#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_Shifa
#পর্ব_৫২
___________________________
নিশ্চুপ ভঙ্গিতে সূচনা বেডে বসে আছে,কাঁপা কাঁপা হাতে সূচনার মাথায় ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে প্রণয়।সূচনা অবাক হচ্ছে প্রনয়ের হাতজোড়া কাঁ পতে দেখে।তবে এই মুহূর্তে প্রশ্ন করার সাহস টুকু পাচ্ছে না।প্রণয় ধীর গতিতে, কাঁপা হাতে, সময় নিয়ে ব্যান্ডেজ চ্যাঞ্জ করে দম নিলো।ফাস্ট এইড বক্স টা যথাস্থানে রেখে সূচনার কাছে আসলো।চোখ মুখ শক্ত করে জিজ্ঞেস করলো-
–‘মাথায় আ ঘাত পেয়েছো কিভাবে?
–‘আ ঘাত পাইনি তো…
–‘তাহলে ব্লিডিং হলো কেনো?সত্যি করে বলো।
সূচনা কিয়ৎক্ষণ চুপ করে রইলো।নিচু স্বরে শুধালো-
–ঃওয়াশরুম থেকে আসার সময় হঠাৎ মাথাটা ঘুরে গিয়েছিলো।দেয়াল ধরে পড়ে যাওয়া থেকে বাচলেও মাথায় হালকা বারি খেয়েছিলাম।দেয়ালের সাথে লেগেই সম্ভবত….
–‘এতক্ষণ বলতে পারোনি?খেয়াল করোনি আ ঘাত?
আচানক ধমকের স্বর শুনে চমকে ঈষৎ কেঁপে উঠলো সূচনা।ভয় পেয়েছে সে।প্রণয় নিজেও চমকালো।নিজের আচরণে নিজেই নিজের উপর রে গে গেলো।ডাক্তার বলে দিয়েছে,সূচনাকে কোনোভাবেই প্রেশার না দিতে,উচ্চ স্বরে কথা বলতেও নিষেধ করেছে।আর সে বারবার তাই করছে।মুখ ঘুরিয়ে লম্বা শ্বাস ফেলে নিজেকে শান্ত করলো প্রণয়।নিজেকে সামলে সূচনার পাশে বসলো।সূচনার কোমল কপোল জোড়ায় নিজের শীতল হাতজোড়া ছোঁয়ালো।নত মুখশ্রী উপরে তুলে নরম সুরে বললো-
–‘আ ..ম সরি।খুব সরি।এগেইন সরি প্রণয়ী।যতবার বলবে ততবার সরি বলবো।তবুও কেদো না প্লিজ।
সূচনা দৃষ্টি নতই রাখলো।মুখ তুলে তাকালো না।প্রণয় পূর্ণ দৃষ্টি রাখলো এবার সূচনার পানে।নির্লিপ্ত কন্ঠে বললো-
–‘কি চাও বলো?
সূচনা ভড়কালো।কি চাইবে সে?আপাতত তো দুইটা জিনিস ই জানতে চায় সে।প্রথমত ৩০ ডিসেম্বর প্রণয়ের জন্মদিন ছাড়া আর কি হয়েছে?দ্বিতীয়ত,চিলেকোঠার ঐ ঘরটাতে কি আছে তা।
–‘কি হলো বলো?
সূচনা এবার প্রণয়ের দৃষ্টিতে দৃষ্টি মেলালো।ভীত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো-
–‘যা জিজ্ঞেস করবো সব কিছু বলবেন?
প্রণয় আগের মতোই সহসা জবাব দিলো-
–‘হ্যা বলবো।
সূচনা বড় করে শ্বাস নিলো।বললো-
–‘আমি কি জানতে চাই সেটা তো আপনি জানেন প্রণয়।কি জানেননা?
.
.
পিনপতন নীরবতা, প্রণয় চুপ করে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে।চোখমুখ স্বাভাবিক তার,সূচনা আন্দাজ করতে পারছেনা তার ভাবাবেগ।তার উৎসুক দৃষ্টি বিচরণ করছে প্রণয়ের মুখশ্রী তে।প্রণয় নিরুত্তর থাকায় এবার সূচনা জিজ্ঞেস করেই বসলো-
–‘কিছু বলছেন না কেন?
প্রণয় বোধহয় এই অপেক্ষাতেই ছিল।সে সাথে সাথে জবাব দিয়ে বসলো-
–‘আজ রাতটা কা টুক কাল সব ক্লিয়ার হবে।আর একটা রাত তে ধৈর্য ধরতেই পারবে।পারবে না?
সূচনা ও সময় নিল না,মাথা ওপর নিচ দুলিয়ে সায় দিল ‘সে পারবে।’উত্তর পাওয়ার সাথে সাথে ই প্রণয় ব্যস্ত পায়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।তার যাওয়ার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে রইলো সূচনা।কি হচ্ছে? কেন হচ্ছে?কালই বা কী হতে যাচ্ছে?যাই হোক না কেন, খারাপ কিছু যেন না হয়ে থাকে।মনে প্রাণে তাই চাইছে সূচনা।
_____________________________
কুয়াশায় জর্জরিত প্রকৃতি,শীতে সারা শরীরে কাঁপন ধরিয়ে দিলেও ব্যালকনি থেকে সরছে না সূচনা।সবটা ঘোলাটে দেখাচ্ছে,প্রচন্ড শীতে গা জমে যাচ্ছে তবুও সে দাড়িয়ে আছে। গায়ে অবশ্য মোটা সোয়েটার জড়ানো তার।কিন্তু দেখতে গেলে এখানে দাড়িয়ে থাকা শুধু শুধুই,কোনো কারণ নেই।কিন্তু সেসব ভাবার সময় নেই তার মনের। আপাদত প্রণয়ের কথাই ভাবছে সে।কি বলবে প্রণয়?কী রহস্য হতে পারে? কোনো খারাপ কিছু শুনবে?সেটা কী খুব খারাপ কিছু? উফফফ,,এত এত উল্টা পাল্টা ভাবনা কেন আসছে আর এমন উল্টা পাল্টা ভাবনা গুলোই শুধু কেন আসছে?ভেবে পাচ্ছে না সে।
–‘বুড়ি আজকে এমন ঠান্ডায় ব্যালকনিতে কী করে? পাগল টাগল হয়ে গেছে নাকি?
পেছন থেকে শালসহ সূচনাকে জড়িয়ে ধরতে ধরতে কথাগুলো বললো প্রণয়। সূচনা ঈষৎ চমকে উঠলো।ঘাড় বা কিয়ে প্রণয়ের দিক তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো-
–‘বুড়ি বলছেন কাকে হ্যা?
–‘কেন তোমাকে।
–‘কেন? আমাকে কোন দিক দিয়ে বুড়ি লাগে শুনি।
–‘শীত লাগার দিক দিয়ে। তোমার যেই পরিমাণে শীত লাগে বুড়িই তো তুমি। বাচ্চা বুড়ি।
–‘আমি ই বাচ্চা আমিই বুড়ি।বাহ।সবই আমি।
–‘আমার সবকিছু তুমি,সবটা জুড়ে শুধু তুমি আর তুমি।বুঝেছো বোকা মেয়ে?
প্রণয়ের কথা কানে আসতেই চোখ বন্ধ করে নিল সূচনা।কান গ রম হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে, লজ্জা পাচ্ছে সে,কেমন কেমন করছে বুকের ভেতর।ইশশশ!কেমন অনুভূতি।মাঝে মাঝে তার আফসোস হয়, নিজের ওপর রা গ হয়। সে কেন পারেনা নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে,কেন তার মনে যা আসে তা বুলিতে ফোটেনা?প্রণয় তো কী সুন্দর সব বলে দেয়।
–‘কী ভাবছো?
সূচনা চুপ না থেকে বলেই দিল-
–‘আফসোস হচ্ছে, রা গ ও হচ্ছে।
–‘কেন?কার ওপর?
–‘নিজের ওপর।আপনি কত সুন্দর গুছিয়ে সব কথা বলতে পারেন,নিজের অনুভূতির প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু আমি পারিনা।নিজে তো ব্যক্ত করতে পারিই না উল্টো আপনি করলে লজ্জায় মরিমরি অবস্থা হয়ে যায়। সত্যি ই বোকা আমি।ধুর!
সূচনার বোকা বোকা কথায় প্রণয় হেসে দিল শব্দ করে।তা শুনে সূচনা ঠোঁট উল্টে বললো-
–‘হাসছেন কেন?ঠিক আছে বোকা আমি তাই বলে হাসতে হবে।
প্রণয় হাসি থামালো কোনোরকমে।সূচনাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে মুখোমুখি দাড় করালো।তার দুই বাহুতে হাত রেখে হাল্কা চাপ দিতেই সূচনা চোখে চোখ রাখলো তার।প্রণয় গাঢ় কণ্ঠে শোধালো-
–‘শোনো তুমি নারী আর লজ্জা নারীর ভূষণ।তুমি লজ্জা না পেলে আমি অত সুন্দর করে কথা বলতে পারতামনা।তুমি লজ্জা না পেলে আমার কথাগুলো ও সুন্দর মনে হত না।তুমি লজ্জা না পেলে বরং আমার হৃদয় ব্য থিত হত।অনুভূতির প্রকাশ দুজনের ই করতে হবে সেটা কী কোথাও লেখা আছে?নেই।তাহলে?ভালোবাসা অপ্রকাশিত ই সুন্দর, তবে মাঝে মাঝে দু’জন দুজনের নিকট একটু আধটু অনুভূতির প্রকাশ করলে ক্ষতি হয় না বিশেষ।তোমার আমার আমাদের অনুভূতি, আমিই না হয় তার বহিঃপ্রকাশ এর দায়িত্ব নিলাম।তুমি লাজ রাঙা হবে সেই মুখ দেখার অধিকার
ও শুধু আমি ই পেলাম।ক্ষতি কী তাতে?
একটা ছেলে এত সুন্দর মন মানসিকতার হতে পারে, এত সুন্দর করে কথা বলতে পারে সেটা প্রণয়কে না জানলে বুঝি বুঝত ই না সূচনা।সে এমন একটা পুরুষকে পেয়েছে নিজের করে,খুশিতে চোখ ছলছল করে উঠলো তার।তার বাবা ঠিকই তো বলেছিল তাকে যে-‘একদিন সে নিজে যেয়ে তাকে বলবে,প্রণয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করা ওনার বেস্ট সিদ্ধান্ত ছিল।সত্যিই তো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত ছিল এটা।সূচনা হাল্কা হেসে প্রণয়কে জড়িয়ে ধরতে ধরতে বললো –
–‘আপনার জন্য অন্তত এই মুহূর্তগুলোর জন্য আমি সারাজীবন আপনার বোকা মেয়ে বনে থাকতেও রাজি।’
প্রণয় হাসলো।চোখে পানি অথচ অধর কোণে মিষ্টি হাসি, কত সুন্দর মুহুর্ত!
________________________________
–‘মিহু প্রণয় তোর কেমন ভাই হয়?তন্ময় কী হয় তোর?
ফোনের ওপাশ থেকে সূচনার উক্ত প্রশ্নটুকু শুনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য চুপ করে রইলো মিহু।অতঃপর স্বাভাবিক গলায় উত্তর দিল-
–‘প্রণয় ভাইয়া আমার চাচাতো ভাই আর তন্ময় ভাই আমার নিজের ভাই। আমি, পিহু আর তন্ময় ভাই আমরা তিন ভাইবোন।
মিহু উত্তর দেয়া মাত্র ই সূচনা কল কে টে দিল।মিহু অবাক হলো না তেমন কারণ আজকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি যে তাকে হতে হবে তা আগেই জানা ছিল তার। কল কে টে দিয়ে কিছুক্ষণ থম মে রে বসে রইলো সূচনা। শেষমেশ মিহু ও তাকে মিথ্যা বললো।তন্ময়ের ব্যাপারটা সূচনা কিঞ্চিৎ আন্দাজ করতে পেরেছিল।তন্ময় এর হুটহাট প্রণয়কে স্যার থেকে ভাই ডাকা,প্রণয় যেদিন চট্টগ্রাম গেল সেদিনই মিহুর বড় ভাই সে ও ঢাকার বাইরে গিয়েছিল,যেদিন প্রণয় ফিরেছে সেও সেদিন ই ফিরেছে।আবার একইদিনে তার ও জ্বর হয়েছে তাও বৃষ্টি তে ভেজার কারণেই। অদ্ভুত লাগছিল সূচনার কাছে কারণগুলো।শুধুমাত্র এই কয়টা কথার যুক্তিতে এতবড় কিছু ভেবে নেয়া টা তার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি তাই অত ঘাটাঘাটি করেনি সেটা নিয়ে। কিন্তু এখন দেখা যায় ঘাটাঘাটি করাটাই উচিত ছিল তাহলে আরও আগেই জেনে যেত হয়তো।
________________________________
দেখতে সকাল থেকে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। চিলেকোঠার সেই খুপরি রূপি ঘরটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সূচনা।প্রণয় কল করেছিল একটু আগে। বললো-
–‘কাবার্ডের ভেতর সবুজ রঙের একটা ফাইল আছে, তন্ময় বাসায় আসবে নিতে, দিয়ে দিও।’
তার কথামতো কাবার্ড খুলেই ফাইলটা পেয়েছে সূচনা।ফাইল নেয়ার সময় ছোট একটা নীল রঙের বক্সে চোখ আ টকে যায় তার।সূচনা দেখবে না দেখবে না করেও আগ্রহ দমিয়ে রাখতে পারেনি। হাতে নিয়ে সাথে সাথে ই বক্সটা খুলে ফেলে।ভেতরে ছোট্ট একটা চাবি, কি রিং এ লাগানো।ছোট্ট একটা সাদা কাগজের টুকরো ও আছে। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা – চিলেকোঠার ঘরে।’ লেখাটুকু দেখেই সূচনা বুঝে গেল যা বোঝার অতঃপর দেরি না করে সোজা এসে পড়েছে এখানে।বুকে ফু দিয়ে সাহস জুগিয়ে পা বাড়ালো ঘরে।
.
.
বাইরে থেকে যতটা ছোট মনে হয় ঠিক ততটা ছোট না ঘরটা।মোটামোটি বড়, চওড়া ও বলা যায়,পরিষ্কার ও বলা যায় বটে।যেনো রোজ নিয়ম করে পরিষ্কার করা হয়।কিছু জিনিস পত্র আছে একদম কোণায় কোণায়।সবগুলো জিনিস এখন ও ঠিকভাবে খেয়াল করেনি সূচনা।চিলেকোঠার দরজাটা বন্ধ করে সামনে এগিয়ে গেলো সে।।হাতের ডান পাশে একটা বড় কাঠের বক্স রাখা।গুটিগুটি পায়ে সেটার দিকেই এগোলো সূচনা।বেশ পুরোনো বক্সটা,ওপরের অংশ টা খুলতেই একটা ফুটবল,কয়েকটা বই, একটা ছবি নজরে এলো। সব-কয়টা বই ই বিজ্ঞান বিষয়ক,উল্টে পাল্টে রেখে দিল সূচনা।ছবিটা হাতে তুলে নিল।ধুলো জমেছে,শাড়ীর আচল দিয়ে মুছে নিল। একজন ভদ্রমহিলা তার কোলে বাচ্চা একটা মেয়ে আর এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছেলে।ছবিটা ছে ড়া,একটা অংশ নেই।ছি ড়ে ফেলা হয়েছে বোঝা ই যাচ্ছে। ছিঁড়ে যাওয়া অংশ টুকু তাহলে কোথায়?বক্সটাতে খুজলেও পাওয়া গেল না তবে আরও কিছু জিনিস পাওয়া গেছে।বাচ্চাদের কিছু পুরোনো খেলনা,আরও ক’টা বই,একই ভদ্রমহিলার সাথে সেই ছেলেটার আরও কয়েকটা ছবি।তার মধ্যে আগেরটার মতোই দুটো ছবি ছে ড়া।ছেলেটার বয়স আনুমানিক ১১-১২ হবে।ছেলেটা কে?প্রণয়? মনে মনে আওড়ালো সূচনা।সেখান থেকে সরে এসে সামনে তাকাতেই চোখ
আ টকে গেল সামনের দেয়ালে।সামনের দেয়ালে ছোট এক অংশ দখল করে আছে যার উপর লাল পর্দা টেনে দেওয়া।সূচনা কম্পিত হাতজোড়া বাড়িয়ে পর্দাটা সরালো।তৎক্ষনাত বিষ্ময়বিশ্ট চোখজোড়া থমকে গেলো।শুভ্র রঙা বোর্ডটায় বিভিন্ন খবরের কাগজ,ছবি আটকানো।সূচনা ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট অন করলো।তীর্যক চোখে একে একে সব কটা ছবি দেখলো।বোর্ডের বাম পাশের নিচের দিকে একটা পুরোনো খবরের কাগজের কিছু অংশ আটকানো।নিচু হয়ে সেখানটায় নজর দিলো সূচনা।দেখেই আন্দাজ করে ফেললো কাগজটা অনেক পুরোনো।ফট করেই তার আন্দাজ টা ঠিক বের হলো।২০০৫ সাল,৩১ ডিসেম্বর লেখা হেডলাইন টাই বুঝিয়ে দিলো যে তার আন্দাজ ঠিক।সুইসাইড কেস বিষয়ক কোনো আর্টিকেল। প্রথম ক’টা লাইন পড়লো সূচনা।ছোট ছোট অক্ষরে লেখা-‘
–‘নামকরা ব্যবসায়ী এহতেশাম আহমেদের স্ত্রী নুরাইয়া আহমেদ আ ত্মহত্যা করেছেন।৩০ শে ডিসেম্বর রাত নয়টা নাগাদ ফ্যানের সাথে ঝোলানো লাশ দেখতে পান তার স্বামী এহতেশাম আহমেদ ।তাদের সংসারে দুই সন্তান আছে..১২ বছরের ছেলে প্রণয় আহমেদ আর ১বছরের মেয়ে ইরা আহমেদ।’
আ ৎকে উঠলো সূচনা, হাত পায়ে কাঁপন ধরে গেছে তার।চোখ ভিজে উঠেছে তার, ভেতরটায় অসহ্য রকমের যন্ত্রণা হচ্ছে। এজন্য ই বুঝি প্রণয় এমন করেছিল তাকে জন্মদিনের উইশ করায়।তার জন্মদিনের দিনই…এসব হয়েছে।চোখ সরিয়ে নিল সূচনা..ডান পাশে আরেকটা খবরের কাগজে চোখ পড়লো।
২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি রাতে কার এক্সিডেন্টে মৃত্যু হয়েছে নামকরা ব্যবসায়ী এহতেশাম আহমেদের।এবার যেন আরও চমকে উঠলো সূচনা।একদিনের ব্যবধানে মা বা-বা দুজনের মৃত্যু!এতটা নিষ্ঠুর নিয়তি?মাত্র বারো বছর বয়সে প্রণয় এতকিছু সহ্য করেছে, আর..আর ইরা মাত্র ১বছর বয়সে।ভাবতে পারলনা সূচনা।ছুটে বেড়িয়ে আসলো সেখান থেকে।বাসায় ঢুকে আবার ও সোজা ছুট লাগালো নিজের রুমে।
–‘দেখা হয়েছে?
#চলবে
( আসসালামু আলাইকুম।বোধহয় পাচ দিন পর দিলাম।এখনও সুস্থ না পুরোপুরি, মাথা ব্যথায় বেশিক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারিনা। দু’দিন লাগিয়ে এই একটা পর্ব লিখলাম।খুব বেশি রে গে আছেন সবাই?আ’ম সরি। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে করিয়েন কমেন্টে।)