জীবন দিয়ে দৌড়াচ্ছি, কোনো ভাবে এখান থেকে পালাতে পারলেই হলো। দৌড়াতে দৌড়াতে কিসের সাথে জানি ধাক্কা খেলাম।সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলাম তাকে দেখে আমার কলিজার পানি শুকিয়ে গেছে,,,মনে মনে বললাম ভাগ্যটা আজো আমার সঙ্গ দিলো না।সামনে থাকা ব্যক্তিটি আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো,আর আমি আমার হাত ছাড়ানোর জন্য বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আমি নিধি। ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্রী। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।কিন্তু খুব ছোট থাকতে মাকে হারিয়েছি আর কয়েক বছর আগে বাবাকেও হারালাম,, নিজের আপন বলতে আর কেউ রইলো না। মামার বাসায় থেকে পড়াশুনা টা চালাই, যদিও উঠতে ,বসতে ,খেতে মামী কথা শুনাতো তাও ভালোভাবেই দিন গুলো পার করতাম। কিন্তু কথায় আছে না সুখ কপালে বেশি দিন সয় না।আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
যে ব্যাক্তিটি আমাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে উনি হচ্ছেন নিহান চৌধুরী। দেশের টপ বিজনেসম্যানদের মধ্যে উনি একজন। ওনার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পালানোর চেষ্টা করেছিলাম প্রায় অনেকবার কিন্তু বার বার ধরা পরে যাই। প্রতিবারের মতো আজ আবারো ধরা পরে গেলাম।জানিনা কি আছে আমার কপালে আজ।।।
নিধি: ছাড়ুন আমাকে। আমার হাতে লাগছে আহ্, ছাড়ুন ।।
নিহান: তোমার সাহস হয় কিভাবে আবার পালানোর চেষ্টা করার। বারবার ওয়ার্নিং করার পরেও তুমি আবার পালানোর চেষ্টা করেছো এর জন্য তো তোমাকে শাস্তি পেতেই হবে জান।
এই বলে উনি আমাকে বিছানায় উপর ফেলেদিলেন, তারপর ওনার হাত দিয়ে আমার দুই হাত শক্ত করে চেপে ধরলেন। আমি ব্যাথায় আহ্ শব্দ টা করার সাথে সাথেই উনি আমার ঠোঁট ওনার ঠোঁট দ্বারা আবদ্ধ করে নিলেন। দীর্ঘক্ষণ আমার ঠোঁটের উপর অত্যাচার চালানোর পর আমাকে ছেড়ে দিলেন। আমার ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে।চোখের পানি যেনো আজ আর বাঁধ মানছে না। শব্দ করেই কান্না করতে লাগলাম।তখন উনি আমার কানের কাছে এসে বলতে লাগলেন –
নিহান: নেক্সট টাইম পালানোর চেষ্টা করলে এর থেকেও বাজে কিছু ঘটবে যেটা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না।
কথাটা বলেই হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। আর আমি বিছানার এক কোনায় বসে চোখের পানি ফেলছি। কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতেই পারবো না।
নিহান: উঠো, খাবার নিয়ে এসেছি। খাবার টা খেয়ে নেও।আর ঘুমাতে হবে না।
আমি উঠে বসলাম। উনি আমার মুখের সামনে খাবার তুলে ধরলেন।
নিধি: আমি খাবো না।
নিহান: খেতে বলছি খাও।আমার রাগ তুলো না।
নিধি: না খাবো না আমি।
নিহান: তোমাকে কিভাবে খাওয়াতে হবে সেটা আমার ভালো করে জানা আছে
এই বলে উনি আমি দু’গাল চেপে ধরে খাবার টা মুখে ঢুকিয়ে দিলেন। তখন ঠোঁট কেটে যাওয়ার ফলে খাবার টা ঠোঁটে লাগাতে ঠোঁট ও অনেক জ্বালা করছিল তাই আমি আহ্ বলে ঠোঁটে হাত দিয়ে ধরি,,,
নিহান: কি হয়েছে? ঠোঁট জ্বলছে বুঝি?
নিধি:………….
নিহান: কি হলো বলো
নিধি: হুম
উনি আমার ঠোঁটে হাত বুলাতে বুলাতে বললেন
নিহান: নেক্সট টাইম এমন ভুল করার আগে আজকের ঘটনা তোমার মনে পরে যাবে।
নিধি: কেনো আমাকে এতো কষ্ট দিচ্ছেন? কি ক্ষতি করেছি আমি আপনার? কেনো এইভাবে আমাকে বন্ধি করে রেখেছেন জবাব দিন,
নিহান: তোমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই। আর তোমার সাহস কি করে হয় আমার সাথে উচুঁ গলায় কথা বলার ,,,চিল্লিয়ে
ওনার চিৎকারে আমার আমার অন্তর অাত্মা কেপে উঠলো।আমি ভয়ে চুপসে গেলাম।আর একটা কথাও মুখ দিয়ে বের করতে পারলাম না ভয়ে। চুপ করে রইলাম।
– আমার সাথে উচুঁ গলায় আর কখনো যেনো কথা বলতে না দেখি মাইন্ড ইট
– আমি মাথা নাড়িয়ে হুম বললাম।
উনি আমাকে খাইয়ে দিয়ে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর উনি আবার এসে আমাকে বললেন
-তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেও।
– কেনো কোথায় যাবো?
– সেটা গেলেই দেখতে পারবে । কথা না বাড়িয়ে যেটা বলছি সেটা করো।এক কথা দুইবার বলা আমার পছন্দ না।
আমি আর কিছু না বলে রেডি হতে চলে গেলাম। কালো একটা গ্রাউন পরলাম। চুল গুলো বেনি করলাম। কোনো সাজগোজ করিনি। এমনি নিচে নামলাম।উনি আমাকে দেখে বললেন –
চলবে
#না চাইলেও তুই আমার(Villan Love’s)
#বৃষ্টি আক্তার ( Dr’s Queen)
#পার্ট :১
।