#প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr[ Mêhèr ]
Part: 14….
সাদ আর কোনো কথা বাড়ায় না। চলে যায়। আর ইশাদের কথা শুনে আরিয়ার খারাপ না বরং রাগ লাগছে। যার কিছু ভাবতে পারছে না ওওও……..
ওদিকে রাজের চেয়ে সাদের মধ্যে রাগটা বেশি ফুটে উঠেছে। আসলে এটা স্বাভাবিক কারন আমরা যাকে বেশি ভালোবাসি তার হাজারটা অন্যায় থাকা সত্ত্বেও আমরা তার একটু কষ্ট দেখলে কেপে উঠি…. আর সাদের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটা হয়েছে। যাকে কোনোদিন মাথা নিচু করতে দেখেনি তার এমন অপমান ওর পক্ষে মেনে নেওয়া একটু কঠিন………..
সাদ: স্যার আজকের জিনিসটা অনেকটা বাড়াবাড়ি করা হল না।
রাজ: আমার মনে হয় না। [ মুচকি হেশে ]
সাদ: মানে……
রাজ: আমাকে অপমান করেছে বলে তোমার এই অবস্থা। তাহলে ওর এমন করাটা স্বাভাবিক নয় কি??? ও আমাকে অপমান করেছে আর আমি তো ইশাদকে…… আর অপমান করে হলেও আমাকে ওর স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছে[ দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ]
সাদ: আমি কিছু বলব না আপনি যা ভালো মনে করেন করতে পারেন। আমার আর কিছু বলার নেই।
রাজ: হুমম চল…..
,
,
,
,,
,
,
,
,
,
আরিয়ার নিজের কাজ শেষ করে রাতে বাড়ি ফেরে নিজের রুমে যেতে নেয়। তখনি ওর বাবা ওকে ডাক দেয়..……
বাবা: দাড়াও আরিয়া…..
আরিয়া: কিছু বলবে???
বাবা: হুমম..….
আরিয়া: তুমি যদি রাজকে নিয়ে কিছু বলতে চাও তাহলে আমার বলার কিছু নেই। আমি আর যাই হোক না কেন কখনো ওকে মেনে নিব না।
বাবা: তুমি ভুলে যেওনা না ও তোমার হাসবেন্ড। বিয়ে হয়েছে তোমার সাথে।
আরিয়া: তুমি কেন ভুলে যাচ্ছ আল্লাহ তায়ালা কোনো নিয়মের মাধ্যমে বিয়ে ঠিক করে দেয়নি। সেটা ছেলে ও মেয়ের সন্মতি প্রকাশের জন্য কবুল শব্দটা দিয়েছে। আর সেটা শুধু মাত্র একটা শব্দের জন্য নয় বরং মন থেকে মেনে নেওয়াকে বোঝায়। এখন যদি তুমি শুধু একটা শব্দের মাধ্যমে এটাকে বিয়ে ভাবতে থাক তাহলে আমার কিছু বলার নেই কারন আমি সেটা মানিনা।
বাবা: ভুলে যেওনা সমাজের চোখে সামাজিকভাবে তোমরা স্বামী স্ত্রী। তাই তোমাকে তোমার স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে হবে।
আরিয়া: যাকে আমি ভালোবাসিনা তার সাথে আবার কিসের সংসার।
বাবা: আরিয়া….. [ চিল্লিয়ে ]
আরিয়া: একটা কাজ করো…. ওনাকে স্বামী হিসেবে মানতে পারব না। বরং ওনার যদি মৃত্যু হয় তখন আমাকে বলো ওনার বিধবা হয়ে থাকব। তাতে আমার কোনো সমস্যা হবে না।
কথাটা শুনেই ওর বাবা আরিয়ার গালে একটা কষে চড় বসিয়ে দেয়।
বাবা: অতিরিক্ত ভালোবাসা আর আদর তোমাকে আজ বিগড়ে দিয়েছে।
আরিয়া: তুমি আমাকে মারলে….
বাবা: এই শাসন টা আমার আগে করা উচিত ছিল। যে মেয়ে নিজের স্বামীর মরন চায় সে মেয়ে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
আরিয়া: ঠিক আছে তাহলে তাই ভেব যে তোমার মেয়ে মারা গেছে…..
বাবা: আরিয়া,…..
আরিয়া: ঠিকি তো বলছি…. তাছাড়া তুমি যা চেয়েছ তাই করেছি আর কি চাই।
বাবা: সব বাবা মা তার সন্তানের ভালো চায়।নার তোর জেদটা রাখতে আমি ইশাদের সাথে তোর বিয়ে দিতে রাজি হইনি তুই বল। তাহলে…..
আরিয়া: হুমম। তাইত এখনো তোমাদের কাছে আছি। কিন্তু এখন যা বলছ তা সম্ভব না। কেন বলছ এসব……
বাবা: কারন সব বাবা মা তার সন্তানের ভালো চায়। তখন সন্তানের ভালোর জন্য হলেও অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। তোর যখন সন্তান হবে তুই ও বুঝতে পারবি কেন আমি চাইছি তুই রাজকে মেনে নিতে।
আরিয়া: আমি কোনোদিন তা করব না।
বাবা: এটা হয়ত তুই ভাবছিস কিন্তু সত্যিটা অন্যকিছু…….
আরিয়া: সেটা তোমার ব্যাপার কিন্তু আমি তোমার কথা রাখতে পারব না। সরি…..
বাবা: আরিয়া……
আরিয়া: আমি আসছি……
[ আরিয়া রুমে গিয়ে ফ্রশ হয়ে হাসপাতালে চলে যায়। হাসপাতালে গিয়ে ডক্টরের সাথে কথা বলে….
আরিয়া: ওর অবস্থা কেমন???
ডক্টর: আগের মতই আছে। কবে ন্সেস ফিরবে বলা যাচ্ছে না। ওর মাইন্ড সচল আছে কিন্তু বাইরে থেকে কোনো রেসপন্স করছে না। তাই ওনার সাথে এমন কথা বলবেন না যাতে ওনার কষ্ট হয়। এতে ব্রেনে প্রেসার পরতে পারে।
আরিয়া: ওকে ডক্টর..………
ডক্টরের সাথে কথা বলে আরিয়া ইশাদের কেবিনে যায়। ও গিয়ে ইশাদের পাশে বসে ওর হাতটা নিজের মুঠে আবদ্ধ করে।
আরিয়া: তুই এখানে শুয়ে আছিস অনেক খুশি লাগছে আমার। কেন জানিস??? [ কিছুটা আটকে গিয়ে ] কারন এখন আর কেউ আমাকে শাসন করতে পারে না। কেউ আমাকে বাধ্য করতে পারে না কোনোকিছুর জন্য। কেউ রাগ ও দেখায় না। তাই খুব খুশি আমি…….
……………
আরিয়া: আচ্ছা তোর বুঝি অনেক রাগ লাগছে তাই না এটা ভেবে যে একবার ঠিক হয়ে নি দেখে নিব তোকে। তোকে নিয়ে মজা করছি বলে। আচ্ছা তাহলে ঠিক হয়ে যানা। তারপর যত ইচ্ছে বকে নিস। বিশ্বাস কর সব কথা শুনব তোর..…. রাগ দেখাবো না। [ ফুপিয়ে কেদে উঠে আরিয়া। কিন্তু সারা দেয় না ইশাদ….. ]
আরিয়া অনেকটা সময় ইশাদের সাথে কাটায়। বেশ রাত হয়ে গেছে তাই আরিয়া ফিরে আসবে সকালে কাজ আছে। যাওয়ার আগে আরিয়া ইশাদের মাথায় হাত বুলিয়ে নেয়। তার কিছুক্ষন বাদে চলে আসে……
,
,
,
,
,
বাইরে এসে আরিয়া নিজের গাড়ি চাবি নিয়ে চলে যায়। কিন্তু কিছুদুর যেতেই মনে পরে প্রয়োজনীয় কিছু কিনতে হবে। তাই ও সামনে গাড়ি থামায়। আর রাস্তার এ পাড়ে পার্কিং করে ওপারে একটা শপে যায়। তারপর দরকারি কিছু জিনিস নিয়ে ফিরে আসে গাড়ির কাছে ঠিক তখনি ওর হাতে কারো টান ফিল করে। রাস্তাটা বেশ নিরব ছিল……….
আরিয়া কিছু বলার আগেই লোকটা আরিয়াকে ওপাশে দেয়ালের আড়ালে নিয়ে যেতে থাকে। আরিয়া বেশ ভয় ও পায়…..
আরিয়া চিতকার দিতে যাবে তখনি ওর মুখটা চেপে ধরে।
রাজ: প্লিজ আমি রাজ। চেচিও না।
আরিয়া কথাটা শোনা মাত্র রাজকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
আরিয়া: আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে টাচ করার৷ এত অপমানের পরও আপনি…… [ রাজ আরিয়ার মুখটা চেপে ধরে। যাতে আরিয়া চেচাতে না পারে ]
রাজ: দেখ আরিয়া আমি জানি তুমি আমার কথা শুনতে না তাই বাধ্য হয়ে….. প্লিজ আমার কথাটা শোনো তারপর না হয় যা বলার বলবে…..
আরিয়া রাজকে ধাক্কা দিয়ে আবার সরিয়ে দেয়।
আরিয়া: কথা বলতে এসেছেন নাকি এখানে একা থাকার সুযোগ নিতে এসেছেন৷
রাজ: দেখ আমি তোমার সাথে কথা বলতে চাই কিন্তু তুমি…. আমি হাসপাতাল থেকে তোমার সাথে কথা বলার ট্রাই করছি কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তাই বাধ্য হয়েই….
আরিয়া: কথা বলতে এসেছিলেন নাকি আমার সুযোগ খুজছিলেন।
রাজ: আরিয়া তুমি ভুল ভাবছ।
আরিয়া: কোনো ভুল ভাবছি না। আপনি আমাকে ফলো করছিলেন। আর সুযোগ পেয়ে এখানে নিয়ে এসেছেন।
রাজ: আমি জানি তুমি আমার কোনো কথাই বিশ্বাস করবে না।
আরিয়া: সেটা স্বাভাবিক নয়কি???
রাজ: আমি যা করেছি তাতে আসলেই তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো না। কিন্তু তবুও তোমার সাথে আমি কথা বলতে চাই। অনেক কথা বলার আছে৷…
আরিয়া: কিন্তু আমার কোনো কিছু শোনার নেই সো আমাকে যেতে দিন৷
আরিয়া ওখান থেকে চলে আসতে নেয়। কিন্তু রাজ তা দেয় না। ও যেতে চাইলে রাজ আরিয়ার হাত টেনে জোর করে নিজের কাছে নিয়ে আসে। আরিয়া ছটছট করতে থাকলে বেশ শক্ত করেই আরিয়ার বাহু ধরে….
রাজ: প্লিজ আরিয়া আমাকে কথা বলার একটা সুযোগ দাও। আমি জাস্ট তোমাকে কিছু কথা বলে চলে যাব।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। আরিয়া রাজের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য বেশ জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে রাজকে একটা থাপ্পড় মারে।
তারপর আর কথা না বলে চলে আসতে ধরে। কিন্তু আরিয়া নিজের গাড়ির দিকে না গিয়ে রাস্তার দিকে যায়। এতটাই রেগে গেছে যে ওর সামনে দিয়ে ট্রাক আসে তার কোনো খেয়াল ওর থাকে না। আরিয়া খেয়াল আসতেই সামনে একটা আলোর ঝলকানি দেখতে পায়। আরিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই…….
রাজ: আরিয়ায়ায়ায়ায়া……
রাজ আরিয়ার কাছে গিয়ে ওকে একটা ধাক্কা মারে যার কারনে ও ছিটকে অপাশে চলে যায়। যেহেতু ধাক্কাটা বেশ জোরেই দেয় রাজ তাই আরিয়া কিছু একটার সাথে বেধে কপাল কেটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে……..
রাজ কিছু বুঝতে পারে না। কি করবে। শেষে কিছু বুঝতে না পেরে আরিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে…………
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
অনেক রাতে আরিয়ার জ্ঞান ফেরে। আরিয়ার মাথাটা কিছুটা ঝিমঝিম করছে। ও মাথায় হাত দিয়ে উঠে বসে। হঠাৎ চারপাশে নজর দিতেই চমকে উঠে। কোথায় এসেছ ও……. তখনকার কথা মনে পরতে বুঝতে পারে রাজ ওকে এখানে নিয়ে এসেছে। আর তার চেয়েও রুমের ডেকোরেশন আর আভিজাত্যে আরিয়ার বুঝতে বাকি থাকে না যে এটা রাজের রুম কারন দেয়ালে খুব বড় করে রাজের ছবি টানানো।
কিন্তু পরক্ষনেই সবটা ঝাপসা হয়ে আসছে। কিছুই বুঝতে পারছে না। মাথাটা পুরো ভারী হয়ে আছে। শ্বাস টানতে কষ্ট লাগছে ওর। আরিয়া জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে মৃদু বাতাসে সাদা পর্দা গুলো উড়ছে। ও আস্তে আস্তে বিছানা থেকে নেমে ঢুলে ঢুলে কোনো মতে জানালার কাছে যায়। ও জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়….. মাথাটা ঝিম হয়ে আসে কিছুটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে আরিয়ার। আরিয়া চোখটা বন্ধ করে মাথায় হাত দিয়ে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,তখন রাজ রুমে আসে আরিয়াকে দেখতে। কিন্তু বিছানায় না পেয়ে বেলকনির দিকে তাকাতেই আরিয়াকে দেখতে পায়। আরিয়াকে দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরে রাজ কারন আরিয়ার শাড়িটা একদম ঠিক নেই। কোমরের কিছুটা অংশ বেড়িয়ে আছে। ফর্সা পিঠে আরিয়ার চুলগুলো বারবার বাড়ি খাচ্ছে মৃদু বাতাসে রাজ চোখ নামিয়ে নিলেও আবার ওর দিকে নজর চলে যায়।
আরিয়া মাথায় হাত দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস টানার জন্য চেষ্টা করছে। রাজের পা নিজের অজান্তেই আরিয়ার দিকে এগোতে লাগল। কোনো এক মাদকতা ছুয়ে যাচ্ছে রাজকে। ও ধীর পায়ে আরিয়ার দিকে গিয়ে আরিয়ার পিছনে দাঁড়ায়। রাজ আরিয়ার নিশ্বাসের শব্দ ফিল করতে পারে।
আরিয়া চোখ বন্ধ করা অবস্থায় নিজের কোমরে কারো হাতের ছোয়া আর ঘাড়ে কারো গরম নিশ্বাস পায়। আরিয়া বুঝতে পারে কেউ ওকে জড়িয়ে ধরেছে। কিন্তু ও কিছু করতে পারছে না সামলাতে পারছে না এতটাই ঝিম হয়ে আছে মাথাটা।
রাজ আরিয়াকে জড়িয়ে ওর পিঠ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয়। তারপর ঘাড়ে খুব গভীরভাবে কিস করে। হঠাৎ এমন শিহরিত স্পর্শে কেপে উঠে আরিয়া। দম বন্ধ হয়ে আসে। নিজের কোন বোধ পাচ্ছে না। রাজ ওর আরেকটু কাছে যেতেই মাথাটা ধরে জোরে একটা চিতকারে আতকে উঠে আরিয়া।
এতক্ষনে ঘোর ভাঙে রাজের। ও দ্রুত আরিয়ার থেকে সরে দারায়। আরিয়া নিজের মাথায় হাত দিয়ে বসে কান্না করে দেয়। অসহ্য যন্ত্রণা করছে ওর। মেঝেতে বসে মাথার চুল ছিড়তে থাকে।রাজ কি করবে ভেবে পায় না। তবে এতটুকু বুঝতে পেরেছে এটা মাথায় ব্যাথা লাগার কারনে হয়নি।
রাজ: আরিয়া। আরিয়া…. কি হয়েছে তোমার এমন করছ কেন???
এবার আরিয়া রাজের দিকে তাকায়। ও জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। চোখগুলো লাল হয়ে গেছে। চোখ দিয়ে পানি তো পরছেই। রাজ ওর কাছে যেতেই আরিয়া ওকে দুরে সরিয়ে খুব জোরে কষে একটা থাপ্পড় মারে রাজের গালে।
আরিয়া: এইজন্য নিয়ে এসেছেন না আমাকে এখানে। এইজন্য ফলো করেছেন ক্ষমা চাওয়া ত বাহানা। নিজের স্বামীর অধিকার ফলাতে চাইছেন…..
রাজ: i am sorry…. আমি ইচ্ছে করে…
আরিয়া আবারো একটা থাপ্পড় মারে।
আরিয়া: আর কত নিচে নামবেন আর কত মিথ্যে বলবেন। ক্লান্ত হন না আপনি।
রাজ ভালোভাবে বুঝতে পারছে। আরিয়া এখন ওর কোনো কথাই শুনবে না। আর হলো তাই।
আরিয়া এবার নিজের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠল। কারন ও বাসা থেকে থ্রিপিস পরে বেড়িয়ে ছিল আর এখন ওর শরীরে জড়িয়ে আছে শাড়ি। আরিয়ার বুঝতে বাকি রইল না কি হয়েছে।
আরিয়া: আপনি….. [ রাগে কান্না করে দিল ও। তারপর রাজের কোনো কথা না শুনেই পাগলের মত বেড়িয়ে গেল রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নামে। নিজের মত একদিকে দৌড় দিলে সামনে ক্রিচেনে ডুকে পরে৷ ক্রিচেনে ডুকে আরিয়ার চুলার আচের দিকে খেয়াল যায়। চুলায় কিছু ফুটছে তার লোহার একটা সিক চুলার মধ্যে পুরে লাল রং ধারন করেছে। আরিয়া গিয়েই সিকটা হাতে নেয়। ততক্ষণে রাজ ও এসে দাঁড়ায়।
রাজ: কি করছ….
আরিয়া: আপনার ছোয়া গুলো জঘন্য লাগছে আমার কাছে। তাই সেগুলো দুর করার চেষ্টা করছি।
রাজ: তুমি ভুল ভাবছ আমি তোমার কাপর….. [ আরিয়ার দিকে এগিয়ে ]
আরিয়া: একদম না মি. রাজ… তাহলে ভালো হবে না। ঘৃনা লাগছে যে জায়গায় যেখানে আপনার স্পর্শ আছে।
রাজ: যা হয়েছে তা….
আরিয়া: চুপ করুন…. আপনি আমার এখানে স্পর্শ করেছেন তাই না। [ বলেই আরিয়া গরম শিকটা নিজের পেটের সাথে চেপে ধরে। তারপর নিজেই খুব জোরে আর্তনাদ করে উঠে ] আহহহহ….
যখন পারে না তখন শিকটা সরিয়ে ফেলে। রাজ যেন স্তব্ধ লেগে গেছে। কারন শিকের সাথে আরিয়ার পেটের মাংসসমেত চামরা উঠে গেছে। ছটফট করছে ও। তারপরেও বলল……
আরিয়া: আর কোথায়…. ঘাড়ে…. বলেই ঘাড়ে শিকটা ধরতে যাবে ঠিক তখনি রাজ সেটা নিয়ে ফেলে দেয়।
আরিয়া এবার আর পারে না। মেঝেতে শুয়ে ছটফট শুরে করে দেয়। রাজ আরিয়াকে মেঝে থেকে তুলতে চায়। কিন্তু আরিয়া ওকে ফেলে দিয়ে মেঝেতে ছটফট করতে থাকে। রাজ কি করবে ভেবে পায় না। তবে এতটুকু বুঝতে পেরেছে এটা মাথায় ব্যাথা লাগার কারনে বা পোড়ার কারনে হয়নি। কারন ও মাথায় ধর চুল ছিরছে। পাগলের মত ছটফট করছে। আরিয়ার অবস্থা দেখে রাজ কেদেই দেয়। কিন্তু কোনোমতে ওর কাছে যেতে পারে না। আরিয়া ছটফট করতে করতে একসময় শান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে পরে মেঝেতে।
রাজ: আরিয়া…. আরিয়া……
কিছুক্ষন পর আরিয়া ছোট ছোট চোখ করে রাজের দিকে তাকায়।
আরিয়া: ই…ই… শা… . [ চোখ দিয়ে অর্নগল পানি পরছে। বার বার চোখ গুলো বন্ধ করে আবার মেলতে লাগল। কিন্তু হয়ত নিয়তি ওকে সায় দিল না। পুরোপুরি জ্ঞান না হারালেও জ্ঞানে নেই আরিয়া। ]
রাজ দ্রুত আরিয়াকে কোলে তুলে বেডে নিয়ে আসে। তারপর ফ্রিজ থেকে বরফ এনে ওর পোড়া জায়গায় লাগাতে চায়। অসম্ভব পুড়ে গেছে। গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। রাজ কাপা হাতে ওর ক্ষত টাচ করতেও ভয় পাচ্ছে।
রাজ: তোমার ড্রেস মহিলা স্টাফ এসে চেঞ্জ করেছে কারন তাতে ময়লা আর তোমার রক্ত লেগেছিল। এতটা ঘৃনা কেউ কিভাবে কাউকে করতে পারে যার জন্য নিজের সাথে এমন করবে….. [ ভাবতেই ফুপিয়ে কেদে উঠে ও ]
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
[ বাকিটা পরের পর্বে