প্রেমের মরা জলে ডুবে পর্ব -০৭

#প্রেমের_মরা_জলে_ডুবে

#তানিয়া

পর্ব:৭

শুভ্র চোখ খুলতে মুখের সামনে আরেকটা মুখ দেখতে পেলো যেটা ছিল তিমিরের।মুখের ওপর তিমিরের মুখ দেখেই সে উঠে বসলো।চোখ মুখ শক্ত করে প্রশ্ন করলো,

“এটা কেমন ব্যবহার তিমির,এই সাত সকালে তুমি আমার মুখের কাছে কি করছো?”

“দেখছিলাম সকাল বেলা বাসি মুখে আপনাকে কেমন লাগে কিন্তু যা দেখলাম আপনাকে ফিটফাটের মতো বাসি মুখেও সুন্দর লাগে।”

দাঁত কিড়মিড় করে শুভ্র আবারও মুখ খুললো,

” বাজে কথা বন্ধ করে আসল কথা বলো তুমি আমার ঘরে কি?তোমাকে না মা মানা করেছে যাতে আমার ঘরে না আসো তাহলে তুমি আমার ঘরে আমার মুখের সামনে কি করছিলে? ”

“আজব আন্টি মানা করলে আমি শুনবো কেনো,তবুও যে আমি তার কথার গুরুত্ব রেখে আলাদা থাকছি এটাই বা কম কীসে,তাছাড়া আমি আপনার বউ আমার উচিত আপনার সাথে আপনার পাশে ঘুমানো কিন্তু দেখুন আমি সেটা করছিনা। আপনার সুবিধার্থে আলাদা থাকছি কিন্তু জানি না কতদিন আলাদা থাকবো।যদি আমার অসুবিধা হয় তবে আমি ব্যাগপত্র নিয়ে এ রুমে চলে আসবো তখন হাজারও মানা আমি শুনবো না।যাই হোক আপনার রুমে এসেছিলাম আপনাকে ডাকতে।কলেজ যেতে হবে তো উঠবেন কখন?”

“তোমাকে কি আমি দায়িত্ব দিয়েছিলাম আমাকে ডাকতে সব কাজে এত আগ বাড়িয়ে যাও কেনো?”

“এটাই তো আমার কাজ।আগ বাড়িয়ে মানুষের উপকার করা কিন্তু সবাই ভাবে আমি সবার ক্ষতি করি।আসলে আমি যা করি ভালোর জন্যই করি কিন্তু সেটা কেউ বুঝতে চায় না।”

“তাই নাকি?তাহলে আমার আর তুরফার বিয়েটা বিগড়ে দিয়ে কি উপকার করলে শুনি?”

শুভ্রর এ কথায় তিমির চুপ হয়ে গেলো।কিছুটা নিরব থেকে বললো,

“হয়তো উপকার করেছি হয়তো করিনি।তবে কোনো একদিন সময় হলে ঠিকই বুঝবেন কেনো এমনটা করেছি।”

তিমির চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে শুভ্র ডাক দিলো।

“সময়ের অপেক্ষায় না রেখে তোমার মুখ থেকে শোনাও।সত্যিই কি আমাদের বিয়েটা ভেঙে তুমি উপকার করেছো?”

তিমির না ফিরে উল্টো মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো।শুভ্র এগিয়ে এসে সামনে দাঁড়ালো।

“তোমাকে বলতে হবে না কি উপকার করেছো আমি বলছি আসলে তুমি নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতেই আমাকে বিয়ে করেছো।তুমি তুরফাকে হিংসা করতে হয়তো তাই আমাকে তুরফার কাছ থেকে কেড়ে নিতে এমন জঘন্য কাজ করলে।আসলে ছোট থেকেই তুমি হিংসুটে ছিলে।যখনি আমি কোনো গিফট নিয়ে যেতাম তুরফার জন্য তখনি সেটা নিয়ে তুমি ঝগড়া বাধাতে।আর তোমার সে হিংসার মনটা এত বড় হলো যে বিয়ের আসরেই কনে বদল ঘটালে?”

তিমিরের চোখে পানি টলমল করছে সে নিচু হয়ে আছে, যেকোনো সময় টুপ করে বেয়ে পড়বে ফোঁটা। শুভ্র আবারও বলা শুরু করলো,

“আসলে তুমি একটা লোভী মেয়ে।আমার মতো সুদর্শন পুরুষের বউ হওয়ার লেভ জন্মেছে তোমার মধ্যে।তাই তে বিয়ের আসরে বড় প্রহসন করে আমাকে বিয়ে করেছো।তুমি জানো তেমার এ নোংরা কাজের জন্য আমাকে পূর্বের কলেজ ছেড়ে আসতে হয়েছে। তোমার করা কাজে সবাই আমার প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে যা কখনো কেউ আমাকে দেখানোর সুযোগ পায় নি।তুমি আমার জীবনে কালো অধ্যায় নিয়ে এসেছো যার জন্য আমাকে এখন থেকে খেসারত গুণতে হচ্ছে। না জানি কতদিন গুণবো কিন্তু একটা কথা বলে দিচ্ছি বর্তমানে আমার কাজে বা আমাদের এ সম্পর্ক নিয়ে তুমি একটাও কথা বলবে না।ভুলেও এ কথাটা নিয়ে কলেজে যেন টু শব্দ না হয়।গেট লস্ট।”

শেষের কথাগুলো তিক্ততার সুরে বলে ধমক দিয়ে তিমিরকে বের করে দিলো।আঙুল দিয়ে কপাল ম্যাসেজ করছে শুভ্র। সকাল সকালই মেজাজ তুলে দিলো।টাওয়াল নিয়ে গোসলে চলে গেলো শুভ্র। তিমির শুভ্রর রুম থেকে শ্লথ গতিতে বের হয়ে সোজা দৌড়ে রুমে চলে গেলো।বিছানায় উপুর হয়ে পড়ে কান্না শুরু করলো।শুভা মাথা আঁচড়াচ্ছিলো তিমিরকে দৌড়ে আসতে দেখে আর কান্না দেখে ভয় পেয়ে গেলো।

“তিমির কি হয়েছে তোর,কাঁদছিস কেনো,মা তোকে আবারও বকা দিয়েছে? ”

তিমির কিছু বলছে না সে কেঁদে চলেছে।শুভা জানে তিমিরকে সহজে কাঁদানো যায় না কিন্তু কি হলো যার জন্য এ সাতসকালে তিমির কাঁদছে। তিমির চোখ মুছে উঠে বসলো।এত সহজে আর কাঁদবে না।মনকে শক্ত করবে।ছোট থেকে অনেক অপমান শুনেছে সয়েছে এখনো যদি সইতে হয় তবে সইবে।আর কাঁদবে না।এসব কান্না তিমিরের জন্য না।সহ্য শক্তি তিমিরকে আরো বাড়াতে হবে।তিমির শুভাকে কিছু না বলে ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ দিয়ে তৈরি হয়ে নিলো। তারপর দুজনে বেরিয়ে গেলো কলেজের উদ্দেশ্য।

কলেজে ক্লাস করার পাশাপাশি শুভা আর তিমির গুটুর গুটুর করে চিপস খাচ্ছিল।সকালে শুভ্রর কথাগুলো তিমিরকে ব্যথিত করেছে তাই খাবার না খেয়ে বেরিয়ে পড়লো।ক্লাসে আসার পর টের পেলো খাবার না খেয়ে থাকা তার কাম্য নয়।শুভ্রর প্রথম ক্লাস তিমিরদের রুমে।শুভ্র ঢুকতেই সবাই দাঁড়িয়ে সালাম জানালো।শুভ্র এক এক করে সবার পরিচয় জেনে নিলো।তারপর নিজের পরিচয়টা আরেকবার দিয়ে পড়ানোর জন্য বইটা নিলো।এরমধ্যে তিমিরদের বেঞ্চে নজর পড়তে সে দেখলো তিমির আর শুভার দুজনের মুখ ফুলা।বুঝতে বাকি রইলো না দুজনে ক্লাসে বসে খাচ্ছে।

“এই মেয়ে,এই তোমরা দুজনে উঠো।কি করছো তোমরা ক্লাসে বসে খাচ্ছো,এটা কি খাওয়ার পিরিয়ড? ”

তিমির শুভা দুজনে উঠে দাড়ালো।তারা ভয়ে একে অপরের সাথে লেগে রইলো।পুরো চিপসের কিছু অংশ বাকি ছিল তাই সেটা একেবারে মুখে পুরে নিতে শুভ্র দেখে নিলো। না জানি এখন কি হয়?

“কি হলো জওয়াব দিচ্ছো না কেনো?”

তিমির মুখের খাওয়াটা শেষ করে মুখ খুললো,

“আসলে স্যার,চিপস খাচ্ছিলাম।খুব খিদে লাগছিল তাই চিপস খেতে বসেছিলাম। আর খাওয়ার মধ্যে আপনি চলে এলেন মানে আপনার পড়ানোর সময় শুরু হয়ে গেলো তাই তাড়াহুড়ো করে খেতে গেছিলাম।দেখুন স্যার চিপস শেষ আর নাই। এবার আপনি পড়ানো শুরু করতে পারেন!”

“ইউ ইডিয়েট!তোমার কথায় আমি পড়াবো?আমি গতকালও লক্ষ্য করেছি তোমরা দুজনে ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে আড্ডা দিচ্ছো।আজকের পর থেকে তোমরা আর একসাথে বসবে না।দুজনে দুই কর্ণারে বসবে।শুধু আমার ক্লাসে নয় সব ক্লাসে আর হ্যাঁ তুমি এদের ওপর নজর রাখবে আমাকে সেটা জানাবে ঠিক আছে? ”

সামনে বসা একটা মেয়েকে দায়িত্ব দিয়ে শুভ্র পড়ানো শুরু করল।তিমির তখনো দাড়িয়ে শুভ্রর দিকে চেয়ে রইলো।

ক্লাস শেষ করে শুভ্র চলে গেলে তিমির ধুপ করে বসে পড়লো।

“দেখলি তুই তোর ভাই আমার সাথে কি করলো?”

“ভাইয়ার কি দোষ তোকে বললাম পরে খাস না তোকে এখনি খেতে হবে।ভাইয়া যে এসব পছন্দ করে না তুই জানিস না?”

“না জানি না। সবকিছু তোর ভাইয়ের মতো হবে নাকি।এখন থেকে আমি আমার মতো করে চলবো।যেহেতু আমাকে তিনি মানেন না সেহেতু তার কোনোকিছুও আমি মানবো না।”

তিমির গজগজ করতে লাগলো।শুভা বুঝলো তার ভাইয়ের সাথে এ বিপরীত চরিত্রের মেয়েটা কীভাবে থাকবে যেখানে ছোট কাজে তার এক হতে পারে না?

তিমির বাসায় এসেই জামা কাপড় ছেড়ে রান্নাঘরে গেলো।নিপা তখন কাজের বুয়াকে এটা ওটা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তিমিরকে দেখতেই তিনি চোখে বিরক্ত ভাব দেখালেন।

“আন্টি রান্না হয়েছে, আমার না খুব খিদে লেগেছে। সকালে কিছু খাই নি।”

“কেনো খাবার কি ছিলো না যে খাও নি।তাছাড়া তুমি কোথাকার কে নন্দিনি যে তোমার খিদে লাগলেই খাবার সাজিয়ে রাখবো।এখনো সবাই আসেনি আর তোমার খিদে পেয়ে গেলো।চলে যাও,সবাই আসলে একসাথে খাবার বাড়া হবে।”

আন্টি সকালের নাশতা থাকলে তাই দিন আমার খুব খিদে লেগেছে।

নিপা তিমিরের কথায় কান না দিয়ে কাজ করতে লাগলো।নিরুপায় তিমির রাগ করে চলে গেলো।বসার রুমে এসেই নজরে পড়লো শুভ্রকে। শুভ্র তিমিরকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলো। তিমির শুভ্রর পিছন পিছন গিয়ে দাঁড়ালো,

“আপনি আমার সাথে এমন করলেন কেনো?”

শুভ্র হাতের বোতাম খুলতে খুলতে জানতে চাইলো,

“কি করলাম?”

“আপনি ইচ্ছে করে আমাকে দাড় করিয়ে রেখেছেন তাই না?পুরো ক্লাসে এভাবে দাড়িয়ো থেকে আমার পা পেট মাথা সব ব্যথা করছে!”

“তো আমি কি করবো,তুমি অন্যায় করেছো শাস্তি পেয়েছো।আরেকটা কথা কলেজের কোনো কথা নিয়ে আমার সাথে বাসায় কথা বলবে না।যেখানের কাজ, সমস্যা সেখানে শেষ। তাছাড়া অযথা বাতিল কথা নিয়ে আমাকে বিরক্ত করতে আসবে না।এখন যাও”

“আমার সব কথা তো আপনার কাছে বাতিলই লাগে।তাছাড়া আমি এ রুমে আসলে আপনি আমাকে এভাবে বিদায় বলে দেন কেনো,ভুলে যাচ্ছেন এ রুমের অর্ধেক অংশ আমার।আমি চাইলে সেই অধিকারে এখানে এসে থাকতে পারি।”

শেষের লাইনগুলো অনেকটা অহং বোধ নিয়ে বললো তিমির।শুভ্র পেছন ফিরে তিমিরের দিকে চেয়ে রইলো। কয়েক পা এগিয়ে এসে দাঁতে দাত চেপে বললো,

“বড্ড বেশি অধিকার সম্পর্কে জেনে গেছো তাই না।এমন থাপ্পড় দিব যে সব অধিকার দৌড়ে পালাবে।ফাজিল মেয়ে,যাও এক্ষুনি।”

শুভ্রর কিড়মিড়ে ভাব আর ধমক শুনে তিমিরের সকল হাওয়া ফুস হয়ে গেলো।তাড়াতাড়ি রুমে থেকে বের হয়ে নিচে চলো গেলো।এখন যদি খাওয়াটা পায়।

তিমির আর শুভা ক্লাসে গিয়ে আবারও একসাথে বসলো।জেসমিন,যাকে শুভ্র দায়িত্ব দিয়েছিলো যাতে এ দুজন একসাথে না বসে,সে এসে তাদেরকে শুভ্রর কথা জানালো।শুভা ভয় পেলেও তিমির হাই তোলার ভঙ্গি নিয়ে কথাটা এড়িয়ে গেলো
জেসমিন কয়েকবার বলে ক্লান্ত হয়ে গেলো। সে হাল ছেড়ে দিয়ে নিজের সিটে গিয়ে বসলো।শুভ্র ক্লাসে আসতেই সবাই সালাম জানাল।শুভ্র পড়ানো শুরু করার আগেই একবার চোখ বুলিয়ে নিলো।তখনি দেখলো তিমির আর শুভা পাশাপাশি। শুভ্র চোয়াল শক্ত হলো।সে এগিয়ে এসে দাড়ালো শুভাদের বেঞ্চের পাশে।তিমির বইয়ে কি যেন দাগাচ্ছিল।শুভ্রর দিকে নজর পড়ে নি।শুভা তো ভাইয়ের চোয়াল দেখে ভয় পেয়ে তিমিরকে ধাক্কা লাগালো।তিমির শুভার দিকে তাকিয়ে চোখ তুলতে শুভ্রকে দেখলো।শুভ্রর নজর দেখে বুঝলো ঘটনা ভালো না।তিমির উঠে দাঁড়াতে শুভ্র দুই হাত পকেটে গুঁজে তার দিকে তাকিয়ে রইলো।

“তোমাদের বলেছিলাম দুজনে পাশাপাশি না বসতে আমার কথা অমান্য করে তোমরা আবারও একসাথে বসেছো তাই না?”

শুভ্রর কথার জোরে শুভার হাঁটু কাপাকাপি শুরু হলো।তিমির নির্বিঘ্নে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবটা এমন যেন শুভ্রর কথাগুলো সে শুনছেই না।

“কে আমার কথা অমান্য করেছে, জেসমিন এদিকে আসো?”

জেসমিন এগিয়ে এলো,শুভ্র তিমিরের দিকে দৃষ্টি রেখে জিজ্ঞেস করলো,

“জেসমিন তোমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যাতে ওরা একসাথে না বসে তুমি ওদের বলো নি?”

“বলেছি স্যার আমি বারবার করে বলেছি যে আপনি আসলে ওদের আর আমাকে বকা দিবেন।কিন্তু শুভা শুনলেও তিমির শুনে নি সে বলেছে পরের বিষয় পরে দেখবে।আমি হাঁপিয়ে গিয়ে বলা বন্ধ করেছি।”

“তিমির,টিচারের কথা শোনাও যে একটা আদব সেটা কি তুমি শিখো নি?তোমার পরিবার তোমাকে সেই শিক্ষা দেয় নি যে টিচার যা বলবে তা করতে নাকি সবটা উল্টো শিখেছো?”

তিমির বুঝতে পারলো শুভ্র তাকে কোনদিক দিয়ে কথা শুনাচ্ছে।শুভ্র সবটা জেনে তাকে কথার হুল ফুটালো।রাগ উঠে গেলো তিমিরের কিন্তু সেটাকে দমিয়ে রেখে ব্যাগটা নিয়ে থমথম করে পেছনে চলে গেলো।শুভা চুপ করে বসে পড়লো।শুভ্র ডায়াসে গিয়ে পড়ানো শুরু করলো।তিমির একবারের জন্য বইয়ে নজর দেয় নি সে একদৃষ্টিতে অগ্নিচোখে তাকিয়ে থাকলো শুভ্রর দিকে।শুভ্র একবারের জন্যও সেদিকে তাকালো না। সে তার পড়ানোতে মনোযোগী হলো ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে।

আধঘন্টা বিরতিতে শুভা তিমিরের পাশে এসে বসলো।

“তোকে বলেছিলাম যে ভাইয়া দেখলে রাগ করবে।হলো তো সত্যি? এতগুলো কথা শুনতে ভালো লাগলো?”

“তোর ভাই তার বউকে কথা শুনিয়েছে তাতে আমার কি?”

কথাটা বলে তিমির ক্যাডবেরিতে কামড় দিলো।শুভা বুঝলো না তিমির কি বললো,সে খুঁজতে লাগলো তিমিরের কথার মানে কি?এরমধ্যে তিমির দেখলো জেসমিন তার দিকে তাকিয়ে হাসছে।বুঝতে পারলো শুভ্রর বকা দেয়ায় সে বেশ মজা পেয়েছে। জেসমিনের হাসি দেখে সে রেগে গেলো।এ মেয়েটার সাথে তার শুরু থেকে সম্পর্ক সাপে নেউলে।আর শুভ্র এসে বেছে বেছে কিনা তাকেই দায়িত্ব দিলো।না এ মেয়েটাকে টাইট দিতে হবে।
,
,
,
চলবে……..

৬.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here