প্রণয়ের সূচনা পর্ব -৩০

#প্রণয়ের_সূচনা
#লেখিকা_Nazia_shifa
#পর্ব_৩০
____________________________
ব্যাগ গোছাচ্ছে প্রণয়।আ/ড় চোখে তাকে দেখছে সূচনা। চোখ জ্বা/লা করছে তার,বার কয়েক পলক ঝা/পটিয়ে ও তাকিয়ে রইলো প্রণয়ের দিকে।এক সপ্তাহের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছে প্রণয়।ব্যাগের চেই/ন লাগিয়ে প্রণয় পেছন ঘুরে নিজেকে আয়নায় আরেকবার দেখে নিল এক পলক।কাধে ব্যাগ নিতে নিতে কা/ঠকা/ঠ গলায় বললো –

–‘আসছি,সাবধানে থেকো।সবার খেয়াল রেখো আর নিজের ও। অযত্ন যেন না হয়।তা হলে খবর আছে।

সূচনা তাকিয়ে ই রইলো,কিছু বললোনা।প্রণয় পেছন ঘুরে হাটা ধরলো।দরজার কাছে যেয়ে থে/মে গেল প্রণয়।সূচনার দিকে ঘুরে তার দিকে তাকিয়ে রইলো।তাকে এভাবে তাকাতে দেখে সূচনাও প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো।প্রণয় মিনিট দুয়েক চুপ করে থেকে হুট করে সূচনাকে মিশি/য়ে নিল নিজের সাথে। সূচনা ভড়/কে যেয়ে দু কদম পেছাতে চেয়েও পারলনা। প্রণয় অনেকটা শ/ক্ত করে ধরেছে তাকে।ঠাই দাড়িয়ে রইলো সূচনা।তার হাত পা কা/পছে অনবরত।দ্রুত ওঠানামা করছে সূচনার শ্বাস।এতক্ষণে চোখ ভি/জে উঠেছে সূচনার।”সূচনার কাছে এখন মনে হচ্ছে সে এটাই চাইছিল।যাওয়ার আগে প্রণয়ের একটু ছো/য়া।কিন্তু মুখ ফুটে বলা বা কিছু করার বিন্দু মাত্র সা/হস যে নেই।প্রণয় কি বুঝতে পেরেছে?নাকি তার মতো প্রণয় ও যাওয়ার আগে তাকে একটু স্পর্শ করতে চেয়েছে তাকে।একটু আদরে মু/ড়িয়ে দিতে চেয়েছে?এই প্রশ্নের উত্তর কী?জানা নেই তার।প্রণয় এত তাড়া/হুরো করে হঠাৎ চট্টগ্রাম কেন যাচ্ছে সে প্রশ্নের উত্তর ও দেয় নি প্রণয়।কিন্তু আপাদত প্রণয়ের জ/ড়িয়ে ধরা দেখে মনে হচ্ছে ছেড়ে দিলেই সূচনা পা/লিয়ে যাবে।মিনিট কয়েক এভাবেই জ/ড়িয়ে ধরে রাখলো প্রণয়।সূচনার দুই বাহুতে হাত রেখে আলতো স্পর্শ আকঁলো সূচনার কপালে।সূচনার ভে/জা চোখ দেখে ঠো/ট কা/মড়ে হাসলো প্রণয়।কিছুটা ফিস/ফিসানি কণ্ঠে বললো –

–‘কাঁ/দছ কেন?আমি চলে যাচ্ছি এজন্য?মিস করবে আমাকে?

প্রশ্নের উত্তর দিল না সূচনা।ঠোঁ/টে ঠো/ট চেপে মুখ শ/ক্ত করে দাড়িয়ে রইলো।প্রণয় আবারও হাসলো।হাসি থামিয়ে মুখ গ/ম্ভীর আকার ধারণ করলো।ক/ড়া কন্ঠে বললো-

–‘তোমার বর চলে যাচ্ছে আর তুমি সং সে/জে দাড়িয়ে আছো।কোনো দায়িত্ব বোধ নেই নাকি!

সূচনা আবারও ভ/ড়কে গেল।এমন কথা আশা করেনি সে।ইত/স্তত কণ্ঠে বললো –

–‘ আপনি কি বলছেন?বুঝতে পারছিনা।কিছু কি লাগবে আপনার?

–‘ তুমি কিছু বুঝবে ও না। গা/ধি একটা।

–‘ এখানে গা/ধি হওয়ার কি আছে? বুঝিয়ে বলুন।

–‘ গা/ধি আমি বাইরে যাচ্ছি।

–‘হ্যা তো।

–‘আমার মাথা।বর বাইরে যাওয়ার আগে নরমালি কাপলরা কি করে?

–‘ক,,কী করে?

–‘বলেছিলাম তো।

–‘আম,,আমার মনে নেই।

–‘আমি জানি তোমার মনে আছে আর এটাও জানি তুমি স্বীকার করবে না।আমিই বলি।

–‘ব,,বলুন।

প্রণয় ফিসফিসানি কণ্ঠে বললো –

–‘জ/ড়িয়ে ধরে কপালে চু/মু খেয়ে বলতে হয় ‘যেয়ে আবার আসুন।’

–‘ও,,ওহ।

–‘কি ওহ?কি করতে হবে এখন?

–‘যে,,যেয়ে আবার আসুন।

–‘আর?

–‘আর,,আর কী?

–‘আমি কয়দিনের জন্য যাচ্ছি?

–‘এক সপ্তাহের জন্য।

–‘এদিকে তাকাও।

–‘বলুন।

–‘দাও।

–‘ক,,কী দিব?

–‘অনুমতি।

–‘কিসের অনুমতি?

–‘আমাকে প্রথম বারের মতো নিজ থেকে একটু ছু/য়ে দিবে প্রণয়ী?সেই অনুমতি চাই,তোমার কাছেই।এই যে সাতদিন তোমার থেকে দূরে থাকব,তোমাকে চোখের সামনে দেখবনা,ছুয়ে দিতে পারবনা।সময়টা যে কঠি/ন হবে কিন্তু তোমার প্রথম স্পর্শ পাওয়ার মূহুর্তকে স্মরণে রেখে ক/ঠিন সময়গুলোও অনায়াসে পার করে দিবে প্রণয়।অনুমতি চাই,দিবেনা?

কী সুন্দর আবেদন!যেন একরাশ মায়া আর আবেগের সংমিশ্রণ।না/কচ করা যায় আদৌ?সূচনা কিছু না বলে দাড়িয়ে রইলো পাথরের ন্যায়।কি করবে সে?জানেনা।প্রণয় তাড়া দিয়ে বললো-

–‘আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমি কি চলে যাব?

এবারও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলনা সূচনা।নিজের ওপর নিজেরই বির/ক্তি লাগছে এখন।এমন কেন সে?একটু ছুয়ে দিলে কি এমন হবে?তারা হালাল সম্পর্কে আছে,স্বামী স্ত্রী তারা। সমস্যা তো নেই। তাহলে কি এখনও ভুলতে পারেনি তাকে?কথাগুলো ভাবতেই পিলে চ/মকালো সূচনা।ছি/হ কিসব ভাবছে সে! নিজেই নিজেকে বোঝালো- ‘তাকে ভুলে গেছি আমি,অতীতের কোনো জায়গা নেই না হবে।নত মস্তক চট করে তুললো।মাথাটা এগিয়ে নিয়ে প্রণয়ের কপালে স্পর্শ করালো ঠোট।তড়িৎ গতিতে সরে আসলো।কী অদ্ভুত অনুভূতি!ছোট্ট এক স্পর্শেই কেমন অস্থির অথির প্রণয় খানিক সময় দাড়িয়ে রইলো স্তব্ধ হয়ে।তবে তার বাদেই মুখে ফুটলো বিজয়ের হাসি।হাসি টেনে জিজ্ঞেস করলো-

–‘কপালে চুমু খাওয়ার উদ্দেশ্য জানো?

কোনোরকম দু দিকে মাথা নাড়ালো সূচনা।যার মানে সে জানেনা। প্রণয় হাসলো।সূচনার কটিতে হাত রেখে টেনে আনলো নিজের দিকে।তার কানের কাছে মুখটা এনে ফিচেল কণ্ঠে শোধালো-

–‘কপালে চুমু খাওয়ার প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালোবাসার প্রকাশ করা আর দ্বিতীয় হচ্ছে যাকে চুমু খাওয়া হয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস অর্জনের একটি দিক।তুমি কোনটা করেছো?

প্রণয়ের কথাটুকুন কর্ণপাত হতেই সূচনা চোখ বন্ধ করে নিল।বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে।সার শরীর কাপ/ছে তার।প্রণয় ছেড়ে দিল।বা’কা হেসে বললো –

–‘উত্তর যাই হোক,দুইটাতেই চলবে।বিশ্বাস না থাকলে সম্পর্ক টিকে না আর সম্পর্কে বিশ্বাস থাকলে ভালোবাসাটা ও আপনা আপনি হয়ে যাবে। এবার আসি প্রণয়ী।খেয়াল রেখো,ফোন দিব আমি।

পেছন ঘুরে হাটা ধরলো প্রণয়। দরজার কাছে আসতেই কর্ণকুহর হলো –

–‘ যেয়ে আবার আসুন।

প্রণয় হাসলো,পা থামলো না,পেছন ঘুরে তাকালো ও না।কিন্তু হাসি সরলো না ওষ্ঠাধর থেকে।মিসসে আফিয়া, ইরা ও তিথিকে বিদায় জানিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেল।
_________________________________
মৃদু বাতাস,হালকা ঠান্ডা,পরিষ্কার আকাশ,ব্যস্ত নগরীর নিরব রূপ।হোটেলের ফিফ্ত ফ্লোরের ছোট ব্যালকনিতে দাড়িয়ে এই পরিবেশটাই উপভোগ করছে প্রণয়।চোখ জোড়া একবার ফোনে আরেকবার সামনে যাচ্ছে। এই তো আধা ঘণ্টা হলো সে চট্টগ্রামে এসে পোঁছেছে।এখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা।ফ্রেশ হয়ে ব্যালকনিতে দাড়িয়েছে।তন্ময় এসেছে তার সাথে।সে পাশের রুমে।মিসেস আফিয়াকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে পোঁছানোর কথা।জার্নি করে মাথা ধরে গেছে একদম।তার ওপর আগের তিন চারদিনের খাটাখা/টনি।মনে হচ্ছে বিছানায় শুয়ে পরলেই ঘুমিয়ে যাবে।সূচনাকে ফোন দেয়া হয়নি এখনো।একটু এগিয়ে এসে কাউচের ওপর রাখা ফোনটা হাতে নিতেই কলিং বেলের আওয়াজ কানে আসলো।রাতের খাবার রুমেই দিয়ে যেতে বলেছিল প্রণয়।হয়তো খাবার নিয়ে ই এসেছে। ব্যালকনি থেকে রুমে এসে দরজা খুলে দিল।অল্প বয়সী একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে খাবার নিয়ে মুখে হাসি টেনে।প্রণয় সরে যেয়ে তাকে ঢোকার জায়গা করে দিল।খাবার দিয়ে সে চলেও গেল।দরজা লক করে বিছানায় বসতেই ফোন বেজে উঠল।রিসিভ করলো প্রণয়।শোনা গেল তন্ময়ের ব্যস্ত কণ্ঠ-

–‘স্যার খাবার দিয়ে গেছে রুমে?কোনো সমস্যা? কিছু লাগবে?

প্রণয় হাসলো সাথে কিঞ্চিৎ বিরক্ত হলো।মাঝে মাঝে তন্ময় এমন ভাবে বিহেভ করবে যেন প্রণয় বাচ্চা কোনো।তবে এটা যে তন্ময়ের ভালোবাসা।নিজের থেকে তার জন্য বেশি ভাবে।তন্ময়কে আশ্বাস দিল-

–‘সব ঠিক আছে আর আমি বাচ্চা না,খেয়াল রাখতে পারব।অত টেনশন করো না।নিজের কথা ভাবো।

–‘আমার জন্য আপনি আছেন না স্যার।আপনি থাকলেই হবে।

–‘ হ্যা আছি।তবে নিজের টা নিজের ভাবতে হয়।অন্য রা কয়দিন? আজ আছে কাল থাকবেনা।মানুষ স্বার্থপর জানো তো।রং বদলাতে সময় লাগেনা।তুমি তো ভালো করেই জানো।

–‘জানি স্যার।আর সে স্বার্থপর দের শা/স্তিও পেতে হয়।

–‘হুম।খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো,জার্নি করে এসেছো।আবার সকালেও যেতে হবে।

–‘ জ্বি স্যার। আরেকটা কথা

–‘বলো

–‘স্যার কালকে উনি চট্টগ্রাম আসবেন,ওনার ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে নিয়েছি।কাজটা কালকেই সেরে ফেলবেন?

–‘একটু সময় দাও, আসবেন,ঘুরবেন,মজা করবেন থাকুক।তারপর তো আর সুযোগ পাবেননা।

–‘ঠিক আছে স্যার।রাখি তাহলে।

–‘হু।
_________________________
রাত দশটার বেশি। ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে সূচনা প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ। প্রণয়ের কলের অপেক্ষায়। মিসেস আফিয়ার কাছ থেকে শুনেছে প্রণয় কল দিয়েছিল।কিন্তু তাকে তো একবার কল দিলনা।যেতে যেতেই ভুলে গেল?সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ঠিক করলো নিজেই কল দিবে।যা ভাবা তাই কাজ।প্রণয়ের নাম্বারে কল দিতেই রিসিভ হলো সাথে সাথে।মিনিট তিনেকের মতো নিশ্চুপ দুজনই।নিরবতা ভাঙলো প্রণয়ের রুঢ় কণ্ঠে বলা কথায়-

–‘চুপ করে থাকতে কল দিয়েছ এত রাতে? কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।

প্রণয়ের হেন বাক্যে সূচনা ‘থ’ হয়ে গেল।কান থেকে ফোন সরিয়ে স্ক্রিনে নাম্বারটা দেখে নিল না ঠিকঠাক ই তো আছে। প্রণয়ের নাম্বারই।কিন্তু প্রণয়ের ব্যবহার বোধগম্য হলো না তার। কিছু বলার আগেই প্রণয় আবারও বললো-

–‘ কথা বলছো না কেন? ফোন দিয়েছ কেন?

এবার চুপ থাকতে পারলনা।অভিমানে চোখ ভরে উঠলো।গলা ও শুকিয়ে যেন কাঠ প্রায়।কিছু না বলে খ/ট করে রেখে দিল ফোন। নিজেই নিজেকে ব/কলো। কে বলেছিল কল দিতে?না দেয়া ই তো ভালো ছিল। সে থাকুক না তার মতো,আমার কিসের চিন্তা? দিবনা আর, সে কল দিলেও রিসিভ করবনা।থাকুক।

–‘ভাবি কি বিড়বিড় করছো?

নিজেই বিড়বিড় করছিলো সূচনা।পেছন থেকে ইরার কণ্ঠ পেয়ে কিঞ্চিৎ চম/কে উঠে পেছনে তাকালো। আমতা আমতা করে বললো-

–‘কিছু না এমনি।তুমি ঘুমাওনি কেন এখনো?

–‘তোমার সাথে ঘুমাবো।

–‘তিথি একা না?

–‘হ্যা।

–‘সমস্যা নেই, আমি একা থাকতে পারব।বিয়ের আগে তো একাই থাকতাম।তুমি তিথির কাছে যাও।

–‘আচ্ছা ঠিক আছে।

–‘হুম।

ইরা চলে গেল বিনাবাক্য ব্যয়ে।তার পিছু পিছু যেয়ে দরজা লক করে বিষন্ন মনে বিছানায় শুয়ে পরল সূচনা।মনে ভাবনারা ডানা,ঝাপটাতে ব্যস্ত।ভালো লাগছে না কেন তার।মনটা হুট করেই আরও খা/রাপ হয়ে গেল যেন।আচ্ছা এমন কেন প্রণয়?এত রা/গ?ওভাবে বলার কি আছে?ধ্যা/ত, তোরই দোষ কে বলেছিল আগ বাড়িয়ে খবর নিতে।বেশি বুঝিস তো তাই এই অবস্থা। এপাশ ওপাশ করে ও ঘুম আসছে না।ঘুম কী হবে না আমার আজকে?
.
.
বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে আছে প্রণয়। বাম হাতে ধরা ফোনে ভেসে আছে মেরুন রঙা শাড়ী পড়া এক রমণীর ছবি।সে ছবির দিকে তাকিয়ে প্রণয়ের অধরে হাসির রেশ।ছবিটা সূচনার।বিয়ের দিনের সাজে। এতক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি খেয়েও ঘুম ধরা দেয়নি দু চোখে। শেষে ফোন হাতে নিয়ে সূচনার ছবি বের করে দেখছে।সে জানে সূচনা রা/গ করেছে।সেই ছবির দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললো-

–‘ আমি জানি প্রণয়ী অভিমান করেছে।কিন্তু কি করব বলো তোমার সাথে কথা বললে এখানে মন টিকবে না। ইচ্ছে করবে ছুটে যাই তোমার কাছে। কিন্তু আমার এখানে কাজ সারতে হবে, নাহলে যাব কিভাবে?তোমাকে দেখতে,তোমার ঘুমন্ত তৈলাক্ত মুখশ্রীর অদ্ভুত সৌন্দর্য উপভোগ করতে রোজ ইচ্ছে করে। তার জন্য ই তো এত তাড়া।ক্ষণিকের অভিমান থাকুক। অভিমানে অভিমানে আজ দুজন না হয় নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেই। কোনো এক রাতে তোমাকে বু/কে নিয়ে গল্প শোনাবো- প্রণয়ের সূচনার গল্প,আমাদের প্রথম অভিমানের গল্প। তুমি লাজ রাঙা হবে আমি মুগ্ধ নয়নে দেখব।আচ্ছা অভিমানে কী তবে তোমার হৃদয়ে প্রেম জাগবে?

#চলবে

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here