ধূসর প্রেমের অনুভূতি পর্ব -১১

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_১১
.
.
.
“কেমন আছো আরু বেবি?” রিভালবার দিয়ে ফারহার গলায় স্লাইট করতে করতে প্রশ্ন করলো কিং ফায়ার ৷

ফারহার শীতল চাহনিতে কিং ফায়ারের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো৷

” এদেশে কেন এসেছো আগুন?” ফারহার কথা শুনে কিং ফায়ার বুকে হাত দিয়ে বলে,

-” হায় তোমার মুখে যখন আমার আগুন নামটা শুনি তখন যে আমার বুকের ভেতরটায় কি হয় সেটা তোমাকে কি বলবো আরুবেবি?”

” আমি তোমাকে একটা কথা ক্লিয়ার করে বলতে চাই আগুন ৷ তুমি এদেশে এসে একদম ঠিক করোনি৷ আর আমাকে এখানে ডেকে কাজটা তুমি একদমি ভালো করোনি৷ পুলিশের কাছে তোমার খবর এতোক্ষণে পৌছে গেছে ৷”

” যাক না ৷ তবে এই কিং ফায়ারকে ধরা এদেশের পুলিশদের ক্ষমতার বাইরে, আজ পর্যন্ত কোন দেশের পুলিশ এতো চেষ্টা করেও যখন আমার নাম টা পর্যন্ত জানতে পারলো না তখন এদেশের পুলিশ পারবে এটা কেন তোমার মনে হলো আরু বেবি?”

ফারহা আনমনে বিড় বিড় করে বলে উঠলো ,” কারণ টা মেঘ৷ মেঘ যদি একবার তোকে ধরবে বলে ঠিক করে তাহলে তোকে ধরেই ছাড়বে আগুন৷ আর সেখানে আমার ভয় ৷ তোকে ধরতে হলে স্টেপ বাই স্টেপ মেঘকে আগাতে হবে ৷ আর সেই স্টেপ হতে হবে আমাকে আর ফারিহা কে, মেঘ সবটা জেনে যাবে সবটা ৷”

ফারহাকে বিড়বিড় করতে দেখে আগুন ফারহার কোমর চেপে নিজের সাথে মিশিয়ে বলল,” সুইটহার্ট এতো কি ভাবছো হুম? তুমি তো জানো তোমার চিন্তিত মুখটা আমার বড্ড অপছন্দের, উমম আচ্ছা বাদ দেও ৷ এখন এটা বলো আমার অর্ডার দেওয়া সত্যেও তুমি এয়ারপোর্টে কেন যাও নি?”

ফারহা খুব কৌশলে কিং ফায়ারের বাধণ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলে,” হুটহাট করে আমাকে স্পর্শ করার সাহস দ্বিতীয় বার আর দেখাবে না আগুন ৷ যদি দেখাও তাহলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ আর হবে না৷ আর আমি এয়ারপোর্ট যাইনি কারণ আমার যেতে ইচ্ছে করে নি৷ ”

ফারহার এমন এটিটিউড দেখে কিং ফায়ারের চোখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে ৷ রাগে চোখ মুখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে ৷ হুট করে কিং ফায়ার তার হাতের রিভলবারটা দিয়ে ফ্লাওয়ার ভাসে শুট করে দিলো৷ রাগে কিং ফায়ারের পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে ৷ কিং ফায়ার চেয়েছে আর কোন মেয়ে তার চাওয়া অপূর্ণ রেখেছে তা কখনো হয়নি৷ কিং ফায়ার অনেকবার ফারিহাকে ফারহা ভেবে তার সাথে ইন্টিমেন্ট হয়েছে সেটা যখন জানতে পারে কিং ফায়ার তখন ফারহাকে কাছে পাওয়ার জন্য আরো উতলা হয়ে ওঠে কিন্তু ফারহার জেদ রাগ আর হিংস্রতার জন্য কিং ফায়ার নিজেকে সংযত রাখে৷ তবে এবার বাংলাদেশে আসার কারণ দুটো৷ এক. দেশে ধামাকা ঘটানো৷ আর দুই. ফারহাকে নিজের করে নেওয়া বাই হুক ওর বাই ক্রুক৷

” আগুন অযথা বুলেট নষ্ট না করে নিজেকে সংযত করো নাহলে এবার আমি তোমার বিপক্ষে যেতে দ্বিতীয়বার ভাববো না৷ আর এখন আমায় স্মরণ করার কারণ কি সেটা বলো?”

” নেক্সট প্রজেক্ট টা আমি তোমাকে দিতে চাই আরুবেবি৷”

” ওকে, কিন্তু পুরো ডিটেইলস আমাকে আগে জানতে হবে ৷”

” আমি মারুকে বলে দিচ্ছি ৷ মারু তোমাকে সবটা বুঝিয়ে দিবে৷”

” ওকে , এখন আমাকে ফিরতে হবে ৷ আর একটা কথা আগুন, নেক্সট টাইম থেকে এভাবে আমাকে আর ডেকে পাঠাবে না৷ ”

” ওকে আরুবেবি৷”

ফারহা কিং ফায়ারের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হোটেল রুম থেকে বেড়িয়ে যায় ৷

২৫.

চারিদিকের অন্ধকারের মাঝে সূর্যের আলোর কিরণ ছটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ফারহা সূর্যের নরম আলো গায়ে মেখে খান মন্জিলে লুকিয়ে প্রবেশ করতে দেখে ফারিহা তার রুমে দিকে যাচ্ছে৷ মেঘ যেহেতু তার রুমে তাই ফারহা ফারিহাকে আটকানোর জন্য দ্রুত পায়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে ফারিহাকে চাপা গলায় ডাক দিতে ফারিহা পেছনে ফিরে তাকিয়ে ফারহাকে দেখে চোখ মুখ কুচকে বলে,

-” তুই , তুই এখানে কেন? আর কোথায় গিয়েছিলি?”

” কিং ফায়ার ডেকেছিলো৷ কিন্তু তুই কোথায় যাচ্ছিস?”

” তোর রুমে , কিং ফায়ার আমাকে মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছে পুরো প্লান ডিটেইলস তোকে জানিয়ে দিতে কারণ এবার তুই এই প্লানটা এক্সজিকিউট তুই করবি৷”

” ওকে তোর রুমে চল ৷”

ফারহা ফারিহার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো৷ অন্যদিকে সূর্যের তীর্যক রশ্মি চোখে পড়তে , চোখ মুখ কুচকে ওঠে মেঘের৷ মেঘ চোখের উপর হাত রেখে পিট পিট করে তাকিয়ে নিজেকে ফারহার রুমে দেখতে পেয়ে গতকাল রাতের ঘটনা মেঘের সবটা মনে পড়ে যায়৷ পাশ ফিরে তাকিয়ে ফারহাকে না দেখতে পেয়ে মেঘ উঠে বসতে দেখে তার পুরো শরীর ঘেমে গেছে৷ মেঘ বুঝতে পারলো তার জ্বরটা আর নেই৷ মেঘ উঠে পুরো রুম চেক করে কোথাও ফারহাকে খুজে না পেয়ে মন খারাপ হয়ে যায়৷ মেঘ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ছয়টা বেজে গেছে৷ মেঘ দেরি না করে তার প্যান্ট আর শার্ট টা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷

ফারহা ম্যাপটা নিয়ে রুমে এসে মেঘকে কোথায় খুজে না পেয়ে বুঝতে পারে মেঘ ফিরে গেছে৷ মেঘ যে তাকে নাবলে চলে গেল তার জন্য ফারহার মনটা কিঞ্চিৎ খারাপ হয়ে গেল৷ তবুও সেটাকে বাড়তে না দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো৷ পুরো রাত জেগে ছিলো এখন প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে ফারহার ওদিকে ফারিহা সারা রাত না ঘুমিয়েও দিব্বি এক্সারসাইজ করছে৷

ফারহা সেসব না করে চোখ বন্ধ করে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল৷

_________

বেলা দশটার দিকে মেঘ হেডকোয়াটার্সে এসে উপস্থিত হয়৷ মিস্টার তারেক শেখ মেঘকে দেখে বলল ,” মেঘ তোমাকে একটা আর্জেন্টলি এখানে কেন ডেকেছি জানো?”

” না স্যার তবে আন্দাজ করতে পারছি ৷ আপনি বলুন৷”

” মেঘ আগামিকাল শহরে বোম ব্লাস্টের প্লানিং করেছে টেরোরিস্টরা ৷ কিন্তু কোথায় কোথায় এই ব্লাস্ট গুলো হবে সেটা জানা যায়নি৷ তবে আশাকরি খুব শীগ্রই জানা যাবে৷ ”

” কিন্তু কি করে আপনি সেসব ইনফরমেশন কি করে পাবেন স্যার?”

“পেয়ে যাবো আর কে জানাবে সেটাও আমি তোমাকে বলবো তবে এখন না ৷ তুমি তোমার অল ফোর্স নিয়ে প্রস্তুত হও যে কোন সময় তোমাদের অপারেশনে নামতে হবে৷ ”

” ওকে স্যার তাই হবে ৷”

” ওকে এখন তুমি যেতে পারো৷”

” ওকে স্যার৷”

মেঘ কেভিন থেকে বের কিছু একটা ভাবতে লাগলো ৷ আসলাম জ্যাক দুজনে মেঘের সামনে উপস্থিত হতে মেঘ জ্যাককে দেখে রেগে যায়৷

” জ্যাক তোমাকে না বলেছি ফারহার উপর নজর রাখতে?”

” ইয়েস স্যার , আসলে আমি আপনার সাথে দেখা করার জন্য এসেছি৷ স্যার গতকাল রাতে ম্যাম খান মন্জিল থেকে বেড়িয়ে ছিলো৷ এবং ভোর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফিরে আসে৷ ”

মেঘ চমকালো জ্যাকের কথা শুনে ৷ ফারহা গতকাল রাতে বেড়িয়ে ছিলো? আর তাই মেঘ ঘুম থেকে উঠে ফারহাকে কোথাও খুজে পাই নি!

” কোথায় গিয়েছিলো ফারহা?”

” স্যার আসলে আমার লোকেরা ম্যামকে যখন বাড়ি থেকে বের হতে দেখেছিলো তখন ম্যামের পিছু নিতে গিয়ে হঠাৎ ম্যাম হাড়িয়ে যায়৷ ওরা র ম্যামকে খুজে পায় না৷”

” ইডিয়েট ৷ জ্যাক এখন থেকে তুমি নিজে ফারহার পিছু নিবে গেট দ্যাট?”

” ইয়েস স্যার৷”

____________

ফারহা আর ফারিহার পুরো প্লান করা শেষ এখন বোম গুলো জায়গা মতো পৌছে দিতে হবে৷ এই কাজ গুলো এখন তাদের দু’বোনকেই করতে হবে৷ অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া মানে নিজেদের বিপদ ডেকে আনা৷ ফারহা ফারিহাকে কি করতে হবে সেটা বুঝিয়ে দিয়ে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷

খান মন্জিলের মেইন গেটের সামনে লুকিয়ে আছে জ্যাক ৷ মেঘের কথা মতো আজ সে নিজে ফারহার পিছু নিবে, সবটা তাকে জানতে হবে ৷ নাহলে মেঘের সামনে জ্যাক মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না৷

জ্যাক সেসব কথা ভাবতে ভাবতে গেটের দিকে চোখ পড়তে দেখে ফারহা ফারিহা দুজনে বের হচ্ছে ৷ আজ ও দুজনে সেম রঙের ড্রেস পড়ে আছে৷ জ্যাক আবারও কনফিউশনে পড়ে গেল ৷ কে ফারহা আর কে ফারিহা?

জ্যাকের মাথায় হুট করে একটা বুদ্ধি এলো৷ জ্যাক ফোন বের করে তার জন লোককে তৈরি থাকতে বললো ৷ প্রথম যে জন বের হবে তারা দুজন তাকে ফলো করবে৷ আর শেষে যে বের হবে জ্যাক তাকে ফলো করবে৷

ফারিহা ফারহার আগে বেড়িয়ে পড়ে৷ আর তার পর পর ফারহা বেড়িয়ে পড়ে৷

ফারহা ফারিহা বেড়িয়ে যেতে কিং ফায়ারের কাছে খবর পৌছে যায়৷ যে তাদের প্লান ঠিক মতো এগিয়ে যাচ্ছে৷

২৬.

এদিকে মেঘ হেড কমিশনার কে বলে পুরো শহরে সিকিউরিটি সিস্টেম আরো কড়া করে দিলো৷ জনবহুল জায়গায় পুলিশ টহল দিচ্ছে৷ এ ছাড়া শপিংমল মিউজিয়াম স্মৃতিসৌধ পার্ক সব জায়গায় পুলিশ পৌছে গেছে৷ সন্ধেহজনক কিছু চোখে পড়লে পুলিশ তৎক্ষনাৎ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহন করছে৷

অন্যদিকে মিস্টার আমান ফুলির পোস্টমোর্টেম রিপোর্ট দেখে নিশ্চিন্ত হন ৷ ফুলির শরীরে মারাত্মক বিশ পাওয়া গেছে৷ এবং ফুলি যে তা নিজে সুইসাইড করার জন্য খেয়েছে তা প্রমান হয়েছে পোস্টমোর্টেম এর রিপোর্ট এর জন্য , ফুলির শরীরে কোন আঘাত বা জোর জবরদস্তির কোন চিন্হ পাওয়া যায় নি৷ তবে ফুলির ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে বিশের চিন্হ পাওয়া গেছে৷

কোর্টে খুব সহজে পোস্টমোর্টেম এর রিপোর্ট সাবমিট করে অর্নিল নিজেকে নির্দোশ প্রমান করে মুক্ত হয়ে বেড়িয়ে আসে৷

খুনের বদনাম থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরে অর্নিল আজ স্বস্থির শ্বাস ফেলে আমান খন্দকারকে বলে,” ড্যাড সব তো ঠিক হয়ে গেল ৷ এবার আমি সন্মানের সাথে ফারিহাকে বিয়ে করতে চাই৷”

” তাই হবে মাই সান৷ তবে তোমার জন্য আর একটা চমক অপেক্ষা করছে ৷ সেটা কি তুমি জানো অর্নিল?”

” কিসের চমক?”

” খুব শীগ্রই জানতে পারবে কিসের চমক৷”

আমান খন্দকার অর্নিলকে নিয়ে কোর্ট থেকে বেড়িয়ে পড়লো৷

এদিকে ফারিহা অতি সাবধানে নিজেকে আড়াল করে কাজ সমাপ্ত করে ৷ বরাবরের মতো এবার ও জ্যাকের লোকদের ফাঁকি দিয়ে ফারহা ফারিহা দুজনে নিজেদের কাজ সমাপ্ত করে দুইবোন বাড়িতে ফিরে এসে চমকে যায় ফারহা ফারিহা দুজনে, অর্নিল ভুত দেখার মতো করে তাকিয়ে আছে ফারহা ফারিহার দিকে, মিস্টার আমান মুচকি হেসে অর্নিলকে বলে,” চমকটা কেমন লাগলো অর্নিল?”

” ড্যাড তার মানে এরা দু’বোন জমজ?”

” হুম৷”

অর্নিল ফারহা ফারিহার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো কে ফারিহা? ফায়েজ খান তার দুই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুটা ভরকে গেলেন৷ এক মেয়ের মুখে কোন রিয়েকশন নেই কিন্তু অন্য মেয়ের চোখ মুখ দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে ৷

ফারহার বাবা আমতা আমতা করতে করতে অর্নিলের বাবা মায়ের উদ্দেশ্য বলতে লাগলো,” মিস্টার আমান এই হলো আমার বড় মেয়ে ফারহা(ফারিহাকে দেখিয়ে বলল)
আর এই হলো আমার ছোট মেয়ে ফারিহা(ফারহা) ৷

ফারহার বাবা কথা শেষ করতে ফারহা বলে উঠলো ,” ড্যাড আবার ভুল করলে? আমি ফারহা , আর ও ফারিহা৷ ”

অর্নিল ফারিহার দিকে একবার তাকায় তো একবার ফারহার দিকে তাকায়৷ অর্নিল ফারহার দিকে তাকিয়ে শিওর হয় এটা তার ফারিহা নয়৷ কারণ তাকে দেখার পর ফারিহা শান্ত থাকার মেয়ে না ৷ উল্টো দিকে সত্যি ফারিহা প্রচন্ড রেগে আছে তবে অর্নিলের উপর নয় ফারহার উপর৷

অর্নিলের মা উঠে ফারিহার হাতে একজোড়া খানদানি বালা পড়িয়ে দিয়ে বলল,” আজ থেকে তুমি হলে খন্দকার বংশের বড় বউমা৷”

ফারিহা রাগের চোটে কি করবে দিশা না পেয়ে রেগে হন হন করে উপরে চলে যায়৷ এটা দেখে ফারহা বলে ওঠে ,” ডোন্ট মাইন্ড আন্টি ৷ হঠাৎ এমন কিছু ফারিহা এক্সপেক্ট করেনি তাই লজ্জা পেয়েছে৷”

” বুঝেছি মামুনি৷ তোমারা দুই বোনই ভিষণ লক্ষী ৷ আমার যদি আর একটা ছেলে থাকতো তাহলে তোমাকে আমার ছেলের বউ করে নিতাম৷” অর্নিলের মায়ের কথা শেষ হতে আইরিন বলে ওঠে ,” ভাবি ছেলে থাকলেও হতো না কারণ ফারহার অলরেডি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে৷ ফারহার বাবার বন্ধুর ছেলে মেঘ চৌধুরী ৷ ”

” ওহ আচ্ছা ৷ ”

” আন্টি আমি একটু উপর থেকে আসছি৷”

” আচ্ছা মামুনি৷”

ফারহা ভদ্র মেয়ের মতো উপরে চলে গেল৷ ফারহা ফারিহার রুমে ঢুকতে একটা ভারি অর্নামেন্টস বক্স ছুড়ে মারে ফারহার দিকে, ফারহা দ্রুত বক্সটা ধরে ফেলে ফারিহার গালে থাপ্পড় মেরে বসে ফারহা৷
.
.
.
#চলবে ……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here