয়ের রাতে যা করেছে অনিমও আমার সাথে তাই ই করেছে। এখন ফোন রাখো। আল্লাহ হাফেজ।”
বৃষ্টিকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই শিমুল ফোন কেটে দিলো। শিমুল ভালো করেই জানে বৃষটি একটা নাছোড়বান্দা। শিমুলের পেট থেকে কথা বের করার আগ পর্যন্ত ফোন কাটবেনা। বৃষ্টিটাও যে কি না!! বাসর রাতের গল্প শোনার আবদার ধরছে। এসব গল্প কারো সাথে করা যায় নাকি! ওর বোন ভাবী তিনজনই পাগল। আর নয়তো আরেকজনের বাসর ঘরে কি চলছে সেসব চিন্তা করে কেউ না ঘুমিয়ে রাত কাটায় নাকি? এসব কথা ভাবতেই শিমুলের প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে। শিমুল খাট থেকে নামতে যাবে এমন সময় সে দেখলো চোখ বন্ধ রেখেই অনিম বিছানা হাতড়ে কিছু একটা খুঁজছে। বিড়বিড় করে শিমুলকে ডাকছে।
-” কি হয়েছে অনিম?”
-” কই তুমি?”
-” চোখ বন্ধ করে রাখলে আমাকে খুঁজে পাবা নাকি? চোখ খুলো।”
-” আমার সামনে আসো। আমি চোখ মেলেই তোমার মুখ দেখতে চাই।”
-” আমি তোমার সামনেই আছি। ”
-” উহুম….. শুধু সামনে না আমার কাছে আসো।”
শিমুল অনিমের পাশে একদম কাছে যেয়ে হাতের উপর মাথা ভর দিয়ে আধাশোয়া অবস্থায় অনিমের কানে কানে বললো,
-” একদম তোমার কাছেই আছি। চোখ খুলো।”
অনিম চোখ মেলে শিমুলকে দেখে মুচকি হাসি হাসলো। শিমুলের গালের উপর পড়ে থাকা চুলগুলো কানের পাশে গুঁজে দিতে দিতে বললো,
-” আমি চাই প্রতি সকালে তোমার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠতে। তুমি আমার ঘুম ভাঙার আগ পর্যন্ত আমার সামনেই বসে থাকবে। কোথ্থাও যাবেনা। যতক্ষন না তোমাকে আমার আশেপাশে না পাবো ততক্ষন চোখ মেলবো না।”
-” আমি যদি কোথাও বেড়াতে যাই তখন? ”
-” যেখানে খুশি সেখানে যাও কিন্তু ঘুম থেকে উঠে আমি তোমার মুখটা সর্বপ্রথম দেখতে চাই। যেখানেই যাওনা কেন সকালে আমি ঘুম থেকে উঠার আগে বাসায় ফেরত চলে আসবা। যদি এই শর্তে রাজি থাকো তো কোথাও বেড়াতে যাবা আর নয়তো বেড়াতে যাওয়া তোমার বন্ধ।”
-” ইশশ, উনি বললেই হলো! এভাবে কি কোথাও বেড়াতে যাওয়া সম্ভব নাকি? এখন তো মনে হচ্ছে তোমার জন্য কোথাও গিয়েও শান্তি পাবো না।”
-” হুম তোমাকে আমি একটুও শান্তি দিবো না। দিনরাত তোমাকে জ্বালাবো। এজন্যই তো তোমাকে এখনই জোর করে বিয়ে করেছি। তুমি যখন তোমার বাবার বাড়ি ছিলে তখন তো তোমাকে শান্তিমতো জ্বালাতে পারিনি। তাই ভাবলাম একদম বিয়ে করে আমার ঘরে নিয়ে আসি। দিনরাত আরাম করে জ্বালাতে পারবো।”
-” তুমি এমন করলে তোমার সাথে আমি থাকবোই না। চলে যাবো তোমাকে ফেলে।”
শিমুল এই কথাটা বলা মাত্রই অনিম শিমুলকে এক টানে তার বুকের উপর নিয়ে অনেকটা সময় নিয়ে ঠোঁটে চুমু খেলো।
-” তোমার কি ধারনা আমাকে রেখে তুমি চলে যেতে চাইলেই তোমাকে আমি যেতে দিবো? ঐসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। আজীবনের জন্য তোমাকে আমার বাঁধনে বেঁধে দিয়েছি। আর কোনো ছোটাছুটির রাস্তা নেই। আমি তোমাকে জ্বালাবো আর সেই যন্ত্রনা তোমাকে সহ্য করতে হবে।।”
-” তুমি আমাকে জোর করে আটকে রাখতে পারবে?”
-” অবশ্যই পারবো। এখন যেভাবে বুকের মাঝে আটকে রেখেছি সেভাবেই আটকে রাখবো।”
-” আমাকে খুব ভালোবাসো তাই না?”
-” নিজের চেয়েও বেশি।।
একটা কথা বলি শিমুল?”
-” হুম বলো।”
-” তুমি আমাকে যতটা গাধা ভাবো ততটা গাধা আমি না। গতরাতে একটু ভাব ধরেছিলাম তোমার মুখ থেকে কথা বের করে আনার জন্য। গতরাতে খেয়াল করলাম রোমান্স যা করার আমিই করছি, যা কিছু বলার আমিই বলছি কিন্তু তোমার তরফ থেকে কোনো response পাচ্ছি না। কেমন জড়োসড়ো হয়ে গিয়েছিলে। তখন ভাবলাম এমন কিছু কথা তোমাকে বলতে হবে যাতে তোমার অনুভূতিগুলো তুমি প্রকাশ করো। ব্যস, ঐ একটা কথা বলার পরই তুমি লাইনে এসে গেছো।”
শিমুল ভ্রু কুঁচকে অনিমের দিকে তাকিয়ে আছে।
-” কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
-” তারমানে তুমি ইচ্ছে করে এসব ঢং দেখাচ্ছিলে যে আমি রাজি না থাকলে তুমি আমার কাছে আসবে না?”
-” আরে মেয়ে আমি তো দিব্যি বুঝতে পারছিলাম তুমি রাজি কিন্তু স্বাভাবিক হতে পারছো না। তোমাকে স্বাভাবিক করার জন্য ঐ ভাবটা নিয়েছিলাম।”
শয়তানের মতো হাসছে অনিম। তা দেখে শিমুলের ভ্রু আরো কুঁচকে যাচ্ছে। কি সুন্দর বোকা বানিয়ে দিলো অনিম তাকে! তার মেজাজ খারাপ হচ্ছে অনিমের উপর।

-” ও মা….. আমার বউটার দেখি নাক লাল হয়ে যাচ্ছে। বউটা কি রাগ হয়েছে আমার উপর?”
-” কথা বলবানা তুমি আমার সাথে।”
শিমুল অনেকটা জোর করে অনিমের হাত ছাড়িয়ে বাথরুমে চলে গেলো। অনিম বাথরুমের বাহির থেকে শিমুলকে ডাকছে,
-” শিমুল……. ও শিমুল…….”
-“………………..”
-” শিমুল গো……..”
-“………………..”
-” বউ তুমি কথা বলো না কেন? তুমি কি বেশি রাগ করেছো?”
কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অনিম চুপচাপ খাটের উপর এসে বসে রইলো। কিছুক্ষন পর আবার ডাকা শুরু করলো অনিম।
-” বউ তুমি কি গোসল করছো?”
-“………………”
-” ও শিমুল……… কথা বলছো না কেন?”
-“……………..।”
-” আচ্ছা শোনো না, গেইট টা একটু খুলবে? চলো না আমরা একসাথে গোসল করি? গেইট টা খুলো না বউ প্লিজ।”
অনিম কিছুক্ষন বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করলো। কিন্তু ভেতর থেকে শিমুল কোনো আওয়াজ করলো না। আধাঘন্টা পর শিমুল চুল মুছতে মুছতে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসলো। অনিম ওর কাছে এসে বললো,
-” দাও তোমার চুলগুলো আমি মুছে দেই।”
অনিম শিমুলের হাত থেকে তোয়ালেটা নিতে চাইলো। কিন্তু শিমুল দিলো না। কোনো কিছু না বলেই শিমুল চুলে তয়লা মুড়িয়ে নিতে নিতে অনিমের পাশ কাটিয়ে রান্নাঘরে চলে গেলো। সে যখন গোসল করছিলো তখন বাসায় বুয়া এসেছে কাজ করতে। নতুন বুয়ার সাথে সে এখনও পরিচিত হয়নি। তাই সে রান্নাঘরে এসেছে বুয়ার সাথে পরিচিত হতে আর তাকে ঘরের কাজ বুঝিয়ে দিতে। গতকাল ওর ভাবী অনেকগুলো আধা সেঁকা রুটি দিয়ে গিয়েছিলো বক্সে করে। বলে গিয়েছে নাস্তা খাওয়ার সময় ফ্রিজ থেকে বের করে ভালোভাবে সেঁকে নিলেই হবে। শিমুল চুলার পাড়ে দাঁড়িয়ে রুটি সেঁকছে আর কাজের মহিলা থালা-বাসন ধুচ্ছে। অনিম বারবার চেষ্টা করছে শিমুলের মুখ থেকে কথা বের করার। কিন্তু শিমুল একটা কথাও বলছেনা অনিমের সাথে। কাজের মহিলা বেশ অবাক হচ্ছে এই ভেবে যে গতকালই তাদের বিয়ে হলো, রাত পোহাতে না পোহাতেই আবার ঝগড়াও বেঁধে গেলো? অনিম অনেকক্ষন চেষ্টা চালানোর পর চুপচাপ যেয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে পড়লো। কাজের মহিলার অনিমের মুখখানা দেখে বেশ মায়া হচ্ছে। সে না পারতে শিমুলকে বলেই ফেললো,
-” ভাবী, একখান কথা কই? কিচ্ছু মনে করবেন?”
-” না বলো।”
-” ভাইজান সেই কখন থেইকা আফনের লগে কথা কইতে চাইতাছে। অথচ আফনে হেরে একটুও পাত্তা দিতাছেন না। বেচারা মনডা খারাপ কইরা চেয়ারে বইসা রইছে। এমন কইরেন না ভাবী। জামাইরা বউয়ের পিছন পিছন ঘুরে না। হেতে ভালা মানুষ এর লাইগা সেই কখন থেইকা আপনার লগে কথা কইতে চাইতাছে। আমার জামাই হইলে তো উল্টা আমারে দুইটা লাথ্থি মারতো। আর রাগ কইরেন না ভাবী। ভাইজানরে মাফ কইরা দেন।”
কাজের মহিলার কথা শুনে শিমুল হাসলো। তাকে বললো,
-” ধুর বোকা….. আমি অনিমের সাথে একটুও রাগ করিনি। গতকাল রাতে ও আমার সাথে ভাব নিয়েছিলো আমাকে বোকা বানিয়েছিলো। তাই সেটার প্রতিশোধ নিচ্ছি। ও আমাকে বোকা বানিয়েছিলো এখন আমি ওকে বোকা বানাচ্ছি…….. শোধ-ভাত।”
-” ওহ্, আফনে ভাইজানের লগে ফাইযলামি করতাছেন। আমি তো চমকাইয়া গেছিলাম বিয়া হইতে না হইতেই দুইজনে ঝগড়া শুরু কইরা দিছেন।”
-” আরে না তেমন কিছু না। আচ্ছা শোনো তোমার জন্য চুলার নিচে রুটি রেখে যাচ্ছি। এগুলো ধোয়া হলে খেয়েনিও। এরপর ঘরটা মুছো।”
-” জ্বি ভাবী।”
শিমুল টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে। অনিম চেয়ার ছেড়ে উঠে টানতে টানতে শিমুলকে ড্রইংরুমে এনে বসালো। শিমুলের হাত ধরে ওর সামনে হাঁটুগেড়ে বসলো অনিম।
-” -” কথা বলছো না কেনো আমার সাথে তুমি? আমার সামান্য একটা কথার জন্য তুমি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিবা?”
অনিমের গলার স্বর কাঁপছে। তার চোখে পানি ছলছল করতে দেখছে শিমুল। যেকোন মুহূর্তে অনিমের গাল বেয়ে পানিগুলো ঝড়ে পড়বে। ওকে এই অবস্থায় দেখে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে গেলো শিমুল। অনিমের হাত চেপে ধরে বললো,
-” এই তোমার চোখে পানি কেন?”
শিমুল কথাটা বলতে না বলতেই শিমুলের হাতের উপর মুখ গুঁজে অনিম কাঁদতে শুরু করলো।
-” বুঝো না আমার কষ্ট হয় তুমি আমার সাথে এমন করলে? সেই কখন থেকে তোমার পিছন পিছন ঘুরছি আমার দিকে তুমি একবারের জন্যও তাকাওনি। তুমি খুব শক্ত মনের মানুষ। তোমার মনে একদম দয়া-মায়া নেই।”
শিমুলের খুব মায়া হচ্ছে অনিমের জন্য। কান্না পাচ্ছে ওর। কি হতে কি হয়ে গেলো? এমন কেনো অনিম? শিমুলের সামান্য ঘটনায় সে এত বেশি সিরিয়াস কেনো হয়ে যায়? তার সাথে কি একটু মজা করারও উপায় নেই শিমুলের? এসব ভেবে কোনো কূল-কিনারা পায়না শিমুল। অনিমকে সে টেনে তুলে তার পাশে বসায়। ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,
-” তুমি এমন কেন করো অনিম? আমি তোমার সাথে দুষ্টামি করছিলাম আর তুমি কিনা বিষয়টাকে এত সিরিয়াসলি নিয়ে নিলে? তুমি আমার সাথে গতরাতে ভাব দেখিয়েছিলে তাই ভাবলাম আমিও একটু নেই। আমি কি তোমার সাথে একটু মজাও করতে পারবো না?”
-” এটা কেমন দুষ্টামি তোমার? কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে কি ধরনের দুষ্টামি করতে চাচ্ছিলে তুমি?”
-” আচ্ছা স্যরি। কানে ধরছি আর জীবনেও এমন দুষ্টামি করবো না। এখন কান্না থামাও।”
-” প্লিজ আমার সাথে এমন দুষ্টামি কখনো করোনা। তুমি আমার সাথে কথা না বললে সহ্য হয়না আমার। তুমি আমাকে কেন বুঝো না শিমুল? ”
-” আচ্ছা তুমি যে এত অস্থির হয়ে যাও আমার সব ব্যাপারে, আমি যদি মারা যাই তখন তুমি কি করবা? আমাকে তখন হাজার কথা জিজ্ঞেস করলেও তো উত্তর দিতে পারবো না।”
এবার অনিম আরো করুন দৃষ্টিতে শিমুলের দিকে তাকিয়ে আছে। তার কান্নার গতি আরো বেড়ে যাচ্ছে।
-” তুমি সত্যিই আমাকে বুঝোনা। একটুও বুঝো না। তুমি অনেক খারাপ। আমাকে আজেবাজে কথা বলে বলে কষ্ট দাও। তুমি আমাকে কথায় কথায় কষ্ট দাও। ”
-” আরে কি অদ্ভুদ! তুমি এমন করছো কেন? আমি কি সত্যিই মরে গেছি অনিম যে তুমি এভাবে কাঁদছো? তোমাকে কি আমি একটা সামান্য কথাও বলতে পারবো না? এত সামান্য বিষয়ে তুমি এভাবে রিয়েক্ট করবা?”
-” হ্যাঁ তোমার কাছে তো সামান্যই মনে হবে। তোমার তো সবাই আছে এজন্য এসব কথা তোমার কাছে সামান্য মনে হয়। আমার তো কেউই নেই। সবাই মরে গেছে। তুমি ছাড়া আর কে আছে আমার শিমুল? সেই তুমি যদি মরে যাওয়ার কথা বলো তখন আমার ভেতরটা কেমন লাগে তুমি বুঝতে পারবে না। তুমি একটা নির্দয় মেয়ে মানুষ।”

~চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here