নীলাম্বুর গহীনে পর্ব ১৪

#নীলাম্বুর_গহীনে
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ১৪
( কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।)
.
.
বিকেল ৫ টা। সমুদ্র পাড়ে গোল করে বসেছি সবাই। উদ্দেশ্য রুমাল চোর খেলব। চোর বানানো হয়েছে তামীমকে। যদিও ও প্রথমে চোর হতে চেয়েছিল না। আমরা একপ্রকার জোর করেই ওকে চোর বানিয়েছি। তো সবাই মাথা নিচু হয়ে গোল করে বসে মিটমিটিয়ে হাসছি। কখন আবার পিঠে কিল জুটে সে ভয়ে! সমুদ্র আমার পাশেই বসেছে। সমুদ্র আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর আমি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে। এরই মাঝে একটা চেঁচামেচির শব্দ ভেসে এলো। সামনে তাকিয়ে দেখি তামীমের বদলে ওসমান গুমোট মুখ করে দাঁড়িয়ে। আর সবাই হাসছে। অর্থাৎ আমাদের চাওয়া চাওয়ির মাঝে একতরফা খেলা অলরেডি শেষ। আমরা দু’জনই হা হয়ে গেলাম। পাশ থেকে সারা উচ্চস্বরে বলল,
” এভাবেই তাকিয়ে থাকিস। জনম পার হয়ে যাবে। মাগার খেলা হবে বা। ”
সারার কথা শেষ হতেই চারিদিকে যেন হাসির রোল পড়ে গেল। আমি আর সমুদ্র দু’জনই লজ্জা পেয়ে গেলাম। সমুদ্র লাজুক ভরা চোখমুখ এদিক ওদিক করে বলল,
” এই খেলা শুরু কর তো।”
তামীম চোখ মেরে বলল,
” হ্যাঁ হ্যাঁ , ওসমান ভাই তুই খেলা শুরু কর। নয়তো এখানে উপস্থিত থাকা দু’জন কপোত কপোতী লজ্জায় মরেই যাবে।”
তামীমের কথা শুনে আরও একবার যেন হাসির রোল পড়ল। সমুদ্র এবার ক্ষানিকটা অস্বস্তি বোধ করলে ওসমান ব্যাপারটা সামাল দিতে বলল,
” এই যে আমি কিন্তু শুরু করলাম। সবাই মাথা নিচু কর। ”
আমি বড় করে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে মাথা নিচু করলাম। ওসমান সবার পিছু দিয়ে গোল গোল ঘুরছে। একপর্যায়ে ঘুরতে ঘুরতে আফরোজার পেছনে রুমাল ফেলে দৌড় দিল। আফরোজা সেই রুমাল উঠিয়ে ওসমানের পিছু ছুটতেই লাগল। কিন্তু তার আগেই ওসমান এসে আফরোজার জায়গা দখল করে ফেলে। আফরোজা মুচকি হেসে বলে,
” ধ্যাৎ! ”
ওসমান বলে উঠে,
” নে নে, দৌড়া। ”
” সে তো দৌড়াবোই। তোকে বলতে হবে না। ”
বলেই মুখ ভেংচি কেটে গোল করে ঘুরতে লাগল আফরোজা। ঘুরার এক ফাঁকে আফরোজা হাতের রুমাল টি সমুদ্রের পেছনে ফেলে জোরে কিল দিয়ে দৌড় দেয়। সমুদ্র বসা থেকে উঠে দৌড় দিতে দিতে আফরোজা ঘুরে এসে বসে পড়ল। এবার পালা সমুদ্রের। সমুদ্র চুপচাপ পা টিপে টিপে ঘুরছে। এদিকে আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছিল সমুদ্রকে ওই পা টিপে টিপে হাঁটতে দেখে। কেন যেন মনে হচ্ছিল সমুদ্র আমার পেছনেই রুমাল টা ফেলবে। যে ভাবা সে কাজ! চোখের পলক ফেলতেই পিঠের উপর সমুদ্রের আলতো ছোঁয়া অনুভূত হলো। আমি বসা অবস্থায় পিটপিটিয়ে তাকিয়ে রইলাম সমুদ্রের দিকে। আমি যে গেইমে আছি কিংবা আমাকে যে ছুটতে হবে সেসব কথা যেন কিছু সময়ের জন্য আমি সমুদ্রের ছোঁয়ায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আর পাড়ি জমিয়েছিলাম অনুভূতি নামক ভুবনে। তবে সেই ভুবনে নিজের অস্তিত্ব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না। পাশ থেকে সারা’র ধাক্কাতে আবারও চলে এলাম কোলাহলের ভুবনে। সবাই চেঁচিয়ে বলছে, ‘দৌড় দেয়… সমুদ্রকে ধর। ‘
আমি কোনোমতে বসা থেকে উঠে হাতে রুমাল নিয়ে সমুদ্রের পেছন ছুটতেই সমুদ্র সোজা দৌড়াতে লাগল। একেবারে সমুদ্রের কিনার ঘেঁষে। আমি তো অবাক! সবাই গোল ঘুরে জায়গা দখল করতে বসে পড়ে। আর এদিকে সমুদ্র উল্টো দিকে যাচ্ছে! গোল গোল ঘুরা তো দূরের কথা… সবার থেকে প্রায় অনেকটা দূরে চলে গিয়েছে সে। আমিও ছুটতে লাগলাম। সমুদ্রের কিছুটা কাছে যেতেই সমুদ্র থমকে দাঁড়ালো। আমি হাঁপাতে হাঁপাতে বললাম,
” এতদূর আসলি যে? খেলবি না?”
সমুদ্র ধপাস করে ভেজা বালুর মাঝে বসে বলল,
” উহু….খেলব না। আর না খেলবি তুই। ”
” মানে?”
” আমার প্রথম থেকেই খেলতে ইচ্ছে করছিল না। ওসমান কে কয়েকবার না-ও করেছিলাম কিন্তু শোনেনি। তাই বাধ্য হয়ে খেলতে বসে অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার সুযোগ আসবে আর কখন তোকে নিয়ে চলে আসব। ”
” এতক্ষণ বসে বসে এই বুদ্ধি তাহলে এটেঁছিলেন?”
” আজ্ঞে হ্যাঁ মেডাম।”
হঠাৎই দূর থেকে ওসমানের কন্ঠ ভেসে এলো। আমরা দু’জনই ঘাড় ফিরিয়ে দেখলাম সবাই আমাদের ডাকছে। কিন্তু সমুদ্র যেতে একেবারেই নারাজ। তাই একহাত উঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলল,
” আমরা আসব না, তোরা খেলা শুরু কর।”
ওসমান যেন কী বিড়বিড় করে বলে চলে গেল। অবশ্য স্বাভাবিক স্বরে বললেও এতদূর অবধি তার কথা এসে পৌঁছাতো না, যদি না জোরে বলত।
আমি ওসমানের দিক থেকে নজর ফিরিয়ে কূল বিহীন সাগরের উঁচু নিচু ঢেউয়ের স্রোতে মন পাততেই সমুদ্র বলে উঠল,
” পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্রের সাথে ঢেউয়ের জ্ঞানহীন মাতলামো কিন্তু খুব উপভোগ্য… তাই না?”
আমি কিছুটা অবাক করা চাহনি ছুঁড়ে বললাম,
” সমুদ্র, ঢেউ, মাতলামো মানে কী? এদের মাঝের সম্পর্ক তো আমি কিছুই বুঝলাম না।”
সমুদ্র আমার দিকে একপলক তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল। সমুদ্রের গভীর ঢেউয়ের পানে স্থির দৃষ্টি রেখে বলল,
” সাগরের যৌবন কোনটা জানিস?”
সমুদ্রের প্রশ্নের উত্তর আমি দিলাম না। কেবল শান্ত চোখে তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে। সমুদ্র নিজেই আবার হাত দিয়ে ইশারা করে সাগরের মাঝ বরাবর দেখিয়ে বলল,
” ওই যে সহস্র ঢেউ মালা দেখছিস না? আঁকা-বাকা, উঁচু-নিচু ঢেউ মালা…..সেগুলোই হলো সাগরের যৌবন। কথায় আছে, যৌবন কালে কালো কুৎসিত কাক কেও সুন্দর দেখায়। মায়াবী দেখায়। আর সমুদ্রের যৌবন তো যুগের পর যুগ ধরে চলমান। তাই একেও কোনপ্রকার তুলনা করা ছাড়াই সুন্দরের রাজা নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে এই ঢেউ গুলো যদি সাগরের বুকে জন্ম না নিত,তাহলে কিন্তু এই সাগরের এরকম অমায়িক সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ হতো না। আর না মানুষ এভাবে প্রতিনিয়ত সাগর পাড়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ত। কেননা তখন সাগর আর নদীর মাঝে কোনো তফাৎ-ই থাকত না। তাই মানুষও এত টাকা খরচ করে, শরীরকে কষ্ট দিয়ে এতদূর আসত না। কাছে কোথাও নদী পেলে সেখানে সময় কাটাতে যেত, বুঝলি?”
” হুম।”
” মানুষের যৌবনের স্থায়িত্ব এই আছে এই নেই। তবে এই বিশাল সমুদ্রের যৌবনের স্থায়িত্ব জন্ম লগ্ন থেকে আছে আর পৃথিবীর শেষ দিন অবধি থাকবে। এ যেন এক মায়াপুরীর অফুরন্ত ভালোবাসা।”
মুচকি হেসে সমুদ্রের বিশালতার দিক মুখ করে বললাম,
” সেই মায়াপুরীর অফুরন্ত ভালোবাসাই যদি আমি হতে চাই তখন নাকোচ করে দিস কেন?”
” মানে?”
” জল সমুদ্রের বুকে সহস্র ঢেউয়েরা যদি অফুরন্ত ভালোবাসা হয়, এই মানব সমুদ্রের বুকে ঢেউ নামক হাজারো অনুভূতি দিয়ে ঘেরা আমি কেন অফুরন্ত ভালোবাসা হতে পারি না?”
” আমার মন সাগরে ভালোবাসা ময় ঢেউয়ের স্থান তুই করেতে নিতে পারিসনি, এটা কীভাবে শিউর দিয়ে বলছিস?”
সেসময় কিছুটা লজ্জাবোধ করলাম সমুদ্রের কথায়। তাই আর কিছু বললাম না। হাত পা গুটিয়ে নিশ্চুপ ভঙিতে বসে রইলাম বেশ কিছুটা সময়। এভাবে বসে থাকায় ঠিক ক’মিনিট পার হয়েছে যদিও আন্দাজ করতে পারিনি। তারপরও মনে হয় মিনিট বিশেকের মত হবে। আর সেই ফাঁকে হঠাৎ করে একদল ঢেউয়ের হালকা গড়নের স্রোত এসে ছুঁয়ে দিয়ে গেলো আমাদের। জামা কাপড় ভিজে একাকার অবস্থা। আমি দ্রুত বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সেই সাথে দাঁড়ালো সমুদ্রও।
চারিদিকে সন্ধ্যার মায়া নেমে এসেছে। পশ্চিম আকাশে রক্তমাখা সূর্য প্রায় অস্তের পথে। তবে পাখির কিচিরমিচিরের শব্দ এখনো কানে ভেসে আসছে। আর গাঢ় থেকে প্রগাঢ় হচ্ছে সমুদ্রের প্রতিটি ঢেউয়ের সাথে মাঝে মিশে থাকা শো শো শব্দটি। সময় যত গড়িয়ে আঁধার ঘনিয়ে আসবে ততই এই শব্দ গাঢ় হতে থাকবে। যেন দূর দেশ থেকেও এর শব্দের মোহে পড়ে যায় হাজারো অশান্ত মন।
সমুদ্র বলল,
” আযান দিয়ে দিবে। চল হোটেলে ফিরে যাই। ওসমান, সারা ওরা সবাই হয়তো হোটেলে চলে গিয়েছে। কেউ নেই ওখানে। তারউপর ভেজা কাপড়চোপড়ে বেশিক্ষণ ভিজে বসে থাকলে তোর আবার পড়ে সর্দি লেগে যাবে। ”
আমি আর কিছু বললাম না। সমুদ্রের কথার তালে তাল মিলিয়ে এগোতে লাগলাম হোটেলের দিকে।
.
পরের দিন দুপুর ২ টা। অর্থাৎ ট্যুরের শেষদিন আজ। লাঞ্চ পর্ব কমপ্লিট করে সবাইকে নিয়ে স্যার ম্যাডামরা বের হয়েছে ঘুরতে। উদ্দেশ্য ঝিনুক মার্কেট আর বার্মিজ আচারের মার্কেট ঘুরে দেখা। তবে দূরে কোথাও যাওয়া যাবে না, সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেঁষে যে মার্কেট গুলো আছে সেগুলোর মাঝেই থাকতে হবে।
আমি, সমুদ্র, সারা আমরা সবাই আগ পিছ করে হাঁটছি। আর স্যার’রা কিছুটা সামনে। ঝরঝরে বালুকণার উপর দিয়ে আরামসে হাঁটছি সবাই। মাঝেমধ্যে দুষ্টুমির ছলে যদিও বালু হাতে তুলে একে অপরের গাঁয়ে ছুড়েছি তবে হাতের মুঠ ছিল খুবই সংকীর্ণ। যেটা গাঁয়ে লেগেই পড়ে যাওয়ার মত।বালুর বুক পথের উপর দিয়ে কয়েক কদম যেতেই ছোট বড় অসংখ্য ঝিনুকের মার্কেট আর বার্মিজ আচারের মার্কেট দেখা গেল। এতে ছেলেরা তেমন উৎসাহ না দেখালেও মেয়েরা দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। আমি তো একের পর এক ঝিনুকের মালা, কানের দুল হাতিয়ে হাতিয়ে দেখছি। মাঝেমধ্যে শামুক দিয়ে বানানো বিভিন্ন জিনিসাদিও হাতে নিচ্ছি। আচমকাই কারো হাতের স্পর্শ আমার কাঁধ ছুঁয়ে গেল। ঘাবড়ে উঠে পেছনে তাকাতেই দেখি সমুদ্র দাঁড়িয়ে। হাতে একটি সাদা মুক্তোর মালা। আমি বুকে হাত দিয়ে বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে বললাম,
” তুই? আমি তো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কে না কে!”
” এটা একটু পরে দেখতো কেমন লাগে?”
বলেই স্বচ্ছ ঝকঝকে মুক্তোর মালাটি আমার দিকে এগিয়ে ধরল সমুদ্র। আমি স্বাভাবিক ভাবে মালাটি হাতে নিয়ে বললাম,
“এটা কার জন্য কিনেছিস রে? খুব সুন্দর তো।”
” হুম, সুন্দর বলেই তো কিনেছি। এখন পড় না।”
আমি আর কিছু জিজ্ঞেস না করেই মালা টা গলায় ঝুলিয়ে দিলাম। ব্যাগ থেকে ছোট একটি আয়না বের করে দেখতেই চোখ দুটো স্থবির হয়ে গেল আমার। খালি গলাটা মালার স্পর্শে যেন সৌন্দর্যের রশ্মি খুঁজে পেল। আর সেই রশ্মির আলোতে আনমনে ভেসে বেড়াচ্ছে দুটো শান্ত চোখ। আমি আয়নার ভেতর দিয়েই একপলক সমুদ্রের দিকে নজর দিলাম। চোখ দুটো একেবারে স্থবির, শান্ত, দৃঢ়। লজ্জায় চোখ ফিরে এলো আমার। আয়না ব্যাগে রেখে মালা টি খুলতে নিলেই সমুদ্র আমার হাত চেপে ধরল। বলল,
” তোর কথা ভেবেই কিনেছি। খুলিস না, ভালো লাগছে। ”
বলেই চলে গেল সমুদ্র। আমি মুচকি হাসলাম। তবে সবার আড়ালে।আর গলা থেকে হাত নামিয়ে এগিয়ে গেলাম সারা আফরোজার কাছে।
সন্ধ্যা নামার আগেই সব কেনাকাটা কমপ্লিট করে, বিকেলের নাস্তা হিসেবে সমুদ্রের কিছু ভাজা মাছ খেয়ে চলে এলাম হোটেলে। ব্যাগ প্যাক করতে হবে যে। সবাই যখন সবার জিনিস পত্র গোছাতে ব্যস্ত, তখন আমি কোমরে গুঁজে রাখা লাল শাড়ির কুচি দিতে ব্যস্ত। সারা বলল,
” তোর শাড়ি পড়তে পড়তে আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে যাবে বুঝলি? একটু তাড়াতাড়ি কর।”
” হ্যাঁ হ্যাঁ, এই তো শেষ। ”
স্বাভাবিক ভাবেই শাড়িটি বুকে জড়িয়ে বা হাতে আঁচল ছেড়ে দিলাম। আঁচলটি বেশি বড়ও না, আবার একদম ছোটও না। মাঝামাঝির মধ্যে রেখেছি। আফরোজা বলল,
” শেষ? ”
” হুম।”
” গলায়, কানে, হাতে কিছু দিবি না?”
” না না, ওসব এরকম শান্ত পরিবেশে একদমই ভালো লাগবে না। ”
” হুম তা ঠিক। তবে সমুদ্রের দেয়া মুক্তোর মালা টা পড়ে যেতে পারিস। ভালো লাগবে। আর সমুদ্রও খুশি হবে। ”
” বলছিস?”
” তো কী?”
বলেই আফরোজা আমার গলায় মালা টি পড়িয়ে দিল। সারা বলল,
” এখন কি সমুদ্রের কাছে যাবো?”
” না না, আগে আমি সমুদ্র পাড়ে যাই তারপর ওকে ডাক দিবি। আর হ্যাঁ, তেমন কিছু বলবি না। শুধু বলবি আমি আফরোজার সাথে রাগ করে সমুদ্র পাড়ে চলে গিয়েছি। ও যেন মানিয়ে আমাকে নিয়ে আসে। কেমন? ”
” আচ্ছা।”
.
চারিদিক আঁধারে টইটুম্বুর। সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ঠান্ডা বাতাসের এক অদ্ভুত মিল বন্ধন পাওয়া যাচ্ছে। যখনই ঢেউ এসে তীরে পাড় জমায়, তখনই মিষ্টি বাতাসের ঝাপটা এসে শরীর, মন দুটোই ছুঁয়ে যায়। সমুদ্র পাড়ের একপাশে কোলহলও ক্ষানিকটা কমেছে। দু- একটি জুটি ছাড়া জনমানবের আনাগোনা নেই বললেই চলে। পুরো স্তব্ধ সমুদ্র পাড়। আর সেই পাশে গিয়েই চুলগুলো মেলে দাঁড়ালাম। দৃষ্টি রেখা গভীর নীলাম্বুর গহীনে।
.
.
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here